শ্রেণী ৮ম | বাংলা | অধ্যায় ১ | প্রয়োজন বুঝে যোগাযোগ করি | সমাধান ১ : অষ্টম শ্রেণীর বাংলা ১ম পত্রের প্রথম অধ্যায়টি হতে গুরুত্বপূর্ণ সব সমাধানগুলো গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন। অতএব সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
অপারেশন কদমতলী
রাবেয়া খাতুন
লেখক পরিচিতি
নাম:রাবেয়া খাতুন
জন্ম পরিচয়: ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দের ২৭ ডিসেম্বর ঢাকায় বিক্রমপুরে তার মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলায় ষোলঘর গ্রামে।
শিক্ষাজীবন:১৯৪৮ সালে প্রবেশিকা (মাধ্যমিক) পাস করার পর পারিবারিক বাধ্যবাধকতায় আর লেখাপড়া করতে পারেননি।
সাহিত্য সাধনা: মধুমতী, মেঘের পরে মেঘ, কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি, ফেরারী সূর্য-সহ ৬০টিরও অধিক উপন্যাস ।
পুরস্কার জীবনাবসান : বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৭৩), একুশে পদক (১৯৯৩), স্বাধীনতা পুরস্কারসহ (২০১৭) অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা। রাবেয়া খাতুন ২০২১ সালের ৩ জানুয়ারি ৮৫ বছর বয়সে গুলশানের নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন।
এক নজরে ‘অপারেশন কদমতলী’
উৎস পরিচিতি : কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুনের ‘অপারেশন কদমতলী’ গল্পটি ফারুক নওয়াজ সম্পাদিত ‘ছোটদের জাতির জনক ও মুক্তিযুদ্ধের গল্প’ গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে ।
গল্পের বক্তব্যবিষয় : ‘অপারেশন কদমতলী’ গল্পটি কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন রচিত একটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক রচনা। এখানে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলার দামাল ছেলেদের সাহসিকতার পরিচয় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। গল্পে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অত্যাচারের কথা বলা হয়েছে।
আরো দেখুন
দাঁত ও দাঁতের মাড়ি সুস্থ রাখতে চাইলে যেসব কাজ গুলো করা জরুরী
প্রতিটি মানুষের সকল মন্ত্রের মূল চাবিকাঠী স্বাস্থ্য! স্বাস্থ্য ভালো থাকলে মন ভালো থাকে, কাজের অগ্রগতিও ভাড়ে, স্বাস্থ্য ভালো আপনার সব...
শান্তিগঞ্জের বগুলারকাড়া গ্রামের স্কুল মাঠে কাবাডি খেলা
শান্তিগঞ্জের বগুলারকাড়া গ্রামের স্কুল মাঠে কাবাডি খেলা।। সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি।। গ্রামবাংলার প্রাচীনতম ঐতিহ্য বাংলাদেশের জাতীয় খেলা কাবাডি(হা ডু ডু) খেলার ঐতিহ্য...
একজন মানবিক সমাজসেবক সাজ্জাদ পারভেজ
একজন মানবিক সমাজসেবক সাজ্জাদ পারভেজ ॥ গেস্ট ব্লগিং॥ নিজের পরিচিতি নয়, যার কাজ শুধু সামাজিক কাজের মধ্যে নিজেকে লুকিয়ে রাখা।...
নতুন করিকুলাম || অষ্টম শ্রেণির বাংলা অধ্যায় ২ নজরে ‘রেলের পথ
নতুন করিকুলাম || অষ্টম শ্রেণির বাংলা অধ্যায় ২ বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর 2024 | সমাধান : অষ্টম শ্রেণীর বাংলা ১ম...
তাদের অত্যাচারে মানুষের স্বাভাবিক জীবন বিপর্যস্ত হয়েছে। ভয়, আতঙ্ক আর অনিশ্চয়তায় কেটেছে তখনকার প্রতিটি দিন । কিন্তু বীর বাঙালি সেই অত্যাচার মুখ বুজে সহ্য করেনি। তারা প্রতিবাদ করেছে, রুখে দাঁড়িয়েছে। অত্যাচারী শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। গল্পটিতে রাজধানীর কদমতলী এলাকায় অপারেশনের কথা বলা হয়েছে। মুক্তিবাহিনী কৌশলে অসীম সাহসের সাথে অপারেশনে অংশ নিয়ে সফল হয়েছে।
এই ঘটনায় সাড়া পড়েছে চারদিকে। স্বাধীনতার এই সংগ্রামে কিশোরেরাও যে অংশ নিয়েছে তা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে গল্পটিতে। নামকরণের সার্থকতা : মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বীর বাঙালিরা হানাদার বাহিনীর উপর হামলা করত। তখন সেটাকে অপারেশন বলা হতো। গল্পে মুক্তিযোদ্ধারা হানাদারদের কদমতলী ক্যাম্প আক্রমণ করেন। তাই এই গল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন কদমতলী’। নামটি যথাযথ ও সার্থক হয়েছে।
পাঠের উদ্দেশ্য : এ গল্প পাঠের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগ্রত হবে। যুদ্ধের সময় তাদের মতো কিশোররাও যে অদম্য সাহসের পরিচয় দিয়েছে সেটি সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাবে। গল্পের মাধ্যমে যোগাযোগের প্রাসঙ্গিকতা ও যোগাযোগে মর্যাদাসূচক শব্দের ব্যবহার শিখবে।
চরিত্র বিশ্লেষণ :
চন্দন : গল্পের প্রধান চরিত্র হলো চন্দন। সে একজন কিশোর। সে মুক্তিযোদ্ধাদের নানা অপারেশনে সাহায্য করে। অদম্য সাহসী চন্দন কদমতলী অপারেশনে দুর্দান্ত সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে।
দাদি : গল্পের একটি চরিত্র হলেন দাদি। দাদির মধ্যেও স্বাধীনতাকামী চিন্তা-চেতনার প্রকাশ ঘটে। তাই তো তিনি গল্প বলার সময় জয় বাংলা রেডিওর কথা বলে ওঠেন।
আন্না : গল্পের আরেকটি চরিত্র হলো আন্না । সে মূলত মান্না ও চন্দনের বোন। সে দাদির মুখে গল্পে শোনার সময় নানা বিষয়ে উৎসাহী থাকে আর দাদিকে প্রশ্ন করে।
মান্না : মান্না হলো চন্দনের ভাই। চন্দনের চেয়ে দুই বছরের ছোটো। সে চন্দনের যুদ্ধে সাহায্য করার বিষয়টি জানে। আর চন্দনকে এ কাজে সহযোগিতাও করে।
বানান সতর্কতা নিচের শব্দগুলোর সঠিক বানান জেনে নিই—
আতঙ্ক, যুদ্ধ. চম্পকদল রাক্ষসপুরী, সহস্রদল, অঙ্গভঙ্গি তত্ত্বাবধান ব্যাডমিন্টন,পরিস্থিতি, উপস্থাপনা প্ল্যাকার্ড, শোকসন্তপ্ত, মুক্তিসেনা, ত্রিবেণী, বন্দিশিবির, বিজ্ঞপ্তি, পোস্টার, পরিপ্রেক্ষিত।
শব্দের ———অর্থ
অপারেশন———–বিশেষ অভিযান ৷
আতঙ্ক———–ভয়।
গেরিলা যুদ্ধ———–নিজেকে লুকিয়ে রেখে শত্রুপক্ষকে আক্রমণ করা হয় এমন যুদ্ধ ৷
চম্পকদল———–রূপকথার একটি চরিত্রের নাম ।
টহলদার———–পাহারাদার ।
দুঃসাহস———–অতিরিক্ত সাহস।
নিঝুম———–নীরব ।
বেগতিক———–উপায়হীন ।
রাক্ষসপুরী———–রাক্ষসদের বাসস্থান।
রেডিয়াম———–একটি তেজস্ক্রিয় মৌলিক পদার্থ ।
সলতে———–প্রদীপ জ্বালাতে ব্যবহৃত হয় এমন টুকরো কাপড় বা মোটা সুতা ।
সহস্রদল———–রূপকথার একটি চরিত্রের নাম।
সহিসালামতে———–নিরাপদে।
শিখন অভিজ্ঞতা বিশ্লেষণ
শিখন অভিজ্ঞতা চক্র অনুসরণে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করি
প্রয়োজন বুঝে যোগাযোগ করি— এ অভিজ্ঞতামূলক শিখনটির মাধ্যমে আমি প্রয়োজন বুঝে যোগাযোগ, চিন্তা ও অনুভূতি প্রকাশ করতে পারব। আমি চারটি পর্যায়ক্রমিক ধাপ (চক্র)-এর মাধ্যমে অভিজ্ঞতামূলক শিখনটি সম্পন্ন করি।
ধাপ-১। প্রেক্ষাপটনির্ভর অভিজ্ঞতা : এ পর্যায়ে আমি—
→ প্রয়োজন বুঝে যোগাযোগ করার গুরুত্ব অনুধাবন করব ।
→ পরিবেশ-পরিস্থিতি বিবেচনায় যোগাযোগের অভিজ্ঞতা অর্জন করব।
→ যোগাযোগের প্রাসঙ্গিকতা বজায় রেখে যোগাযোগ করব।
ধাপ-২) প্রতিফলনমূলক পর্যবেক্ষণ : এ পর্যায়ে আমি-
যোগাযোগের উপাদান নিয়ে বিশ্লেষণ করব।
→ প্রয়োজন বুঝে যোগাযোগ করার ক্ষেত্রে বিবেচ্য বিষয় নিয়ে তালিকা তৈরি করব।
→ বয়স ও সম্পর্ক অনুযায়ী মর্যাদাসূচক শব্দ ব্যবহার হয়েছে কি না লক্ষ করব।
ধাপ-৩। বিমূর্ত ধারণায়ন : এ পর্যায়ে আমি-
- যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক ও অপ্রাসঙ্গিকতার মধ্যে পার্থক্য খুঁজে বের করব ।
- এ মর্যাদা বজায় রেখে যোগাযোগ করতে সর্বনাম ও ক্রিয়ার ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা করে সিদ্ধান্তে উপনীত হব।
ধাপ-৪। সক্রিয় পরীক্ষণ : এ পর্যায়ে আমি-
- পরিস্থিতি অনুযায়ী যোগাযোগের অনুশীলন করব।
- যোগাযোগে মর্যাদাসূচক শব্দ ব্যবহার করব।
- অপ্রাসঙ্গিকতা বর্জন করে প্রাসঙ্গিকতা বজায় রেখে যোগাযোগ করব।
পাঠ পর্যালোচনা
পাঠ্যবইয়ের তত্ত্বীয় বিষয়বস্তু সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা নিই
প্রিয় শিক্ষার্থী, পরিবর্তিত যোগ্যতাভিত্তিক শিক্ষাক্রমের আলোকে রচিত পাঠ্যবইয়ের এ শিখন অভিজ্ঞতাটি ভালোভাবে বুঝে পড়ো। এরপর নিম্নোক্ত পাঠ পর্যালোচনার অংশটি অনুশীলন কর । এতে পাঠ্যবইয়ের বিষয়বস্তু সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাবে, পাশাপাশি শিখনকালীন এবং সামষ্টিক মূল্যায়ন প্রস্তুতিও শানিত হবে ।
আমাদের চলার পথে নানা রকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। এসব পরিস্থিতিতে প্রয়োজন বুঝে যোগাযোগ করতে হয়।যোগাযোগ করার ক্ষেত্রে নানা রকম বিষয় বিবেচনায় রাখতে হয় ।
যোগাযোগ
‘যোগাযোগ’ শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো সংস্রব, মিলন, সামঞ্জস্য, সংবাদ আদান-প্রদান, কার্যকারণ সম্বন্ধ, সহযোগিতা প্রভৃতি। যোগাযোগ হলো একে অপরের সঙ্গে ভাব বা মতামত আদান-প্রদানের উপায়। মানুষ থেকে মানুষে কিংবা যন্ত্র থেকে যন্ত্রে ভাব, মতামত বা তথ্য আদান-প্রদানের প্রক্রিয়াকে বলা হয় যোগাযোগ। ইংরেজিতে কমিউনিকেশন (Communication)।
পরিস্থিতি
‘পরিস্থিতি’ শব্দের বাংলা অর্থ হলো পারিপার্শ্বিক অবস্থা। ইংরেজিতে সিচুয়েশন (Situation)। কোনোকিছুর আশেপাশের বাস্তবিক ও যুক্তিসংগত অবস্থাকে বলা হয় পরিস্থিতি। এটা ভালো ও মন্দ দুই ধরনেরই হতে পারে। পরিস্থিতি যদি ভালো হয় তাহলে তা জীবকুলের জন্য মঙ্গলজনক হয়। আর পরিস্থিতি যদি মন্দ হয় তাহলে তা সবার জীবনকে কঠিন ও অসহনীয় করে তুলতে পারে। – চিন্তা
‘চিন্তা’ শব্দটির বাংলা অর্থ হলো একাগ্রচিত্তে স্মরণ, অনুধ্যান, উদ্বেগ, দুর্ভাবনা, আশঙ্কা প্রভৃতি। কোনোকিছু নিয়ে গভীরভাবে ভাবা বা একাগ্রচিত্তে কোনোকিছু স্মরণ করাকে বলা হয় চিন্তা ।
অনুভূতি
‘অনুভূতি’ শব্দটির আভিধানিক অর্থ হলো উপলব্ধি, অনুভব, সুখ-দুঃখবোধ, চেতনা ইত্যাদি। মানুষের দেহে বা মনে সংবেদন সৃষ্টি হওয়াকে বলা হয় অনুভূতি। এটি দুই ধরনের হয়। একটি শারীরিক আর অপরটি মানসিক। ঠান্ডা, গরম, ব্যথা, আরাম প্রভৃতির অনুভবকে বলা হয় শারীরিক অনুভূতি। আর মনের আনন্দ, বেদনা, হতাশা, ভালোবাসা ইত্যাদি হলো মানসিক অনুভূতি ।
যোগাযোগের উদ্দেশ্য
যোগাযোগ হলো ভাব, তথ্য, সংবাদ প্রভৃতি আদান-প্রদানের উপায়। এই উপায়েই পৃথিবীর সব প্রাণী একে অপরের নৈকট্য লাভ করতে পারে, পরস্পর মিলিত হতে পারে। মনের ভাব ও তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে। একে অপরকে সাহায্য-সহযোগিতা করতে পারে। এক্ষেত্রে অন্যান্য প্রাণীর তুলনায় মানুষের যোগাযোগ প্রক্রিয়াটা স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা উন্নততর ও ভিন্নতর হয়ে থাকে । তবে যোগাযোগ যে উপায়েই হোক না কেন, এর উদ্দেশ্য হলো সংস্রবে থাকা, মিলিত হওয়া, প্রয়োজন পূরণ করা প্রভৃতি । –
যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিবেচ্য বিষয়
যোগাযোগ পৃথিবীর প্রতিটি প্রাণীর মধ্যে সেতুবন্ধ তৈরি করে। পারস্পরিক এই যোগাযোগ যতটা মজবুত হবে, পৃথিবীতে ততটা বিষয়গুলো হলো- উন্নয়ন ঘটবে। তবে পরিবেশ ও পরিস্থিতি বিচারে মানুষে মানুষে যোগাযোগের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় বিবেচনায় নিতে হয় । এই বিবেচ্য বিষয় গুলো হলো:
- ব্যক্তির বয়স ও সম্পর্কের ধরন অনুযায়ী সম্বোধন করা ।
- অপেক্ষাকৃত উঁচু বা নিচু স্বরে কথা না বলে স্বাভাবিক স্বরে কথা বলা ।
- সরাসরি অবস্থানকালে শারীরিক অঙ্গভঙ্গি স্বাভাবিক রাখা।
- অপ্রাসঙ্গিক ও অযাচিত কথা না বলা ।
- বয়স ও সম্পর্কভেদে সম্মানজনক দূরত্ব বজায় রাখা।
- চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলা ।
- পরিবেশ ও পরিস্থিতি বিবেচনা করে কথা বলা ।
যোগাযোগ মাধ্যম
পৃথিবীতে মানুষসহ সকল প্রাণীর যোগাযোগ প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। এ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই পৃথিবীটা এগিয়ে চলছে। তবে মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর যোগাযোগ মাধ্যম একই রকম নয়। অন্য প্রাণীরা বিভিন্ন ধরনের আওয়াজ, সংকেত, ডাক প্রভৃতি মাধ্যমে পারস্পরিক যোগাযোগ সম্পন্ন করে। অন্যদিকে উন্নত প্রাণী মানুষের যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম হলো ভাষা। এছাড়া মানুষ ইশারা- ইঙ্গিত, ছবি বা সংকেতের মাধ্যমেও যোগাযোগ করে
মানুষের যোগাযোগ মূলত দুইভাবে হয়ে থাকে। একটি ভাষিক আর অপরটি অভাষিক। ভাষার মাধ্যমে মানুষ যে যোগাযোগ করে তাকে ভাষিক যোগাযোগ বলে। এর প্রধান রূপ চারটি। যথা- শোনা, বলা, পড়া ও লেখা। ভাষিক যোগাযোগ দুইভাবে হয়ে থাকে। যথা- মৌখিক ও লৈখিক ।
যোগাযোগের ক্ষেত্রে কথা বলা ও লেখা ছাড়াও মুখভঙ্গি, শারীরিক অঙ্গভঙ্গি, হাত ও চোখের ইশারা, হাতের স্পর্শ, ছবি ও সংকেত প্রভৃতি অভাষিক মাধ্যমে যে যোগাযোগ হয়, তাকে অভাষিক যোগাযোগ বলে ।
যোগাযোগের প্রাসঙ্গিকতা
প্রাসঙ্গিকতা হলো বিষয়ের মধ্যে আবদ্ধ থাকা। যে বিষয় নিয়ে কারও সাথে কথা বলা হয় অথবা কারও সাথে যোগাযোগ করা হয় সেই বিষয়ের বাইরে গিয়ে অন্য বিষয় নিয়ে কথা বলা ঠিক নয়। যোগাযোগের সময় প্রসঙ্গ বজায় রাখা একটা দক্ষতা। সবসময় এই বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখা উচিত ।
শিখনকালীন ও সামষ্টিক মূল্যায়ন প্রস্তুতি : শিখে নিই
(মূল্যায়ন নির্দেশনার আলোকে পাঠ্যবই, শিক্ষক সহায়িকা, শিখনযোগ্যতা ও PI এর সূত্র সংবলিত)
প্রিয় শিক্ষার্থী, যোগ্যতাভিত্তিক শিক্ষাক্রমে এ শিখন অভিজ্ঞতাটির বিষয়বস্তু ভালোভাবে অনুশীলন কর। এরই আলোকে শিখনকালীন ও সামষ্টিক মূল্যায়ন উপযোগী কাজ, অ্যাসাইনমেন্ট নিম্নে উপস্থাপন করা হলো, যা তোমাকে শিখনযোগ্যতা অর্জনে সক্ষম করে গড়ে তুলবে।
এক নজরে -অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখনযোগ্যতা ও পারদর্শিতা সূচক (PI)
অভিজ্ঞতার শিরোনাম : প্রয়োজন বুঝে যোগাযোগ করি
শিখন অভিজ্ঞতা শেষে শিক্ষক সংশ্লিষ্ট শিখনযোগ্যতা মূল্যায়নের জন্য নির্ধারিত পারদর্শিতা সূচক বা (PI) ব্যবহার করে শিখনকালীন মূল্যায়নের রেকর্ড সংরক্ষণ করবেন। সামষ্টিক মূল্যায়নও সংশ্লিষ্ট PI এর ভিত্তিতে করা হবে। শিক্ষক প্রত্যেক শিক্ষার্থীর পারদর্শিতার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট PI এর জন্য প্রদত্ত তিনটি মাত্রা থেকে প্রযোজ্য মাত্রাটি নির্ধারণ করবেন এবং সেই অনুযায়ী চতুর্ভুজ, বৃত্ত বা ত্রিভুজ (DOA) ভরাট করবেন।
একক যোগ্যতা | পারদর্শিতার সূচক | পারদর্শিতার সূচকের মাত্রা | ||
Δ | ||||
১.৮.১ পরিবেশ, পরিস্থিতিকে বিবেচনায় নিয়ে ব্যক্তির আগ্রহ,চাহিদা অনুযায়ী প্রসঙ্গের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থেকে ভাববিনিময়মূলক ভাষায় যোগাযোগ করতে পারা | ১.৮.১.১ পরিবেশ-
পরিস্থিতি অনুযায়ীে যোগাযোগ করতে পারছে |
পরিচিতি পরিবেশ পরিস্থিতিতেে যোগাযোগ করতে পারছে | পরিচিত পরিবেশ-পরিচিত পরিবেশ-পরিস্থিতির পরিস্থিতিতে
সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ পরিবেশ-যোগাযোগ করতে পারছে |
যেকোনো পরিবেশ-
পরিস্থিতিতে যোগাযোগ করতে পারছে |
১.৮.১.২ ব্যক্তির আগ্রহ-
চাহিদাকে বিবেচনায় নিয়ে |যোগাযোগ করতে পারছে |
ব্যক্তির অনুভূতিকে প্রকাশ করে প্রকাশ করে | ব্যক্তির চাহিদাকে প্রকাশ করে যোগাযোগ করতে পারছে | ব্যক্তির আগ্রহ-চাহিদাকে বিবেচনায় নিয়ে
প্রাসঙ্গিকভাবে যোগাযোগ করতে পারছে |
|
১.৮.১.৩ প্রসঙ্গের মধ্যে থেকে ভাববিনিময়মূলক ভাষায় যোগাযোগ করতে পারছে | বাক্যের প্রসঙ্গ নির্ণয় করে
যোগাযোগ করতে পারছে |
যোগাযোগের প্রসঙ্গের সাথে মিল রেখে প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে যোগাযোগ করতে পারছে
করতে পারছে |
প্রাসঙ্গিকভাবে নিজের
মনের ভাব/চিন্তাধারা প্রকাশ করে যোগাযোগ করতে পারছে |
পাঠ্যবইয়ের একক ও দলীয় কাজ/ অ্যাক্টিভিটি
বুঝে পড়ি ও ভালোভাবে শিখে নিই
শিক্ষার্থীদের জন্য নির্দেশনা
- • পাঠ্যবইয়ের সেশন সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো ভালোভাবে বুঝে অনুশীলন করতে হবে।
- • পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রশ্নোত্তর ও ছক সমাধান করতে হবে।
- প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে নির্দেশনা অনুযায়ী পাঠ্যবইয়ের সহায়তা নিতে হবে।
- • পরিস্থিতি অনুযায়ী যোগাযোগের ক্ষেত্রে বয়স ও মর্যাদা অনুযায়ী সর্বনামের ব্যবহার করতে হবে।
- • প্রাসঙ্গিকতার মধ্যে থেকে কীভাবে যোগাযোগ করতে হয় সে সম্পর্কে জানতে হবে।
- • পরিস্থিতি অনুযায়ী যোগাযোগের উপায় সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।
- কার্যকর উপায়ে যোগাযোগের উপায়গুলো জানতে হবে।
- জোড়ায়, দলগত কাজের ক্ষেত্রে অবশ্যই পারস্পরিক সহযোগিতার মনোভাব প্রদর্শন করতে হবে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।