class Eight Health Protection 2024 || ১ম অধ্যায় পাঠ্যবইয়ের তত্ত্বীয় বিষয়বস্তু সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা নিই এর সমাধান ৮ম শ্রেণির স্বাস্থ্য সুরক্ষা ২০২৪ || প্রিয় শিক্ষার্থীরা তোমাদের জন্য আমরা নিয়ে এসেছি ২০২৪ সালের নতুন কারিকুলাম এর ৮ম শ্রেণির স্বাস্থ্য সুরক্ষা – Class Eight Health Protection 2024 বই ও গাইড থেকে কিভাবে পড়তে হবে এবং সঠিক সমাধান সহ সকল প্রশ্নে উত্তর নিয়ে।
প্রিয় শিক্ষার্থীরা যারা এখানো আমাদের ফ্রি শিক্ষামূলক ওয়েবসাইট জাগোরিক সম্পর্কে জানে না তাদের কাছে পৌছানোর জন্য তোমরা তোমাদের বন্ধুদের কাছে শেয়ার করে জানিয়ে দেও। যাতে তারাও তোমাদের মতো উপকৃত হতে পারে।
পাঠ পর্যালোচনা
পাঠ্যবইয়ের তত্ত্বীয় বিষয়বস্তু সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা নিই
প্রিয় শিক্ষার্থী, পরিবর্তিত যোগ্যতাভিত্তিক শিক্ষাক্রমের আলোকে রচিত পাঠ্যবইয়ের এ শিখন অভিজ্ঞতাটি ভালোভাবে বুঝে পড়। এরপর নিম্নোক্ত পাঠ পর্যালোচনার ওপর প্র্যাকটিস চালিয়ে যাও। এতে পাঠ্যবইয়ের বিষয়বস্তু সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাবে, পাশাপাশি শিখনকালীন এবং সামষ্টিক মূল্যায়ন প্রস্তুতিও শাণিত হবে।
স্বাস্থ্য
স্বাস্থ্যই সম্পদ। সুস্থতার চেয়েও বড় কোনো নেয়ামত এই দুনিয়াতে নেই। তাই আমরা সবাই সুস্বাস্থ্য চাই। আর এই সুস্বাস্থ্যের জন্য শরীর ও মনের যত্নের পাশাপাশি পারস্পরিক সম্পর্কগুলোরও যত্ন নেওয়া প্রয়োজন ।
কেননা স্বাস্থ্যের তিনটি প্রধান উপাদানের (১. শারীরিক স্বাস্থ্য ২. মানসিক স্বাস্থ্য ও ৩. সামাজিক স্বাস্থ্য) কোনো একটি অসুস্থ হলে পূর্ণাঙ্গ সুস্থতা অনিশ্চিত হয়ে যায়। তাছাড়া এসব উপাদানের একটি অন্যটিকে প্রভাবিত করে থাকে। তাই আমাদের উচিত শারীরিক সুস্থতার জন্য সুষম ও পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি শরীরচর্চা করা।
আর মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বিনোদনমূলক কাজে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। তাছাড়াও আমাদের সামাজিক সম্পর্ক দৃঢ়করণের জন্য তথা সুস্থ রাখার জন্য পারস্পারিক যোগাযোগ ও একে অন্যের বিপদে আপদে পাশে থাকা। তবেই আমরা প্রকৃত সু-স্বাস্থ্যের অধিকারী হব এবং সু-স্বাস্থ্যের প্রকৃত সুখ উপভোগ করতে সক্ষম হব।
class Eight Health Protection 2024 || ১ম অধ্যায় পাঠ্যবইয়ের তত্ত্বীয় বিষয়বস্তু সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা নিই
আরো দেখুন
বরিশাল ইতিহাস ঐতিহ্য
বরিশাল ইতিহাস ঐতিহ্য ।। বরিশাল বাংলাদেশের একটি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী অঞ্চল। এর ইতিহাস ও সংস্কৃতি দীর্ঘ এবং সমৃদ্ধ। বরিশালকে বলা...
ফ্রী শিক্ষামূলক ভিডিও মেকার,শিক্ষামূলক ভিডিও কিভাবে করা যায়
ফ্রী শিক্ষামূলক ভিডিও মেকার,শিক্ষামূলক ভিডিও কিভাবে করা যায়।। শিক্ষামূলক ভিডিও তৈরি করতে কিছু ধাপ অনুসরণ করা প্রয়োজন। এখানে কিছু ধাপ...
দাঁত ও দাঁতের মাড়ি সুস্থ রাখতে চাইলে যেসব কাজ গুলো করা জরুরী
প্রতিটি মানুষের সকল মন্ত্রের মূল চাবিকাঠী স্বাস্থ্য! স্বাস্থ্য ভালো থাকলে মন ভালো থাকে, কাজের অগ্রগতিও ভাড়ে, স্বাস্থ্য ভালো আপনার সব...
শান্তিগঞ্জের বগুলারকাড়া গ্রামের স্কুল মাঠে কাবাডি খেলা
শান্তিগঞ্জের বগুলারকাড়া গ্রামের স্কুল মাঠে কাবাডি খেলা।। সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি।। গ্রামবাংলার প্রাচীনতম ঐতিহ্য বাংলাদেশের জাতীয় খেলা কাবাডি(হা ডু ডু) খেলার ঐতিহ্য...
শারীরিক স্বাস্থ্য
শারীরিক স্বাস্থ্য বলতে শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সঠিকভাবে কাজ করাকে বোঝায়। শারীরিকভাবে সুস্থ থাকাটা প্রত্যেকের জীবনে অবশ্যই জরুরি। আর শরীরকে সুস্থ রাখতে হলে আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হয়।
একজন মানুষ শারীরিকভাবে সুস্থার কারণ শুধু রোগমুক্ত থাকা নয়; বরং প্রাত্যহিক সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়া, শরীরচর্চা এবং পর্যাপ্ত বিশ্রামের ফলেই তা সম্ভব উল্লেখ্য যে, শারীরিক সুস্থতার ওপর মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাস, হৃদক্রিয়া, পেশিশক্তি, নমনীয়তা ও দৈহিক গঠন নির্ভর করে । তাছাড়া রিক সুস্থতা শরীরের বিভিন্ন রোগব্যাধি হওয়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এজন্য সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে আমাদের স্বাস্থ্যবিধি চলার কোনো বিকল্প নেই।
মানসিক স্বাস্থ্য
কেবল শারীরিকভাবে সুস্থ হলেই একজন মানুষকে পরিপূর্ণ সুস্থ বলা যায় না। কারণ মন ভালো না থাকলে স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। মূলত সুস্থ দেহ আর সুস্থ মন উভয়টিই সু-স্বাস্থ্যের জন্য আবশ্যক।
স্বাস্থ্যের অন্যতম প্রধান উপাদান হলো মানসিক স্বাস্থ্য। মানসিক স্বাস্থ্য বলতে একজন মানুষের মনের সুস্থতাকে বোঝায়। একজন মানুষের পরিপূর্ণ ও সক্রিয় জীবনযাপনের জন্য শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক সুস্থতাও প্রয়োজন হয়।
ব্যক্তিবিশেষে মানসিক সুস্থতা নির্ভর করে তার স্বকীয়তার ওপর। প্রতিটি মানুষের আবেগ, অনুভূতি, আনন্দ, বেদনা, চিন্তাধারা ভিন্ন ভিন্ন। তাই প্রত্যেক মানুষের মানসিক সুস্থতা তার নিজের ওপর নির্ভর করে।
একজন ব্যক্তি তার সামাজিক বা অর্থনৈতিক অবস্থার ওপর কতখানি সন্তুষ্ট সেটার ওপরেই তার মানসিক সুস্থতা নির্ভর করে। মানসিকভাবে সুস্থ না থাকলে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকাও সম্ভব হয় না।
তাই যেসব কাজ মন ভালো রাখে সেগুলো বেশি বেশি করার চেষ্টা করতে হবে। বিনোদন, শখের কাজ, নিজের অনুভূতির যত্ন নেওয়া ইত্যাদি মনের যত্ন নেওয়ার জন্য প্রয়োজন ।
কেননা আমাদের ভালো লাগার, আনন্দের এবং মজার অনুভূতিগুলো মনে শক্তি যোগায়। তাছাড়া যা কিছু আমাদের আনন্দ ও তৃপ্তি দেয় তা থেকে আমরা মনে শক্তি পাই। তেমনিভাবে নিজের অনুভূতির যত্নও মনে শক্তি যোগায় ।
মনের শক্তি আমাদের আনন্দে রাখে, উৎসাহ যোগায়, কাজে ধৈর্য ও মনোযোগ বাড়ায়, অন্যের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখতে সাহায্য করে । তাই সুস্বাস্থ্যের জন্য মনের যত্ন নেওয়া আবশ্যক ।
সামাজিক স্বাস্থ্য
মানুষ সামাজিক জীব । প্রাচীনকাল থেকে মানুষ সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করে আসছে । তাই ভালো থাকার নিমিত্তে সামাজিক স্বাস্থ্যের দিকেও দৃষ্টিপাত করতে হবে। সামাজিক স্বাস্থ্য বলতে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, প্রতিবেশী, সহপাঠীসহ সমাজে বসবাসরত নানাজনের সাথে পারস্পরিক সম্পর্কের অবস্থাকে বোঝায়।
সামাজিক সম্পর্ক গভীর বা দৃঢ় হলে স্বাস্থ্যের ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। আর সামাজিক সম্পর্ক অগভীর কিংবা শিথিল হলে আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। সামাজিক স্বাস্থ্য এবং সামাজিক সুস্থতা আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
সামাজিক সম্পর্ক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে। মানুষের সাথে সম্পর্কের অবস্থা মানসিক ও শারীরিক সুস্থতাকে প্রভাবিত করে। সামাজিক সুস্থতার শারীরিক ও মানসিক উভয় সুবিধা রয়েছে। সামাজিক পরিস্থিতিতে আমরা কতটা স্বাচ্ছন্দ্যে মানিয়ে নিতে পারি তার সাথেও সামাজিক স্বাস্থ্য সম্পর্কযুক্ত। সামাজিক স্বাস্থ্য আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য, শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে ।
স্বাস্থ্যচর্চা
আমরা সবাই সুস্বাস্থ্য চাই। কিন্তু সুস্বাস্থ্যের জন্য স্বাস্থ্যকর অভ্যাস চর্চা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যকর অভ্যাস চর্চার থেকে শরীরের যত্নের পাশাপাশি মনের যত্নও নিতে হয় এবং পারস্পরিক সম্পর্কের যত্নও আবশ্যক। এই তিনটি উপাদানের কোনোটির অবহেলা করলে স্বাস্থ্যহানি ঘটাই স্বাভাবিক। তাই সুস্বাস্থ্যের জন্য শরীরের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।
শরীরের যত্নের জন্য প্রয়োজন। খাদ্য ও পুষ্টি, পরিচ্ছন্নতা, শরীরচর্চা ও খেলাধুলা আর মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন বিনোদন ও শখের কাজ এবং সামাজিক স্বাস্থ্যের জন্য পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নয়ন চর্চা প্রয়োজন । স্বাস্থ্যচর্চার কতিপয় উপায় নিচে তুলে ধরা হলো :
শারীরিক স্বাস্থ্যচর্চার জন্য
- পুষ্টিকর ও সুষম খাবার নিয়মিত খাওয়া।
- নিয়মিত শরীরচর্চা ও খেলাধুলা করা।
- পর্যাপ্ত ঘুমানো এবং বিশ্রাম নেওয়া ।
- বেশি রাত না জাগা এবং ভোরে ঘুম থেকে ওঠা।
- দিনে কমপক্ষে ৭-৮ গ্লাস বিশুদ্ধ পানি পান করা ।
মানসিক স্বাস্থ্য চর্চার জন্য :
- যেসব কাজ মন ভালো রাখে সেগুলো বেশি বেশি করা। যেমন- প্রার্থনা, পরোপকার ইত্যাদি ।
- বিনোদন ও শখের কাজ করা। যেমন— ফুল বাগান করা, ছবি আঁকা ।
- নিজের অনুভূতির যত্ন নেওয়া ইত্যাদি ।
সামাজিক স্বাস্থ্য চর্চার জন্য
- আত্মীয়-স্বজনের সাথে সু-সম্পর্ক রাখা ।
- আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের খোঁজ-খবর নেওয়া ।
- আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের বিপদে সাহায্য করা ।
- সামাজিক কল্যাণমূলক কাজে অংশগ্রহণ করা ।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।