ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ৫ | সৃজনশীল প্রশ্ন ৬-১০ | PDF: ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের পঞ্চম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের পঞ্চম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ৫ | সৃজনশীল প্রশ্ন ৬-১০ | PDF
প্রশ্ন ৬: জনাব আবিদ তার দেনাদার মি. কাশেম বরাবর ২০,০০০ টাকার একটি দলিল তৈরি করতে গিয়ে লিখলেন- দ্য থেকে ২ মাস পরে আপনার কাছে বিক্রীত পণ্যের মূল্যে বাবদ জনাব তাহেরকে অথবা তার আদেশানুসারে ২০,০০০ টাকা মাত্র প্রদান করুন। তৈরির পর তিনি মি. কাশেমের নিকট দলিলটি পাঠিয়ে তাতে স্বীকৃতি সূচক স্বাক্ষর সংগ্রহ করলেন এবং জনাব তাহেরকে দিলেন। জনাব তাহের যথারীতি পিছনে স্বাক্ষর করে তা জনাব রহিক উত্তর:ে প্রদান করলেন। জনাব রহিম তা তার ব্যাংক হতে বাট্টাকরণ করতে চাইছেন।
[ঢাকা ইমপিরিয়াল কলেজ; ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
ক. বিনিময় বিল কী? ১
খ. চেকের নুমোদন বলতে কী বোঝ? ২
গ. উদ্দীপকে জনাব তাহের হস্তান্তরযোগ্য দলিলের কোন পক্ষ তা ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে রহিমের নাম দলিলের উপরিভাগে না থাকার পরও ব্যাংক কী দলিলটি বাট্টাকরণ করবে? যুক্তি দেখাও। ৪
৬ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: বিনিময় বিল হলো এমন এক প্রকার হস্তান্তরযোগ্য ঋণের দলিল, যাতে কোনো ব্যক্তি পর কোনো ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদানের জন্য শর্তহীন নির্দেশ প্রদান করে।
খ উত্তর: হস্তান্তরের উদ্দেশ্যে চেকের আদেষ্টা বা প্রাপক কর্তৃক চেকের উল্টো পিঠে কিছু লিখে বা না লিখে স্বাক্ষর করাকে চেকের নুমোদন বলে।
চেক নুমোদনের মুখ্য উদ্দেশ্য হলো চেকটি হস্তান্তর করা। অর্থাৎ চেকের ধিকারী কর্তৃক ন্যকে চেকের স্বত্ব বা মালিকানা দান করা। হস্তান্তরের জন্য বাহক চেকে নুমোদন প্রয়োজন হয় না। তবে হুকুম চেকে এরূপ নুমোদনের প্রয়োজন হয়।
গ উত্তর: উদ্দীপকে জনাব তাহের হস্তান্তরযোগ্য দলিলের প্রাপক হিসেবে বিবেচিত।
হস্তান্তরযোগ্য দলিলে যাকে অর্থ প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয় তিনিই হচ্ছেন প্রাপক। অর্থাৎ দলিলে যার নাম উলেখ করে অর্থ প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয় তিনি প্রাপক।
উদ্দীপকে জনাব আবিদ তার দেনাদার মি. কাশিম বরাবর ২০,০০০ টাকার একটি দলিল তৈরি করেন। মূলত বিক্রীত পণ্যেল মূল্য আদায়ের জন্য তিনি মি. কশিম বরাবর দলিলটি প্রস্তুত করেন। দলিলটিতে তিনি উলেখ করেন যে, তাহেরকে অথবা আদেশানুসারে ২০,০০০ টাকা প্রদান করুন। অর্থাৎ এখানে অর্থ গ্রহণের দাবিদার তাহের অথবা তার নুমোদনে ন্য কোন ব্যক্তি। এভাবে তাহেরকে অর্থ প্রদানের নির্দেশ দেওয়ায় নিশ্চিতভাবে বলা যায়, তাহের হলো এ দলিলের প্রাপক পক্ষ।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে রহিমের নাম দলিলের উপরিভাগে না থাকার পরও ব্যাংক দলিলটি বাট্টাকরণ করবে।
হস্তান্তরযোগ্য দলিলের বাট্টাকরণ বলতে মেয়াদপূর্তির পূর্বেই ব্যাংক হতে কম মূল্যে বিক্রয় করে নগদ অর্থ সংগ্রহ করাকে বোঝায়। অর্থাৎ বাট্টাকরণ করা হলে দলিলে লিখিত মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে নগদ অর্থ গ্রহণ করতে হয়।
উদ্দীপকে জনাব আবিদ বিক্রীত পণ্যের মূল্য আদায়ের জন্য দেনাদার মি. কাশিম বরাবর একটি দলিল তৈরি করেন। অর্থাৎ জনাব আবিদ বিনিময় বিল প্রস্তুত করলেন। দলিলটিতে তিনি উলেখ করেন জনাব তাহেরকে অথবা তাহেরের আদেশানুসারে অর্থ প্রদান করুন। পরবর্তীতে মি. কাশিম স্বীকৃতি সূচক স্বাক্ষর করে তা তাহেরকে দেন এবং তাহের যথারীতি পিছনে স্বাক্ষর করে তা রহিক উত্তর:ে প্রদান করেন।
অর্থাৎ রহিম এখানে নুমোদন বলে প্রাপক। তাই দলিলের মূল্য গ্রহণ করার আইনগত ধিকার রহিমের রয়েছে। এ ধিকারের বলেই তিনি এ দলিলটি ব্যাংক হতে বাট্টা করে অর্থ সংগ্রহ করতে পারবেন। তাই বলা যায়, দলিলে রহিমের নাম না থাকলেও তিনি তা বাট্টাকরণ করতে পারবেন।
প্রশ্ন ৭: সামি ৫০,০০০ টাকার মাল বিক্রয় করেছেন। ক্রেতা রাফি ১ মাস পর টাকা দিতে চায়। সামি বললেন, আপনি স্ট্যাম্পযুক্ত একটি কাগজে ১ মাস পর আমাকে টাকা দেবেন এটি লিখে দিন। ন্যদিকে সামি, রাসেল থেকে নিজেই ৭০,০০০ টাকার মাল কিনেছেন। এক মাস পর টাকা দিতে চাইলে রাসেল বললেন, আমি স্ট্যাম্পযুক্ত সাদা কাগজে একটি দলিল তৈরি করে দেই। আপনি তাতে স্বীকৃতি লিখে স্বাক্ষর করবেন। সামি স্বাক্ষর কেন করতে হবে-এ নিয়ে ভাবছেন।
[বেপজা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, সাভার; ঢাকা সিটি কলেজ]
ক. চেক স্ত‚প পরিষ্কারকরণ কী? ১
খ. মোবাইল ব্যাংকিং হোম ব্যাংকিং পেক্ষা উত্তম কেন? ২
গ. রাফি প্রদত্ত দলিলটি কোন ধরনের হস্তাস্তরযোগ্য দলিল? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. রাসেল-এর লিখিত দলিলে সামির স্বাক্ষরের আবশ্যকতা বিশ্লেষণ করো। ৪
৭ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: চেক স্ত‚প পরিষ্কারকরণ বলতে জমাকৃত চেক ক উত্তর:র্যাদাকৃত হলে তা গ্রাহককে জানানোর উদ্দেশ্যে ফেরত দেওয়াকে বোঝায়।
খ উত্তর: মোবাইল ব্যাংকিং-এ জটিলতা তুলনামূলক কম হওয়ায় এটি হোম ব্যাংকিং, পেক্ষা উত্তম।
হোম ব্যাংকিং-এর ক্ষেত্রে গ্রাহকরা ঘরে বসেই ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে। যেমন: টেলিফোনের মাধ্যমে বিল পরিশোধ, কম্পিউটারাইজড পদ্ধতিতে ব্যাংকের সাথে লেনদেন ইত্যাদি। ন্যদিকে, মোবাইলের মাধ্যমে লেনদেন করা হয় মোবাইল ব্যাংকিং এ। যেমন: বিকাশ ও রকেট সেবা মোবাইল ব্যাংকিং-এ গ্রাহক যেকোনো স্থানে যেকোনো সময় অর্থ জমাদান ও উত্তোলন করতে পারে। এমনকি গ্রাহকের নিজের মোবাইল না থাকলেও ব্যাংকের এজেন্টের মোবাইলের মাধ্যমে লেনদেন করতে পারে। এরূপ সহজ সিস্টেম হওয়ার কারণেই এটি ধিক উত্তম।
গ উত্তর: উদ্দীপকে রাফি প্রদত্ত দলিলটি হলো ঙ্গীকারপত্র।
ঙ্গীকারপত্র বলতে এমন দলিলকে বোঝায়। যার মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি ন্য ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট সময় পর অর্থ প্রদানের প্রতিশ্র“তি প্রদান করে। এটি একটি হস্তান্তরযোগ্য ঋণের দলিল।
উদ্দীপকে সামি রাফির নিকট ৫০,০০০ টাকার মাল বিক্রয় করেছেন। ক্রেতা রাফি ১ মাস পর এ টাকা দিতে চায়। তাই সামি বলেন, আপনি স্ট্যামপযুক্ত কাগজে ১ মাস পর টাকা দেবেন তা লিখে দেন। অর্থাৎ সামি এরূপ দলিল চাচ্ছেন যেখানে তাকে ১ মাস পর অর্থ প্রদানের প্রতিশ্র“তি দিতে হবে।
এখানে দলিলটি রাফি নিজেই তৈরি করবে এবং প্রতিশ্র“তি প্রদানপূর্বক নিজেই স্বাক্ষর প্রদান করবে। এ সকল বৈশিষ্ট্য পর্যালোচনায় বলা যায়, রাফি প্রদত্ত দলিলটি হলো ঙ্গীকারপত্র। কেননা, ঙ্গীকারপত্রেই এরূপ প্রতিশ্র“তি দেওয়া হয়।
বিনিময় বিল হলো এমন একটি দলিল, যেখানে বিক্রেতা ক্রেতাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ মূল্য পরিশোধের আদেশ প্রদান করে। এ দলিল বিক্রেতা প্রস্তুত করে এবং ক্রেতা তা স্বাক্ষর দিয়ে স্বীকৃতি প্রদান করে।
উদ্দীপকে সামি রাসেল থেকে ৭০,০০০ টাকার পণ্য কিনেছেন। তবে সামি একমাস পর এ মূল্য দিতে চাইলে রাসেল একটি দলিলের কথা উলেখ করেন। যেখানে দলিলটি রাসেল প্রস্তুত করবে এবং সামি তাতে স্বাক্ষর প্রদান করবে।
এখানে সামি হলো ক্রেতা এবং রাসেল হলো বিক্রেতা। দলিলটিতে বিক্রেতা রাসেল ক্রেতা সামিকে অর্থ প্রদানের আদেশ দিবে। অর্থাৎ এ দলিলটি হলো বিনিময় বিল। বিনিময় বিলে ক্রেতা হিসেবে সামি স্বাক্ষর না দিলে এটি আইনগতভাবে বৈধ হবে না। তাই এক্ষেত্রে সামির স্বাক্ষরের আবশ্যকতা রয়েছে।
প্রশ্ন ৮: হায়দারকে তার বাবা কলেজে আসার সময় ৫ টাকা ও ১০ টাকার কয়েকটি নোট দিলেন। সে দেখল এতে ব্যাংকের লোগো ব্যবহৃত হয়েছে এবং তাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নারের স্বাক্ষর রয়েছে। আবার সে খেয়াল করে ১ টাকার নোটে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার লেখা হয়েছে এবং অর্থ সচিবের স্বাক্ষর রয়েছে।
[নিউ গভ. ডিগ্রী কলেজ, রাজশাহী]
ক. পে-অর্ডার কী? ১
খ. সরকারি নোট কাকে বলে? ২
গ. ৫ টাকা ও ১০ টাকার নোট কোন ধরনের নোট? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে সরকারি নোট ও ব্যাংকের নোটের মূল্যায়ন করো। ৪
৮ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: যে পত্রের মাধ্যমে ব্যাংকের কোনো শাখা তার প্রাপককে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদানের নিশ্চয়তা দেয় তাকে পে-অর্ডার বলে।
খ উত্তর: সরকারের নিয়ন্ত্রণে অর্থমন্ত্রণালয় কর্তৃক ছাপানো নোটকে সরকারি নোট বলে।
সরকারি নোটে সাধারণত অর্থ সচিবের স্বাক্ষর থাকে। এ মুদ্রাকে বিহিত মুদ্রা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিহিত মুদ্রা হওয়ার কারণে এ নোটের আইনগত বৈধতা নিয়ে কখনো প্রশ্ন ওঠে না। বাংলাদেশে ১ টাকা, ২ টাকা ও ৫ টাকার নোটগুলো হলো সরকারি নোট।
গ উত্তর: উদ্দীপকে ৫ টাকার নোটটি হলো সরকারি নোট এবং ১০ টাকার নোটটি হলো ব্যাংক নোট।
সরকারি নোট বলতে সরকারের নিয়ন্ত্রণে অর্থমন্ত্রণালয় কর্তৃক ছাপানো নোটকে বোঝায়। পরদিকে, ব্যাংক নোট বলতে সরকারের পক্ষে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক ছাপানো নোটকে বোঝায়।
উদ্দীপকে হায়দারকে তার বাবা কলেজে আসার সময় ৫ টাকা ও ১০ টাকার কয়েকটি নোট দিলেন। সে দেখলো ৫ টাকার নোটে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার লেখা হয়েছে এবং অর্থ সচিবের স্বাক্ষর রয়েছে।
অর্থাৎ ৫ টাকার নোটটি সরকারের অর্থমন্ত্রণালয় কর্তৃক ছাপানো হয়েছে বিধায় এটি সরকারি নোট। পরদিকে, ১০ টাকার নোটে বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো ব্যবহৃত হয়েছে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের স্বাক্ষর রয়েছে। অর্থাৎ ১০ টাকার নোটটি বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ছাপানো হয়েছে বিধায় এটি ব্যাংক নোট।
বাংলাদেশে বর্তমানে ৫ টাকার নোটটি অর্থমন্ত্রণালয় কর্তৃক ছাপানো হয় এবং এতে অর্থ সচিবের স্বাক্ষর থাকে।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে বিনময়ের মাধ্যম হিসেবে সরকারি নোট বিহিত মুদ্রা হিসেবে স্বীকৃত এবং ব্যাংক নোট বিহিত মুদ্রা হিসেবে স্বীকৃত নয়।
সরকারের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে সরকারি নোট ছাপানো হয় বিধায় এটি সবসময় বিহিত মুদ্রা হিসেবে স্বীকৃত। তবে ব্যাংক নোট বিহিত মুদ্রা না হলেও সরকার এই নোটের দায়িত্ব নেওয়ায় জনগণ এ নোট গ্রহণে স্বীকৃতি জানায় না।
উদ্দীপকে হায়দার তার বাবার কাছ থেকে দুই ধরনের নোট পেয়েছে। একটি নোটে অর্থ সচিবের স্বাক্ষর থাকায় এটি নিঃসন্দেহে সরকারি নোট। ন্যটিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের স্বাক্ষর থাকায় এটি নিঃসন্দেহে ব্যাংক নোট।
এখানে হায়দারের গৃহীত সরকারি নোটটি গ্রহণে জনগণ সবসময় বাধ্য থাকে। অর্থাৎ এ নোট চল হয়ে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। ন্যদিকে, ব্যাংক নোট আইনসঙ্গতভাবে বিহিত মুদ্রা নয়, এটি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিজ্ঞাপত্র হিসেবে বিবেচিত।
তবে এ নোট কোনো কারণে চল করা হলে বাংলাদেশ ব্যাংক-এর সমপরিমাণ মূল্য প্রদানে বাধ্য থাকে। তাই এ নোট গ্রহণে জনগণ বাধ্য না থাকলেও স্বীকৃতি জানায় না। তাছাড়া সরকারি নোটের মূল্যমান ব্যাংক নোটের চেয়ে কম। ছোট খাট লেনদেনে সরকারি নোট আর বড় লেনদেনে ব্যাংক নোট ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন ৯
ঢণত সোনালী ব্যাংক লিমিটেড
…………… শাখা
/ঈ ৩৪২২৪৫৮৫
নাজমুল কে অথবা বাহককে
টাকা ত্রিশ হাজার টাকা মাত্র প্রদান করুন।
টাকা: ৩০০০০/-
আলম
স্বাক্ষর
[কুমিলা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ]
ক. হুকুম চেক কী? ১
খ. ব্যাংক নোট বলতে কী বোঝ? ২
গ. প্রদর্শিত চিত্রটি কোন ধরনের চেক? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. এরূপ চেকের নিরাপত্তার বিষয়টি বিশ্লেষণ করো। ৪
৯ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: যে চেকে প্রাপকের নামের শেষে ‘অথবা আদেশানুসারে’ শব্দদ্বয় লেখা থাকে তাকে হুকুম চেক বলে।
খ উত্তর: সরকারের নুমতিক্রমে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক ইস্যুকৃত কাগজী মুদ্রাকে ব্যাংক নোট বলে।
সরকারের পক্ষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর এ নোটে স্বাক্ষর করে থাকেন। এটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিজ্ঞাপত্র হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি আইন সঙ্গত বিহিত মুদ্রা নয়। তবে যেহেতু এর বিপরীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক চিহ্নিত মুদ্রা প্রদানে বাধ্য থাকে তাই জনগণ এ নোট গ্রহণে স্বীকৃতি জানায় না। এ নোটগুলো সাধারণত উচ্চ মূল্যমানের হয়। যেমন: দশ টাকা, পঞ্চাশ টাকা, একশত টাকা ইত্যাদি।
গ উত্তর: উদ্দীপকে প্রদর্শিত চিত্রটি হলো বিশেষভাবে দাগকাটা চেক।
দাগকাটা চেকের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো চেকের উপরিভাগে আড়াআড়িভাবে সমান্তরাল দু’টি রেখা ঙ্কিত থাকে। এক্ষেত্রে রেখা দুটির মাঝে কিছু লেখা থাকতেও পারে আবার নাও থাকতে পারে।
উদ্দীপকে একটি চেকের চিত্র দেওয়া রয়েছে। চেকটির বাক উত্তর:োণে উপরিভাগে আড়াআড়িভাবে দু’টি সমান্তরাল রেখা টানা হয়েছে। রেখা দু’টির মাঝে লেখা আছে ‘ইঈ ইধহশ খঃফ’ অর্থাৎ এ চেকের অর্থ ইঈ ব্যাংক হতে উত্তোলন করতে হবে। এভাবে আড়াআড়িভাবে রেখা টানা এবং রেখার মাঝে ব্যাংকের নাম উলেখ আছে বিধায় নিঃসন্দেহে বলা যায়, এটি একটি বিশেষভাবে দাগকাটা চেক।
দাগকাটা চেক বলতে চেকের উপরিভাগে আড়াআড়িভাবে সমান্তরাল দু’টি রেখাযুক্ত চেককে বোঝায়। এ চেকের অর্থ প্রাপককে তার ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে উত্তোলন করতে হয়।
উদ্দীপকে একটি দাগকাটা চেকের চিত্র প্রদর্শিত রয়েছে। চেকটিতে লেখা আছে নাজমুলকে অথবা বাহককে ত্রিশ হাজার টাকা প্রদান করুন। অর্থাৎ এ চেকটির প্রাপক হলো নামজুল।
চেকটি দাগকাটা হওয়ার কারণে ব্যাংক এ চেকের অর্থ নগদে প্রদান করবে না। তাই প্রাপক নাজমুলকে চেকটি উলিখিত ইঈ ব্যাংকে তার হিসাবে জমা দিতে হবে। পরবর্তীতে তার হিসাবে এ অর্থ জমা হবে।
এভাবে প্রাপকের ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে চেকের অর্থ জমা হয় বিধায় ন্য কেউ এ চেকের অর্থ উত্তোলন করতে পারবে না। তাই চেকটি হারিয়ে বা চুরি বা ছিনতাই হয়ে গেলেও কোনো ঝুঁকি নেই। তাই বলা যায়, দৈনন্দিন লেনদেনে এ চেকের ব্যবহার নিরাপদ।
প্রশ্ন ১০ :
শাপলা ব্যাংক লি.
…………… শাখা
ই: ০৯৮৭৬৫৪৩
হাসান কে অথবা বাহককে
টাকা বিশ হাজার টাকা মাত্র প্রদান করুন।
টাকা: ২০০০০/-
হানিফ
স্বাক্ষর
[চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আন্তঃকলেজ]
ক. বিনিময় বিল কী? ১
খ. উপহার চেক বলতে কী বোঝায়? ২
গ. প্রদর্শিত চিত্রটি কোন ধরনের চেক? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. এরূপ চেক পাওয়ার পর প্রাপক হিসেবে তোমার করণীয় কী ব্যাখ্যা করো। ৪
১০ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: বিনিময় বিল হলো একটি হস্তান্তরযোগ্য ঋণের দলিল যার মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি ন্য কোনো ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদানের শর্তহীন নির্দেশ দেয়।
খ উত্তর: আপনজনদেরকে উপহার দেয়ার ক্ষেত্রে যে চেক ব্যবহৃত হয় তাকে উপহার চেক বলে।
এ চেক প্রাইজবন্ডের নুরূপ। এ চেক ইস্যুকারী ব্যাংকের যেকোনো শাখায় ভাঙানো যায়। এতে নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে সুদ পাওয়া যায়। এমনকি মাঝে মাঝে নুষ্ঠিত ড্রতে পুরষ্কার পাওয়ার সম্ভাবনাও এ চেকে রয়েছে।
গ উত্তর: উদ্দীপকে প্রদর্শিত চিত্রটি হলো বিশেষভাবে দাগকাটা চেকের।
কোনো চেকের উপরিভাগে বাক উত্তর:োণে আড়াআড়িভাবে সমান্তরাল দুটি দাগটানা থাকলে সেটি দাগকাটা চেক হিসেবে বিবেচিত। বাহক বা হুকুম চেক এরূপ দাগটানার মাধ্যমে দাগকাটা চেকে রূপান্তর করা যায়।
উদ্দীপকে একটি চেকের চিত্র প্রদর্শন করা হয়েছে। চেকটিতে বলা হয়েছে হাসানকে বা বাহককে বিশ হাজার টাকা প্রদান করুন। এছাড়া চেকের উপরিভাগে বাক উত্তর:োণায় দুটি দাগটানা রয়েছে। দুটি দাগের মাঝে ‘ই ইধহশ খঃফ’ লেখা রয়েছে।
আড়াআড়ি রেখার মাঝে ব্যাংকের নাম উলেখ থাকায় এটি বিশেষভাবে দাগকাটা চেক। এরূপ দাগটানার কারণে এ চেকের অর্থ ব্যাংক নগদে পরিশোধ করবে না। এ চেকের অর্থ ব্যাংক শুধু প্রাপক অর্থাৎ, হাসানের হিসাবেই জমা করবে। এ সকল বিষয় বিবেচনা করে বলা যায়, প্রদর্শিত চেকটি হলো বিশেষভাবে দাগকাটা চেক।
ঘ উত্তর: এরূপ দাগকাটা চেক পাওয়ার পর প্রাপক হিসেবে আমার করণীয় হলো চেকটি উলিখিত ব্যাংক হিসাবে জমা দেয়া।
দাগকাটা চেকের ক্ষেত্রে চেকের উপরিভাগে বাক উত্তর:োণে সমান্তরালভাবে দুটি দাগটানা থাকে। এই দুই দাগের মাঝে কোনো নির্দিষ্ট ব্যাংকের নাম লিখা থাকতেও পারে, আবার নাও থাকতে পারে।
উদ্দীপকে একটি দাগকাটা চেকের চিত্র রয়েছে। এ চেকের সমান্তরাল দুটি দাগের মাঝখানে ‘ই ইধহশ খঃফ.’ কথাটি লিখা রয়েছে। তাই এটি একটি বিশেষভাবে দাগকাটা চেক। এ চেকটির অর্থ বশ্যই ‘ই ইধহশ খঃফ.’ এর হিসাবের মাধ্যমে উত্তোলন করতে হবে।
এক্ষেত্রে প্রাপক হিসেবে আমাকে বশ্যই চেকটি ই ব্যাংকে আমার ব্যাংক হিসাবে জমা দিতে হবে। যদি ই ব্যাংকে আমার কোনো হিসাব না থাকে তাহলে প্রথমেই ঐ ব্যাংকে আমার হিসাব খুলতে হবে। হিসাব খোলার পর ঐ ব্যাংকে আমার হিসাবে চেকটি জমা দিতে হবে।
কেননা, দাগদ্বয়ের মাঝে ঐ ব্যাংকের নাম থাকায় ঐ ব্যাংক ব্যতীত এ চেকের অর্থ আদায় সম্ভব নয়। অথবা চেকের প্রস্তুতকারী কর্তৃক দাগ পসারণ করিয়ে এ চেকের অর্থ সংগ্রহ করা সম্ভব।
ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং খালেকুজ্জামান pdf,
ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় পত্র গাইড,
ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ২য় পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন,
ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় পত্র খালেকুজ্জামান pdf,
ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বীমা ২য় পত্র pdf download,
ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় পত্র খালেকুজ্জামান,
ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় পত্র ৪র্থ অধ্যায়,
ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ২য় সাজেশন,
ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় পত্র ৯ম অধ্যায়,
ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় পত্র ৬ষ্ঠ অধ্যায়,
ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ২য় অধ্যায় সৃজনশীল ২০২২,
ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ২য় অধ্যায় বহুনির্বাচনি,
ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ২য় অধ্যায় সৃজনশীল,
ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ৫ম অধ্যায়,
ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ৭ম অধ্যায়,
ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ৯ম অধ্যায় mcq,
ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ৫ম অধ্যায় mcq,
ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ৩য় অধ্যায় বহুনির্বাচনি,
ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ৩য় অধ্যায় সূত্র,
ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ৩য় অধ্যায় সৃজনশীল,
ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ৫ম অধ্যায় mcq,
ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ৪র্থ অধ্যায় mcq,
ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ৯ম অধ্যায় mcq,
ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং সাজেশন,
ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ৩য় অধ্যায় সূত্র,
ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ৩য় অধ্যায় mcq,
ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ৪ অধ্যায় সৃজনশীল,
ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ৫ম অধ্যায় সৃজনশীল,
ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ৯ম অধ্যায় সৃজনশীল,
ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর,
ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ৮ম অধ্যায় সৃজনশীল,
ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ৫ম অধ্যায় সৃজনশীল,
ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ২য় অধ্যায় সৃজনশীল উত্তর,
ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ১ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর,
ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ৯ম অধ্যায় সৃজনশীল ২০২২,
ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ৬ষ্ঠ অধ্যায় সৃজনশীল,
ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ৯ম অধ্যায় সৃজনশীল,
ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ৭ম অধ্যায় সৃজনশীল,
ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ৫ম অধ্যায় সৃজনশীল,
ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ১ম অধ্যায় সৃজনশীল,
ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং মডেল টেস্ট,
ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর,
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।