পঞ্চম শ্রেণি | হিন্দুধর্ম | অধ্যায় ৬ | গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর | PDF: পঞ্চম শ্রেণির হিন্দুধর্ম বিষয়টির ৬ষ্ট অধ্যায়টি হতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে। অতএব সম্পূর্ণ পোস্টটি মনযোগ সহকারে পড়ুন।
ষষ্ঠ অধ্যায়
অহিংসা ও পরোপকার
অনুশীলনীর প্রশ্ন ও সমাধান
ক. শূন্যস্থান পূরণ কর :
১। —————ব্যক্তি সবসময় সকলের মঙ্গল কামনা করেন।
২। বশিষ্ঠের আশ্রমে ছিল একটি —————।
৩। বশিষ্ঠের আশীর্বাদে বিশ্বামিত্র ————— হয়েছিলেন।
৪। পাণ্ডবেরা ব্রাহ্মণবেশে ————— নগরে বাস করতেন।
৫। পাণ্ডবদের মধ্যে ————— ছিলেন খুব শক্তিশালী।
উত্তর : ১। অহিংস ২। কামধেনু ৩। ব্রহ্মর্ষি ৪। একচক্রা ৫। ভীম
খ. ডান পাশ থেকে শব্দ এনে বাম পাশের শব্দের সঙ্গে মেলাও :
১। বড় হতে হলে আমাদের—————ঈশ্বর আছে।
ধর্ম—————যজ্ঞের অশ্বটি।
২। বিশ্বামিত্র বশিষ্ঠের মতো —————তাঁর কামধেনুটি।
৩। বিশ্বামিত্র বশিষ্ঠের কাছে চেয়েছিলেন —————ব্রহ্মর্ষি হতে চেয়েছিলেন।
৪। হিন্দুধর্ম মতে সকল জীবের মধ্যেই —————অহিংস হতে হবে।
৫। অহিংসা পরম —————আশীর্বাদ।
উত্তর :
১। বড় হতে হলে আমাদের অহিংস হতে হবে।
২। বিশ্বামিত্র বশিষ্ঠের মতো ব্রহ্মর্ষি হতে চেয়েছিলেন।
৩। বিশ্বামিত্র বশিষ্ঠের কাছে চেয়েছিলেন তাঁর কামধেনুটি।
৪। হিন্দুধর্ম মতে সকল জীবের মধ্যেই ঈশ্বর আছেন।
৫। অহিংসা পরম ধর্ম।
গ. সঠিক উত্তরের পাশে টিক () চিহ্ন দাও :
১। বশিষ্ঠ কোন শ্রেণির ঋষি ছিলেন?
ক. রাজর্ষি খ. শ্রæতর্ষিগ. ব্রহ্মর্ষি ঘ. মহর্ষি
২। বিশ্বামিত্র জাতিতে কী ছিলেন?
ক. ক্ষত্রিয় খ. ব্রাহ্মণ গ. বৈশ্য ঘ. শূদ্র
৩। বনে বাস করতো যে রাক্ষস তার নাম কী ছিল?
ক. তাড়কা খ. পূতনা গ. অঘ. ঘ. বক
৪। রাক্ষসকে মারতে কে গিয়েছিলেন?
ক. অর্জুন খ. ভীম গ. নকুল ঘ. সহদেব
৫। ভীমের কথা বলতে কে নিষেধ করেছিলেন?
ক. যুধিষ্ঠির খ. মাদ্রী গ. কুন্তী ঘ. ব্রাহ্মণ
ঘ. নিচের প্রশ্নগুলোর সংক্ষেপে উত্তর দাও :
১। অহিংসা কী?
উত্তর : অহিংসা একটি নৈতিক গুণ। যাদের এই নৈতিক গুণ আছে তারা কাউকে পীড়ন করেন না। কাউকে হিংসা করেন না।
২। বিশ্বামিত্র কেন বশিষ্ঠকে হিংসা করতেন?
উত্তর : বিশ্বামিত্র বশিষ্ঠকে হিংসা করতেন কেননা বশিষ্ঠ ব্রহ্মর্ষি ছিলেন।
৩। কামধেনু কাকে বলে?
উত্তর : কামধেনু বলতে হিন্দুপুরাণে বর্ণিত অভিষ্টদায়িনী গাভীকে বুঝায়।
৪। পাণ্ডবেরা বেঁচে গিয়ে কোথায় বাস করতেন?
উত্তর : পাণ্ডবেরা বেঁচে গিয়ে একচক্রা নগরে বাস করতেন।
৫। ভীম রাক্ষসটাকে কীভাবে মেরেছিলেন?
উত্তর : ভীম রাক্ষসটাকে এক আছাড়ে মেরে ফেলল।
ঙ. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
১। অহিংসা কাকে বলে? বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : অহিংসা একটি নৈতিক গুণ। ধর্মের অঙ্গ। অহিংসা হলো কিছু আচরণের সমষ্টি যা অন্যের ক্ষতি করে না। যেমন- কাউকে হিংসা না করা, কারো ক্ষতি না করা, কারো অমঙ্গল কামনা না করা, কাউকে পীড়ন না করা ইত্যাদি।
২। বশিষ্ঠ কীভাবে বিশ্বামিত্রকে আপ্যায়ন করলেন?
উত্তর : একদিন অনেক লোকজন নিয়ে বিশ্বামিত্র বশিষ্ঠের আশ্রমে গেলেন। হঠাৎ এতলোকের ক্ষুধা-তৃষ্ণা মেটানো কঠিন কাজ। কিন্তু বশিষ্ঠের জন্য তা কঠিন হলো না। তার আশ্রমে ছিল একটি কামধেনু। তার কাছে চাইতেই পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার ও পানীয় পাওয়া গেল। বশিষ্ঠ তা দিয়ে বিশ্বামিত্র ও তার লোকজনকে আপ্যায়ন করালেন।
৩। পরোপকারের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : অন্যের মঙ্গল করার মনোভাবকে পরোপকার বলা হয়। পরোপকারের গুরুত্ব হলো :
পরোপকার করা ধর্মের একটি অঙ্গ। হিন্দুধর্ম মতে সকল জীবের মধ্যেই ঈশ্বর আছেন। তাই জীবের উপকার করা মানেই ঈশ্বরের সেবা করা। জীবের সেবা করলে ঈশ্বর সন্তুষ্ট হন।
পরের উপকার করার মধ্য দিয়ে এক পরম আনন্দ পাওয়া যায়। এতে মনের প্রসারতা বাড়ে। ঈশ্বরের প্রতি ভক্তি বৃদ্ধি পায়। পরস্পরের প্রতি সহানুভ‚তি সৃষ্টি হয়। পরস্পর পরস্পরকে ভালোবাসতে শেখে। ফলে শান্তির সমাজ গড়ে ওঠে।
৪। ব্রাহ্মণের ঘরে কান্নার রোল উঠেছিল কেন?
উত্তর : ব্রাহ্মণ যেখানে বাস করতো তার অদূরে একটা বন আছে। যেখানে বক নামে এক রাক্ষস বাস করতো। রাক্ষসের চাহিদা অনুযায়ী তাকে প্রতিদিন আহার হিসেবে একজন মানুষ, দুটি মহিষ এবং অনেক ভাত দিতে হবে। নতুবা সে সবাইকে খেয়ে ফেলবে। দুর্ভাগ্যক্রমে সেদিন ছিল ব্রাহ্মণের পরিবারের পালা। যে কেউ একজনকে রাক্ষসের কাছে যেতে হবে। এজন্য ঘরে কান্নার রোল উঠেছিল।
৫। নগরবাসী বক রাক্ষসের হাত থেকে কীভাবে রক্ষা পেয়েছিল?
অথবা, ভীম কীভাবে বক রাক্ষসকে মেরেছিলেন? এতে নগরবাসীর কী উপকার হয়েছিল?
উত্তর : যেদিন ব্রাহ্মণদের পালা আসল বক রাক্ষসের কাছে যাবার জন্য সেদিন কুন্তী ব্রাহ্মণের পরিবর্তে তার ছেলে ভীমকে পাঠাল বক রাক্ষসের কাছে। ভীম বনে গিয়ে রাক্ষসকে না পেয়ে তার আস্তানায় অপেক্ষা করছিল। এমন সময় বক রাক্ষস এলে উভয়ের মাঝে মারামারি হয়। এতে বক রাক্ষস মারা যায়। ফলে নগরবাসী বক রাক্ষসের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিল।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর
সাধারণ
অহিংসা
১. অন্যের উপকার করার নৈতকি গুণটি হলো-
ক.শিষ্টাচার
খ পরমতসহিষ্ণুতা
গ.অহিংসা
ঘ. সপ্রতী
২. বড় হতে হলে আমাদের ————— হতে হবে। শূন্যস্থানে কোন শব্দটি উপযুক্ত?
ক. পরোপকারি
খ. অহিংস
গ. শিষ্টাচারী
ঘ. দেশপ্রেমিক
৩. কোন মানুষ বড় কাজ করতে পারে না?
ক. যে অন্যের অপকার করে
খ. যার মন ছোট
গ. যে মিথ্যা কথা বলে
ঘ. যে অন্যের দোষ চর্চা করে
বশিষ্ঠের অহিংসা ধর্ম
৪. বিশ্বামিত্র কে ছিলেন?
ক. ব্রহ্মর্ষি খ. ব্রাহ্মণ গ. বশিষ্ঠের শিষ্য ঘ. ক্ষত্রিয় রাজা
৫. বশিষ্ঠ কে ছিলেন?
ক. বিশ্বামিত্রের গুরু খ ব্রহ্মর্ষি গ রাজর্ষি ঘ দেবতা
৬. বিশ্বামিত্র বশিষ্ঠের কাছে কী দাবি করলেন?
ক.আশ্রম খ.ব্রহ্মর্ষি গ কামধেনু ঘ.ধন-সম্পদ
পরোপকার
৭. ঈশ্বরের সন্তুষ্টি লাভের উপায়-
ক.জীবের সেবা করা
খ. জীবের সাহায্য করা
গ. দেশকে ভালোবাসা
ঘ. অহিংসা চর্চা করা
৮. মনের প্রসারতা বৃদ্ধির উপায় কী?‘
ক.সত্য কথা বলা
খ. ভালো ব্যবহার করা
গ. পরের উপকার করা
ঘ. ঈশ্বরের প্রতি ভক্তি প্রদর্শন করা
৯. অন্যের মঙ্গল করার মনোভাবই হলো-
ক.দেশপ্রেম
খ. পরমত সহিষ্ণুতা
গ. শিষ্টাচার
ঘ. পরোপকার
ভীমের পরোপকার
১০.জীবে সেবা করলে কে সন্তুষ্ট হন?
ক.ঈশ্বর খ. ব্রহ্মর্ষি গ. বিষ্ণু ঘ. কৃষ্ণ
১১. কে বক রাক্ষসকে হত্যা করল?
ক.বিশ্বামিত্র খ. ভীম গ. ব্রাহ্মণ ঘ. বশিষ্ঠ
যোগ্যতাভিত্তিক
১২. তুমি স্কুলে যাচ্ছ। পথিমধ্যে এক বয়স্ক মহিলা তোমার কাছে কিছু খাবার চাইল। তুমি কী করবে?
ক.স্কুলে চলে যাবে
খ. তোমার খাবারের একটা অংশ দিবে
গ. দাঁড়িয়ে থাকবে
ঘ. কোনোটিই করবে না
১৩. ক্লাসে সকলে একসঙ্গে টিফিন খাচ্ছ। কিন্তু তোমার এক বন্ধু টিফিন নিয়ে আসেনি। এমতাবস্থায় তুমি কী করবে?
ক. টিফিন খাব না
খ. বন্ধুকে দিয়ে খাব
গ. বন্ধুকে আড়াল করে খেয়ে নেব
ঘ. বন্ধুকে টিফিন নিয়ে আসতে বলব
১৪. সীমা রাতে পড়াশুনা করছিল। একটা শব্দ শুনে বাইরে গিয়ে দেখল একটি হাঁসের ছানা যন্ত্রণায় ছটফট করছে। এমতাবস্থায় সীমা কী করবে? জ
ক.তাড়িয়ে দিবে
খ. দরজা বকরে দিবে
গ. সেবা করে সুস্থ করে তুলবে
ঘ. হাঁসের ছানাটিকে ঘরে নিয়ে আসবে
আরো পড়ুনঃ
-
- ৫ম শ্রেণি | বাংলা | প্রার্থনা কবিতার প্রশ্ন উত্তর | PDF
- ৫ম শ্রেণি | বাংলা | ঘাসফুল কবিতার প্রশ্ন উত্তর | PDF
- ৫ম শ্রেণি | বাংলা | ভাবুক ছেলেটি গল্প প্রশ্ন উত্তর | PDF
- ৫ম শ্রেণি | বাংলা | অবাক জলপান নাটকটির প্রশ্ন উত্তর | PDF
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
১. বশিষ্ঠ কে ছিলেন?
উত্তর : বশিষ্ঠ ছিলেন একজন ব্রহ্মর্ষি।
২. বিশ্বামিত্র কীরূপ ঋষি হতে চেয়েছিলেন?
উত্তর : বিশ্বামিত্র ব্রহ্মর্ষি হতে চেয়েছিলেন।
৩. বিশ্বামিত্র কার আশীর্বাদে ব্রহ্মর্ষি হয়েছিলেন?
উত্তর : বিশ্বামিত্র বশিষ্ঠের আশীর্বাদে ব্রহ্মর্ষি হয়েছিলেন।
৪. কুন্তী কে ছিলেন?
উত্তর : কুন্তী ছিলেন পঞ্চপাণ্ডবের মা।
৫. পরোপকার কাকে বলে?
উত্তর : যারা মহৎ তাঁরা সবসময় পরের উপকার করেন কিন্তু বিনিময়ে কিছু চান না। পরের মঙ্গল করার এ মনোভাবকে পরোপকার বলে।
কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর
সাধারণ
১. পরোপকারের গুরুত্ব ৫টি বাক্যে লেখ।
উত্তর : নিম্নে পরোপকারের গুরুত্ব ৫টি বাক্যে লেখা হলো :
১. পরোপকারের ফলে মনের প্রসারতা বৃদ্ধি পায়।
২. পরস্পরের প্রতি সহানুভূতির সৃষ্টি হয়।
৩. ঈশ্বরের সন্তুষ্টি অর্জিত হয়।
৪. পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি হয়।
৫. সকল অমঙ্গল থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
২. পরোপকার কী? ৪টি বাক্যে পরোপকারের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর
উত্তর : পরের মঙ্গল করার মনোভাব হলো পরোপকার। নিচে পরোপকারের গুরুত্ব উল্লেখ করা হলো :
১) পরোপকার করলে ঈশ্বর সন্তুষ্ট হয়।
২) সমাজে শান্তি বিরাজ করে।
৩) অন্যের প্রতি সহানুভ‚তি তৈরি হয়।
৪) ঈশ্বরের প্রতিও ভক্তি বাড়ে।
যোগ্যতাভিত্তিক
৩. সহপাঠীর অ পাওয়ার সংবাদে সজীব অনেক আনন্দিত। সজীবের মনোভাবে কোন গুণের উপস্থিতি লক্ষণীয়? আমাদের জীবনে উক্ত গুণের প্রয়োজনীয়তা ৪টি বাক্যে লিখ।
উত্তর : সজীবের মনোভাবে অহিংসা নামক মহৎ গুণের উপস্থিতি লক্ষণীয়।
নিম্নোক্ত কারণে আমাদের জীবনের অহিংসার প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য :
১. অহিংস ব্যক্তিকে সকলেই শ্রদ্ধা করে।
২. জীবনে বড় হতে হলে অহিংসা চর্চা অপরিহার্য।
৩. অহিংসা হলো ধর্মের অঙ্গ।
৪. অহিংস ব্যক্তিকে ঈশ্বর অনেক ভালোবাসেন।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।