পঞ্চম শ্রেণি | বাংলা | পাঠ্যবই বহির্ভূত অনুচ্ছেদ ২২-২৫ | PDF: পঞ্চম শ্রেণির বাংলা বিষয়টির ব্যকরণ অংশ হতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদ রচনা সমুহ নিয়ে আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে। অতএব সম্পূর্ণ পোস্টটি মনযোগ সহকারে পড়ুন।
অনুচ্ছেদ-২২
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৫, ৬ ও ৭নং ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
১৯৭১ সালের পঁচিশে মার্চ পাকিস্তানি হানাদারেরা রাতের অন্ধকারে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর অস্ত্র হাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তারা নির্বিচারে নির্যাতন-ধর্ষণ-হত্যা চালাতে থাকে। এ কাজে তাদের সহায়তা করে আলবদর, আল-শামস ও রাজাকারের দল। গ্রামে-গঞ্জে-শহরে কৃষক-শ্রমিক, ছাত্র-পুলিশ-আনসার সবাই মিলে শত্রæর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। মোট এগারোটি সেক্টরে ভাগ. হয়ে সারা দেশে ব্যাপক. যুদ্ধ হয়। ’
৪ঠা ডিসেম্বর থেকে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী একসঙ্গে আক্রমণ শুরু করে। নিশ্চিত পরাজয় বুঝতে পেরে ১৪ই ডিসেম্বর তারা এদেশের অসংখ্য বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করে। অবশেষে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পাকবাহিনী রেসকোর্স ময়দানে আত্মসমর্পণ করে। ত্রিশ লক্ষ জীবনের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি প্রাণের স্বাধীনতা।
আরো দেখুন
সঠিক. উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
০১। আলবদর, আল-শামস, রাজাকারদের কোনটি বলা যায়?
ক. দেশপ্রেমিক. খ. মুক্তিযোদ্ধা গ. বুদ্ধিজীবী ঘ. বিশ্বাসঘাতক
০২। কোন দিনটিতে আমরা উল্লাস করতে পারি?
ক. ২১এ ফেব্রæয়ারি খ. ২এ মার্চ গ. ১৪ই ডিসেম্বর ঘ. ১৬ই ডিসেম্বর
০৩। অনুচ্ছেদে কী প্রকাশিত হয়েছে?
ক. ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস
খ. মুক্তিযুদ্ধের বর্ণনা
গ. স্বাধীনতা লাভের আনন্দ
ঘ. বীরশ্রেষ্ঠদের বীরগাথা
০৪। পাক. হানাদাররা ১৪ই ডিসেম্বর হত্যা করেছিল
ক. অসংখ্য বুদ্ধিজীবী খ. অসংখ্য আইনজীবী গ. অসংখ্য সাংবাদিক ঘ. অসংখ্য স্থানীয় নেতা
০৫। মুক্তিযুদ্ধে এদেশকে কয়টি সেক্টরে ভাগ. করা হয়েছিল?
ক. ৯টি খ. ১০টি গ. ১১টি ঘ. ১২টি
নিচে কয়েকটি শব্দ ও শব্দার্থ দেওয়া হলো। উপযুক্ত শব্দটি দিয়ে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ কর।
শব্দ ————–অর্থ
নির্বিচারে————– কোনো রকম বাছ-বিচার ছাড়া।
ব্যাপক————– বহুদূর বিস্তৃত।
আত্মসমর্পণ————– অস্ত্র ত্যাগ. করে বিপক্ষের অধীনতা স্বীকার করা।
হানাদার————– আক্রমণকারী।
নিশ্চিত ————–নিঃসন্দেহ।
ময়দান————– মাঠ, প্রান্তর।
(ক) ছেলেমেয়েরা খেলার ———— ঘিরে জড়ো হয়েছে।
(খ) ———— বন্যায় মাঠঘাট সব তলিয়ে গেছে।
(গ) মুক্তিযোদ্ধারা মৃত্যুর মুখেও ———— করলেন না।
(ঘ) ———— বৃক্ষ নিধনের ফলে বনাঞ্চল ধ্বংস হচ্ছে।
(ঙ) আমার বেড়াতে যাওয়া ———— নয়।
নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
(ক) পঁচিশে মার্চ রাতে কী ঘটেছিল? চারটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : ২৫শে মার্চ গভীর রাতে পাক. হানাদাররা ঘুমন্ত, নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাদের সে ধ্বংসযজ্ঞে সাহায্য করেছিল এদেশেরই কিছু ঘৃণ্য, লোভী মানুষ। এরা আলবদর, আল-শামস ও রাজাকার নামে পরিচিত। এদের সহায়তায় পাকবাহিনী নির্বিচারে নির্যাতন-ধর্ষণ-হত্যা চালায়।
(খ) পাকবাহিনী কবে আত্মসমর্পণ করে? মিত্রবাহিনী আসার ফলে উভয় পক্ষে কী হলো তা তিনটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : পাকবাহিনী ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ করে।
মিত্রবাহিনী আসার ফলে
০১। মুক্তিযুদ্ধের একপর্যায়ে ৪ঠা ডিসেম্বর মিত্রবাহিনী আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রামে যোগ. দিল।
০২। মুক্তিবাহিনীর সাহস ও শক্তি বহুগুণ বেড়ে গেল।
০৩। তাঁদের সম্মিলিত আক্রমণের ফলেই পাকবাহিনীর পরাজয় নিশ্চিত হলো এবং হানাদাররা আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হলো।
(গ) বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখ।
উত্তর : বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য হলো :
০১। ১৯৭১ সালের পঁচিশ মার্চ থেকে পাকবাহিনী এদেশে গণহত্যার সূচনা করে।
০২। সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে।
০৩। মুক্তিযুদ্ধের সময় সারা দেশকে এগারোটি সেক্টরে ভাগ. করা যায়।
০৪। ৪ঠা ডিসেম্বর থেকে মিত্রবাহিনী বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করে।
০৫। ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীনতা সংগ্রামে চূড়ান্ত বিজয় লাভ করে।
(ঘ) মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর যৌথ আক্রমণের ফলে শত্রæদের মধ্যে দেখা দেওয়া প্রভাব পাঁচটি বাক্যে তুলে ধর।
উত্তর : যৌথ আক্রমণের প্রভাব
০১। ৪ঠা ডিসেম্বর থেকে যৌথ আক্রমণের ফলে পাকিস্তানি হানাদাররা দিশেহারা হয়ে পড়েছিল।
০২। তারা বুঝতে পেরেছিল যে, তাদের পরাজয় নিশ্চিত।
০৩। পরাজয়ের পূর্বাভাস পেয়ে তারা ১৪ই ডিসেম্বর অসংখ্য বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করে।
০৪। এদেশের গভীরভাবে ক্ষতি সাধনের জন্য তারা মরিয়া হয়ে উঠেছিল।
০৫। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদাররা আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়।
অনুচ্ছেদ-২৩
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৫, ৬ ও ৭নং ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
আমাদের ছোটো গ্রাম মায়ের সমান,
আলো দিয়ে বায়ু দিয়ে বাঁচাইছে প্রাণ
মাঠ ভরা ধান আর জল ভরা দিঘি,
চাঁদের কিরণ লেগে করে ঝিকিমিকি।
আমগাছ জামগাছ বাঁশঝাড় যেন,
মিলে মিশে আছে ওরা আত্মীয় হেন।
সকালে সোনার রবি পূর্ব দিকে ওঠে
পাখি ডাকে, বায়ু বয়, নানা ফুল ফোটে।
সঠিক. উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ:
০১। গ্রামটি কেমন?
ক. সুন্দর খ. চমৎকার গ. বড় ঘ. ছোটো
০২। গ্রামটি কার সমান?
ক. ভাইয়ের খ. বোনের গ. মায়ের ঘ. আত্মীয়ের
০৩। জলভরা কী?
ক. ঘড়া খ. ডোবা গ. নদী ঘ. দিঘি
০৪। কিসের কিরণ লাগে?
ক. চাঁদের খ. সূর্যের গ. রবির ঘ. বাতির
০৫। রবি কোন দিকে ওঠে?
ক. পশ্চিম খ. পূর্ব গ. দক্ষিণ ঘ. উত্তর
নিচে কয়েকটি শব্দ এবং শব্দার্থ দেয়া হলো। উপযুক্ত শব্দটি দিয়ে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ কর:
শব্দ ————–শব্দার্থ
মা————– গর্ভধারিণী
ধান————– এক. প্রকার শস্য
প্রাণ ————–জীবন
মিলেমিশে ————–একসাথে
বায়ু ————–বাতাস
(ক) নিজের গ্রাম জ্জ সমান।
(খ) মাঠভরা থাকে জ্জজ্জ।
(গ) আলো ও বায়ু নিয়ে আমাদের জ্জ বাঁচে।
(ঘ) গ্রামে আমগাছ, জামগাছ ও বাঁশঝাড়জ্জ থাকে।
(ঙ) সকালে সূর্য ওঠে, পাখি ডাকে জ্জ বয় নানা ফুল ফোটে।
নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
(ক) তোমাদের গ্রাম সম্পর্কে ৫টি বাক্য লেখ।
উত্তর : আমাদের গ্রাম সম্পর্কে ৫টি বাক্য নিচে দেয়া হলো :
১. আমাদের গ্রামটি খুবই ছোট।
২. এখানের মানুষগুলো আত্মীয়ের মতো।
৩. গ্রামটির আলো, বাতাস ও ছায়া যেন মায়ের মতো।
৪. আমি আমার গ্রামকে খুবই ভালোবাসি।
৫. আমাদের গ্রামের মানুষ বেশ শিক্ষিত।
(খ) অনুচ্ছেদের আলোকে বাংলাদেশের একটি ছোটো গ্রামের বর্ণনা দাও।
উত্তর: গ্রাম মানবসভ্যতার সৃষ্টিগুলোর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ। প্রকৃতির নিবিড় সান্নিধ্যে এদেশের গ্রামগুলোর অবস্থান। নির্মল বায়ু এবং প্রাণদায়িনী আলোর অবাধ চলাচলে এদেশের গ্রামগুলো মায়ের মতো প্রেমময়ী, সেবাদাত্রী ও নিরাপদ আশ্রয়দাত্রী। এখানে মাঠভরা ধান আর জলভরা দিঘি দেখা যায়। আমগাছ, জামগাছ, বাঁশঝাড় এমনই নানা গাছ একে অপরের গায়ের আত্মীয়ের মতো মিলেমিশে থাকে। এখানে পাখি ডাকে, আর নানা ফুল ফোটে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের ছোটো গ্রামগুলো যেন এক. একটি স্বর্গপুরী।
(গ) আমাদের ছোটো গ্রাম মায়ের সমান বলা হয়েছে কেন?
উত্তর: গ্রামের কাছ থেকে মায়ের মতো স্নেহ ভালোবাসা, আশ্রয় ও সেবা পাওয়া যায় বলে আমাদের ছোটো গ্রামকে মায়ের সমান বলা হয়েছে। এ জগতে মায়ের মতো আপন আশ্রয়, স্নেহ-ভালোবাসার উৎস এবং সেবার অতুলনীয় ঝরনাধারা দ্বিতীয়টি নেই। মা যেমন সন্তানকে খাইয়ে-পরিয়ে, আদর যত ও ভালোবাসা দিয়ে, আশ্রয় ও সহায়তা দিয়ে বাঁচিয়ে রাখেন, বড় করে তোলেন, নিজ গ্রামও একজন মানুষের জন্য তেমনটি করে থাকে। তাই কবি আমাদের ছোটো গ্রামকে মায়ের সমান বলেছেন।
অনুচ্ছেদ-২৪
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৫, ৬ ও ৭নং ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
হযরত আবু বকর (রা) ছিলেন খোলাফায়ে রাশেদিনের প্রথম খলিফা। ৫৭৩ খিষ্টাব্দে মক্কার কুরাইশ বংশের তাইম গোত্রে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। শিশুকাল থেকে আবু বকর (রা) কোমল হৃদয় ও সুন্দর চরিত্রের অধিকারী ছিলেন। তিনি বড় কবি, সুবক্তা ও দানশীল ছিলেন। নবিজির দাওয়াত পেয়ে আবু বকর (রা) পুরুষদের মধ্যে সর্বপ্রথম ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
সুখে-দুঃখে, আপদে-বিপদে আবু বকর (রা) নবিজির সঙ্গে ছায়ার মতো থাকতেন। তিনি ছিলেন সাহসী ও প্রভাবশালী। আবু বকর (রা) ছিলেন গরিবের বন্ধু। নিঃস্ব, দুঃখী ও অভাবী মানুষের আপনজন ছিলেন তিনি। আবু বকর (রা) ছিলেন দায়িত্বশীল মানুষ। মহৎ আবু বকর (রা) ৬৩৪ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।
৫. সঠিক. উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ:
০১। খোলাফায়ে রাশেদিনের প্রথম খলিফা কে?
ক. হযরত আবু বকর (রা) খ. হযরত উমর (রা) গ. হযরত আলী (রা) ঘ. হযরত ওসমান (রা)
০২। হযরত আবু বকর (রা) কত খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?
ক. ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে খ. ৬৭২ খ্রিষ্টাব্দে গ. ৫৭৩ খ্রিষ্টাব্দে ঘ. ৫৭৫ খ্রিষ্টাব্দে
০৩। পুরুষদের মধ্যে সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণ করেন কে?
ক. হযরত আলী (রা) খ. হযরত আবু বকর (রা) গ. হযরত ওমর (রা) ঘ. হযরত ওসমান (রা)
০৪। আবু বকর (রা) কার সঙ্গে ছায়ার মতো থাকতেন?
ক. কুহাফা উসমানের সাথে খ. নবিজির সাথে গ. হযরত ওমর (রা)-এর সাথে ঘ. মাতা সালমার সাথে
০৫। আবু বকর (রা) কখন মারা যান?
ক. ৬০ খ্রিষ্টাব্দে খ. ৬৩০ খ্রিষ্টাব্দে গ. ৬৩৪ খ্রিষ্টাব্দে ঘ. ৬৫০ খ্রিষ্টাব্দে
০৬। নিচে কয়েকটি শব্দ এবং শব্দার্থ দেওয়া হলো। উপযুক্ত শব্দটি দিয়ে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ কর।
শব্দ ————–শব্দার্থ
বংশ————– কুল
গোত্র————– গোষ্ঠী
খলিফা ————–খেদমতগার
মহৎ————– উদার
নিঃস্ব————– সহায় সম্বলহীন
(ক) আবু বকর (রা) মক্কার কুরাইশ ————– জন্মগ্রহণ করেন।
(খ) তাইম ————– অধিবাসী ছিলেন আবু বকর (রা)।
(গ) খোলাফায়ে রাশেদিনের প্রথম————– ছিলেন আবু বকর (রা)।
(ঘ) ————– মানুষ ছিলেন আবু বকর (রা)।
(ঙ) তিনি————–ও দুঃখীদের সাহায্য করতেন।
৭. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
(ক) হযরত আবু বকর (রা) সম্পর্কে যা জান লিখ।
উত্তর: হযরত আবু বকর (রা) ছিলেন খোলাফায়ে রাশেদিনের প্রথম খলিফা। ৫৭৩ খ্রিষ্টাব্দে কুরাইশ বংশের তাইম গোত্রে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম কুহাফা উসমান আর মাতার নাম সালমা। মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স)-এর সর্বাধিক. প্রিয় সাহাবি ছিলেন হযরত আবু বকর (রা)। পুরুষদের মধ্যে সর্বপ্রথম ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন তিনি। হযরত আবু বকর (রা) ৬৩৪ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।
(খ) হযরত আবু বকর (রা) এর চারিত্রিক. পাঁচটি বৈশিষ্ট্য লিখ।
উত্তর: মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স)-এর প্রিয় সাহাবি ছিলেন হযরত আবু বকর (রা)। তিনি ছিলেন আদর্শ চরিত্রের অধিকারী। হযরত আবু বকর (রা) এর চারিত্রিক. পাঁচটি বৈশিষ্ট্য নিচে দেওয়া হলো :
১. জ্ঞানী আবু বকর (রা) : শিশুকাল থেকেই আবু বকর (রা) প্রচুর জ্ঞান অর্জন করেছিলেন। পবিত্র কোরআনের জ্ঞানও ছিল তাঁর অসাধারণ। তিনি কবি, সুবক্তা ও দানশীল ছিলেন।
২. সাহসী আবু বকর (রা) : আবু বকর (রা) ছিলেন সাহসী। তাই তিনি প্রকাশ্যে ইসলাম ধর্ম প্রচার শুরু করেন।
৩. পরোপকারী : আবু বকর (রা) ছিলেন গরীবের বন্ধু। নিঃস্ব, দুঃখী ও অভাবী মানুষের আপনজন ছিলেন তিনি।
৪. দায়িত্বশীল : আবু বকর (রা) ছিলেন দায়িত্বশীল মানুষ। অভাবের জন্য উপোস করলেও তিনি রাজকোষের কিছু ভোগ. করতেন না।
৫. মহৎ আবু বকর (রা) : ক্রীতদাস হযরত বিলাল (রা)-সহ আরো অনেক. ক্রিতদাসকে নিজের অর্থ দিয়ে ক্রয় করে তাদের মুক্তি দিয়ে তিনি মহানুভবতার পরিচয় দেন।
(গ) হযরত আবু বকর (রা)-কে ইসলামের ত্রাণ কর্তা বলা হয় কেন?
উত্তর: হযরত আবু বকর (রা) ছিলেন সাধারণ ধনসম্পদের মালিক। কিন্তু দানের ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন অসীম বড় মনের মানুষ। তাছাড়া ইসলামের খেদমতে তিনি ছিলেন সর্বোচ্চ দানকারী। এমনকি নিজের ঘরের দুই বারের খাবার থাকলে একবারের খাবার গরিব বা ইসলামের খেদমতে বিলিয়ে দিতেন। তাই তাকে ইসলামের ত্রাণ কর্তা বলা হয়।
অনুচ্ছেদ-২৫
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৫, ৬ ও ৭নং ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
বই মানুষের জীবনের সর্বোত্তম বন্ধু। তোমার অনেক. ভালো বন্ধু থাকতে পারে কিন্তু প্রয়োজনের সময় তুমি নাও পেতে পার। তারা তোমার সাথে ভদ্রভাবে কথা নাও বলতে পারে। দুই একজন মিথ্যাও প্রমাণিত হতে পারে এবং তোমাকে ক্ষতিও করতে পারে।
কিন্তু বই সর্বদাই তোমার পাশে থাকার জন্য প্রস্তুত আছে। কিছু কিছু বই তোমাকে হাসাবে, কিছু কিছু বই তোমাকে আনন্দ দিবে আবার কিছু কিছু তোমাকে জ্ঞান এবং নতুন ধারণা দিবে এবং তোমাকে মহৎ করে তুলবে। তারা সারা জীবনব্যাপী তোমার বন্ধু।
সঠিক. উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ:
০১। কে তোমার ক্ষতি করতে পারে?
ক. বন্ধুরা খ. সহকর্মীরা গ. বই ঘ. সহপাঠীরা
০২। কে সর্বদা তোমার পাশে থাকতে প্রস্তুত?
ক. প্রকৃত বন্ধুরা খ. বই গ. শিক্ষকেরা ঘ. প্রতিবেশীরা
০৩। বই কোন অর্থে ব্যবহৃত হয়?
ক. জ্ঞানের বাহন খ. লাইব্রেরির সৌন্দর্য গ. ঘরের সৌন্দর্য ঘ. ছাত্রশিক্ষকের দিকনির্দেশক
০৪। শিক্ষক. বললেন, ‘বেশি বেশি খেলাধুলা করবে এবং বই পাঠ করবে’- জ্ঞানের জন্য তুমি কোনটি বেচে নিবে?
ক. ফুটবলা খেলা খ. বই পড়া গ. ক্রিকেট খেলা ঘ. ব্যায়াম করা
০৫। তুমি ছাত্র, তোমার জন্মদিনে একজন বই উপহার দিল, অন্যরা হাসাহাসি করতে লাগলো, এ উপহারটি তুমি কোন দৃষ্টিতে দেখবে?
ক. মহান উপহার খ. সামান্য উপহার গ. কোন উপহারের যোগ্য নয় ঘ. তামাসার উপহার
০৬। তোমার মতে কারো উপহার দিতে হলে কোন উপহারটি বেছে নিবে?
ক. সোনার জিনিস খ. বই গ. শাড়ি-গাড়ি ঘ. টাকা-পয়সা
নিচে কয়েকটি শব্দ এবং শব্দার্থ দেয়া হলো। উপযুক্ত শব্দটি দিয়ে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ কর:
শব্দ————– শব্দার্থ
বন্ধু ————–সুহৃদ
আনন্দ ————–পুলক
ক্ষতি————– লোকসান
জ্ঞান————– অনুভব শক্তি
মহৎ ————–উদার
(ক) বই মানুষের জীবনের সর্বোত্তম ————–।
(খ) বই সবর্ দা আমাদের ————– দিয়ে থাকে।
(গ) দুই একজন বন্ধু তোমার ————– করতে পারে।
(ঘ) বই আমাদের নতুন ————– ও ধারণা দেয়।
(ঙ) বই তোমাকে ————– করে তুলবে।
আরো পড়ুনঃ
-
- ৫ম শ্রেণি | বাংলা | প্রার্থনা কবিতার প্রশ্ন উত্তর | PDF
- ৫ম শ্রেণি | বাংলা | ঘাসফুল কবিতার প্রশ্ন উত্তর | PDF
- ৫ম শ্রেণি | বাংলা | ভাবুক ছেলেটি গল্প প্রশ্ন উত্তর | PDF
- ৫ম শ্রেণি | বাংলা | অবাক জলপান নাটকটির প্রশ্ন উত্তর | PDF
নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
(ক) বন্ধুরা কেন সর্বদা ভালো সঙ্গী নয়? বই কীভাবে আমাদের উপকার করে?
উত্তর: বন্ধুরা সব সময় ভালো সঙ্গী নয় কারণ তারা স্বার্থপর। আমার প্রয়োজনের সময় তাদের কাছে নাও পেতে পারি। তারা মিথ্যা প্রমাণিত হতে পারে। প্রয়োজনের সময় তারা আমাদের উপকারের পরিবর্তে অপকারও করতে পারে। কিন্তু বই আমাদেরকে আনন্দ, জ্ঞান, নতুন নতুন ধারণা দিয়ে এবং মহৎ মানুষ তৈরি করে উপকৃত করে। বই কখনও মিথ্যা বন্ধুর মতো দূরে সরে যায় না। সে সবসময় আমার পাশে পাশে থাকে।
(খ) অনুচ্ছেদের সারাংশ লেখ।
উত্তর: প্রকৃত বন্ধু তারা যারা আমাদের ক্ষতি করে না অথবা কর্কশ আচরণ করে না এবং তারা আমাদের পাশে থাকতে প্রস্তুত। সুতরাং, এই মতানুসারে বই আমাদের প্রকৃত বন্ধু। বিভিন্নভাবে বই আমাদের উপকারে আসে।
(গ) তোমার পড়া প্রিয় বই সম্পর্কে ৫টি বাক্য লেখ।
উত্তর : পড়া পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে ভালো এবং নিষ্কলুষ নেশা। আমারও এই পবিত্র নেশাটি রয়েছে। বলতে গেলে এই ক্ষুদ্র জীবনেই আমি এক. মারাত্মক. নেশা-ঘোরে আক্রান্ত। আমার সংগ্রহে ইতোমধ্যেই জড়ো হয়েছে বেশ কিছু বিচিত্র বই। আমি বই পড়ি প্রায় বাছবিচার না করেই। সেই সূত্রে বহু বিষয়ের বহু বইÑই আমার পড়া হয়ে গেছে।
(ঘ) বই মানুষকে কোন কোন দিক. থেকে উপকার করে থাকে?
উত্তর : বই মানুষকে জ্ঞানের আলো দান করে। মানুষকে বিবেকবান হতে সাহায্য করে। বই মানুষকে নিজের অধিকার আদায়ের উপায় শেখায়। মানুষকে সৎ, সুন্দর ও উদার হতে শেখায়।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।