Class 8 Islam Shikkha। শিরক থেকে নিজেকে দূরে রাখার জন্য করণীয় 2024 : অষ্টম শ্রেণীর ইসলাম শিক্ষা এর অধ্যায়টি হতে গুরুত্বপূর্ণ সব সমাধানগুলো গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন। অতএব সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
কাজ ২৭ সেশনের সারমর্ম ও আত্মপ্রতিফলন : শিরক থেকে নিজেকে দূরে রাখার জন্য করণীয়
কাজের ধরন : একক কাজ
কাজের উদ্দেশ্য : শিক্ষার্থীরা এ কাজের মাধ্যমে শিরক থেকে নিজেকে দূরে রাখার উপায় জানবে এবং নিজেকে শিরকমুক্ত রাখতে উদ্বুদ্ধ হবে ।
কাজের নির্দেশনা/ধারা :
শিক্ষক তোমাদেরকে নিম্নোক্ত বিষয়টি উপস্থাপন করার নির্দেশনা দিবেন। বিষয়টি হলো শিরক থেকে নিজেকে দূরে রাখার জন্য তুমি কী কী করবে?”
Class 8 Islam Shikkha। শিরক থেকে নিজেকে দূরে রাখার জন্য করণীয়
আরো দেখুন
দাঁত ও দাঁতের মাড়ি সুস্থ রাখতে চাইলে যেসব কাজ গুলো করা জরুরী
প্রতিটি মানুষের সকল মন্ত্রের মূল চাবিকাঠী স্বাস্থ্য! স্বাস্থ্য ভালো থাকলে মন ভালো থাকে, কাজের অগ্রগতিও ভাড়ে, স্বাস্থ্য ভালো আপনার সব...
শান্তিগঞ্জের বগুলারকাড়া গ্রামের স্কুল মাঠে কাবাডি খেলা
শান্তিগঞ্জের বগুলারকাড়া গ্রামের স্কুল মাঠে কাবাডি খেলা।। সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি।। গ্রামবাংলার প্রাচীনতম ঐতিহ্য বাংলাদেশের জাতীয় খেলা কাবাডি(হা ডু ডু) খেলার ঐতিহ্য...
একজন মানবিক সমাজসেবক সাজ্জাদ পারভেজ
একজন মানবিক সমাজসেবক সাজ্জাদ পারভেজ ॥ গেস্ট ব্লগিং॥ নিজের পরিচিতি নয়, যার কাজ শুধু সামাজিক কাজের মধ্যে নিজেকে লুকিয়ে রাখা।...
নতুন করিকুলাম || অষ্টম শ্রেণির বাংলা অধ্যায় ২ নজরে ‘রেলের পথ
নতুন করিকুলাম || অষ্টম শ্রেণির বাংলা অধ্যায় ২ বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর 2024 | সমাধান : অষ্টম শ্রেণীর বাংলা ১ম...
নমুনা সমাধান : শিরক থেকে নিজেকে দূরে রাখার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। নিচে এ সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট নমুনা হিসেবে তুলে ধরা হলো-
১. নিজেকে সবসময় ভ্রান্ত কল্পনা থেকে বিরত রাখা ।
২. সবসময় পবিত্র অবস্থায় থাকা এবং নামায গুরুত্বসহকারে আদায় করা।
শিরকের কল্পনা মাথায় আসলে আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম পড়া।
৪. আল্লাহ তা’আলার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা ও ক্ষমা প্রার্থনা করা ।
৫.এই দোয়া পড়া- আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা আনউশরিকা বিকা ওয়া আনা আলামু “ওয়া আস্তাগফিরুকা লিমালা আলাম।”
৬. ইমান ও আমল ধ্বংস করে এমন কার্যক্রম থেকে দূরে থাকা। যেমন— মাজারে গিয়ে সিজদা করা।
৭. হক্কানি আলেম ও পীরের মহব্বতে থাকা । যারা ভণ্ডপীর তাদের কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকা ।
৮. আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও কাছে সন্তান কামনা, ভালো ফলাফল বা যেকোনো সফলতা দেওয়ার ক্ষমতা রাখে মন থেকে এমন বিশ্বাস দূরে রাখা। সবসময় আল্লাহর ওপর ভরসা করা এবং তার কাছেই কোনোকিছু চাওয়া।
কাজ-২৭ এর পারদর্শিতার মাত্রা নির্ণয় : নিচের ছকের প্রযোজ্য চিহ্নটিতে টিক (v) দিয়ে কাজটির পারদর্শিতার মাত্রা নির্ণয় করা যাবে।
পারদর্শিতা সূচক | পারদর্শিতার মাত্রা | ||
D | O | Δ | |
৯১.৮.১.৩
বিভিন্ন পরিস্থিতিতে নিজেকে নৈতিকভাবে দৃঢ় রাখছে। |
ইসলামের নির্দেশনা শনাক্ত করে জোড়ায়, বাড়ির কাজের মাধ্যমে নিজের দ্বিধাদ্বন্দ্ব, বিভ্রান্তি দূর করছে। | ইসলামের নির্দেশনাগুলো ব্যাখ্যা- বিশ্লেষণ করে একক কাজ, বাড়ির কাজের মাধ্যমে দ্বিধাদ্বন্দ্ব, বিভ্রান্তি দূর করছে। | ইসলামের নির্দেশনাগুলো দলগত কাজ, প্রতিফলন ডায়েরি লিখনের মাধ্যমে তুলনামূলক বিশ্লেষণ করেছে । |
কাজ-২৮
আলোচনা ও উপস্থিত বক্তৃতা
[শিখনযোগ্যতা ৯১.৮.১; পারদর্শিতা সূচক (PI) ৯১.৮.১.৩] । শিক্ষক সহায়িকা, পৃষ্ঠা-২৩
কাজের ধরন : দলগত কাজ।
কাজের নির্দেশনা/ধারা :
- দল গঠনের নিয়ম অনুসরণ করে শিক্ষক তোমাদের কয়েকটি দলে ভাগ করবেন ।
- শিক্ষকের নির্দেশনা মোতাবেক প্রত্যেক দল থেকে ২/৩ জন শিক্ষার্থী নির্ধারিত বিষয়ে বক্তৃতা প্রদানের সুযোগ পাবে।
উপস্থিত বক্তৃতার জন্য নিম্নরূপ কয়েকটি বিষয় নির্ধারণ করবেন। নির্ধারিত বিষয়ে তোমরা উপস্থিত বক্তৃতা প্রদান করবে। যেসব বিষয়ে বক্তৃতা হতে পারে তা হলো—
১. কিয়ামতের ধারণা সম্পর্কে আমাদের আকিদাহ।
২. হাশরের ময়দানের দৃশ্যপট/পরিস্থিতি ও মানুষের মানসিক অবস্থা ।
৩.আমলনামা সম্পর্কে ইসলামি আকিদাহ
৪. পুনরুত্থান-এর ওপর প্রকৃত বিশ্বাসী হিসেবে দুনিয়ার জীবনে আমাদের বর্জনীয় কাজ ও আচরণ।
৫. শিরক থেকে নিজেদের দূরে রাখার উপায় ।
নিচে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত নমুনা বক্তব্য উপস্থাপন করা হলো.
কিয়ামতের ধারণা সম্পর্কে আমাদের আকিদাহ
আমাদের আকিদাহ হলো ইসলামি আকিদাহ। অর্থাৎ ইসলাম কিয়ামত সম্পর্কে যা বলে আমরা তাই বিশ্বাস করি। ইসলামে কিয়ামত বলতে বোঝায় মহাপ্রলয়, পুনরুত্থান, অতঃপর হাশরে দণ্ডায়মান হওয়াকে। মহাপ্রলয় আল্লাহ নির্ধারিত সময় চলে আসলে তার নির্দেশে হযরত ইসরাফিল (আ.) প্রথম শিঙ্গায় ফুৎকার দিবেন এবং কিয়ামত বা মহাপ্রলয় সংঘটিত হবে।
এ মহাপ্রলয়ের দৃশ্য হবে অত্যন্ত ভয়াবহ । শিঙ্গায় ফুঁ দেওয়ার সাথে সাথে সমস্ত মানুষ ভয়ে বিক্ষিপ্ত পঙ্গপালের মতো ছুটাছুটি করতে থাকবে। আর তাদের সেদিন পৃথিবী প্রবল কম্পনে প্রকম্পিত হবে।
পর্বতমালা ভেঙে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে বিক্ষিপ্ত ধূলিকণায় পরিণত হবে এবং রঙিন পশমের পরিবারের লোকদের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করবে। কিন্তু তারা ফিরে যাবার অবকাশ পাবে না। বন্য পশুরা ভয়ে একত্রিত হয়ে যাবে । যাবে। নক্ষত্ররাজি বিচ্ছিন্ন হয়ে খসে পড়বে। চন্দ্র ও সূর্য একত্রিত হয়ে যাবে। এভাবে কিয়ামত বা মহাপ্রলয়ের প্রথম পর্ব সংঘটিত মতো উড়তে থাকবে।
সমুদ্রে আগুন জ্বলে উঠবে। আকাশের আবরণ অপসারিত হয়ে গলিত তামার ন্যায় হবে। সূর্য আলোহীন হয়ে হবে। এ মহাপ্রলয়ের বিশ্বাস করা ইমানের অংশ। যেহেতু আল্লাহ তা’আলা এরূপ হবে এমন ঘোষণা দিয়েছেন তাই আমরা এতে পূর্ণবিশ্বাস করি ।
হাশরের ময়দানের দৃশ্যপট/পরিস্থিতি ও মানুষের মানসিক অবস্থা
হাশর শব্দের অর্থ একত্রিত হওয়া। মহান আল্লাহর হুকুমে হযরত ইসরাফিল (আ.)-এর শিঙ্গায় ফুৎকারের মাধ্যমে সবাই পুনরায় জীবিত হয়ে হাশরের ময়দানে একত্রিত হবে। পৃথিবীই হবে হাশরের মাঠ। কিয়ামতের দিন পৃথিবী পরিণত হবে একটা উদ্ভিদশূন্য মসৃণ সমতল প্রান্তরে।
মানুষের জন্য সেখানে কেবলমাত্র পা রাখার জায়গাই থাকবে। হাশরের দিনের দৈর্ঘ্য হবে আমাদের গণনায় পঞ্চাশ হাজার বছরের সমান। এ দিনটি হবে মানুষের কবর থেকে জীবিত হয়ে ওঠার দিন।
প্রত্যেক মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত চোখে তাদের করব থেকে বের হয়ে আসবে। তারা বলবে, হায়! আমাদের দুর্ভোগ! কে আমাদেরকে নিদ্রাস্থল থেকে জাগিয়ে তুলল। তারা আহ্বানকারীর দিকে দৌড়াতে থাকবে।
তাদেরকে মনে হবে বিক্ষিপ্ত পঙ্গপাল। কাফিররা বলবে, এটা তো কঠিন দিন। সহসাই সকল মানুষ হাশরের ময়দানে একত্রিত হয়ে যাবে। সেদিন প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। অন্যের দিকে তাকানোর মতো হুঁশ ও চেতনা কারও থাকবে না।
সেদিন পিতা তার সন্তানের কোনো উপকার করতে পারবে না। সন্তানও পিতার কোনো উপকার করতে পারবে না। দয়াময় আল্লাহ যাকে অনুমতি দিবেন ও যার কথা তিনি পছন্দ করবেন, তিনি ছাড়া কারও সুপারিশ সেদিন কোনো কাজে আসবে না। মানুষ তার ভাই থেকে, তার মা-বাবা থেকে, তার স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে পালিয়ে থাকবে।
পরে যখন মানুষের আমলনামা পেশ করা হবে, অপরাধীরা তাদের আমলনামা দেখে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে যাবে। প্রত্যেক মানুষ তাদের কৃতকর্মকে সামনে উপস্থিত পাবে। জান্নাতকে নিকটে আনা হবে। জাহান্নামকে উন্মুক্ত করা হবে। সেদিন মানুষ পরকালে ভয়াবহতা উপলব্ধি করবে, কিন্তু তার এ উপলব্ধি কোনো কাজে আসবে না।
সে বলবে হায়! “আমার এ জীবনের জন্য যদি আমি আগে কিছু পাঠাতাম।” হায়! আফসোস আমাকে যদি আর একবার পৃথিবীতে ফিরে যাওয়ার সুযোগ দেয়া হতো, তাহলে আমি সৎকর্মপরায়ণ হতাম।
সেদিন অপরাধীরা তাদের প্রতিপালকের সামনে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকবে আর বলবে, “হে আমাদের রব! আমরা দেখলাম ও শুনলাম। আমাদেরকে আবার পাঠিয়ে দিন, আমরা ভালো কাজ করব। আমরা এখন দৃঢ় বিশ্বাসী।”
আমলনামা সম্পর্কে ইসলামি আকিদাহ
দুনিয়ার জীবনে আমরা সবসময় যেভাবেই আমাদের জীবন অতিবাহিত করি তাই আমাদের আমলনামা হিসেবে লিপিবদ্ধ করা হয়। যত ছোটো পাপই করি না কেন তা যেমন লিপিবদ্ধ করা হয় তেমনি ছোটো ছোটো পুণ্যও লিপিবদ্ধ করা হয়।
কিরামান-কাতিবিন বা সম্মানিত লেখক ফেরেশতাগণ এগুলো লিপিবদ্ধ করেন। মানুষকে যখন হাশরের ময়দানে পুনরুত্থিত করা হবে তখন প্রত্যেকের সামনে দুনিয়ায় কৃত সব কাজ আমলনামা আকারে প্রকাশ করা হবে। সেখানে কোনোকিছুই বাদ যাবে না। একেবারে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কাজও সে তখন দেখবে।
তখন অপরাধীরা তাদের আমলনামা দেখে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে যাবে এবং বলবে, হায় আফসোস, এ কেমন আমলনামা । ছোটোবড়ো কোনোকিছুই বাদ যায়নি। এতে তো সবকিছু রয়েছে।” তারপরে তাদের আমলনামা অনুযায়ী জান্নাত অথবা জাহান্নামে প্রবেশ করানো হবে।
সুতরাং আমাদের উচিত দুনিয়ার জীবনে ছোটোবড়ো সকল পাপ কাজ থেকে বিরত থাকা এবং ছোটোবড়ো সব নেক কাজ করা, কোনো নেক কাজকেই অবহেলা না করা। কিয়ামতের দিন দুনিয়ার এ আমলের ওপরই আমাদের জান্নাত-জাহান্নামের ফায়সালা নির্ধারিত হবে।
পুনরুত্থান-এর ওপর প্রকৃত বিশ্বাসী হিসেবে দুনিয়ার জীবনে আমাদের বর্জনীয় কাজ ও আচরণ
পুনরুত্থান দিবসের ওপর প্রকৃত বিশ্বাসী হিসেবে দুনিয়ার জীবনে আমাদের বর্জনীয় কাজ ও আচরণ সম্পর্কে নিচে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট নমুনা হিসেবে তুলে ধরা হলো—
বর্জনীয় কাজ ও আচরণ
- আমরা আল্লাহর সাথে কাউকে অংশীদার সাব্যস্ত করব না।
- আল্লাহ ও রাসুলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বা বিদ্রোহ হয় এমন কোনো কথা বলব না বা কাজ করব না ।
- রাসুলের সুন্নাতের বরখেলাপ করব না ।
- যুলুম, অন্যায়, অবিচার করব না।
- সমস্ত প্রকার আখলাকে যামিমা, যেমন— মিথ্যা কথা বলা, গিবত করা, সুদ খাওয়া, ঘুষ নেওয়া-দেওয়া, চুরি করা ইত্যাদি খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকব ।
- মাদক গ্রহণ করব না ।
- মানুষের সম্পদ অন্যায়ভাবে দখল করব না।
- আল্লাহ যা নিষেধ করেছেন সেসব হারাম বস্তু বা দ্রব্য গ্রহণ করব না।
- আল্লাহ ও রাসুলের নির্দেশের বাইরে কোনো কাজ করব না। মানুষের সাথে প্রতারণা করব না।
- ওয়াদা ভঙ্গ করব না।
- অন্যায় কাজে বা পাপের কাজে কাউকে সাহায্য করব না ।
- আল্লাহ ও তার বিধানের সীমা লঙ্ঘন হয় এমন কোনো কাজ করব না ।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।