ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় | অধ্যায় ৪ | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ১১-১৫ | PDF: ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের চতুর্থ অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের চতুর্থ অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
প্রশ্নঃ ১১
[দি. বো. ১৬]
ক. ব্যবস্থাপনার স্তর কী? ১
খ. কাম্য তত্ত¡াবধান পরিসর বলতে কী বোঝায়? ২
গ. চিত্রে কোন ধরনের সংগঠনের কথা উলেখ করা হয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উলিখিত সংগঠনের কর্মীদের মাঝে দ্বৈত অধীনতার সৃষ্টি হতে পারে তুমি কি এর সাথে একমত? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪
১১ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ প্রাতিষ্ঠানিক কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে নিয়োজিত ব্যবস্থাপকগণের মধ্যে পর্যায়ক্রমিক কর্তৃত্ব ও দায়িত্বের যে সুশৃঙ্খল ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত হয় তাকে ব্যবস্থাপনার স্তর বলে।
খ উত্তরঃ একজন নির্বাহীর প্রত্যক্ষ তত্তবধানে যতজন কর্মী নিয়োজিত থাকে তাকে কাম্য তত্তবধান পরিসর বলে।
কাম্য তত্ত¡াবধানের ওপর প্রতিষ্ঠানের সাফল্য অনেকাংশেই নির্ভর করে। নির্বাহীর তত্তবধান পরিসর কাম্যমাত্রায় হলে অধীনস্থদের কাজ সহজেই তদারকি করতে পারেন।
অন্যথায় নির্বাহীরা কাজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। কাম্য তত্ত¡াবধানের ফলে কাজে যেমন গতি আসে তেমনি প্রতিষ্ঠানে সাফল্য অর্জিত হয়।
গ উত্তরঃ চিত্রে কার্যভিত্তিক সংগঠনের কথা বলা হয়েছে।
কাজের প্রকৃতি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিভাগ সৃষ্টি করে প্রতিটি বিভাগের দায়িত্ব ও কর্তৃত্ব একেকজন বিশেষজ্ঞ ব্যক্তির ওপর অর্পণ করা হলে তা হলো কার্যভিত্তিক সংগঠন।
উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটিতে মহাব্যবস্থাপকের অধীনে ২ জন উপব্যবস্থাপক আছে। যারা প্রত্যেকে ২টি করে বিভাগের দায়িত্বে আছেন। তাদের বিশেষজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে ২টি করে বিভাগের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
আবার উপব্যবস্থাপকের অধীনে যে দুইজন করে ব্যবস্থাপক আছেন তাদের বিশেষজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
উপব্যবস্থাপক-১-এর অধীনে বিশেষজ্ঞ নির্বাহী হিসেবে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপক, উৎপাদন ব্যবস্থাপক ও উপব্যবস্থাপক-২-এর অধীনে বিশেষজ্ঞ হিসেবে বাজারজাতকরণ ব্যবস্থাপক এবং অর্থ ও হিসাব ব্যবস্থাপক। তাই বলা যায়, সংগঠনটি একটি কার্যভিত্তিক সংগঠন।
ঘ উত্তরঃ উলিখিত সংগঠনে কর্মীদের মাঝে দ্বৈত অধীনতা সৃষ্টি হতে পারে আমি বক্তব্যটির সাথে একমত।
কার্যভিত্তিক সংগঠন অন্যান্য সংগঠন থেকে কিছুটা ভিন্নতর। এ ভিন্নতার কারণে সংগঠনটি যেমন কিছু সুবিধা ভোগ করে, তেমনি কিছু অসুবিধারও সম্মুখীন হয়।
চিত্রের সংগঠনটি একটি কার্যভিত্তিক সংগঠন। এ ধরনের সংগঠনে কার্যভিত্তিক বিভাগ সৃষ্টি করা হয় এবং প্রতিটি বিভাগের দায়িত্ব একেকজন বিশেষজ্ঞের ওপর অর্পণ করা হয়।
কার্যভিত্তিক সংগঠনে কার্যের ভিত্তিতে বিভাগ সৃষ্টি করার ফলে কার্যে বিশেষায়ণের সুবিধা অর্জন করা গেলেও এ সংগঠনের নেতিবাচক দিকও আছে। এ ধরনের সংগঠনে বিশেষজ্ঞ কর্ক উত্তরঃর্তারা মাত্র একটি বিভাগে কাজ করলেও কর্মীকে একই সাথে বিভিন্ন বিভাগের নির্বাহীর অধীনে কাজ করতে হয়।
যেমন: উৎপাদন ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মীকে একই সাথে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপক এবং উৎপাদন ব্যবস্থাপকের অধীনে কাজ করার প্রয়োজন হতে পারে। ফলে বিভিন্ন বিভাগের অধীনে কাজ করায় কর্মীরা দ্বৈত অধীনতার মুখোমুখি হয়।
প্রশ্নঃ ১২ জনাব অখিল একটি জুতা তৈরির কারখানার উৎপাদন ব্যবস্থাপক। কারখানাটি গত ৮ বছর শুধু উৎপাদন কাজেই নিয়োজিত ছিল। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অধীনে একজন সাধারণ ব্যবস্থাপক আছেন। জনাব অখিল উৎপাদন সংক্রান্ত সকল কাজের জন্য সাধারণ ব্যবস্থাপকের নিকট জবাবদিহি করেন। বর্তমানে কারখানাটি জুতার প্যাকেট তৈরির জন্য একটি প্যাকেজিং প্ল্যান্ট স্থাপন করে ও জুতার বাজারজাতকরণের জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রয়কেন্দ্র গড়ে তোলে। এতে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক লেনদেন ও শ্রমিক-কর্মীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় পৃথক হিসাব বিভাগ, বিপণন বিভাগ ও শ্রমিক-কর্মী বিভাগ খোলার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাদের করণীয় সম্পর্কে বিবেচনা করছেন। [কু. বো. ১৬]
ক. সংগঠন কাঠামো কী? ১
খ. সাংগঠনিক নীতিমালায় কর্তৃত্ব ও দায়িত্বের সমতা নীতি বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকে বিদ্যমান সংগঠন কাঠামোটি কোন ধরনের? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে উলিখিত পরিস্থিতিতে কোন ধরনের সংগঠন কাঠামো গড়ে তোলা উচিত বলে তুমি মনে করো? যুক্তিসহ বিশ্লেষণ করো। ৪
১২ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিভাগ, উপবিভাগ ও কর্মীদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের ধরন বা প্যাটার্নকে সংগঠন কাঠামো বলে।
খ উত্তরঃ কর্তৃত্ব অর্পণের ফলে কোনো কর্ম সম্পাদনের দায় বা বাধ্যবাধকতাকে দায়িত্ব বলে। আর কর্তৃত্ব বলতে বৈধ ক্ষমতাকে বোঝায়, যার দ্বারা কোনো ব্যক্তি তার অধস্তনদেরকে আদেশ-নির্দেশ দেন, আনুগত্য আদায় করেন এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করেন।
সংগঠন কাঠামোর প্রত্যেক স্তরে কর্মীকে যে পরিমাণ দায়িত্ব অর্পণ করা হবে সেই অনুপাতে কর্তৃত্বও প্রদান করতে হবে। দায়িত্বের তুলনায় কর্তৃত্ব বেশি হলে নির্বাহীগণ স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠবে।
অপরদিকে যদি কর্তৃত্বের তুলনায় দায়িত্ব অনেক বেশি থাকে তাহলে নির্বাহীগণ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ ও অসহায় হয়ে পড়বে। এজন্য এ দুয়ের মধ্যে সমতা বজায় রাখতে হবে। তাই বলা হয়, আদর্শ সংগঠনে দায়িত্ব ও কর্তৃত্ব ভারসাম্যপূর্ণ হয়।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে বিদ্যমান সংগঠন কাঠামোটি হলো সরলরৈখিক সংগঠন।
যে সংগঠন কাঠামোতে কর্তৃত্ব রেখা ব্যবস্থাপনার সর্বোচ্চ স্তর থেকে ক্রমান্বয়ে নিচের দিকে সরলরেখার আকারে নেমে আসে তা হলো সরলরৈখিক সংগঠন। সরলরৈখিক সংগঠন সবচেয়ে সহজ ও প্রাচীন সংগঠন কাঠামো।
উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অধীনে একজন সাধারণ ব্যবস্থাপক আছেন। জনাব অখিল কারখানার উৎপাদন ব্যবস্থাপক। তিনি উৎপাদন সংক্রান্ত সব কাজের জন্য সাধারণ ব্যবস্থাপকের নিকট জবাবদিহি করেন। অর্থাৎ ব্যবস্থাপনা পরিচালনা সাধারণ পরিচালককে এবং সাধারণ পরিচালক উৎপাদন ব্যবস্থাপকের ওপর কর্তৃত্ব প্রয়োগ করেন। এ কারখানায় প্রত্যেকের দায়িত্ব ও কর্তৃত্ব সুস্পষ্ট।
এ প্রতিষ্ঠানে উচ্চপদে অধীনস্থ ব্যক্তিবর্গ অপেক্ষাকৃত নিæপদের ব্যক্তিবর্গের ওপর কর্তৃত্বের অধিকারী। এ প্রতিষ্ঠানে কর্তৃত্ব রেখা ব্যবস্থাপনা পরিচালক হতে ক্রমান্বয়ে উৎপাদন ব্যবস্থাপকের দিকে ধাবিত হয়। সুতরাং উপরিউক্ত বৈশিষ্ট্যানুযায়ী বলা যায়, উদ্দীপকে সরলরৈখিক সংগঠন বিদ্যমান।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকে উলিখিত পরিস্থিতিতে কার্যভিত্তিক সংগঠন কাঠামো গড়ে তোলা উচিত বলে আমি মনে করি।
কার্যভিত্তিক সংগঠন হলো এমন এক ধরনের সংগঠন, যেখানে ব্যবস্থাপনার কার্যাবলিকে কাজের প্রকৃতি অনুযায়ী বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে, এদের একেকটিকে একজন বিশেষজ্ঞের ওপর ন্যস্ত করা হয়।
উদ্দীপকে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক লেনদেন ও শ্রমিক কর্মীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। ফলে পৃথক হিসাব বিভাগ, বিপণন বিভাগ ও শ্রমিক-কর্মী বিভাগ খোলার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাদের করণীয় সম্পর্কে বিবেচনা করছেন।
উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটিতে আর্থিক লেনদেন ও শ্রমিক-কর্মীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সরলরৈখিক নির্বাহীর পক্ষে দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হচ্ছে না।
প্রতিষ্ঠানটি যদি আলাদাভাবে হিসাব বিভাগ, বিপণন বিভাগ ও শ্রমিক কর্মী বিভাগ খুলে তার দায়িত্ব বিশেষজ্ঞ কর্মীদের ওপর অর্পণ করে তাহলে তারা মিলেমিশে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।
ফলে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্যার্জনও সম্ভব হবে। তাই আমি মনে করি, উক্ত প্রতিষ্ঠানটির বিদ্যমান পরিস্থিতিতে কার্যভিত্তিক সংগঠন গড়ে তোলা উচিত।
প্রশ্নঃ ১৩ প্রতীকী হাউজিং লি. নির্মাণ শিল্পে দ্রুত অগ্রসরমান একটি প্রতিষ্ঠান। কোম্পানিটি তাদের সাংগঠনিক কাঠামোর কাজগুলোকে প্রকৃতি অনুযায়ী ভাগ করে বিশেষজ্ঞ কর্মীকে তত্ত¡াবধানের দায়িত্ব পালন করে। ফলে প্রতিষ্ঠানের কার্যাবলি সফলতার সাথে সম্পন্ন হয়। [চ. বো. ১৬]
ক. সরলরৈখিক সংগঠন কী? ১
খ. সংগঠন চার্ট বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত প্রতীকী হাউজিং লি.-এ সংগঠন কাঠামো কোন ধরনের? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. ‘আধুনিক ও বৃহৎ আয়তন প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের সংগঠন কাঠামোর প্রয়োগ অধিক কার্যকর’ উদ্দীপকের আলোকে মূল্যায়ন করো। ৪
১৩ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ যে সংগঠন কাঠামোতে ক্ষমতা বা কর্তৃত্ব রেখা ব্যবস্থাপনার সর্বোচ্চ স্তর থেকে সরলরেখার মতো ক্রমশ নিচের স্তরে নিয়োজিত কর্মীদের দিকে নেমে আসে, তাকে সরলরৈখিক সংগঠন বলা হয়।
খ উত্তরঃ একটা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বিভিন্ন ব্যক্তি, বিভাগ ও উপবিভাগের মধ্যকার সম্পর্ককে একটা চিত্রে উপস্থাপন করা হলে তাকে সংগঠন চিত্র বলে।
সংগঠন চার্টে প্রতিষ্ঠানের উপর থেকে নিচ পর্যন্ত কর্মীর অবস্থান, পদ, বিভাগ ও উপবিভাগ সম্পর্কে জানা যায়।
এতে কে কার সরাসরি অধীন, সে বিষয়েও ধারণা পাওয়া যায়। তাছাড়া কর্তৃত্ব প্রবাহ, কর্তৃত্ব রেখা ইত্যাদি বিষয়েও জানা যায়। তাই বলা যায়, সংগঠন চার্ট পুরো প্রতিষ্ঠান সম্পর্কেই একটা ধারণা প্রদানে সক্ষম।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে বর্ণিত প্রতীকী হাউজিং লি.-এর সংগঠন কাঠামোটি কার্যভিত্তিক সংগঠন কাঠামো।
কাজের প্রকৃতি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিভাগ সৃষ্টি করে তার দায়িত্ব ও কর্তৃত্ব একেকজন বিশেষজ্ঞ কর্মীর ওপর ন্যস্ত করা হলো কার্যভিত্তিক সংগঠন। এ ধরনের সংগঠনে বিশেষজ্ঞ কর্মীদের উপদেষ্টা না বানিয়ে সরাসরি নির্বাহী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
প্রতীকী হাউজিং লি. নির্মাণ শিল্পে দ্রুত অগ্রসরমান একটি প্রতিষ্ঠান। কোম্পানিটি তাদের সাংগঠনিক কাঠামোয় কাজগুলোকে প্রকৃতি অনুযায়ী ভাগ করে বিশেষজ্ঞ কর্মীর তত্ত¡াবধানে দায়িত্ব প্রদান করে।
বিশেষজ্ঞ কর্মীর প্রত্যক্ষ তত্ত¡াবধানে থাকার ফলে কর্মীরা অধিকতর দক্ষতার সাথে কার্যাবলি সম্পাদন করেন। যার ফলে প্রতিষ্ঠানের কার্যাবলি সফলতার সাথে যথাযথভাবে সম্পন্ন হয়। সুতরাং বলা যায়, প্রতীকী হাউজিং লি. সংগঠনটিতে কার্যভিত্তিক সংগঠনের সব বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান।
ঘ উত্তরঃ আধুনিক ও বৃহদায়তন প্রতিষ্ঠানে কার্যভিত্তিক সংগঠন কাঠামোর প্রয়োগ অধিক কার্যকর।
কাজের প্রকৃতি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিভাগ সৃষ্টি করে প্রতিটি বিভাগের দায়িত্ব একজন বিশেষজ্ঞ কর্মীর ওপর ন্যস্ত করা হলো কার্যভিত্তিক সংগঠন। এ ধরনের সংগঠনের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুবিধার্থে প্রতিটি বিভাগে একজন বিশেষজ্ঞ কর্মী নিয়োগ করা হয়ে থাকে।
প্রতীকী উদ্দীপকের হাউজিং লি. একটি বৃহদায়তন নির্মাণ শিল্প প্রতিষ্ঠান। কোম্পানিটি তাদের সাংগঠনিক কাঠামোয় কাজগুলোকে প্রকৃতি অনুযায়ী ভাগ করে বিশেষজ্ঞ কর্মীকে তত্ত¡াবধানের দায়িত্ব প্রদান করেছে। যার ফলে কর্মীরা ভালোভাবে তাদের কাজগুলো বুঝে নিয়ে সঠিকভাবে সম্পাদন করতে পারবে। বিশেষজ্ঞের তত্ত¡াবধানে থাকার ফলে উক্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা প্রাতিষ্ঠানিক কাজ অধিকতর দক্ষতার সাথে সম্পাদন করতে পারবে।
প্রতীকী হাউজিং লি.-এর মতো বৃহৎ আকারের প্রতিষ্ঠানের কাজগুলো বিভিন্ন বিভাগে ভাগ করে দক্ষ কর্মীর তত্ত¡াবধানে সম্পাদন করা হলে সঠিক সময়ে কাজ সম্পাদিত হবে। কর্মীরা কাজে দক্ষ হয়ে উঠবে।
তাই বলা যায়, কার্যভিত্তিক সংগঠন কাঠামোর প্রয়োগ আধুনিক ও বৃহদায়তন প্রতিষ্ঠানে তুলনামূলক ফলপ্রসূ।
প্রশ্নঃ ১৪ মি. শাহীন একটি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক। তার অধীন ৬ জন ব্যবস্থাপক ও ১০ জন শাখা ব্যবস্থাপক আছে। সম্প্রতি কার্যভার বেশি হওয়ায় শাহীনের সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠান তার কথা চিন্তা করে একজন পরামর্শক নিয়োগ দেয়। যিনি শাহীনকে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শে সহায়তা প্রদান করেন। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির অবস্থা আরও উন্নতি হচ্ছে। [সি. বো. ১৬]
ক. আনুষ্ঠানিক সংগঠন কী? ১
খ. সরলরৈখিক ও পদস্থ কর্মী সংগঠন বলতে কী বোঝায়? ২
গ. পরামর্শক নিয়োগের পূর্বে প্রতিষ্ঠানের সংগঠন কাঠামো কীরূপ ছিল? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকের আলোকে “সাংগঠনিক পরিবর্তনের ফলেই প্রতিষ্ঠানের উন্নতি হয়েছে” মূল্যায়ন করো। ৪
১৪ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ম-কানুন, রীতি-নীতি ও বিধি-বিধানের আওতায় যে সংগঠন কাঠামো গড়ে ওঠে, তাকে আনুষ্ঠানিক সংগঠন বলে।
খ উত্তরঃ সরলরৈখিক নির্বাহীর সহযোগী হিসেবে নিয়োজিত বিশেষজ্ঞ বা উপদেষ্টা কর্মীর সমন্বয়ে যে বিশেষ ধরনের সংগঠন কাঠামো তৈরি হয়, তাকে সরলরৈখিক ও পদস্থ সংগঠন বলে।
এরূপ সংগঠনে সরলরৈখিক নির্বাহী সকল কর্তৃত্ব ভোগ করলেও সহযোগী নির্বাহী সরলরৈখিক নির্বাহীকে সহযোগিতা করেন। উভয়ের সহযোগে প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হওয়ায় এরূপ সংগঠনে দু’ধরনের কর্তৃত্ব বিদ্যমান থাকে।
গ উত্তরঃ পরামর্শক নিয়োগের পূর্বে প্রতিষ্ঠানের সংগঠন কাঠামো ছিল সরলরৈখিক।
যে সংগঠন পদ্ধতিতে ক্ষমতা বা কর্তৃত্ব রেখা ব্যবস্থাপনার সর্বোচ্চ স্তর থেকে সরলরেখার মতো বিভিন্ন স্তর অতিক্রম করে ক্রমান্বয়ে নিচের দিকে নেমে আসে, তা হলো সরলরৈখিক সংগঠন। এ সংগঠনে একজন অধস্তন মাত্র একজন ঊর্ধ্বতনের কাছে জবাবদিহি করে।
মি. শাহীন একটি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক। তার অধীনে ৬ জন ব্যবস্থাপক ও ১০ জন শাখা ব্যবস্থাপক আছে। এতে মি. শাহীনই প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপক। অধীনস্থরা তার আদেশ মানতে বাধ্য। অধীনস্থরা মি. শাহীনের কাছেই জবাবদিহি করে।
এতে প্রতিষ্ঠানের ক্ষমতার রেখা সরলরেখার মতো উপর থেকে নিচের দিকে অবস্থান করে। তাই এসব বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বলা যায়, পরামর্শক নিয়োগের পূর্বে প্রতিষ্ঠানের সংগঠন কাঠামোর বৈশিষ্ট্য সরলরৈখিক সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত ছিল।
ঘ উত্তরঃ সাংগঠনিক কাঠামো সরলরৈখিক থেকে সরলরৈখিক ও পদস্থ কর্মী সংগঠন করায় প্রতিষ্ঠানের উন্নতি হয়েছে।
সরলরৈখিক পদস্থ কর্মী সংগঠন হলো সরলরৈখিক নির্বাহীর সহযোগী হিসেবে নিয়োজিত বিশেষজ্ঞ বা উপদেষ্টা কর্মীর সমন্বয়ে গঠিত এক বিশেষ ধরনের সংগঠন, যেখানে সরলরৈখিক নির্বাহীই সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। এ সংগঠন কাঠামোতে একজন ব্যবস্থাপককে সহযোগিতার জন্য আরেকজন বিশেষজ্ঞ বা উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হয়।
মি. শাহীন একজন নির্বাহী পরিচালক। কার্যভার বেশি হওয়ায় শাহীনের সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হয়। তাই প্রতিষ্ঠানে একজন পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়। এতে শাহীন সিদ্ধান্ত গ্রহণে পরামর্শ ও সহায়তা পেয়ে থাকেন। তারা দুজনে পরামর্শের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করে থাকেন।
মি. শাহীন প্রতিষ্ঠানে পরামর্শক নিয়োগ দেওয়ায় প্রতিষ্ঠানের সার্বিক অবস্থা উত্তরোত্তর উন্নতি হবে। কেননা তারা পরামর্শের মাধ্যমে সঠিক সিদ্ধান্তটিই নেবে। বিশেষজ্ঞ কর্মী মি. শাহীনকে গবেষণা, পরিকল্পনা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও কারিগরি কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা করবে। ফলে ভুল-ত্র“টি হ্রাস পাবে। প্রতিষ্ঠানের অবস্থারও উন্নতি হবে।
প্রশ্নঃ ১৫ মি. কামাল জামালপুরে বড় আকারে একটি মুরগির খামার প্রতিষ্ঠা করেন। তার খামারে ৫০ জন শ্রমিক কাজ করে। তিনি খামার পরিচালনার জন্য একজন সাধারণ ব্যবস্থাপক, একজন সহকারী ব্যবস্থাপক এবং একজন সুপারভাইজার নিয়োগ দেন। তাদের প্রশাসনিক দক্ষতা থাকলেও প্রাণিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় জ্ঞান পর্যাপ্ত নয়। তাই মি. কামাল সাধারণ ব্যবস্থাপক সমমর্যাদায় একজন প্রাণিসম্পদ কর্ক উত্তরঃর্তা এবং সহকারী ব্যবস্থাপক সমমর্যাদায় একজন প্রাণিসম্পদ চিকিৎসক নিয়োগ দিলেন। হঠাৎ একদিন ৬,০০০ মুরগি খামারে মারা যায়। এ ঘটনার কারণ উদঘাটন ও প্রতিকার বের করার জন্য ৭ দিন সময়সীমা নির্ধারণ করে সাধারণ ব্যবস্থাপক ও প্রাণিসম্পদ চিকিৎসককে লিখিত দায়িত্ব দিলেন। [য. বো. ১৬]
ক. আনুষ্ঠানিক সংগঠন কী? ১
খ. সংগঠন কাঠামো বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকে মি. কামালের সংগঠনটি আনুষ্ঠানিকতার ভিত্তিতে কোন ধরনের? বর্ণনা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে উলিখিত উদ্ভ‚ত পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য গঠিত কমিটি যথার্থ কিনা? তোমার মতামত দাও। ৪
১৫ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ম-কানুন, রীতি-নীতি ও বিধি-বিধানের আওতায় যে সংগঠন কাঠামো গড়ে ওঠে, তাকে আনুষ্ঠানিক সংগঠন বলে।
খ উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিভাগ, উপবিভাগ ও কর্মীদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের ধরন বা প্যাটার্নকে সংগঠন কাঠামো বলে।
সংগঠন কাঠামোতে প্রতিষ্ঠানের উপর থেকে নিচ পর্যন্ত কর্মীর অবস্থান, পদ, বিভাগ ও উপবিভাগ সম্পর্কে জানা যায়। এতে কে কার সরাসরি অধীন, সে বিষয়ে ধারণা পাওয়া যায়। তাছাড়া কর্মীদের কর্তৃত্ব প্রবাহ বিষয়েও জানা যায়।
গ উত্তরঃ মি. কামালের সংগঠনটি আনুষ্ঠানিকতার ভিত্তিতে সরলরৈখিক ও পদস্থ কর্মী সংগঠন।
যে সংগঠন কাঠামোতে সরলরৈখিক নির্বাহীকে সহযোগিতা করার জন্য উপদেষ্টা বা বিশেষজ্ঞ কর্মী ব্যবহার করা হয় তা হলো সরলরৈখিক ও পদস্থ কর্মী সংগঠন।
মি. কামাল তার খামার পরিচালনার জন্য সাধারণ ব্যবস্থাপক, একজন সহকারী ব্যবস্থাপক এবং একজন সুপারভাইজার নিয়োগ দেন। তাদের প্রশাসনিক দক্ষতা আছে কিন্তু প্রাণিসম্পদ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান নেই।
তাই তাদের সহযোগিতা করার জন্য মি. কামাল সাধারণ ব্যবস্থাপক সমমর্যাদার একজন প্রাণিসম্পদ কর্ক উত্তরঃর্তা এবং সহকারী ব্যবস্থাপক মর্যাদায় একজন প্রাণিসম্পদ চিকিৎসক নিয়োগ দেন। এক্ষেত্রে কর্তৃত্ব ও ক্ষমতা সাধারণ ব্যবস্থাপক ও সহকারী ব্যবস্থাপক ভোগ করবেন।
কেননা তারা প্রতিষ্ঠানের সরলরৈখিক নির্বাহী। আর প্রাণিসম্পদ কর্ক উত্তরঃর্তা ও প্রাণিসম্পদ চিকিৎসক উপদেষ্টা হিসেবে তাদের প্রয়োজনীয় উপদেশ ও পরামর্শ দেবেন। তাই বলা যায়, সংগঠন কাঠামোর বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী মি. কামাল সরলরৈখিক ও পদস্থ কর্মী সংগঠন পরিচালনা করে।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকে উলিখিত উদ্ভ‚ত পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য গঠিত কমিটি যথার্থ বলে আমি মনে করি।
কমিটি হলো বিশেষভাবে নির্বাচিত বা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মনোনীত এমন কতিপয় ব্যক্তিবর্গের সমষ্টি, যাদের ওপর কোনো সমস্যার সমাধান বা বিশেষ কোনো প্রশাসনিক দায়িত্বভার অর্পণ করা হয়।
মি. কামাল একটি মুরগির খামার প্রতিষ্ঠা করেন। হঠাৎ একদিন তার খামারে ৬,০০০ মুরগি মারা যায়। এ মুরগি কেন মারা গেল তার কারণ উদঘাটনের জন্য তিনি সাধারণ ব্যবস্থাপক ও প্রাণিসম্পদ চিকিৎসককে দায়িত্ব দিলেন এবং ৭ দিন সময়সীমা নির্ধারণ করে দিলেন।
মি. কামাল মুরগি মারা যাওয়ায় কমিটি গঠন করলেন। এ কমিটির সদস্যরা আলাপ-আলোচনা ও বিচার-বিশ্লেষণ করে মুরগি মারা যাওয়ার কারণ উদঘাটন করবেন। সাত দিনের মধ্যে তারা কারণ বের করে এর প্রতিকারের উপায় সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রদান করবেন।
এ প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে উদ্দীপকে উলিখিত সমস্যা মোকাবিলা করা সম্ভব হবে। তাই বলা যায়, উলিখিত পরিস্থিতিতে কমিটি গঠন যুক্তিযুক্ত হয়েছে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।