ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় | অধ্যায় ২ | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ২১-২৫ | PDF: ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের দ্বিতীয় অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের দ্বিতীয় অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
প্রশ্নঃ ২১ বৃহদায়তন ব্যবসায় পরিচালনা করতে গিয়ে মি. খায়ের প্রতিষ্ঠানের যোগ্য কর্মীদের সঠিক স্থানে পদায়ন করতে সক্ষম হয়েছেন। তাছাড়া যে ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করা উচিত তাও তিনি সম্পাদন করেছেন সঠিকভাবে। তবে প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সঠিকভাবে পালনের জন্য যে পরিমাণ ক্ষমতা কর্মীদের হাতে থাকা উচিত তা তিনি প্রদান করেননি। এ নিয়ে কর্ক উত্তরঃর্তাদের মধ্যে কিছু ক্ষোভ রয়েছে, যা তাদের মধ্যে হতাশা বেড়েছে। অ [হলি ক্রস কলেজ, ঢাকা ]
ক. প্রশাসন কী? ১
খ. জোড়া মই শিকল নীতি বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকে মি. খায়ের প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় ব্যবস্থাপনার কোন নীতির প্রতি অধিক মনোনিবেশ করেছেন? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে কোন নীতির সুষ্ঠু বাস্তবায়ন কর্ক উত্তরঃর্তাদের মধ্যে হতাশা দূরীকরণে সহায়ক হবে বলে মনে করো? মতামত দাও। ৪
২১ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ ব্যবস্থাপনার শীর্ষ স্তর যেখানে প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা, কৌশল ও নীতি নির্ধারণ করা করা হয় তাকে প্রশাসন বলে।
প্রশাসন পর্যায়ে চেয়ারম্যান, পরিচালনা পর্ষদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ব্যক্তিবর্গ কাজ করেন।
খ উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানের উপর থেকে নিচের স্তর পর্যন্ত প্রতিটি কর্মী, বিভাগ ও উপবিভাগকে একই সূত্রে আবদ্ধ করার নীতিকেই জোড়া-মই-শিকল নীতি বলে।
এ নীতি অনুযায়ী কর্তৃত্ব ঊর্ধ্বতন কর্ক উত্তরঃর্তা থেকে ধাপে ধাপে অধস্তনের কাছে নেমে আসে।
ফলে প্রতিটি বিভাগ, উপবিভাগ ও ব্যক্তি কর্তৃত্বের শিকলে সম্পর্কযুক্ত থাকে। এটি কর্মীদের কর্তৃত্বের প্রবাহ ও যোগাযোগের পথ নির্দেশ করে।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে মি. খায়ের প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় ব্যবস্থাপনার শৃঙ্খলা নীতির প্রতি অধিক মনোনিবেশ করেছেন।
শৃঙ্খলার নীতিতে যোগ্য ব্যক্তিকে সঠিক স্থানে পদায়ন এবং সঠিক বস্তুকে সঠিক স্থানে রাখা হয়। ফলে উপায়-উপকরণাদির সদ্ব্যবহার ঘটে।
কর্মীরা দক্ষতার সাথে কাজ করতে পারে। আবার সঠিক জায়গায় যন্ত্রপাতি, মেশিন, কাঁচামাল রাখার কারণে সহজে তা ব্যবহার করা যায়। উদ্দীপকের মি. খায়ের একটি বৃহদায়তন ব্যবসায় পরিচালনা করেন।
তিনি প্রতিষ্ঠানের যোগ্য কর্মীদের সঠিক স্থানে পদায়ন করতে সক্ষম হয়েছেন। তাছাড়া যে ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করা উচিত তাও তিনি সঠিকভাবে সম্পাদন করেছেন। বস্তুগত শৃঙ্খলার বিষয়টিও তিনি গুরুত্ব দেন।
এরূপ ব্যবস্থার ফলে কর্মীদের কাজের দক্ষতা বাড়ে। ফলে এখানে অদক্ষতা, অনিয়মের কোনো সুযোগ থাকে না। এসব বৈশিষ্ট্য শৃঙ্খলা নীতির কাজের সাথে সম্পর্কিত। তাই বলা যায়, মি. খায়ের শৃঙ্খলা নীতির প্রতিই অধিক মনোনিবেশ করেছেন।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকে ব্যবস্থাপনার বিকেন্দ্রীকরণ নীতির সুষ্ঠু বাস্তবায়ন কর্ক উত্তরঃর্তাদের মধ্যে হতাশা দূরীকরণে সহায়ক হবে বলে আমি মনে করি।
কেন্দ্রীকরণের (পবহঃৎধষরুধঃরড়হ) ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা ব্যবস্থাপনার উচ্চপর্যায়ে কেন্দ্রীভ‚ত থাকে। আর, বিকেন্দ্রীকরণের ক্ষেত্রে এ ক্ষমতা নি পর্যায়ের ব্যবস্থাপকদের হাতে ছেড়ে দেয়া হয়। একেত্রে প্রতিষ্ঠান বিকেন্দ্রীকরণ করলে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হয়।
উদ্দীপকের মি. খায়ের প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সঠিকভাবে পালনের জন্য যথাযথ ক্ষমতা কর্মীদের দেননি। তিনি সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা কেন্দ্রীভ‚ত করে রেখেছেন। এতে কর্মীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের স্বার্থেই কিছু ক্ষমতা কেন্দ্রীকরণ ও কিছু ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ করতে হয়।
কর্মীদের নিজেদের সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা না থাকলে কাজ করতে দেরি হয়। তারা স্বতঃস্ফূর্ত দায়িত্ব পালন করতে পারে না। উদ্দীপকে মি. খায়ের কর্মীদের কিছু কিছু কাজে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা দিলে তাদের মধ্যে উৎসাহ তৈরি হবে। এতে তারা কাজে আন্তরিক হবে। এভাবে বিকেন্দ্রীকরণ নীতির সুষ্ঠু বাস্তবায়নই উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানের কর্ক উত্তরঃর্তাদের হতাশা দূর করতে পারে।
প্রশ্নঃ ২২ ‘রুমা ফুডস লি.’ শিশু খাদ্য উৎপাদনকারী একটি প্রতিষ্ঠান। উক্ত প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন কর্মীগণ কে, কি কাজ করবে, কিভাবে করবে তা নির্ধারণ করেন জনাব রাফাত। অন্যদিকে মিসেস রাশেদা উক্ত প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ করেন। তিনি প্রায়শঃই একই সময়ে উৎপাদন বিভাগ এবং বিক্রয় বিভাগের ডক্যুমেন্টস কম্পোজ করা নিয়ে সমস্যায় পড়েন। এ নিয়ে তিনি মানসিকভাবে দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত। [ঢাকা কমার্স কলেজ]
ক. ব্যবস্থাপনা কী? ১
খ. “ব্যবস্থাপনা সর্বজনীন” ব্যাখ্যা করো। ২
গ. জনাব রাফাত ব্যবস্থাপনার কোন স্তরে অবস্থান করছেন? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে মিসেস রাশেদা এর মানসিক চাপ দূরীকরণে তোমার সুপারিশ তুলে ধরো। ৪
২২ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা প্রণয়ন, সংগঠিতকরণ, কর্মীসংস্থান, নির্দেশনা, প্রেষণা ও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যম প্রতিষ্ঠানের সম্পদসমূহকে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর প্রক্রিয়াকে ব্যবস্থাপনা বলে।
খ উত্তরঃ ব্যবস্থাপনার সর্বজনীনতা বলতে সর্বত্র, সব ক্ষেত্রে, সবার দ্বারা স্বীকৃত ব্যবস্থাপনা জ্ঞানের আবশ্যকতা ও প্রয়োগ যোগ্যতাকে বোঝায়।
পরিবার, রাষ্ট্র এবং ব্যবসায় সংগঠনের সব ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনার কার্যাবলি (পরিকল্পনা প্রণয়ন সংগঠিতকরণ, নির্দেশনা, প্রেষণা ও নিয়ন্ত্রণ) প্রয়োগ করা হয়।
স্থানীয় পরিবেশ-পরিস্থিতি, সামাজিক রীতি-নীতি ইত্যাদি কারণে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি ভিন্ন হতে পারে। তবে ব্যবস্থাপনার কার্যাবলি প্রয়োগের ক্ষেত্রে তেমন কোনো পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় না। তাই ব্যবস্থাপনাকে সর্বজনীন বলা হয়।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের জনাব রাফাত ব্যবস্থাপনার নিস্তরে অবস্থান করছেন।
মধ্যম স্তরের ব্যবস্থাপনা কর্তৃক প্রণীত কর্মসূচি বাস্তবায়ন ও শ্রমিক-কর্মীদের কার্য তদারকি করার দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গকে নিস্তরীয় ব্যবস্থাপনার অন্তর্ভুক্ত ধরা হয়।
এ স্তরের ব্যবস্থাপকগণ সরাসরি কাজ বাস্তবায়নের সাথে জড়িত থাকেন। এদেরকে প্রথম সারির ব্যবস্থাপকও বলা হয়। এরা মূলত শ্রমিকদেরকে আদেশ-নির্দেশ দিয়ে থাকেন। উদ্দীপকে বর্ণিত রুমা ফুডস লি. একটি শিশু খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান।
জনাব রাফাত উক্ত প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন কর্মীদেরকে, কী কাজ, কীভাবে করবে তা নির্ধারণ করে দেন। তার কাজ মূলত কাজ বাস্তবায়নের সাথে জড়িত। তিনি সরাসরি উৎপাদন কর্মীদের আদেশ-নির্দেশ দেন। তাছাড়া কর্মীদের কাজ তদারকি করেন। এজন্য তিনি ব্যবস্থাপনার নি স্তরে অবস্থান করছেন বলা যায়।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকের মিসেস রাশেদার মানসিক চাপ দূরীকরণে আদেশের ঐক্য নীতি অনুসরণ বা দ্বৈত অধীনতা বর্জন করতে হবে।
এ নীতি অনুযায়ী একজন কর্মী বা অধীনস্ত ব্যক্তি একজনমাত্র নির্বাহী বা উপরস্থের আদেশ মেনে চলবে। এ নীতিতে দ্বৈত অধীনতা পরিহার করা হয়। দ্বৈ-অধীনতা থাকলে কর্মীদের মাঝে বিরূপ প্রভাব পড়ে। কর্মীরা কার আদেশ প্রাধান্য দেবে তা নিয়ে সংশয়ে পড়ে। এতে কর্মীরা মানসিকভাবে দ্বিধাদ্ব›েদ্ব ভোগে।
উদ্দীপকে বর্ণিত রাশেদা। ‘রুমা ফুডস লি’ এ কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ করেন। তাকে একই সময়ে উৎপাদন বিভাগের কাজ এবং বিক্রয় বিভাগের কাজের নির্দেশ দেয়া হয় এতে তিনি কোনটি আগে সম্পাদন করবেন তা নিয়ে ঝামেলায় পরে যান। এজন্য তিনি দুশ্চিন্তায় আছেন।
এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে তিনি একইসাথে দু’টি বিভাগের নির্বাহীর অধীনে কাজ করছেন যা আদেশের ঐক্যের লঙ্ঘন। এজন্য তাকে একজন নির্বাহীর অধীনে রাখতে হবে। এতে তার মানসিক চাপ লাঘব হবে।
প্রশ্নঃ ২৩ মি. রোজারিও ‘টেকভিলা বাংলাদেশ’ এর ক্রয় ব্যবস্থাপক। তিনি প্রতিষ্ঠানটির জন্য বিভিন্ন উৎস থেকে সফটওয়্যার, মাইক্রো চিপ্স ও আনুষঙ্গিক উপকরণ ক্রয় করার জন্য তার অধীনস্থ ৫ জন ব্যবস্থাপকের ওপর দায়িত্ব বণ্টন করে দেন।
তারা মি. রোজারিও এর নির্দেশনা মোতাবে কার্যসম্পাদন করেন এবং নিয়মিত তাদের কাজ সম্পর্কিত প্রতিবেদন তাকে প্রদান করেন। রোজিারিও সাহেব ঝামেলাপূর্ণ সরবরাহকারীদেরকে নিজেই দেখভাল করেন এবং অত্যন্ত কৌশলে পরিস্থিতি সামাল দেন। তার নিরলস প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠানটি ক্রমেই দেশের শীর্ষস্থানীয় তথ্য-প্রযুক্তি ফার্মে রূপ নিতে যাচ্ছে।
[ঢাকা কমার্স কলেজ]
ক. বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার জনক কে? ১
খ. প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনার মধ্যে কার্যগত পার্থক্য দেখাও। ২
গ. মি. রোজারিওর কার্যক্রমে ব্যবস্থাপকের কোন দক্ষতা পরিলক্ষিত হচ্ছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. “প্রাতিষ্ঠানিক ফলপ্রদতা অর্জনে মি. রোজারিওর ভ‚মিকা মুখ্য” ব্যবস্থাপকের ভ‚মিকার আলোকে যুক্তিসহ ব্যাখ্যা করো। ৪
২৩ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার জনক হলেন আমেরিকান মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ফ্রেডেরিক উইন্সলো টেলর ।
খ উত্তরঃ প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনার পার্থক্য নিরূপ
প্রশাসন ব্যবস্থাপনা
১. দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও নীতিমালা প্রণয়ন, পরিচালনা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং উচ্চপর্যায়ের তত্তবধান সংক্রান্ত কার্যাবলির সাথে প্রশাসন সম্পৃক্ত। ১. পরিকল্পনা প্রণয়ন, সংগঠিতকরন, কর্মীসংস্থান সমন্বয়সাধন, প্রেষণা নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি কাজের সাথে ব্যবস্থাপনা জড়িত।
২. প্রশাসন প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা প্রণয়ন করে। ২. প্রশাসন কর্তৃক গৃহীত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় কর্ম ব্যবস্থা গ্রহণ করো।
৩. প্রশাসনের যারা কাজ করেন তারা প্রশাসক ও প্রশাসনিক কর্ক উত্তরঃর্তা। ৩. ব্যবস্থাপনার সাথে যারা সংশ্লিষ্ট তারা ব্যবস্থাপক।
৪. প্রশাসন পরিচালনা পর্যেেদর নিকট দায়ী থাকে। ৪. ব্যবস্থাপনা সরাসরি প্রশাসনের নিকট দায়ী থাকে।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের মি. রোজারিওর কার্যক্রমে ব্যবস্থাপকের মাননীয় দক্ষতার দিকটি পরিলক্ষিত হচ্ছে।
কর্মীদের দিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়ার জন্য যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা, তাদের প্রভাবিত ও অনুপ্রাণিত করার ক্ষমতা হলো মানবীয় দক্ষতা। কর্মীদেরকে দিয়ে সঠিকভাবে কাজ করিয়ে নেওয়ার জন্য তাদের আবেগ-অনুভ‚তি, মনোভাব ও ইচ্ছা-অনিচ্ছা বুঝতে হয়। এজন্য তাদের সাথে যোগাযোগ রাখতে হয়।
উদ্দীপকের মি. রোজারিও একজন ক্রয় ব্যবস্থাপক। তিনি তার প্রতিষ্ঠানের জন্য সফটওয়্যার, মাইক্রো চিপসসহ অন্যান্য উপকরণ ক্রয় করেন। এজন্য তিনি তার অধীনস্থ পাঁচজন ব্যবস্থাপকের ওপর দায়িত্ব বণ্টন করে দেন।
ব্যবস্থাপকগণ তার নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করেন এবং নিয়মিত কাজ সম্পর্কিত প্রতিবেদন তাকে প্রদান করেন। তাই দেখা যায় তিনি কার্য করিয়ে নেওয়ার জন্য অধীনস্থদের সাথে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করছেন এবং প্রয়োজনীয় আদেশ-নির্দেশ দিচ্ছেন।
এছাড়া তিনি অধীনস্থদের কাজ সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজখবরও রাখছেন। এজন্য তার এ সংক্রান্ত দক্ষতাকে মানবীয় সম্পর্কগত দক্ষতা বলা যায়।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকের মি. রোজারিও আন্তঃব্যক্তিক ভ‚মিকা পালন করেছেন। প্রাতিষ্ঠানিক ফলপ্রদতা অর্জনে তার এই ভ‚মিকাই মুখ্য অবদান রেখেছে।
ব্যবস্থাপকের আন্তঃব্যক্তিক ভ‚মিকা বলতে সহকর্মী, অধীনস্থ ও প্রতিষ্ঠানের বাইরের বিভিন্ন পাওনাদার, প্রতিযোগী, সরবরাহকারী পক্ষের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করাকে বোঝায়। এতে পাস্পরিক সম্পর্ক জোরদার হয়। ফলে লক্ষ্য অর্জন সহজ হয়।
উদ্দীপকে বর্ণিত মি. রোজারিও একজন ক্রয় ব্যবস্থাপক, তিনি অধীনস্থদের দিয়ে ক্রয় সংক্রান্ত কাজ করিয়ে থাকেন। তবে ঝামেলাপূর্ণ সরবরাহকারীদেরকে নিজেই দেখভাল করেন এবং অত্যন্ত কৌশলে পরিস্থিতি সামাল দেন। তার নিরলস প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠানটি ক্রমেই দেশের শীর্ষস্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি ফার্মে রূপ নিতে যাচ্ছে।
তাই দেখা যায় চ‚ড়ান্ত কর্তৃপক্ষের মতো তিনি সরবরাহকারীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেন ও বেশি ঝামেলাপূর্ণ বিষয় নিজেই তদারকি করেন। তিনি অতি কৌশলে সমস্যা মোকাবিলা করেন।
তার কার্যকর পদক্ষেপ ও কৌশলের কারণেই প্রতিষ্ঠান সাফল্য পাচ্ছে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের মি. রোজারিও এর আন্তঃব্যক্তিক ভ‚মিকার ফলেই প্রতিষ্ঠানের উত্তরোত্তর উন্নতি ঘটেছে।
প্রশ্নঃ ২৪
চিত্রে চ হচ্ছে লিমা লি.-এর শীর্ষ কর্ক উত্তরঃর্তা। ঝ এবং ঠ হচ্ছে নি স্তরের কর্মী। ঞ হচ্ছে নিরাপত্তা বিভাগের ব্যবস্থাপক।[গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট কলেজ]
ক. ব্যবস্থাপনা কী? ১
খ. ব্যবস্থাপনাকে সর্বজনীন বলা হয় কেন? ২
গ. চিত্রে ছ এবং জ একই সাথে ঝ কে ভিন্ন ভিন্ন কার্য সম্পাদনের নির্দেশ প্রদান করলে ব্যবস্থাপনার কোন নীতির লঙ্ঘন হবে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে উলিখিত লিমা লি.-এর গুদামে আগুন লাগলে ঠ সরাসরি ঞ কে আগুন লাগার সংবাদ দিতে পারবে কিনা? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪
২৪ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ লক্ষ্য অর্জনের জন্য পরিকল্পনা প্রণয়ন, সংগঠিতকরণ, কর্মীসংস্থান, নির্দেশনা, প্রেষণা, সমন্বয়সাধন ও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সম্পদ সঠিকভাবে কাজে লাগানোকে ব্যবস্থাপনা বলে।
খ উত্তরঃ ব্যবস্থাপনার সর্বজনীনতা বলতে সর্বত্র বা সব ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনার প্রয়োগ ও গ্রহণযোগ্যতাকে বোঝায়।
পরিবার, রাষ্ট্র এবং ব্যবসায় সংগঠনের সব ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনার কার্যাবলি (পরিকল্পনা, সংগঠন, নির্দেশনা, প্রেষণা, সমন্বয়সাধন ও নিয়ন্ত্রণ) প্রয়োগ করা হয়।
স্থানীয় পরিবেশ পরিস্থিতি, সামাজিক রীতি-নীতি ইত্যাদির কারণে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি ভিন্ন হতে পারে। তবে এর কার্যাবলি প্রয়োগের ক্ষেত্রে তেমন পার্থক্য হয় না। তাই ব্যবস্থাপনাকে সর্বজনীন বলা হয়।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের চিত্রে ছ এবং জ একই সাথে ঝ কে ভিন্ন ভিন্ন কার্যসম্পাদনের নির্দেশ প্রদান করলে ব্যবস্থাপনার আদেশের ঐক্য নীতির লঙ্ঘন হবে।
এ নীতিতে কোনো অধস্তন কর্মী একজন ঊর্ধ্বতন (ইঙঝঝ) এর নিকট থেকেই সরাসরি আদেশ পেয়ে থাকে। ফলে উক্ত কাজের জন্য ঐ ঊর্ধ্বতনের কাছে জবাবদিহি করতে হয়। এতে ভুল বোঝাবুঝির সম্ভাবনা থাকে না। এ নীতির ব্যত্যয় ঘটলে কাজ করতে ঝামেলা হয়।
উদ্দীপকের চিত্রে ঝ এবং ঠ হচ্ছে নি স্তরের কর্মী। আর ঞ হচ্ছে নিরাপত্তা বিভাগের ব্যবস্থাপক। ঞ এর সমপর্যায়ভুক্ত হলো ছ। আবার ছ এবং ঞ এর অধীনস্থ হলো জ এবং ট। এখানে সর্বনি স্তরে অবস্থিত ঝ কে যদি ছ এবং জ একই সাথে কাজের নির্দেশ দেয় ঝ সমস্যায় পড়বে।
কারণ কার কাজ আগে করতে হবে তা নিয়ে ঝ দ্বিধায় পড়বে। এতে কোনো কাজই সঠিকভাবে সম্পন্ন হবে না। বৈশিষ্ট্যানুযায়ী এটি আদেশের নীতির লঙ্ঘন বলে বিবেচিত হবে।
ঘ উত্তরঃ ব্যবস্থাপনার জোড়া মই শিকল (ঝপধষধৎ পযধরহ) অনুযায়ী উদ্দীপকের লিমা লি.-এর গুদামে আগুন লাগলে ঠ সরাসরি ঞ কে সংবাদ দিতে পারবে না।
এ নীতি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে নিচের স্তর পর্যন্ত প্রতিটি কর্মী, বিভাগ ও উপবিভাগকে একই সূত্রে আবদ্ধ করা হয়।
এক্ষেত্রে কর্তৃত্ব ঊর্ধ্বতন কর্ক উত্তরঃর্তা থেকে ধাপে ধাপে অধস্তনদের কাছে নেমে আসে। কিন্তু জবাবদিহিতা নিচের স্তর থেকে ধাপে ধাপে উপরের দিকে চলে আসে। এটি কর্মীদের কর্তৃত্বের প্রবাহ ও যোগাযোগের পথ নির্দেশ করে।
উদ্দীপকে লিমা লি.-এ ঞ হচ্ছে নিরাপত্তা বিভাগের ব্যবস্থাপক। তার নিচে ঐ বিভাগের কর্মী হলে ট এবং সর্বনি স্তরের কর্মী ঠ।
গুদামে আগুন লাগলে পদমর্যাদা অনুযায়ী ঠ, ট কে জানাবে। এক্ষেত্রে সমস্যা সমাধানে ট পদক্ষেপ নিবে। আবার, ট এ সংবাদ তার বস (ইড়ংং) ঞ কে জানাবে। এভাবই নির্দিষ্ট নিয়মে যে যার দায়িত্ব পালন করবে।
এতে কর্মীদের মধ্যে সংঘবদ্ধতা জোরদার হবে। ফলে দ্রুত সমস্যার সমাধান করা যাবে। এজন্য লিমা লি.-এর গুদামে আগুন লাগলে ঠ সরাসরি ঞ কে আগুন লাগার সংবাদ দিতে পারবে না।
প্রশ্নঃ ২৫ মি. সুমন ও মি. আরিফ দুজন বন্ধু ও দুই প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার। মি. সুমনের নিচের দিকের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীর সংখ্যা কম থাকায় প্রতিটি উপবিভাগের কর্মী নির্দিষ্ট করা যায়নি। ফলে একজন কর্মী একাধিক বিভাগের কাজ করতে গিয়ে ‘নানা জনের নানান নির্দেশ’ মানতে প্রায়শই বিপদে পড়ে। অন্যদিকে মি. আরিফ নীতি মেনে কাজ করার বিষয়ে খুবই সতর্ক। কোনো আদেশ দেয়ার পূর্বে তিনি আগের আদেশ, কার্যফল ইত্যাদি মূল্যায়ন করেন। তার অধীন কাজ করতে অধস্তন নির্বাহীরা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। অ [নরসিংদী সরকারি মহিলা কলেজ; কুমিলা কমার্স কলেজ]
ক. কারিগরি দক্ষতা কী? ১
খ. ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলার নীতি বলতে কী বোঝায়? ২
গ. মি. সুমনের প্রতিষ্ঠানে ব্যবস্থাপনার কোন নীতি মান্য না করায় কর্মীদের বিপদে পড়তে হয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. মি. আরিফ ব্যবস্থাপনার নির্দেশনার ঐক্য নীতি মেনে চলায় অধস্তন নির্বাহীরা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। তুমি কি এ মত সমর্থন কর? মতের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪
২৫ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানের প্রতিটা কাজ সম্পাদনে যে পদ্ধতি, কৌশল বা যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয় তা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারাকে কারিগরি দক্ষতা বলে।
যন্ত্রপাতি ব্যবহারের জ্ঞান, হিসাব সংরক্ষণ ও নিরীক্ষার জ্ঞান ইত্যাদি কারিগরি দক্ষতার অন্তর্ভুক্ত।
খ উত্তরঃ যোগ্য ব্যক্তিকে উপযুক্ত পদে নিয়োগ এবং সঠিক বস্তুকে সঠিক জায়গায় স্থাপনের নীতিকেই ব্যবস্থাপনার শৃঙ্খলার নীতি (চৎরহপরঢ়ষব ড়ভ ড়ৎফবৎ) বলে।
এ নীতির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের মানবীয় (শ্রমিক-কর্মী) ও অমানবীয় (যন্ত্রপাতি, কাঁচামাল, অর্থ ইত্যাদি) উপাদানসমূহের সর্বোচ্চ ব্যবহার করা সম্ভব হয়। এতে কর্মীদের কর্মদক্ষতা বাড়ে। ফলে কাজ করতে কম সময় লাগে। এ নীতির অনুসরণে প্রতিষ্ঠানের সাফল্য অর্জন সহজ হয়।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের মি. সুমনের প্রতিষ্ঠানে ব্যবস্থাপনার আদেশের ঐক্য নীতি মান্য না করায় কর্মীদের বিপদে পড়তে হয়েছে।
এ নীতিতে কোনো অধস্তন কর্মী একজন ঊর্ধ্বতন -এর কাছ থেকেই সরাসরি আদেশ পেয়ে থাকে। তার কাজের জন্যও ঐ ঊর্ধ্বতনের কাছেই জবাবদিহি করতে হয়। এতে ভুল বোঝাবুঝির সম্ভাবনা থাকে না। এ নীতি না মানলে কর্মীদের কাজ করতে ঝামেলা হয়।
উদ্দীপকে মি. সুমন একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক। তার প্রতিষ্ঠানে নিচের দিকের তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারীর সংখ্যা কম। ফলে প্রতিটি উপবিভাগের জন্য কর্মী নির্দিষ্ট করা যায়নি। এতে দেখা যায়, একজন কর্মী একাধিক বিভাগ থেকে কাজ করার আদেশ পায়।
ফলে কর্মীরা কোন কাজটি আগে বা পরে করবে তা নিয়ে সমস্যায় পড়ে। কাজের ক্ষেত্রে তারা দ্বিধা-দ্ব›েদ্ব পড়ে বলে ভুল বোঝাবুঝি হয়। তাই বলা যায়, আদেশের ঐক্য নীতি অনুসরণ না করায় কর্মীদের দায়িত্ব পালনে সমস্যা হচ্ছে।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকের মি. আরিফ ব্যবস্থাপনার নির্দেশনার ঐক্য নীতি মেনে চলায় অধস্তন নির্বাহীরা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। আমি এ বক্তব্যটি সমর্থন করি।
এ নীতিতে কর্মীদের সবসময় একই ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে আগের কাজের সাথে মিল রেখে পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া হয়। এতে কর্মীরা সহজে কাজ করতে পারে। প্রতিষ্ঠানও দ্রুত সাফল্য লাভ করতে পারে।
উদ্দীপকে মি. আরিফ একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক। তিনি ব্যবস্থাপনায় নীতি মেনে চলার বিষয়ে খুবই সতর্ক। কর্মীদের কোনো আদেশ দেয়ার ক্ষেত্রে তিনি আগের আদেশ ও এর কার্যফল মূল্যায়ন করেন। এটি নির্দেশনার ঐক্যের কাজের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
এ নীতি অনুসরণের মাধ্যমে আগের দিকনির্দেশনার সাথে পরবর্তী নির্দেশের মিল থাকে। এতে কর্মীরা একই ধরনের কাজ বারবার করে দক্ষতা অর্জনের সুযোগ পায়। নির্দেশনায় ভিন্নতা না থাকার কারণে কাজে ব্যাঘাত ঘটে না।
এতে কর্মীরা স্বাভাবিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে। তাই বলা যায়, নির্দেশনার ঐক্য নীতি মেনে চলার কারণে অধস্তন নির্বাহীরা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।