শ্রেণি ৪র্থ | প্রাথমিক বিজ্ঞান | অধ্যায় ৭ – প্রাকৃতিক সম্পদ প্রশ্ন উত্তর : চতুর্থ শ্রেণিরবিজ্ঞান বিষয়টির সত্তম অধ্যায়টি হতে গুরুত্বপূর্ণ সব প্রশ্ন ও উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে। অতএব সম্পূর্ণ পোস্টটি মনযোগ সহকারে পড়ুন।
প্রাকৃতিক সম্পদ
এ অধ্যায়ে জানতে পারব
প্রাকৃতিক সম্পদের ধরন এবং ব্যবহার
প্রাকৃতিক সম্পদের শ্রেণিবিন্যাস
শক্তি উৎপাদনে প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার
প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের বিভিন্ন উপায়
অধ্যায়টির মূলভাব জেনে নিই
মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের অধিকাংশ সামগ্রী আসে প্রকৃতি থেকে। প্রকৃতিতে পাওয়া যা কিছু আমরা কাজে লাগাই তাদেরকেই প্রাকৃতিক সম্পদ বলে। পানি পান করা থেকে শুরু করে শিল্প-কারখানায় ব্যবহৃত হয়। ফসল উৎপাদন ও ঘরবাড়ি নির্মাণ সামগ্রী তৈরিতে ভ‚মিসম্পদ ব্যবহার হচ্ছে।
কল-কারখানা, যানবাহন চালানো, বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং রান্নার কাজ ছাড়াও বিভিন্ন তৈজসপত্র ও গৃহ নির্মাণ সামগ্রী তৈরিতে খনিজ সম্পদের ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে। বনজ সম্পদ, বায়ু সম্পদ ও সৌরশক্তি আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহযোগী হয়ে উঠছে। তাই এ সকল প্রাকৃতিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহার ও সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে এদের কম ব্যবহার, পুনর্ব্যবহার ও পুনরুৎপাদনের মতো কৌশল কাজে লাগানো উচিত।
১. শূন্যস্থান পূরণ কর ।
১) প্রকৃতির যা কিছু মানুষের কাজে লাগে তাই ———-
২) সোনা, রুপা ইত্যাদি ———-সম্পদ।
৩) তেল, কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস ইত্যাদি ———-জ্বালানি।
৪) পুরোনো বস্তুকে ———-করে নতুন বস্তুতে পরিণত করা হয়।
৫) বায়ুপ্রবাহ ও পানির স্রোত ———-উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়।
উত্তর : ১) প্রাকৃতিক সম্পদ, ২) খনিজ, ৩) জীবাশ্ম,৪) রিসাইকেল, ৫) বিদ্যুৎ।
২. সঠিক উত্তরে টিক চিহ্ন () দাও।
১) নিচের কোন প্রাকৃতিক সম্পদটি নবায়নযোগ্য?
ক.তেল
খ.সূর্যের আলো
গ.প্রাকৃতিক গ্যাস
ঘ.কয়লা
২) নিচের কোনটি সূর্যের আলোকে বৈদ্যুতিক শক্তিতে রূপান্তর করতে পারে?
ক.জেনারেটর
খ.উইন্ডমিল
গ.সৌর প্যানেল
ঘ.গ্যাসের চুলা
৩) শক্তির সর্বাধিক ব্যবহৃত উৎস কোনটি?
ক.বায়ু প্রবাহ
খ.পানির স্রোত
গ.সূর্যের আলো
ঘ.প্রাকৃতিক গ্যাস
৩. সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন :
১) চার ধরনের প্রাকৃতিক সম্পদের নাম বল।
উত্তর : চার ধরনের প্রাকৃতিক সম্পদ হলো-
ক)পানি সম্পদ
খ)বনজ সম্পদ
গ)ভ‚মি সম্পদ
ঘ)খনিজ সম্পদ
২) বাংলাদেশে কোন কোন প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে?
উত্তর : বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে। যেমন- সূর্যের আলো, বায়ু, পানি, মাটি, উদ্ভিদ এবং প্রাণী। এছাড়াও বাংলাদেশে প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা এবং বেশ কিছু খনিজ ও শিলা রয়েছে। যেমন- সিলিকন, জিরকন, চুনাপাথর, কঠিন শিলা ইত্যাদি।
৪. বর্ণনামূলক প্রশ্ন :
১) আমরা প্রাকৃতিক সম্পদ থেকে কীভাবে শক্তি পাই?
উত্তর : আমরা প্রাকৃতিক সম্পদকে শক্তির উৎস হিসেবে ব্যবহার করে শক্তি পাই। শক্তি হচ্ছে কোনো কিছু করার সামর্থ্য। শক্তি কোনো বস্তুকে নাড়াতে পারে, শব্দ সৃষ্টি করতে পারে এবং আলো ও তাপ উৎপন্ন করতে পারে। শক্তি পাওয়ার জন্য শক্তির উৎস হিসেবে সূর্যের আলো, বায়ুপ্রবাহ, পানির স্রোত, তেল, কয়লা এবং প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করা হয়। সূর্যের আলো শক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস।
আমরা সূর্যের আলো থেকে বিদ্যুৎ পাওয়ার জন্য সৌর প্যানেল ব্যবহার করি। সৌর প্যানেল সূর্যের আলোকে বিদ্যুৎশক্তিতে রূপান্তর করে। বায়ুপ্রবাহ একটি সম্ভাবনাময় শক্তির উৎস। আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বায়ুপ্রবাহ ব্যবহার করি। বায়ুপ্রবাহ জেনারেটরের সাথে যুক্ত উইন্ডমিলের টারবাইন ঘোরায় এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন করে।
পানির স্রোত সর্বাধিক ব্যবহৃত শক্তির উৎস। পানির স্রোত জেনারেটরের সাথে যুক্ত টারবাইন ঘোরায় এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। তেল, কয়লা এবং প্রাকৃতিক গ্যাস অনবায়নযোগ্য শক্তির উৎস। এগুলো পোড়ালে তাপ উৎপন্ন হয়, যা খাবার রান্না করতে, যানবাহন চালাতে, বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে এবং শীতপ্রধান দেশে ঘর উষ্ণ রাখতে ব্যবহার করা হয়। আর এভাবে আমরা বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার করে শক্তি পাই।
২) প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের দুইটি উপায় বর্ণনা কর।
উত্তর : প্রাকৃতিক সম্পদের সুরক্ষা এবং পরিকল্পিত ব্যবহারই হচ্ছে প্রাকৃতিক সম্পদের সংরক্ষণ।
প্রাকৃতিক সম্পদ সীমিত। তাই প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণে আমাদেরকে সচেষ্ট হতে হবে। আমরা বিভিন্ন উপায়ে প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ করতে পারি। নিচে প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের দুটি উপায় বর্ণনা করা হলো-
ক) সম্পদের ব্যবহার কমানো : প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের একটি ভালো উপায় হচ্ছে তা ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়া। শক্তির ব্যবহার কমিয়ে বা বর্জ্য উৎপাদন কমিয়ে আমরা প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ করতে পারি। যেমন- রান্না শেষে চুলা নিভিয়ে ফেলা, কাজ শেষে বাতির সুইচ অফ রাখা ইত্যাদি।
খ)সম্পদের পুনঃব্যবহার : কোনো জিনিসকে পুনরায় ব্যবহার করে আমরা বর্জ্য কমাতে পারি এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ করতে পারি। কোনো জিনিসকে রিসাইকেল করা বা ফেলে দেওয়ার পূর্বে তা বারবার ব্যবহার করা উচিত।
কোনো জিনিস ভেঙে গেলে তা ফেলে না দিয়ে বা নতুন ক্রয় না করে মেরামতের চেষ্টা করা উচিত। যেমন- কাগজ ব্যবহারের পর কাগজকে ফেলে না দিয়ে কাগজ দ্বারা ঠোঙা তৈরি করে কাগজ নামক সম্পদের পুনঃব্যবহার সম্ভব।
৩) নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানোর প্রয়োজন কেন?
উত্তর : অনবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর চাপ কমাতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানো প্রয়োজন। আমরা প্রধানত অনবায়নযোগ্য সম্পদ যেমন- তেল, কয়লা এবং প্রাকৃতিক গ্যাস জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করি। এ সকল সম্পদ একবার ব্যবহারেই নিঃশেষ হয়ে যায়, হাজার হাজার বছরেও ফিরে পাওয়া যায় না।
অন্যদিকে নবায়নযোগ্য সম্পদ হিসেবে আমরা সূর্যের আলো, বায়ুপ্রবাহ এবং পানির স্রোত ব্যবহার করতে পারি। সৌর প্যানেল ব্যবহার করে আমরা সূর্য থেকে বিদ্যুৎশক্তি পাই। বায়ুপ্রবাহ উইন্ডমিলের পাখা ঘোরানোর মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে। পানির স্রোত জেনারেটর সাথে যুক্ত টারবাইন ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে।
এসব নবায়নযোগ্য সম্পদ ব্যবহারের ফলে নিঃশেষ হয়ে যায় না, প্রকৃতি থেকে পুনরায় পাওয়া যায় এবং ব্যবহার করা যায়। তাই নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানো প্রয়োজন।
৫. বামপাশের শব্দের সাথে ডানপাশের শব্দের মিল কর।
সোনা নদী সূর্যের আলো প্রাকৃতিক গ্যাস |
অনবায়নযোগ্য সম্পদ খনিজ সম্পদ পানি সম্পদ নবায়নযোগ্য সম্পদ |
উত্তর :
সোনা ———-খনিজ সম্পদ।
নদী ———-পানি সম্পদ।
সূর্যের আলো ———-নবায়নযোগ্য সম্পদ।
প্রাকৃতিক গ্যাস ———-অনবায়নযোগ্য সম্পদ।
শূন্যস্থান পূরণ কর।
১) পানি একটি ———-সম্পদ।
২) আমরা খাদ্যের জন্য ———-ফসল উৎপাদন করি।
৩) চুনাপাথর এবং মার্বেল হলো এক ধরনের ———-
৪) সূর্য থেকে আমরা ———-পাই।
৫) বায়ুপ্রবাহ থেকে ———-উৎপাদন করা যায়।
৬) প্রাকৃতিক সম্পকে ———-ভাগ করা যায়।
৭) কোনো কিছু করার সামর্থ্যকে ———-বলে।
৮) সর্বাধিক ব্যবহৃত শক্তির উৎস হলো ———-
৯) তেল, কয়লা এবং প্রাকৃতিক গ্যাস হলো ———-জ্বালানি।
১০) আমরা বাড়ির ছাদে বা ক্যালকুলেটরে ———-দেখে থাকি।
উত্তর : ১) প্রাকৃতিক, ২) মাটিতে, ৩) শিলা, ৪) আলো বা তাপ, ৫) বিদ্যুৎ, ৬) দুই ভাগে, ৭) শক্তি, ৮) পানির স্রোত, ৯) জীবাশ্ম, ১০) সৌর প্যানেল।
বাম পাশের অংশের সাথে ডান পাশের অংশ মিল কর।
প্রাকৃতিক গ্যাস সূর্যের আলো প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ মার্বেলরি সৌর প্যানেল |
শিলা জীবাশ্ম জ্বালানি বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য সম্পদ সাইকেল |
উত্তর :
প্রাকৃতিক গ্যাস ———-জীবাশ্ম জ্বালানি।
সূর্যের আলো ———-নবায়নযোগ্য সম্পদ।
প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ ———-রিসাইকেল।
মার্বেল ———-শিলা।
সৌর প্যানেল ———-বিদ্যুৎ
বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক সম্পদ
সাধারণ
১. প্রাকৃতিক সম্পদকে কয়ভাগে ভাগ করা যায়? চ
ক. দুই
খ. তিন
গ.চার
ঘ.পাঁচ
২. সূর্যের আলো কী ধরনের সম্পদ?
ক. নবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ
খ.অনবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ
গ.খনিজ সম্পদ
ঘ.জীবাশ্ম সম্পদ
৩. বায়ু ও পানি কী ধরনের সম্পদ?
ক. নবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ
খ.অনবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ
গ.খনিজ সম্পদ
ঘ.জীবাশ্ম সম্পদ
৪. অনবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ কোনটি?
ক. বায়ু
খ. পানি
গ.উদ্ভিদ
ঘ.কয়লা
৫. কোন প্রাকৃতিক সম্পদটি একবার নিঃশেষ হলে আর ফিরে পাওয়া যায় না? ছ
ক. সূর্যের আলো
খ. তেল
গ.বায়ু
ঘ.পানি
৬. নবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ কোনটি?
ক. তেল
খ. কয়লা
গ.গ্যাস
ঘ.সূর্যের আলো
৭. কোনটি শিলা?
ক. সোনা
খ. তামা
গ.মার্বেল
ঘ.লোহা
যোগ্যতাভিত্তিক
শিখনফল : বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার সম্পর্কে জানতে পারব।
৮. স¤প্রতি দিনাজপুরে কয়লাখনি আবিষ্কৃত হয়েছে। এটি কী ধরনের সম্পদ?
ক. নবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ
খ.অনবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ
গ.নবায়নযোগ্য কৃত্রিম সম্পদ
ঘ.অনবায়নযোগ্য মানবসৃষ্ট সম্পদ
৯. রাজুর মা রাজুকে তেল কেনার জন্য বাজারে পাঠালেন। সে কী ধরনের সম্পদ কিনে বাসায় ফিরল? ছ
ক. নবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ
খ.অনবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ
গ.নবায়নযোগ্য কৃত্রিম সম্পদ
ঘ.অনবায়নযোগ্য মানবসৃষ্ট সম্পদ
১০. সূর্যের আলো উদ্ভিদের খাদ্য উৎপাদনে সাহায্য করে। এটি কী ধরনের সম্পদ?
ক.নবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ
খ.অনবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ
গ.নবায়নযোগ্য কৃত্রিম সম্পদ
ঘ.অনবায়নযোগ্য মানবসৃষ্ট সম্পদ
শক্তি উৎপাদনে প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার
সাধারণ
১১. কোনো কিছু করার সামর্থ্যকে কী বলে?
ক. শক্তি
খ. ক্ষমতা
গ.কাজ
ঘ.সরণ
১২. শক্তির উৎস কোনটি?
ক. সোনা
খ. তামা
গ.লোহা
ঘ.তেল
১৩. শক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস কোনটি?
ক. সূর্যের আলো
খ. মার্বেল
গ.চুনাপাথর
ঘ.লোহা
১৪. সৌর প্যানেল কী?
ক. এক ধরনের মৃৎশিল্প
খ.এক ধরনের যন্ত্র
গ.এক ধরনের নির্মাণসামগ্রী
ঘ.এক ধরনের বনজ সম্পদ
১৫. সৌর প্যানেল দেখা যায়?
ক. ক্যালকুলেটরে
খ.রঙিন টেলিভিশনে
গ.মোবাইলে
ঘ.রেডিওতে
১৬. শক্তির সম্ভাবনাময় উৎস কোনটি?
ক. শিলা
খ. মার্বেল
গ.পানির স্রোত
ঘ.চুনাপাথর
১৭. উইন্ডমিল কোনটি উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়?
ক. বিদ্যুৎ
খ. কয়লা
গ.মার্বেল
ঘ.চুনাপাথর
যোগ্যতাভিত্তিক
শিখনফল : প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার সম্পর্কে জানতে পারব।
১৮. রনির মা গ্যাসের চুলায় রান্না করে। এটি কী ধরনের সম্পদ বলে তুমি মনে কর?
ক. নবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ
খ.অনবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ
গ.নবায়নযোগ্য খনিজ সম্পদ
ঘ.অনবায়নযোগ্য মানবসৃষ্ট সম্পদ
১৯. আমরা হিসাবের জন্য যে ক্যালকুলেটর ব্যবহার করি তাতে কোনটি দেখা যায়? জ
ক. চরকা
খ. টারবাইন
গ.সৌর প্যানেল
ঘ.উইন্ডমিল
২০. তুমি নিম্নের কোন উৎস ব্যবহার করে খুব সহজেই বিদ্যুতের বিকল্প ব্যবস্থা করতে পারবে? চ
ক. সূর্যের আলো
খ. বায়ুপ্রবাহ
গ.উইন্ডমিল
ঘ.পানির স্রোত
প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ
সাধারণ
২১. প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের উপায় কোনটি?
ক. সম্পদের ব্যবহার বাড়ানো
খ.সম্পদের ব্যবহার কমানো
গ.অনবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানো
ঘ.নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার কমানো
২২. পুরাতন বস্তুকে নতুন বস্তুতে পরিণত করা যায় কোনটির মাধ্যমে?
ক. রিসাইকেল
খ. সৌর প্যানেল
গ.চরকা
ঘ.উইন্ডমিল
যোগ্যতাভিত্তিক
শিখনফল : প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সম্পর্কে জানতে পারব।
২৩. রাসেলের মা রান্না শেষে চুলা নিভিয়ে রাখেন। তিনি প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণে কোন কৌশলটি অবলম্বন করলেন? চ
ক. সম্পদের ব্যবহার কমানো
খ.সম্পদের পুনঃব্যবহার
গ.সম্পদের রিসাইকেল
ঘ.সম্পদের ব্যবহার বাড়ানো
২৪. শফিক কাগজে লেখার পর সেই কাগজ দিয়ে ঠোঙা বানায়। সে প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণে কোন কৌশলটি অবলম্বন করল? ছ
ক. সম্পদের ব্যবহার কমানো
খ.সম্পদের পুনঃব্যবহার
গ.সম্পদের রিসাইকেল
ঘ.সম্পদের ব্যবহার বাড়ানো
২৫. তুমি তোমার বাসায় বিদ্যুতের ব্যবহার কমাতে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বৈদ্যুতিক বাল্ব ব্যবহার করছ। তুমি প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণে কোন কৌশলটি অবলম্বন করছ? চ
ক. সম্পদের ব্যবহার কমানো
খ.সম্পদের পুনঃব্যবহার
গ.সম্পদের রিসাইকেল
ঘ.সম্পদের ব্যবহার বাড়ানো
আরো পড়ুনঃ
- শ্রেণি ৪র্থ | ইসলাম শিক্ষা | তৃতীয় অধ্যায় – আখলাক বহুনির্বাচনি | PDF
- ৪র্থ শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা দ্বিতীয় অধ্যায় – ইবাদত প্রশ্ন উত্তর | PDF
- শ্রেণি ৪র্থ | ইসলাম শিক্ষা | অধ্যায় পঞ্চম | প্রশ্ন ও উত্তর | PDF
প্রশ্ন ও উত্তরঃ
১. প্রাকৃতিক সম্পদ কী?
উত্তর : প্রকৃতির যা কিছু আমাদের কাজে লাগে তাই প্রাকৃতিক সম্পদ।
২. তিনটি খনিজ সম্পদের নাম লেখ।
উত্তর : তিনটি খনিজ সম্পদ হলো
১) তেল ২) কয়লা এবং ৩) প্রাকৃতিক গ্যাস।
৩. নবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ কাকে বলে?
উত্তর : যেসব প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারের ফলে নিঃশেষ হয়ে যায় না, প্রকৃতি থেকে পুনরায় পাওয়া যায় এবং ব্যবহার করা যায় তাকে নবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ বলে।
৪. তিনটি নবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদের নাম লেখ।
উত্তর : তিনটি নবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ হলো
১) সূর্যের আলো ২) বায়ু এবং ৩) পানি।
৫. অনবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ কাকে বলে?
উত্তর : যেসব প্রাকৃতিক সম্পদ একবার ব্যবহার করলে নিঃশেষ হয়ে যায় এবং হাজার হাজার বছরেও তা ফিরে পাওয়া যায় না তাকে অনবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ বলে।
৬. দুইটি অনবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদের নাম লেখ।
উত্তর : দুটি অনবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদের নাম হলো ১) তেল এবং ২) কয়লা।
৭. শক্তি কী?
উত্তর : শক্তি হচ্ছে কোনো কিছু করার সামর্থ্য। শক্তি কোনো বস্তুকে নাড়াতে পারে, শব্দ সৃষ্টি করতে পারে এবং আলো ও তাপ উৎপন্ন করতে পারে।
৮. শক্তির তিনটি উৎসের নাম লেখ।
উত্তর : শক্তির তিনটি উৎস হলো
১) সূর্যের আলো ২) বায়ুপ্রবাহ এবং ৩) পানির স্রোত।
৯. তিনটি জীবাশ্ম জ্বালানির নাম লেখ।
উত্তর : তিনটি জীবাশ্ম জ্বালানি হলো
১) তেল ২) কয়লা এবং ৩) প্রাকৃতিক গ্যাস।
১০. প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের তিনটি উপায়ের নাম লেখ।
উত্তর : প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের তিনটি উপায় হলো
১) সম্পদের ব্যবহার কমানো ২) সম্পদের পুনঃব্যবহার এবং ৩) সম্পদের রিসাইকেল করা।
সাধারণ
১. প্রাকৃতিক সম্পদ কেন সংরক্ষণ করা প্রয়োজন?
উত্তর : প্রাকৃতিক সম্পদকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ধরনের শক্তি উৎপাদন এবং নতুন কিছু তৈরি করার জন্য প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রাকৃতিক সম্পদের চাহিদাও বাড়ছে। কিন্তু কিছু কিছু প্রাকৃতিক সম্পদ সীমিত। যেমন- তেল, কয়লা ও প্রাকৃতিক গ্যাস। এ সকল সম্পদ একবার ব্যবহার করলে নিঃশেষ হয়ে যায় এবং হাজার হাজার বছরেও তা ফিরে পাওয়া যায় না।
তাই প্রাকৃতিক সম্পদের সুরক্ষা এবং পরিকল্পিত ব্যবহার করা দরকার। সীমিত প্রাকৃতিক সম্পদের সংরক্ষণ না করলে পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট হবে, পরিবেশও দূষিত হবে। তাই প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার কমিয়ে, সম্পদের পুনঃব্যবহার এবং রিসাইকেল করার মাধ্যমে আমরা প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ করতে পারি।
২. একটি উদাহরণের সাহায্যে সম্পদের পুনঃব্যবহার ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের কিছু উপায় আছে। এদের মধ্যে একটি উপায় হলো সম্পদের পুনঃব্যবহার। একটি জিনিসকে ব্যবহার করার পর নষ্ট হয়ে যাওয়া জিনিসটাকে অন্য কাজে ব্যবহার উপযোগী করে ব্যবহার করাকে পুনঃব্যবহার বলে।
কোনো জিনিসকে পুনরায় ব্যবহার করে আমরা বর্জ্য কমাতে পারি এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ করতে পারি। যেমন- লেখার কাগজ একটি সম্পদ। লেখার কাজ শেষ হওয়ার পর এটিকে না ফেলে ঠোঙা তৈরি করে তা দিয়ে দ্রব্যসামগ্রী বহন করা যায়।এভাবে একটি জিনিসকে পুনরায় অন্য কোনো কাজের উপযোগী হিসাবে তৈরি করে সম্পদ সংরক্ষণ করা যায়।
তাই কোনো জিনিসকে ফেলে দেওয়ার আগে তা বারবার ব্যবহার করা উচিত। কোনো জিনিস ভেঙে গেলে তা ফেলে না দিয়ে বা নতুন ক্রয় না করে মেরামতের চেষ্টা করা উচিত।
যোগ্যতাভিত্তিক
৩. আমাদের দেশে বেশিরভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় তেল, কয়লা ও প্রাকৃতিক গ্যাস পুড়িয়ে। অন্য কী কী সম্পদ ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করলে প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষিত হবে?
উত্তর : আমাদের দেশে বেশিরভাগ বিদ্যুৎ উৎপদান করা হয় মাটির নিচ থেকে পাওয়া তেল, কয়লা ও প্রাকৃতিক গ্যাস নামক খনিজ সম্পদ পুড়িয়ে। এসব খনিজ সম্পদের পরিবর্তে সৌরশক্তি, বায়ুপ্রবাহ এবং পানির স্রোত ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। তেল, কয়লা এবং প্রাকৃতিক গ্যাস অনবায়নযোগ্য সম্পদ। এসব একবার ব্যবহার করলে নিঃশেষ হয়ে যায়, হাজার হাজার বছরেও তা ফিরে পাওয়া যায় না।
অপরদিকে সৌর প্যানেল ব্যবহার করে সূর্যরশ্মি থেকে বিদ্যুৎ পাওয়া যায়। বায়ুপ্রবাহ জেনারেটরের সাথে যুক্ত উইন্ডমিলের টারবাইন ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। পানির স্রোত জেনারেটরের সাথে যুক্ত টারবাইন ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। সূর্যের আলো, বায়ুপ্রবাহ এবং পানির স্রোত হলো নবায়নযোগ্য ও অফুরন্ত সম্পদ।
এসব সম্পদ ব্যবহারের ফলে নিঃশেষ হয়ে যায় না, প্রকৃতি থেকে পুনরায় পাওয়া যায় এবং ব্যবহার করা যায়। তাই এসব নবায়নযোগ্য সম্পদ ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করলে প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষিত হবে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।