চতুর্থ শ্রেণি | বাংলা | এদেশ আমার এদেশ তোমার | অনুশীলনী প্রশ্ন উত্তর: চতুর্থ শ্রেণির বাংলা বিষয়টির এদেশ আমার এদেশ তোমার গল্পটির অনুশীলনী হতে গুরুত্বপূর্ণ সব প্রশ্ন উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে। অতএব সম্পূর্ণ পোস্টটি মনযোগ সহকারে পড়ুন।
এদেশ আমার এদেশ তোমার
সবিশেষ মুজিবের
উত্তর : আলোচ্য চরণ দুটি সানাউল হক. রচিত ‘মুক্তির ছড়া’ নামক. কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।
এখানে এদেশটা আমাদের সকলের হলেও বিশেষভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ. মুজিবুর রহমানের এদিকটিই বোঝানো হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ. মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ডাক. দেন। তাঁর ডাকে সাড়া দিয়েই আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ। দেশের স্বাধীনতার সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়ায় এই দেশটি বিশেষভাবে বঙ্গবন্ধুর।
নিচের কবিতাংশটি পড়ে ১, ২, ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লেখ।
আমি তো মরেছি যতবার যায় মরা,
নবীন যাত্রী তোমাকে শোনাই ছড়া।
এদেশ আমার এদেশ তোমার
সবিশেষ মুজিবের,
হয়তো অধিক. মুক্তিপাগল
সহস্র শহিদের।
১. সঠিক. উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
১) নবীন যাত্রী বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে?
(ক) নতুন যুগের শিশুদের
(খ) বিগত দিনের শিশুদের
(গ) নতুন যুগের তরুণদের
(ঘ) বিগত দিনের তরুণদের
২) নবীন যাত্রীকে কবি কী শোনান?
(ক) গল্প
(খ) কবিতা
(গ) ছড়া
(ঘ) গান
৩) কবিতাংশ থেকে বলা যায়, এ দেশের মুক্তিযোদ্ধারা হলেনÑ
(ক) নবীন যাত্রী
(খ) প্রবীণ যাত্রী
(গ) মুক্তির আশাহীন
(ঘ) মুক্তিপাগল
৪) ‘সহস্র’ শব্দটির ‘স্র’ যুক্তবর্ণটি বিভাজন করলে কোনটি পাওয়া যায়?
(ক) স + র-ফলা
(খ) স + ত + র
(গ) স + য-ফলা
(ঘ) স + স
৫) কবিতাংশে বলা হয়েছে
(ক) বাংলাদেশের রূপের কথা
(খ) বাংলাদেশের শিশুদের অধিকারের কথা
(গ) মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহতার কথা
(ঘ) দেশের মুক্তির জন্য যাঁরা অবদান রেখেছেন তাঁদের কথা
উত্তর :
১) (ক) নতুন যুগের শিশুদের; ২) (গ) ছড়া;
৩) (ঘ) মুক্তিপাগল; ৪) (ক) স + র-ফলা;
৫) (ঘ) দেশের মুক্তির জন্য যাঁরা অবদান রেখেছেন তাঁদের কথা।
২. নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখ।
নবীন, সবিশেষ, সহস্র, শহিদ, যাত্রী।
উত্তর : শব্দ অর্থ
নবীন—–নতুন।
সবিশেষ—–বিশেষভাবে।
সহস্র—–হাজার।
শহিদ—–মহৎ কিছুর জন্য যাঁরা জীবন দেন।
যাত্রী—–যাত্রা করে যে।
৩. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
ক) এই দেশ বিশেষভাবে কার?
উত্তর : এই দেশ বিশেষভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ. মুজিবুর রহমানের।
খ) মুক্তিপাগল বলা হয়েছে কাদের?
উত্তর : এদেশের সাহসী সন্তানেরা দেশের মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন। স্বাধীনতার জন্য তাঁরা অধীর ছিলেন। কবি তাঁদেরকেই মুক্তিপাগল বলেছেন।
গ) বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য সহস্র শহিদের অবদান কী?
উত্তর : বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে এই দেশের হাজার হাজার মানুষ শহিদ হন। সেই শত-সহস্র শহিদের রক্তের বিনিময়েই আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি।
৪. কবিতাংশটির মূলভাব লেখ।
উত্তর : বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য এদেশের মানুষ বারবার অত্যাচার, নিপীড়ন আর নির্যাতন সহ্য করেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ. মুজিবের নেতৃত্বে বাঙালিরা স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। শত-সহস্র মুক্তিপাগল শহিদের প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের প্রিয় স্বাধীনতা।
এ অংশে পাঠ্য বই বহির্ভূত অনুচ্ছেদ/কবিতাংশ দেওয়া থাকবে। প্রদত্ত অনুচ্ছেদ/কবিতাংশটি পড়ে ৩ ধরনের প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। এখানে থাকবে (১) বহুনির্বাচনি প্রশ্ন (২) শূন্যস্থান পূরণ (৩) প্রশ্নের উত্তর লিখন প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর করতে হবে।
পাঠ্য বই বহির্ভূত অনুচ্ছেদ/কবিতাংশ পরীক্ষায় কমন পড়বে না। তাই এটি এখানে দেওয়া হলো না। তবে পরীক্ষার প্রশ্নের পূর্ণাঙ্গ. নমুনা (ঋড়ৎসধঃ) বোঝার সুবিধার্থে বইয়ের প্রথম দুটি অধ্যায়ে পাঠ্য বই বহির্ভূত অংশটি সংযোজন করা হয়েছে।
……………………………………………………………..
৮. নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ দিয়ে গঠিত ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ. দেখাও।
ত্র, স্র, ক্ত, ন্দ, স্ব।
উত্তর :
ত্র = ত + র-ফলা ( ্র )—–ছাত্র
আমি চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র।
স্র = স + র-ফলা ( ্র )—–সহস্র
সহস্র বলতে হাজার বোঝায়।
ক্ত = ক. + ত—–শক্ত
পাথর খুব শক্ত।
ন্দ = ন + দ—–মন্দ
মন্দ কাজ করো না।
স্ব = স + ব-ফলা ( ^ )—–স্বপ্ন
স্বপ্নে আমি ভয় পেয়েছি।
৯. সঠিক. স্থানে বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদটি আবার লেখ।
(পদ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)
১০. নিচের ক্রিয়াপদগুলোর চলিত রূপ লেখ।
মরিয়াছি, শুনাইব, ভালোবাসিয়া, হইয়াছে, পাইব।
উত্তর :
ক্রিয়াপদ ———-চলিত রূপ
মরিয়াছি ———- মরেছি
শুনাইব ———- শোনাব
ভালোবাসিয়া ———- ভালোবেসে
হইয়াছে ———- হয়েছে
পাইব ———- পাব
১১. নিচের শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ লেখ।
অধিক, প্রিয়, সুন্দর, সহ্য, স্বাধীনতা।
উত্তর : মূল শব্দ ———-বিপরীত শব্দ
অধিক. ———- অল্প
প্রিয় ———- অপ্রিয়
সুন্দর ———- অসুন্দর
সহ্য ———- অসহ্য
স্বাধীনতা ———- পরাধীনতা
১২. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
আমি তো মরেছি যতবার যায় মরা,
সবুজ সোনালি ফিরোজা রুপালি
নবীন যাত্রী তোমাকে শোনাই ছড়া।
রূপের নেই তো শেষ।
সোনার বাংলাদেশ
তোমার বাংলা আমার বাংলা
ক) কবিতার চরণগুলো সাজিয়ে লেখ।
খ) কবিতাংশটি কোন কবিতার অংশ?
গ) কবিতাটির কবির নাম কী?
ঘ) আমাদের দেশকে আমরা ‘সোনার বাংলাদেশ’ বলি কেন?
উত্তর :
ক) কবিতার চরণগুলো নিচে সাজিয়ে লেখা হলোÑ
তোমার বাংলা আমার বাংলা
সোনার বাংলাদেশ
সবুজ সোনালি ফিরোজা রুপালি
রূপের নেই তো শেষ।
আমি তো মরেছি যতবার যায় মরা,
নবীন যাত্রী তোমাকে শোনাই ছড়া।
খ) কবিতাংশটি ‘মুক্তির ছড়া’ কবিতার অংশ।
গ) কবিতাটির কবির নাম সানাউল হক।
ঘ) বাংলাদেশ আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি। এদেশে জন্ম নিয়ে আমরা গর্বিত। একসময় এই দেশটি শস্যভরা মাঠ, মাছভরা নদী ইত্যাদি সম্পদে পরিপূর্ণ ছিল। তাই এই দেশকে সোনার বাংলাদেশ বলা হয়।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।