ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ১৩ | সৃজনশীল প্রশ্ন ২৬-৩০ | PDF: ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের ত্রয়োদশ অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের ত্রয়োদশ অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ১৩ | সৃজনশীল প্রশ্ন ২৬-৩০ | PDF
প্রশ্ন ২৬: জনাব তুর্য একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তিনি তার পণ্যের জন্য অগ্নি বিমা করতে আগ্রহী। তার গুদামে কোন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য একই পরিমাণ পণ্য সংরক্ষণ করা হয় না। তাই তিনি বাড়তি পণ্যের জন্য ভিন্ন বিমা করতে চাইলেন। তিনি বিমাচুক্তির করার সময়ই প্রগতি ইন্স্যুরেন্স লি. এর কাছে জানতে চাইলেন, কোনো দুর্ঘটনায় তার পণ্যের ক্ষতি হলে তিনি কীভাবে ক্ষতিপূরণ আদায় করতে পারবেন।
[হলি ক্রস কলেজ, ঢাকা]
ক.বিশুদ্ধ মেয়াদি জীবন বিমা কী?১
খ.‘বিমা চুক্তি পরম বিশ্বাসের চুক্তি’ ব্যাখ্যা করো।২
গ.উদ্দীপকে কোন বিমাপত্রের উলেখ করা হয়েছে ব্যাখ্যা করো।৩
ঘ.বিমা দাবি আদায়ের জন্য জনাব তুর্যের করণীয় পদক্ষেপগুলো আলোচনা করো।৪
২৬ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: যে জীবন বিমাপত্র নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য খোলা হয় এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেই শুধুই বিমাগ্রহীতা বিমা দাবির অর্থ লাভ করে তাকে বিশুদ্ধ মেয়াদি জীবন বিমা বলে।
খ উত্তর: বিমাকারী ও বিমাগ্রহীতা উভয়পক্ষ বিমা সম্পর্কিত আবশ্যকীয় সকল তথ্য একে ন্যকে প্রদানে বাধ্য থাকে বিধায় বিমা চুক্তিকে পরম বিশ্বাসের চুক্তি বলা হয়।
বিমা চুক্তির মাধ্যমে বিমাকারী ও বিমাগ্রহীতার মধ্যে সদ্বিশ্বাসের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। যে কারণে চুক্তিবদ্ধ পক্ষ একে ন্যের কাছে সঠিক তথ্য প্রকাশে বাধ্য। কোনো পক্ষ যদি সঠিক তথ্য প্রদান না করে তাহলে অন্য পক্ষ চুক্তি বাতিল করার ধিকার রাখে। ফলে বিমাগ্রহীতার সম্ভাব্য সকল ঝুঁকি বিবেচনা করে বিমাকারী সঠিক পরিমাণ প্রিমিয়াম নির্ধারণ করতে পারে।
গ উত্তর: উদ্দীপকে বাড়তি অগ্নিবিমাপত্রের উলেখ করা হয়েছে।
গুদামে রক্ষিত গড় পরিমাণ পেক্ষা তিরিক্ত পণ্যের জন্য যে অগ্নি বিমাপত্র গ্রহণ করা হয় তাকে বাড়তি বিমাপত্র বলে।
উদ্দীপকের জনাব তুর্য একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তিনি তার পণ্যের জন্য অগ্নিবিমা করতে আগ্রহী। তবে তার গুদামে কোনো নির্দিষ্ট সময়ের জন্য একই পরিমাণ পণ্য সংরক্ষণ করা হয় না। অর্থাৎ সব সময়ই পণ্যের আগমন নির্গমন ঘটে।
তাই তিনি বাড়তি পণ্যের জন্য ভিন্ন একটি বিমা করতে চাইলেন। এক্ষেত্রে জনাব তুর্য গুদামে ন্যূনতম মজুতের ওপর একটি সাধারণ বিমা আর তিরিক্ত পণ্যের জন্য আরেকটি বিমাপত্র গ্রহণ করবেন।
অর্থাৎ তিনি একই গুদামের পণ্যের জন্য দুটি অগ্নিবিমাপত্র গ্রহণ করবেন। যেখানে তিরিক্ত পণ্যের জন্য গৃহীত বিমাপত্রটি বাড়তি অগ্নিবিমাপত্রের বৈশিষ্ট্যপূর্ণ।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকের বাড়তি অগ্নি বিমাপত্রের দাবি আদায়ের জন্য প্রতি মাসে জনাব তুর্যকে বাড়তি মজুদ পণ্যের প্রকৃত মূল্য ঘোষণা করতে হবে।
বাড়তি অগ্নিবিমাপত্রের ক্ষেত্রে প্রতি মাসেই বিমাগ্রহীতা দ্বারা বাড়তি মজুতের প্রকৃত মূল্য ঘোষণা করতে হয়। এক্ষেত্রে কয়েক মাসের মূল্য একত্রিত করে তার ওপর গড় হারে প্রিমিয়াম নির্ধারিত হয়।
উদ্দীপকের জনাব তুর্য তার গুদামের রক্ষিত পণ্যের জন্য অগ্নি বিমাপত্র গ্রহণ করতে আগ্রহী। তবে তার গুদামে সবসময় নির্দিষ্ট পরিমাণ মজুত পণ্য থাকে না। যার কারণে তিনি প্রগতি ইস্যুরেন্স লি. থেকে একটি বাড়তি অগ্নি বিমাপত্র গ্রহণ করেন।
জনাব তুর্যের গৃহীত বিমাপত্রের আওতায় ভবিষ্যতে বিমা দাবি আদায়ের জন্য তার কিছু দায়িত্ব রয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতি মাসেই জনাব তুর্যকে গুদামে রক্ষিত তিরিক্ত মজুত পণ্যের প্রকৃত মূল্য নির্ধারণ করতে হবে।
যা প্রগতি ইন্স্যুরেন্স লি. কে জানাতে হবে। প্রগতি ইন্স্যুরেন্স লি. এ মূল্যের ওপর ভিত্তি করেই পরবর্তীতে তিরিক্ত বিমাপত্রের প্রিমিয়াম নির্ধারণ করবে। আর নির্ধারিত প্রিমিয়াম গ্রহণ করেই ভবিষ্যতে বিমা দাবি উত্থাপিত হলে বিমাকারী কোম্পানি দাবি পরিশোধে বাধ্য থাকবে।
প্রশ্ন ২৭: জনাব ইমতিয়াজ একজন পাটের ব্যবসায়ী। প্রতিটি মৌসুমে তিনি কম দামে প্রচুর পরিমাণে পাট কিনে নেন। এ বছর ৫০,০০০ টন পাট ক্রয় করেন ১০ লাখ টাকায়। তিনি আগামী ১ বছরের জন্য ৫ লক্ষ টাকার একটি বিমাচুক্তি সম্পাদন করেন। ইতিমধ্যে আগুনে কিছু পাট পুড়ে বিনষ্ট হয়। তখন ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারিত হয় ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। তিনি বিমা কোম্পানির নিকট ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। [ঢাকা কমার্স কলেজ]
ক.শস্য বিমা কী?১
খ.নৈতিক ঝুকি বলতে কী বোঝ?২
গ.উদ্দীপকে জনাব ইমতিয়াজ কোন ধরনের অগ্নি বিমাচুক্তি করেন এবং তিনি কত টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে পাবেন? ব্যাখ্যা করো।৩
ঘ.“অগ্নিবিমা শুধুমাত্র আঅর্থিক প্রতিরক্ষাই সৃষ্টি করে না বরং নিরাপত্তাবোধ ও স্বস্তি প্রতিষ্ঠা করে” উদ্দীপকের আলোকে উক্তিটির যৌক্তিকতা মূল্যায়ন করো।৪
২৭ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: কৃষি পণ্য উৎপাদনে জড়িত প্রাকৃতিক ও প্রাকৃতিক ঝুঁকি হতে সৃষ্ট ক্ষতির বিপরীতে যে বিমাপত্র গ্রহণ করা হয় তাকে শস্য বিমা বলে।
খ উত্তর: বিমাগ্রহীতার চরিত্র বা পার্শ্ববর্তী ব্যক্তিবর্গের কার্যকলাপ থেকে সৃষ্ট বিপদের ঝুঁকিকেই নৈতিক ঝুঁকি বলে।
অগ্নিবিমায় নৈতিক ঝুঁকির সম্ভাবনা ধিক। নৈতিক ঝুঁকি দৃশ্যমান এবং তা মানুষের নৈতিকতা ও চরিত্রের ওপর নির্ভরশীল।
পণ্যের গুদাম বিমা করে পণ্য সরিয়ে আগুন লাগানো ও ক্ষতিপূরণ আদায় এরূপ বিমায় সম্ভব নয়। এ ঝুঁকি পূর্ব থেকে নির্ধারণ করে সঠিক পরিমাণ প্রিমিয়াম চার্জ করা যায় না। তাই প্রাকৃতিক ঝুঁকির মতো ঝুঁকি নুমান করা এক্ষেত্রে প্রায়শই সম্ভব।
গ উত্তর: উদ্দীপকের জনাব ইমতিয়াজ নির্দিষ্ট অগ্নি বিমা চুক্তি করেন এবং তিনি বিমাকৃত মূল্যেই ক্ষতিপূরণ পাবেন।
যে অগ্নিবিমাপত্রে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পত্তির বিপক্ষে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ মূল্যের উলেখ থাকে তাকে নির্দিষ্ট বিমাপত্র বলে। এ ধরনের বিমাপত্রের আওতায় ক্ষতি হলে বিমা কোম্পানি বিমাপত্রে উলেখিত পরিমাণ ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে বাধ্য থাকে।
উদ্দীপকের জনাব ইমতিয়াজ একজন পাট ব্যবসায়ী। তিনি মজুতের জন্য পঞ্চাশ হাজার টন পাট ১০ লক্ষ টাকায় ক্রয় করেন। আগামী ১ বছরের জন্য জনাব ইমতিয়াজ উক্ত পাটের ৫ লক্ষ টাকায় একটি বিমাপত্র গ্রহণ করেন।
অর্থাৎ তার গৃহীত বিমাপত্রের বিমাকৃত মূল্য ৫ লক্ষ টাকা। যা মূলত নির্দিষ্ট অগ্নিবিমাপত্রের বৈশিষ্ট্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ইতিমধ্যে আগুনে কিছু পাট পুড়ে বিনষ্ট হয়। তখন ক্ষতির বাজার মূল্য নির্ধারিত হয় ৭.৫০ লক্ষ টাকা।
এক্ষেত্রে জনাব ইমতিয়াজ নির্দিষ্ট বিমাপত্র গ্রহণ করায় ক্ষতির পরিমাণ যাই হোক না কেনো তিনি বিমাকৃত মূল্যেই অর্থাৎ ৫ লক্ষ টাকাই ক্ষতিপূরণ পাবেন। কারণ এ ধরনের বিমাপত্রে বিমা দাবির মূল্য পূর্ব নির্ধারিত থাকায় বাজার মূল্য ক্ষতি পূরণে কোনো প্রভাব ফেলে না।
ঘ উত্তর: অগ্নিবিমা শুধুমাত্র আঅর্থিক প্রতিরক্ষাই সৃষ্টি করে না বরং নিরাপত্তাবোধ ও স্বস্তি প্রতিষ্ঠা করে উক্তির সাথে আমি একমত।
অগ্নিবিমা হলো অগ্নিজনিত ক্ষতির বিপক্ষে আঅর্থিক প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা। এ ধরনের বিমাপত্র ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও সম্পত্তির আঅর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে বিমাগ্রহীতাকে স্বস্তি প্রদান করে।
উদ্দীপকে জনাব ইমতিয়াজ একজন পাট ব্যবসায়ী। তিনি তার মজুত পাটের জন্য একটি অগ্নিবিমাপত্র গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে বিমাকৃত পাটের কিছু ংশ আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হলে তিনি বিমাকারীর নিকট ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। অর্থাৎ তার বিমাকৃত পণ্যের অগ্নিজনিত ক্ষতির বিপক্ষে গৃহীত বিমাপত্রটি আঅর্থিক প্রতিরক্ষা।
উলিখিত সৃষ্ট পরিস্থিতিতে অগ্নি বিমাপত্রটি জনাব ইমতিয়াজের মতো ব্যবসায়ীকে আঅর্থিক ক্ষতিপূরণের নিশ্চয়তা প্রদান করছে। যার ফলে জনাব ইমতিয়াজ ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতেও আঅর্থিক নিরাপত্তা নুভব করেন। যা তাকে আঅর্থিক ক্ষতিতেও স্বস্ত প্রদান করছে। তাই বলা যায়, অগ্নিবিমা শুধু আঅর্থিক প্রতিরক্ষাই সৃষ্টি করে না বরং নিরাপত্তাবোধ ও স্বস্তিও প্রতিষ্ঠা করে।
প্রশ্ন ২৮: মি. মান্নান একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। একই মালিকানাধীনে তার কয়েকটি বাড়ি, দামী আসবাবপত্র ও একটি পেট্রোল পাম্প রয়েছে। তিনি সবসময় ঝুঁকি নিয়ে ভাবেন। তাই একটি বিমাপত্রের আওতায় তিনি তার সকল সম্পদ বিমা করেছেন। হঠাৎ দেশের রাজনৈতিক স্থিরতার কারণে তার পেট্রোল পাম্প আগুনে পুড়ে যায়। তিনি বিমাদাবির নোটিশ প্রদান করলেও বিমাকারী ক্ষতিপূরণে পারগতা প্রকাশ করে। [গুলশান কমার্স কলেজ, ঢাকা]
ক.ঘোষণাযুক্ত বিমাপত্র কী?১
খ.অগ্নিবিমার ক্ষেত্রে নৈতিক ঝুঁকিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয় কেন?২
গ.ঝুঁকি কমাতে মি. মান্নান কী ধরনের বিমাপত্র গ্রহণ করেছেন? ব্যাখ্যা করো।৩
ঘ.মি. মান্নান কি বিমাদাবি পাওয়ার ধিকারী? তোমার উত্তরের স্বপক্ষে যুক্তি দাও।৪
২৮ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: যে বিমাপত্রে বিমাগ্রহীতা গুদামে রক্ষিত সর্বোচ্চ পরিমাণ পণ্যের জন্য বিমাপত্র গ্রহণ করে মোট প্রিমিয়ামের ৭৫% গ্রিম প্রদান করে তাকে ঘোষণাযুক্ত বিমাপত্র বলে।
খ উত্তর: বিমাগ্রহীতার চরিত্র বা পার্শ্ববর্তী লোকজনের কার্যকলাপ থেকে অগ্নিবিমায় নৈতিক ঝুঁকির সৃষ্টি হয়।
লোভের বর্শবর্তী হয়ে নেক সময় বিমাগ্রহীতা নিজের সম্পত্তিতে আগুন লাগিয়ে দাবি আদায়ের চেষ্টা করে। আবার নেক সময় শত্র“তাবশত, রাজনৈতিক আক্রোশ বা ধর্মীয় কারণেও সম্পত্তিতে অগ্নিসংযোগ হয়ে থাকে। তাই অগ্নিবিমায় নৈতিক ঝুঁকির পরিমাণ বেশি। এজন্যই অগ্নিবিমার ক্ষেত্রে নৈতিক ঝুঁকিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়।
গ উত্তর: উদ্দীপকের মি. মান্নান ঝুঁকি কমাতে ভাসমান বিমাপত্র গ্রহণ করেছেন।
একই প্রতিষ্ঠানের একাধিক সম্পত্তি বিভিন্ন স্থানে রক্ষিত বা মজুদ থাকতে পারে। একই বিমাপত্রের আওতায় বিক্ষিপ্তভাবে বস্থানরত সব সম্পত্তি বিমা করা হলে তাকে ভাসমান বিমাপত্র বলে।
উদ্দীপকের মি. মান্নান একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তার মালিকানাধীন কয়েকটি বাড়ি, দামি আসবাবপত্র ও একটি পেট্রোল পাম্প রয়েছে। তার এসব সম্পত্তির ঝুঁকির নিরাপত্তা বিধানে তিনি চিন্তিত। উক্ত ঝুঁকি নিরসনের উপায় হিসেবে তিনি একটি বিমাপত্র গ্রহণ করেছেন।
যাতে তার বিভিন্ন স্থানে রক্ষিত বিভিন্ন সম্পত্তিকে একটি বিমাপত্রের আওতায় আনা হয়েছে। এর ফলে তিনি আলাদা আলাদা বিমাপত্র গ্রহণের ঝামেলা পরিহার করতে পারবেন।
যা ভাসমান বিমাপত্রের বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। তাই বলা যায়, মি. মান্নান তার বিভিন্ন স্থানে রক্ষিত সম্পত্তির ঝুঁকি নিরসনে ভাসমান বিমাপত্র গ্রহণ করেছেন।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকের মি. মান্নানের গৃহীত বিমাচুক্তির বিষয়বস্তুতে রাজনৈতিক ঝুঁকি উলেখ না থাকায় অর্থাৎ প্রত্যক্ষ কারণে ক্ষতি না হওয়ায় তিনি বিমাদাবি পাওয়ার ধিকারী নন।
বিমাকৃত বিষয়বস্তু বিমাচুক্তিতে উলিখিত ঝুঁকি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হলে তাকে প্রত্যক্ষ কারণে ক্ষতি বলে।
উদ্দীপকের মি. মান্নান তার বিভিন্ন স্থানে রক্ষিত বিভিন্ন সম্পত্তিকে একটি বিমাপত্রের আওতায় এনে ভাসমান বিমাপত্র গ্রহণ করেন। এক্ষেত্রে সম্পত্তির সব সম্ভাব্য ঝুঁকিকে আওতাভুক্ত করা হয়েছে।
অর্থাৎ বিমাচুক্তির ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক এবং নৈতিক ঝুঁকিকে বিবেচনা করা হয়েছে। হঠাৎ দেশের রাজনৈতিক স্থিরতার কারণে তার বিমাকৃত পেট্রোল পাম্প আগুনে পুড়ে যায়। তবে বিমা দাবি উত্থাপনে বিমাকারী প্রতিষ্ঠান ক্ষতিপূরণে স্বীকৃতি জানায়।
মি. মান্নার তার বিমাচুক্তিতে সাধারণভাবেই অগ্নি বিমার সম্ভাব্য ঝুঁকিসমূহকে ন্তর্ভুক্ত করেছেন। তবে অগ্নিবিমা চুক্তির ঝুঁকিসমূহের মধ্যে রাজনৈতিক ঝুঁকি ন্তর্ভুক্ত নয়।
তাই মি. মান্নানের সম্পত্তি রাজনৈতিক স্থিরতায় অগ্নি সংযোগ হওয়ায় তা প্রত্যক্ষ কারণ নীতিকে লঙ্ঘন করেছে। আর বিমা প্রতিষ্ঠান প্রত্যক্ষ কারণ ব্যতীত ক্ষতিপূরণে বাধ্য না থাকায় যৌক্তিকভাবেই মি. মান্নান বিমাদাবি গ্রহণের ধিকারী নন।
প্রশ্ন ২৯: জনাব কামরুল গ্যাস চালিত একটি কারখানার মালিক। প্রায় সময়ই এ ধরনের গ্যাসচালিত কারখানায় আগুন লেগে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়। তাই এরূপ পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য তিনি ৫০ লক্ষ টাকার একটি অগ্নিবিমা পত্র গ্রহণ করেন। হঠাৎ নাকাক্সিক্ষতভাবে শত্র“তাবশত তার ২০ লক্ষ টাকার মালামাল পুড়ে যায়। তিনি যথাযথ প্রক্রিয়া বলম্বন করে বিমা দাবি পেশ করেন। কিন্তু বিমাকারী তার বিমা দাবি পরিশোধে পারগতা জানায়। [আইডিয়াল কলেজ, ধানমণ্ডি, ঢাকা]
ক.নৈতিক ঝুঁকি কী?১
খ.‘অগ্নিবিমা ক্ষতিপূরণের চুক্তি’Ñ ব্যাখ্যা করো।২
গ.উদ্দীপকে উলিখিত জনাব কামরুল কোন ধরনের অগ্নি বিমাপত্র গ্রহণ করেছেন? ব্যাখ্যা করো।৩
ঘ.উদ্দীপকে বর্ণিত জনাব কামরুল কি বিমা দাবি পাওয়ার ধিকারী? যুক্তিসহ বিশ্লেষণ করো।৪
২৯ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: বিমাগ্রহীতার চরিত্র বা পার্শ্ববর্তী লোকদের কার্যকলাপ থেকে সৃষ্ট বিপদের ঝুঁকিকেই নৈতিক ঝুঁকি বলে।
খ উত্তর: অগ্নিবিমা হলো অগ্নিজনিত ক্ষতির বিপক্ষে আঅর্থিক প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা। এ কারণে তা নিঃসন্দেহে ক্ষতিপূরণের চুক্তি।
অগ্নিকাণ্ডের ফলে বিমাকৃত সম্পত্তি নষ্ট হলে চুক্তি অনুযায়ী বিমাকারী আঅর্থিক ক্ষতিপূরণে বাধ্য থাকে। এক্ষেত্রে ক্ষতি সম্পূর্ণ বা আংশিক যাই হোক না কেন বিমা কোম্পানি আনুপাতিক হারে ক্ষতিপূরণ করে থাকে। তাই অগ্নি বিমা ক্ষতিপূরণের চুক্তি।
গ উত্তর: উদ্দীপকের জনাব কামরুল অগ্নিবিমার ন্তর্গত মূল্যায়িত বিমাপত্র গ্রহণ করেছিলেন।
এ বিমাপত্রে বিমাকৃত বিষয়বস্তুর মূল্য পূর্বেই নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। ফলে দুর্ঘটনার পর ক্ষতির পরিমাণ মূল্যায়ন করতে হয় না। সম্পত্তি মূল্য যাই হোক না কেন বিমাগ্রহীতা সম্পূর্ণ ক্ষতিতে পূর্বনির্ধারিত মূল্যেই ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারে।
উদ্দীপকের জনাব কামরুল একটি গ্যাস চালিত কারখানার মালিক। দুর্ঘটনা মোকাবেলার জন্য তিনি ৫০ লক্ষ টাকার একটি বিমাপত্র গ্রহণ করেন। অর্থাৎ এক্ষেত্রে জনাব কামরুলের গৃহীত বিমাপত্রে বিষয়বস্তুর মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ লক্ষ টাকা।
আর অগ্নিবিমার মূল্যায়িত বিমাপত্রেই মূলত বিষয়বস্তুর মূল্য পূর্বে নির্ধারিত হয়। তাই বলা যায়, জনাব কামরুলের বিমাপত্রটি একটি মূল্যায়িত অগ্নিবিমাপত্র।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে প্রত্যক্ষ কারণে ক্ষতি সংঘটিত না হওয়ায় জনাব কামরুল বিমা দাবি পাবেন না।
বিমাপত্রে কোন কোন কারণে সৃষ্ট ঝুঁকির ক্ষতিপূরণ করা হবে তার সুস্পষ্ট উলেখ থাকে। উক্ত কারণে দুর্ঘটনা ঘটলেই কেবল বিমাকারী ক্ষতিপূরণ করে।
উদ্দীপকের জনাব কামরুল একটি গ্যাসচালিত কারখানার মালিক। দুর্ঘটনা মোকাবেলার জন্য তিনি ৫০ লাখ টাকার একটি বিমাপত্র গ্রহণ করেন। শত্র“তাবশত তার ২০ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে যায়। বিমা কোম্পানি তার ক্ষতিপূরণ পরিশোধে পারগতা জানায়।
জনাব কামরুল অগ্নিজনিত ঝুঁকি থেকে রক্ষার জন্য মূল্যায়িত বিমাপত্র গ্রহণ করেছেন। অগ্নিজনিত দুর্ঘটনা ঘটা সাপেক্ষে তিনি ক্ষতিপূরণ পাবেন। কিন্তু তার শত্র“পক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে তার কারখানায় আগুন দেয়।
যা বিমাচুক্তির প্রত্যক্ষ কারণ হিসেবে উলেখ ছিল না। তাই বিমা চুক্তি নুযায়ী তিনি ক্ষতিপূরণ পাবেন না। তাই জনাব কামরুল ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকারী নন।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
প্রশ্ন ৩০: আকিজ কোম্পানির গুদামে ৫ লক্ষ টাকা মূল্যের পণ্যের উপর বিমা করা হয়। অগ্নিকাণ্ডে প্রতিষ্ঠানটির ১,৫০,০০০ টাকা পণ্যের ক্ষতি হয়। অগ্নিকাণ্ডের সময় উক্ত পণ্যের বাজার মূল্য ছিল ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। বিমাদাবি পূরণের পর উদ্ধারকৃত পণ্য বিমা কোম্পানি নিয়ে যায়। [সফিউদ্দীন সরকার একাডেমী এন্ড কলেজ, গাজীপুর; ; চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আন্তঃকলেজ]
ক.বাড়তি বিমাপত্র কাকে বলে?১
খ.কোন ধরনের সম্পত্তির বিমায় নৈতিক ঝুঁকির মাত্রা বেশি থাকে? ব্যাখ্যা করো।২
গ.গড়পড়তা পদ্ধতিতে আকিজ কোম্পানির বিমা দাবি নির্ণয় করো।৩
ঘ.উদ্ধারকৃত পণ্য বিমা কোম্পানির নিয়ে যাওয়ার কারণ বিশ্লেষণ করো।৪
৩০ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: গুদামে রক্ষিত গড় পরিমাণ পেক্ষা তিরিক্ত পণ্যের জন্য যে অগ্নিবিমাপত্র গ্রহণ করা হয় তাকে বাড়তি বিমাপত্র বলে।
খ উত্তর: অগ্নিবিমায় নৈতিক ঝুঁকির মাত্রা বেশি থাকে।
নৈতিক ঝুঁকি বলতে বিমাগ্রহীতার চরিত্র বা পার্শ্ববর্তী লোকদের কার্যকলাপ থেকে সৃষ্ট ঝুঁকিকে বোঝায়। প্রাকৃতিক ঝুঁকির মতো এ ঝুঁকি নুমান করা এক্ষেত্রে প্রায়শই সম্ভব।
পণ্য গুদাম বিমা করে পণ্য সরিয়ে আগুন লাগানো ও ক্ষতিপূরণ আদায় এরূপ বিমায় সম্ভব নয়। তাই এ ধরনের সম্পত্তি বিমায় বিমাগ্রহীতার চরিত্র, সততা ইত্যাদি বিশেষভাবে বিবেচনায় আনা হয়।
গ উত্তর: গড়পড়তা পদ্ধতিতে আকিজ কোম্পানির বিমাদাবি নির্ণয় :
আমরা জানি,
বিমা দাবি = বিমাপত্রের মল্য বা বিমাকৃত ঙ্কদুর্ঘটনাকালে স¤ক্সত্তির প্রকৃত মল্য ক্ষতির পরিমাণ
এখানে,
বিমাপত্রের মূল্য = ৫,০০,০০০ টাকা
দুর্ঘটনাকালে সম্পত্তির প্রকৃত মূল্য = ৩,৬০,০০০ টাকা
ক্ষতির পরিমাণ = ১,৫০,০০০ টাকা
বিমা দাবি = ৫০০০০০৩৬০০০০ ১,৫০,০০০
= ১.৩৮৮৯ ১,৫০,০০০ টাকা
= ২,০৮,৩৩৫ টাকা
অর্থাৎ গড়পড়তা পদ্ধতিতে আকিজ কোম্পানির বিমা দাবি ২,০৮,৩৩৫ টাকা।
উত্তর : ২,০৮,৩৩৫ টাকা।
ঘ উত্তর: বিমা চুক্তির স্থলাভিষিক্তকরণ নীতির কারণে উদ্দীপকে বিমা কোম্পানি উদ্ধারকৃত পণ্য নিয়ে যায়।
ক্ষতি সংঘটনের পর বিমাকারী তা সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ করে কিছু ংশ উদ্ধার করতে পারলে তার মালিকানা বিমাকারী লাভ করে। এ নীতিকে স্থলাভিষিক্ততার নীতি বলে।
উদ্দীপকের আকিজ কোম্পানি গুদামে রক্ষিত ৫ লক্ষ টাকা মূল্যের পণ্যের জন্য একটি বিমাপত্র গ্রহণ করে। পরবর্তীতে অগ্নিকাণ্ডে প্রতিষ্ঠানটির ১.৫০ লক্ষ টাকা পণ্যের ক্ষতি হয়।
তবে সে সময়ে উক্ত পণ্যের বাজার মূল্য ছিল ৩.৬০ লক্ষ টাকা। আকিজ কোম্পানি দ্বারা বিমা দাবি উত্থাপনে বিমা কোম্পানি দাবি পরিশোধ করে। তবে বিমা দাবি পূরণের পর উদ্ধারকৃত পণ্য বিমা কোম্পানি নিয়ে যায়।
উলিখিত ঘটনায় বিমা কোম্পানি স্থলাভিষিক্তকরণ নীতি নুসরণ করেছে। অর্থাৎ সম্পূর্ণ বিমা দাবি পরিশোধে সম্পত্তির উদ্ধারকৃত ংশের মালিক বিমা কোম্পানি।
এক্ষেত্রে বিমা দাবি পরিশোধের মাধ্যমে সম্পত্তির মালিকানা পরিবর্তিত হয়েছে। তাই উদ্ধারকৃত পণ্য বিমা চুক্তির পরিহার্য শর্ত স্থলাভিষিক্তকরণ নীতি নুযায়ী বিমা কোম্পানির নিয়ে যাওয়া যথাঅর্থ হয়েছে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।