ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ২য় | অধ্যায় ১০ | সৃজনশীল প্রশ্ন ৩১-৩৫: ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের দশম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের দশম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
প্রশ্নঃ ৩১ মি. শাহিন তার যন্ত্রাংশ তৈরির কারখানায় নতুন একটা পণয উৎপাদনে একক প্রতি কতিপয় উপকরণ ব্যবহারের পরিমাণ নিæরূপ ধারয করেছেন
কাঁচামাল = ৫০০ গ্রাম
শ্রম = ১ ঘণ্টা
বিদ্যুৎ ব্যয় = ১.০০ টাকা
উৎপাদন শুরুর একমাস পর দেখা গেল কাঁচামালে পরিমাণ ঠিক থাকলেও শ্রম ব্যয় মিলছে না। শ্রমিকদের দক্ষতা বাড়াতে বিশেষ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। [চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজ]
ক. ”PERT’ কী? ১
অ খ. সমচ্ছেদ বিন্দু বলতে কী বোঝায়? ২
অ গ. মি. শাহিন কর্তৃক উপকরণ ব্যবহারের পরিমাণ নির্ধারণ নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ার কোন পদক্ষেপ তা ব্যাখ্যা করো। ৩
অ ঘ. মি. শাহিনের বিশেষ কর্মসূচির চিন্তা নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ার কোন ধাপ সংশ্লিষ্ট? এর যথার্থতা বিশ্লেষণ করো। ৪
৩১ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ যে পদ্ধতিতে প্রতিষ্ঠানের কোনো কাজ কখন শুরু হবে এবং কখন শেষ হবে তা নির্ধারণ করার পর একটি চার্টের মাধ্যমে কাজগুলোকে সংযুকত করা যায় তাকে পারট ‘PERT’ বলা হয়।
খ উত্তরঃ যে বিন্দুতে প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় আয় ও মোট ব্যয় সমান হয় তাকে ব্রেক ইভেন পয়েনট বা সমচ্ছেদ বিন্দু বলে।বিক্রয় পরিমাণ যদি এ বিন্দুর নিচে যায়, তবে ক্ষতি এবং বিন্দুর উপরে গেলে মুনাফা অর্জিত হয়। তাই এ বিন্দুর উপরে বিক্রয়ের পরিমাণ যত বাড়ে প্রতিষ্ঠানের মুনাফার পরিমাণও ততই বাড়ে।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের মি. শাহিন কর্তৃক উপকরণ ব্যবহারের পরিমাণ নির্ধারণ নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ার প্রকৃত কার্যফল পরিমাপের সাথে সম্পৃক্ত। প্রকৃত কার্যফল পরিমাপ হলো নির্দিষট সময় শেষে কতটুকু কাজ করা হয়েছে তা নিরূপণ করা। এক্ষেত্রে উপকরণ ব্যবহারের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়। এরূপ পরিমাপে যদি কোনো ভুল থাকে তবে তা প্রকৃত বিচ্যুতি প্রকাশ করেনা।
উদ্দীপকে মি. শাহিন তার যন্ত্রাংশ তৈরির কারখানায় একটি পণয উৎপাদনের আদর্শমান নির্ধারণ করেন। তিনি আদর্শমান অনুযায়ী কতিপয় উপায় উপকরণ নির্ধারণ করেন। এছাড়াও মি. শাহিন পরিকল্পনা অনুযায়ী উপকরণ ব্যবহারের পরিমাণ নির্ধারণ করেন।
পরবর্তী পর্যায়ে পণ্যের পরিমাণ ও ব্যয় নির্ধারণ করেন। আদর্শমান অনুযায়ী কতটুকু কার্যসম্পাদন হচ্ছে এ পরিমাপ মূলত তারই বহিঃপ্রকাশ। এসব বৈশিষ্টয নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ার প্রকৃতি কার্যফল পরিমাপের সাথে সম্পৃক্ত।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকের মি. শাহিনের বিশেষ কর্মসূচির চিন্তা নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ার সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সাথে সংশ্লিষ্ট।নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ার সর্বশেষ পর্যায়ে ভুলতর“টি সংশোধনের জনয প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এতে পরবর্তী সময়ে নতুন পরিকল্পনা প্রণয়ন করা সহজ হয়। ভুল সংশোধন করে পরবর্তী পরিকল্পনা কীভাবে বাস্তবায়ন করা যাবে সে বিষয়ে সিদ্ধানত নেওয়া হয়।
উদ্দীপকে মি. শাহিন উৎপাদন ব্যয়ের আদর্শমান নির্ধারণ করেন। উৎপাদন শুরুর একমাস পর দেখতে পেলেন কাঁচামালের পরিমাণ ঠিক থাকলেও শ্রম ব্যয় মিলছে না। এজন তিনি শ্রমিকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জনয বিশেষ কর্মসূচি নিয়েছেন।
নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় আদর্শমানের সাথে প্রকৃত কার্যফল ব্যবহার করে বিচ্যুতি নির্ণয় করা হয়। মি. শাহিন কাজের প্রকৃত ফলাফল মূল্যায়ন করে শ্রম ব্যয়ে অমিল খুঁজে পান। এক্ষেত্রে তিনি নিয়ন্ত্রণের বিচ্যুতি নির্ণয়ের পরবর্তী ধাপ সংশোধনীমূলক ব্যবস্থা নেন।
তিনি কর্মীদের দক্ষতা বিচার বিশ্লেষণ করে বিশেষ পদক্ষেপ নেন। যাতে পরবর্তী আদর্শমান নির্ধারণ করে তা অর্জন করা সহজ হয়। তাই বলা যায়, মি. শাহিন বিশেষ কর্মসূচির চিন্তা সংশোধনীমূলক ব্যবস্থার অর্ন্তগত।
প্রশ্নঃ ৩২ নিচের ছকটি পর্যবেক্ষণ করো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
[চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আন্তঃকলেজ ]
ক. বাজেট কী? ১
খ. নির্দেশনাকে প্রশাসনের হৃৎপিণ্ড বলা হয় কেন? ২
গ. উপরের রেখাচিত্রটি ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়ার কোন কাজের সাথে সংগতিপূর্ণ? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. “উপরের রেখাটিত্রটি অসম্পূর্ণ এবং সে কারণেই অকার্যকর”Ñ এ উক্তিটির যথার্থতা মূল্যায়ন করো। ৪
৩২ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ পরিকল্পনার সংখ্যাÍক প্রকাশকে বাজেট বলে।
খ উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানের লক্ষয অর্জনের জনয অধস্তনদের আদেশ, উপদেশ দেওয়া ও ততত¡াবধান কাজকে নির্দেশনা বলে। হৃৎপিণড মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙগ সচল রাখতে সাহাযয করে। এটি কাজ না করলে মানুষ অচল হয়ে পড়ে।
ঠিক তেমনি একটি প্রতিষ্ঠানের প্রশাসন বিভিনন পরিকল্পনা, নিয়ম-নীতি প্রণয়ন করে। সেগুলো বাস্তবায়নের জনয কর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনা কার্যকর না হলে প্রশাসনের কাজও ব্যাহত হয়। তাই, নির্দেশনাকে প্রশাসনের হৃৎপিণড বলা হয়।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের রেখাচিত্রটি ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়ার নিয়ন্ত্রণ কাজের সাথে সংগতিপূর্ণ। ব্যবস্থাপনার সর্বস্তরে, সব কাজ (পরিকল্পনা, সংগঠন, কর্মীসংস্থান, প্রেষণা, সমন্বয়) ধারাবাহিকভাবে নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন হয়।
এর মাধ্যমে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ হচ্ছে কিনা তার তদারকি করা হয়। প্রয়োজনে সংশোধনীমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।উদ্দীপকে একটি ধারাবাহিক রেখাচিতর দেখানো হয়েছে। প্রথমে কার্যফল পরিমাপ বিষয়টি উলেখ করা হয়েছে। কোনো কাজের আদর্শমান নির্ধারণের পর প্রকৃতপক্ষে কতটুকু কাজ হয়েছে তা এ পর্যায়ে পরিমাপ করা হয়।
এরপর আদর্শমানের সাথে সম্পাদিত কাজের তুলনা করা হয়। অর্থাৎ, পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ হয়েছে কিনা তা দেখা হয়। এর পরবর্তী পর্যায়ে বিচ্যুতি নিরূপণ ও মূল্যায়ন কাজটি উলেখ করা হয়েছে। এখানে কাজের ভুল-তর“টি হলে তা কারণসহ নির্ণয় করা হয়।
সবশেষে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ নির্দেশ করা হয়েছে। এ পর্যায়ে কাজের বিচ্যুতির কারণ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এভাবে একটি নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ার কাজ করা হয়। সুতরাং, উদ্দীপকের রেখাচিত্রটি ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়ার নিয়ন্ত্রণ কাজের সাথেই সংগতিপূর্ণ।
ঘ উত্তরঃ নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ ‘আদর্শমান নির্ধারণ’ বিষয়টি অনুপস্থিত থাকায় উদ্দীপকের রেখাচিত্রটি অসম্পূরণ এবং এ কারণেই এটি অকার্যকর বলে আমি মনে করি।
যেকোনো প্রতিষ্ঠানেই কর্মীরা কাজের জনয প্রথমে আদর্শমান নির্ধারণ করে। এর ওপর ভিত্তি করেই কর্মীরা কাজ করতে থাকে। নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ায় এ আদর্শমানের সাথে প্রকৃত কার্যফল তুলনা করা হয়। কোনো বিচ্যুতি ঘটলে সংশোধনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আদর্শমান নির্ধারণ ছাড়া এ কাজগুলো করা সম্ভব হয় না।
যেকোনো কার্যপ্রক্রিয়াই ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকে। কোনো একটি কাজ বাদ পড়লে এর পরবর্তী ধাপগুলোর কাজ করা যায় না। উদ্দীপকের রেখাচিত্রে নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ার পদক্ষেপ বিষয়টি দেখানো হয়েছে। এখানে নিয়ন্ত্রণের চারটি ধাপ ধারাবাহিকভাবে উলেখ করা হয়েছে। কিন্তু নিয়ন্ত্রণের প্রথম ধাপ ‘আদর্শমান নির্ধারণ’ এখানে অনুপস্থিত। তাই উদ্দীপকের রেখাচিত্রটি অসম্পূর্ণ।
কাজের শুরুতেই নির্দিষট মানের ‘আদর্শমান নির্ধারণ’ না করলে কর্মীরা কতটুকু কাজ করবে তা বুঝতে পারে না। কাজের লক্ষ্যমাত্রা না থাকায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করাও সম্ভব হয় না। ফলে নিয়ন্ত্রণের পরবর্তী ধাপগুলোর কাজও করা অসম্ভব হয়। এতে প্রতিষ্ঠানে কাজের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। এসব কারণে আদর্শমান নির্ধারণ করা ছাড়া নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া অকার্যকর হয়ে পড়ে।
প্রশ্নঃ ৩৩
[সরকারি সিটি কলেজ, চট্টগ্রাম]
ক. বাজেট কী? ১
খ. নিয়ন্ত্রণ বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকের ছকটি ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়ার কোন কাজের প্রক্রিয়া/ধাপের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. “উদ্দীপকের ছকটি একটি অম্পূর্ণ প্রক্রিয়া এবং ‘অ’ চিহ্নিত ধাপটি বর্ণিত প্রক্রিয়াটির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ” তোমার মতামত মূল্যায়ন করো। ৪
৩৩ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ পরিকল্পনার সংখ্যাÍক প্রকাশকে বাজেট বলে।
খ উত্তরঃ নিয়ন্ত্রণ হলো পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ হচ্ছে কিনা তা দেখা, বিচ্যুতি নির্ণয় ও সংশোধনী ব্যবস্থা নেওয়া।
নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আদর্শমানের সাথে প্রকৃত কার্যফলের তুলনা করা হয়। ভুল-তর“টি থাকলে বিচ্যুতির পরিমাণ নির্ণয় করা হয়। এরপর কার্যকর ব্যবস্থা নিয়ে ভুল সংশোধন করা হয়। এভাবে নিয়ন্ত্রণ কাজ করা হয়।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের ছকটি ব্যবস্থাপনার প্রক্রিয়ার নিয়ন্ত্রণ কাজের সাথে সংগতিপূর্ণ।
ব্যবস্থাপনার সর্বস্তরে, সব কাজে (পরিকল্পনা, সংগঠন, কর্মী সংস্থান, প্রেষণা, সমন্বয়) ধারাবাহিকভাবে নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন হয়। এর মাধ্যমে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ হচ্ছে কিনা তার তদারকি করা হয়। প্রয়োজনে সংশোধনীমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
উদ্দীপকের ছকে ‘অ’ চিহ্নিত স্থানটি আদর্শমান নির্ধারণের কাজকে নির্দেশ করে। এটি এক ধরনের পরিকল্পনা হিসেবে কাজ করে। দ্বিতীয় কাজটি হচ্ছে কার্যফল পরিমাপ। এতে প্রকৃতপক্ষে কতটুকু কাজ হয়েছে তা পরিমাপ করা হয়।
এরপর সম্পাদিত কাজের তুলনায় কাজ করা হয়। অর্থাৎ পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ হয়েছে কিনা তা দেখা হয়। চতুরথ কাজটি হলো বিচ্যুতি পরিমাপ। এ পর্যায়ে কাজের ভুল-তর“টি হলে তা কারণসহ নির্ণয় করা হয়। আর সবশেষে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নির্দেশ করা হয়েছে।
এ পর্যায়ে বিচ্যুতির কারণ অনুযায়ী তা সংশোধনের ব্যবস্থা করা হয়। এভাবে নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকভাবে এসব কাজ করা হয়। সুতরাং, উদ্দীপকের ছকটি নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ার পদক্ষেপ বিষয়টিই নির্দেশ করছে।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকের ছকটি একটি অসম্পূরণ প্রক্রিয়া এবং ‘অ’ চিহ্নিত ‘আদর্শমান নির্ধারণ’ ধাপটি নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূরণ অংশ বলে আমি মনে করি।
প্রতিষ্ঠানে কর্মীরা আদর্শমানের ওপর ভিত্তি করে কাজ করে। নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ায় আদর্শমানের সাথে প্রকৃত কার্যফলের তুলনা করা হয়। এরপর বিচ্যুতি অনুযায়ী সংশোধনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তাই নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ায় আদর্শমান নির্ধারণ করা প্রয়োজন।
উদ্দীপকের ছকটিতে নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ার পদক্ষেপ বিষয়টি উলেখ করা হয়েছে। এখানে ‘অ’ চিহ্নিত স্থানটি খালি দেখানো হয়েছে। বাকি স্থানগুলোতে নিয়ন্ত্রণের চারটি ধাপের নাম উলেখ করা হয়েছে। যেকোনো প্রক্রিয়াই ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকে। কোনো একটি কাজ বাদ পড়লে এর পরবর্তী ধাপের কাজ করা যায়না। নিয়ন্ত্রণের প্রথম ধাপটি হলো ‘আদর্শমান নির্ধারণ’ যা এখানে উলিখিত হয়নি। তাই এটি একটি অসম্পূরণ প্রক্রিয়া।
নিয়ন্ত্রণকে ফলপ্রসূ করার জনয সর্বপ্রথম প্রত্যেক কাজের আদর্শমান নির্ধারণ করতে হয়। এর মাধ্যমে কর্মীরা কতটুকু কাজ করতে হবে তা বুঝতে বা জানতে পারে। কাজের লক্ষ্যমাত্রা সুনির্দিষট থাকলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা সম্ভব হয়।
আর এ আদর্শমানের ভিত্তিতেই কার্যফল পরিমাপ করা যায়। সে অনুযায়ী বিচ্যুতি নির্ণয় ও সংশোধনী ব্যবস্থা নেওয়া যায়। আদর্শমান নির্ধারণ কাজ ছাড়া নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ার কাজ চলতে পারে না। তাই, এ ধাপটি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্নঃ ৩৪ শরমিতা গার্মেন্টস অক্টোবর মাসে ১ লকষ পিস সোয়েটার তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। সে লক্ষ্যেই প্রয়োজনীয় কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি এবং অন্যানয দ্রব্যের আয়োজন করা হয়েছে। মাসের ১০ তারিখ আরমান সাহেবের পর্যবেক্ষণে ধরা পড়লো এ পর্যনত ১৫,০০০ পিস পণয উৎপাদিত হয়েছে। তিনি কাজের গতি নিয়ে অসন্তুষট এবং এর কারণ বের করার চেষ্টা করছেন। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের কোনো বিচ্যুতি না থাকে তা সংশোধনের ব্যবস্থা নিলেন। এক্ষেত্রে দকষ জনবল বৃদ্ধি এবং আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপনের ওপর জোর দিলেন।
[জালালাবাদ ক্যান্টনমেনট পাবলিক স্কুল এনড কলেজ, সিলেট]
ক. ‘BEP’ কী? ১
খ. দলীয় প্রচেষ্টা এগিয়ে নিতে সমন্বয়ের প্রয়োজন কেন? ২
গ. উদ্দীপকে জনাব আরমান সাহেব ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়ার কোন কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. গৃহীত পদক্ষেপ এরূপ সমস্যা সমাধান কতটুকু সহায়ক ভ‚মিকা পালন করবে বলে তুমি মনে করো? তোমার মতামত তুলে ধরো। ৪
৩৪ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ যে বিন্দুতে প্রতিষ্ঠানের মোট আয় ও মোট ব্যয় পরস্পর সমান হয় তাকে সমচ্ছেদ বিন্দু বা BEP বলে।
BEP এর পূর্ণরূপ Break Even Point.
খ উত্তরঃ লক্ষয অর্জনের জনয প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত বিভিনন ব্যক্তি ও বিভাগের প্রচেষ্টাসমূহ একসূত্রে গ্রথিত ও সুসংহত করার প্রক্রিয়াকে সমন্বয় বলে।
যেকোনো দলবদধ প্রচেষ্টায় সমন্বয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দলের সদস্যদের কাজের মধ্যে সমন্বয় না থাকলে দলীয় প্রচেষ্টা সফল হতে পারে না। এতে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়া খুবই স্বাভাবিক। তাই, লক্ষ্যার্জনের জনয দলীয় প্রচেষ্টা এগিয়ে নিতে সমন্বয় অপরিহার্য।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে জনাব আরমান সাহেব ব্যবস্থাপনার নিয়ন্ত্রণ কাজের সাথে সম্পৃক্ত।নিয়ন্ত্রণ হলো পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের কার্যসম্পাদন হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা, ভুল তর“টি চিহ্নিত করা এবং প্রয়োজনীয় সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া। এটি ব্যবস্থাপনার শেষ কাজ। এটির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সার্বিক অবস্থা জানা যায়।
উদ্দীপকে শরমিতা গার্মেন্টস অক্টোবর মাসে ১ লকষ পিস সোয়েটার তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। মাসের ১০ তারিখে আরমান সাহেবের পর্যবেক্ষণে ধরা পড়লো যে, এ পর্যনত ১৫,০০০ পিস পণয উৎপাদিত হয়েছে।
এক্ষেত্রে তিনি পরিকল্পনার তদারকির কাজ করছেন। এছাড়াও তিনি কাজের ভুল বের করার চেষ্টা করেন। আবার ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ভুল না হয় তার জনয সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নেন; যা ব্যবস্থাপনার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার সাথে সম্পর্কযুক্ত। তাই বলা যায়, জনাব আরমান ব্যবস্থাপনার নিয়ন্ত্রণ কাজের সাথে জড়িত।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকে গৃহীত পদক্ষেপ এরূপ সমস্যা সমাধানে যথেষট সহায়ক ভ‚মিকা পালন করবে বলে আমি মনে করি।প্রতিষ্ঠানে যেসব ভুল-তর“টি বা বিচ্যুতি ঘটে তা দূর করার জনয প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়াকে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ বলে। এক্ষেত্রে নতুন পরিকল্পনা প্রণয়ন সহজ হয়। আবার কোথায় জনবল বাড়াতে হবে এবং যন্ত্রপাতি স্থাপন করতে হবে তা জানা যায়।
উদ্দীপকে শরমিতা গার্মেন্টেস এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ায় জনাব আরমান সাহেব প্রতিষ্ঠানের তর“টি বিচ্যুতি বের করার চেষ্টা করেন। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের কোনো বিচ্যুতি না ঘটে তার জনয সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নেন। এক্ষেত্রে তিনি দকষ জনবল বৃদ্ধি ও আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপনের পদক্ষেপ নেন।
দকষ জনবল উৎপাদন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূরণ ভ‚মিকা পালন করে। কারণ, দকষ কর্মী তাদের সর্বোচচ দক্ষতা ও যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ করে লক্ষয অর্জনের দিকে প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিয়ে যায়। আর, দকষ জনশক্তির কাজকে সহজ করতে আধুনিক যন্ত্রপাতি সহযোগিতা করে।
আধুনিক স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রপাতি ব্যবহার উৎপাদনের ক্ষেত্রে সময় অপচয় কমায় এবং উৎপাদনের পরিমাণ বাড়ায়। তাই বলা যায়, শরমিতা গার্মেন্টস গৃহীত পদক্ষেপ সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূরণ ভ‚মিকা পালন করে।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
প্রশ্নঃ ৩৫ ম্যাকস কনস্ট্রাকশন কোং ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি চট্টগ্রামে একটি ফ্লাইওভার তৈরির কাজ শুরু করে। ফ্লাইওভারটি ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষ করার কথা থাকলেও ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর দেখা যায় যে, ফ্লাইওভারটির মাতর ৩৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। কাজের পরিমাণ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হওয়ায় প্রকলপ ব্যবস্থাপক তার কারণ উদঘাটন এবং নির্দিষট সময়ের মধ্যে ফ্লাইওভারটির কাজ সমাপত করার লক্ষ্যে করণীয় ব্যবস্থা সম্পর্কে পরামরশ দানের জনয একজন অভিজঞ প্রকৌশলীকে দায়িতব প্রদান করেন।
প্রকৌশলী লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যরথ হওয়ার জনয দকষ শ্রমিক স্বল্পতা, কাঁচামালের অপর্যাপ্ততা, আধুনিক নির্মাণ সামগ্রীর অপ্রাপ্যতা, বর্ষকালে নির্মাণ কাজের বিঘ হওয়া ইত্যাদি বিভিনন বিষয় চিহ্নিত করে সুপারিশসহ প্রকলপ ব্যবস্থাপকের কাছে একটি প্রতিবেদন পেশ করেন। [যশোর সরকারি মহিলা কলেজ]
ক. গ্যান্ট চার্ট কী? ১
খ. ‘নিয়ন্ত্রণ একটি অবিরত প্রক্রিয়া’ Ñ ব্যাখ্যা করো। ২
গ. “২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে” Ñ কথাটি নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ার কোন কাজের সাথে সম্পর্কিত? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে প্রকৌশলীর প্রতিবেদনটি যথাসময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করার ক্ষেত্রে কতটুকু ভ‚মিকা রাখবে বলে তুমি মনে করো? তোমার মতামতের পক্ষে যুক্তি দাও। ৪
৩৫ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ যে চার্টের মাধ্যমে কোনো কাজকে বিভিনন অংশে বিভকত করে প্রত্যেকটি কাজ বা উপকাজের বিভকত অংশ সম্পাদনের সাথে কাজ শুরু ও শেষ সময়ের আন্তঃসম্পরক দেখানো হয় তাকে গ্যানট চারট বলে।
খ উত্তরঃ নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ার একটি বৈশিষ্টয হলো নিরবচ্ছিন্নতা। পরিবর্তনশীল পরিবেশ, পরিস্থিতি, সাংগঠনিক কোনো পরিবর্তন, উদ্দেশয পরিবর্তন প্রভৃতি কারণে বারবার পরিকল্পনার মধ্যে পরিবর্তন আনতে হয়। এর সাথে সাথে নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ার মধ্যেও পরিবর্তন আনতে হয়। তাই, সুষ্ঠু নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার জনয নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া অবিরাম ও নিরবচ্ছিনন হওয়া আবশ্যক।
গ উত্তরঃ ২০১৪ সালে ৩১ ডিসেম্বর পর্যনত ৩৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছেÑ কথাটি নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ার কার্যফল পরিমাপের সাথে সম্পর্কিত।প্রকৃতপক্ষে কতটুকু কাজ হয়েছে নির্দিষট সময় শেষে তার পরিমাপকেই কার্যফল পরিমাপ বলে। নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ার একটি অন্যতম কাজ হলো কার্যফল পরিমাপ। এর ফলে ভুল-তর“টি হ্রাস পায় এবং প্রতিষ্ঠানের মূল উদ্দেশয অর্জিত হয়।
উদ্দীপকে ম্যাকস কনস্ট্রাকশন কোং ২০১২ সালের ১ জানুয়ারি চট্টগ্রামে একটি ফ্লাইওভার তৈরির কাজ শুরু করে। ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর কাজ শেষ করার কথা থাকলেও ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর দেখা যায়, মাতর ৩৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
অর্থাৎ, আদর্শমানের ৩৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। এখানে নেতিবাচক বিচ্যুতি ঘটেছে; যা আদর্শমানের সাথে প্রকৃত কার্যফলের তুলনার মাধ্যমে জানা সম্ভব হয়েছে।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকে প্রকৌশলীর প্রতিবেদনটি যথাসময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূরণ ভ‚মিকা রাখবে।
ভিতরের বা বাইরের কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের দ্বারা প্রতিষ্ঠানের কোনো বিষয়ে প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদনের আলোকে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আরোপ করা হলে তাকে বিশেষ প্রতিবেদন বিশ্লেষণ বলে। বিশেষ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আরোপ বা সমস্যা চিহ্নিতকরণের জনয অনেক সময় বিশেষ প্রতিবেদন বিশ্লেষণের প্রয়োজন পড়ে।
উদ্দীপকে ম্যাকস কনস্ট্রাকশনে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কাজের পরিমাণ কম হওয়ায় প্রকলপ ব্যবস্থাপক তার কারণ উদঘাটন ও করণীয় সম্পর্কে পরামরশ দেওয়ার জনয একজন অভিজঞ প্রকৌশলীকে দায়িতব দেন।
প্রকৌশলী লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যরথ হওয়ার জনয দকষ শ্রমিক স্বল্পতা, কাঁচামালের অপর্যাপ্ততা, আধুনিক নির্মাণসামগ্রীর অপ্রাপ্যতা, বর্ষাকালে নির্মাণ কাজে বিঘ হওয়া ইত্যাদি বিষয় চিহ্নিত। তিনি সুপারিশসহ প্রকলপ ব্যবস্থাপকের কাছে প্রতিবেদন পেশ করেন।
উদ্দীপকে প্রকৌশলীর প্রতিবেদনটির মাধ্যমে প্রকলপ ব্যবস্থাপক লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হওয়ার কারণগুলো স্পষ্টভাবে বুঝতে পারবেন। তিনি বিচ্যুতি পরিমাপ করে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
সেই সাথে প্রতিবেদনে উপস্থাপিত সুপারিশসমূহের আলোকে সহজেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারবেন। সুতরাং, প্রকৌশলীর প্রতিবেদনটি যথাসময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূরণ ভ‚মিকা রাখবে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।