ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ২য় | অধ্যায় ৯ | সৃজনশীল প্রশ্ন ৬-১০: ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের নবম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের নবম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
প্রশ্নঃ ৬ জনাব রাসেল একজন ঊর্ধ্বতন নির্বাহী। তিনি উৎপাদন ব্যবস্থাপক জনাব শাকিবকে বার্ষিক ২০,০০০ ইউনিট পণ্য উৎপাদন ও বিক্রয় ব্যবস্থাপক জনাব রুবেলকে সমপরিমাণ পণ্য বিক্রয়ের নির্দেশনা প্রদান করেন। কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জনের জন্য জনাব রাসেল সরবরাহকারী ও বিক্রেতাদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করেন। [য. বো. ১৭]
ক. সমন্বয় কী? ১
খ. নমনীয়তার নীতি বলতে কী বোঝ? ২
গ. উদ্দীপকে উলিখিত নির্বাহীর সাথে জনাব শাকিব ও জনাব রুবেলের মধ্যে কোন প্রকার সমন্বয়সাধন অনুষ্ঠিত হয়েছে? ৩
ঘ. জনাব রাসেল কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জনের জন্য কোন ধরনের সমন্বয়সাধন করেছেন? ব্যাখ্যা করো।
৬ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ কোনো প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনের জন্য এর বিভিন্ন বিভাগ, উপবিভাগ ও ব্যক্তিক প্রচেষ্টাকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রক্রিয়াকে সমন্বয় বলে।
খ উত্তরঃ পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে খাপ খাওয়ানোর উদ্দেশ্যে পরিকল্পনায় প্রয়োজনীয় সমন্বয়, সংশোধন বা পরিবর্তন রাখার সুযোগকে নমনীয়তার নীতি বলে।
প্রতিষ্ঠানের পরিকল্পনা, উদ্দেশ্য ও পদ্ধতিতে প্রয়োজনে পরিবর্তন এনে প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্যাভিমুখী করাই নমনীয়তার কাজ। প্রতিষ্ঠানে যে প্রতিনিয়ত পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটে তা মোকাবেলা করার জন্যই নমনীয়তার নীতি অনুসরণ করা দরকার।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে উলিখিত নির্বাহীর সাথে জনাব শাকিব ও জনাব রুবেলের মধ্যে নিæগামী সমন্বয়সাধন অনুুষ্ঠিত হয়েছে।
নিæগামী সমন্বয়সাধন বলতে যে সমন্বয়সাধন প্রক্রিয়ায় ঊর্ধ্বতন নির্বাহী তার অধস্তন নির্বাহীর কাজের নির্দেশনা প্রদান করেন তাকে বোঝায়। নিæগামী সমন্বয়সাধন প্রক্রিয়ায় অধস্তনরা নির্বাহীর দেওয়া কার্য নির্দেশনা মেনে তাদের কার্যাবলি সম্পাদন করেন।
উদ্দীপকের জনাব রাসেল একজন ঊর্ধ্বতন নির্বাহী। তিনি উৎপাদন ব্যবস্থাপক জনাব শাকিবকে বার্ষিক ৩০,০০০ ইউনিট পণ্য উৎপাদন করার নির্দেশ দিয়েছেন। বিক্রয় ব্যবস্থাপক জনাব রুবেলকে একই সময়ে ঐ পণ্য বিক্রয়ের নির্দেশ দিয়েছেন। জনাব রুবেল ও জনাব শাকিব বিভাগীয় ব্যবস্থাপক। নির্বাহীর আদেশ নির্দেশ অনুসারে শাকিব ও রুবেল কাজ করেন। কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জনের জন্য নির্বাহী নির্দেশ প্রদান করেছেন। এজন্য নির্বাহী সরবরাহকারী এবং বিক্রেতাদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করেন। উদ্দীপকের সমন্বয় কাঠামো থেকে বোঝা যায়, জনাব শাকিব ও রুবেলের সাথে নির্বাহীর নিæগামী সমন্বয়সাধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঘ উত্তরঃ জনাব রাসেল কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জনের জন্য বাহ্যিক সমন্বয়সাধন করেছেন।
কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রতিষ্ঠানের বাইরের ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয় সংঘটিত হলে তাকে বাহ্যিক সমন্বয়সাধন বলে। বাহ্যিক সমন্বয় সংগঠিত হয় সরবরাহকারী, পণ্য বিক্রেতা, বাইরের বিভিন্ন ব্যক্তি বা সংগঠনের সাথে।
জনাব রাসেল উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী বা তিনি কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রতিষ্ঠানের সরবরাহকারী ও বিক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেন। প্রতিষ্ঠানের সরবরাহকারী ও বিক্রেতারা প্রতিষ্ঠানের বাইরের ব্যক্তি বা সংগঠন। প্রতিষ্ঠানের কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জনের জন্য এ সমন্বয়ের প্রয়োজন।
জনাব রাসেল প্রতিষ্ঠানের কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রতিষ্ঠানের বাইরের এ সকল ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয়সাধন করেছেন। এ ধরনের কার্যসম্পাদনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের বাহ্যিক পক্ষের সাথে সুসম্পর্কের সৃষ্টি হয়। সরবরাহকারীরা প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্যের দিকে খেয়াল রেখে তাদের মানসম্মত পণ্য সরবরাহ করেন। বিক্রেতারা পণ্যের গুণাগুণ বর্ণনা করে বিক্রয়ের পরিমাণ বৃদ্ধিতে কাজ করে। তাই বলা যায়, প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য জনাব রাসেল সরবরাহকারী ও বিক্রেতাদের সাথে বাহ্যিক সমন্বয়সাধন করেছেন।
প্রশ্নঃ ৭ জনাব তানভীর একটি প্রতিষ্ঠানের মুখ্য নির্বাহী। তিনি তার অধীনস্থ সকল বিভাগ, উপবিভাগের কার্যক্রমে নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখেন। প্রতিষ্ঠানে কোনো কর্মীর কোনো ধরনের সমস্যা হলে তিনি ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করেন। প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর বাইরে এ ধরনের যোগাযোগের ফলে কর্মীরা উৎসাহ নিয়ে কাজ করে এবং অনেক সময় নিজেরাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিষ্ঠানের কল্যাণে কাজে উদ্যোগী হয়। নিজ উদ্যোগে কর্মীদের দলীয় প্রচেষ্টার ফলে জনাব তানভীরের প্রতিষ্ঠানটি সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। [ব. বো. ১৭]
ক. ই-মেইল কী? ১
খ. ই-কমার্স বলতে কী বোঝ? ২
গ. জনাব তানভীরের কার্যকর সমন্বয়ের কোন পূর্বশর্তটির সাথে মিল আছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. জনাব তানভীরের সমন্বয় উপায়টি ঐক্য ও ভারসাম্য সৃষ্টিতে সহায়কÑ তুমি এ বক্তব্য সমর্থন করো কি? মতামত দাও। ৪
৭ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ ঊ-সধরষ-এর পূর্ণরূপ হলো ঊষবপঃৎড়হরপ সধরষ। ই-মেইল বলতে এক কম্পিউটার/মোবাইল হতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে অন্য কোনো কম্পিউটার/মোবাইলে কোনো তথ্য আদান-প্রদানকে বোঝায়।
খ উত্তরঃ ব্যবসায়ের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক বিভিন্ন পক্ষের সাথে ইন্টারনেট প্রযুক্তি ব্যবহার করে পণ্য বা সেবাকর্ম ক্রয়-বিক্রয়, লেনদেন কার্যক্রমকে ই-কমার্স বলে।এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীর জন্য ইন্টারনেট, কম্পিউটার, মডেম, ওয়েবসাইট, ডোমেইন প্রভৃতি বিষয় সংরক্ষণ বা ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। এতে ক্রেতা পণ্যের অর্ডার প্রদানে ইন্টারনেট ব্যবহার করে। বিক্রেতাও ইন্টারনেটের মাধ্যমে অর্ডার গ্রহণ, বিপণন কাজ প্রভৃতি সম্পাদন করে।
গ উত্তরঃ জনাব তানভীরের কার্যকর সমন্বয়ের স্বেচ্ছামূলক সমন্বয়সাধন পূর্বশর্তটির সাথে মিল রয়েছে।স্বেচ্ছামূলক সমন্বয়সাধন বলতে কর্মীরা নিজ থেকেই যে সমন্বয়সাধন করেন তাকে বোঝায়। কর্মীদের স্বতঃস্ফ‚র্ত ইচ্ছাশক্তিই হলো স্বেচ্ছামূলক সমন্বয়ের মূল চালিকাশক্তি।
উদ্দীপকে জনাব তানভীর একটি প্রতিষ্ঠানের মুখ্য নির্বাহী। তিনি তার অধীনস্থ সকল বিভাগ-উপবিভাগের কার্যক্রমে নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখেন। প্রতিষ্ঠানের ভিতরে এবং বাইরে কর্মীদের কোনো ধরনের সমস্যা হলে তিনি ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করেন।
এর ফলে তার কর্মীরা প্রতিষ্ঠানে উৎসাহ নিয়ে কাজ করে। নিজ উদ্যোগে কর্মীদের দলীয় প্রচেষ্টার ফলে জনাব তানভীরের প্রতিষ্ঠানটি সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। সুতরাং বলা যায়, উক্ত কার্যাবলি সমন্বয়ের স্বেচ্ছামূলক সমন্বয় পূর্বশর্তটির সাথে মিল আছে।
ঘ উত্তরঃ জনাব তানভীরের সমন্বয় উপায়টি ঐক্য ও ভারসাম্য সৃষ্টিতে সহায়কÑবক্তব্যটির সাথে আমি একমত পোষণ করি।সমন্বয় বলতে লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত বিভিন্ন ব্যক্তি ও বিভাগের প্রচেষ্টাসমূহ একসূত্রে গ্রথিত, সংযুক্ত ও সুসংহত করার প্রক্রিয়াকে বোঝায়।
যেকোনো ঐক্যবদ্ধ বা দলবদ্ধ প্রচেষ্টায় সমন্বয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দলের সদস্যদের কাজের মধ্যে সমন্বয় না থাকলে দলীয় প্রচেষ্টা সার্থক হতে পারে না।উদ্দীপকের জনাব তানভীর একটি প্রতিষ্ঠানের মুখ্য নির্বাহী। তিনি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক সমস্যা নিজে তদারকি করেন।
যার ফলে কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিষ্ঠানে কল্যাণের কাজ করতে উদ্যোগী হয়।প্রতিষ্ঠানটিতে সমন্বয় বিষয়টি বিদ্যমান থাকায় কর্মীরা নিজেদের কাজ সুশৃঙ্খলভাবে করতে পারে। সকল কর্মী সমানভাবে প্রতিষ্ঠানে কাজ করায় কাজের মধ্যে ভারসাম্য সৃষ্টি হয়।
নিজ উদ্যোগে কর্মীদের দলীয় প্রচেষ্টার ফলে জনাব তানভীরের প্রতিষ্ঠানটি সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত হয়। তাই বলা যায়, জনাব তানভীর তার অধীনস্থ কর্মীদের সাথে সমন্বয়ের উপায়টি বিদ্যমান রেখেছেন তা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে ঐক্য ও ভারসাম্য সৃষ্টিতে সহায়ক হবেÑএ বক্তব্যটি সমর্থনযোগ্য।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
প্রশ্নঃ ৮ জনাব নিখিল একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। অভিজ্ঞতার অভাবে তিনি ব্যবসায় আরম্ভ করার সময় সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারেননি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিদের কার কী দায়িত্ব এবং কে কার নিকট কাজের জন্য দায়ী তা সুনির্দিষ্ট করা ছিল না। ফলে প্রতিষ্ঠানের কাজের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব পরিলক্ষিত হয়। পরবর্তীতে অভিজ্ঞ প্রশাসক জনাব হালিমকে ব্যবস্থাপক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। জনাব হালিম প্রতিষ্ঠানের কর্তৃত্ব প্রবাহ এবং প্রত্যেকের দায়িত্ব ও কর্তব্য সুনির্দিষ্ট করে একটি সহজ সংগঠন প্রবর্তন করেন। ফলে অতি অল্প সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ব্যক্তি ও কাজের মধ্যে সুষ্ঠু সমন্বয় প্রতিষ্ঠিত হয়। [ঢা. বো. ১৬]
ক. সমন্বয়ের নিরবচ্ছিন্নতা নীতি কী? ১
খ. দলীয় সমঝোতায় সমন্বয়ের ভ‚মিকা ব্যাখ্যা করো। ২
গ. জনাব নিখিলের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে প্রথমে সমন্বয়সাধনের কোন নীতির অভাব পরিলক্ষিত হয়? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. “জনাব হালিম কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপে কার্যকর সমন্বয়ের গুরুত্বপূর্ণ একটি পূর্বশর্ত পূরণ হওয়াতেই সুষ্ঠু সমন্বয় প্রতিষ্ঠিত হয়”Ñ উক্তিটির যথার্থতা মূল্যায়ন করো। ৪
৮ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ যেকোনো প্রচেষ্টা বা কাজ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে অবিরাম সমন্বয়ের নীতিকে ধারাবাহিকতার/নিরবচ্ছিন্নতার নীতি বলে।
খ উত্তরঃ প্রতিটি ব্যক্তি, দল ও উপদল, বিভাগ ও উপবিভাগ যার যার মতো না চলে দলীয় সমঝোতা অনুযায়ী বা মিলেমিশে চলার নীতিকেই দলীয় সমঝোতার নীতি বলে।স্বতঃস্ফ‚র্ত সমন্বয়ের ক্ষেত্রে দলীয় সমঝোতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
দল ও উপদলের প্রতিটি সদস্য যদি উপলব্ধি করতে পারে যে, কোনো একক ব্যক্তি বা দলের পক্ষে প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয় এবং সকলের সম্মিলিত সহযোগিতা ও প্রচেষ্টার মাধ্যমেই তা অর্জন সম্ভব, তাহলে সবাই সম্মিলিত প্রয়াসে লিপ্ত হয়। কর্মীদের স্বতঃস্ফ‚র্ত সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্যার্জনের জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা বা দলীয় সমঝোতার নীতি অধিক কার্যকর।
গ উত্তরঃ জনাব নিখিলের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে প্রথমে সমন্বয়সাধনের প্রত্যক্ষ যোগাযোগের নীতির অভাব পরিলক্ষিত হয়।প্রত্যক্ষ যোগাযোগর নীতি হলো বিভিন্ন ব্যক্তি, বিভাগ, উপবিভাগের মধ্যে কোনোরূপ বাধা ছাড়া সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করা। প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্যার্জনে সহায়তা করে।
নিখিল একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। তার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিদের কার কী দায়িত্ব এবং কে কার নিকট কাজের জন্য দায়ী তা সুনির্দিষ্ট করা ছিল না। এতে কর্মীরা একজন অন্যজনের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারে না।
এতে প্রতিষ্ঠানের একটি বিভাগের সাথে অন্য বিভাগের প্রত্যক্ষ সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি। প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকলে তথ্যের আদান-প্রদান দ্রুত হয়। তাই বলা যায়, প্রত্যক্ষ যোগাযোগ না থাকায় নিখিল কার্যকর সমন্বয় নিশ্চিত করতে পারেনি।
ঘ উত্তরঃ জনাব হালিম কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপে কার্যকর সমন্বয়ের গুরুত্বপূর্ণ পূর্বশর্ত ‘সহজ সংগঠন’ পূরণ হওয়াতে সুষ্ঠু সমন্বয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে আমি মনে করি।যে শর্ত বা নির্দেশ আগে থেকে বিদ্যমান থাকলে কাজটি সহজ হয় সেটিই পূর্বশর্ত। সমন্বয়ের ক্ষেত্রে এমনই একটি পূর্বশর্ত হলো সহজ সংগঠন।
জনাব হালিম প্রতিষ্ঠানের কর্তৃত্ব প্রবাহ এবং প্রত্যেকের দায়িত্ব ও কর্তব্য সুনির্দিষ্ট করে একটি সহজ সংগঠন প্রবর্তন করেছেন। সহজ সংগঠন একটি প্রতিষ্ঠানের কার্যকর সমন্বয় নিশ্চিত করে। জনাব হালিম সহজ সংগঠন প্রবর্তন করায় প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি বিভাগ ও উপবিভাগের মধ্যে যোগসূত্র সৃষ্টি হবে।
জনাব হালিম সংগঠন কাঠামো প্রণয়নে যদি কাজগুলো স্পষ্ট ও ক্ষমতা অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট করে তাহলে সবার কাছে বোধগম্য হবে। এ ধরনের সহজ সংগঠন কাঠামো কাজের বিভাগীয়করণে সাহায্য করে। সংগঠন কাঠামো যত সহজ হয় সমন্বয়ও তত সহজ হয়। সুতরাং জনাব হালিম সহজ সংগঠন কাঠামো প্রণয়ন করে কার্যকর সমন্বয় নীতির পূর্বশর্ত পালন করেছেন।
প্রশ্নঃ ৯ মধুমতি প্লাস্টিক কারখানার তিনটি উৎপাদন ইউনিট যথাক্রমে কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর ও বগুড়ায় অবস্থিত। এর প্রধান কার্যালয় রংপুরের দিকনির্দেশনায় প্রতিষ্ঠান তিনটির ব্যবস্থাপকগণ উৎপাদন ও বণ্টন কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন। প্রধান কার্যালয় প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা পত্রবাহক, ডাক ও কুরিয়ারের মাধ্যমে দিয়ে থাকেন। ফলে অনেক নির্দেশনাই দেরিতে পৌঁছে এবং নির্দেশনা বাস্তবায়নে বিলম্ব ঘটে। এ অবস্থার উত্তরণের জন্য ইউনিট ব্যবস্থাপকগণ প্রধান কার্যালয়ে কম্পিউটার ক্রয় ও ইন্টারনেট সংযোগের অনুমোদন চায়। কম্পিউটার ক্রয়ের বিষয়টি প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান নীতিমালায় না থাকায় প্রধান কার্যালয় প্রস্তাবটি নাকচ করে দেয়। ফলে ইউনিট ব্যবস্থাপকগণ প্রধান কার্যালয়ের সিদ্ধান্ত সঠিক সময়ে বাস্তবায়ন করতে পারছে না। ফলে উৎপাদন ও বণ্টন ব্যাহত হচ্ছে। [রা. বো. ১৬]
ক. সমন্বয় কী? ১
খ. সমান্তরাল সমন্বয়ের সাধন বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত সমন্বয়ের কোন নীতির অনুপস্থিতির জন্য ইউনিট ব্যবস্থাপকগণের পক্ষে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে নাÑব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত সমস্যা সমাধানে প্রধান কার্যালয়ের কী করা উচিত বলে তুমি মনে করো? তোমার মতামতের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪
৯ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য অর্জনের নিমিত্তে প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত বিভিন্ন ব্যক্তি ও বিভাগের প্রচেষ্টাকে একসাথে গ্রথিত, সংযুক্ত ও সুসংহত করার প্রক্রিয়াকে সমন্বয় বলে।
খ উত্তরঃ সমপর্যায়ের বিভিন্ন বিভাগ বা কর্মীদের কার্যাবলির মধ্যে সমন্বয়ের ব্যবস্থা করাই হলো সমান্তরাল সমন্বয়।এ ধরনের সমন্বয়ে কর্মীদের দায়িত্ব ও কর্তৃত্ব সমপর্যায়ভুক্ত। প্রতিষ্ঠানের ক্রয় ব্যবস্থাপক, উৎপাদন ব্যবস্থাপক ও বিক্রয় ব্যবস্থাপকের কাজের মধ্যে সমন্বয় হলো সমান্তরাল সমন্বয়ের উদাহরণ।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে বর্ণিত সমন্বয়ে প্রত্যক্ষ যোগাযোগের নীতির অনুপস্থিতির জন্য ইউনিট ব্যবস্থাপকগণের পক্ষে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না।প্রত্যক্ষ যোগাযোগের নীতি হলো বিভিন্ন ব্যক্তি, বিভাগ ও উপবিভাগের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার যে নীতি। যোগাযোগের অভাবে স্বাভাবিকভাবেই কার্যক্ষেত্রে সমন্বয়ের অভাব ও বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।
মধুমতি প্লাস্টিক কারখানার তিনটি ইউনিট তিনটি জায়গায় অবস্থিত। এর প্রধান কার্যালয় রংপুর হওয়ায় প্রত্যক্ষ তত্ত¡াবধায়ন সম্ভব হচ্ছে না। এক্ষেত্রে প্রধান কার্যালয় প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা পত্রবাহক, ডাক ও কুরিয়ারের মাধ্যমে দিয়ে থাকেন।
এতে অনেক নির্দেশনাই দেরিতে বা বিলম্বে পৌঁছায়। ফলে বিভাগ ও উপবিভাগের মধ্যে সমন্বয়সাধনের বিঘœ ঘটে। প্রত্যক্ষ তত্ত¡াবধানের অভাবে প্রতিষ্ঠানে কার্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। তাই বলা যায়, মধুমতি প্লাস্টিক লি.-এর প্রত্যক্ষ যোগাযোগের নীতির প্রয়োজন।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকে বর্ণিত সমস্যা সমাধানে প্রধান কার্যালয়ের নমনীয়তার নীতি অনুসরণ করা উচিত।নমনীয়তার নীতি হলো চিন্তা, কাজ ও পদ্ধতিতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন এনে প্রচেষ্টাকে লক্ষ্যাভিমুখী করার নীতি। সমন্বয় কার্যকে ফলদায়ক করার জন্য প্রয়োজনীয় নমনীয়তার সুযোগ থাকা উচিত। ফলে পরিবর্তনশীল পরিস্থিতির সাথে সহজে সামঞ্জস্য রক্ষা করা যায়।
মধুমতি প্লাস্টিক কারখানার ইউনিট ব্যবস্থাপকগণ প্রধান কার্যালয়ে কম্পিউটার ক্রয় ও ইন্টারনেট সংযোগের অনুমোদন চান। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার ক্রয়ের নীতি না থাকায় এটি সম্ভব হয় না। যার ফলে প্রতিষ্ঠানটি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
যদি মধুমতি প্লাষ্টিক নমনীয়তার নীতি অনুসরণ করে তাহলে যেকোনো সমস্যা বা ত্র“টি উদ্ঘাটিত হলে সমাধান করা সম্ভব হবে। আবার প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্যের সাথে মিল রেখে ব্যবস্থাপনার কার্য পরিচালনা করা যাবে।
একই সাথে বিশৃঙ্খলা ও ত্র“টি-বিচ্যুতি ব্যবস্থাপকগণ সমাধান করতে পারবেন। সঠিক উৎপাদন ও বণ্টনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি লক্ষ্যের দিকে ধাবিত হবে। তাই বলা যায়, প্রধান কার্যালয়ে নমনীয়তার নীতি অনুসরণ করা জরুরি।
প্রশ্নঃ ১০ “অর্নবস্ কোম্পানি লি.”-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বোর্ড সভায় পরবর্তী বছরের সামগ্রিক লক্ষ্য নির্ধারণ করে তা বিভাগীয় প্রধানদের অবহিত করেন। বিভাগীয় প্রধানগণ স্ব-স্ব বিভাগের লক্ষ্য নির্ধারণের পরিকল্পনা নিলেও আন্তঃবিভাগীয় পরিকল্পনায় পারস্পরিক সংহতি স্থাপনের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। বিষয়টি বোর্ডের নজরে এলে বোর্ড উৎপাদন বিভাগের ব্যবস্থাপক প্রধান ও অন্য বিভাগের প্রধানদের সদস্য করে বিভাগীয় কর্মকাণ্ডে সংহতি প্রতিষ্ঠার জন্য একটি স্থায়ী কমিশন গঠন করেন। [দি. বো. ১৬]
ক. সমন্বয় কী? ১
খ. দলীয় প্রচেষ্টা এগিয়ে নিতে সমন্বয় অপরিহার্য কেন? ২
গ. উদ্দীপকের কোম্পানিতে সমন্বয়ের কোন নীতি অনুসরণ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. বোর্ড কর্তৃক সমন্বয় কমিটি গঠন করে দেওয়ায় ভবিষ্যতে বিশৃঙ্খলা কমবেÑ তুমি কি একমত? যুক্তি দাও। ৪
১০ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত বিভিন্ন ব্যক্তি ও বিভাগের প্রচেষ্টাকে একসাথে গ্রথিত, সংযুক্ত ও সুসংহত করার প্রক্রিয়াকে সমন্বয় বলে।
খ উত্তরঃ লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত বিভিন্ন ব্যক্তি ও বিভাগের প্রচেষ্টাসমূহ একসূত্রে গ্রথিত, সংযুক্ত ও সুসংহত করার প্রক্রিয়াকে সমন্বয় বলে যেকোনো দলবদ্ধ প্রচেষ্টায় সমন্বয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
দলের সদস্যদের কাজের মধ্যে সমন্বয় না থাকলে দলীয় প্রচেষ্টা সার্থক হতে পারে না। সেক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা দেখা দেওয়া খুবই স্বাভাবিক। তাই লক্ষ্যার্জনের জন্য দলীয় প্রচেষ্টা এগিয়ে নিতে সমন্বয় অপরিহার্য।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের কোম্পানিতে উদ্দেশ্যের ঐক্যনীতি অনুসরণ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।এ নীতি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি ব্যক্তি, বিভাগ ও উপবিভাগের উদ্দেশ্যের ঐক্য সৃষ্টি করা হয়।
এজন্য প্রতিটি বিভাগ উপবিভাগ বা ইউনিটের উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন হতে হবে। কোনো বিভাগ ব্যতিক্রমী উদ্দেশ্য অর্জনের চেষ্টা করলে প্রাতিষ্ঠানিক সফলতা অর্জন সম্ভব হবে না।
উদ্দীপকে “অর্নবস্ কোম্পানি লি.”-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কোম্পানির বোর্ড সভায় পরবর্তী বছরের সামগ্রিক লক্ষ্য নির্ধারণ করে তা বিভাগীয় প্রধানদের অবহিত করেন।
বিভাগীয় প্রধানগণ নিজ নিজ বিভাগের লক্ষ্য নির্ধারণের পরিকল্পনা নিলেও আন্তঃবিভাগীয় পরিকল্পনায় পারস্পরিক সংহতি স্থাপনের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এ কারণেই বিভাগ ও উপবিভাগের উদ্দেশ্যের মধ্যে অসামঞ্জস্য দেখা দেয়। অর্থাৎ বিভাগসমূহের উদ্দেশ্যের মধ্যে ঐক্য থাকলে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো না।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকের কোম্পানিটিতে বোর্ড কর্তৃক সমন্বয় কমিটি গঠন করে দেওয়ায় ভবিষ্যতে বিশৃঙ্খলা কমবে বলে আমি মনে করি।সাধারণত প্রতিষ্ঠানে বিশেষ কোনো সমস্যা দেখা দিলে কমিটি গঠন করা হয়। প্রতিষ্ঠানের বিশৃঙ্খলা সমাধানে কমিটির ব্যক্তিবর্গ সম্মিলিতভাবে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
উদ্দীপকের অর্নবস্ কোম্পানি লিমিটেডে বিভিন্ন বিভাগে উদ্দেশ্যের অসামঞ্জস্যের কারণে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। বিষয়টি বোর্ডের নজরে এলে বোর্ড উৎপাদন বিভাগের ব্যবস্থাপক প্রধান ও অন্য বিভাগের প্রধানদের সদস্য করে একটি স্থায়ী কমিটি গঠন করেন।
উদ্দীপকের অর্নবস্ কোম্পানিতে গঠিত স্থায়ী কমিটির সদস্যরা প্রথমে প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলার যথাযথ কারণ নির্ধারণ করবেন। এরপর উক্ত বিশৃঙ্খলা সমাধানে প্রয়োজনীয় পরামর্শ একটি প্রতিবেদন আকারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জমা দেবেন।
পরবর্তীতে অনুরূপ পরিস্থিতির যেন পুনরাবৃত্তি না হয় প্রতিবেদনের আলোকে ব্যবস্থাপকগণ সেদিকে খেয়াল রাখতে পারবেন। আর এভাবেই সমন্বয় কমিটি গঠনের ফলে অর্নবস্ কোম্পানিতে ভবিষ্যতে বিশৃঙ্খলা কমবে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।