JSC : শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়‘র জীবনী ও সৃজনশীল প্রশ্নগুলোর উত্তর।।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ভাষা ও সাহিত্য হতে গুরুপূর্ণ কিছু প্রশ্ন উত্তর আলোচনা করতে যাচ্ছি ।সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর অষ্টম শ্রেণি- JSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
অতিথির স্মৃতি
লেখক-পরিচিতি
নাম শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
জন্ম পরিচয় জন্ম সাল : ১৮৭৬ খ্রিষ্টাব্দ; জন্মস্থান : পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার দেবানন্দপুর গ্রাম।
পিতৃ-মাতৃ পরিচয় পিতার নাম : মতিলাল চট্টোপাধ্যায়। মাতার নাম : ভুবনমোহিনী।
শিক্ষাজীবন এফএ (এইচএসসি) শ্রেণি পর্যন্ত।
পেশা/কর্মজীবন ১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দে রেঙ্গুনে (মায়ানমার) কেরানি পদে চাকরি করেন। পরবর্তীতে সাহিত্য রচনাকেই পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন।
সাহিত্য সাধনা উপন্যাস : বড়দিদি, বিরাজবৌ, রামের সুমতি, দেবদাস, বিন্দুর ছেলে, পরিণীতা, প-িত মশাই, মেজদিদি, পল্লীসমাজ, বৈকুণ্ঠের উইল, শ্রীকান্ত, গৃহদাহ, চরিত্রহীন, দত্তা, পথের দাবি, দেনা-পাওনা, শেষ প্রশ্ন; ছোটগল্প : মহেশ, বিলাসী, সতী, মামলার ফল। নাটক : ষোড়শী, রমা; প্রবন্ধ : তরুণের বিদ্রোহ, স্বদেশ ও সাহিত্য প্রভৃতি।
পুরস্কার ও সম্মাননা ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘জগত্তারিণী স্বর্ণপদক’ প্রাপ্তি । ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি. লিট উপাধি লাভ।
জীবনাবসান মৃত্যু তারিখ : ১৬ই জানুয়ারি, ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দ।
প্রশ্ন -১১ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
তন্ময় একটি কুকুর পোষে, কিন্তু বাড়ির বুয়ার জন্য সময়মতো তাকে খাবার দিতে পারে না তার মাকেও নানা কাজে বাড়ির বাইরে থাকতে হয়। তন্ময় যখন কাজের ব্যস্ততায় বাড়ির বাইরে থাকে বুয়া তখন লাঠি দিয়ে মেরে কুকুরটাকে গেটের বাইরে বের করে দেয়। কুকুরের জন্য বরাদ্দ খাবারটুকু গোপনে পাঠিয়ে দেয় তার নিজের লোকদের কাছে। বিষয়টি কুকুরটি বোঝে কিন্তু বোঝাতে পারে না তার প্রভু তন্ময়কে। ছুটির দিনে কুকুরটিকে নিয়েই বেড়াতে গিয়ে তন্ময় তাকে কিছু কিনে খেতে দেয়, এতেই সে খুশি। তন্ময় কাজে যাওয়ার সময় কুকুরটি তাকে কিছুটা পথ এগিয়ে দেয়।
ক. ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের অতিথি কে? ১
খ. ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পটি পাঠের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের বুয়া চরিত্রটিতে ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের কোন চরিত্রের প্রতিফলন ঘটেছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “উদ্দীপকটি ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের মূলভাবের নির্দেশ করে” মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর।” ৪
খ. ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্প পাঠের উদ্দেশ্য হলো পাঠক যেন মানবেতর প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতা পরিহার করে সহানুভূতিতে সিক্ত হয়।
গল্পটিতে লেখক তাঁর লেখায় মানবেতর একটি প্রাণীর সঙ্গে একটি অসুস্থ মানুষের কয়েক দিনের পরিচয়ের মধ্য দিয়ে মমত্বের সম্পর্ককে ফুটিয়ে তুলেছেন। লেখক দেখিয়েছেন মানুষে মানুষে যেমন স্নেহপ্রীতির সম্পর্ক অন্য জীবের সঙ্গে মানুষের তেমন সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে।
মানুষ ও অবলা জীব যখন স্নেহপ্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয় তখন সেই সম্পর্ক স্থায়ী রূপ পেতে অনেকে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এক্ষেত্রে বাধা দেয়া চরিত্রটি নির্মম হয়েও উঠতে পারে। এমন নির্মমতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত উদ্দীপকের বুয়া এবং ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের মালিনী।
‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পে দেখা যায়, লেখকের সাথে আসা কুকুরটিকে লেখক অতিথির মর্যাদা দেন এবং বামুন ঠাকুরকে খাবার দেয়ার জন্য বলেন। কিন্তু কুকুরটির ভাগ্যে খাদ্য জোটেনি। একটু ভিন্ন আঙ্গিকে হলেও এই ঘটনারই প্রতিফলন উদ্দীপকে লক্ষণীয়।
উদ্দীপকে বর্ণিত তন্ময় একটি কুকুর পোষে। কিন্তু সময়মতো তাকে খাবার দিতে পারে না বাড়ির বুয়ার জন্য। এদিক থেকে উদ্দীপকের বুয়া চরিত্রটিতে ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের মালী-বৌ চরিত্রের প্রতিফলন ঘটে।
ঘ. “উদ্দীপকটি অতিথির স্মৃতি গল্পের মূলভাব ধারণ করে মন্তব্যটি যথার্থ।”
‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পে লেখক মূলত দেখিয়েছেন, মানুষে-মানুষে যেমন স্নেহপ্রীতির সম্পর্ক গড়ে ওঠে, অন্য জীবের সঙ্গেও তেমন সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে।
কিন্তু সেই সম্পর্ক নানা প্রতিকূলতার কারণে স্থায়ী রূপ পায় না। আবার এই সম্পর্কের সূত্র ধরে একটি মানুষ ওই জীবের প্রতি যখন মমতায় সিক্ত হয়, তখন অন্য মানুষের আচরণ হয়ে উঠতে পারে নির্মম।
উদ্দীপকের তন্ময় ও কুকুরটির সম্পর্কের মধ্য দিয়ে ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের জীবের সাথে মানুষের সম্পর্কের দিকটি প্রকাশিত হয়েছে। আর কুকুরটির প্রতি চাকরানির ব্যবহারের মধ্য দিয়ে তুচ্ছ জীব ও মানুষের মধ্যে সম্পর্কের বাধার নির্মমতার দিকটি ফুটে উঠেছে। ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের মূলভাবে যে বিষয় প্রকাশ পায় সেই বিষয়গুলোরই প্রতিফলন লক্ষ করা যায় উদ্দীপকে। উল্লিখিত আলোচনায় বলা যায়, উদ্দীপকটি ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের মূলভাবের ধারক।
প্রশ্ন -১২নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
বরিশাল শহরের ধনাঢ্য ব্যবসায়ী আরিফুর রহমানের দুই ছেলেকে তিনি অতি যতেœ উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করেন। ছোট ছেলে সাদ গরিব মানুষকে অকাতরে সাহায্য করে। কেউ কোনো কষ্টে পড়লে তার হৃদয় কেঁদে ওঠে। জীবজন্তুর প্রতি ভালোবাসার কারণে সে ঘরে বিড়াল, কুকুর, পাখি ইত্যাদি পোষে। তার পালিত একটি বিড়াল বড় ভাই আকাশের ঘরে গেলে আকাশ খুব বিরক্ত হয়। সে লাঠিপেটা করে এক পর্যায়ে বিড়ালটিকে মেরে ফেলে।
ক. ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের কথক কার আদেশে দেওঘরে গিয়েছিলেন? ১
খ. অতিথি আজ ফিরে গিয়ে দেখবে বাড়ির লোহার গেট বন্ধ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের আকাশের সাথে ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের গল্প কথকের বৈসাদৃশ্য নির্ণয় কর। ৩
ঘ.উদ্দীপকের সাদের মধ্যে ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পে প্রতিফলিত মানব মনের মহানুভবতার পরিপূর্ণ প্রকাশ ঘটেছেমন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর। ৪
খ. দেওঘরের সেই বাড়িতে অতিথি কুকুরটা আজ আর ঢুকতে পারবে না অনুমান করে লেখক এ মন্তব্যটি করেছেন।
লেখক দেওঘরে বায়ু পরিবর্তনের জন্য এসে একটা কুকুরের প্রতি গভীর মানবেতর ভালোবাসায় জড়িয়ে পড়েন। লেখক কুকুরটাকে আদর করে বাড়ির ভেতরে নেন। কিন্তু বাড়ির মালিনী, চাকরদের কেউ কুকুরটাকে বাড়িতে ঢুকতে দিত না। লেখকের মুখের ওপর তারা কুকুরটার আসা বন্ধ করতে পারেনি। তবে লেখকের অনুমান আজ তার অনুপস্থিতিতে অতিতি বন্ধু কুকুরটার জন্য বাড়ির দরজা বন্ধ হবে।
গ. মানবেতর প্রাণীর প্রতি আচরণের দিক দিয়ে উদ্দীপকের আকাশের সাথে ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের কথকের বৈসাদৃশ্য বিদ্যমান।
আমাদের আশপাশে বিভিন্ন ধরনের মানবেতর প্রাণী রয়েছে। কখনো কোনো কোনো মানুষের সাথে এসব প্রাণীর মমত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আবার কেউ কেউ এসব প্রাণীর প্রতি নির্মম আচরণ করতে কুণ্ঠাবোধ করে না। এই প্রাণীর প্রতি আচরণগত ভিন্নতার বিষয়টিই গল্পের কথক ও উদ্দীপকের আকাশের মধ্যে ফুটে উঠেছে।
‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের কথক দেওঘরে বেড়াতে বের হয়ে ফেরার সময় একটি কুকুর তার সঙ্গী হয়। কুকুরটিকে তিনি বাড়ি এনে অতিথির মর্যাদা দিয়ে বাড়ির চাকরকে তার খাওয়ার ব্যবস্থা করতে বললেন। একপর্যায়ে কথকের সাথে কুকুরটির আন্তরিক সম্পর্ক তৈরি হয়।
JSC : শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়‘র জীবনী ও সৃজনশীল প্রশ্নগুলোর উত্তর
অপরপক্ষে, উদ্দীপকের আকাশের ঘরে তার ছোট ভাইয়ের পোষা একটি বিড়াল ঢুকলে সে খুব বিরক্ত হয়। লাটিপেটা করে একপর্যায়ে সে বিড়ালটিকে মেরে ফেলে। এতে মানবেতর প্রাণীর প্রতি আকাশের নিষ্ঠুরতার প্রকাশ ঘটে। তাই বলা যায়, প্রাণীর প্রতি আচরণের দিক দিয়ে আকাশ ও গল্পকথকের বৈসাদৃশ্য বিদ্যমান।
ঘ. “উদ্দীপকের সাদের মধ্যে ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পে প্রতিফলিত মানব মনের মহানুভবতার পরিপূর্ণ প্রকাশ ঘটেছে” মন্তব্যটি যথার্থ।
‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পে এক অসুস্থ ব্যক্তি দেওঘরে বায়ু পরিবর্তনের জন্য এলে সেখানকার মানুষ ও পশুপাখির সাথে ভালোবাসার সুগভীর বন্ধনে জড়িয়ে যান। সকালে ঘুম ভাঙানো দোয়েল পাখি না এলে তিনি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। তিনি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রতি তার সহানুভূতির প্রকাশ লক্ষণীয়। এছাড়া পথের কুকুরকে অতিথি করে বাড়িতে নিয়ে আসার মধ্যদিয়ে তার জীবপ্রেম মানসিকতার পরিচয় পূর্ণতা লাভ করেছে। মানবেতর প্রাণী ও মানুষের মধ্যে এ সম্পর্কের আড়ালে ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পে নিঃস্বার্থ মানবমনের মহানুভবতাকেই তুলে ধরা হয়েছে।
উদ্দীপকের সাদ উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত ও ধনাঢ্য বাবার সন্তান হওয়া সত্ত্বেও গরিব মানুষকে অকাতরে সাহায্য করে। অন্যের কষ্টে তার হৃদয় কেঁদে ওঠে। জীবপ্রেমের কারণে সে নিজের ঘরে বিড়াল, কুকুর, পাখি ইত্যাদি পালন করে। তার এ কর্মকা-ের মধ্য দিয়ে মানবমনের মহানুভবতারই প্রকাশ ঘটেছে। উল্লিখিত আলোচনায় বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
প্রশ্ন -১৩ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
বিল্লি আশার প্রিয় পোষা বিড়াল। সকালে উঠেই সে বিল্লির খোঁজ করে, স্কুল থেকে ফিরে বিল্লিকে খাওয়ায়, বিকালে বিল্লিকে নিয়ে খেলা করে বাগানে। দিন শেষে আশা যখন পড়তে বসে, বিল্লি তখন তার পায়ের কাছে বসে থাকে। [সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, সিলেট]
ক. বেনে- বৌ পাখি কোন গাছে বসে হাজিরা হেঁকে যেত? ১
খ. ‘বকশিশ পেল সবাই, পেল না কেবল অতিথি’Ñ কারণ লেখ। ২
গ. আশার মধ্যে ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উদ্দীপকে বর্ণিত আশার অনুভূতি ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের লেখকের সমধর্মী হলেও পুরোপুরি এক নয়। মন্তব্যটির যথার্থতা যাচাই কর। ৪
খ. অতিথির সঙ্গে লেখকের শুধু মমত্ব বা স্নেহপ্রীতির সম্পর্ক থাকায় সে কোনো বকশিশ অর্থাৎ পারিতোষিক পেল না।
লেখক স্বাস্থ্যগত কারণে চিকিৎসকের পরামর্শে দেওঘরে যাওয়ার পর একটা কুকুরের সঙ্গে তার মমত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দেওঘর ছেড়ে আসার দিন মমত্বের টানেই সে রেলস্টেশন পর্যন্ত আসে। লেখককে ট্রেনে তুলে দেওয়ার জন্য মালপত্র বহন করে যারা এসেছিল, তারা সবাই পারিতোষিক পেয়েছিল। কিন্তু অতিথি কুকুরটির সঙ্গে লেখকের অর্থনৈতিক সম্পর্কের ঊর্ধ্বে কেবল স্নেহপ্রীতির সম্পর্ক ছিল বলে সে কোনো বকশিশ বা পারিতোষিক পায়নি। কারণ সবাই এসেছিল অর্থের বিনিময়ে আর অতিথি এসেছে মমত্বের টানে।
গ. আশার মধ্যে ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের মানবেতর প্রাণীর প্রতি মমত্বের সম্পর্কের দিকটি ফুটে উঠেছে।
উদ্দীপকের আশার মধ্যে মানবেতর প্রাণীর প্রতি মমত্ববোধের পরিচয় পাওয়া যায়। বিল্লি নামে তার একটি পোষা বিড়াল আছে।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই সে বিল্লির খোঁজখবর নেয় এবং স্কুল থেকে ফিরে এসেই তাকে খাওয়ায়। বিকালে আশা বিল্লিকে সঙ্গে নিয়ে বাগানে যায় এবং তার সাথে খেলা করে। আশা যখন রাতে পড়তে বসে, তখন বিল্লিও তার পায়ের কাছে বসে থাকে।
‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পে অসুস্থ লেখক চিকিৎসকের পরামর্শে বায়ু পরিবর্তনের জন্য দেওঘরে যান। সেখানে একটি কুকুরের সাথে লেখকের পরিচয় হয় এবং কয়েক দিনের পরিচয়ে মানবেতর এই প্রাণীটির সঙ্গে তাঁর মমত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। লেখক তাকে অতিথির মর্যাদায় আদর-আপ্যায়ন করেন। দেওঘর থেকে ফিরে আসার সময়ও তিনি কুকুরটিকে ভুলতে পারেননি। আশার মধ্যে ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের এই মমত্বের দিকটিই ফুটে উঠেছে।
ঘ. “উদ্দীপকে বর্ণিত আশার অনুভূতি ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের লেখকের সমধর্মী হলেও পুরোপুরি এক নয়”- প্রেক্ষাপটের দিক থেকে মন্তব্যটি যথার্থ।
চিকিৎসকের পরামর্শে ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের লেখক একবার দেওঘরে যান এবং সেখানে একটি মানবেতর প্রাণী অর্থাৎ কুকুরের সঙ্গে তার মমত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু সেই সম্পর্ক স্থায়ী রূপ পেতে বাধাগ্রস্ত হয় নানা প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে। লেখক কুকুরটিকে অতিথির মর্যাদায় আদর-আপ্যায়ন করতে চেয়েও সেখানকার মালির বউয়ের আপত্তির কারণে পারেন না।
অতিথিকে মারধর করে তাড়িয়ে দিয়ে লেখকের বাড়তি খাবারের অংশীদার হয় বাগানের মালির বউ মালিনী। কিন্তু লেখক দেওঘর ছেড়ে আসার সময়ও কুকুরটিকে ভুলতে পারেননি এবং কুকুরটিও তাকে রেলস্টেশন পর্যন্ত এগিয়ে দিয়েছিল।
উদ্দীপকে একটা পোষা বিড়ালের সঙ্গে আশার সম্পর্কের চিত্র ফুটে উঠেছে। সকালে ঘুম থেকে উঠেই আশা তার প্রিয় পোষা বিড়াল বিল্লির খোঁজখবর নেয় এবং স্কুল থেকে ফিরে এসেই সে বিল্লিকে আদর করে খাওয়ায়। বিকাল বেলায় আশা বিল্লিকে নিয়ে বাগানে খেলার মাধ্যমে আনন্দময় সময় কাটায়। রাতে পড়ার সময়ও বিল্লি বসে থাকে আশার পায়ের কাছে। উল্লিখিত আলোচনায় বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।