ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ৭ | সৃজনশীল প্রশ্ন ২১-২৬ | PDF: ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের সত্তম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের সত্তম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ৭ | সৃজনশীল প্রশ্ন ২১-২৬ | PDF
প্রশ্ন ২১: জনাব নাফিস একজন ব্যবসায়ী। তিনি তার ব্যবসায়ের চলতি মূলধনজনিত প্রতিবন্ধকতা দূর করার জন্য তার স্থাবর সম্পত্তি (কাঁচামাল ও পণ্য) বন্ধক রেখে সোনালী ব্যাংক লি.-এর কাছ থেকে ঋণ গ্রহণ করেন। ঋণের শর্ত নুযায়ী তিনি শুধুমাত্র উত্তোলিত অর্থের উপর সুদ প্রদান করবেন। ন্যদিকে সোনালী ব্যাংক লি. স্বল্প সময়ের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ গ্রহণ করতে যেয়ে দেখতে পেল বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের সুদের হার ২% বৃদ্ধি করেছে। এর ফলে ঋণ খাতে বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে ব্যাংকটির ধারণা।
[হলি ক্রস কলেজ, ঢাকা]
ক. বিশেষায়িত ব্যাংক কী? ১
খ. ‘ই’-ব্যাংকিং ব্যবস্থায় বাণিজ্যিক ব্যাংক সমূহের বিবিধ আয় বৃদ্ধি পায় আলোচনা করো। ২
গ. উদ্দীপকে জনাব নাফিস কোন ধরনের ঋণ বা আগাম গ্রহণ করেছে? ৩
ঘ. উদ্দীপকে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন ঋণ নিয়ন্ত্রণ নীতির কথা বলা হয়েছে। অর্থনীতিতে তার প্রভাব আলোচনা করো। ৪
২১ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: যে সকল ব্যাংক গ্রাহকদের প্রয়োজন ও অর্থনীতির বিশেষ কোনো দিক নিয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে তাকে বিশেষায়িত ব্যাংক বলে।
যেমন- কৃষি ব্যাংক, শিল্প ব্যাংক, সমবায় ব্যাংক, আমদানি-রপ্তানি ব্যাংক ইত্যাদি বিশেষায়িত ব্যাংক।
খ উত্তর: “ই-ব্যাংকিং ব্যবস্থায় বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের বিবিধ আয় বৃদ্ধি পায়” উক্তিটি যথাঅর্থ।
ই-ব্যাংকিং বলতে ইলেকট্রনিক বা আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে বোঝায়। এ ব্যবস্থায় সহজে ও কম সময়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম সম্পাদন করা যায়। যে সকল ব্যাংকে এরূপ ব্যাংকিং ব্যবস্থা রয়েছে সেসকল ব্যাংকে আধুনিক সেবা গ্রহণের জন্য নতুন নতুন গ্রাহক সমাগম ঘটে। ফলে ব্যাংকের আমানত, বিনিয়োগ ও ঋণ বৃদ্ধি পায়। এতে ব্যাংকের আয়ও বৃদ্ধি পায়।
গ উত্তর: উদ্দীপকে জনাব নাফিস ‘নগদ ঋণ’ গ্রহণ করেছেন।
নগদ ঋণ বলতে গ্রাহকদের স্থাবর সম্পত্তি (বিশেষত পণ্য) বন্ধকের বিনিময়ে মঞ্জুরকৃত ঋণকে বুঝায়। এক্ষেত্রে ব্যাংক ঋণের টাকা গ্রাহককে নগদে না দিয়ে নগদ ঋণ হিসাবে স্থানান্তর করে দেয়। এ ঋণের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এতে স্থানান্তরিত সম্পূর্ণ টাকার পরিবর্তে শুধু উত্তোলিত টাকার ওপর সুদ ধার্য করা হয়।
উদ্দীপকে জনাব নাফিস একজন ব্যবসায়ী। তার ব্যবসায়ে হঠাৎ চলতি মূলধনের সংকট দেখা দেয়। তাই তিনি তার স্থাবর সম্পত্তি বন্ধক রেখে সোনালী ব্যাংক হতে ঋণ গ্রহণ করেন। ঋণের শর্ত নুযায়ী তিনি শুধু উত্তোলিত অর্থের ওপরই সুদ প্রদান করবেন। এখানে তার জামানতকৃত কাঁচামাল ও পণ্য এবং ঋণের শর্ত বিবেচনায় বলা যায়, তিনি নগদ ঋণ গ্রহণ করেছেন।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ নিয়ন্ত্রণের ব্যাংক হার নীতির কথা বলা হয়েছে।
ব্যাংক হার বলতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো যে সুদের হারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করে সে হারকে বোঝায়। এ হারের হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজারে ঋণ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
উদ্দীপকে সোনালী ব্যাংক লি. স্বল্প সময়ের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ নিতে চায়। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের সুদের হার ২% বৃদ্ধি করেছে। অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে যে ঋণ দেয়, সে ঋণের সুদের হার বা ব্যাংক হার ২% বৃদ্ধি পেয়েছে।
ব্যাংক হার বৃদ্ধির ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোও তাদের ঋণের সুদের হার বৃদ্ধি করবে। এতে গ্রাহকদের মধ্যে ঋণ গ্রহণে নিরুৎসাহ সৃষ্টি হবে। ফলশ্র“তিতে বাজারে ঋণের পরিমাণ হ্রাস পাবে। অর্থাৎ বাজারে ঋণের পরিমাণ আধিক্য বা ত্যধিক হয়ে গেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ নীতি নুসরণ করে কাম্য ঋণস্তর বজায় রাখে। এতে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
প্রশ্ন ২২: মি. রফিক বড় শিল্পপতি। সান ব্যাংকে তার লেনদেন। উক্ত ব্যাংকের ম্যানেজার তাকে কোনো বস্তুগত জামানত ছাড়াই ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ধিক অর্থ চেকে উত্তোলনের সুযোগ দিয়েছে। মি. রফিকের ব্যবসায় বেড়ে যাওয়ায় তাকে এখন নেক বেশি পরিমাণে কাঁচামাল আমদানি ও প্রস্তুত পণ্য মজুদ রাখতে হচ্ছে। তাই তিনি চলতি মূলধনের সংকটে রয়েছেন। পূর্বের মঞ্জুরকৃত ঋণের পরিমাণ ১০ কোটি টাকায় বৃদ্ধির কথা বললে ব্যাংক ম্যানেজার তাকে ভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন। [গুলশান কমার্স কলেজ, ঢাকা]
ক. ভাসমান মুদ্রা কী? ১
খ. ঋণ বিশ্লেষণে আবেদনকারীর বস্থা বিবেচনা মুখ্য কেন? ২
গ. উদ্দীপকের সান ব্যাংক মি. রফিককে তার তহবিল থেকে কোন ধরনের ঋণ মঞ্জুর করেছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. ব্যাংক ম্যানেজার মি. রফিককে যে পরামর্শ দিয়েছেন তার যথাঅর্থতা উদ্দীপকের আলোকে মুল্যায়ন করো। ৪
২২ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: কোনো দেশের মুদ্রার মান মুদ্রাবাজারে বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা ও যোগানের ভারসাম্য দ্বারা নির্ধারিত হলে তাকে ভাসমান মুদ্রা বলা হয়।
খ উত্তর: প্রদত্ত ঋণের অর্থ ফেরত পাওয়া নির্ভর করে আবেদনকারীর বস্থার ওপর এবং তাই ঋণ বিশ্লেষণে এটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়।
ঋণ বিশ্লেষণ বলতে ঋণগ্রহীতা, ঋণ প্রকল্প ও জামানত সংক্রান্ত বিচার-বিশ্লেষণের কাজকে বুঝায়। এরূপ বিচার-বিশ্লেষণ দ্বারা মূলত ঋণের অর্থ ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা যাচাই-বাছাই করা হয়। আর ঋণ পরিশোধের ক্ষমতা নির্ভর করে ঋণ আবেদনকারীর আঅর্থিক বস্থার ওপর। এজন্যই ঋণ বিশ্লেষণে আবেদনকারীর বস্থা বা তার আঅর্থিক বস্থা মুখ্যভাবে বিবেচনা করা হয়।
গ উত্তর: উদ্দীপকে সান ব্যাংক মি. রফিককে জমাতিরিক্ত ঋণ মঞ্জুর করেছে।
ব্যাংক তার চলতি হিসাবের গ্রাহকদেরকে জমাকৃত অর্থের চেয়ে তিরিক্ত অর্থ উত্তোলনের সুযোগ দেয়। এ তিরিক্ত অর্থ উত্তোলনই হলো জমাতিরিক্ত ঋণ।
উদ্দীপকে মি. রফিক একজন বড় শিল্পপতি। তিনি সান ব্যাংকের মাধ্যমে ব্যবসায়িক লেনদেন করে থাকেন।
উক্ত ব্যাংকের ম্যানেজার তাকে জামানত ছাড়াই তিরিক্ত ১০ লক্ষ টাকা উত্তোলনের সুযোগ দিয়েছে। অর্থাৎ তিনি তার চলতি হিসাবে জমাকৃত অর্থ উত্তোলনের পর আরো ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত উত্তোলন করতে পারবেন। এ বৈশিষ্ট্য বিবেচনায় বলা যায়, সান ব্যাংক কর্তৃক মি. রফিককে প্রদত্ত ঋণটি হলো জমাতিরিক্ত ঋণ।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে ব্যাংক ম্যানেজার মি. রফিককে নগদ ঋণ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
নগদ ঋণ বলতে ব্যাংক তার গ্রাহকদের স্থাবর সম্পত্তি বন্ধকের বিনিময়ে যে ঋণ মঞ্জুর করে তাকে বোঝায়। মূলত ব্যবসায়ের চলতি মূলধনজনিত সুবিধা দূর করার জন্য এ ঋণ নেওয়া হয়ে থাকে।
উদ্দীপকে মি. রফিক সান ব্যাংকের মাধ্যমে ব্যবসায়ের লেনদেন সম্পাদন করেন। সান ব্যাংকে তার চলতি হিসাব থাকায় ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জমাতিরিক্ত ঋণের সুবিধা তিনি পাচ্ছেন। বর্তমানে তার ব্যবসায়ের পরিধি বড় হওয়ায় তিনি এ ঋণ সীমা ১০ লক্ষ থেকে ১০ কোটি টাকায় বৃদ্ধির কথা বলেন। তখন ব্যাংক ম্যানেজার তাকে ভিন্ন পরামর্শ দেন।
এখানে ব্যাংক ম্যানেজার তাকে নগদ ঋণ গ্রহণের পরামর্শ দেয়। তার ব্যবসায়ের মজুদকৃত পণ্য বন্ধক রেখে তিনি এ ঋণ পেতে পারেন। আবার, চলতি মূলধনের সংকট নিরসনে ন্যান্য ঋণের তুলনায় নগদ ঋণ বেশি সুবিধাজনক। এতে মূলধন ব্যয় কম হয় এবং নামমাত্র জামানত দিতে হয়। তাই বলা যায়, ব্যাংক ম্যানেজার যে পরামর্শ দিয়েছেন তা যথাঅর্থ।
প্রশ্ন ২৩: আকাশ তার পড়ালেখার ব্যয় নির্বাহের জন্য অর্থ চায়। তার বাবা গ্রাম্য মহাজন থেকে উচ্চ হার সুদ ঋণ নিতে বলে। কিন্তু তার শ্রেণি শিক্ষক তাকে তার গ্রামের ব্যাংক থেকে টাকা সংগ্রহের পরামর্শ দেন। [নোয়াখালী সরকারি কলেজ]
ক. বাণিজ্যিক ব্যাংক কী? ১
খ. ব্যাসেল-২ বলতে কী বোঝ? ২
গ. আকাশ ব্যাংক থেকে কোন ধরনের ঋণ পাবে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. মহাজনের পরিবর্তে আকাশের ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়ার সিদ্ধান্ত কী সঠিক ছিল? ব্যাখ্যা করো। ৪
২৩ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: মুনাফা র্জনের উদ্দেশ্য নিয়ে যে ব্যাংক আমানত গ্রহণ, ঋণদান ও ন্যান্য ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে তাকে বাণিজ্যিক ব্যাংক বলে।
খ উত্তর: তালিকাভুক্ত ব্যাংকসমূহের ঝুঁকি ভিত্তিক মূলধন পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গঠিত বিধি-বিধান হলো ব্যাসেল-২।
ব্যাসেল-২ মূলত ব্যাসেল-১ এর পরিমার্জিত রূপ। বাণিজিক ব্যাংকের ঝুঁকি নুপাতে মূলধন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১৯৮৮ সালে আন্তর্জাতিকভাবে একটি ফ্রেমওয়ার্ক প্রণয়ন করা হয়। সেই ফ্রেমওয়ার্কই ব্যাসেল-১ ও ব্যাসেল-২ নামে পরিচিত।
এই ফ্রেমওয়ার্ক নুযায়ী কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংককে নির্দিষ্ট পরিমাণ মূলধন ও সংরক্ষিত তহবিল রাখার জন্য বাধ্য করে। ফলশ্র“তিতে ব্যাংকের বিনিয়োগ ঝুঁকি হ্রাস পায় এবং আমানতকারীদের স্বাঅর্থ সংরক্ষিত হয়।
গ উত্তর: উদ্দীপকে ব্যাংক থেকে আকাশ বাণিজ্যিক ঋণ পাবে।
বাণিজ্যক উদ্দেশ্যের বাইরে যে ঋণ প্রদত্ত হয় তাকে বাণিজ্যিক ঋণ বলে। ঘর-বাড়ি নির্মাণ, গৃহস্থালী দ্রব্যাদি ক্রয়, শিক্ষা ব্যয় নির্বাহ ইত্যাদি ক্ষেত্রে মঞ্জুরকৃত ঋণ বাণিজ্যিক ঋণ হিসেবে বিবেচিত।
উদ্দীপকে পড়ালেখার ব্যয় নির্বাহের জন্য আকাশের অর্থের প্রয়োজন। তার বাবা তাকে গ্রাম্য মহাজন থেকে উচ্চ হার সুদ ঋণ নিতে বলে। কিন্তু, তার শিক্ষক তাকে গ্রামের একটি ব্যাংক থেকে টাকা সংগ্রহের পরামর্শ দেন।
ব্যাংক মূলত বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে শিক্ষা ব্যয় নির্বাহের জন্য গ্রাহককে ঋণ দিয়ে থাকে। এখানে, আকাশ তার শিক্ষা ব্যয় নির্বাহের জন্য ঋণ নিবেন বিধায় বলা যায় ব্যাংক তাকে বাণিজ্যিক ঋণ প্রদান করবে।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে মহাজনের পরিবর্তে আকাশের ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়ার সিদ্ধান্তটি যৌক্তিক।
ঋণ বলতে ন্যের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করাকে বোঝায়, যা নির্দিষ্ট সময়ের পর ফেরত দেয়া হবে। এ ঋণ গ্রাম্য মহাজন কিংবা ব্যাংক যেকোনো উৎস থেকেই সংগ্রহ করা যায়।
উদ্দীপকে আকাশ তার পড়ালেখার ব্যয় নির্বাহের জন্য ঋণ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তার বাবা তাকে গ্রাম্য মহাজন থেকে ঋণ নেয়ার পরামর্শ দেয়। পরদিকে, তার শ্রেণী শিক্ষক তাকে ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়ার পরামর্শ দেন।
এখানে, মহাজন থেকে ঋণ নিলে আকাশকে উচ্চ হারে সুদ দিতে হতো। পরদিকে, ব্যাংকের সুদের হার তুলনামূলক নেক কম। এছাড়া, গ্রাম্য মহাজনগণ যেকোনো সময় ঋণের অর্থ ফেরত চাইতে পারে। কিন্তু, ব্যাংকের ক্ষেত্রে কিস্তিতে ঋণের অর্থ পরিশোধ করতে হয় বিধায় এটি বেশি সুবিধাজনক। তাই বলা যায়, গ্রাম্য মহাজনের পরিবর্তে ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়ার সিদ্ধান্তটি সঠিক ছিল।
প্রশ্ন ২৪ পদ্মা ব্যাংক পূর্বস্বত্ব বন্ধকের আওতায় জনাব সজলকে ১৫ বছরের জন্য ঋণ মঞ্জুর করে। শর্ত নুযায়ী জনাব সজলের সেভিং সার্টিফিকেট বন্ধক হিসেবে ব্যাংকের দখলে আছে। নিয়মিত কিস্তি পরিশোধে জনাব সজল পারগ হন। ব্যাংক সেভিং সার্টিফিকেট বিক্রয়ের জন্য আদালতের নুমতি প্রাঅর্থনা করে। আদালত সজলের পূর্বস্বত্ব বন্ধকটির ধরন বিবেচনা করে ব্যাংকের আবেদন বাতিল করে।
[সুনাগ উত্তর:ঞ্জ সরকারি কলেজ]
ক. ব্যাংক ড্রাফট কী? ১
খ. ঋণের বিপরীতে ব্যাংক কেন জামানত গ্রহণ করে? ২
গ. মেয়াদের ভিত্তিতে জনাব সজলের ঋণটি কোন ধরনের ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে বন্ধকটি কোন ধরনের পূর্বস্বত্ব বিশিষ্ট হওয়ায় ব্যাংক সেভিং সার্টিফিকেট বিক্রি করতে পারেনি? যুক্তি দাও। ৪
২৪ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: চাহিবামাত্র প্রাপকের অর্থ পরিশোধের জন্য ব্যাংকের এক শাখা ন্য শাখাকে যে লিখিত নির্দেশ দেয় তাকে ব্যাংক ড্রাফট বলে।
খ উত্তর: ঋণের অর্থ ফেরত পাওয়ার নিশ্চয়তা বিধানের লক্ষ্যে ব্যাংক ঋণের বিপরীতে জামানত গ্রহণ করে।
ব্যাংক সাধারণত ব্যক্তিক ও ব্যক্তিক জামানতের ভিত্তিতে ঋণ দেয়। ঋণগ্রহীতার স্থাবর ও স্থাবর সম্পত্তি ব্যাংক ব্যক্তিক জামানত হিসেবে বিবেচনা করে।
পক্ষান্তরে ঋণগ্রহীতার বা তার পক্ষে নিশ্চয়তা প্রদানকারী ব্যক্তির সুনাম, চরিত্র, আঅর্থিক সচ্ছলতা ইত্যাদি ব্যাংক ব্যক্তিক জামানত হিসেবে বিবেচনা করে থাকে। গ্রাহক গৃহীত ঋণ পরিশোধে ব্যঅর্থ হলে ব্যাংক জামানত বিক্রয় করে ঋণের অর্থ আদায় করতে পারে।
গ উত্তর: উদ্দীপকে জনাব সজলের ঋণটি মেয়াদের ভিত্তিতে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ হিসেবে বিবেচিত।
দীর্ঘমেয়াদি ঋণ বলতে পাঁচ বছরের ধিক সময়ের জন্য মঞ্জুরকৃত ঋণকে বোঝায়। এ ধরনের ঋণের ক্ষেত্রে ব্যাংক সাধারণত ঋণগ্রহীতার স্থায়ী সম্পদ জামানত রাখে।
উদ্দীপকে জনাব সজল পূর্বস্বত্ব বন্ধকের আওতায় পদ্মা ব্যাংক থেকে ১৫ বছরের জন্য ঋণ নেন। ঋণের শর্ত নুযায়ী, জনাব সজল তার সেভিংস সার্টিফিকেট জামানত হিসেবে ব্যাংকের কাছে জমা রাখেন। অর্থাৎ এখানে তিনি একদিকে স্থায়ী সম্পদ জামানত রেখেছেন এবং ন্যদিকে ৫ বছরের ধিক সময়ের জন্য ঋণ নিয়েছেন। এ সকল বিষয় বিবেচনা করে বলা যায়, জনাব সজলের গৃহীত ঋণটি হলো দীর্ঘমেয়াদি ঋণ।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকের বন্ধকটি সাধারণ পূর্বস্বত্ব হওয়ায় ব্যাংক সেভিংস সার্টিফিকেটটি বিক্রি করতে পারেনি।
পূর্বস্বত্ব গ্রহণের মাধ্যমে ঋণ প্রদানের বিপক্ষে ঋণগ্রহীতার কাছ থেকে প্রাপ্ত সম্পত্তির ওপর ব্যাংকের বৈধ ধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। এ ধিকার বলে ঋণ পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত ঋণ গ্রাহকের সম্পত্তি ব্যাংক নিজের দখলে রাখবে। কিন্তু উভয়পক্ষের মধ্যে বিপরীত কোনো চুক্তি না থাকলে ব্যাংক ঐ সম্পত্তি বিক্রয় করার কোনো ধিকার পায় না।
উদ্দীপকে জনাব সজল পদ্মা ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করেছে। পূর্বস্বত্ব গ্রহণের আওতায় জনাব সজল তার সেভিংস সার্টিফিকেট ব্যাংকের নিকট জমা রেখেছে। নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ না করায় ব্যাংক তার সেভিংস সার্টিফিকেটটি বিক্রয় করতে চায়। এ জন্য আদালতের কাছে আবেদন করা হলে আদালত ব্যাংকের আবেদন বাতিল করে দেয়।
এখানে, জনাব সজল সেভিংস সার্টিফিকেট বন্ধক রাখায় নিশ্চিতভাবে বলা যায়, এটি সাধারণ পূর্বস্বত্বের আওতাভুক্ত। আর সাধারণ পূর্বস্বত্বের ক্ষেত্রে ব্যাংক ঋণগ্রহীতার সম্পত্তি আটকে রাখতে পারে, কিন্তু বিক্রি করার ধিকার পায় না। এ সকল বিষয় বিবেচনা করে বলা যায়, সজলের বন্ধকটি সাধারণ পূর্বস্বত্ব হওয়ায় ব্যাংক তা বিক্রি করতে পারেনি।
প্রশ্ন ২৫: সিরাজগঞ্জে শাহিন মিয়া একজন সুনামধারী মৎস্য খামার ব্যবসায়ী। তিনি সব সময় চেকের মাধ্যমে লেনদেন করেন। গত তিন বছর তিনি ৩ কোটি টাকা আয় করেছেন। এ বছর তিনি সুইডেনে মাছ রপ্তানির জন্য যোগাযোগ করেছেন এবং একটি র্ডারও পেয়েছেন। কিন্তু পর্যাপ্ত মূলধনের ভাবে তিনি একটি ব্যাংকের সাথে কথা বলেছেন। [মেহেরপুর সরকারি কলেজ]
ক. বিদেশে অর্থ প্রেরণ কাকে বলে? ১
খ. ই-মেইল ট্রান্সফার কি? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. মি. শাহিন মিয়া ব্যাংকে কোন ধরনের হিসাব খুলেছেন? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. রপ্তানির ক্ষেত্রে বিদ্যমান আঅর্থিক সমস্যা মি. শাহিন মিয়া কিভাবে সমাধান করতে পারেন? ব্যাখ্যা করো। ৪
২৫ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: আন্তর্জাতিক স্বীকৃত কোনো উপায়ে এক দেশ থেকে ন্য দেশে অর্থ প্রেরণ করার কাজকে বিদেশে অর্থ প্রেরণ বলে।
খ উত্তর: ই-মেইল ট্রান্সফার হলো বিদেশে অর্থ প্রেরণের একটি উপায় বা পদ্ধতি।
এক্ষেত্রে প্রেরক ফিসহ অর্থ ব্যাংকে জমা দিলে ব্যাংক প্রেরককে একটা গোপন কোড প্রদান করে। তঃপর ব্যাংক ই-মেইলের মাধ্যমে বিদেশস্থ শাখা বা প্রতিনিধিকে তথ্য ও অর্থ প্রদানের নির্দেশ দেয়। প্রাপক ব্যাংকের শাখায় উক্ত কোড জানানোর মাধ্যমে সরাসরি অর্থ উত্তোলন করতে পারে। এ প্রক্রিয়াটিই হলো ই-মেইল ট্রান্সফার।
গ উত্তর: উদ্দীপকে মি. শাহন মিয়া ব্যাংকে চলতি হিসাব খুলেছেন।
চলতি হিসাব হলো এমন হিসাব যেখানে গ্রাহক যতবার খুশি অর্থ জমাদান ও উত্তোলন করতে পারে। এ হিসাবের গ্রাহকগণ প্রয়োজনে তিরিক্ত উত্তোলনের সুযোগও পেয়ে থাকে।
উদ্দীপকে শাহিন মিয়া একজন স্বনামধন্য মৎস্য খামার ব্যবসায়ী। তিনি সবসময় চেকের মাধ্যমে লেনদেন করেন। একজন ব্যবসায়ী হিসেবে শাহিন মিয়ার যেকোনো সময় লেনদেন করার প্রয়োজন রয়েছে।
অর্থাৎ তিনি এমন ব্যাংক হিসাব খুলেছেন যেখানে অর্থ জমাদান বা উত্তোলনে কোনো বিধি-নিষেধ নেই। এসকল বিষয় পর্যালোচনা করে বলে যায়, তিনি চলতি হিসাবের মাধ্যমে লেনদেন করেন। ন্যভাবে বলা যায়, ব্যবসায়ীদের জন্য চলতি হিসাব তিরিক্ত সুবিধা প্রদান করে বিধায় তিনি চলতি হিসাবই খুলেছেন।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে মি. শাহিন মিয়া জমাতিরিক্ত ঋণের মাধ্যমে রপ্তানির ক্ষেত্রে আঅর্থিক সমস্যা সমাধান করতে পারেন।
ব্যাংক তার চলতি হিসাবের গ্রাহকদেরকে জমাকৃত আমানতের তিরিক্ত উত্তোলনের সুযোগ দেয়। এ তিরিক্ত উত্তোলনই জমাতিরিক্ত ঋণ হিসেবে বিবেচিত।
উদ্দীপকে শাহিন মিয়া একজন মৎস্য খামার ব্যবসায়ী। এ বছর তিনি সুইডেনে মাছ রপ্তানির জন্য একটি র্ডার পেয়েছেন। কিন্তু পর্যাপ— মূলধনের সংকট নিরসনের উদ্দেশ্যে তিনি ব্যাংকের সাথে কথা বলেছেন।
এখানে তিনি ব্যাংকের চলতি হিসাবের মাধ্যমে ব্যবসায়িক লেনদেন সম্পাদন করেন। চলতি হিসাবের গ্রাহক বিধায় তিনি জমাতিরিক্ত ঋণ পাবেন। কেননা, চলতি হিসাবের গ্রাহকরা এ সুবিধা পেয়ে থাকে। একইভাবে শাহিন মিয়া এ জমাতিরিক্ত ঋণ দিয়ে তার ব্যবসায়ের পর্যাপ্ত মূলধনের ব্যবস্থা করতে পারবেন।
প্রশ্ন ২৬: মি. রহমানকে তার ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ব্যাংক ১০ লক্ষ টাকা ঋণ মঞ্জুর করে। শর্ত নুযায়ী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জনাব জামাল ঋণের জামিনদার হন। মঞ্জুরিকৃত ঋণের অর্থের চেক হস্তান্তরকালে ব্যাংক ম্যানেজার মি. রহমানকে বলেন, ‘জামান সাহেবের মতো জামিনদার থাকলে ঋণ দিতে কোনো চিন্তা করতে হয় না।’ [পটুয়াখালী সরকারি কলেজ]
ক. ব্যাংক জামাতিরিক্ত কী? ১
খ. ব্যাংক কেন জামানত গ্রহণ করে? ২
গ. উলিখিত ক্ষেত্রে ব্যাংক কোন ধরনের জামানতের বিপরীত ঋণ মঞ্জুর করেছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. ব্যাংকের স্বাঅর্থ বিবেচনায় ব্যাংক ম্যানেজারের বক্তব্যকে কি তুমি সঠিক মনে করো? মতামত দাও। ৪
২৬ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: ব্যাংক তার চলতি হিসাবের গ্রাহকদেরকে তাদের জমাকৃত আমানতের বাইরে যে তিরিক্ত অর্থ উত্তোলনের সুযোগ দেয় তাকে ব্যাংক জমাতিরিক্ত বলে।
খ উত্তর: ঋণের অর্থ ফেরত পাওয়ার নিশ্চয়তা বিধানের লক্ষ্যে ব্যাংক জামানত গ্রহণ করে।
জামানত বলতে ঋণগ্রহণের ক্ষেত্রে ঋণগ্রহীতা ব্যাংকের নিকট যে সম্পদ জমা রাখে তাকে বোঝায়। ঋণগ্রহীতা যদি ঋণ ফেরতে ব্যঅর্থ হয় তাহলে ব্যাংক এ জামানত বিক্রি করে ঋণের অর্থ আদায় করতে পারবে। এতে ব্যাংক ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে। এছাড়া জামানত থাকলে ঋণগ্রহীতা জামানতকৃত সম্পদ উদ্ধারের জন্য নির্দিষ্ট সময়ে ঋণের অর্থ ফেরত দিতে আগ্রহী হবে।
গ উত্তর: উদ্দীপকে উলিখিত ক্ষেত্রে ব্যাংক ব্যক্তিক জামানতের বিপরীতে ঋণ মঞ্জুর করেছে।
ঋণ গ্রহণের সময় ঋণগ্রহীতা যে নিজস্ব নিশ্চয়তা থবা তৃতীয় কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিগত নিশ্চয়তার ব্যবস্থা করে তাই ব্যক্তিক জামানত। অর্থাৎ এক্ষেত্রে সম্পত্তির পরিবর্তে নিশ্চয়তা প্রদানকারীর চরিত্র, সুনাম, আঅর্থিক সচ্ছলতা ইত্যাদি জামানত হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
উদ্দীপকে ব্যাংক মি. রহমানকে ১০ লক্ষ টাকা ঋণ মঞ্জুর করে। ঋণের শর্ত নুযায়ী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জনাব জামাল ঋণের অর্থ ফেরতের নিশ্চয়তা দেন। অর্থাৎ এখানে মি. রহমানকে ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে ব্যাংক কোনো ধরনের সম্পত্তি বন্ধক নেয়নি।
এক্ষেত্রে মি. রহমানের পরিচিত এক স্বনামধন্য ব্যবসায়ীর মৌখিক নিশ্চয়তা নিয়ে ব্যাংক তাকে ঋণ প্রদান করে। তাই ব্যক্তিগত নিশ্চয়তার ভিত্তিতে ঋণ প্রদান করায় বলা যায়, ব্যাংক এক্ষেত্রে ব্যক্তিক জামানত নিয়ে ঋণ দিয়েছে।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে ব্যাংকের স্বাঅর্থ বিবেচনায় ব্যাংক ম্যানেজারের বক্তব্যটি সঠিক নয় বলে আমি মনে করি।
ব্যাংক মূলত পরের অর্থ নিয়ে ব্যবসায় করে। ব্যাংক ব্যক্তিক ও ব্যক্তিক উভয় জামানতের ভিত্তিতেই ঋণ প্রদান করে। তবে ব্যক্তিক জামানত বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত।
উদ্দীপকে মি. রহমান ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ব্যাংক থেকে ১০ লক্ষ টাকা ঋণ মঞ্জুর করে। এক্ষেত্রে ব্যাংক ব্যক্তিক জামানতের ওপর ভিত্তি করে এ ঋণ মঞ্জুর করেছে। ঋণের অর্থ প্রদানকালে ব্যাংক ম্যানেজার বলেন, জামান সাহেবের মতো জামিনদার থাকলে ঋণ দিতে কোনো চিন্তা করতে হয় না।
এরূপ ব্যক্তিক জামানতের ওপর ভিত্তি করে ঋণ দেয়া ব্যাংকের জন্য যথেষ্ট ঝুকিপূর্ণ।
কেননা, মি. রহমান ঋণের অর্থ পরিশোধে ব্যঅর্থ হলে ব্যাংক তার বিরুদ্ধে সরাসরি ব্যবস্থা নিতে পারবে না। ব্যক্তিক জামানতের ক্ষেত্রে ব্যাংক ঋণগ্রহীতার বন্ধককৃত সম্পদ বিক্রি করে ঋণের অর্থ আদায় করতে পারে। কিন্তু ব্যক্তিক জামানতের ক্ষেত্রে এরূপ ব্যবস্থা নিতে পারবে না বিধায় ব্যাংক ম্যানেজারের বক্তব্যটি সমঅর্থনযোগ্য নয়।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।