ব্যবসা সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ১ম | অধ্যায় ৭ | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ৬-১০ : ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ১ম পত্রের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রশ্নঃ ৬ মি. তারিক একটি পোল্ট্রি ফিড মিলের মালিক। প্রতিযোগী মিলগুলো কর্মীদের ৩০% বেতন বৃদ্ধি করলেও মি. তারিক তার প্রতিষ্ঠানে বাড়ালেন ২০%। কিন্তু তিনি মিলের কাজের পরিবেশকে অনেক পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর করলেন। তিনি কর্মীদের বিনামল্যে চিকিৎসা সুবিধা, যাতায়াত সুবিধা এবং চাকরির নিরাপত্তা প্রদানের ঘোষণা দিলেন। এতে কর্মীরা উৎসাহিত হলো। বছর শেষে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের চেয়ে তার প্রতিষ্ঠান বেশি উৎপাদন করেছে। [য. বো. ১৭]
ক. বোনাস কী? ১
খ. প্রেষণাকে অবিরাম প্রক্রিয়া বলা হয় কেন? ২
গ. উদ্দীপকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান কর্মীদের প্রেষণা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোন দিকটিকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. অনুক‚ল পরিবেশ পেলে কর্মীরা যেকোনো আর্থিক সুবিধার চেয়েও বেশি উৎসাহিত হয় উদ্দীপকের আলোকে এর যথার্থতা বিশ্লেষণ করো। ৪
৬ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ কোনো উপলক্ষ্যকে ঘিরে বেতন-ভাতার অতিরিক্ত যে অর্থ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কর্মীকে প্রদান করা হয় তাকে বোনাস বলে। যেমন: ঈদ বোনাস, বৈশাখী বোনাস।
খ উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মীদের পর্ণ কার্যক্ষমতা ব্যবহারের লক্ষ্যে তাদেরকে কাজের প্রতি অনুপ্রাণিত বা উৎসাহিত করার প্রক্রিয়াকে প্রেষণা বলে।কর্মীদের প্রয়োজন বা অভাব বিবেচনা করে সবসময়ই কোনো না কোনো প্রেষণামলক কার্যক্রম চালাতে হয়।
কর্মীর এক ধরনের অভাব পরণ হওয়ার সাথে সাথে নতুন আরেক ধরনের অভাব তৈরি হয়।এ নতুন অভাব পরণের জন্য তখন আবার নতুন কোনো প্রেষণা প্রদানের প্রয়োজন হয়। এভাবে কর্মীদের উৎসাহ ধরে রাখার জন্য প্রতিনিয়তই নতুন নতুন প্রেষণা দিতে হয়। তাই এটিকে একটি অবিরাম প্রক্রিয়া বলা হয়।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে বর্ণিত অন্যান্য প্রতিষ্ঠান কর্মীদের প্রেষণা দেওয়ার ক্ষেত্রে আর্থিক দিকটি বেশি প্রাধান্য দিয়েছে।অর্থসংশ্লিষ্ট সুযোগ-সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে কর্মীকে কাজের প্রতি উৎসাহিত করাই হলো আর্থিক প্রেষণা। ন্যায্য বেতন, বোনাস ও যাতায়াত ভাতা প্রদান প্রভৃতি আর্থিক প্রেষণার উদাহরণ।
উদ্দীপকে বর্ণিত অন্যান্য প্রতিষ্ঠান কর্মীদের ৩০% বেতন বৃদ্ধি করেছে। এর ফলে তাদের মানসিক অবস্থা ইতিবাচক হবে। বেতন বৃদ্ধি করার ফলে কর্মীরা তাদের আর্থিক অভাব পরণে সমর্থ হবে।
এজন্য অন্যান্য প্রতিষ্ঠান কাজের পরিবেশ, চিকিৎসা সুবিধা, যাতায়াত সুবিধা এবং চাকরির নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করেনি। তারা শুধু কর্মীদের বেতন বৃদ্ধিকে গুরুত্ব দিয়েছে। এ থেকে বোঝা যায়, অন্যান্য প্রতিষ্ঠান আর্থিক প্রেষণাকে অধিক গুরুত্ব দিয়েছে।
ঘ উত্তরঃ অনুক‚ল পরিবেশ পেলে কর্মীরা যেকোনো আর্থিক সুবিধার চেয়েও বেশি উৎসাহিত হয় বক্তব্যটি যথার্থ। অনক‚ল পরিবেশ বলতে কর্মীকে কাজে আগ্রহী করার জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা দেওয়াকে বোঝায়। এজন্য কর্মীকে ন্যায্য বেতনের সাথে চিকিৎসা ভাতা, যাতায়াত ভাতা ও চাকরির নিরাপত্তা দেওয়া উচিত।
এছাড়া পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ তৈরি করে দিলে তারা সন্তুষ্ট চিত্তে কাজ করতে পারে। উদ্দীপকের মি. তারিকের প্রতিযোগী মিলগুলো কর্মীদের ৩০% বেতন বাড়ালেও মি. তারিক ২০% বাড়ায়। তবে মি. তারিকের প্রতিষ্ঠানের কাজের পরিবেশ অনেক পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর।
এছাড়া তিনি শ্রমিকদের বিনামল্যে চিকিৎসা সুবিধা, যাতায়াত সুবিধা এবং চাকরির নিরাপত্তা প্রদানের ঘোষণা দিয়েছেন। বছর শেষে দেখা গেল অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের চেয়ে মি. তারিকের প্রতিষ্ঠান অনেক বেশি উৎপাদন করেছে। এর কারণ হলো প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো কর্মীদের শুধু আর্থিক প্রেষণা প্রদান করেছে।
অন্যদিকে মি. তারিকের প্রতিষ্ঠান আর্থিক ও অনার্থিক উভয় সুবিধা প্রদান করেছে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তুলনায় আর্থিক সুবিধা ১০% কম দিলেও তিনি কাজের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন। এর ফলে কর্মীরা তার প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছন্দে কাজ করছে।
এছাড়া মি. তারিক চিকিৎসা সুবিধা, যাতায়াত সুবিধা এবং চাকরির নিরাপত্তা দেওয়ার ঘোষণার মাধ্যমে কর্মীদেরকে যথাযথভাবে মল্যায়ন করছেন। এতে কাজের প্রতি তাদের আগ্রহ বেড়ে গেছে। ফলে প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনও বেড়ে গেছে।সুতরাং বলা যায়, অনুক‚ল পরিবেশ পেলে কর্মীরা যেকোনো আর্থিক সুবিধার চেয়েও বেশি উৎসাহিত হয় এ মতামতটি নিঃসন্দেহে সমর্থনযোগ্য।
প্রশ্নঃ ৭ মাসুদ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অস্থায়ী ভিত্তিতে অফিস সহকারী হিসেবে চাকরি করছেন। তিনি প্রতি মাসে বেতন ও আনুষঙ্গিক ভাতা বাবদ প্রায় সাত হাজার টাকা পান। কিন্তু চাকরির নিরাপত্তার প্রয়োজন উপলব্ধি করলে ব্যবস্থাপক তাকে ৬ মাস দক্ষতার সাথে চাকরির শর্ত জুড়ে দেন। তবে এ শর্তেও মাসুদ আশান্বিত হন এবং সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে থাকেন। [ব. বো. ১৭]
ক. আর্থিক প্রেষণা কী? ১
খ. ‘ঢ-তত্ত’ ও ‘ণ-তত্ত’ বলতে কী বোঝ? ২
গ. চাহিদা সোপান তত্ত অনুযায়ী মাসুদ কোন স্তরের অভাববোধ করছেন? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. ব্যবস্থাপক মাসুদকে যেভাবে আশ্বাস দিয়েছেন তার যথার্থতা মল্যায়ন করো। ৪
৭ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ অর্থসংক্রান্ত সুযোগ-সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে কর্মীকে কাজের প্রতি উৎসাহিত করাকে আর্থিক প্রেষণা বলে। যেমন: বেতন, বোনাস।
খ উত্তরঃ যে তত্তে মনে করা হয় কর্মীরা কাজ পছন্দ করে না, তারা অলস ও দায়িত্ব এড়িয়ে চলে এবং তাদেরকে কাজ সম্পাদনে বাধ্য করতে হয় তাকে ঢ তত্ত বলে। অন্যদিকে যে তত্তে মনে করা হয় কর্মীরা সৃজনশীল, তারা দায়িত্ব পেতে চায় এবং স্বেচ্ছায় কাজ করতে পছন্দ করে তাকে ণ তত্ত বলে।
ডগলাস মারে ম্যাকগ্রেগর (Douglas Murray McGregor) ‘The Human Side of Enterprize’ ‘ নামক গ্রন্থে কর্মীর মনোভাব সম্পর্কে দুই ধরনের তত্তের উলেখ করেন, যা X ও Y তত্ত নামে পরিচিত।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের মাসুদ চাহিদা সোপান তত্তের চাকরির নিরাপত্তার অভাববোধ করছেন। সব বিপদ-আপদ ও অনিশ্চয়তা থেকে চাকরির স্থায়িত্ব বিধান হলো নিরাপত্তার চাহিদা। কর্মীর চাকরির নিরপত্তা না থাকলে সর্বদা তিনি চাকরি হারানোর ভয়ে থাকেন। এ অবস্থায় কর্মী মানসিকভাবে কাজে মনোযোগ দিতে পারেন না।
উদ্দীপকের মাসুদ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অফিস সহকারী হিসেবে কাজ করেন। তিনি মাসিক বেতন ও আনুষঙ্গিক ভাতা বাবদ প্রায় সাত হাজার টাকা পান। তবে তার চাকরির নিরাপত্তা নেই। চাকরি অস্থায়ী বলে ভবিষ্যতে কী হবে তা তিনি জানেন না। তিনি এ সমস্যা নিয়ে চিন্তিত।
তাই বলা যায়, চাহিদা সোপান তত্ত অনুযায়ী মাসুদের চাকরির নিরাপত্তার অভাব রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত মনোবিজ্ঞানী অধ্যাপক আব্রাহাম হ্যারল্ড মাসলো প্রেষণার চাহিদার সোপান তত্তের প্রবক্তা। তিনি ১৯৪৩ সালে A Theory of Human Motivation নামক গ্রন্থে এ তত্তটি প্রকাশ করেন। চাহিদা সোপান তত্তে মানুষের চাহিদাকে পাঁচটি স্তরে ভাগ করা হয়েছে, যা নিম্নে দেওয়া হলো
১. জৈবিক চাহিদা: খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা ইত্যাদি।
২. নিরাপত্তার চাহিদা: চাকরির স্থায়িত্ব, বিমা সুবিধা, নিরাপত্তা বিধি, ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তা ইত্যাদি।
৩. সামাজিক চাহিদা: বন্ধুত্ব,-মমতা, সহানুভ‚তি ইত্যাদি।
৪. আতৃপ্তির চাহিদা: আমর্যাদা, সম্মান, স্বীকৃতি, পদমর্যাদা, শ্রদ্ধা অর্জন ইত্যাদি।
৫. আপর্ণতার চাহিদা: পর্ণ দক্ষতার প্রকাশ, জটিল ও গুরুত্বপর্ণ কাজে সিদ্ধান্ত প্রদান ইত্যাদি।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকের ব্যবস্থাপক মাসুদকে অনার্থিক প্রেষণা দিয়েছেন, যা যথার্থ হয়েছে। কর্মীদের প্রণোদিত করার জন্য অর্থ ছাড়া যেসব উদ্দীপক ব্যবহৃত হয় তাকে অনার্থিক প্রেষণা বলে। কার্র্যপরিবেশ, চাকরির নিরাপত্তা, পদোন্নতি, উত্তম ব্যবহার, ভালো কাজের প্রশংসা, প্রশিক্ষণ সুবিধা প্রভৃতি অনার্থিক প্রেষণার অন্তর্গত।
আর্থিক প্রেষণার পাশাপাশি অনার্থিক প্রেষণা প্রদান করা হলে কর্মী মানসিকভাবে স্বস্তিতে থাকেন। উদ্দীপকের মাসুদ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অফিস সহকারী হিসেবে চাকরি করছেন। তবে তার চাকরিটি অস্থায়ী। যেকোনো সময় তার চাকরি চলে যেতে পারে। এ নিয়ে তিনি চিন্তিত।
মাসুদের চিন্তা দর করার জন্য প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক বললেন, ছয় মাস দক্ষতার সাথে কাজ করলে চাকরি স্থায়ী করা হবে। এতে মাসুদ আশান্বিত হন। এ ধরনের আশ্বাস কোনো বাড়তি আর্থিক সুবিধা দিবে না। কিন্তু তিনি দক্ষতার সাথে কাজ সম্পাদন করতে পারলে তার চাকরির নিরাপত্তা থাকবে।
এতে তিনি মানসিক স্বস্তি পাবেন। ফলে তিনি কার্য ক্ষেত্রে মনোযোগী হবেন এবং কাজে গতি আসবে। এতে প্রতিষ্ঠানের প্রতি তার আস্থাও বাড়বে। ফলে কর্র্তৃপক্ষ ও কর্মী উভয়ই লাভবান হবেন। তাই বলা যায়, ব্যবস্থাপক মাসুদকে যে অনার্থিক প্রেষণার আশ্বাস দিয়েছেন তা যথার্থ হয়েছে।
প্রশ্নঃ ৮
[ঢা. বো. ১৬]
ক. নেতৃত্ব কী? ১
খ. প্রেষণা চক্র বুঝিয়ে লেখো। ২
গ. চিত্রে P, Q, R ও S চিহ্নিত স্থানের চাহিদাগুলোর নাম লেখো। ৩
ঘ.চিত্রে তীর চিহ্ন দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা করো।৪
৮ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একজন নির্বাহী তার অধীনস্থ কর্মীদের কার্যসম্পাদনে প্রভাবিত করে লক্ষ্যের দিকে পরিচালনা করেন তাকে নেতৃত্ব বলে।
খ উত্তরঃ প্রেষণা প্রক্রিয়ার ধাপগুলো (অভাব, তাড়না, অভাবপরণ ও সন্তুষ্টি অর্জন) পর্যায়ক্রমে আবর্তিত হওয়াকে প্রেষণা চক্র বলে। কর্মীর মধ্যে কোনো কিছুর অভাব জাগ্রত হলে তা পরণের জন্য সে অস্থির হয়ে ওঠে। প্রেষণার মাধ্যমে কর্মীর এ অভাব পরণ হয়, যার ফলে কর্মীর সন্তুষ্টি অর্জন হয়।
কর্মীর একটি অভাব পরণ হলে নতুন আরেকটি অভাব সৃষ্টি হয়। এ নতুন অভাব পরণের জন্য আবার প্রেষণার ধাপগুলো পর্যায়ক্রমে সম্পাদন হয়। এরপ অভাববোধ এবং তা পরণের প্রক্রিয়াটি অবিরামভাবে চলতে থাকে। এটিই হলো প্রেষণা চক্র।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের চিত্রে P, Q, R ও S চিহ্নিত স্থানে যথাক্রমে চাহিদা সোপান তত্তের নিরাপত্তার চাহিদা, সামাজিক চাহিদা, আতৃপ্তির চাহিদা ও আপর্ণতার চাহিদা বসবে। চাহিদার রপ পরিবর্তনের ধারায় মানুষকে কীভাবে প্রণোদিত করা সম্ভব, সেই সম্পর্কে চাহিদা সোপান তত্তে আলোচনা করা হয়েছে।
এ তত্ত অনুযায়ী মানুষের চাহিদার পাঁচটি স্তর রয়েছে। যথা: জৈবিক, নিরাপত্তা, সামাজিক, আতৃপ্তি ও আপর্ণতার চাহিদা। মানুষের একটি স্তরের চাহিদা পরণ হলে নতুন আরেকটি স্তরের চাহিদা সৃষ্টি হয়। উদ্দীপকে চাহিদা সোপান তত্তের চিত্র দেওয়া হয়েছে। চিত্রটির নিæ স্তর বা ঞ চিহ্নিত স্থানে রয়েছে জৈবিক চাহিদা।
খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান জৈবিক চাহিদার অন্তর্গত। এ চাহিদা পরণের পরেই আসে নিরাপত্তার চাহিদা, যা চ স্থানে বসবে। এটি চাহিদার দ্বিতীয় ধাপ বা স্তর। দ্বিতীয় স্তরের চাহিদা পরণের পরেই মানুষের সামাজিক চাহিদা জাগ্রত হয়। সহকর্মী এবং সমাজের মানুষের সাথে মিলেমিশে চলা এ স্তরের চাহিদার অন্তর্ভুক্ত। চতুর্থ স্তরে অর্থাৎ জ চিহ্নিত স্থানে আতৃপ্তির চাহিদা বসবে।
ভালো কাজের প্রশংসা, সহকর্মীদের সম্মান ও শ্রদ্ধা অর্জন এ স্তরের চাহিদার অন্তর্ভুক্ত। এরপরে শীর্ষ স্তর চিহ্নিত স্থানে বসবে আপর্ণতার চাহিদা। এ স্তরের চাহিদা পরণের মাধ্যমে মানুষ নিজেকে অমর করে রাখতে চায়, বাস্তবে এটি অপর্ণ থেকে যায়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত মনোবিজ্ঞানী অধ্যাপক আব্রাহাম হ্যারল্ড মাসলো প্রেষণার চাহিদার সোপান তত্তের প্রবক্তা। তিনি ১৯৪৩ সালে A Theory of Human Motivation গ্রন্থে এ তত্তটি প্রকাশ করেন।
ঘউত্তরঃ চিত্রে তীর চিহ্ন দ্বারা চাহিদা সোপান তত্তের পর্যায়ক্রমিক ধাপকে বোঝানো হয়েছে। প্রেষণার একটি আধুনিক তত্ত হলো চাহিদা সোপান তত্ত। এ তত্তে মানুষের চাহিদাকে পাঁচটি স্তরে ভাগ করা হয়েছে। চাহিদাগুলো হলো জৈবিক, নিরাপত্তা, সামাজিক, আতৃপ্তি ও আপর্ণতার চাহিদা। এ চাহিদাগুলো পর্যায়ক্রমে পরণ করা হয়।
সাধারণত নিম্ম স্তরের চাহিদা পরণের পর ক্রমান্বয়ে তা উপরের দিকে ধাবিত হয়। চাহিদা স্তর উপরের দিকে ধাবিত হওয়াই তীর চিহ্ন দ্বারা বোঝানো হয়। উদ্দীপকের চিত্রে চাহিদার পাঁচটি স্তর আছে। স্তরগুলো পর্যায়ক্রমে সাজানো হয়েছে।
নিচের স্তর থেকে তীর চিহ্ন উপরের স্তরের দিকে নির্দেশ করা আছে। এ তীর চিহ্ন দ্বারা বোঝানো হয়েছে মানুষ একটি স্তরের চাহিদা পরণ হলে পরের স্তরের চাহিদা পরণের প্রচেষ্টা চালায়। এ কারণেই নি স্তর থেকে উপরের স্তরের দিকে তীর চিহ্নের ঊর্ধ্বগামিতা দেখানো হয়েছে।
পর্যায়ক্রমিক চাহিদার স্তরগুলো পরণের মাধ্যমে মানুষকে প্রেষিত করা যায়। স্তরগুলোর যতই উপরের দিকে যাওয়া হয় মানুষ ততই আতৃপ্তি বোধ করে। এভাবে শীর্ষ স্তর পর্যন্ত মানুষের চাহিদা সৃষ্টি এবং তা পরণ চলতে থাকে।এজন্যই তীর চিহ্ন দ্বারা মানুষের চাহিদা পর্যায়ক্রমে অনুভ‚ত হওয়াকে বোঝানো হয়েছে, যা নিæ স্তর থেকে উচ্চ স্তরে প্রবাহিত হয়।
প্রশ্নঃ ৯ জনাব তাহসিন একটি উৎপাদনমুখী ওষুধ কোম্পানির উৎপাদন ব্যবস্থাপক। প্রতিষ্ঠানটি জনাব তাহসিনের জন্য বেতন, বাসস্থান, চিকিৎসা ও অন্যান্য ভাতাদি প্রদান করে আসছে। জনাব তাহসিন বিভিন্ন সামাজিক কর্ক উত্তরঃ াণ্ডে অংশগ্রহণ করা ছাড়াও আর্থিক সহায়তা করে থাকেন। তার এ সমস্ত কর্ক উত্তরঃ াণ্ডের মল লক্ষ্য হলো সুনাম, সুখ্যাতি ও যশ অর্জন করা। একজন দক্ষ ও উদ্যমশীল উৎপাদন ব্যবস্থাপক হওয়া সত্তেও বর্তমান প্রতিষ্ঠানটি জনাব তাহসিনের চাহিদা মোতাবেক সুযোগ-সুবিধাদি বৃদ্ধি না করায় তিনি প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের কথা ভাবছেন। [রা. বো. ১৬]
ক. চাহিদা সোপান তত্তের প্রবর্তক কে? ১
খ. চিত্রের মাধ্যমে প্রেষণা চক্রটি দেখাও। ২
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত জনাব তাহসিন চাহিদা সোপান তত্তের কোন ধাপে অবস্থান করছেন? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত জনাব তাহসিনের বর্তমান প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের চিন্তাভাবনা যৌক্তিকতাসহ বিশ্লেষণ করো। ৪
৯ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ চাহিদা সোপান তত্তের প্রবর্তক হলেন অধ্যাপক আব্রাহাম হ্যারল্ড মাসলো ।
খ উত্তরঃ প্রেষণা প্রক্রিয়ার ধাপগুলো (অভাব, তাড়না, অভাবপরণ ও সন্তুষ্টি অর্জন) পর্যায়ক্রমে আবর্তিত হওয়াকে প্রেষণা চক্র বলে। কর্মীর মধ্যে কোনো কিছুর অভাব জাগ্রত হলে তা পরণের জন্য সে অস্থির হয়ে ওঠে। প্রেষণার মাধ্যমে কর্মীর এ অভাব পরণ হয়, যার ফলে কর্মীর সন্তুষ্টি অর্জন হয়।
কর্মীর একটি অভাব পরণ হলে নতুন আরেকটি অভাব সৃষ্টি হয়। এ নতুন অভাব পরণের জন্য আবার প্রেষণার ধাপগুলো পর্যায়ক্রমে সম্পাদন হয়। এরপ অভাববোধ এবং তা পরণের প্রক্রিয়াটি অবিরামভাবে চলতে থাকে। এটিই হলো প্রেষণা চক্র।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের জনাব তাহসিন চাহিদা সোপান তত্তের চতুর্থ স্তর বা আতৃপ্তির চাহিদা অনুভব করছেন। আতৃপ্তির চাহিদা হলো বন্ধু-বান্ধব, আীয়স্বজন ও সহকর্মীদের থেকে একটু উচ্চতায় ওঠার আগ্রহ। এরপ চাহিদায় একজন ব্যক্তি সুনাম, সুখ্যাতি, যশ, অহংবোধ ইত্যাদি আশা করেন। এ পর্যায়ে ব্যক্তি বড় বাড়ি, দামি গাড়ি ইত্যাদির অভাববোধ করেন।
উদ্দীপকের জনাব তাহসিন একটি প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ব্যবস্থাপক। তিনি প্রতিষ্ঠানটি থেকে পর্যাপ্ত বেতন, বাসস্থান ও চিকিৎসা সুবিধা পেয়ে থাকেন। তিনি বিভিন্ন সামাজিক কর্ক উত্তরঃ াণ্ডে অংশগ্রহণ করার পাশাপাশি অসহায়দের আর্থিক সহায়তা করেন।
এসব কর্মকানেডর মল উদ্দেশ্য হলো সুনাম, সুখ্যাতি ও যশ লাভ করা। এ চাহিদাগুলো পরণের মাধ্যম তিনি আতৃপ্তি পাবেন। তাই বলা যায়, জনাব তাহসিনের বর্তমান অবস্থান আতৃপ্তির চাহিদার অন্তর্গত।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত মনোবিজ্ঞানী অধ্যাপক আব্রাহাম হ্যারল্ড মাসল প্রেষণার চাহিদার সোপান তত্তের (ঘবব প্রবক্তা। তিনি ১৯৪৩ সালে গ্রন্থে এ তত্তটি প্রকাশ করেন। এ তত্তে মানুষের চাহিদাকে পাঁচটি স্তরে ভাগ করা হয়েছে; যা দৈওয়া হএলা
১. জৈবিক চাহিদা: খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা ইত্যাদি।
২. নিরাপত্তার চাহিদা: চাকরির স্থায়িত্ব, বিমা সুবিধা, নিরাপত্তা বিধি, ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তা ইত্যাদি।
৩. সামাজিক চাহিদা: বন্ধুত্ব -মমতা, সহানুভতি ইত্যাদি।
৪. আতৃপ্তির চাহিদা: আমর্যাদা, সম্মান, স্বীকৃতি, পদমর্যাদা, শ্রদ্ধা অর্জন ইত্যাদি।
৫. আপর্ণতার চাহিদা: পর্ণ দক্ষতার প্রকাশ, জটিল ও গুরুত্বপর্ণ কাজে সিদ্ধান্ত প্রদান ইত্যাদি।
ঘ উত্তরঃ জনাব তাহসিনের বর্তমান প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের চিন্তাভাবনা যৌক্তিক বলে আমি মনে করি। প্রেষণা হলো প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনের জন্য কর্মীদের অনুপ্রাণিত করার প্রক্রিয়া। মানুষের একটা অভাব শেষ হলে আরেকটির চাহিদা সৃষ্টি হয়। অর্থ যেমন কর্মপ্রচেষ্টার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করে তেমনি সুষ্ঠু পরিবেশ, আমর্যাদা, মানুষের যশ-প্রতিপত্তি বাড়ায়।
জনাব তাহসিন একজন ব্যবস্থাপক। তিনি সামাজিক কর্ক উত্তরঃ াণ্ডের মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান। কিন্তু উপযুক্ত পরিবেশ ও প্রতিষ্ঠানের সুযোগ-সুবিধা স্বল্পতার কারণে তিনি তা করতে পারছেন না। জনাব তাহসিন দক্ষ ও উদ্যমশীল হওয়া সত্তেও প্রতিষ্ঠানটি চাহিদা অনুযায়ী সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে না।
জনাব তাহসিন মানুষের সাথে কাজ করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান। কিন্তু কোম্পানিটি উপযুক্ত আর্থিক প্রেষণা দিলেও অনার্থিক প্রেষণাদান করে না। ফলে জনাব তাহসিন উৎসাহ হারান।
তিনি মানুষের মধ্য থেকে সুনাম, সুখ্যাতি ইত্যাদি অর্জনে খুবই আগ্রহী। কিন্তু এগুলোর পর্যাপ্ত সুবিধা তিনি পাচ্ছেন না। তাই বলা যায়, জনাব তাহসিনের কোম্পানি পরিবর্তনের চিন্তাভাবনা যৌক্তিক।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
প্রশ্নঃ ১০ চট্টগ্রামের ষোলশহরের বিসিক শিল্প নগরীতে জনাব কামরুল হোসেনের মালিকানাধীন মশার কয়েল প্রস্তুতকারী একটি কারখানা রয়েছে। তিনি কুমিলা থেকে এসে মাঝে মাঝে কারখানাটি দেখাশোনা করেন। কয়েক বছর যাবৎ কারখানাটিতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হচ্ছে। তার সদ্য গইঅ পাস করা ছেলে জনাব মাহতাবকে কারখানার দায়িত্ব দেওয়া হয়। জনাব মাহতাব লক্ষ করলেন যে, একজন ফোরম্যান কারখানাটি নিয়মিত দেখাশোনা করেন। কারখানার শ্রমিকগণ যথাসময় উপযুক্ত বেতন-ভাতাদি পেয়ে থাকেন। কিন্তু কারখানায় শ্রমিকগণ অপর্যাপ্ত আলোতে কাজ করে, পর্যাপ্ত বৈদ্যুতিক পাখাও নেই। তাছাড়া কারখানায় সময়সচিও ঠিকভাবে অনুসরণ করা হয় না। জনাব মাহতাব বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছেন। [কু. বো. ১৬]
ই ক. জৈবিক চাহিদা কী? ১
খ. প্রেষণার সাথে কর্মীর মনোবলের সম্পর্ক কী? বুঝিয়ে লেখো। ২
গ. কোন ধরনের প্রেষণার অভাবে কারখানাটিতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হচ্ছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে উলিখিত পরিস্থিতিতে জনাব মাহতাব কী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন বলে তুমি মনে করো? মতামত দাও। ৪
১০ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ মানুষের বেঁচে থাকা তথা জীবন ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক উপকরণের চাহিদাগুলোকে সামগ্রিক জৈবিক চাহিদা বলে।
খ উত্তরঃ কর্মীদের কাজের প্রতি উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করার প্রক্রিয়া হলো প্রেষণা। আর মনোবল হলো মানসিক শক্তি সংশ্লিষ্ট বিষয়।প্রেষণা প্রদানের মাধ্যমে মলত কর্মীর মনকে উৎসাহিত করা হয়।
এতে কাজের প্রতি কর্মীর আগ্রহ ও মনোবল বাড়ে। আবার প্রেষণার অনুপস্থিতিতে কর্মীর মনোবল ভেঙে যায় এবং কাজের গতিও কমে যায়। তাই বলা হয়, প্রেষণা মানব মনের সাথে সম্পর্কযুক্ত।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের কারখানাটিতে আর্থিক প্রেষণা অভাবে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হচ্ছে। কর্মীদের প্রণোদিত করার জন্য অর্থের বাইরে যেসব উদ্দীপক ব্যবহৃত হয় তাই অনার্থিক প্রেষণা। সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ, নিরাপত্তা, উত্তম ব্যবহার, ভালো কাজের প্রশংসা, প্রশিক্ষণ সুবিধা, সুবিচার প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি অনার্থিক প্রেষণার অন্তর্গত।
উদ্দীপকের মশার কয়েল প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকরা পর্যাপ্ত বেতন-ভাতাদি পেয়ে থাকেন। কিন্তু শ্রমিকরা অপর্যাপ্ত আলোতে কাজ করেন এবং পর্যাপ্ত বৈদ্যুতিক পাখা নেই। কারখানায় সময়সচিও ঠিকভাবে অনুসরণ করা হয় না।
অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানটিতে সুষ্ঠু কর্মপরিবেশের সুবিধা থেকে শ্রমিকরা বঞ্চিত। এ কারণেই তারা প্রত্যাশিতভাবে কাজ করতে পারছে না। আর এ সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ হলো প্রতিষ্ঠানের দেওয়া একটি অনার্থিক প্রেষণা। অতএব, অনার্থিক প্রেষণার অভাবেই উদ্দীপকের কারখানাটিতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম উৎপাদন হচ্ছে।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকে উলিখিত পরিস্থিতিতে জনাব মাহতাবের উচিত সুষ্ঠু কর্মপরিবেশের ব্যবস্থা করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা। কর্মী যে পারিপার্শ্বিকতায় কাজ করে তা কর্মবান্ধব হওয়াকেই সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ বলা হয়।
সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ যেকোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের জন্য একটি প্রধান অনার্থিক প্রেষণা। পর্যাপ্ত জায়গা, আলো-বাতাসের সুব্যবস্থা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, সাজানো-গোছানো পরিবেশ, উপযুক্ত নিয়ম-নীতি, সব মিলিয়েই সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ গড়ে ওঠে।জনাব কামরুল হোসেনের মালিকানাধীন মশার কয়েল প্রস্তুতকারী কারখানার কয়েক বছর যাবৎ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হচ্ছে।
কারখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত জনাব মাহতাব লক্ষ করলেন যে, সেখানে সুষ্ঠু কর্মপরিবেশের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। শ্রমিকরা অপর্যাপ্ত আলোতে কাজ করে, বৈদ্যুতিক পাখাও পর্যাপ্ত নেই। এছাড়া কারখানায় সময়সচিও ঠিকভাবে অনুসরণ করা হয় না।
উদ্দীপকে উলিখিত পরিস্থিতিতে জনাব মাহতাবকে সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য কারখানায় প্রচুর দরজা-জানালা রাখতে হবে, যাতে আলো-বাতাসের সমস্যা না হয়। কারখানায় পর্যাপ্ত বৈদ্যুতিক পাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
এছাড়া কাজের নির্দিষ্ট সময়সচি রাখতে হবে, যাতে শ্রমিকরা কাজে ক্লান্ত না হয়। এতে শ্রমিকরা খুশি মনে কাজ করবে এবং প্রতিষ্ঠান তার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হবে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।