প্রয়োজন বুঝে যোগাযোগ করি | শ্রেণী ৮ম | বাংলা | অধ্যায় ১ | সমাধান ৫ : অষ্টম শ্রেণীর বাংলা ১ম পত্রের প্রথম অধ্যায়টি হতে গুরুত্বপূর্ণ সব সমাধানগুলো গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন। অতএব সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
৬. এ গল্পের চরিত্রগুলোকে যেভাবে একে অপরের সাথে কথা বলতে দেখা গেছে বাস্তব জীবনে যোগাযোগের সময়ে আমরা কি এভাবেই বলি, নাকি ভিন্নভাবে বলি?
নমুনা উত্তর : এ গল্পের চরিত্রগুলোকে যেভাবে একে অপরের সাথে কথা বলতে দেখা গেছে বাস্তব জীবনে যোগাযোগের সময়ে আমরা এভাবেই কথা বলে থাকি ।
কাজের পারদর্শিতার মাত্রা নির্ণয়:
শিখনযোগ্যতা | পারদর্শিতা সূচক(PI) | পারদর্শিতার মাত্রা |
১.৮.১ পরিবেশ, পরিস্থিতিকে বিবেচনায় নিয়ে ব্যক্তির আগ্রহ, চাহিদা অনুযায়ী প্রসঙ্গের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থেকে ভাববিনিময়মূলক ভাষায় যোগাযোগ করতে পারা | ১.৮.১.৩ প্রসঙ্গের মধ্যে থেকে ভাববিনিময়মূলক ভাষায় যোগাযোগ করতে পারছে | D O Δ |
কাজ-৬ কার্যকর উপায়ে যোগাযোগ করতে হয় কীভাবে? ব্যাখ্যা কর ।
নমুনা উত্তর : মানুষে মানুষে যোগাযোগ বিভিন্নভাবে হয়ে থাকে। তবে যেকোনো যোগাযোগের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি বিবেচনায় নিতে হয়। যেমন— কারও আনন্দের সময়ে মানুষ যেভাবে তার সাথে কথা বলে, দুঃখের সময়ে সেভাবে বলে না। আবার বয়স ও সম্পর্ক বিচারেও যোগাযোগে ভিন্নতা থাকতে হয়। এছাড়া ক্ষেত্রভেদে উদ্দেশ্য অনুযায়ী উপায় খুঁজতে হয়।
কোনো স্কুলপড়ুয়া ছেলেমেয়ে বন্ধুর দাওয়াতে অংশগ্রহণ করতে চাইলে বাবা-মায়ের অনুমতির প্রয়োজন হবে। সেক্ষেত্রে তাকে দাওয়াতের বিষয়টি এমনভাবে উপস্থাপন করতে হবে যেন তার বাবা-মা অনুমতি দেন। যেকোনো ধরনের পরিস্থিতিতে কার্যকর যোগাযোগের জন্য দুটি দক্ষতা প্রয়োজন হয় । ১. নিজের চিন্তা, অনুভূতি ও চাহিদা দৃঢ়প্রত্যয়ীভাবে প্রকাশ করতে পারা। ২. অন্যের চিন্তা, অনুভূতি ও চাহিদা বোঝার চেষ্টা করা । এগুলোর সম্মিলনেই কার্যকর যোগাযোগ সম্ভব হয়।
সেশন 8 • “অপারেশন কদমতলী’ গল্প নীরবে পাঠ, গল্পের শব্দার্থ ও বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা।
নমুনা উত্তর : ‘অপারেশন কদমতলী’ গল্পটি কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন রচিত একটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক রচনা। এখানে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলার দামাল ছেলেদের সাহসিকতার পরিচয় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। গল্পে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অত্যাচারের কথা বলা হয়েছে। তাদের অত্যাচারে মানুষের স্বাভাবিক জীবন বিপর্যস্ত হয়েছে।
আরো দেখুন
দাঁত ও দাঁতের মাড়ি সুস্থ রাখতে চাইলে যেসব কাজ গুলো করা জরুরী
প্রতিটি মানুষের সকল মন্ত্রের মূল চাবিকাঠী স্বাস্থ্য! স্বাস্থ্য ভালো থাকলে মন ভালো থাকে, কাজের অগ্রগতিও ভাড়ে, স্বাস্থ্য ভালো আপনার সব...
শান্তিগঞ্জের বগুলারকাড়া গ্রামের স্কুল মাঠে কাবাডি খেলা
শান্তিগঞ্জের বগুলারকাড়া গ্রামের স্কুল মাঠে কাবাডি খেলা।। সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি।। গ্রামবাংলার প্রাচীনতম ঐতিহ্য বাংলাদেশের জাতীয় খেলা কাবাডি(হা ডু ডু) খেলার ঐতিহ্য...
একজন মানবিক সমাজসেবক সাজ্জাদ পারভেজ
একজন মানবিক সমাজসেবক সাজ্জাদ পারভেজ ॥ গেস্ট ব্লগিং॥ নিজের পরিচিতি নয়, যার কাজ শুধু সামাজিক কাজের মধ্যে নিজেকে লুকিয়ে রাখা।...
নতুন করিকুলাম || অষ্টম শ্রেণির বাংলা অধ্যায় ২ নজরে ‘রেলের পথ
নতুন করিকুলাম || অষ্টম শ্রেণির বাংলা অধ্যায় ২ বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর 2024 | সমাধান : অষ্টম শ্রেণীর বাংলা ১ম...
থমথমে অবস্থা বিরাজ করেছে। ভয়, আতঙ্ক আর অনিশ্চয়তায় কেটেছে তখনকার প্রতিটি দিন। কিন্তু বীর বাঙালি সেই অত্যাচার মুখ বুজে সহ্য করেনি। তারা প্রতিবাদ করেছে, রুখে দাঁড়িয়েছে। অত্যাচারী শাসকগোষ্ঠীকে সমুচিত জবাব দিয়ে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে।
গল্পটিতে রাজধানীর কদমতলী এলাকায় অপারেশনের কথা বলা হয়েছে। মুক্তিবাহিনী কৌশলে অসীম সাহসের সাথে অপারেশনে অংশ নিয়ে সফল হয়েছে। এ ঘটনায় সাড়া পড়েছে চারদিকে । রাক্ষসের ভূমিকায় অবতীর্ণ পাকসেনাদের যারা খতম করার লড়াইয়ে নেমেছে, তাদের বীরত্ব দেখেছে বিশ্ববাসী। স্বাধীনতার এই সংগ্রামে কিশোরেরাও যে অংশ নিয়েছে তা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে গল্পটিতে ।
কাজ-৮ ‘অপারেশন কদমতলী’ গল্পটি নিজের ভাষায় লেখ ।
নমুনা উত্তর : ‘অপারেশন কদমতলী’ গল্পটির সূচনা হয়েছে আন্না, মান্না ও চন্দনের গল্প শোনার মধ্য দিয়ে। তারা তাদের দাদির কাছে রূপকথার গল্প শুনছিল। সহস্রদল চম্পকদলের গল্প। গল্পে সহস্রদল চম্পকদলের জাগরণের কথা বলতে গিয়ে জয় বাংলা রেডিওর জেগে ওঠার কথাও বলেন দাদি। কেননা দাদির মধ্যে স্বাধীনতার চেতনা সঞ্চারিত হয়েছে।
শুধু দাদি নয়, এই চেতনা প্রবাহিত হয়েছে স্বাধীনতা প্রত্যাশী প্রতিটি বাঙালির মনে। হবেই বা না কেন? নিজ দেশে থেকেও তারা আজ পরাধীন। তাদের পরিচিত পরিবেশ আজ আর নেই। চারদিকে থমথমে অবস্থা। রাক্ষসরূপী পাকসেনারা যা খুশি তা-ই করে বেড়ায়। লড়াই শুরু হতে না হতেই কথকের ছোটো চাচাকে হাত বেঁধে জিপে করে নিয়ে গিয়েছে।
সে আর ফিরে আসেনি। শুধু কথকের ছোটো চাচাই নয়; নান্টুর চাচা, দিলুর বড়ো ভাই, ননির বাবাসহ অনেকেই হারিয়ে যায় রাক্ষসের পেটে। তবে দাদি এই হারিয়ে যাওয়া মানুষগুলোর ফিরে আসা প্রত্যাশা করেন । তিনি মুক্তিসেনাদের গেরিলা যুদ্ধের কথা বলেন । তার এই কথার প্রসঙ্গেই গল্পে আসে নতুন চমক । জানা যায়, দাদির কাছে গল্প শোনা বালক মান্না আর চন্দনও যুদ্ধে জড়িয়েছে।
কাল তাদের অপারেশন। গল্প শুনতে শুনতে চাপা স্বরে তারা তাদের আগামীকালের পরিকল্পনাও করে নেয় কিছুটা। দাদির গল্প এগিয়ে চলে। সেখানে আবারও জাগে সহস্রদল আর চম্পকদল। আর দাদির মনে জাগে স্বাধীনতার চেতনা। মান্না ও চন্দন কদমতলী অপারেশনের ভাবনায় ডুবে থাকে। তাদের মতো আরও অনেকেই নির্ঘুম রাত কাটায় স্বাধীনতার স্বপ্ন বুনন করে ।
স্বাধীনতার যে শত্রুরা তাদের শান্তি কেড়ে নিয়েছে তাদের ধ্বংস করতে হবে । পাশের বাড়ির খালু, দুশো বিশ নম্বর বাড়ির সানু, মানু, দুলি আপাকে যখন অকারণে বন্দুকের নলের মুখে তুলে নিয়ে যায়, তখন কেউ তার প্রতিবাদ করতে পারেনি। কিন্তু এই অত্যাচার বাংলার বীর সন্তানেরা আর সহ্য করতে পারেনি। তারা প্রতিশোধের নেশায় মত্ত হয়ে ওঠে। বীর সেনাদের দল ভারী হতে থাকে।
চন্দনের মতো অল্পবয়সী বালকেরাও মুক্তিসেনাদের সাথে মিলে দেশরক্ষায় অংশ নেয়। তারই প্রমাণ কদমতলী অপারেশন। চন্দনের দায়িত্ব পড়ে কদমতলী ফাঁড়ির দিকে বিলের বিশেষ এক জায়গায় দাঁড়িয়ে মুক্তিবাহিনীর ভাইদের অপারেশনের সঠিক সময়ে সংকেত দেখানো। তবে কিছুটা দেরিতে হলেও এই অপারেশনের খবর খানসেনারা জেনে ফেলে দেশি মিরজাফরদের কাছ থেকে।
এদিকে যথাসময়ে পাকুড়পাছের পাতার আড়াল থেকে নিশান দেখে মুক্তিসেনারা তিন তিনটি নৌকা নিয়ে ফাঁড়ি আক্রমণ করে। শোনা যায় বন্দুক’ আর রাইফেলের শব্দ। ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারদিক। তার মধ্য থেকে ভেসে আসে নানা রকম কাতর শব্দ। পাকুড়গাছ থেকে নেমে চন্দন দৌড়াতে থাকে আর এই খবর পৌঁছাতে থাকে সকলের কাছে।
কদমতলী, মাদারটেক, মুগদাপাড়া, সবুজবাগের রাস্তায় ছুটতে ছুটতে সে তার মুক্তি ভাইদের বীরত্বগাথা শোনায়। তার সাথে দলে দলে যোগ দেয় সমবয়সী ছেলের দল। কদমতলী থেকে আহত-নিহত খানসেনাদের আর বিশ্বাসঘাতক রাজাকারদের ট্রাকে করে দ্রুত সরানো হয়। অন্যদিকে মুক্তিসেনারা কৌশলে সরে পড়ে। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও খানসেনারা তাদের হদিস পায় না। এভাবেই সফল হয় কদমতলী অপারেশন।
কাজ-৯] ‘অপারেশন কদমতলী’ গল্পটি পড়ে কতটা বুঝতে পারলে তা যাচাই করার জন্য নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও ।
১. এই গল্পটি বাংলাদেশের ইতিহাসের কোন সময়ের সাথে সম্পর্কিত?
নমুনা উত্তর : এ গল্পটি বাংলাদেশের ইতিহাসের মুক্তিযুদ্ধের সময়ের সাথে সম্পর্কিত। যা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে শুরু হয়ে চলে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মুক্তিযুদ্ধের সময়ের শেষদিকের গল্প এটি। অপারেশন কদমতলী শুরু হয়েছিল ১৯৭১ সালের ১০ই সেপ্টেম্বর ।
২. এ ধরনের কোন গল্প আগে কখনো পড়েছো? পড়লে সেটা কী নিয়ে এবং কার লেখ?
নমুনাউত্তর : এ ধরনের গল্প আমি আগেও পড়েছি। সেই গল্পটিও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখা। গল্পের নাম ‘অপেক্ষা’, লেখক সেলিনা হোসেন। আমি আরেকটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গল্প পড়েছি। গল্পটির নাম ‘তোলপাড়’, লিখেছেন শওকত ওসমান ।
৩. গল্পের যেকোনো একটি চরিত্র সম্পর্কে তোমার মতামত দাও?
নমুনা উত্তর : অপারেশন কদমতলী গল্পে চন্দন চরিত্রটি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। চরিত্রটি একটি কিশোরের। গল্পে কিশোরটি খুব সাহসী এবং চালাক। সে একজন শিশু মুক্তিযোদ্ধা। কদমতলী থেকে হানাদার বাহিনীকে হঠানোর জন্য সে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করে। পাকুড়গাছের মগডাল থেকে সে মুক্তিযোদ্ধাদের সবুজ সংকেত দেখিয়েছিল এবং সেখান থেকে নেমে সেই খবর দৌড়াতে দৌড়াতে বিভিন্ন এলাকায় পৌছে দিয়েছিল । এছাড়া গল্পের মাঝে তার অনেক বুদ্ধিদীপ্ত সংলাপ রয়েছে।
৪. হঠাৎ করে কেন ‘অপারেশন কদমতলী’ গল্পের এলাকার চিত্র পরিবর্তন হয়ে গেল?
নমুনা উত্তর : মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ায় গল্পে হঠাৎ এলাকার চিত্র পরিবর্তন হয়ে গেল। সন্ধ্যে রাতে ক’মাস আগেও গমগম করত রাস্তাঘাট। আন্নার ভাইয়া প্রাইভেট টিউটরের কাছ থেকে পড়ে বাসায় ফিরত। ছোটো চাচা ফিরত র্যাকেট ঘোরাতে ঘোরাতে ব্যাডমিন্টন কোর্ট থেকে। রাস্তার ওপারের দোকানগুলোয় রঙিন বাল্ব জ্বলত, চড়া স্বরে রেডিওর গান বাজত। চায়ের স্টলে গরম চায়ের ধোঁয়ার সঙ্গে গরম কথাবার্তা চলত। শেখ মুজিব, মুক্তিযোদ্ধা, ইয়াহিয়া খান….. নানা রকম গরম আলোচনা। কিন্তু এখন এলাকার অবস্থা ছিল থমথমে। সবখানে জরুরি অবস্থা। সবাই যে যার ঘরে অবস্থান করে। ঘরের ভিতরে থাকলেও চুপিসারে থাকে । কেউ জোরে কথা পর্যন্ত বলে না। ঘরে হারিকেন মিটিমিটি জ্বলে । সবাই চুপি চুপি গল্প করে ।
৫. “বাইরে জরুরি অবস্থা- অন্ধকার” বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
নমুনা উত্তর : “বাইরে জরুরি অবস্থা- অন্ধকার” দ্বারা বাইরের থমথমে পরিবেশ বোঝানো হয়েছে ।
জরুরি অবস্থা থাকার কারণে বাইরে লোকজনের চলাচল কম থাকে। মুক্তিযুদ্ধকালীন জরুরি অবস্থা ছিল আরও ভয়াবহ। সেই ভয়াবহ অবস্থাটিই বোঝানো হয়েছে। সবার মধ্যে ভয় কাজ করত। বাইরে জরুরি অবস্থার ফলে সবার মধ্যে প্রাণচঞ্চলতা কমে যায়। অন্ধকারে যেমন সবকিছুকে থমথমে করে রাখে, আধার করে রাখে তেমনই জরুরি অবস্থার কারণে কেউ ঘর থেকে বের হয় না। ঘরে ঘাপটি মেরে বসে থাকে। এমনকি কথা পর্যন্ত ফিসফিস করে বলে। সবার মধ্যে একটা আতঙ্ক কাজ করে। কেননা খানসেনারা জরুরি অবস্থাকে কেন্দ্র করে বুটের বিশ্রী শব্দ তুলে টহল দিতে থাকে। যখন তখন নিরীহ নারী পুরুষকে তাদের গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় কুর্মিটোলা বন্দিশিবিরে। এই ভীতিকর ও শঙ্কাময় পরিবেশ বোঝাতে বলা হয়েছে, বাইরে জরুরি অবস্থা- অন্ধকার ।
৬. এই গল্পে পাখির ডাক আনন্দের নয় কেন?
নমুনা উত্তর : পাখির ডাক শুনলে, মানুষের মন ভালো হয়ে যায় । মানুষের মন আনন্দিত হয়। কিন্তু এই গল্পে পাখির ডাক আনন্দের নয়। সাধারণত ভোরবেলায় পাখির ডাকে মানুষের ঘুম ভাঙে। কিন্তু এই গল্পে বোমা-গুলির শব্দে পাখিগুলো আতঙ্কিত হয়ে ডাকাডাকি, উড়াউড়ি, চেঁচামেচি শুরু করে। তাই এই গল্পে পাখি ডাকলেই মনে হয় এই বুঝি শত্রুরা গুলি ছুড়বে, এই বুঝি মর্টারের শব্দ বেজে উঠবে। অর্থাৎ পাখির ডাক শুনলেই মানুষের মনে আতঙ্ক চলে আসে। তাই গল্পে পাখির ডাক আনন্দের নয় ।
৭. এ গল্পের কাহিনি তোমার মনে কী ধরনের অনুভূতি তৈরি করে এবং কেন?
নমুনা উত্তর : এ গল্পের কাহিনি আমার মনে দেশপ্রেম সঞ্চার করে। ‘অপারেশন কদমতলী’ গল্পটির কাহিনি প্রথমে আমার মনে কষ্ট ও ক্ষোভ সঞ্চার করে। খান সেনাদের নারকীয় তাণ্ডব আমাকে যন্ত্রণা দিয়েছে ও ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। আর এই ক্ষোভের সাথে সাথে চন্দন ও মান্নার সাহসী ভূমিকা আমার মনে আনন্দ ও সাহস সঞ্চার করেছে। মনে হয়েছে দেশের জন্য সবকিছুবিলিয়ে দেই। মনে হয় প্রতিটি অন্যায়ের প্রতিবাদ করি, প্রত্যেকটি দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলি। পরিণাম কী হবে না হবে সেটাভুলে যাই। কেননা, গল্পে এক সময় ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করেছিল। কিছু মানুষের সাহসিকতায় গল্পের চিত্র পরিবর্তিত হয়ে যায়। সবাই সাহসী হয়ে ওঠে। মুক্তিকামী মানুষ পুলিশ ফাঁড়ি আক্রমণ করে। সবাই জেগে ওঠে, কদমতলী শত্রুমুক্ত করে। তাই এই গল্পের কাহিনি আমার মনে দেশপ্রেম এবং সাহস জাগিয়ে তোলে।
কাজের পারদর্শিতার মাত্রা নির্ণয়:
শিখনযোগ্যতা | পারদর্শিতা সূচক(PI) | পারদর্শিতার মাত্রা |
১.৮.১ পরিবেশ, পরিস্থিতিকে বিবেচনায় নিয়ে ব্যক্তির আগ্রহ, চাহিদা অনুযায়ী প্রসঙ্গের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থেকে ভাববিনিময়মূলক ভাষায় যোগাযোগ করতে পারা | ১.৮.১.৩ প্রসঙ্গের মধ্যে থেকে ভাববিনিময়মূলক ভাষায় যোগাযোগ করতে পারছে | D O Δ |
কাজ-১০ যোগাযোগে প্রাসঙ্গিকতা বলতে কী বোঝায়? এর প্রয়োজন কতখানি? ব্যাখ্যা কর ।
নমুনা উত্তর : ‘প্রাসঙ্গিকতা’ মানে হলো প্রসঙ্গের সঙ্গে সংগতি বা মিল। যে বিষয়টি নিয়ে পারস্পরিক যোগাযোগ স্থাপিত হয় সেটির মধ্যে অন্য কোনো বিষয় বা প্রসঙ্গ না আনাই হলো প্রাসঙ্গিক যোগাযোগ ।
কোনোকিছু নিয়ে কথা বলার সময় সেই বিষয়টির দিকেই বিশেষভাবে নজর দিতে হয়। আর বিষয়ের মধ্য থেকে কথা বলা হলো প্রাসঙ্গিক কথা। এভাবে প্রসঙ্গের মধ্য থেকে যোগাযোগ করতে পারা একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগ্যতা। দুই বা ততোধিক ব্যক্তির আলোচনায় বক্তা ও শ্রোতাকে প্রসঙ্গের মধ্যে থাকতে হয়। অন্যথায় যোগাযোগের উদ্দেশ্য বিফলে যায়। তাই যোগাযোগে প্রাসঙ্গিকতার প্রয়োজন অত্যধিক ।
সেশন ৫
- গল্পের কিছু কথার প্রাসঙ্গিকতা বিশ্লেষণ করা ।
কাজ-১১ | ‘অপারেশন কদমতলী’ গল্পের সাথে বর্তমান প্রজন্মের যোগাযোগ কেমন হতে পারে তা কথোপকথন বা সংলাপের মাধ্যমে তুলে ধর ।
নমুনা উত্তর
হাসান : কেমন আছ, রাজু?
রাজু : ভালো আছি । তুমি কেমন আছ? আর গতকাল আসোনি কেন ?
হাসান : প্রচণ্ড মাথাব্যথা থাকায় আসতে পারিনি। এখন ভালো আছি। বাংলা ক্লাসে কী পড়ানো হয়েছে?
রাজু: আপা ‘অপারেশন কদমতলী’ গল্পটি পড়িয়েছেন ।
হাসান : তাই! খুব ভালো গল্প । এটি আমি নিজেই পড়ে নিয়েছি ।
রানি: তোমরা কী নিয়ে কথা বলছ?
রাজু: আমাদের বাংলা বইয়ের ‘অপারেশন কদমতলী’ গল্পটি নিয়ে কথা বলছি।
হাসান : তোমার কেমন লেগেছে গল্পটি? তুমি তো গতকাল স্কুলে এসেছিলে।
রানি: ভালো তো লাগতেই হবে। এতে আমাদের গৌরবময় অতীত তুলে ধরা হয়েছে।
রাজু: হুম। গল্পটি আমাদের পাঠ্যভুক্ত করে খুব ভালো করেছে। এর মাধ্যমে বর্তমান প্রজন্ম মহান মুক্তিযুদ্ধের কথা আরও ভালোভাবে জানতে পারবে।
হাসান : গল্পটি পড়ার সময় আমি যেন ১৯৭১ সালের সেই দিনগুলোতে ফিরে গিয়েছিলাম।
রানি : সেই সময়ে নিরীহ বাঙালিরা ভয় আর আতঙ্কে কাটালেও মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসী পদক্ষেপে সবার মনে মুক্তির চেতনা কাজ করেছে।
রাজু : গল্প পড়ে অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিশোধস্পৃহা জাগ্রত হয়।
হাসান : এছাড়া এর মাধ্যমে বর্তমান প্রজন্ম স্বাধীনতার চেতনায় উদ্দীপিত হতে পারবে।
রানি : হ্যাঁ, ঠিকই বলেছ। এখন চলো ক্লাসে যাই। কিছুক্ষণের মধ্যেই আপা চলে আসবেন ক্লাসে ।
রাজু : ঠিক আছে। চলো তাহলে ।
কাজ-১২ ‘এখন যেন পুরো মহল্লা রূপকথার সেই রাক্ষসপুরীর মতো হয়ে গেছে।’ তাই কথাটা প্রাসঙ্গিক ।
নমুনা উত্তর : ‘এখন যেন পুরো মহল্লা রূপকথার সেই রাক্ষসপুরীর মতো হয়ে গেছে।’ এ কথাটির মাধ্যমে গল্পে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর তাণ্ডবে দেশের অচলাবস্থাকে নির্দেশ করা হয়েছে। রূপকথার রাক্ষসপুরীতে রাক্ষস যেমন সবাইকে খেয়ে ফেলে, ঠিক তেমনই হানাদার বাহিনীও মহল্লার মানুষকে ধরে নিয়ে হত্যা করছে, নির্যাতন করছে। আর সেজন্যই মহল্লাকে রূপকথার রাক্ষসপুরীর সাথে তুলনা করা হয়েছে।
কাজের পারদর্শিতার মাত্রা নির্ণয়:
শিখনযোগ্যতা | পারদর্শিতা সূচক(PI) | পারদর্শিতার মাত্রা |
১.৮.১ পরিবেশ, পরিস্থিতিকে বিবেচনায় নিয়ে ব্যক্তির আগ্রহ, চাহিদা অনুযায়ী প্রসঙ্গের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থেকে ভাববিনিময়মূলক ভাষায় যোগাযোগ করতে পারা | ১.৮.১.১ পরিবেশ পরিস্থিতি অনুযায়ী যোগাযোগ করতে পারছে | D O Δ |
সেশন ৬ • গল্পের কিছু কথার সর্বনাম ও ক্রিয়ার রূপ পরিবর্তন করা ।
কাজ-১৩] যোগাযোগে মর্যাদাসূচক শব্দ বলতে কী বোঝায়? এর প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ কর।
নমুনা উত্তর : মানুষ যোগাযোগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পারস্পরিক সম্পর্ক বজায় রাখে। একে অপরের নৈকট্য লাভ করতে পারে, প্রয়োজন পূরণ করতে পারে। তবে এ সবকিছুর জন্য ভাষার প্রতি যত্নশীল হওয়া উচিত। যোগাযোগে বাংলা ভাষায় তিন ধরনের সর্বনাম ব্যবহার করা হয়। যেমন- সাধারণ সর্বনাম, মানী সর্বনাম ও ঘনিষ্ঠ সর্বনাম। সাধারণ সর্বনাম বলতে তুমি, তোমার, তোমাকে প্রভৃতিকে বোঝায়। আর এগুলোর মানী সর্বনাম হলো যথাক্রমে আপনি, আপনার, আপনাকে । এছাড়া এগুলোর ঘনিষ্ঠ সর্বনাম হবে তুই, তোর, তোকে। সেই সাথে মর্যাদা অনুযায়ী ক্রিয়ার রূপও তিন ধরনের হয়। সাধারণ ক্রিয়ারূপ, মানী ক্রিয়ারূপ ও ঘনিষ্ঠ ক্রিয়ারূপ। যেমন— সাধারণ সর্বনামে যদি হয় ‘তুমি করো’, মানী সর্বনামে হবে ‘আপনি করুন’ ও ঘনিষ্ঠ সর্বনামে হবে ‘তুই করিস’।
বয়স ও সম্পর্কভেদে সর্বনাম ও ক্রিয়ার রূপভেদ দেখা যায়। যে শব্দ প্রয়োগে ব্যক্তির মর্যাদা প্রকাশ পায়, তাকে মর্যাদাসূচক শব্দ বলে। এক্ষেত্রে বয়োজ্যেষ্ঠ কোনো ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলার সময় ‘আপনি’ সম্বোধন করতে হবে। তবে ব্যক্তি যদি ঘনিষ্ঠ কেউ হয়, তাহলে তাকে তুমিও বলা যেতে পারে। আবার ‘তুই’ শব্দটি তুচ্ছার্থক হলেও ঘনিষ্ঠতা থাকলে এটির প্রয়োগে মর্যাদার হানি হয় না। তাই বয়স ও সম্পর্ক অনুযায়ী যোগাযোগে মর্যাদাসূচক শব্দ ব্যবহার করতে হয়।
যোগাযোগে মর্যাদাসূচক শব্দ ব্যবহার করা খুব প্রয়োজন। এতে পারস্পরিক সম্পর্ক সুন্দর হয়। যোগাযোগের উদ্দেশ্য পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ৷
কাজ-১৪] সম্বোধনের সময় কয় ধরনের সর্বনাম ব্যবহার করা হয়? উদাহরণসহ লেখ। শিখনযোগ্যতা
নমুনা উত্তর : সম্বোধনের ধরন অনুযায়ী তিন ধরনের সর্বনাম ব্যবহার করা হয়। যথা— ক. সাধারণ সর্বনাম, খ. মানী সর্বনাম ও গ. ঘনিষ্ঠ সর্বনাম।
সাধারণ সর্বনাম : তুমি, তোমরা, তোমার, তোমাকে, তোমাদের, সে, তার, তাকে, তারা, তাদের— এগুলো সাধারণ সর্বনাম। সাধারণত ভাই-বোন, প্রিয়জন, বাবা-মা, বন্ধুদের সাধারণ সর্বনামে সম্বোধন করা হয়। যেমন- তুমি কি কাল স্কুলে যাবে?
মানী সর্বনাম : আপনি, আপনার, আপনাকে, আপনারা, আপনাদের, তিনি, তাঁর, তাঁকে, তাঁদের— এগুলো মানী সর্বনাম। শিক্ষক, বয়সে বড়ো আত্মীয়স্বজন, অপরিচিত লোককে মানী সর্বনাম দ্বারা সম্বোধন করা হয়। যেমন- আপনি বরং একটু বিশ্রাম নিন। ঘনিষ্ঠ সর্বনাম : তুই, তোর, তোকে, তোরা, তোদের, ও, ওর, ওকে, ওরা, ওদের এগুলো ঘনিষ্ঠ সর্বনাম। কারও সাথে অতি ঘনিষ্ঠতা থাকলে অথবা কাউকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতে এ ধরনের সর্বনাম ব্যবহার করা হয়। যেমন— তুই আমাদের বাসায় আসিস।
কাজ-১৫ সর্বনামের রূপ অনুযায়ী ক্রিয়ার কী ধরনের পরিবর্তন হয় তা উদাহরণসহ লেখ।
নমুনা উত্তর : সম্বোধন অনুযায়ী সর্বনামের রূপ তিন ধরনের হয়ে থাকে। সর্বনামের রূপ অনুযায়ী ক্রিয়ার রূপেরও পরিবর্তন হয় । যেমন—
‘তুমি কি স্কুলে যাবে?’ এখানে সাধারণ সর্বনাম অনুযায়ী ক্রিয়া হয়েছে ‘যাবে’।
‘তুই কি স্কুলে যাবি?’ এখানে ঘনিষ্ঠ সর্বনাম অনুযায়ী ক্রিয়া হয়েছে ‘যাবি’।
‘আপনি কি কলেজে যাবেন?’ এখানে মানী সর্বনাম অনুযায়ী ক্রিয়া হয়েছে ‘যাবেন’।
কাজ-১৬ মনে কর পরিবারের সবাই মিলে কোনো অনুষ্ঠানে গিয়েছ। সেখানে বিভিন্ন বয়স ও বিভিন্ন সম্পর্কের মানুষ উপস্থিত আছে। সেখানে সম্বোধন অনুযায়ী সর্বনামের রূপ ও ক্রিয়ার রূপের পরিবর্তন দেখিয়ে একটি কথোপকথন তৈরি কর ।
ভাইয়া, অনুষ্ঠান তো শুরু হয়ে গেছে,
তোমরা চলে এসেছ”
নমুনা উত্তর :
আমি : আস্সালামু আলাইকুম । কেমন আছেন মামা?
মামা : ওয়া আলাইকুম আস্সালাম । ভালো আছি, তোমরা চলে এসেছ, ভালো হয়েছে।
মা : হ্যাঁ। আমরা এসেছি ভাইয়া । অনুষ্ঠান তো শুরু হয়ে গেছে দেখছি।
মামা : হ্যাঁ, তোকে তো তাড়াতাড়ি আসতে বলেছিলাম। যাই হোক, আর দেরি করিস না, আগে খেয়ে নে। তারপর বিয়ের কাজ শুরু হবে ।
মা : ঠিক আছে, ভাইজান ।
খালা : তোর শাড়িটা তো অনেক সুন্দর । আমিও এর পরে তোর মতো একটা শাড়ি নেব।
মা : ঠিক আছে, আপা নেবেন । আমিই আপনাকে কিনে দেব।
আমি: আজকে খাবারে দইটা অনেক মজা লেগেছে। তোর কেমন লেগেছে বল তো?
খালাতো ভাই : আমারও ভালো লেগেছে। ভাইয়া, তোমার জুতা কোথা থেকে কিনেছ? সুন্দর হয়েছে।
আমি : এটা আব্বু সিলেট থেকে নিয়ে এসেছেন ।
ফুফু : বাবা, তোমার শার্টটা অনেক সুন্দর হয়েছে।
আমি : ধন্যবাদ ফুফু । ফুফাকে দেখছি না যে! তিনি কোথায়?
ফুফু: তোমার ফুফা একটা জরুরি কাজে আটকে গেছে। একটু পরেই চলে আসবে।
আমি: ভাইয়া, আজ অনুষ্ঠান শেষে কিন্তু আমরা সবাই একসাথে নানাবাড়িতে থাকব ।
মামাতো ভাই : না। আজ আমি পারব না। আমি আজ চলে যাব । তোদের সাথে আবার আগামীকাল যোগ দেব ।
আমি : বাবা, আমি ওদের নিয়ে ওইদিকে ঘুরে আসি?
বাবা :ঠিক আছে, যা ৷
ভাই-বোনেরা :চল ভাই যাই ।
আমি : আচ্ছা চল ।
মা :: এদিকে এখানকার কাজ তো শেষ হলো। রিনিকে বিদায় দিলাম। এবার সবাই চল তোদের নানাবাড়ি যাই ।
আমি: ঠিক আছে, মা। আসছি। একটু অপেক্ষা করো ।
বাবা : ঠিক আছে । তাড়াতাড়ি আসিস।
মামা: তোরা সবাই তাড়াতাড়ি গুছিয়ে নে। চল বাসায় যাই। পরশুই তো বউভাত । কত কাজ! সময় মাত্র একদিন ।
মা : চিন্তা করবেন না ভাইয়া, আমরা সবাই সব কাজে সহযোগিতা করব ইনশাআল্লাহ ।
কাজের পারদর্শিতার মাত্রা নির্ণয়:
শিখনযোগ্যতা | পারদর্শিতা সূচক(PI) | পারদর্শিতার মাত্রা |
১.৮.১ পরিবেশ, পরিস্থিতিকে বিবেচনায় নিয়ে ব্যক্তির আগ্রহ, চাহিদা অনুযায়ী প্রসঙ্গের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থেকে ভাববিনিময়মূলক ভাষায় যোগাযোগ করতে পারা | ১.৮.১.১ পরিবেশ পরিস্থিতি অনুযায়ী যোগাযোগ করতে পারছে | D O Δ |
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।