৮ম শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা বই ২০২৪ | Class 8 Islam Shikkha | অধ্যায় ১ আকাইদ | সমাধান : অষ্টম শ্রেণীর ইসলাম শিক্ষা এর প্রথম অধ্যায়টি হতে গুরুত্বপূর্ণ সব সমাধানগুলো গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন। অতএব সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
অধ্যায় ০১ আকাইদ
আলোচ্য বিষয়
→ আল্লাহর পরিচয় । রাসুলগণের প্রতি ইমান খতমে নবুওয়াত ঈসা (আ.) ও ইমাম মাহদি (আ.)-এর আগমন, আখিরাতের প্রতি ইমান। কিয়ামত। তাকদিরের প্রতি ইমান। শাফা’আত। শিরক।
অধ্যায়ের মূলকথা
ইসলাম হলো মহান আল্লাহ তা’আলার মনোনীত একমাত্র দীন বা জীবনব্যবস্থা। এর দুটি দিক রয়েছে। যথা— বিশ্বাসগত দিক ও আচরণগত বা প্রায়োগিক দিক। ইসলামের বিশ্বাসগত দিকের নামই হলো আকাইদ । আকাইদ শব্দটি আকিদা শব্দের বহুবচন। আকাইদ অর্থ বিশ্বাসমালা। ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলোর প্রতি দৃঢ় বিশ্বাসকেই আকাইদ বলা হয়।
আল্লাহ তা’আলা, নবি-রাসুল, ফেরেশতা, আসমানি কিতাব, পরকাল, জান্নাত-জাহান্নাম ইত্যাদি আকাইদের অন্তর্ভুক্ত। এ বিষয়গুলো কুরআন ও হাদিস দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ও প্রমাণিত ।
মুসলিম হতে হলে সবাইকে এ বিষয়গুলোর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে হয়। এরপর নামায, রোযা, হজ, যাকাত ইত্যাদি প্রায়োগিক দিক তথা ইবাদাত পালন করতে হয়। বস্তুত আকাইদের বিষয়গুলোর ওপর বিশ্বাসের মাধ্যমেই মানুষ ইসলামে প্রবেশ করে ।
অর্জনোপযোগী যোগ্যতা
ইসলাম ধর্মের মৌলিক জ্ঞান ও ভিত্তিসমূহ জেনে বিশ্বাস স্থাপনের মাধ্যমে (কুরআন ও হাদিসের) নির্দেশনার আলোকে যেকোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব, বিভ্রান্তি দূর করে নৈতিকভাবে দৃঢ় থাকতে পারা।
অধ্যায়ের শিখনফল
- আকাইদের মৌলিক বিষয়সমূহ নিজে জেনে অন্যকে জানাতে পারব।
- আল্লাহ তা’আলার পরিচয় সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারব ।
- রাসুলগণের প্রতি ইমান আনার অপরিহার্যতা, নবি-রাসুল প্রেরণের প্রয়োজনীয়তা, তাঁদের গুণাবলি ও মুজিযা ব্যাখ্যা করতে পারব। খতমে নবুওয়াতের প্রমাণ সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারব।
- ঈসা (আ.) ও ইমাম মাহদি (আ.)-এর আগমনের কারণ ব্যাখ্যা করতে পারব।
- কিয়ামত অর্থাৎ মহাপ্রলয়, পুনরুত্থান এবং হাশর সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা লাভ করতে পারব।
- তাকদিরের প্রতি ইমান আনার ফযিলত সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে পারব।
- কুরআন ও হাদিসে হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর শাফা’আত লাভের ফযিলত ও তাৎপর্য বিশ্লেষণ করতে পারব।
- শিরকের পরিচয়, পরিণাম ও প্রতিকার সম্পর্কে বর্ণনা করতে পারব।
শিক্ষার্থীরা নিচে উল্লিখিত অভিজ্ঞতার মাধ্যমে এই যোগ্যতাটি অর্জন করবে। অভিজ্ঞতাটির চারটি পর্যায়ক্রমিক ধাপ (চক্র) অনুসরণের মাধ্যমে অভিজ্ঞতামূলক শিখনটি সম্পন্ন করবে।
ধাপ-১। প্রেক্ষাপটনির্ভর অভিজ্ঞতা
শিক্ষার্থীরা একজন ইসলামি বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি/শিক্ষক এর আলোচনা শুনে, পারস্পরিক মতবিনিময় ও প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে আকাইদ সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন করবে।
ধাপ-২। প্রতিফলনমূলক পর্যবেক্ষণ
শিক্ষার্থীরা গভীর চিন্তা, পারস্পরিক আলাপ-আলোচনা ও সূক্ষ্ম বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমে আকাইদের গুরুত্ব খুঁজে বের করবে।
ধাপ-৩। বিমূর্ত ধারণায়ন
শিক্ষার্থীরা অর্জিত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পাঠ্যপুস্তক, শিক্ষক ও অন্যান্য রিসোর্সের সহায়তায় আকাইদের বিভিন্ন ক্ষেত্র সম্পর্কে ধারণা আরও সমৃদ্ধ ও সুসংহত করবে।
ধাপ-৪। সক্রিয় পরীক্ষণ
শিক্ষার্থীরা আকাইদ দৃঢ় করার পরিকল্পনার চেকলিস্টের আলোকে ব্যক্তি, পারিবারিক ও সমাজজীবনে তা অনুসরণ করার কৌশল আয়ত্ত করবে এবং ভবিষ্যতে নিজে চর্চা অব্যাহত রাখবে ।
৮ম শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা বই ২০২৪ | Class 8 Islam Shikkha | অধ্যায় ১ আকাইদ
পাঠ পর্যালোচনা
পাঠ্যবইয়ের তত্ত্বীয় বিষয়বস্তু সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা নিই
প্রিয় শিক্ষার্থী, পরিবর্তিত যোগ্যতাভিত্তিক শিক্ষাক্রমের আলোকে রচিত পাঠ্যবইয়ের এ শিখন অভিজ্ঞতাটি ভালোভাবে বুঝে পড়ো। এরপর নিম্নোক্ত পাঠ পর্যালোচনার ওপর প্র্যাকটিস চালিয়ে যাও। এতে পাঠ্যবইয়ের বিষয়বস্তু সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাবে, পাশাপাশি শিখনকালীন এবং সামষ্টিক মূল্যায়ন প্রস্তুতিও শাণিত হবে।
আল্লাহর পরিচয়
মহান আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় সত্তা। যিনি সদা বিরাজমান। পূর্ণতা ও মহত্ত্বের যত গুণ রয়েছে, তিনি সেসব গুণের অধিকারী। মহান আল্লাহ সবসময় আছেন ও থাকবেন। তাঁর অস্তিত্ব অবশ্যম্ভাবী । তিনিই সবাইকে জীবন দান করেন । তিনি চিরন্তন ও চিরঞ্জীব । মহান আল্লাহ সর্বজ্ঞানী।
সকল বিষয়ে তাঁর জ্ঞান পরিব্যাপ্ত। এ বিশাল সৃষ্টিজগৎ তার স্বীয় ইচ্ছায় সৃষ্টি হয়েছে। এ বিশ্বের গতি ও স্থিতি সবই আল্লাহর অসীম কুদরত। তিনি সকল শক্তির আধার।
মূলত মহান আল্লাহ আসমান, জমিন, পাহাড়-পর্বত দৃশ্যমান, অদৃশ্য সকল কিছুর স্রষ্টা। তাঁর সৃষ্টিরাজির মধ্যেই তাঁর পরিচয় বিদ্যমান। অনুরূপ কুরআন-হাদিসে বর্ণিত ‘আসমাউল হুসনা’ বা তাঁর সুন্দর নামসমূহের মধ্যেও তাঁর পরিচয়, গুণাবলি, মহিমা ও নিদর্শন বিদ্যমান।
মহান আল্লাহর কতিপয় গুণবাচক নাম
কুরআন ও হাদিসে আমরা মহান আল্লাহ্র ৯৯টি গুণবাচক নাম সম্পর্কে জানতে পারি। তন্মধ্যে কয়েকটি গুণবাচক নাম এবং সেসব নামের অর্থ ও তাৎপর্য নিচে ব্যাখ্যা করা হলো-
আল্লাহু তাওয়াবুন : এটি আল্লাহর একটি গুণবাচক নাম। তাওয়াবুন শব্দের অর্থ তাওবা কবুলকারী, ক্ষমাকারী। সুতরাং আল্লাহ তাওয়াবুন অর্থ হলো আল্লাহ তওবা কবুলকারী বা আল্লাহ ক্ষমাকারী।
মানুষ শয়তানের প্ররোচনায় পড়ে অন্যায় করে ও পাপ করে। তখন সে যদি অনুতপ্ত হয়ে গুনাহ থেকে ফিরে আসে এবং ভবিষ্যতে আর গুনাহ না করার অঙ্গীকার করে খাঁটি তওবা করে, তখন আল্লাহ তাঁর গুনাহসমূহ মাফ করেন এবং তওবাকবুল করেন। কারণ আল্লাহ ক্ষমাশীল এবং তিনি তওবাকারীদের ভালোবাসেন।
মানুষ যদি পাহাড় পরিমাণ গুনাহও করে এবং অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর নিকট তওবা করে তাহলে আল্লাহ তার সকল গুনাহ মাফ করে দেন। মহান আল্লাহ বলেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল এবং পরম দয়ালু।” (সূরা আত-তাওবা, আয়াত ১০৪) মহান আল্লাহ আরও বলেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারীদেরকে ভালোবাসেন।” (সূরা আল-বাকারা, আয়াত ২২২)
আল্লাহু কাদিরুন : ‘আল্লাহ্ কাদিরুন’ অর্থ আল্লাহ সর্বশক্তিমান । কাদিরুন শব্দের অর্থ সর্বশক্তিমান, মহা ক্ষমতাধর। অর্থাৎ আল্লাহু কাদিরুন অর্থ আল্লাহ সর্বশক্তিমান বা আল্লাহ মহা ক্ষমতাধর ।
সবকিছুর ওপর আল্লাহর ক্ষমতা রয়েছে। তিনি যা ইচ্ছে করতে পারেন। তিনি আসমান, জমিন, মহাবিশ্ব সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা এবং অত্যন্ত সুনিপুণভাবে তিনি এগুলো পরিচালনা করেন।
তিনি কোনোকিছু সৃষ্টি করার ইচ্ছে করলে বলেন, ‘কুন’ (হও), তখনই তা হয়ে যায়। মানুষের জীবন-মৃত্যু তিনিই দান করেন। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, “নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান।” (সূরা আল-বাকারা, আয়াত ২০)
আল্লাহু ওয়াদুদুন : এটি আল্লাহর আরেকটি গুণবাচক নাম। ওয়াদুদ শব্দের অর্থ পরম স্নেহপরায়ণ, প্রেমময়, প্রেমাস্পদ। সুতরাং আল্লাহ ওয়াদুদুন অর্থ আল্লাহ পরম স্নেহপরায়ণ বা পরম স্নেহময়। মহান আল্লাহ বলেন, “এবং তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও প্রেমময়।” (সূরা আল-বুরুজ, আয়াত ১৪)
আল্লাহ তাঁর বান্দাদের অত্যন্ত ভালোবাসেন । তাই তিনি চান বান্দাও তাঁকে ভালোবাসুক, তাঁর ইবাদত ও আনুগত্য করুক । আল্লাহ আমাদের মহানবি হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন। কাজেই আল্লাহর ভালোবাসা অর্জনের জন্য আমাদের মহানবি (সা.)-এর পূর্ণাঙ্গ অনুসরণ করতে হবে ।
আল্লাহপাক তাঁর বান্দাদের অধিক ভালোবাসেন বলেই তারা যতো বড়ো গুনাহ করুক না কেনো তওবা করলে আল্লাহ খুশি হন এবং ক্ষমা করে দেন । কাজেই আমাদের উচিত তাঁর ইবাদাত ও আনুগত্য করে তাঁর ভালোবাসার প্রতিদান দেওয়া ।
আল্লাহু জাব্বারুন : জাব্বারুন শব্দের অর্থ শক্তিধর, পরাক্রমশালী, মহাপ্রতাপশালী ইত্যাদি। সুতরাং আল্লাহু জাব্বারুন-এর অর্থ আল্লাহ মহাপ্রতাপশালী, মহাপরাক্রমশালী। মহান আল্লাহ বলেন, “তিনিই আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোনো ইলাহ বা তিনিই উপাস্য নেই। তিনিই অধিপতি, তিনিই পবিত্র, তিনিই শান্তি, তিনিই নিরাপত্তা বিধায়ক, তিনিই রক্ষক, পরাক্রমশালী, তিনিই প্রবল, তিনিই অতীব মহিমান্বিত। তারা যাকে শরিক স্থির করে আল্লাহ তা হতে পবিত্র, মহান।” (সূরা আল-হাশর, আয়াত ২৩)
মহান আল্লাহর সামনে পুরো সৃষ্টজীব দুর্বল ও অসহায়। সকল ক্ষমতা তাঁর। অহংকার করার অধিকার শুধুমাত্র তাঁরই। তিনিই সবার উপরে ক্ষমতাবান। তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন, সবাই তার মুখাপেক্ষী। তাঁর আদেশ ও ইচ্ছাই চূড়ান্ত । এখানে কেউ হস্তক্ষেপ করতে পারে না। ‘আল্লাহু জাব্বারুন’ গুণে বিশ্বাসী ব্যক্তি সর্বদা নিজেকে ক্ষুদ্র ও দুর্বল মনে করে সবকিছু মহান আল্লাহর ইচ্ছার ওপর ছেড়ে দেয়।
আল্লাহু সামাদুন : সামাদ অর্থ অমুখাপেক্ষী, চিরন্তন, অবিনশ্বর ইত্যাদি । আল্লাহ সামাদুন অর্থ আল্লাহ অমুখাপেক্ষী । অর্থাৎ মহান আল্লাহ স্বয়ংসম্পূর্ণ। তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন। সবাই তাঁর মুখাপেক্ষী। মহান আল্লাহর কোনোকিছুর প্রয়োজন নেই। বরং সবার প্রয়োজন তাঁর নিকট। তিনি মানুষের ইবাদাত, বন্দেগি, তাসবিহ, তাহলিল ইত্যাদি কিছুরই মুখাপেক্ষী নন বরং মানুষ নিজেদের কল্যাণেই আল্লাহর ইবাদাত করার মুখাপেক্ষী ।
মহান আল্লাহ সবকিছু থেকেই অমুখাপেক্ষী। তাঁর আহার, নিদ্রা, বিশ্রাম, সম্পদ কিছুরই প্রয়োজন নেই। বরং মানুষের নিজেদের টিকিয়ে রাখার জন্য জন্ম, মৃত্যু, বেড়ে ওঠা, পানাহার, সুস্থতা ইত্যাদির জন্য মহান আল্লাহর মুখাপেক্ষী। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ তা’আলা বলেন, “আল্লাহ কারও মুখাপেক্ষী নন, সকলেই তাঁর মুখাপেক্ষী।” (সূরা আল-ইখলাস, আয়াত ২)
রিসালাতে বিশ্বাস বা নবি-রাসুলগণের প্রতি ইমান
আল্লাহ তা’আলার পবিত্র বাণী মানুষের নিকট পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্বকে রিসালাত বলা হয় । আর যিনি এ দায়িত্ব পালন করেন তাঁকে বলা হয় রাসুল। ইসলামি জীবনদর্শনে রিসালাত বা রাসুলগণের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা অপরিহার্য। বস্তুত রিসালাতে বিশ্বাস না করলে কেউ মুমিন হতে পারে না। কেননা মানুষের জ্ঞান সীমাবদ্ধ।
এ সীমাবদ্ধ বা স্বল্প জ্ঞান দ্বারা অনন্ত, অসীম আল্লাহ তা’আলা পূর্ণ পরিচয় লাভ করা সম্ভব নয়। তাই নবি-রাসুলগণ মানুষের নিকট আল্লাহর পরিচয় তুলে ধরেছেন। তাঁর পূর্ণাঙ্গ ক্ষমতা ও গুণাবলির বর্ণনা প্রদান করেছেন । তাঁরা ইহকালীন ও পরকালীন কল্যাণের জন্য আল্লাহ তা’আলা প্রদত্ত জীবনবিধান ও দিকনির্দেশনা নিয়ে এসেছেন । সুতরাং নবি-রাসুলগণের এ সমস্ত সংবাদ বা রিসালাতকে বিশ্বাস করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।
আরো দেখুন
বরিশাল ইতিহাস ঐতিহ্য
বরিশাল ইতিহাস ঐতিহ্য ।। বরিশাল বাংলাদেশের একটি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী অঞ্চল। এর ইতিহাস ও সংস্কৃতি দীর্ঘ এবং সমৃদ্ধ। বরিশালকে বলা...
ফ্রী শিক্ষামূলক ভিডিও মেকার,শিক্ষামূলক ভিডিও কিভাবে করা যায়
ফ্রী শিক্ষামূলক ভিডিও মেকার,শিক্ষামূলক ভিডিও কিভাবে করা যায়।। শিক্ষামূলক ভিডিও তৈরি করতে কিছু ধাপ অনুসরণ করা প্রয়োজন। এখানে কিছু ধাপ...
দাঁত ও দাঁতের মাড়ি সুস্থ রাখতে চাইলে যেসব কাজ গুলো করা জরুরী
প্রতিটি মানুষের সকল মন্ত্রের মূল চাবিকাঠী স্বাস্থ্য! স্বাস্থ্য ভালো থাকলে মন ভালো থাকে, কাজের অগ্রগতিও ভাড়ে, স্বাস্থ্য ভালো আপনার সব...
শান্তিগঞ্জের বগুলারকাড়া গ্রামের স্কুল মাঠে কাবাডি খেলা
শান্তিগঞ্জের বগুলারকাড়া গ্রামের স্কুল মাঠে কাবাডি খেলা।। সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি।। গ্রামবাংলার প্রাচীনতম ঐতিহ্য বাংলাদেশের জাতীয় খেলা কাবাডি(হা ডু ডু) খেলার ঐতিহ্য...
ইসলামের সাতটি মৌলিক বিষয়ের একটি হলো রাসুলগণের প্রতি ইমান। এক্ষেত্রে সকল নবি ও রাসুলের প্রতি ইমান আনতে হবে। নইলে কেউ মুমিন হতে পারবে না। তাদের মধ্যে কাউকে বিশ্বাস আবার কাউকে অবিশ্বাস করা যাবে না। সবাইকে যথাযথ সম্মান দিতে হবে। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন, তারাই মুমিন যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনে এবং কোনোরূপ সন্দেহ পোষণ করে না। (সূরা আল-হুজুরাত : ১৫)
শয়তান সবসময় মানুষকে কুপথে পরিচালিত করার চেষ্টায় নিয়োজিত থাকে। তাই পথহারা মানুষকে সঠিক পথে নিয়ে আসা, সরল পথ দেখানো, অন্ধকার থেকে আলোতে নিয়ে আসা এবং আল্লাহর বিধিবিধান মেনে চলার প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য নবি- রাসুল প্রেরণ অত্যন্ত প্রয়োজন। এজন্য মহান আল্লাহ হযরত আদম (আ.) থেকে মহানবি হযরত মুহাম্মদ (সা.) পর্যন্ত অসংখ্য
নবি-রাসুল প্রেরণ করেছেন ।
নবি-রাসুলগণ আল্লাহর প্রেরিত বান্দা এবং মানবজাতির মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ। তাঁরা প্রত্যেকেই ছিলেন সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী। তাঁরা ছিলেন নিষ্পাপ, নির্লোভ, দুনিয়াবিমুখ, মিষ্টভাষী, নম্র, ভদ্র, বিনয়ী, ধৈর্যশীল, ক্ষমাশীল, সহনশীল, সৎকর্মশীল আল্লাহর ওপর নির্ভরশীল, পরোপকারী, সত্যবাদী, ওয়াদা পূরণকারী, আমানতদার । মহান আল্লাহ বলেন, অবশ্যই তাঁরা ছিলেন আমার মনোনীত উত্তম বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত। (সূরা সোয়াদ, আয়াত : ৪৭)
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হন। নিয়মিত শিক্ষামূলক ভিডিও আপলোড করা হচ্ছে।
মানবজাতিকে হেদায়েতের জন্য আল্লাহ অসংখ্য নবি-রাসুল প্রেরণ করেছেন। তাঁরা আল্লাহর নিকট থেকে ওহির মাধ্যমে তাঁর বাণী লাভ করতেন। তাঁরা ছিলেন সত্য ও সঠিক জ্ঞানের অধিকারী ও উত্তম চরিত্রের ধারক। কাজেই তাদের অনুসরণ করা আমাদের একান্ত কর্তব্য। নইলে আমরা পরকালে সফলতা অর্জন করতে পারব না।
এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন, যারা আল্লাহ এবং তাঁর রাসুলের আনুগত্য করে তারা অবশ্যই মহাসাফল্য অর্জন করবে। (সূরা আল-আহযাব, আয়াত : ৭১) নবি-রাসুলগণ সবাই ছিলেন বিশেষ সম্মান ও মর্যাদার অধিকারী। তাদের মধ্যে আবার কাউকে কাউকে মহান আল্লাহর বিশেষ মর্যাদা প্রদান করেছিলেন । যেমন মহানবি (সা.) ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ রাসুল। হযরত ইবরাহিম (আ.) ছিলেন আল্লাহর বন্ধু। হযরত মুসা (আ.) ছিলেন আল্লাহর সাথে কথোপকথনকারী।
হযরত সুলাইমান ছিলেন সারা বিশ্বের রাজত্বের অধিকারী। হযরত ঈসা (আ.) ছিলেন ‘আল্লাহর রুহ’ উপাধিপ্রাপ্ত । তিনি লাভ করেছিলেন মৃতকে জীবিত করার ক্ষমতা। মেরাজের রাতে আমাদের প্রিয় নবির সাথে আল্লাহ কথা বলেছিলেন। তিনি ছিলেন মহান চরিত্রের অধিকারী এবং বিশ্বজগতের জন্য রহমতস্বরূপ। কিয়ামতের দিন তিনিই সর্বপ্রথম সুপারিশ করার মর্যাদা লাভ করবেন ।
নবি-রাসুলগণের মুজিযা
মুজিযা হলো অলৌকিক ঘটনা বা মানুষের কল্পনার বাইরে এবং যা বাস্তবে ঘটা অসম্ভব। নবি-রাসুলগণকে তাদের নবুয়তের পক্ষে প্রমাণ হিসেবে মহান আল্লাহ মুজিযা প্রদান করেছেন। যেমন হযরত মুসা (আ.)-এর মুজিযা ছিল লাঠি যা মাটিতে রাখলে সাপে পরিণত হতো। হযরত ঈসা (আ.) মৃত ব্যক্তিতে জীবিত করতে পারতেন, অন্ধকে দৃষ্টি দিতে পারতেন।
মাটি দিয়ে পাখি বানিয়ে ফুঁ দিলে তা জীবিত হয়ে উড়ে যেত। আমাদের মহানবি হযরত মুহাম্মদ (সা.) চাঁদকে দ্বিখণ্ডিত করেছিলেন, আল্লাহর সাথে মেরাজে সাক্ষাৎ করেছিলেন। এসব কিছুই হয়েছিল আল্লাহর কুদরতে। তাঁদের নিজের ক্ষমতায় নয়।
নবি-রাসুলের পার্থক্য
নবি-রাসুলের পার্থক্য হলো আল্লাহ যাকে নতুন শরিয়ত বা আসমানি কিতাব দেন তিনি রাসুল । আর যাকে নতুন কিতাব না দিয়ে তাঁর পূর্বের রাসুলের শরিয়ত বা কিতাব প্রচারের দায়িত্ব দিয়ে পাঠান তাঁকে নবি বলে।
প্রত্যেক রাসুলই নবি কিন্তু প্রত্যেক নবি রাসুল নন । নবুয়তের ধারাবাহিকতায় হযরত আদম (আ.) ছিলেন সর্বপ্রথম নবি এবং মহানবি হযরত মুহাম্মদ ছিলেন সর্বশেষ নবি নবি-রাসুলের সংখ্যা ১ লাখ ২৪ হাজার।
তাঁদের মধ্যে তিনশ তেরো বা অন্য বর্ণনায় তিনশ পনেরো জন ছিলেন রাসুল। পবিত্র কুরআনে মাত্র পঁচিশ জন নবি-রাসুলের নাম বর্ণিত হয়েছে। নবি-রাসুলদের বিশ্বাস করা ইমানের অঙ্গ ।
খতমে নবুওয়াত
খতমে নবুওয়াত অর্থ নবুওয়াতের শেষ বা সমাপ্তি। নবি-রাসুলগণের আগমনের ক্রমধারা শেষ হওয়াকেই খতমে নবুওয়াত বলে। আমাদের প্রিয় নবি হযরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন সর্বশেষ নবি ও রাসুল। তার পরে আর কোনো নবি-রাসুল আসবেন না।
মহানবি (সা.) ছিলেন কিয়ামত পর্যন্ত সারা বিশ্বের সমগ্র মানুষের নবি। তাঁর আগের নবি-রাসুলগণ ছিলেন বিশেষ গোত্র, বিশেষ দেশ এবং নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নবি। কিন্তু মহানবি (সা.) হলেন বিশ্ব জাহানের নবি। কিয়ামত পর্যন্ত তাঁর পরে আর কোনো নবি আসবেন না ।
মহানবি (সা.)-কে সর্বশেষ নবি হিসেবে বিশ্বাস করা ইমানের অঙ্গ। কেউ এটি অস্বীকার করলে তার ইমান থাকবে না। পবিত্র কুরআন-হাদিসে এর অনেক প্রমাণ রয়েছে।
মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেছেন, “মুহাম্মদ তোমাদের কোনো পুরুষের পিতা নন; বরং তিনি আল্লাহর রাসুল এবং সর্বশেষ নবি। (সূরা আহযাব, আয়াত : 80 )
মহানবি (সা.) বলেন, “আমিই শেষ নবি, আমার পর আর কোনো নবি নেই।” (তিরমিযি) মহানবি (সা.) অন্য হাদিসে বলেছেন, “রিসালাত ও নবুওয়াতের ধারা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমার পর কোনো নবি ও রাসুল আসবে না।” (তিরমিযি)
৮ম শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা বই ২০২৪ | Class 8 Islam Shikkha | অধ্যায় ১ আকাইদ
এক নবির পর অন্য নবি আসার পিছনে কতকগুলো যৌক্তিক কারণ থাকে। যেমন পূর্বের নবির শিক্ষা বিশেষ কোনো সম্প্রদায় বা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য হলে, পূর্বের নবির শিক্ষায় নতুন কিছু সংযোজন-বিয়োজন প্রয়োজন হলে এবং পূর্বের নবির শিক্ষা বিলুপ্ত হলে নতুন নবির আগমনের প্রয়োজন হয়।
কিন্তু মহানবি (সা.)-এর ক্ষেত্রে বর্ণিত কারণগুলো প্রযোজ্য নয়। কারণ তিনি বিশেষ কোনো গোত্র বা সময়ের জন্য আসেননি। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন, “আমি তো আপনাকে সমগ্র মানবজাতির জন্য সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করেছি।” (সূরা সাবা, আয়াত : ২৮) এ ছাড়াও মহান আল্লাহ রাসুল (সা.)-এর মাধ্যমে ইসলামকে পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন। কাজেই যারা এরপরও নবুওয়াতের দাবি করবে তারা মিথ্যুক, ভণ্ড ও প্রতারক ।
ঈসা (আ.) ও ইমাম মাহদি (আ.)-এর আগমন
একসময় এ মহাবিশ্ব ধ্বংস হয়ে যাবে। এটিকে বলে কিয়ামত । কিয়ামতের পূর্বে দশটি বড়ো আলামত বা নিদর্শন দেখা দিবে। এর মধ্যে একটি হলো ইমাম মাহদি (আ.) ও ঈসা (আ.)-এর আগমন ।
ইমাম মাহদির প্রকৃত নাম হবে মুহাম্মদ এবং পিতার নাম হবে আবদুল্লাহ । তিনি হযরত হাসান (রা.)-এর বংশধর হবেন। পৃথিবী যখন যুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন, যুদ্ধবিগ্রহ, হিংসা-হানাহানিতে ভরে যাবে তখন ইমাম মাহদি মানুষের প্রত্যাশিত ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হবেন ।
যে বছর রমযান মাসের প্রথমদিকে সূর্য গ্রহণ এবং শেষ দিকে চন্দ্রগ্রহণের ঘটনা ঘটবে সে বছর রমযান মাসে তিনি পবিত্র কাবায় তওয়াফরত অবস্থায় প্রকাশ পাবেন। মুসলমানগণ তাঁকে চিনতে পেরে তাঁর হাতে বায়আত গ্রহণ করবেন । তিনি মুসলমানদের নেতৃত্ব গ্রহণ করবেন এবং পৃথিবী থেকে যুলুম-নির্যাতন দূর করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবেন ।
ইমাম মাহদির আগমনের সাত বছর পর দাজ্জালের আবির্ভাব ঘটবে । দাজ্জাল হলো প্রচুর ক্ষমতাশালী আল্লাহর অবাধ্য একজন লোক। সে এবং তার অনুসারীরা মুসলমানদের ওপর চরম অত্যাচার ও নির্যাতন করবে। এমতাবস্থায় হযরত ঈসা (আ.) মহানবি (সা.)-এর উম্মত হিসেবে পৃথিবীতে আগমন করবেন।
ইমাম মাহদি এবং হযরত ঈসা (আ.) মিলে দাজ্জাল ও তার বাহিনীকে ধ্বংস করে শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনবেন এবং বিশ্বের সর্বত্র ইসলামি হুকুমাত প্রতিষ্ঠা করবেন। এর কিছুকাল পর ইমাম মাহদি ইন্তেকাল করবেন এবং হযরত ঈসা (আ.) রাজ্য পরিচালনা করবেন।
তিনি চল্লিশ বছর পর্যন্ত দুনিয়াতে থাকবেন । এ সময় মানুষের মাঝে পরম সুখশান্তি বিরাজ করবে। এরপর তিনি ইন্তেকাল করলে রাসুল (সা.)-এর রওযার পাশে তাঁকে সমাহিত করা হবে।
৮ম শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা বই ২০২৪ | Class 8 Islam Shikkha | অধ্যায় ১
আখিরাতের প্রতি ইমান
একজন মানুষকে প্রকৃত মুমিন হতে হলে তাকে অবশ্যই ইমানের সাতটি বিষয়ের ওপর ইমান আনতে হবে। তন্মধ্যে অন্যতম একটি হলো আখিরাতের প্রতি ইমান । আখিরাতের কয়েকটি স্তর আছে। যেমন— কবর, কিয়ামত, হাশর, পুলসিরাত ইত্যাদি। কিয়ামত : কিয়ামত বলতে মহাপ্রলয়কে বোঝায়, যা অবশ্যই সংঘটিত হবে।
তবে এর নির্দিষ্ট সময় একমাত্র আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ জানে না। মানুষ তখন চরম পাপাচারে নিমজ্জিত হবে এবং আল্লাহকে ডাকার মতো কেউ থাকবে না তখন মহান আল্লাহর নির্দেশে হযরত ইসরাফিল (আ.) শিঙ্গায় ফুঁ দেওয়ার সাথে সাথেই কিয়ামত বা মহাপ্রলয় সংঘটিত হবে। এদিন ভয়াবহ দৃশ্যের অবতারণা ঘটবে।
আসমান, জমিন, গ্রহ, নক্ষত্র সবকিছু ধ্বংস হয়ে তুলার মতো উড়তে থাকবে। মানুষ ভয়ে ও আতঙ্কে চারদিকে দৌড়াদৌড়ি করতে থাকবে। সমুদ্রে আগুন জ্বলবে। আকাশ গলিত তামার ন্যায় হবে। চাঁদ, সুরুজ, নক্ষত্ররাজি কাগজের মতো গুটিয়ে নেওয়া হবে। এভাবে একসময় আল্লাহ ব্যতীত সবকিছুই ধ্বংস হয়ে যাবে।
এরপর ইসরাফিল (আ.) দ্বিতীয়বার শিঙ্গায় ফুঁ দিলে সকল মানুষ যে যেখানে আছে সেখান থেকে জীবিত হয়ে উঠবে এবং সবাই হাশরের মাঠে বিচারের জন্য একত্রিত হবে।
হাশর : হাশরের ময়দানে মানুষের আমলনামা তাদের সামনে পেশ করা হবে। এদিন হবে ভয়াবহ এক আতঙ্কের দিন। এদিন মানুষ তাদের পিতা-মাতা, স্ত্রী-সন্তান কাউকে চিনবে না। এমনকি নিজে নারী না পুরুষ সেটাও বুঝতে পারবে না।
এদিনের একদিন হবে দুনিয়ার পঞ্চাশ হাজার বছরের সমান । মানুষ বিক্ষিপ্ত পঙ্গপালের ন্যায় আতঙ্কে চারদিক ছুটাছুটি করতে থাকবে। এদিন মহান আল্লাহ নিজেকে প্রকাশ করবেন এবং হাশরের ময়দানে আরশে অবস্থান করবেন।
জিবরাইল (আ.)সহ ফেরেশতাগণ সারিবদ্ধভাবে দণ্ডায়মান হবেন। আল্লাহর নেককার বান্দাগণ আরশের ছায়ায় আশ্রয় থাকবেন। তাদের কোনো কষ্ট থাকবে না। সূর্য মাথার উপর অবস্থান করবে।
নেককারদের আমলনামা তাদের ডান হাতে দেওয়া হবে। আর পাপীদের আমলনামা তাদের বাম হাতে দেওয়া হবে। তারা নিজেদের কৃতকর্মের জন্য আফসোস করবে। দুনিয়াতে আবার ফেরত পাঠানোর জন্য আল্লাহর নিকট অনুরোধ করবে।
সবাইকে পুলসিরাত পার হতে হবে। এটি একটি পুল; যা চুলের চেয়ে চিকন এবং তরবারির চেয়ে ধারালো। এর নিচে থাকবে জাহান্নাম । মুমিনরা সহজেই এটি পার হয়ে যাবে, আর কাফিররা নিচে পড়ে যাবে।
এদিন মুমিন বান্দারা খুশি মনে জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং কাফিররা জাহান্নামে যেতে না চাইলেও তাদের টেনেহেঁচড়ে জাহান্নামে নেওয়া হবে। পরকালে বিশ্বাস করা ইমানের অঙ্গ। তাই আমাদের এতে অবশ্যই বিশ্বাস রাখতে হবে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।