পঞ্চম শ্রেণি | হিন্দুধর্ম | অধ্যায় ৩ | গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর | PDF: পঞ্চম শ্রেণির হিন্দুধর্ম বিষয়টির ৩য় অধ্যায়টি হতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে। অতএব সম্পূর্ণ পোস্টটি মনযোগ সহকারে পড়ুন।
তৃতীয় অধ্যায়
হিন্দুধর্মের সাধারণ পরিচয়, ধর্মগ্রন্থ এবং মহাপুরুষ ও মহীয়সী নারী
অনুশীলনীর প্রশ্ন ও সমাধান
ক. শূন্যস্থান পূরণ কর :
১। —————বিষয়বস্তু হচ্ছে ব্রহ্ম।
২। পৌরাণিক যুগে অনেক নতুন————–আবির্ভাব ঘটে।
৩। প্রতিদিন নিয়ম মেনে যে কাজ করা হয় তাকে বলে ।
৪। নিত্যকর্মের ফলে————–শেখা যায়।
৫। —————রোগ, শোক, জরা, ব্যাধি কিছুই নেই।
৬। যাঁরা মোক্ষলাভ করতে চান তাঁরা————–সবাইকে ভালোবাসেন।
উত্তর : ১. জ্ঞানকাণ্ডের ২. দেব-দেবীর ৩. নিত্যকর্ম ৪. নিয়মানুবর্তিতা ৫. স্বর্গে ৬. ব্রহ্মজ্ঞানে
খ. ডান পাশ থেকে শব্দ এনে বাম পাশের শব্দের সঙ্গে মেলাও :
১। হিন্দুধর্মের আরেক নাম———পুনর্জন্ম লাভ করতে হয়।
২। বৈদিক দেব-দেবীরা ছিলেন———নবজন্ম।
৩। ব্রহ্ম, বিষ্ণু, শিব, দুর্গা, কালী প্রভৃতি———মনোযোগ দেওয়া যায়।
৪। নিত্যকর্মের ফলে যে-কোনো কাজে পুরোপুরি———-পৌরাণিক দেবতা।
৫। আত্মার জীর্ণদেহ ত্যাগ করে নতুন দেহ ধারণ করাকে বলে———নিরাকার।
৬। অর্জিত পুণ্য শেষ হলে জীবকে———সনাতন ধর্ম।
৭। জন্ম-মৃত্যুর আবর্ত থেকে মুক্তি পেয়ে জীব পরম ব্রহ্ম লীন হয়।
———-জন্মান্তর।
———-অশেষ ক্ষমতাধর।
উত্তর :
১। হিন্দুধর্মের আরেক নাম সনাতন ধর্ম।
২। বৈদিক দেব-দেবীরা ছিলেন নিরাকার।
৩। ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শিব, দুর্গা, কালী প্রভৃতি পৌরাণিক দেবতা।
৪। নিত্যকর্মের ফলে যে-কোনো কাজে পুরোপুরি মনোযোগ দেওয়া যায়।
৫। আত্মার জীর্ণদেহ ত্যাগ করে নতুন দেহ ধারণ করাকে বলে জন্মান্তর।
৬। অর্জিত পুণ্য শেষ হলে জীবকে পুনর্জন্ম লাভ করতে হয়।
৭। জন্ম-মৃত্যুর আবর্ত থেকে মুক্তি পেয়ে জীব পরম ব্রেহ্ম লীন হয়।
গ. সঠিক উত্তরের পাশে টিক () চিহ্ন দাও :
১। ‘স’-এর স্থলে ‘হ’ উচ্চারণ করতেন কারা?
ক. পারসিকরা
খ. গ্রিকরা
গ. আফগানরা
ঘ. তুর্কিরা
২। আত্মারূপে সকল জীবের মধ্যে কে বিরাজমান?
ক. দেবতা
খ. জীবন
গ. ব্রহ্ম
ঘ. দেবী
৩। বৈদিক যুগে প্রধান ধর্মীয় ক্রিয়া-কর্ম কী ছিল?
ক. নামকীর্তন
খ. যাগ-যজ্ঞ
গ. পূজা-পার্বণ
ঘ. জীবসেবা
৪। রাত্রিকৃত্যে কী বলে ঘুমাতে যেতে হয়?
ক. জগদীশ্বর
খ. নারায়ণ
গ. বিষ্ণু
ঘ. পদ্মনাভ
৫। আত্মার নতুন দেহ ধারণ করাকে কী বলে?
ক. জন্মান্তর
খ. নবজন্ম
গ. ইহজন্ম
ঘ. পরজন্ম
৬। ইন্দ্রের রাজধানীর নাম কী?
ক. দেবলোক.
খ. সুরলোক
গ. অমরাবতী
ঘ. অমরলোক
৭। হিন্দুধর্মের মূল লক্ষ্য কী?
ক. ভোগ.
খ. ত্যাগ
গ. স্বর্গলাভ
ঘ. মোক্ষলাভ
ঘ. নিচের প্রশ্নগুলোর সংক্ষেপে উত্তর দাও :
১। সনাতন শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : সনাতন শব্দের অর্থ চিরন্তন, চিরস্থায়ী, নিত্য। যা ছিল, আছে ও থাকবে তাই সনাতন।
২। চারজন বৈদিক দেবতার নাম লেখ।
উত্তর: চারজন বৈদিক দেবতা হলো ইন্দ্র, বরুণ, যম, মিত্র।
৩। নিত্যকর্ম কয়প্রকার ও কী কী?
উত্তর : নিত্যকর্ম ছয় প্রকার। প্রকারগুলো হলো প্রাতঃ কৃত্য, পূর্বাহ্নকৃত্য, মধ্যাহ্নকৃত্য, অপরাহ্নকৃত্য, সায়াহ্নকৃত্য ও রাত্রিকৃত্য।
৪। জন্মান্তর কাকে বলে?
উত্তর : আত্মার জীর্ণ শরীর ত্যাগ করে নতুন শরীর ধারণ করাকেই জন্মান্তর বলে।
৫। ভালো কাজ কী? তার ফলে কী হয়?
উত্তর : জীবে দয়া করা, পরনিন্দা না করা, পরচর্চা না করা, পরের উপকার করা, মিথ্যা না বলা ইত্যাদি হচ্ছে ভালো কাজ।
ভালো কাজের ফলে পুণ্য হয়।
৬। মোক্ষ কাকে বলে?
উত্তর : ‘মোক্ষ’ শব্দের অর্থ মুক্তি। জন্মান্তর বা পুনর্জন্মের আবর্ত থেকে ঈশ্বর বা পরমাত্মা বা পরম ব্রেহ্মর সঙ্গে জীবাত্মার মিলনই হলো মোক্ষ।
ঙ. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
১। হিন্দুধর্মের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।
উত্তর : হিন্দুধর্মের প্রাচীন নাম সনাতন ধর্ম। ‘সনাতন’ শব্দের অর্থ চিরন্তন, চিরস্থায়ী, নিত্য। যা ছিল, আছে ও থাকবেÑ তা-ই সনাতন। কতিপয় চিরন্তন ভাবনা-চিন্তার উপর ভিত্তি করে এ ধর্মের উৎপত্তি। তাছাড়া হিন্দুধর্ম নির্দিষ্ট কোনো সময়ে একক কারো দ্বারা প্রবর্তিত নয়। একাধিক মুনি-ঋষির সমন্বিত চিন্তার ফল এটি।
কালের পরিবর্তনের সঙ্গে-সঙ্গে এর আচার-আচরণগত অনেক পরিবর্তন হয়েছে। তবে মৌলিক তত্তে¡র কোনো পরিবর্তন হয়নি। বেদ হিন্দুধর্মের মূল ভিত্তি। এ কারণে হিন্দুধর্মকে বৈদিক ধর্মও বলা হয়।
২। বেদের কয়টি কাণ্ড? এ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।
উত্তর : বেদ হিন্দুধর্মের মূল ভিত্তি। বেদের দুটি অংশ। প্রত্যেক অংশকে বলা হয় কাণ্ড। বেদ দুটি অংশে বা দুই কাণ্ডে বিভক্ত- জ্ঞানকাণ্ড ও কর্মকাণ্ড। জ্ঞানকাণ্ডের বিষয়বস্তু হচ্ছে ব্রহ্ম সম্পর্কে জ্ঞান। ব্রহ্ম নিরাকার। আবার আত্মারূপে তিনি সকল জীবের মধ্যে বিরাজমান। কর্মকাণ্ডে আছে বিভিন্ন যাগ-যজ্ঞের কথা। বৈদিক যুগে প্রধান ধর্মীয় ক্রিয়া-কর্ম ছিল যাগ-যজ্ঞ।
৩। পৌরাণিক যুগের হিন্দুধর্ম সম্পর্কে বর্ণনা কর।
উত্তর : বৈদিক যুগের পরে আসে পৌরাণিক যুগ। এ সময় মানুষ যাগ-যজ্ঞের পরিমাণ কমিয়ে দিয়ে পূজা-পার্বণ করতে থাকে। তখন অনেক নতুন দেব-দেবীর আবির্ভাব ঘটে। যেমন- ব্রহ্মা, দুর্গা, কালী, কার্তিক, গণেশ, ল²ী, সরস্বতী প্রভৃতি। বিভিন্ন পুরাণে এদের বর্ণনা আছে। সেই অনুযায়ী এদের মূর্তি তৈরি করে পূজা করা হয়। পূজার মধ্য দিয়ে এদের কাছে সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ইত্যাদি কামনা করা হয়।
৪। নিত্যকর্ম কী? যে-কোনো তিনটি নিত্যকর্মের বর্ণনা দাও।
উত্তর : নিত্যকর্ম ধর্মচর্চার একটি অঙ্গ। এজন্য প্রতিদিন নিয়ম মেনে কিছু কর্ম করতে হয়। তাকেই বলে নিত্যকর্ম। নিত্যকর্ম ছয় প্রকার, যথা : প্রাতঃকৃত্য, পূর্বাহ্ণকৃত, মধ্যাহ্নকৃত্য, অপরাহ্ণকৃত্য, সায়াহ্নকৃত্য ও রাত্রিকৃত্য।
তিনটি নিত্যকর্মের বর্ণনা :
প্রাতঃকৃত্য : সূর্যোদয়ের কিছু আগে ঘুম থেকে উঠতে হয়। তারপর বিছানায় বসে পূর্ব বা উত্তরমুখী হয়ে ঈশ্বর বা দেব-দেবীকে স্মরণ করে মন্ত্র পাঠ করতে হয়।
পূর্বাহ্নকৃত্য : প্রাতঃকৃত্যের পরে এবং মধ্যাহ্ন বা দুপুরের পূর্ব পর্যন্ত যে-সকল কাজ করা হয় তা-ই পূর্বাহ্নকৃত্য। এ সময় প্রার্থনা ও পূজা করে দিনের অন্যান্য কাজ-কর্ম করতে হয়।
মধ্যাহ্নকৃত্য : দুপুরের কাজ খাওয়া ও বিশ্রাম। এটাই মধ্যাহ্নকৃত্য।
৫। জন্মান্তর কাকে বলে? এ সম্পর্কে সংক্ষেপে ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : হিন্দুধর্মমতে আত্মা অমর। মানুষের দেহের মৃত্যু ঘটে কিন্তু আত্মার মৃত্যু নাই। দেহের মৃত্যু ঘটলে আত্মা নতুন দেহ ধারণ করে। একেই জন্মান্তর বলে।
জন্মান্তরের সঙ্গে কর্মফলের একটা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। খারাপ কর্ম করলে খারাপ ফল। ভালো কর্ম করলে ভালো ফল। কর্ম অনুযায়ী জীবের পরবর্তী জন্ম হবে। খারাপ কর্মে খারাপ জন্ম, ভালো কর্মে ভালো জন্ম। আবার এ জন্মের ফল আগামী জন্মে তাকে ভোগও করতে হবে। এভাবে পাপ থেকে পরিপূর্ণ মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত জীবাত্মা পুনঃপুন জন্মগ্রহণ করে।
৬। পাপ-পুণ্য ও স্বর্গ-নরক বলতে কী বোঝ?
উত্তর : পাপ-পুণ্য : পাপ হচ্ছে খারাপ কাজের ফল। জীবহত্যা, পরনিন্দা, মিথ্যা বলা ইত্যাদি হলো খারাপ কাজ। অপরদিকে পুণ্য হচ্ছে ভালো কাজের ফল। পরনিন্দা না করা, পরচর্চা না করা, মিথ্যা কথা না বলা ইত্যাদি হচ্ছে ভালো কাজ।
স্বর্গ-নরক : স্বর্গ দেবতাদের বাসস্থান। সেখানে অনন্ত সুখ। যারা পুণ্যের কাজ করবেন তারা স্বর্গে যাবেন। অপরদিকে নরক ভীষণ কষ্টের জায়গা। মৃত্যুর পর পাপীরা নরকে যায়।
৭। মোক্ষলাভের আকাক্সক্ষী ব্যক্তির বৈশিষ্ট্য বর্ণনা কর।
উত্তর : মোক্ষলাভের আকাক্সক্ষী ব্যক্তির বৈশিষ্ট্য :
যাঁরা মোক্ষলাভ করতে চান, তাঁরা কখনো অপরের ক্ষতি করেন না। তাঁরা কাউকে হিংসা করেন না। কারো বিরুদ্ধে তাঁদের কোনো বিদ্বেষ থাকে না। ব্রহ্মজ্ঞানে তাঁরা সবাইকে ভালোবাসেন। নিজের ক্ষতি হলেও অপরের উপকার করেন। সবাইকে আপনার মনে করেন। তাঁদের কোনো লোভ-মোহ থাকে না।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর
সাধারণ
ভূমিকা
১. হিন্দু শব্দের উৎপত্তি কাদের দ্বারা?
ক.ভারতীয়দের
খ. আর্যদের
গ. পাকিস্তানিদের
ঘ. ইরানিদের
২. হিন্দুধর্মের আরেক নাম
ক.মানব ধর্ম
খ. সনাতন ধর্ম
গ. বৈষ্ণব ধর্ম
ঘ. লৌকিক ধর্ম
৩. হিন্দুধর্মের মূল ভিত্তি কী?
ক.মোক্ষলাভ
খ.বেদ
গ.ব্রহ্ম
ঘ.ভারত
৪. হিন্দুধর্মের প্রাচীন নাম
ক.সনাতন
খ.বাস্তব
গ.নিত্য
ঘ.প্রাচীন
৫. হিন্দুস্তানের অধিবাসীদের কী নামে ডাকা হয়?
ক. সিন্ধু
খ.হিন্দু
গ.ব্রহ্ম
ঘ.দেবী
৬. বৈদিক যুগের পরবর্তী যুগ কোনটি?
ক. ত্রেতা যুগ
খ. দ্বাপর যুগ
গ. পৌরাণিক যুগ
ঘ. সত্য যুগ
নিত্যকর্ম
৭. নিত্যকর্ম কয় প্রকার?
ক.২
খ.৪
গ.৬
ঘ.৭
৮. সায়াহ্ন মানে কী?
ক.রাত
খ.ভোর
গ.দুপুর
ঘ.সন্ধ্যা
৯. নিত্যকর্মের ফলে কী হয়?
ক.ধর্মীয় জ্ঞান লাভ হয়
খ. শরীর ও মন সুস্থ থাকে
গ. পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়
ঘ. স্বর্গ লাভ করা যায়
১০. নিত্যকর্মের কোন কৃত্যে বিশ্রাম নেওয়া উচিত?
ক. মধ্যাহ্নকৃত্য
খ. সায়াহ্নকৃত্য
গ.পূর্বাহ্নকৃত্য
ঘ. রাত্রিকৃত্য
১১. নিত্যকর্মের ফলে আমরা কী শিখতে পারি?
ক.ব্যায়াম
খ. উপাসনা
গ. নিয়মানুবর্তিতা
ঘ. মন্ত্র
জন্মান্তর ও কর্মফল
১২. কোনটি হিন্দুধর্মের প্রধান আদর্শ?
ক. জগতের কল্যাণ
খ. মোক্ষলাভ
গ. বেদ
ঘ. পূজা-পার্বণ
১৩. সকাম কর্মের ফলে কী হয়? চ
ক. পুনর্জন্ম
খ. মোক্ষলাভ
গ. আত্মার মৃত্যু
ঘ.গতের কল্যাণ
মোক্ষ ও জগতের কল্যাণ [পৃষ্ঠা৩৫]
১৪. ‘মোক্ষ’ শব্দের অর্থ কী?
ক.মোহ
খ.মুক্তি
গ.কল্যাণ
ঘ.পরমাত্মা
যোগ্যতাভিত্তিক
১৫. রতন তার প্রিয় কলমটি বন্ধুকে দেবে বলে প্রতিজ্ঞা করল। কিন্তু পরবর্তীতে সে সেটি দিল না। এতে কী প্রকাশ পায়?
ক. বন্ধুকে কষ্ট দিল
খ. বিশ্বাস ভঙ্গ করল
গ. প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করল
ঘ. বন্ধুকে ধোকা দিল
১৬. তুমি শরীর ভালো রাখার জন্য সায়াহ্নের পূর্ব পর্যন্ত খেলাধুলা, ব্যায়াম করে থাক। এ সময়টাকে বলে জ
ক.প্রাতঃকৃত্য
খ.পূর্বাহ্নকৃত
গ. অপরাহ্নকৃত্য
ঘ.সায়াহ্নকৃত
১৭. সন্ধ্যার পর রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তোমার কাজকে কী বলা হবে?
ক.সন্ধ্যাকৃত্য
খ.রাত্রিকৃত্য
গ.প্রাতঃকৃত্য
ঘ.পদ্মনাভ
১৮. তুমি রাতে আহারের পর ভগবানের কোন নাম বলে ঘুমাতে যাও?
ক.গণেশ
খ. সরস্বতী
গ. কার্তিক.
ঘ.পদ্মনাভ
১৯. তোমার বাবা জীবে দয়া করে, অন্যের উপকার করে, মিথ্যা বলে না। মৃত্যুর পর তিনি কোথায় যাবেন?
ক. স্বর্গে
খ. নরকে
গ. মঙ্গলে
ঘ. তীর্থে
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
১. হিন্দু শব্দের উৎপত্তি কাদের দ্বারা?
উত্তর : হিন্দু শব্দের উৎপত্তি পারসিকদের দ্বারা।
২. ভারতবর্ষের অন্য নাম কী?
উত্তর : ভারতবর্ষের অন্য নাম হিন্দুস্তান।
৩. যাগ-যজ্ঞের কথা কোথায় আছে?
উত্তর : যাগ-যজ্ঞের কথা আছে বেদের কর্মকাণ্ডে।
৪. হিন্দুধর্মমতে ঘুমানোর পূর্বে কী বলতে হয়?
উত্তর : ঘুমানোর পূর্বে ভগবানের এক নাম ‘পদ্মনাভ’ বলতে হয়।
৫. পাঁচজন পৌরাণিক দেবতার নাম লেখ।
উত্তর : পাঁচজন পৌরাণিক দেবতা হলেন ব্রহ্মা, দুর্গা, কালী, সরস্বতী, গণেশ।
কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর
সাধারণ
১. হিন্দুধর্মমতে আত্মা কী? ‘আত্মা অমর’- কথাটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : হিন্দুধর্মমতে, আত্মা হলো সর্বশক্তিমান ব্রহ্ম এর একটি রূপ। তিনি আত্মা হিসেবে সকল জীবের মধ্যে বিরাজমান।
হিন্দুধর্ম বিশ্বাস করে আত্মা অমর। শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, “মানুষ যেমন জীর্ণ বস্ত্র পরিত্যাগ করে নতুন বস্ত্র পরিধান করে, আত্মাও তেমনি জীর্ণ শরীর ত্যাগ করে নতুন শরীর ধারণ করে।” অর্থাৎ দেহের মৃত্যু আছে কিন্তু আত্মার মৃত্যু নাই। আত্মা অমর।
যোগ্যতাভিত্তিক
২. দাদার পরামর্শ অনুযায়ী নিত্যকর্ম শুরু করার ফলে তুমি যেসব উপকার পেয়েছ তা পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : দাদার পরামর্শ অনুযায়ী নিত্যকর্ম শুরু করার ফলে আমি যেসব উপকার পেয়েছি তা হলো
১. নিয়মানুবর্তিতা শিখেছি।
২. সময়ের কাজ সময়ে করতে পারি।
৩. শরীর মন ভালো থাকে।
৪. কাজে পুরোপুরি মনোযোগ দেওয়া যায়।
৫. ঈশ্বরের প্রতি ভক্তি আসে।
৩. মোক্ষ শব্দের অর্থ কী? জীবনে মোক্ষ লাভের জন্য তোমার করণীয় সম্পর্কে ৪টি বাক্য লেখ।
উত্তর : মোক্ষ শব্দের অর্থ হলো মুক্তি। পরম ব্রহ্মের সাথে জীবাত্মার মিলনই হলো মুক্তি বা মোক্ষ।
জীবনে মোক্ষ লাভের জন্য আমার করণীয় সম্পর্কে নিচে ৪টি বাক্য লেখা হলো :
১) জীবনে কাউকে কষ্ট দিব না।
২) ব্রহ্ম জ্ঞানে সবাইকে ভালোবাসব।
৩) নিজের ক্ষতি হলেও অন্যের উপকার করব।
৪) অন্যের উন্নতিতে আনন্দ লাভ করব।
অনুশীলনীর প্রশ্ন ও সমাধান
ক. শূন্যস্থান পূরণ কর :
১। বিভিন্ন মুনি-ঋষি————–বাণীসমূহ দর্শন করেছেন।
২। —————শুধু ব্রহ্ম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
৩। —————বেদভিত্তিক হিন্দুধর্ম ও সমাজের নানা কথা বলা হয়েছে।
৪। শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা মহাভারতের————–একটি অংশ।
৫। —————শুনে বনের পশুরাও হিংসা ভুলে গেল।
উত্তর : ১। বেদের ২। উপনিষদে ৩। পুরাণে ৪। ভীষ্মপর্বের ৫। হরিনাম
খ. ডান পাশ থেকে শব্দ এনে বাম পাশের শব্দের সঙ্গে মেলাও :
১। বেদের এক নাম—————উপনিষদ।
২। বৃহদারণ্যক একটি—————শ্রীহরির সাক্ষাৎ লাভ।
৩। দুর্গার বর্ণনা আছে—————আত্মার।
৪। শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় অমরত্বের—————কথা বলা হয়েছে।
৫। ধ্রবের একমাত্র লক্ষ্য ছিল————— দেবী পুরাণে।
—————শ্রুতি।
—————যোদ্ধার।
উত্তর :
১। বেদের এক নাম শ্রতি।
২। বৃহদারণ্যক একটি উপনিষদ।
৩। দুর্গার বর্ণনা আছে দেবী পুরাণে।
৪। শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় অমরত্বের কথা বলা হয়েছে।
৫। ধ্রবের একমাত্র লক্ষ্য ছিল শ্রীহরির সাক্ষাৎ লাভ।
গ. সঠিক উত্তরের পাশে টিক () চিহ্ন দাও :
১। বেদ কয়খানা?
ক. তিন
খ. চার
গ. পাঁচ
ঘ.য়
২। বেদের যে অংশে মন্ত্রের ব্যাখ্যা করা হয়েছে তাকে কী বলে?
ক. ব্রাহ্মণ
খ. উপনিষদ
গ. আরণ্যক.
ঘ. সংহিতা
৩। ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিবের মাহাত্ম্য কোথায় প্রাধান্য পেয়েছে?
ক. বেদে
খ. রামায়ণে
গ. পুরাণে
ঘ. মহাভারতে
৪। ফলাকাক্সক্ষাহীন কর্মকে কী বলে?
ক. সকাম কর্ম
খ. সুকর্ম
গ. দুষ্কর্ম
ঘ. নিষ্কাম কর্ম
৫। মায়ের কথায় ধ্রæব কার শরণ নিয়েছেন?
ক. হরির
খ. কৃষ্ণের
গ. রামের
ঘ. শিবের
ঘ. নিচের প্রশ্নগুলোর সংক্ষেপে উত্তর দাও :
১। বেদের এক নাম শ্রতি হলো কেন?
উত্তর : অতীতে শিষ্যরা গুরুর কাছ থেকে শুনে শুনে বেদ মনে রাখতেন তাই এর নাম হয়েছে শ্রæতি।
২। আরণ্যক কী? দুটি আরণ্যকের নাম লেখ।
উত্তর : যা অরণ্যে রচিত তাই আরণ্যকে। এর বিষয় ধর্ম-দর্শন। দুটি আরণ্যকের নাম হলো ঐতরেয় আরণ্যক ও শতপথ আরণ্যক।
৩। মূল পুরাণ কয়খানা? দুটি মূল পুরাণের নাম লেখ।
উত্তর : মূল পুরাণ ১৮ খানা। দুটি মূল পুরাণ হলো বিষ্ণুপুরাণ ও শিবপুরাণ।
৪। গীতা কী?
উত্তর : গীতা হলো ধর্মগ্রন্থ। এটি মহাভারতের ভীষ্মপর্বের একটি অংশ।
৫। উত্তানপাদের কয়জন স্ত্রী ছিলেন? তাদের নাম লেখ।
উত্তর : উত্তানপাদের দুইজন স্ত্রী ছিলেন। তাদের নাম হলো সুনীতি এবং সুরুচি।
ঙ. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
১। চার বেদের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।
উত্তর : হিন্দুদের প্রধান ধর্মগ্রন্থ বেদ বা বেদ সংহিতা। বেদ চারটি। যথা : ঋগে¦দ সংহিতা, যজুর্বেদ সংহিতা, সামবেদ সংহিতা ও অথর্ববেদ সংহিতা।
ঋগেদ সংহিতা- এতে রয়েছে দেবতাদের স্তুতি ও প্রার্থনামূলক মন্ত্র। এগুলো পদ্যে রচিত এক ধরনের কবিতা।
যজুর্বেদ সংহিতা- এতে যে মন্ত্রগুলো রয়েছে সেগুলো যজ্ঞের সময় উচ্চারণ করা হয়।
সামবেদ সংহিতা- এর মন্ত্রগুলো গানের মতো। দেবতাদের উদ্দেশ্যে এগুলো সুর দিয়ে গাওয়া হয়।
অথর্ববেদ সংহিতা- এতে চিকিৎসা বিজ্ঞান, বাস্তুবিদ্যা (গৃহ নির্মাণ) ইত্যাদিসহ জীবনের অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
২। ব্রাহ্মণ কী? সংক্ষেপে বর্ণনা কর।
উত্তর : বেদের যে অংশে মন্ত্রের ব্যাখ্যা করা হয়েছে এবং যজ্ঞে মন্ত্রের ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে, তাকে বলে ব্রাহ্মণ। ব্রাহ্মণ গদ্যে রচিত। ঐতরেয়, কৌষীতকি, শতপথ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য ব্রাহ্মণ গ্রন্থ।
৩। উপনিষদের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।
উত্তর : উপনিষদ হিন্দুধর্মের একটি ধর্মগ্রন্থ। এর আলোচ্য বিষয় ব্রহ্ম। ব্রহ্মের আরেক নাম পরমাত্মা। তিনি নিরাকার। প্রত্যেক জীবের মধ্যে তিনি বর্তমান। তাকে বলে জীবাত্মা। এ অর্থে জীবও ব্রহ্ম। ব্রহ্মই সবকিছুর মূলে। তাই উপনিষদে ব্রহ্ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। ঈশ, কেন, শ্বেতাশ্বতর, বৃহদারণ্যক প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য উপনিষদ।
৪। শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা কর।
উত্তর : শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা মহাভারতের ভীষ্মপর্বের একটি অংশ। একে গীতাও বলা হয়। এতে ১৮টি অধ্যায় আছে। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের প্রাক্কালে বিপক্ষের আত্মীয়স্বজনদের দেখে অর্জুন যুদ্ধ করতে চাইলেন না। তখন ভগবান শীকৃষ্ণ অর্জুনকে অনেক উপদেশ দেন। সেটাই গীতা। মহাভারতের অংশ হলেও গুরুত্বের কারণে এটি পৃথক গ্রন্থের মর্যাদা পেয়েছে।
৫। ধ্রব কীভাবে হরিকে পেল?
উত্তর : ধ্রæব মাকে খুব শ্রদ্ধা করতো। তাই মায়ের আদেশ অনুযায়ী সে হরিকে ডাকতে লাগল। একদিন সে সবার অলক্ষ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেল। পথে যাকে দেখে তাকেই হরির কথা জিজ্ঞেস করে। এভাবে হরিনাম করতে-করতে সে এক গভীর বনে ঢুকে পড়ল। ধ্রæব একমনে হরিকে ডেকেই চলেছে। তার একমাত্র লক্ষ্য শ্রীহরির সাক্ষাৎ লাভ করা। বালক ধ্রæবের এই একাগ্রতা দেখে শ্রীহরির মন গলে গেল। তিনি ধ্রæবের কাছে এসে দেখা দিলেন।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর
সাধারণ
১. হিন্দুধর্মের প্রধান ধর্মগ্রন্থ কোনটি?
ক.মহাভারত
খ. বেদসংহিতা
গ. শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা
ঘ. উপনিষদ
২. বেদ কার বাণী?
ক.ঈশ্বরের
খ. দেবতার
গ. ব্রাহ্মণের
ঘ. মুনি-ঋষির
৩. বেদের মন্ত্রগুলোকে চার ভাগে ভাগ করেন কে?
ক. রামদেব
খ. শ্যামদেব
গ. ব্যাসদেব
ঘ. শাক্যমুনি
৪. বেদের কোন অংশ যজ্ঞের সময় উচ্চারণ করা হয়?
ক ঋগেদ
খ. অথর্ববেদ
গ. সামবেদ
ঘ. যজুর্বেদ
৫. পুরাণ শব্দের অর্থ কোনটি?
ক. প্রাচীন
খ. ধর্মগ্রন্থ
গ. দেবতার উপাখ্যান
ঘ. রাজা ও ঋষিদের বংশ পরিচয়
৬. ফলের আশা না করে কর্ম করাকে কী বলে?
ক. সকাম কর্ম
খ. ফলপ্রসূ কর্ম
গ. ফলহীন কর্ম
ঘ. নিষ্কাম কর্ম
৭. হরিভক্ত ধ্রæবের উপাখ্যানটি কোন গ্রন্থের?
ক. গীতা
খ. উপনিষদ
গ. মহাভারত
ঘ. পুরাণ
যোগ্যতাভিত্তিক
৮. ধ্রব উপাখ্যান থেকে তুমি কোন শিক্ষা পাবে? চ
ক. পিতা-মাতাকে শ্রদ্ধা করার
খ. বন্ধুদের সাথে ঝগড়া করার
গ. শিক্ষককে সালাম দিবার
ঘ. বড়দের সম্মান করার
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
১. ধর্মগ্রন্থে কার কথা থাকে?
উত্তর : ধর্মগ্রন্থে ঈশ্বরের কথা থাকে।
২. ‘বেদ’ এর নাম কেন বেদসংহিতা রাখা হয়েছে?
উত্তর : বিভিন্ন মুনি-ঋষি বেদ এর বাণীসমূহ লিপিবদ্ধ করে সংহত করেছেন। তাই এর নাম রাখা হয়েছে বেদসংহিতা।
৩. দেবীপুরাণে কোন দেবীর বর্ণনা আছে?
উত্তর : দেবীপুরাণে দেবী দুর্গার বর্ণনা আছে।
৪. হিন্দুধর্মে ‘পুরাণ’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : হিন্দুধর্মে পুরাণ বলতে ঐ ধর্মগ্রন্থকে বোঝানো হয়েছে যেখানে সৃষ্টি ও দেবতার উপাখ্যান, ঋষি ও রাজাদের বংশ-পরিচয় প্রভৃতি আলোচনা করা হয়েছে।
কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর
সাধারণ
১. ধর্মগ্রন্থে গীতার পুরো নাম কী? এই গ্রন্থে কোন কোন বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে?
উত্তর : গীতার পুরো নাম শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা। গীতা হচ্ছে সব শাস্ত্রের সার। এতে যে বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে তা হলো :
-দুর্বলতা পরিহার;
-ঈশ্বরের নামে সকল কর্ম করা;
-নিষ্কাম কর্ম করা;
-অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করা;
-শ্রদ্ধাবান ও সংযমী হওয়া।
২. বেদ কার বাণী? বেদ কয়টি ও কী কী? ঋগে¦দ সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা দাও।
উত্তর : বেদ ঈশ্বর বা ভগবানের বাণী।
বেদ চারটি। যেমনÑ ১. ঋগে¦দ সংহিতা, ২. যর্জুবেদ সংহিতা, ৩. সামবেদ সংহিতা ও ৪. অর্থববেদ সংহিতা।
ঋগেদ সংহিতা : ঋগে¦দ সংহিতায় রয়েছে দেবতাদের স্তুতি ও প্রার্থনামূলক মন্ত্র। এগুলো পদ্যে রচিত এক ধরনের কবিতা।
যোগ্যতাভিত্তিক
৩. বিমল এমন একটি ধর্মগ্রন্থ চর্চা করে যার বাণীসমূহ বিভিন্ন মুনি-ঋষিগণ দর্শন করেছেন। বর্ণিত ধর্মগ্রন্থের নাম কী? তুমি কেন গ্রন্থটি চর্চা করবে? দৈনন্দিন জীবনে উক্ত গ্রন্থের তিনটি প্রায়োগিক দিক উল্লেখ কর।
উত্তর : বর্ণিত ধর্মগ্রন্থের নাম বেদ। জীবনের সার্বিক মঙ্গলের জন্য আমি বেদ পাঠ করব।
দৈনন্দিন জীবনে বেদের তিনটি প্রায়োগিক দিক :
১. আমরা প্রার্থনার সময় ঋগে¦দ সংহিতার বিভিন্ন মন্ত্র পাঠ করি।
২. আমরা প্রত্যহ সামবেদ সংহিতার মন্ত্রগুলো দেবতাদের উদ্দেশ্যে সুর দিয়ে গাই।
৩. অথর্ববেদ সংহিতার মন্ত্রসমূহ চিকিৎসা বিজ্ঞান, গৃহ নির্মাণ ইত্যাদি বিষয়ে প্রয়োগ করে থাকি।
অনুশীলনীর প্রশ্ন ও সমাধান
ক. শূন্যস্থান পূরণ কর :
১। যাঁরা আজীবন জগতের উপকার করে যান, তাঁরাই হলেন ————— ও মহীয়সী নারী।
২। মাদারীপুর ছিল ————— একটি বিখ্যাত কেন্দ্র।
৩। স্বামী প্রণবানন্দ প্রতিষ্ঠিত আশ্রমের নাম —————।
৪। মার্গারেটকে শান্তি দেয় ————— ধর্মমত।
৫। রবীন্দ্রনাথ মার্গারেটের নাম দিয়েছিলেন —————।
উত্তর : ১। মহাপুরুষ ২। বিপ্লবীদের ৩। ভারত সেবাশ্রম ৪। বেদান্তের ৫। লোকমাতা
খ. ডান পাশ থেকে শব্দ এনে বাম পাশের শব্দের সঙ্গে মেলাও :
১। মহাপুরুষ ও মহীয়সী নারীদের—————একমাত্র লক্ষ্য জগতের কল্যাণ।
২। বিনোদ ছিলেন খ্বুই—————একজন ধর্মপ্রচারক।
৩। স্বামী প্রণবানন্দ—————অস্পৃশ্যতাকে ঘৃণা করতেন।
৪। মার্গারেটের পিতা স্যামুয়েল ছিলেন—————জীবনী সুন্দর।
৫। ভগিনী নিবেদিতা স্বাস্থ্য উদ্ধারের জন্য————— সংযমী ও পরিশ্রমী।
————— সাহসী ও শক্তিমান।
————— দার্জিলিং যান।
উত্তর :
১। মহাপুরুষ ও মহীয়সী নারীদের জীবনী সুন্দর।
২। বিনোদ ছিলেন খুবই সংযমী ও পরিশ্রমী।
৩। স্বামী প্রণবানন্দ অস্পৃশ্যতাকে ঘৃণা করতেন।
৪। মার্গারেটের পিতা স্যামুয়েল ছিলেন একজন ধর্মপ্রচারক।
৫। ভগিনী নিবেদিতা স্বাস্থ্য উদ্ধারের জন্য দার্জিলিং যান।
গ. সঠিক উত্তরের পাশে টিক () চিহ্ন দাও :
১। স্বামী প্রণবানন্দের প্রকৃত নাম কী?
ক. বিনোদ
খ. আনন্দ
গ. সদানন্দ
ঘ. বিবেকানন্দ
২। বিনোদের সেবাকাজে খুশি হয়ে কে প্রশংসা করেছিলেন?
ক. আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু
খ. বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু
গ. আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়
ঘ. কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৩। ভগিনী নিবেদিতার জন্মস্থান কোথায়?
ক. স্কটল্যান্ডে
খ. আয়ারল্যান্ডে
গ. লন্ডনে
ঘ. সুইজারল্যান্ডে
৪। বিবেকানন্দ কত খ্রিষ্টাব্দে লন্ডনে আসেন?
ক. ১৮৯৩
খ. ১৮৯৪
গ. ১৮৯৫
ঘ. ১৮৯৬
৫। নিবেদিতার মৃত্যু হয় কোথায়?
ক. কোলকাতায়
খ. বেলুড়ে
গ. দক্ষিণেশ্বরে
ঘ. দার্জিলিং-এ
ঘ. নিচের প্রশ্নগুলোর সংক্ষেপে উত্তর দাও :
১। বিনোদের পিতা বিষ্ণুচরণ ভইয়া কী করতেন?
উত্তর : বিনোদের পিতা বিষ্ণুচরণ ভঁইয়া রাজা সূর্যকান্ত রায়ের অধীনে বাজিতপুর জমিদারির নায়েবের পদে চাকরি করতেন।
২। বিনোদ কেমন ছিলেন? তিনি বন্ধুদের নিয়ে কী করেছিলেন?
উত্তর : বিনোদ সংযমী ও পরিশ্রমী ছিলেন। তিনি বন্ধুদের নিয়ে আশ্রম গড়েছিলেন।
৩। বিনোদের নাম ‘স্বামী প্রণবানন্দ’ হয় কখন এবং কীভাবে?
উত্তর : বিনোদ ১৯২৪ খিষ্টাব্দের জানুয়ারি মাসে স্বামী গোবিন্দানন্দ গিরি মহারাজের নিকট সন্ন্যাস ধর্মে দীক্ষা নেন। তখন তাঁর নতুন নাম হয় স্বামী প্রণবানন্দ।
৪। আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় বিনোদের প্রশংসা করেছিলেন কেন?
উত্তর : ১৯২১ খ্রিষ্টাব্দে বিনোদ দুর্ভিক্ষ আক্রান্ত সুন্দরবন অঞ্চলে পাঁচশত কর্মী নিয়ে দুর্ভিক্ষপীড়িতদের মধ্যে খাবার বিতরণ করেন। তাঁর একাজে খুশি হয়ে আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় তাঁর উচ্চ প্রশংসা করেন।
৫। চার্চের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মার্গারেটের বিরোধ বাধে কেন?
উত্তর : চার্চের একটি নিয়ম নিয়ে মার্গারেটের সাথে চার্চের বিরোধ হয়। নিয়মটি হলো- ‘যারা চার্চে এসে উপাসনা করবে, কেবল তারাই চার্চের সাহায্য পাবে।’ মার্গারেট এটা মানতে পারেননি। তাঁর মতে দুঃস্থ, নিপীড়িত সবাই চার্চের সুযোগ-সুবিধা পাবে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তা মানেননি।
ঙ. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
১। বিনোদকে কেন ব্রিটিশ পুলিশ গ্রেফতার করেছিল?
উত্তর : মাদারীপুর ছিল স্বদেশী আন্দোলনের বিপ্লবীদের একটি বিখ্যাত কেন্দ্র। বিপ্লবী পূর্ণদাস ছিলেন এ অঞ্চলের নেতা। তিনি বিনোদের সংগঠনশক্তির কথা শুনে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসেন। বিনোদও এগিয়ে আসেন স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সংঘবদ্ধ করার জন্য।
’ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম প্রভৃতি জেলা থেকে বিপ্লবীমন্ত্রে দীক্ষিত ছেলেরা আসতে থাকে বিনোদের আশ্রমে। ক্রমে ব্যাপারটি চারদিকে প্রচারিত হয়ে যায়। তাই ব্রিটিশ পুলিশ একদিন বিনোদকে গ্রেফতার করে।
২। তীর্থস্থানে পাণ্ডাদের অত্যাচার বন্ধে বিনোদ কী করেছিলেন?
উত্তর : তীর্থস্থানে পাণ্ডাদের অত্যাচার বন্ধে বিনোদ সেবাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। যা পরবর্তীকালে সমগ্র ভারতবর্ষে ‘ভারত সেবাশ্রম’ নামে খ্যাতি লাভ করে। এর মাধ্যমে তিনি বিভিন্ন প্রকার সেবা প্রদান করতে থাকেন। তীর্থযাত্রীরা যাতে নির্বিঘেœ তাঁদের ক্রিয়াকর্ম করতে পারেন, তার ব্যবস্থা করেন।
৩। বিবেকানন্দের সঙ্গে মার্গারেটের সাক্ষাৎ হয় কখন এবং কীভাবে?
উত্তর : ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে বিবেকানন্দ লন্ডন আসেন হিন্দুধর্ম ও দর্শন সম্পর্কে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য। তাঁর বক্তৃতা শুনতে অনেক দার্শনিক ও ধর্মানুরাগী ছুটে আসেন তাঁর কাছে। একদিন মার্গারেটও এলেন তাঁর বক্তৃতা শুনতে। এভাবেই ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে বিবেকানন্দের সঙ্গে মার্গারেটের সাক্ষাৎ হয়।
৪। নারীশিক্ষার জন্য নিবেদিতা কী করেছিলেন?
উত্তর : নারী শিক্ষার জন্য গুরুর নির্দেশে তিনি কোলকাতার বাগবাজারে একটি বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেন। তাঁর শিক্ষা-পদ্ধতি ছিল চিত্তাকর্ষক। তিনি গল্পের ছলে ছাত্রীদের শিক্ষা দিতেন। রামায়ণ-মহাভারত থেকে সীতা, সাবিত্রী, গান্ধারী প্রভৃতি মহীয়সী নারীদের জীবনী খুব যতœসহকারে তাদের শেখাতেন।
৫। ভারতের স্বাধীনতার জন্য নিবেদিতা কী করেছিলেন?
উত্তর : ভারতকে ভগিনী নিবেদিতা ‘ধাত্রী দেবতা’ রূপে গ্রহণ করেছিলেন। তাই পরাধীন ভারতের দুঃখ, দারিদ্র্য, অশিক্ষা, কুসংস্কার দেখে তাঁর প্রাণ কেঁদে ওঠে। তিনি ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের কথা ভাবতে থাকেন। তখন ভারতের মুক্তির জন্য যাঁরা সংগ্রাম করতেন, তিনি তাঁদের উৎসাহ দিতেন এবং সাহায্য করতেন। ১৯০৫ খ্রিষ্টাব্দে বারাণসীতে অনুষ্ঠিত জাতীয় কংগ্রেসে তিনি বিলেতি দ্রব্য বর্জনের জোরালো আহŸান জানান।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর
স্বামী প্রণবানন্দ
১. বিনোদ কোন দেবতার ভক্ত ছিলেন?
ক.বিষ্ণু
খ. ব্রহ্মা
গ. শিব
ঘ. কৃষ্ণ
২. বিনোদ ছোটবেলা থেকেই কী সাধনার অভ্যাস করেন?
ক.ওঙ্কার খ. হুংকার গ. কঙ্কম ঘ. ডংকার
৩. মাদারীপুর অঞ্চলে স্বদেশী আন্দোলনের নেতা ছিলেন কে?
ক. বিপ্লবী বীপ্রদাস
খ. বিপ্লবী পূর্ণদাস
গ. বিপ্লবী স্বামী প্রণবানন্দ
ঘ. বিপ্লবী হরিপাল
৪. সুন্দরবন অঞ্চলে দুর্ভিক্ষ হয় কত খ্রিষ্টাব্দে?
ক. ১৯২১
খ. ১৯২২
গ. ১৯২৩
ঘ. ১৯২৪
৫. বিনোদ সন্ন্যাস ধর্মে দীক্ষা নেন কত খ্রিষ্টাব্দে?
ক. ১৯২৩
খ. ১৯২৪
গ. ১৯২৫
ঘ. ১৯২৬
৬. প্রণবানন্দ কিভাবে মানুষের মধ্যে নৈতিক ও আধ্যাত্মিক ভাব জাগিয়ে তোলার কথা বলতেন? জ
ক. ধর্মের মাধ্যমে
খ. পবিত্রতার মাধ্যমে
গ. শিক্ষার মাধ্যমে
ঘ. সেবাশ্রমের মাধ্যমে
ভগিনী নিবেদিতা
৭. ভগিনী নিবেদিতা কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?
ক. ১৮৬৫
খ. ১৮৬৭
গ. ১৮৬৬
ঘ. ১৮৬৮
৮. ভগিনী নিবেদিতা শিক্ষার্থীদের কীভাবে শিক্ষা দিতেন?
ক. শাসনের মাধ্যমে
খ. স্নেহের মাধ্যমে
গিত্তাকর্ষক পদ্ধতিতে
ঘ. জোরপূর্বক
৯. ভগিনী নিবেদিতা কত খ্রিষ্টাব্দে ইংল্যান্ড থেকে ভারতে চলে আসেন?
ক. ১৮৯৬
খ. ১৮৯৭
গ. ১৮৯৮
ঘ. ১৮৯৯
১০. কে মার্গারেটের নাম দেন নিবেদিতা?
ক. স্বামী প্রণবানন্দ
খ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
গ. স্বামী বিবেকানন্দ
ঘ. স্বামী গোবিন্দানন্দ
১১. ভগিনী নিবেদিতা আগে কী নামে পরিচিত ছিলেন?
ক. মাদার তেরেসা
খ. কৃত্তিকা
গ. মার্গারেট
ঘ. হেনরিটা খেসা
১২. নিচের কোন বইটি মার্গারেটের লেখা?
ক. কালী
খ. ইন্ডিয়াস রিলিজিয়ন
গ. দ্য স্পিরিট
ঘ. দ্য হিন্দুস
১৩. স্বামী প্রণবানন্দ কত খ্রিষ্টাব্দে মারা যান?
ক. ১৯৪০
খ. ১৯৪২
গ. ১৯৪১
ঘ. ১৯৪৩
যোগ্যতাভিত্তিক
শিখনফল: মহৎ ব্যক্তিদের গুণাবলি অনুসরণ করতে পারব।
১৪. তুমি ভগিনী নিবেদিতার আদর্শ অনুসরণ করতে চাও। এক্ষেত্রে তোমার করণীয়Ñ ঝ
ক. নিজের প্রতি যতশীল হওয়া
খ. ধর্মীয় বক্তৃতা চর্চা করা
গ. দেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা
ঘ. জনসেবায় আত্মনিয়োগ করা
১৫. ক এবং খ এলাকার মধ্যে সহযোগিতার ভাব গড়ে তুলতে হবে। এজন্য স্বামী প্রণবানন্দের কোন নির্দেশ পালনযোগ্য? জ
ক. নৈতিক চর্চা করা
খ. আধ্যাত্মিক ভাব জাগিয়ে তোলা
গ. মিলন-মন্দির প্রতিষ্ঠা করা
ঘ. সনাতন আদর্শ লালন করা
আরো পড়ুনঃ
-
- ৫ম শ্রেণি | বাংলা | প্রার্থনা কবিতার প্রশ্ন উত্তর | PDF
- ৫ম শ্রেণি | বাংলা | ঘাসফুল কবিতার প্রশ্ন উত্তর | PDF
- ৫ম শ্রেণি | বাংলা | ভাবুক ছেলেটি গল্প প্রশ্ন উত্তর | PDF
- ৫ম শ্রেণি | বাংলা | অবাক জলপান নাটকটির প্রশ্ন উত্তর | PDF
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
১. প্রণবানন্দ প্রথম ও প্রধান কাজ কী হবে বলে ঠিক করেছিলেন।
উত্তর : হিন্দুদের তীর্থসমূহ সংস্কার করা তাঁর প্রথম ও প্রধান কাজ হবে বলে প্রণবানন্দ ঠিক করেছিলেন।
২. ভগিনী নিবেদিতার লেখা ৩টি বইয়ের নাম লেখ।
উত্তর : ভগিনী নিবেদিতার লেখা ৩টি বই হলো- ‘কালী’, ‘দ্যা মাদার’, ‘দ্যা মাস্টার অ্যাজ আই স হিম’।
৩. ভগিনী নিবেদিতা কত খ্রিস্টাব্দে বিলেতি দ্রব্য বর্জনের ডাক দিয়েছিলেন?
উত্তর : ভগিনী নিবেদিতা ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে বিলেতি দ্রব্য বর্জনের ডাক দিয়েছিলেন।
৪. ভগিনী নিবেদিতার পূর্ব নাম কী ছিল?
উত্তর : ভগিনী নিবেদিতার পূর্ব নাম ছিল মার্গারেট এলিজাবেথ নোবল।
কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর
সাধারণ
১. স্বামী প্রণবানন্দ প্রতিষ্ঠিত সেবাশ্রমের নাম কী? ভক্তদের মাঝে প্রচারিত তাঁর ৪টি দর্শন উল্লেখ কর।
উত্তর : স্বামী প্রণবানন্দ প্রতিষ্ঠিত সেবাশ্রমের নাম ভারত সেবাশ্রম।
ভক্তদের মাঝে প্রচারিত স্বামী প্রণবানন্দের ৪টি শিক্ষা :
১. শিক্ষার মাধ্যমে নৈতিক ও আধ্যাত্মিক ভাব জাগিয়ে তোলা।
২. সকলের মাঝে সহযোগিতার ভাব গড়ে তোলা।
৩. সনাতন আদর্শে সংগঠিত হওয়া।
৪. আহারে, বিহারে ও আলাপ সংযম করা।
২. নারীশিক্ষার জন্য নিবেদিতা কী করেছিলেন? সংক্ষেপে লেখ।
উত্তর : নিবেদিতা নারীশিক্ষা বিস্তারের জন্য কলকাতার বাগবাজারে একটি বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেন।তিনি রামায়ণ মহাভারত থেকে মহীয়সী নারীদের জীবনী খুব যতœসহকারে তাদের শেখাতেন। নারীরা যাতে মহীয়সী নারীদের কার্যক্রম থেকে শিক্ষা অর্জন করে বাস্তবজীবনে প্রতিফলন ঘটাতে পারে। এভাবে ভগিনী নিবেদিতা অশিক্ষা ও কুসংস্কার থেকে ভারতকে মুক্ত করতে চেয়েছিলেন।
যোগ্যতাভিত্তিক
৩. ক্লাসে শিক্ষক ভগিনী নিবেদিতার জীবনী সম্পর্কে আলোচনা করলেন। তাঁর প্রকৃত নাম কী? তিনি কেন ভারতে চলে আসেন? তার শিক্ষা পদ্ধতি সম্পর্কে ৩টি বাক্যে লেখ।
উত্তর : ভগিনী নিবেদিতার প্রকৃত নাম মার্গারেট এলিজাবেথ নোবল।
তিনি বেদান্তের ধর্মমত চর্চার উদ্দেশ্যে ভারতে আসেন।
তার শিক্ষা পদ্ধতি হলো
১. শিক্ষা পদ্ধতি ছিল চিত্তাকর্ষক।
২. গল্পের ছলে শিক্ষা দিতেন।
৩. রামায়ণ মহাভারত থেকে সীতা, সাবিত্রী, গান্ধারী প্রভৃতি মহীয়সী নারীদের জীবনী যতœসহকারে শেখাতেন।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।