PDF ২০২৪: তৃতীয় শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায়-৩ খাদ্যের উৎস প্রশ্ন-উত্তর ।। প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । PDF ২০২৪: তৃতীয় শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায়-৩ খাদ্যের উৎস প্রশ্ন-উত্তর ২০২৪ প্রশ্নোত্তর সহ তৃতীয় শ্রেণির সকল বিষয় এর উপর প্রশ্ন উত্তর, সর্ট প্রশ্ন উত্তর, সাজেশন, এমসিকিউ, বোর্ড প্রশ্ন উত্তর রচনামুলক প্রশ্ন উত্তর শিক্ষার্থীদের জন্য জাগোরিক এ নিয়মিত আপডেট করে থাকি।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর ৩য় শ্রেণি এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
PDF ২০২৪: তৃতীয় শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায়-৩ খাদ্যের উৎস প্রশ্ন-উত্তর
- বাকি অংশ (পূর্ব প্রকাশিত প্রথম অংশ এখানে)
- বাকি অংশ
অধ্যায়-৩: সুস্বাস্থ্যের জন্য খাদ্য
১-খাদ্যের উৎস
আমরা কোথা থেকে খাদ্য পাই?
কাজ: খাদ্যের উৎস খুঁজে বের করা
যা করতে হবে।
১. খাতায় ডান পাশের ছকের মতো একটি ছক তৈরি করি।
উত্তর: ছকটি ৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তরে দেখানো হলো।
২. নিচের খাবারের ছবিগুলো দেখি।
উত্তর: ছবিতে বিভিন্ন খাবার দেখা যাচ্ছে। এগুলো হলো- কাঁঠাল, কলা, আম, জাম, পেঁপে, পুঁইশাক, শিম, ফুলকপি, টমেটো, মিষ্টি কুমড়া, গাজর, লালশাক, ভাত, পাউরুটি, মাংস, দুধ, ডিম, মাছ।
৩. খাবারগুলোকে উৎস অনুসারে ছকে লিখি।
উদ্ভিদ থেকে পাওয়া খাদ্য প্রাণী থেকে পাওয়া খাদ্য
কাঁঠাল, কলা, আম, জাম, পেঁপে মাংস
পুঁইশাক, শিম, ফুলকপি, টমেটো দুধ
মিষ্টি কুমড়া, গাজর, লালশাক ডিম
ভাত, পাউরুটি মাছ
৪. খাদ্যের উৎসগুলো নিয়ে সহপাঠীদের সঙ্গে আলোচনা করি।
উত্তর: প্রতিদিন আমরা যেসব খাবার খাই, এগুলো আমরা দুটি উৎস থেকে পাই। একটি হচ্ছে উদ্ভিদ এবং অপরটি প্রাণী। চাল, ডাল, ফল, শাক-সবজি ইত্যাদি আমরা উদ্ভিদ থেকে পাই। অপরদিকে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ইত্যাদি খাবার আমরা প্রাণী থেকে পেয়ে থাকি।
২- মৌসুমি ফল
আমাদের দেশে বিভিন্ন ঋতুতে কী কী ফল পাওয়া যায়?
কাজ: ঋতুভেদে ফলের শ্রেণীকরণ করা
যা করতে হবে:
১. খাতায় নিচের ছকের মত একটি ছক তৈরি করি।
গ্রীষ্মকালীন ফল শীতকালীন ফল বারোমাসি ফল
২. নিচের ছবির ফলগুলোকে গ্রীষ্মকালীন, শীতকালীন এবং বারোমাসি-এ তিনটি দলে ভাগ করে ছকে লিখি।
গ্রীষ্মকালীন ফল শীতকালীন ফল বারোমাসি ফল
আম, জাম, কাঁঠাল, তরমুজ, লিচু। কমলা, বরই, জলপাই, আতা। নারিকেল, কলা, পেঁপে।
৩. কাজটি নিয়ে সহপাঠীদের সঙ্গে আলোচনা করি।
উত্তর: আমরা সব ফল সব ঋতুতে খেতে পারি না। বিভিন্ন ফল বিভিন্ন ঋতুতে উৎপন্ন হয়। বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালে আমরা আম, জাম, কাঁঠাল, তরমুজ, লিচু ইত্যাদি সুস্বাদু ফল পাই। শীতকালে কমলা, আতা, পেয়ারা, বরই, ডালিম, সফেদা ইত্যাদি ফল খেতে পারি। আর নারিকেল, কলা, পেঁপে এগুলো আমরা সারা বছরজুড়েই পেয়ে থাকি।
৩- মৌসুমি সবজি
বিভিন্ন ঋতুতে আমাদের দেশে কী কী সবজি পাওয়া যায়?
উত্তর:
কাজ: ঋতুভেদে সবজির শ্রেণীকরণ করা
যা করতে হবে:
১. খাতায় নিচের ছকের মত একটি ছক তৈরি করি।
গ্রীষ্মকালীন সবজি শীতকালীন সবজি বারোমাসি সবজি
২. নিচের ছবির সবজিগুলোকে গ্রীষ্মকালীন, শীতকালীন এবং বারোমাসি এ তিনটি দলে ভাগ করে ছকে লিখি।
গ্রীষ্মকালীন সবজি শীতকালীন সবজি বারোমাসি সবজি
পটোল, করলা, ঢ্যাঁড়স, মিষ্টিকুমড়া, চালকুমড়া, পুঁইশাক। লাউ, শিম, ফুলকপি, মুলা, গাজর, পালংশাক, লাউশাক। কাঁচা কলা, লালশাক, কলমি শাক, পেঁপে,
৩. কাজটি নিয়ে সহপাঠীদের সঙ্গে আলোচনা করি।
উত্তর: বিভিন্ন ঋতুতে আমরা বিভিন্ন সবজি খেয়ে থাকি। এগুলোকে বলা হয় মৌসুমি সবজি। যেমন- গ্রীষ্ককালে আমরা পটোল, করলা, ঢ্যাঁড়স, মিষ্টিকুমড়া, চালকুমড়া, পুঁইশাক ইত্যাদি সবজি খেতে পারি। অপরদিকে শীতের সময়ে লাউ, শিম, ফুলকপি, মুলা, গাজর, পালংশাক, লাউশাক এসব সবজি পাওয়া যায়। তবে কাঁচা কলা, লালশাক, কলমি শাক, পেঁপে এই সবজিগুলো সারা বছরজুড়েই পাওয়া যায়।
৫-পুষ্টি উপাদানের উৎস
বিভিন্ন পুষ্টি উপদানের উৎসগুলো কী কী?
উত্তর:
কাজ: আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের উৎস খুঁজে বের করা।
যা করতে হবে:
১. নিচের ছকের মতো একটি ছক তৈরি করি।
উত্তর: ৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তরে ছকটি দেখানো হলো।
২. শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের উৎসগুলো কী কী তা নিয়ে চিন্তা করি।
উত্তর: সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার জন্য আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদানের প্রয়োজন হয়। এগুলো হলো- শর্করা, আমিষ, চর্বি বা তেল, ভিটামিন ও খনিজ লবণ। ভাত, রুটি, চিড়া, আলু ইত্যাদি খাবার থেকে আমরা শর্করা পাই। মাছ, মাংস, ডাল থেকে আমরা আমিষ পাই। বাদাম, দুধ, মাখন, ঘি থেকে আমরা চর্বি পাই। আর ফল ও শাকসবজি থেকে আমরা ভিটামিন ও খনিজ লবণ পাই।
৩. নিচের পুষ্টি উপাদানগুলো ছবির কোন কোন খাবার থেকে পাওয়া যায়, তা ছকে লিখি।
পুষ্টি উপাদান খাবারের নাম
শর্করা ভাত, রুটি, চিড়া, মুড়ি, আলু, মিষ্টি আলু।
আমিষ মাছ, মাংস, ডাল, শিমের বিচি, ডিমের সাদা অংশ।
চর্বি বা তেল বাদাম, মাখন, ঘি, পনির, তিল, সরিষা, নারকেল, জলপাই।
ভিটামিন ও খনিজ লবণ বিভিন্ন ধরনের ফল ও বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি।
- আরো পড়ুন: PDF ২০২৪: তৃতীয় শ্রেণি: বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায়-৬ প্রশ্ন-উত্তর
- আরো পড়ুন:PDF ২০২৪: তৃতীয় শ্রেণির পরিবার ও বিদ্যালয়ে শিশুর ভূমিকা প্রশ্ন-উত্তর
- আরো পড়ুন: ৩য় শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ২০২৪, আমাদের জাতির পিতা প্রশ্নোত্তর
- আরো পড়ুন: ৩য় শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, আমাদের সংস্কৃতি প্রশ্নোত্তর ২০২৪
- আরো পড়ুন: ৩য় শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ২০২৪, আমাদের ইতিহাস প্রশ্নোত্তর
- আরো পড়ুন: তৃতীয় শ্রেণির আমার বাংলা বই ২০২৪, পাঠ-৯ আনন্দের দিন প্রশ্ন-উত্তর
৪. পুষ্টি উপদানের উৎসগুলো নিয়ে সহপাঠীদের সঙ্গে আলোচনা করি।
নির্দেশনা: শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রকার খাদ্য এবং তা থেকে পাওয়া পুষ্টি উপাদান নিয়ে সহপাঠীদের সাথে আলোচনা করবে।
৬-পুষ্টি উপাদানের প্রয়োজনীয়তা
শরীরের জন্য বিভিন্ন পুষ্টি উপদানের প্রয়োজনীয়তা কী?
কাজ: বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের কাজ সম্পর্কে জানা
যা করতে হবে:
১. নিচের ছকের মত একটি ছক তৈরি করি।
২. আগের পৃষ্ঠার ছবিগুলো দেখি। কার কী সমস্যা আছে লক্ষ করি। তাদের কী ধরনের খাদ্য গ্রহণ করা উচিত তা ছকে লিখি।
সমস্যাকী ধরনের খাবার খেতে হবে?
প্রথম ছবি সে কাজে শক্তি পায় না। অধিকাংশ সময় ক্লান্ত থাকে। শর্করা, তেল বা চর্বি জাতীয় খাবার।
দ্বিতীয় ছবি তার শরীরের গঠন সুষম নয়। মাংসপেশি ঠিকমতো গঠিত হয়নি। আমিষ জাতীয় খাবার।
তৃতীয় ছবি সে রাতে দেখতে পায় না। তার রাতকানা রোগ হয়েছে। সে ঘনঘন অসুস্থ হয়। ভিটামিন ও খনিজ লবণ
৩. নিচে একটি ছক দেওয়া হলো। এই ছকের বাম পাশের সঙ্গে ডান পাশের তথ্য মিল নেই। বাম পাশের তথ্যের সঙ্গে দাগ দিয়ে টেনে ডান পাশের তথ্যের মিল করি।
পুষ্টি উপাদান কাজ
শর্করা শরীর গঠন করে।
আমিষ কাজ করার শক্তি দেয়।
চর্বি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি করে।
ভিটামিন ও খনিজ লবণ ভিটামিন শোষণে কাজে লাগে।
৭-স্বাস্থ্যকর খাদ্য
চলবে…………
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।