৫ম শ্রেণি | বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় | অধ্যায় ১২ | বর্ণনামূলক প্রশ্ন উত্তর: পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়টির ১২ তম অধ্যায়টি হতে বেশ কিছু বর্ণনামূলক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে। অতএব সম্পূর্ণ পোস্টটি মনযোগ সহকারে পড়ুন।
অধ্যায় ১২ বাংলাদেশ ও বিশ্ব কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর
যোগ্যতাভিত্তিক
প্রশ্ন-১ : সার্ক গঠনের পাঁচটি উদ্দেশ্য লেখ।
উত্তর : সার্ক গঠনের পাঁচটি উদ্দেশ্য হলো :
১. সদস্য দেশগুলোর মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা।
২. সদস্য দেশগুলোর অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক অবস্থার দ্রত উন্নয়ন করা।
৩. দেশগুলোকে বিভিন্ন বিষয়ে আত্মনির্ভরশীল হতে সাহায্য করা।
৪. দেশগুলোর মধ্যে ভ্রাতৃত্ব সৃষ্টি ও পরস্পর মিলেমিশেলা।
৫. এক রাষ্ট্র অন্য রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা।
প্রশ্ন-২ : জাতিসংঘের মহৎ উদ্দেশ্যগুলো পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা জাতিসংঘের মূল উদ্দেশ্য। এ লক্ষ্যে জাতিসংঘ বিভিন্ন জাতি তথা দেশের মধ্যে স¤প্রীতি স্থাপন করারেষ্টা করে। অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের মধ্যে সহযোগিতা গড়ে তোলে। জাতি ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকারের প্রতি সম্মান গড়ে তোলে। বিভিন্ন দেশের মধ্যে বিদ্যমান বিবাদ মীমাংসা করে।
প্রশ্ন-৩ : জাতিসংঘ কী? জাতিসংঘ গঠনেরারটি উদ্দেশ্য লেখ।
উত্তর : জাতিসংঘ একটি আন্তর্জাতিক সহযোগি সংস্থা। সংস্থাটি কিছু মহৎ উদ্দেশ্য অর্জনের লক্ষ্যে গঠিত হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্যারটি উদ্দেশ্য হলো :
১. বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।
২. বিভিন্ন জাতি তথা দেশের মধ্যে স¤প্রীতি স্থাপন করা।
৩. জাতি, ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবার স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকারের প্রতি সম্মান গড়ে তোলা।
৪. বিভিন্ন দেশের মধ্যে বিদ্যমান বিবাদ মীমাংসা করা।
প্রশ্ন-৪ : বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা প্রয়োজন কেন? পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : বিশ্বের প্রতিটি দেশকেই কোনো না কোনোভাবে অন্য দেশের ওপর নির্ভর করতে হয়। প্রতিটি দেশইায় নিজ দেশের জনগণেরাহিদা পূরণ করতে, সেই সঙ্গে নিজের দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ করতে। আর এর জন্য একটি দেশকে প্রতিবেশী দেশ বা অন্য দেশের কম-বেশি সাহায্য সহযোগিতা নিতে হয়। আবার এমন অনেক সমস্যা আছে যেগুলো একাধিক দেশের সহযোগিতা ছাড়া সমাধান সম্ভব হয় না। এ কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার প্রয়োজন হয়।
প্রশ্ন-৫ : জাতিসংঘের সদর দপ্তর কোথায়? জাতিসংঘেরারটি উদ্দেশ্য লেখ।
উত্তর : জাতিসংঘের সদর দপ্তর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে অবস্থিত।জাতিসংঘের উল্লেখযোগ্যারটি উদ্দেশ্য হলো:
১. বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।
২. বিভিন্ন জাতি তথা দেশে মধ্যে স¤প্রীতি স্থাপন করা।
৩. জাতি, ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবার স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকারের প্রতি সম্মান গড়ে তোলা।
৪. বিভিন্ন দেশের মধ্যে বিদ্যমান বিবাদ মীমাংসা করা।
প্রশ্ন-৬ : বাংলাদেশের সেনাবাহিনী একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী। জাতিসংঘের শান্তিমিশনে এর উজ্জ্বল ভাবমূর্তি আছে। শান্তিমিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভূমিকা কী?
উত্তর : জাতিসংঘ কর্তৃক বিভিন্ন দেশে পরিচালিত কার্যক্রমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভূমিকা উলেখ করা হলো :
ক. ভ‚মি মাইন অপ্রসারণ।
খ. জঙ্গি দমনের মাধ্যমে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা।
গ. বিদ্রোহীদের সাথে সরকারের পারস্পরিক সম্পর্ক স্থাপনে সাহায্য করা।
ঘ.িকিৎসা সেবা প্রদান।
ঙ. খাদ্য সম্পদের যথার্থ বণ্টন।
প্রশ্ন-৭ : জাতিসংঘের একটি সংস্থা শিশুসহ সকলের উন্নয়নে কাজ করে। এ সংস্থাটির নাম কী? সংস্থাটি সম্পর্কোরটি বাক্য লেখ।
উত্তর : জাতিসংঘের যে সংস্থাটি শিশুসহ সকলের উন্নয়নে কাজ করে তার নাম ইউনেস্কো।
সংস্থাটি সম্পর্কোরটি বাক্যে নিচে উল্লেখ করা হলো :
১. বাংলাদেশসহ জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্র এ সংস্থার সদস্য।
২. এটি বিভিন্ন রাষ্ট্রের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতির উন্নয়ন, বিকাশ ও সংরক্ষণের জন্য কাজ করে।
৩. ইউনেস্কোর উদ্যোগে ২১ ফেব্রয়ারি আমাদের ভাষা শহিদ দিবস বিশ্ব মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা পেয়েছে।
৪. বাংলাদেশের সুন্দরবন, ষাটগম্বুজ মসজিদ, পাহাড়পুরসহ প্রতœতাত্তি¡ক নিদর্শন রক্ষায় ইউনেস্কো সহযোগিতা করছে।
প্রশ্ন-৮ : ইউনেস্কো কী? এর সদর দপ্তর কোথায়? বাংলাদেশে সংস্থাটির ভ‚মিকা লেখ।
উত্তর : ইউনেস্কো জাতিসংঘের সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা বিষয়ক সংস্থা। ইউনেস্কোর সদর দপ্তর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে। বাংলাদেশসহ জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্র এর সদস্য। ইউনেস্কোর উদ্যোগে ২১শে ফেব্রয়ারি আমাদের ভাষা শহিদ দিবস বিশ্ব মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা পেয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের সুন্দরবন, ষাটগম্বুজ মসজিদ, পাহাড়পুরসহ প্রতœতাত্তি¡ক নিদর্শন রক্ষায় ইউনেস্কো সহযোগিতা করছে।
প্রশ্ন-৯ : ইউনিসেফ কী? বাংলাদেশে ইউনিসেফ শিশুদের জন্য কী কী কাজ করে?
উত্তর : জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক শিশু তহবিলকে সংক্ষেপে বলা হয় ইউনিসেফ। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে এর সদর দপ্তর অবস্থিত।
১. মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা।
২. শিশুদের পুষ্টিহীনতা রোধে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
৩. সকল শিশুর জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করা।
৪. শিশুদের বিভিন্ন সংক্রামক রোগ থেকে রক্ষা করা।
প্রশ্ন-১০ : খাদ্য ও কৃষি সংস্থা কবে গঠিত হয়? এর সদর দপ্তর কোথায়? বাংলাদেশে এ সংস্থাটির কাজ কী?
উত্তর : বিশ্বকে খাদ্য সমস্যা থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে ১৯৪৫ সালের ১৬ই অক্টোবর খাদ্য ও কৃষি সংস্থা গঠিত হয়। ইতালির রাজধানী রোমে এই সংস্থার প্রধান কার্যালয়। খাদ্য ও কৃষি সংস্থা বাংলাদেশে খাদ্য সমস্যা মোকাবিলা ও জনগণের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি উন্নয়নে কাজ করে। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে খাদ্য ঘাটতি হলে এই সংস্থা আমাদের খাদ্য সরবরাহ করে। উচ্চ ফলনশীল বিভিন্ন জাতের খাদ্য শস্য উৎপাদনে যাবতীয় কারিগরি সহায়তা প্রদান করে।
আরো পড়ুনঃ
-
- ৫ম শ্রেণি | বাংলা | প্রার্থনা কবিতার প্রশ্ন উত্তর | PDF
- ৫ম শ্রেণি | বাংলা | ঘাসফুল কবিতার প্রশ্ন উত্তর | PDF
- ৫ম শ্রেণি | বাংলা | ভাবুক ছেলেটি গল্প প্রশ্ন উত্তর | PDF
- ৫ম শ্রেণি | বাংলা | অবাক জলপান নাটকটির প্রশ্ন উত্তর | PDF
সাধারণ
প্রশ্ন-১১ : সার্ক গঠনের প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলে অবস্থিত সাতটি দেশ নিয়ে ১৯৮৫ সালের ৮ ডিসেম্বর সার্ক গঠিত হয়। পরবর্তীতে ২০০৭ সালে আফগানিস্তান যোগ দেয়। দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশ বর্তমানে এর সদস্য। দেশগুলো হলো বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ভুটান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও আফগানিস্তান। সার্ক এর পুরো নাম ‘দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সংস্থা’।
প্রশ্ন-১২ : ইউনিসেফ শিশুদের জন্য কী কী কাজ করে?
উত্তর : শিশুদের জন্য ইউনিসেফ নিম্নোক্ত কাজগুলো করে :
১. ইউনিসেফ শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করে।
২. গ্রামে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ করে এবং স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা তৈরি করে।
৩. মা ও শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষা এবং শিশুদের টিকাদান কর্মসূচি পালন করে।
৪. শহর এলাকায় মৌলিক সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে।
৫. বিশ্বের কোথাও যাতে শিশু অধিকার লঙ্ঘন না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখে।
প্রশ্ন-১৩ : বিশ্ব ব্যাংক সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।
উত্তর : জাতিসংঘের যেসব উন্নয়নমূলক সংস্থা রয়েছে তার মধ্যে বিশ্বব্যাংক অন্যম। যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন শহরে বিশ্বব্যাংকের সদর দপ্তর অবস্থিত। কোনো দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সংকটে বিশ্বব্যাংক সহায়তা করে। এই সংস্থা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উন্নয়ন ও কারিগরি ক্ষেত্রে সহায়তা করে থাকে। দরিদ্র দেশগুলোর উন্নয়ন ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন প্রকল্পে সাহায্য দিয়ে থাকে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।