ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ২য় | অধ্যায় ১০ | সৃজনশীল প্রশ্ন ১১-১৫: ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের দশম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের দশম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
প্রশ্নঃ ১১ কর্ণফুলি এনার্জি প্লাস বালব উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক মি. ণ প্রতিষ্ঠানের সাপ্তাহিক উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেন ২০০ একক। সপ্তাহ শেষে তিনি কার্যফল পরিমাপ করে দেখেন উৎপাদনের পরিমাণ ১৫০ একক। তিনি লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার কারণ সম্পর্কে উৎপাদন ব্যবস্থাপককে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেন। [রা. বো. ১৬]
ক. নিয়ন্ত্রণের প্রথম পদক্ষেপ কী? ১
খ. বাজেটীয় নিয়ন্ত্রণ বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত বিচ্যুতির পরিমাণ কত একক? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটির আদর্শমান অর্জিত না হওয়ার কারণ শনাক্ত ও বিশ্লেষণ করো। ৪
১১ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃনিয়ন্ত্রণের প্রথম পদক্ষেপ আদর্শমান নির্ধারণ।
খ উত্তরঃপ্রতিষ্ঠানের পরিকল্পনাকে সংখ্যায় প্রকাশ করাকে বাজেট বলে। এ বাজেটের আলোকে প্রতিষ্ঠানে যে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আরোপ করা হয় তাকে বাজেটীয় নিয়ন্ত্রণ বলে।
বাজেটে আদর্শমান, বিচ্যুতি নির্ণয়, কার্যফল তুলনা, সংশোধনমূলক ব্যবস্থা প্রভৃতি কারয সম্পাদিত হয়। ফলে প্রতিষ্ঠানের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সহজ হয়।এছাড়া কাজের মধ্যে সমন্বয়ও আসে। এ ব্যবস্থায় সহজে লক্ষয অর্জন নিশ্চিত হয়। তাই বাজেটীয় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ।
গ উত্তরঃউদ্দীপকে বিচ্যুতির পরিমাণ ৫০ একক।আদর্শমানের সাথে প্রকৃত কার্যফল তুলনা করে বিচ্যুতির পরিমাণ জানা যায়। এক্ষেত্রে আদর্শমানকে ভিত্তি হিসাবে ধরা হয়। এরূপ তুলনার ক্ষেত্রে সংখ্যাÍক বিচ্যুতি নিরূপণের চেষ্টা করা হয়। উদ্দীপকে কর্ণফুলি এনার্জি প্লাস বালব উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক মি. ণ।
তিনি প্রতিষ্ঠানের সাপ্তাহিক উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেন ২০০ একক। অর্থাৎ তিনি আদর্শমান নির্ধারণ করেন ২০০ একক। সপ্তাহ শেষে তিনি কার্যফল পরিমাপ করে দেখেন উৎপাদনের পরিমাণ ১৫০ একক। এক্ষেত্রে নিম্নোক্ত সমীকরণের মাধ্যমে বিচ্যুতি নিরূপণ করা যায়।
কার্যবিচ্যুতি = প্রকৃত কার্যফল আদর্শমান
= ১৫০ একক ২০০ একক
তাই বলা যায়, কর্ণফুলী এনার্জি প্লাস বাল্বের নেতিবাচক বিচ্যুতির পরিমাণ ৫০ একক।
ঘ উত্তরঃউদ্দীপকে প্রতিষ্ঠানটি আদর্শমান সঠিকভাবে প্রতিষ্ঠা না করায় বা যথাযথ পরিকল্পনার অভাবে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যরথ হয়েছে।পরিকল্পনা বা আদর্শমান হলো কোনো কাজ পূরব থেকে ঠিক করা যথা: কাজ কতটুকু গুণ, মান ও সময়সাপেকষ, তা সঠিকভাবে নির্ধারণকে বোঝায়। নিয়ন্ত্রণকে ফল প্রদান করার জনয আদর্শমান নির্ধারণ করা হয়।
প্রতিষ্ঠানে যে বাজেট প্রণয়ন করা হয় তা-ও আয়-ব্যয়ের আদর্শমান হিসেবে গণয হয়। উদ্দীপকে কর্ণফুলি এনার্জি প্লাস বালব উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানটি সাপ্তাহিক উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে ২০০ একক। কিন্তু সপ্তাহ শেষে এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয় ১৫০ একক। এক্ষেত্রে উৎপাদন ব্যবস্থাপক চিন্তিত হন।
এখানে কর্ণফুলি প্রতিষ্ঠানটি সঠিক পরিকল্পনা বা আদর্শমান নির্ধারণ করতে ব্যরথ হয়। যার ফলে উৎপাদন কম হয়। যদি কর্ণফুলি লি. প্রতিষ্ঠানের জনবল ও কার্যক্ষমতার পরিসর বিবেচনা করে আদর্শমান নির্ধারণ করত, তাহলে প্রতিষ্ঠানটির লক্ষয অর্জন হতো। তাই বলা যায়, কর্ণফুলি এনার্জি প্লাস প্রতিষ্ঠানে সঠিক আদর্শমান নির্ধারণের অভাবে উৎপাদন লক্ষ্যভ্রষট হয়েছে।
প্রশ্নঃ ১২ আফতাব ফিডস লিমিটেড প্রতিদিন ২০,০০০ কিলোগ্রাম পোলট্রি ফিড উৎপাদনের আদর্শমান নির্ধারণ করে। উৎপাদন ব্যবস্থাপক পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পেলেন এ আদর্শমান অনুযায়ী ঘণ্টাপ্রতি যে হারে পণয উৎপাদিত হওয়া উচিত ছিল তা হচ্ছে না। তাই তিনি সমসত উৎপাদন প্রক্রিয়াটি ‘ফলোআপ’ করলেন এবং লকষ করলেন যে, একটি উৎপাদন মেশিন অকার্যকর হয়ে আছে। [দি. বো. ১৬]
ক. PERT-এর পূর্ণরূপ লেখো। ১
অ খ. ‘নিয়ন্ত্রণ পশ্চাৎমুখী’Ñ ব্যাখ্যা করো। ২
অ গ. আফতাব ফিডস লিমিটেডের প্রতিদিনের আদর্শমান নির্ধারণের ভিত্তি কী হওয়া উচিত ছিল? ৩
অ ঘ. আফতাব ফিডস লিমিডেটের পোলট্রি ফিড উৎপাদনের নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়াটি বিশ্লেষণ করো। ৪
১২ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ PERT-এর পূর্ণরূপ Program Evaluation and Review Technique।
খ উত্তরঃ নিয়ন্ত্রণ বলতে পূর্বনির্ধারিত আদর্শমানের সাথে প্রকৃত কার্যফলের তুলনা করে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করাকে বোঝায়।নিয়ন্ত্রণ হলো ব্যবস্থাপনার সর্বশেষ কাজ। পরিকল্পনা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যবস্থাপনার কাজ শুরু আর নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটে। নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া পরবর্তী পরিকল্পনার ধারণা দেয়। তাই বলা হয়, নিয়ন্ত্রণ পশ্চাৎমুখী কাজ।
গ উত্তরঃউদ্দীপকের আফতাব ফিডস লিমিটেডের প্রতিদিনের আদর্শমান নির্ধারণের ভিত্তি হওয়া উচিত ছিল মেশিনগুলোর দৈনিক প্রকৃত উৎপাদন ক্ষমতা।আদর্শমান বলতে একটি কাজ কতটুকু গুণ, মান, পরিমাণ, ব্যয়, আয় বা সময়সাপেকষ হলে সঠিকভাবে সম্পাদিত হয়েছে বলা হবে, তা নির্ণয়কে বোঝায়।
আদর্শমান নির্ধারণ এক ধরনের পরিকল্পনা বা নিয়ন্ত্রণের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।আফতাব ফিডস লিমিটেড প্রতিদিন ২০,০০০ কিলোগ্রাম পোলট্রি ফিড উৎপাদনের আদর্শমান নির্ধারণ করে। কিন্তু প্রতিদিনের আদর্শমান অনুযায়ী উৎপাদন লক্ষয অর্জনে ব্যরথ হওয়ায় উৎপাদন ব্যবস্থাপক উৎপাদন প্রক্রিয়াটি ‘ফলোআপ’ করেন।
তিনি দেখতে পান একটি মেশিন অকার্যকর হয়ে আছে। আদর্শমান নির্ধারণের সময় এ অকেজো মেশিনটির উৎপাদন ক্ষমতাও অন্তর্ভুকত করা হয়েছে। ফলে বিচ্যুতি দেখা দেয়। কিন্তু কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল কার্যকর মেশিনগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা বিবেচনায় নিয়ে আদর্শমান নির্ধারণ করা।
ঘ উত্তরঃ আফতাব ফিডস লিমিটেডের পোলট্রি ফিড উৎপাদনের নিয়ন্ত্রণ কৌশল বা প্রক্রিয়াটি হলো ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ। যে ধরনের নিয়ন্ত্রণ কৌশলে নির্বাহী স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে পর্যবেক্ষণ ও প্রত্যকষ তদারকির মাধ্যমে বিচ্যুতি ও বিচ্যুতির কারণ নির্ণয় করেন এবং সংশোধনের প্রয়োজনীয় পরামরশ ও নির্দেশনা প্রদান করেন তাই ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ।
উদ্দীপকে আফতাব ফিডস লিমিটেড প্রতিদিন ২০,০০০ কিলোগ্রাম পোলট্রি ফিড উৎপাদনের আদর্শমান নির্ধারণ করেন। আদর্শমান পূরণে ব্যরথ হওয়ায় উৎপাদন ব্যবস্থাপক উৎপাদন প্রক্রিয়াটি ফলোআপ করেন। তিনি বিচ্যুতির কারণ হিসেবে অকার্যকর মেশিনকে চিহ্নিত করেন।
আফতাব ফিডসের উৎপাদন ব্যবস্থাপক স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে পর্যবেক্ষণ ও প্রত্যকষ তদারকির মাধ্যমে বিচ্যুতি ও বিচ্যুতির কারণ নির্ণয় করেন। সুতরাং, আফতাব ফিডস লিমিটেড উৎপাদনের নিয়ন্ত্রণ কৌশল বা প্রক্রিয়া হিসেবে ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ কৌশল ব্যবহার করেন।
প্রশ্নঃ ১৩ ম্যাকস কনস্ট্রাকশন কোং ২০১২ সালের ১ জানুয়ারি চট্টগ্রামে একটি ফ্লাইওভার তৈরির কাজ শুরু করে। ফ্লাইওভারটি ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষ করার কথা থাকলেও ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর দেখা যায় যে, ফ্লাইওভারটির মাতর ৩৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। কাজের পরিমাণ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হওয়ায় প্রকলপ ব্যবস্থাপক তার কারণ উদ্ঘাটন এবং নির্দিষট সময়ের মধ্যে ফ্লাইওভারটির কাজ সমাপত করার লক্ষ্যে করণীয় ব্যবস্থা সম্পর্কে পরামর্শদানের জনয একজন অভিজঞ প্রকৌশলীকে দায়িতব প্রদান করেন। প্রকৌশলী লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যরথ হওয়ার জনয দকষ শ্রমিক স্বল্পতা, কাঁচামালের অপর্যাপ্ততা, আধুনিক নির্মাণসামগ্রীর অপ্রাপ্যতা, বর্ষাকলে নির্মাণ কাজের বিঘ হওয়া ইত্যাদি বিভিনন বিষয় চিহ্নিত করে সুপারিশসহ প্রকলপ ব্যবস্থাপকের কাছে একটি প্রতিবেদন পেশ করেন। [কু. বো. ১৬]
ক. গ্যান্ট চার্ট কী? ১
খ. ‘নিয়ন্ত্রণ একটি অবিরত প্রক্রিয়া’Ñ ব্যাখ্যা করো। ২
গ. ‘২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে’Ñ কথাটি নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ার কোন কাজের সাথে সম্পর্কিত? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে প্রকৌশলীর প্রতিবেদনটি যথাসময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করার ক্ষেত্রে কতটুকু ভ‚মিকা রাখবে বলে তুমি মনে করো? তোমার মতামতের পক্ষে যুক্তি দাও। ৪
১৩ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃযে চার্টের মাধ্যমে কোনো কাজকে বিভিনন অংশে বিভকত করে প্রত্যেকটি উপকাজ বা কাজের বিভকত অংশ সম্পাদনের সাথে কাজ শুরু ও শেষ সময়ের আন্তঃসম্পরক দেখানো হয় তাকে গ্যানট চারট বলে।
খ উত্তরঃনিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ার একটি বৈশিষ্টয হলো নিরবচ্ছিন্নতা ।পরিবর্তনশীল পরিবেশ, পরিস্থিতি, সাংগঠনিক কোনো পরিবর্তন, উদ্দেশ্যে পরিবর্তন প্রভৃতি কারণে বারবার পরিকল্পনার মধ্যে পরিবর্তন আনতে হয়। এর সাথে সাথে নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ার মধ্যেও পরিবর্তন আনতে হয়। তাই সুষ্ঠু নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার জনয নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া অবিরাম ও নিরবচ্ছিনন হওয়া আবশ্যক।
গ উত্তরঃ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যনত ৩৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছেÑ কথাটি নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ার কার্যফল পরিমাপের সাথে সম্পর্কিত।প্রকৃতপক্ষে কতটুকু কাজ হয়েছে নির্দিষট সময় শেষে তার পরিমাপই হলো কার্যফল পরিমাপ। নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ার অন্যতম কাজ হলো কার্যফল পরিমাপ।
এর মাধ্যমে ভুল-তর“টি হ্রাস পায় এবং প্রতিষ্ঠানের মূল উদ্দেশয অর্জিত হয়।উদ্দীপকে ম্যাকস কনস্ট্রাকশন কোং ২০১২ সালের ১ জানুয়ারি চট্টগ্রামে একটি ফ্লাইওভার তৈরির কাজ শুরু করে। ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর কাজ শেষ করার কথা থাকলেও ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর দেখা যায়, মাতর ৩৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
অর্থাৎ আদর্শমানের ৩৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এখানে নেতিবাচক বিচ্যুতি ঘটেছে, যা আদর্শমানের সাথে প্রকৃত কার্যফলের তুলনার মাধ্যমে জানা সম্ভব হয়েছে। তাই বলা যায়, ‘২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যনত ৩৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে’, যা কার্যফলের পরিমাপের সাথে সম্পর্কিত’।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকে প্রকৌশলীর প্রতিবেদনটি যথাসময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূরণ ভ‚মিকা রাখবে। ভিতরের বা বাইরের কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের দ্বারা প্রতিষ্ঠানের কোনো বিষয়ে প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদনের আলোকে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আরোপ করাই হলো বিশেষ প্রতিবেদন বিশ্লেষণ।
বিশেষ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আরোপ বা সমস্যা চিহ্নিতকরণের জনয অনেক সময় বিশেষ প্রতিবেদন বিশ্লেষণের প্রয়োজন পড়ে।উদ্দীপকের ম্যাকস কনস্ট্রাকশনে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কাজের পরিমাণ কম হওয়ায় প্রকলপ ব্যবস্থাপক তার কারণ উদঘাটন ও করণীয় সম্পর্কে পরামরশ দানের জনয একজন অভিজঞ প্রকৌশলীকে দায়িতব দেন।
প্রকৌশলী লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যরথ হওয়ার জনয দকষ শ্রমিক স্বল্পতা, কাঁচামালের অপর্যাপ্ততা, আধুনিক নির্মাণসামগ্রীর অপ্রাপ্যতা, বর্ষাকালে নির্মাণ কাজে বিঘ হওয়া ইত্যাদি বিষয় চিহ্নিত করেন। তিনি সুপারিশসহ প্রকলপ ব্যবস্থাপকের কাছে প্রতিবেদন পেশ করেন।উদ্দীপকে প্রকৌশলীর প্রতিবেদনটির মাধ্যমে প্রকলপ ব্যবস্থাপক লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হওয়ার কারণগুলো স্পষ্টভাবে বুঝতে পারবেন।
তিনি বিচ্যুতি পরিমাপ করে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নিতে পারবেন। সেই সাথে প্রতিবেদনে উপস্থাপিত সুপারিশসমূহের আলোকে সহজেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারবেন। সুতরাং, উদ্দীপকে প্রকৌশলীর প্রতিবেদনটি যথাসময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূরণ ভ‚মিকা রাখবে।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
প্রশ্নঃ ১৪ দিশারী ডেনিমস প্রতি তিন মাসে ২৫ কোটি টাকা করে প্রতি বছর মোট ১০০ কোটি টাকার ডেনিমস সামগ্রী রপ্তানি করে। ২০১৫ সালে ৬ মাসের শেষে তাদের রপ্তানির পরিমাণ মাতর ৩০ কোটি টাকা। রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ায় দিশারী ডেনিমস ব্যবস্থাপকীয় প্রক্রিয়া তদারকির সিদ্ধানত নিল। [চ. বো. ১৬]
ক. বাজেট কী? ১
খ. ব্যবস্থাপনা তথ্য পদ্ধতির ব্যাখ্যা দাও। ২
গ. দিশারী ডেনিমস নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ার কোন ধাপে এসে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পারল? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. অবশিষ্ট সময়ে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দিশারী ডেনিমসের করণীয় নির্ধারণ করো। ৪
১৪ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃবাজেট হলো কোনো কাজের সংখ্যাভিত্তিক পরিকল্পনা।
উদাহরণ: যদি একটি প্রতিষ্ঠানের ২০১৭ সালের বিক্রয় লক্ষ্যমাত্রা ১০০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়, তবে তা প্রতিষ্ঠানটির বিক্রয় বাজেট। বিভিনন ধরনের বাজেট, যেমন: মূলধন বাজেট, আয়-ব্যয় বাজেট, বিক্রয় বাজেট, প্রভৃতি।
খ উত্তরঃ তথ্য হলো অর্থপূরণ ও সুশৃঙ্খলভাবে সাজানো বিভিনন উপাত্তের সমষ্টি, যা যথারথ সহজবোধয, সংক্ষিপত এবং ব্যবহারযোগ্য।ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় তথয ব্যবস্থাপনা সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করে। তথ্যের ব্যবহারকারীরা সহজেই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এসব তথয পেতে পারেন। তাই ব্যবস্থাপনাকে তথয পদ্ধতি বলা হয়।
গ উত্তরঃদিশারী ডেনিমস নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ার আদর্শমানের সাথে প্রকৃত কার্যফলের পরিমাণ ধাপটিতে এসে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পারল।এ ধাপে প্রকৃত বা সম্পাদিত কাজের পরিমাপের পর এর সাথে পূর্বনির্ধারিত পরিকল্পনা বা আদর্শমানের সাথে তুলনা করা হয়। এ ধাপে তুলনার মাধ্যমে বিচ্যুতি আছে কি না তা যাচাই করা হয়।
বিচ্যুতি থাকলে তার পরিমাণ কতটুকু তা চিহ্নিত করা হয়।উদ্দীপকে দিশারী ডেনিমস প্রতি তিন মাসে ২৫ কোটি টাকা করে প্রতি বছরে ১০০ কোটি টাকার ডেনিমস সামগ্রী বিদেশে রপ্তানি করে। ২০১৫ সালে ৬ মাসের শেষে তারা পরিমাপ করে দেখল তাদের রপ্তানির পরিমাণ মাতর ৩০ কোটি টাকা। কিন্তু তাদের প্রকৃত কার্যফল ৩০ কোটি টাকা মাত্র।
আদর্শমানের সাথে প্রকৃত কার্যফল তুলনা করে দেখল যে তাদের আরও ২০ কোটি টাকার ডেনিমস ঘাটতি রয়েছে। সুতরাং, দিশারী ডেনিমস নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ার তৃতীয় ধাপ আদর্শমানের সাথে প্রকৃত কার্যফলের পরিমাপ ধাপে এসে বুঝতে পারল যে তাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি।
ঘ উত্তরঃ অবশিষট সময়ে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দিশারী ডেনিমসের করণীয় হচ্ছে বিচ্যুতির কারণ নির্ধারণ করে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা। প্রতিষ্ঠানের আদর্শমানের সাথে প্রকৃত কার্যফলের তুলনা করে বিচ্যুতি নির্ণয় করা।
বিচ্যুতি পাওয়া গেলে তা শনাকত করে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করাই নিয়ন্ত্রণের কাজ।উদ্দীপকে দিশারী ডেনিমস আদর্শমানের সাথে প্রকৃত কার্যফলের তুলনা করে দেখল তাদের বিচ্যুতি রয়েছে। যেহেতু বিচ্যুতি পাওয়া গেছে এখন তাদের উচিত তা শনাকত করে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
দিশারী ডেনিমসের প্রধান করণীয় হচ্ছে বিচ্যুতির কারণ নির্ধারণ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন আকারে পেশ করা। অবশেষে বিচ্যুতির কারণগুলোর সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
অর্থাৎ নতুন করে আবার আদর্শমান নির্ধারণ করে সে অনুযায়ী কারয শুরু করা। তাই বলা যায়, অবশিষট সময়ে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দিশারী ডেনিমসের বিচ্যুতির কারণ নির্ধারণ করে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করাই প্রধান করণীয়।
প্রশ্নঃ ১৫ মি. রবিন তার কলম তৈরি কারখানায় এ সপ্তাহে ১৮০০০টি কলম তৈরির লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে উৎপাদন শুরু করেন। তার কারখানায় কলম প্রস্তুতের ৩টি মেশিন আছে। প্রতিটি মেশিনের উৎপাদন ক্ষমতা একই রকম। প্রতিটি মেশিনের মাসিক উৎপাদন সময় ৬০ ঘণ্টা। মি. রবিন ১৮০০০ কলম সময়মতো উৎপাদনের জনয দৈনিক দু’বার উৎপাদন কার্যক্রম দেখেন ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন। [য. বো. ১৬]
ক. নিয়ন্ত্রণের প্রথম পদক্ষেপ কোনটি? ১
খ. ব্রেক ইভেন পয়েন্ট ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকে মি. রবিনের কলম কারখানায় সময়ের ভিত্তিতে প্রতিটি মেশিনের উৎপাদনের আদর্শমান কত? বর্ণনা করো। ৩
ঘ. মি. রবিনের কলম কারখানায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নিয়ন্ত্রণের গৃহীত কৌশল ব্যবহারের যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করো। ৪
১৫ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ নিয়ন্ত্রণের প্রথম পদক্ষেপ আদর্শমান নির্ধারণ।
খ উত্তরঃযে বিন্দুতে প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় আয় ও মোট ব্যয় সমান হয় তাকে ব্রেকইভেন পয়েনট কিংবা সমচ্ছেদ বিন্দু বলে।বিক্রয় পরিমাণ যদি এ বিন্দুর নিচে যায়, তবে ক্ষতি এবং বিন্দুর উপরে গেলে মুনাফা অর্জিত হয়। তাই এ বিন্দুর উপরে বিক্রয়ের পরিমাণ যত বাড়ে প্রতিষ্ঠানের মুনাফার পরিমাণও ততই বাড়ে।
গ উত্তরঃউদ্দীপকে মি. রবিনের কলম কারখানায় সময়ের ভিত্তিতে অর্থাৎ প্রতি ঘণ্টায় প্রতিটি মেশিনের উৎপাদনের আদর্শমান ৪২৯টি কলম উৎপাদন করা।আদর্শমান বলতে একটি কাজ কতটুকু গুণ, মান, পরিমাণ, ব্যয়, আয় বা সময়সাপেকষ হলে সঠিকভাবে সম্পাদিত হয়েছে বলা হবে, তা নির্ণয়কে বোঝায়।
আদর্শমান নির্ধারণ এক ধরনের পরিকল্পনা বা নিয়ন্ত্রণের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। প্রতিবছর ১০% হারে উৎপাদন বাড়ছে, এ ১০% উৎপাদন বৃদ্ধির টার্গেট আদর্শমান হতে পারে।মি. রবিন তার কলম তৈরির কারখানায় সপ্তাহে ১৮,০০০টি কলম তৈরির লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেন।
তার কারখানায় কলম প্রস্তুতের ৩টি মেশিন আছে। প্রতিটি মেশিনের উৎপাদন ক্ষমতা একই রকম। তাহলে সপ্তাহে প্রতিটি মেশিনের উৎপাদন ক্ষমতা (১৮,০০০ ৩) = ৬,০০০টি।
প্রতিটি মেশিনের মাসিক অর্থাৎ ৩০ দিনের উৎপাদন সময় ৬০ ঘণ্টা। তাহলে একদিনের উৎপাদনের সময় (৬০ ৩০) = ২ ঘণ্টা। এক সপ্তাহ অর্থাৎ ৭ দিনের উৎপাদন সময় (৭ ২) = ১৪ ঘণ্টা। তাহলে প্রতিটি মেশিনের উৎপাদন ক্ষমতা (৬০০০ ১৪) = ৪২৮.৫৭টি বা ৪২৯টি।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকে মি. রবিনের কলম কারখানার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নিয়ন্ত্রণের গৃহীত কৌশলটি হলো ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ, যা অত্যনত যৌক্তিক। নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃক পর্যবেক্ষণ ও প্রত্যকষ তদারকির মাধ্যমে অধীনস্থদের কাজের ভুল-তর“টি শনাকত করে এবং তা সংশোধনের জনয প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও পরামরশ প্রদান করাই হলো ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ।
মি. রবিন এক সপ্তাহে ১৮,০০০টি কলম তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে উৎপাদন শুরু করেন। তিনি ১৮,০০০টি কলম সময়মতো উৎপাদনের জনয দৈনিক ২ বার উৎপাদন কার্যক্রম দেখেন। তিনি কর্মীদের প্রয়োজনে পরামরশ প্রদান করেন। অর্থাৎ তিনি নিয়ন্ত্রণের ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি অনুসরণ করেন।
মি. রবিন কারখানায় স্বশরীরে উপস্থিত হওয়ায় কর্মীরা কাজের সময় কোনো ভুল-তর“টি করলে তা শনাকত করেন এবং সাথে সাথেই তিনি তা সংশোধনের জনয প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন। ফলে কর্মীরা তাৎক্ষণিক তাদের ভুল-তর“টি সংশোধন করতে সমরথ হয়।
তার এ নিয়ন্ত্রণের ফলে কর্মীরা সময়মতো কলম উৎপাদন করে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেন। তাই আমি মনে করি, মি. রবিনের কারখানার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নিয়ন্ত্রণের ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ কৌশলটির ব্যবহার অত্যনত যৌক্তিক হয়েছে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।