অষ্টম শ্রেণির স্বাস্থ্য সুরক্ষা ২০২৪ || অধ্যায় ১ ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণমূলক প্রশ্ন ও উত্তর ।। ১ম অধ্যায় Class Eight Health Protection 2024।। প্রিয় শিক্ষার্থীরা তোমাদের জন্য আমরা নিয়ে এসেছি ২০২৪ সালের নতুন কারিকুলাম এর ৮ম শ্রেণির স্বাস্থ্য সুরক্ষা – Class Eight Health Protection 2024 বই ও গাইড থেকে কিভাবে পড়তে হবে এবং সঠিক সমাধান সহ সকল প্রশ্নে উত্তর নিয়ে।
প্রিয় শিক্ষার্থীরা যারা এখানো আমাদের ফ্রি শিক্ষামূলক ওয়েবসাইট জাগোরিক সম্পর্কে জানে না তাদের কাছে পৌছানোর জন্য তোমরা তোমাদের বন্ধুদের কাছে শেয়ার করে জানিয়ে দেও। যাতে তারাও তোমাদের মতো উপকৃত হতে পারে।
ধরন ৪ ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ১। সুস্বাস্থ্য চর্চায় তোমার পছন্দের ব্যক্তির কর্মপ্রণালি এবং এর প্রভাব সম্পর্কে বিস্তারিত লিখ ।
উত্তর : সুস্থ দেহ ও মন আমাদের সকলেরই কাম্য। দেহ ও মনকে সুস্থ রাখা অবশ্যই জরুরি। এর জন্য আমরা যদি একজন আদর্শ ব্যক্তির অনুসরণ করি তাহলে আমাদের জন্য সুস্বাস্থ্য চর্চা সহজ হয়ে যায়। নিচে একজন আদর্শবান পছন্দনীয় ব্যক্তির কার্যপ্রণালি আলোচনা করা হলো—
স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণ : স্বাস্থ্যসম্মত খাবার আমাদের শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। দেহের স্বাভাবিক গঠন তৈরিতে ভূমিকা রাখে।
পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ : পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করলে আমাদের শরীরের সকল ঘাটতি পূরণে সহায়তা করে। সারাদিনের পরিশ্রমের ফলে শরীরের ক্লান্তি অবসাদ এসব
দূর করে ।
শরীরচর্চা করা : প্রতিদিন শরীরচর্চা করলে শরীরের স্বাভাবিক বিকাশ অব্যাহত থাকে । কাজ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় । রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ।
বিনোদন : দীর্ঘ সময় কাজ-কর্ম করতে থাকলে আমাদের মধ্যে একঘেয়েমি ভাব চলে আসে। কাজ-কর্ম বা পড়াশোনায় গতি বৃদ্ধি করতে এবং নব উদ্যমে কাজ করার জন্য মাঝে মাঝে বিনোদন নেওয়া দরকার। এতে মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষিত হয়।
জলদি ঘুমিয়ে পড়া : অতিরিক্ত রাত জাগার ফলে দেহ-মনে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমালে খুব সকালে ঘুম থেকে উঠা যায়। আগে ঘুমালে আমাদের খাবার হজমে সহায়ক হয়। ভালো ঘুম হয়।
শৈশব থেকে দ্রুত ঘুমানোর অভ্যাস থাকলে অনিদ্রা রোগ হয় না । সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠা : শরীর এবং মনকে সুস্থ রাখার জন্য খুব সকালে ঘুম থেকে উঠতে হবে। সকালের আবহাওয়া থাকে স্নিগ্ধ, কোমল।
সকালের আবহাওয়ায় শরীর মন দুটোই ফুরফুরে হয়ে যায়। সারাদিনের কাজের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত হওয়া যায়। ‘এই অভ্যাস আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা : স্বাস্থ্যকে সুরক্ষিত রাখার জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিকল্প কিছু নেই। অপরিচ্ছন্ন, নোংরা পরিবেশ দেহ-মনের ওপর প্রভাব ফেলে। আমাদের দৈনন্দিন ব্যবহার্য সবকিছু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলে আমাদের স্বাস্থ্য ভালো ও অটুট থাকে ।
অষ্টম শ্রেণির স্বাস্থ্য সুরক্ষা ২০২৪ || অধ্যায় ১ ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
আরো দেখুন
তৃতীয় সেশন Class 8 science book 2024 || চৌম্বকে পর্যবেক্ষণ‘র সমাধান
তৃতীয় সেশন Class 8 science book 2024 || চৌম্বকে পর্যবেক্ষণ‘র সমাধান || Class 8-2024. প্রিয় শিক্ষার্থীরা তোমাদের জন্য আমরা নিয়ে...
তৃতীয় সেশন Class 8 science book 2024 || দিক নির্ণয়ে পরিযায়ী পাখির পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্র ব্যবহার
তৃতীয় সেশন Class 8 science book 2024 || দিক নির্ণয়ে পরিযায়ী পাখির পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্র ব্যবহার || Class 8-2024. প্রিয় শিক্ষার্থীরা ...
৮ম শ্রেণি‘র বিজ্ঞান ২০২৪ || সপ্তম ও অষ্টম সেশন || প্রশ্ন উত্তর সহ
৮ম শ্রেণি‘র বিজ্ঞান ২০২৪ || সপ্তম ও অষ্টম সেশন || প্রশ্ন উত্তর সহ || Class 8-2024. প্রিয় শিক্ষার্থীরা তোমাদের জন্য...
তৃতীয় সেশন Class 8 science book 2024 || প্রশ্ন অক্ষাংশের তাৎপর্য ও ব্যবহার সংক্ষেপে আলোচনা
তৃতীয় সেশন Class 8 science book 2024 || প্রশ্ন অক্ষাংশের তাৎপর্য ও ব্যবহার সংক্ষেপে আলোচনা || Class 8-2024. প্রিয় শিক্ষার্থীরা ...
প্রশ্ন ২। সুস্বাস্থ্য চর্চায় তুমি যা যা কর সেগুলোর বিবরণ দাও ।
উত্তর : সুস্বাস্থ্য চর্চায় আমি যা করি : আমি সুস্বাস্থ্য চর্চায় প্রতিদিন খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠি। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে বাবার সাথে ফজরের সালাত আদায় করি। সকালের মনোরম আবহাওয়ায় বাবার সাথে একটু হাঁটাহাঁটি করি।
বাড়ি ফিরে কুরআন তিলাওয়াত করে পড়তে বসি। আমি সময়মতো খাবার খাই। পর্যাপ্ত পানি পান করি। বাইরের বাসি-পচা, মাছি বসা খোলা খাবার খাই না। ফল-ফলাদি ধুয়ে খাই। খাবারের আগে ভালো করে হাত পরিষ্কার করি।
আমি নিয়মিত গোসল করি ও সবসময় জামা-কাপড় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখি। বাবার কাছ থেকে শুনেছি নবীজি (সা) বলেছেন ‘পবিত্রতা ইমানের অঙ্গ’। জামা-কাপড় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলে শরীরে রোগ-জীবাণু বাসা বাঁধতে পারে না।
প্রতি শুক্রবারে ছোট করে নখ কাটি। আমাদের মসজিদের খতিব সাহেব একদিন জুমার বয়ানে বলেন- আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআন মাজিদে বলেছেন ‘অবশ্যই তোমাদের জন্য রাসুলুল্লাহ (সা) এর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।
আমাদের প্রিয় নবীজি (সা) প্রত্যেক শুক্রবারে নখ কাটতেন। জামা-কাপড় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতেন। সুস্বাস্থ্য চর্চায় আমিও নবীজির আদর্শকে অনুসরণ করার চেষ্টা করি
পরিবারের সবার সাথে ভালো আচরণ করি। বন্ধু-বান্ধব কারো সাথে দুর্ব্যবহার করি না। ফলে কারো সাথে আমার মনোমালিন্য হয় না। কখনো ভুল বোঝাবুঝি হলেও আলোচনা করে মীমাংসা করে নিই।
ফলে সহজে আমার মন খারাপ হয় না। মানসিক কোনো সমস্যায় আমাকে পড়তে হয় না। মন খারাপ থাকলে কোনো কাজই ভালো লাগে না। শরীরের ওপর মনের প্রভাব অত্যন্ত প্রবল।
আমি সময়ের কাজ সময়েই করি। কখনো সময়ের অপচয় করি না। সময়মতো পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করলে সময়কে খুব সুন্দরভাবে কাজে লাগানো যায় ।
যেমন আমি নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করি। যোহরের নামাজের পর সামান্য বিশ্রাম নেই। আসরের নামাজের পর বাগানের পরিচর্যা করি। বাগানের সুন্দর পরিবেশ আমার মনকে প্রফুল্ল করে ।
আর আমি বন্ধুদের সাথে খেলাধুলা করি। সন্ধ্যার আগেই বাড়ি ফিরে আসি। জামাতের সাথে মাগরিবের সালাত আদায় করে কুরআন তিলাওয়াত করি। নিয়মিত কুরআন তিলাওয়াত করলে অন্তর প্রশান্ত হয়।
মানসিক দুশ্চিন্তা দূর হয় প্রশান্ত মন নিয়ে আমি পড়তে বসি। অল্প সময়ে আমার সব পড়া প্রস্তুত হয়ে যায়। ইশার সালাতের পর পরিবারের সবাই একসাথে খাওয়া-দাওয়া করি। বাবা বলেন, মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য পরিবারের সকলের সাথে সুসম্পর্ক থাকা জরুরি।
তাই সবসময় আমরা একসাথে খাবার খাই। রাতের খাবারের পর সামান্য পড়াশোনা করে আমরা সবাই ঘুমিয়ে পড়ি। তাড়াতাড়ি ঘুমানোর কারণে ভোরে ঘুম থেকে উঠতে সুবিধা হয়।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।