পঞ্চম শ্রেণি | হিন্দুধর্ম | অধ্যায় ২ | গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর | PDF: পঞ্চম শ্রেণির হিন্দুধর্ম বিষয়টির ২য় অধ্যায়টি হতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে। অতএব সম্পূর্ণ পোস্টটি মনযোগ সহকারে পড়ুন।
দ্বিতীয় অধ্যায়
ঈশ্বরের স্বরূপ এবং উপাসনা ও প্রার্থনা
অনুশীলনীর প্রশ্ন ও সমাধান
ক. শূন্যস্থান পূরণ কর :
১। ঈশ্বরের কোনো ————— নেই।
২। ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শিব, দুর্গা, সরস্বতী, ল²ী প্রভৃতি দেবদেবী একই ————— বিভিন্ন রূপ।
৩। ব্রহ্মা ————— করেন।
৪। ————— পালনকর্তা।
৫। বামন ————— অবতারের অন্যতম।
৬। পরশু হাতে থাকায় ভৃগুরামের নাম হলো —————।
উত্তর : ১। আকার ২। ঈশ্বরের ৩। সৃষ্টি ৪। বিষ্ণু ৫। দশ ৬। পরশুরাম।
খ. ডান পাশ থেকে শব্দ এনে বাম পাশের শব্দের সঙ্গে মেলাও :
১। ঈশ্বরের সাকার রূপ—————দুষ্টের দমন করেন।
২। দেব-দেবীদের সন্তুষ্ট করার জন্য —————দেব-দেবী।
৩। অবতাররূপে ঈশ্বর —————সন্তুষ্ট হন।
৪। যিনি ব্রহ্ম, তিনিই —————পূজা করা হয়।
৫। উপাসনা করলে————— দেব-দেবী ইন্দ্র।
—————ঈশ্বর।
উত্তর :
১। ঈশ্বরের সাকার রূপ দেব-দেবী।
২। দেব-দেবীদের সন্তুষ্ট করার জন্য পূজা করা হয়।
৩। অবতাররূপে ঈশ্বর দুষ্টের দমন করেন।
৪। যিনি ব্রহ্ম, তিনিই ঈশ্বর।
৫। উপাসনা করলে দেব-দেবী সন্তুষ্ট হন।
গ. সঠিক উত্তরটির পাশে টিক () চিহ্ন দাও :
১। ঈশ্বরের সাকার রূপ কী?
ক. ভগবান
খ. দেব-দেবী
গ. গ্রহ
ঘ. নক্ষত্র
২। ‘সর্বং খল্বিদং ব্রহ্ম’ কথাটি কোন গ্রন্থে বলা হয়েছে?
ক. উপনিষদে
খ. রামায়ণে
গ. মহাভারতে
ঘ. ভাগবতে
৩। বিষ্ণুর অবতার কয়টি?
ক. আটটি
খ. নয়টি
গ. দশটি
ঘ. এগারোটি
৪। প্রহ্লাদের পিতার নাম কী?
ক. হিরণ্যাক্ষ
খ. সত্যব্রত
গ. হিরণ্যকশিপু
ঘ. গৌতমবুদ্ধ
৫। ‘পরশু’ শব্দের অর্থ কী?
ক. লাঙল
খ. খড়্গ
গ.ক্র
ঘ. কুঠার
ঘ. নিচের প্রশ্নগুলোর সংক্ষেপে উত্তর দাও :
১। ব্রহ্ম কাকে বলে?
উত্তর : ঈশ্বর যখন নিরাকার, তখন তাঁকে ব্রহ্ম বলা হয়।
২। ঈশ্বর যখন কোনো রূপ ধারণ করেন তখন তাঁকে কী বলে?
উত্তর : ঈশ্বর যখন কোনো রূপ ধারণ করেন তখন তাঁকে দেবতা বা দেব-দেবী বলা হয়।
৩। ব্রহ্মা কীসের দেবতা?
উত্তর : ব্রহ্মা সৃষ্টির দেবতা?
৪। অবতাররূপে পৃথিবীতে আসার পর ঈশ্বরের প্রধান কাজ কী?
উত্তর : অবতাররূপে পৃথিবীতে আসার পর ঈশ্বরের প্রধান কাজ হলো অশান্তি দূর করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।
৫। রাম কেন বনে গমন করেছিলেন?
উত্তর : পিতৃসত্য পালনের জন্য রাম বনে গমন করেছিলেন।
ঙ. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
১। ব্রহ্ম ও ঈশ্বর বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : ঈশ্বর নিরাকার, তবে তিনি যেকোনো আকার ধারণ করতে পারেন। ঈশ্বর যখন নিরাকার, তখন তাঁকে বলা হয় ব্রহ্ম। ব্রহ্ম সকল জীব ও জগতের উপর প্রভুত্ব করেন। তাই ব্রহ্মের আরেক নাম ঈশ্বর। ব্রহ্ম সকল প্রাণের উৎসস্বরূপ। তাঁর থেকেই জগতের সৃষ্টি। ধর্মগ্রন্থ উপনিষদে বলা হয়েছে ‘সর্বং খল্বিদং ব্রহ্ম’ অর্থাৎ, সবকিছুই ব্রহ্ম বা ঈশ্বর। সুতরাং ব্রহ্ম, ঈশ্বর আলাদা কিছু নয়। একই ঈশ্বরের ভিন্ন নাম।
২। ঈশ্বর ও দেব-দেবীর সম্পর্ক ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : আমরা জানি, ঈশ্বরের কোনো আকার নেই। তিনি নিরাকার। তবে তিনি যেকোনো রূপে নিজেকে প্রকাশ করতে পারেন। ঈশ্বরের কোনো গুণ বা ক্ষমতা যখন আকার বা রূপ পায় তখন তাঁকে দেবতা বা দেব-দেবী বলে। যেমন- ঈশ্বর যে রূপে সৃষ্টি করেন তাঁর নাম ব্রহ্মা। যে রূপে তিনি পালন করেন তাঁর নাম বিষ্ণু। দেব-দেবীর পূজা বা আরাধনা করলে তাঁরা সন্তুষ্ট হন। তাঁরা সন্তুষ্ট হলে ঈশ্বর সন্তুষ্ট হন। সুতরাং দেব-দেবীর পূজার মাধ্যমে ঈশ্বরেরই পূজা করা হয়।
৩। অবতার বলতে কী বোঝায়? সংক্ষেপে লেখ।
উত্তর : শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন- “পৃথিবীতে যখনই ধর্মের গøানি হয় ও অধর্ম বেড়ে যায়, তখনই আমি নিজেকে সৃষ্টি করি”। সাধুদেব পরিত্রাণ, দুষ্কৃতিকারীদের বিনাশ এবং ধর্ম সংস্থাপনের জন্য আমি যুগে যুগে অবতীর্ণ হই। পৃথিবীতে ঈশ্বরের এরূপ অবতীর্ণ হওয়াকে অবতার বলে।
৪। পরশুরাম অবতারের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
উত্তর : ত্রেতা যুগে অত্যাচারী ক্ষত্রিয়রাজা কার্তবীর্যের নির্যাতন থেকে মুক্তি পাবার জন্য মহর্ষি ঋচীক ভগবান বিষ্ণুর তপস্যা করেন। তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে ভৃগুরাম নামে বিষ্ণু ঋচীকের পৌত্ররূপে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মহাদেবের উপাসক ছিলেন বলে মহাদেব তাঁকে অস্ত্র হিসেবে একটি কুঠার বা পরশু দান করেন।
অত্যাচারী রাজা কার্তবীর্য একদা পরশুরামের পিতাকে হত্যা করেন। পরশুরাম পিতৃহত্যার প্রতিশোধের জন্য কার্তবীর্যকে হত্যা করেন এবং ক্ষত্রিয়দের ধ্বংস করে পৃথিবীতে শান্তি ফিরিয়ে আনেন।
৫. শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার অবতার সম্পর্কিত শ্লোকটি সরলার্থসহ লেখ।
উত্তর : শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার অবতার সম্পর্কিত শ্লোকটি হলো-
যদা যদা হি ধর্মস্য গøানির্ভবতি ভারত।
অভ্যুত্থানমধর্মস্য তদাত্মানং সৃজাম্যহম্ \
পরিত্রাণায় সাধূনাং বিনাশায় চ দুষ্কৃতাম্ ।
ধর্মসংস্থাপনার্থায় সম্ভবামি যুগে যুগে \
সরলার্থ : পৃথিবীতে যখনই ধর্মের গøানি হয় ও অধর্ম বেড়ে যায়, তখনই আমি নিজেকে সৃষ্টি করি। সাধুদের পরিত্রাণ, দুষ্কৃতিকারীদের বিনাশ এবং ধর্ম সংস্থাপনের জন্যও আমি যুগে যুগে অবতীর্ণ হই।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর
সাধারণ
ভমিকা
১. ‘অন্ত’ শব্দের অর্থ কী?
ক. অনন্ত খ. শুরু গ. প্রথম ঘ. শেষ
২. সকল প্রাণের উৎস কে?
ক.শিব খ. ব্রহ্ম গ. রাম ঘ. বিষ্ণু
৩. আমাদের জীবন-মৃত্যু সবকিছুর মূলে কে?
ক.ব্রহ্ম খ.বিষ্ণু গ. ঈশ্বর ঘ. রাম
৪.গত সৃষ্টির মূলে কে?
ক. ব্রহ্ম খ. বিষ্ণু গ. শিব ঘ. কৃষ্ণ
৫. সকল জীবকে কী জ্ঞানে সেবা করা কর্তব্য?
ক. ব্রহ্মজ্ঞানে
খ. বিষ্ণুজ্ঞানে
গ. কৃষ্ণজ্ঞানে
ঘ. শিবজ্ঞানে
ঈশ্বরের সাকার রূপ
৬. বিদ্য অজর্ন করতে তোমাকে কোন দেবীর পূজা করতে হবে?
ক. দুর্গা খ. লক্ষী গ. সরস্বতী ঘ. মনসা
৭. ঈশ্বর কী রূপে লালন-পালন করেন?
ক.দুর্গা খ. বিষ্ণু গ. গণেশ ঘ. শিব
৮. নিরাকার হলেও কে যে কোনো আকার ধারণ করতে পারেন?
ক. ঈশ্বর খ. ব্রহ্মা গ. বিষ্ণু ঘ. শিব
৯. ঈশ্বরের কোনো গুণ বা ক্ষমতা যখন আকার বা রূপ পায় তখন তাকে কী বলে?
ক. ব্রাহ্মণ
খ. অবতার
গ. দেবী
ঘ. দেবতা
১০. দেব-দেবীর মধ্য দিয়ে কার শক্তির প্রকাশ ঘটে?
ক. শিবের
খ. ঈশ্বরের
গ. ব্রহ্মার
ঘ. দুর্গার
১১. ঈশ্বর যে রূপে লালন-পালন করেন তাঁর নাম কী?
ক. সরস্বতী
খ. দুর্গা
গ. ব্রহ্মা
ঘ. বিষ্ণু
১২. ঈশ্বরের শক্তির প্রকাশ ঘটেছে কোন দেবীর মধ্য দিয়ে?
ক. মনসার
খ. লক্ষী
গ. দুর্গার
ঘ. সরস্বতীর
১৩. ঈশ্বর কখন অবতাররূপে পৃথিবীতে অবতরণ করেন?
ক. পৃথিবীতে দুর্যোগ দেখা দিলে
খ. ধর্মের গ্লানি হলে
গ. মানুষের খাদ্যাভাব দেখা দিলে
ঘ. ঈশ্বর আরাধনা বেশি হলে
দশ অবতারের পরিচয়
১৪. ভগবান বিষ্ণু যুগে যুগে নিজেকে কয়টি রূপে প্রকাশ করেছেন?
ক. ৬ টি
খ. ৮ টি
গ. ১০ টি
ঘ. ১২ টি
১৫. মৎস্য, কর্ম, বরাহ এদের পরিচয় কী?
ক. এরা ভগবানের অংশ বিশেষ
খ. এরা স্বয়ং ভগবান
গ. এরা শক্তির দেবতা
ঘ. এরা শান্তির দূত
মৎস্য অবতারের পরিচয়
১৬. মৎস্য অবতার অবতরণ করেন কোন রাজার আমলে?
ক. রাজা জমদগ্নির
খ. রাজা ঋচীকের
গ. রাজা দশরথের
ঘ. রাজা সত্যব্রতের
১৭. বিষ্ণুর আরেক নাম কী?
ক. রাম খ. নারায়ণ গ. বিশ্বকর্মা ঘ. ব্রহ্মা
১৮. রাজা সত্যব্রতের নিকট কী এসে প্রাণ ভিক্ষা চায়?
ক. কৈ মাছ
খ. রুই মাছ
গ. পুঁটি মাছ
ঘ. মলা মাছ
১৯. পুঁটি মাছের আকৃতি বৃদ্ধি দেখে রাজা কী করলেন?
ক. মাছটির স্তব-স্তুতি শুরু করলেন
খ. মাছটি বিক্রি করে দিলেন
গ. মাছটি খেয়ে ফেললেন
ঘ. মাছটি মেরে ফেললেন
২০. পুঁটি মাছটির প্রকৃতি পরিচয় কী ছিল?
ক. মাছটি ছিল ক‚র্ম অবতার
খ. মাছটি ছিল মৎস্য অবতার
গ. মাছটি ছিল বরাহ অবতার
ঘ. মাছটি ছিল নৃসিংহ অবতার
২১. মৎস্যরূপী নারায়ন কতদিনের মধ্যে জগতের প্রলয়ের কথা বললেন?
ক. ৫ দিন
খ. ৬ দিন
গ. ৭ দিন
ঘ. ৮ দিন
২২. মৎস্য অবতার রাজার ঘাটে কীরূপ তরী ভিড়ার কথা বললেন? জ
ক. রূপাতরী
খ. হীরাতরী
গ. স্বর্ণতরী
ঘ. মুক্তাতরী
কর্ম অবতার
২৩. অসুরদের পরাজিত করার জন্য শ্রীবিষ্ণু কোন সাগর মন্থনের পরামর্শ দিয়েছিলেন?
ক. নিরোদ খ. সরোদ গ. ক্ষিরোদ ঘ. ভারত
২৪. ব্রহ্ম ও ইন্দ্র নিপীড়িত দেবতাদের নিয়ে কার কাছে গেলেন?
ক. শ্রীকৃষ্ণের
খ. শ্রীবিষ্ণুর
গ. শিবের
ঘ. রামের
২৫. শ্রীবিষ্ণু দেবতাদের কী পান করে অসুরদের পরাজিক করার কথা বললেন?
ক. পানি
খ. অমৃত
গ. মধু
ঘ. ফলের রস
২৬. শ্রীবিষ্ণু কোন রূপে মন্দ পর্বতকে নিজের পিঠে ধারন করলেন?
ক. মাছ
খ. কচ্ছপ
গ. কচ্ছপ
ঘ. কুমির
বরাহ অবতার
২৭. শ্রীবিষ্ণু কীরুপে পৃথিবীকে সাগরে ডুবে যাওয়া থেকে রক্ষা করলেন?
ক. কর্মরূপে
খ. মৎসরূপে
গ. বলরামরূপে
ঘ. বরাহরূপে
২৮. শ্রীবিষ্ণু বরাহরূপে আবিভর্ত হয়ে পৃথিবীকে রক্ষা করতে কী ব্যবহার করেন?
ক. তার বিশাল হাত
খ. তার বিশাল দাঁত
গ. হাতে থাকা লাঙল
ঘ. বড় তরী
২৯. বরাহরূপী শ্রীবিষ্ণু কোন দৈত্যরাজকে হত্যা করে পৃথীবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেন?
ক. হিরণ্যকশিপু
খ. হিরণ্যাক্ষ
গ. প্রহ্লাদ
ঘ. বলি
নৃসিংহ অবতার [ পৃষ্ঠা নং- ১৩ ]
৩০. হিরণ্যকশিপুর ভাইয়ের নাম কী ছিল?
ক. হিরণ্যাক্ষশিপু
খ. হিরণ্যাক্ষ
গ. হিরণ্যাশিপু
ঘ হিরণ্যা
৩১. হিরণ্যকশিপু কে ছিলেন?
ক. দেবতা
খ. দৈত্যরাজ
গ. বিষ্ণু অবতার
ঘ. দৈত্যরাজের ছেলে
৩২. হিরণ্যকশিপু ছেলের নাম কী ছিল?
ক. ঝুটন
খ. প্রদীপ
গ. নারায়ণ
ঘ. প্রহ্লাদ
৩৩. প্রহ্লাদ কার ভক্ত ছিল?
ক. কৃষ্ণের
খ. রামের
গ. শিবের
ঘ. বিষ্ণুর
৩৪. শ্রীবিষ্ণু কোথায় থেকে বের হয়ে হিরণ্যকশিপুকে হত্যা করল?
ক. স্তম্ভের ভিতর থেকে
খ. গাছের ভিতর থেকে
গ. পাহাড়ের ভিতর থেকে
ঘ. বনের ভিতর থেকে
৩৫. ‘নৃ’ শব্দের অর্থ কী?
ক. দেব
খ. দেবী
গ. মানুষ
ঘ. অবতার
৩৬. শ্রীবিষ্ণু কী হিরণ্যকশিপুর বক্ষ বিদীর্ণ করেছিলেন?
ক. হাত
খ. নখ
গ. দাঁত
ঘ. তরবারি
বামন অবতার
৩৭. বামন অবতার বলি রাজার কাছে কী চাইলেন?
ক. স্বর্গরাজ্য
খ. মর্ত্য
গ. ত্রিপাদ ভমি
ঘ. দ্বিপাদ ভমি
৩৮. অসুর রাজা বলির কী গুণ ছিল?
ক. দেবতাদের ভালোবাসতেন
খ. দান করতেন
গ. মানুষকে খাওয়াতেন
ঘ. গাছপালা লাগাতেন
৩৯. বামনরূপী ভগবান তাঁর তৃতীয় পা কোথায় রাখলেন?
ক. বলির ঘাড়ের ওপর
খ. বলির মাথার ওপর
গ. বলির হাতের ওপর
ঘ. বলির পিঠের ওপর
পরশুরাম অবতার
৪০. পরশুরাম অবতার কোন যুগে অবতরণ করেন?
ক. কলি যুগে খ. সত্য যুগে গ. দ্বাপর যুগে ঘ. ত্রেতা যুগে
৪১. পরশুরামের পিতার নাম কী?
ক. ভৃগুরাম খ. ঋচীক. গ. সত্যব্রত ঘ. জমদগ্নি
৪২. রাম অবতার কোন যুগে অবতরণ করেন?
ক. ত্রেতা যুগে
খ. দ্বাপর যুগে
গ. সত্য যুগে
ঘ. কলি যুগে
৪৩. ত্রেতা যুগে কার্তবীর্যের নেতৃত্বে কারা খুব অত্যাচারী হয়ে ওঠেছিল?
ক. ব্রাহ্মণরা
খ. ক্ষত্রিয়রা
গ. বৈশ্যরা
ঘ. শূদ্ররা
৪৪. ভৃগুরাম কে ছিলেন?
ক. কার্তবীর্যের পৌত্র
খ. দ্বাপর যুগে
গ. বিষ্ণু ঋচীকের পৌত্র
ঘ. কলি যুগে
৪৫. ভৃগুরাম কার উপাসনা করতেন?
ক. রামের
খ. কৃষ্ণের
গ. হরির
ঘ. মহাদেবের
৪৬. পরশু শব্দের অর্থ কী?
ক. কুঠার
খ. তরবারি
গ. তরবারি
ঘ. চক্র
৪৭. পরশুরাম কতবার ক্ষত্রিয়দের যুদ্ধে পরাজিত করেন? জ
ক. ষোলবার
খ. আঠারবার
গ. একুশবার
ঘ. পঁচিশবার
রাম অবতার [ পৃষ্ঠা নং- ১৬ ]
৪৮. রাম অবতার কোন যুগে অবতরণ করেন?
ক. ত্রেতা যুগে
খ. দ্বাপর যুগে
গ. সত্য যুগে
ঘ. কলি যুগে
৪৯. কাকে বধ করার জন্য শ্রীবিষ্ণু রামরূপে পৃথিবীতে অবতরণ করেছিলেন?
ক. কার্তবীর্য
খ. রাবন
গ. বলি
ঘ. হিরণ্যকশিপু
৫০. শ্রীবিষ্ণু কার পুত্ররূপে রাম নামে পৃথিবীতে আবির্ভূত হন?
ক. রাজা দশরথ
খ. রাজা বলবীর
গ. রাজা হারাধন
ঘ. রাজা অসীম
৫১. বন থেকে কে সীতাকে হরণ করে?
ক. রাবন
খ. দশরথ
গ. কার্তবীর্য
ঘ. বলি
বলরাম অবতার
৫২. বলরাম কোন যুদ্ধে শ্রেষ্ঠ বীর ছিলেন?
ক. মল্লযুদ্ধে
খ. দৈত যুদ্ধে
গ. গদাযুদ্ধে
ঘ. কুরুক্ষেত্রযুদ্ধে
৫৩. শ্রীবিষ্ণু কোন যুগে বলরাম রূপে অবতীর্ণ হন?
ক. ত্রেতা যুগে
খ. কলি যুগে
গ. সত্য যুগে
ঘ. দ্বাপর যুগে
৫৪. বলরাম শ্রীকৃষ্ণের কী হন?
ক. বাবা
খ. বড় ভাই
গ. মামা
ঘ. ঘোট ভাই
৫৫. বলরাম কী দিয়ে অত্যাচারীকে শাস্তি দিতেন?
ক. তলোয়ার
খ. খাবুক
গ. লাঙল
ঘ. গদা
বুদ্ধ অবতার [ পৃষ্ঠা নং- ১৮ ]
৫৬. বুদ্ধ অবতার কখন জন্ম গ্রহণ করেন?
ক. খ্রিষ্ট্রপূর্ব পঞ্চম শতকে
খ. খ্রিষ্ট্রপূর্ব ষষ্ঠ শতকে
গ. খ্রিষ্ট্রপূর্ব সপ্তম শতকে
ঘ. খ্রিষ্ট্রপূর্ব অষ্টম শতকে
৫৭. শ্রীবিষ্ণু গৌতম নামে কার ঘরে জন্ম গ্রহণ করেন?
ক. শুদ্ধোদনের
খ. দশরথের
গ. বিষ্ণু ঋচীকের
ঘ. জমদগ্নির
৫৮. গৌতম বুদ্ধ কীভাবে মানুষকে শান্তির পথ দেখান?
ক. যুদ্ধ না করতে বলে
খ. শান্তির বাণী প্রচার করে
গ. মানব সেবা করে
ঘ. দানের কথা বলে
কঙ্কি অবতার [ পৃষ্ঠা নং- ১৯ ]
৫৯. শ্রীবিষ্ণু কল্কি অবতাররূপে আবির্ভূত হবেন কবে?
ক. কলিযুগের শেষপ্রান্তে
খ. কলিযুগের শুরুতে
গ. ত্রেতাযুগের শেষে
ঘ. ত্রেতাযুগের শুরুতে
৬০. কলির শেষপ্রান্তে অন্যায় দমন করতে কে আর্বিভ‚ত হবেন?
ক. রাম
খ. বলরাম
গ. শ্রীবিষ্ণু
ঘ. সিংহ অবতার
৬১. শ্রীবিষ্ণু কী দিয়ে অত্যাচারীদের দমন করবেন?
ক. গদা খ. খড়গ. গ. তলোয়ার ঘ. চক্র
যোগ্যতাভিত্তিক
শিখনফল : ঈশ্বরের পাবার উপায় জানব।
৬২. প্রশান্ত ঈশ্বরকে ভালোবাসতে চায়। এজন্য তাকে যা করতে হবে
ক. ধর্মগ্রন্থ পাঠ করতে হবে
খ. পূজা করতে হবে
গ. জীবকে ভালোবাসতে হবে
ঘ. ঈশ্বর নাম জপ করতে হবে
শিখনফল : শ্রীকৃষ্ণের জীবন সম্পর্কে জানতে পারব।
৬৩. শ্রীবিষ্ণুর দশ রূপের মাঝে শ্রীকৃষ্ণের অবস্থান নেই কেন?
ক. শ্রীকৃষ্ণের স্বয়ং ভগবান বলে
খ. শ্রীকৃষ্ণের ক্ষমতা কম বলে
গ. শ্রীকৃষ্ণের কালো রূপ বলে
ঘ. শ্রীকৃষ্ণ শ্রীবিষ্ণুর চেয়ে বড় বলে
শিখনফল : বরাহ অবতার সসম্পর্কে জানতে পারব।
৬৪. বাসন্তীপুর গ্রামটি গতবারে বন্যায় তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু কোনো এক অবতার তাঁর দাঁত দিয়ে গ্রামটিকে জলের উপরে তুলে রক্ষা করেন। এখানে কোন অবতারকে বোঝানো হয়েছে? জ
ক. মৎস্য অবতার
খ. কর্ম অবতার
গ. বরাহ অবতার
ঘ. নৃসিংহ অবতার
শিখনফল : নৃসিংহ অবতারের ঘটনা জানতে পারব।
৬৫. চেয়ারম্যান সুবোধ রাস বিপ্লবকে তার অপরাধের জন্য শাস্তি দেন। বিপ্লবের ভাই জয়ন্ত ভাইয়ের শাস্তির কথা শুনে খুব ক্রুদ্ধ হলেন। এখানে জয়ন্ত চরিত্রের সাথে সাদৃশ্য রয়েছে-
ক. রাবনের
খ. হিরণ্যকশিপুর
গ. কার্তবীর্যের
ঘ. বলির
৬৬. হিরণ্যকশিপু তার ছেলের ওপর রেগেছিল কেন?
কেলের বিষ্ণুভক্তির জন্য
খেলে পড়াশুনা না করার জন্য
গেলের ওষুধ না খাওয়ার জন্য
ঘেলের মাতৃভক্তির জন্য
শিখনফল : অবতারদের জীবনী পড়ে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারব।
৬৭. অবতারদের জীবনী থেকে আমরা কী শিক্ষা পাই?
ক. অসুরদের বধ করার
খ. প্রয়োজনে দুষ্টদের দমন করার
গ. শ্রীবিষ্ণুকে ভক্তি করার
ঘ. ধর্ম পালন করার
শিখনফল : ঈশ্বরের শক্তি সমন্ধে জানতে পারব।
৬৮. ঈশ্বর এক ও অদ্বিতীয়। তাঁর অনন্ত শক্তি। এখানে অনন্ত বলতে কী বুঝানো হয়েছে?
ক. যার শেষ নেই
খ. যার শেষ আছে
গ. যার জ্ঞান সীমিত
ঘ. যার গুণ সীমিত
শিখনফল : অবতারের কাজ সম্পর্কে জানতে পারব।
৬৯. অবতারের কোন কাজটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে কর?
ক. মানুষকে দেখাশুনা করা
খ. শান্তি প্রতিষ্ঠা করা
গ. ভালো মানুষকে রক্ষা করা
ঘ. ধর্ম পুনঃস্থাপন করা
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
১. শ্রীকৃষ্ণের বড় ভাই কে ছিলেন?
উত্তর : শ্রীকৃষ্ণের বড় ভাই ছিলেন বলরাম। তিনি ছিলেন শ্রীবিষ্ণুর অবতার।
২. ঈশ্বরের গুণ বা ক্ষমতার আকারকে কী বলে?
উত্তর : ঈশ্বরের গুণ বা ক্ষমতার আকারকে দেব-দেবী বলে।
৩. কোথায় দেব-দেবীর পূজা করার পদ্ধতি বর্ণনা করা হয়েছে?
উত্তর : বেদ, পুরাণে দেব-দেবীর পূজা করার পদ্ধতি বর্ণনা করা হয়েছে।
৪. শ্রীবিষ্ণুর প্রথম অবতারের নাম কী?
উত্তর : শ্রীবিষ্ণুর প্রথম অবতারের নাম মৎস্য অবতার।
৫. বলরাম অবতার অন্য কী নামে পরিচিত ছিলেন?
উত্তর : বলরাম অবতার হলধর নামে পরিচিত ছিলেন।
৬. গৌতম বুদ্ধের পিতার নাম কী?
উত্তর : গৌতম বুদ্ধের পিতার নাম শুদ্ধোদন।
৭. ভগবান বিষ্ণুর দশম অবতারের নাম কী?
উত্তর : ভগবান বিষ্ণুর দশম অবতার হলো কল্কি অবতার।
৮. কল্কি অবতারের হাতে অস্ত্র হিসেবে কী থাকবে?
উত্তর : কল্কি অবতারের হাতে অস্ত্র হিসেবে খড়্গ থাকবে।
কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর
সাধারণ
১. দেবতা বা দেব-দেবী বলতে কাদের বোঝানো হয়? দেব-দেবীর মাধ্যমে ঈশ্বরের চারটি গুণের প্রকাশ সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ।
উত্তর : সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের গুণ বা ক্ষমতা যখন আকার রূপ পায় তখন তাদের দেবতা বা দেব-দেবী বলে।
দেব-দেবীর মাধ্যমে ঈশ্বরের চারটি গুণের প্রকাশ :
১. ব্রহ্মা : ঈশ্বর ব্রহ্মারূপে সৃষ্টি করেন।
২. বিষ্ণু : ঈশ্বর বিষ্ণুরূপে লালন-পালন করেন।
৩. সরস্বতী : ঈশ্বর সরস্বতীরূপে জ্ঞান দান করেন।
৪. দুর্গা : ঈশ্বর দুর্গার মাধ্যমে শক্তির প্রকাশ ঘটান।
২. ভগবান শ্রীবিষ্ণুর কয়টি অবতার? তাঁর শেষ অবতার সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা দাও।
উত্তর : ভগবান শ্রীবিষ্ণুর অবতার দশটি। তাঁর শেষ অবতার হলো কল্কি অবতার। পৃথিবীতে এখনও তাঁর আগমন ঘটে নাই। তিনি কলি যুগের শেষ সময়ে আবির্ভূত হবেন। অন্যায় দমন করে শান্তি প্রতিষ্ঠাই হবে তার কাজ। তিনি অস্ত্র হিসেবে খড়্গ ব্যবহার করবেন। এর সাহায্যে তিনি অত্যাচারী ব্যক্তিদের হত্যা করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবেন।
৩. শ্রীকৃষ্ণের বড় ভাই কোন যুগে অবতীর্ণ হন? তাঁর সম্পর্কে চারটি বাক্য লেখ।
উত্তর : শ্রীকৃষ্ণের বড় ভাই বলরাম দ্বাপর যুগে অবতীর্ণ হন। তাঁর সম্পর্কে চারটি বাক্য হলো
১. তিনি গদাযুদ্ধে শ্রেষ্ঠ বীর।
২. তিনি লাঙল বা হল আকৃতির অস্ত্র দিয়ে যুদ্ধ করতেন।
৩. তাকে বলা হয় হলধর।
(৪) তিনি অত্যাচারীকে শাস্তি দিতেন।
৪. অবতার বলতে কী বুঝায়? অবতার কয়জন? যে কোনো একজন অবতার সম্পর্কে বর্ণনা দাও। [প্রা.শি.স.প. ২০১৫]
উত্তর : অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে ধর্ম, শান্তি প্রতিষ্ঠা করার জন্য ঈশ্বর যখন পৃথিবীতে অবতরণ করেন তখন তাকে অবতার বলে।
অবতার ১০ জন।
নিচে বুদ্ধ অবতার সম্পর্কে বর্ণনা করা হলো :
খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে মানুষের মধ্য থেকে হিংসা, নীচতা দূর করতে শ্রীবিষ্ণু রাজা, শুদ্ধোদনের পুত্ররূপে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর নাম রাখা হয় গৌতম। পরে তিনি ‘বোধি’ অর্থাৎ বিশেষ জ্ঞান লাভ করে গৌতম বুদ্ধ নামে পরিচিত হন। তিনি অহিংসার বাণী প্রচার করে মানুষকে শান্তির পথ দেখান। তাঁর ধর্মের মূল কথা ছিল, ‘জীবসেবা’ এবং ‘অহিংসা পরম ধর্ম।’ তিনি জীবসেবা ও অহিংসার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখেছেন।
যোগ্যাতাভিত্তিক
৫. দেবাশীষ জীবসেবা করে আনন্দ পায়। প্রতিবেশী কারোর প্রতি তার কোনো হিংসা নেই। কোন অবতারের সাথে দেবাশীষের সাদৃশ্য রয়েছে? উক্ত দেবতা সম্পর্কে ৪টি বাক্য লেখ।
উত্তর : অবতার গৌতম বুদ্ধের সাথে দেবাশীষের সাদৃশ্য রয়েছে। গৌতম বুদ্ধ সম্পর্কে ৪ টি বাক্য নিচে লেখা হলো:
১. শ্রীবিষ্ণু খ্রিষ্টপূর্বে ষষ্ঠ শতকে গৌতম নামে রাজা শুদ্ধোদনের পুত্ররূপে জন্ম গ্রহণ করনে।
রর. গৌতম বিশেষ জ্ঞান লাভ করে গৌতম বুদ্ধ নামে পরিচিতি পান।
৩. তিনি অহিংসার বাণী প্রচার করে মানুষকে শান্তির পথ দেখান।
৪. তাঁর ধর্মের মূল কথা ছিল ‘জীবসেবা’ এবং ‘অহিংসা’ পরম ধর্ম।
৬. বর্তমান সময়ে চারদিকে অধর্ম সয়লাব করেছে। ধর্ম সংস্থাপনে বর্তমান সময়ে তুমি কোন অবতারকে আশা করবে? তাঁর চারটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
উত্তর : ধর্ম সংস্থাপনে বর্তমান সময়ে আমি শ্রীবিষ্ণুর কল্কীরূপে অবতীর্ণ হওয়াকে আশা করি। তাঁর অর্থাৎ কল্কি অবতারের ৪টি বৈশিষ্ট্য :
১. কল্কি অবতার জীবের দুঃখ দূর করার জন্য কাজ করবেন।
২. তাঁর হাতে থাকবে খড়গ।
৩. তিনি খড়গ দিয়ে অত্যাচারী ব্যক্তিদের হত্যা করবেন।
৪. তাঁর প্রচেষ্টায় দুষ্টের দমন হবে এবং পৃথীবীতে ধর্মের বিস্তার ঘটবে।
অনুশীলনীর প্রশ্ন ও সমাধান
ক. শূন্যস্থান পূরণ কর :
১। ঈশ্বর নিরাকার, তবে তিনি————–হতে পারেন।
২। নিয়মিত উপাসনা করা আমাদের ————–।
৩। পদ্মাসন ও————–উপাসনার জন্য বিশেষ উপযোগী।
৪। প্রার্থনা হচ্ছে ঈশ্বরের নিকট কিছু ————–।
৫। প্রার্থনা করার সময় দেহ ও মন—————থাকা প্রয়োজন।
উত্তর : ১। সাকার ২। কর্তব্য ৩। সুখাসন ৪। চাওয়া ৫। পবিত্র
খ. ডান পাশ থেকে শব্দ এনে বাম পাশের শব্দের সঙ্গে মেলাও :
১। মন্ত্র ও শ্লোক শুদ্ধভাবে আবৃত্তি করা হয় ————–দীনতার ভাব থাকতে হবে।
২। উপাসনা মানুষকে সৎপথে ————–সাকার উপাসনা।
৩। প্রার্থনার সময় মনে————– প্রার্থনা করার সময়।
৪। ঈশ্বরকে ব্রহ্মজ্ঞানে উপাসনা করাই ————–পরিচালিত করে।
৫। বিভিন্ন দেব-দেবীকে প্রতিমায় আরাধনা করা ————–পূজা করা হয়।
————–নিরাকার উপাসনা।
উত্তর :
১। মন্ত্র ও শ্লোক শুদ্ধভাবে আবৃত্তি করা হয় প্রার্থনা করার সময়।
২। উপাসনা মানুষকে সৎপথে পরিচালিত করে।
৩। প্রার্থনার সময় মনে দীনতার ভাব থাকতে হবে।
৪। ঈশ্বরকে ব্রহ্মজ্ঞানে উপাসনা করাই নিরাকার উপাসনা।
৫। বিভিন্ন দেব-দেবীকে প্রতিমায় আরাধনা করা সাকার উপাসনা।
গ. সঠিক উত্তরের পাশে টিক () চিহ্ন দাও :
১। উপাসনা কিসের অঙ্গ?
ক. মনের
খ. দেহের
গ. ধর্মের
ঘ. কর্মের
২। উপাসনা কয় প্রকার?
ক. দুই প্রকার
খ. চার প্রকার
গ.য় প্রকার
ঘ. আট প্রকার
৩। উপাসনা একটি-
ক. সাপ্তাহিক কর্ম
খ. পাক্ষিক কর্ম
গ. মাসিক কর্ম
ঘ. নিত্যকর্ম
৪। উপাসনা করলে-
ক. দেহ ও মন পবিত্র হয়
খ.নবল বাড়ে
গ. মান-সম্মান বাড়ে
ঘ. শরীর সুস্থ হয়
৫। গাব তোমার সুরে, দাও সে বীণাযন্ত্র- কথাটি কে বলেছেন?
ক. নরেন্দ্রনাথ
খ. সত্যেন্দ্রনাথ
গ. রবীন্দ্রনাথ
ঘ. দ্বিজেন্দ্রনাথ
ঘ. নিচের প্রশ্নগুলোর সংক্ষেপে উত্তর দাও :
১। উপাসনা কাকে বলে?
উত্তর : যেসব কর্মের মধ্য দিয়ে আমরা ঈশ্বরকে স্মরণ, আরাধনা করে থাকি তাকেই বলা হয় উপাসনা।
২। নিরাকার উপাসনা কাকে বলে?
উত্তর : নিরাকার উপাসনা হলো নিজ অন্তরে ঈশ্বরকে অনুভব করা এবং মনে মনে ঈশ্বরের নাম উচ্চারণ করা।
৩। সাকার উপাসনা কাকে বলে?
উত্তর : সাকার অর্থ যার আকার বা রূপ আছে। আকার বা রূপের মাধ্যমে ঈশ্বরের আরাধনা করাই সাকার উপাসনা।
৪। উপাসনার দুটি আসনের নাম লেখ।
উত্তর : উপাসনার দুটি আসনের নাম হলো পদ্মাসন ও সুখাসন।
৫। কীভাবে প্রার্থনা করতে হয়?
উত্তর : দেহ ও মন পবিত্র অবস্থায় দীনতার ভাব নিয়ে করজোড়ে ঈশ্বরের নিকট পার্থনা করতে হয়।
ঙ. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
১। উপাসনার অর্থ কী? সাকার ও নিরাকার উপাসনার বর্ণনা দাও। [প্রা.শি.স.প.-২০১৪]
উত্তর : উপাসনার অর্থ হলো ঈশ্বরকে স্মরণ করা। একাগ্রচিত্তে ঈশ্বরকে ডাকা। ঈশ্বরের আরাধনা করা।
সাকার ও নিরাকার উপাসনার বর্ণনা :
সাকার উপাসনা : আকার বা রূপের মাধ্যমে ঈশ্বরের আরাধনা করাই হলো সাকার উপাসনা। বিভিন্ন দেব-দেবী; যেমন- ব্রহ্মা, বিষ্ণু, কালী, দুর্গা প্রভৃতি ঈশ্বরের সাকার রূপ। এদের আরাধনা বা পূজা করার মাধ্যমে ঈশ্বরের উপাসনা করা হয়।
নিরাকার উপাসনা : নিরাকার উপাসনায় ঈশ্বরের ধ্যান করা হয়। ঈশ্বরের নাম মনে মনে উচ্চারণ করে নিজ অন্তরে ঈশ্বরকে অনুভব করা হয়, তাঁর নাম কীর্তন করা হয় এবং স্তব স্তুতি করে তাঁর নিকট প্রার্থনা করা হয়।
২। উপনিষদ থেকে প্রদত্ত প্রার্থনামূলক মন্ত্রটি সরলার্থসহ লেখ।
উত্তর : উপনিষদ থেকে প্রদত্ত প্রার্থনামূলক মন্ত্রটি হলো :
যুক্তায় মনসা দেবান্
সুবর্ষতো ধিয়া দিবম্।
বৃহজ্জ্যোতি করিষ্যতঃ
সবিতা প্রসুবাতি তান্
(শ্বেতাশ্বতর উপনিষদ, ২/৩)
সরলার্থ : সূর্যদেব আমার মনকে পরমাত্মার সঙ্গে যুক্ত করুন। পরমাত্মা অভিমুখী ইন্দ্রিয়গুলোকে জ্ঞানের দ্বারা সেই পরমাত্মাকে উপলব্ধি করার শক্তি দিন।
৩। আমরা উপাসনা করব কেন?Ñ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : উপাসনা অর্থ ঈশ্বরকে স্মরণ করা। ঈশ্বরের আরাধনা করা। ধর্মের অনুসারী হিসেবে আমাদের সকলেরই ঈশ্বরের উপাসনা করা উচিত। উপাসনার ফলে ভক্ত ঈশ্বরকে সাকার রূপে কাছে পায়। উপাসনা আমাদেরকে সৎ পথে পরিচালিত করে। মন্দ কাজ থেকে দূরে রাখে। ভালো কাজের প্রতি উৎসাহ প্রদান করে। এসব কারণে আমরা নিয়মিত উপাসনা করব।
৪। প্রার্থনার প্রয়োজনীয়তা কী?
উত্তর : প্রার্থনা হচ্ছে ঈশ্বরের নিকট কিছু চাওয়া। তিনি করুণাময়। তাঁর দয়ার উপরই আমাদের সবকিছু নির্ভর করে। তাই প্রার্থনার মাধ্যমে আমরা ঈশ্বরের নিকট আবেদন জানাই। নিজের এবং অন্যের মঙ্গল কামনার জন্য আমরা ঈশ্বরের নিকট প্রার্থনা করি। বিপদ থেকে মুক্তি কিংবা কোনো কিছুর শুরুতে আমরা তাঁর নিকট প্রার্থনা করি। সকল ভালো কাজে সফলতার জন্য আমরা ঈশ্বরের নিকট প্রার্থনা করি। এককথায়, সবকিছুর জন্যই প্রার্থনা প্রয়োজন। কেননা সবকিছু ঈশ্বরের ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল।
৫। তোমার পাঠ্য পুস্তকে উল্লিখিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাংলা প্রার্থনামূলক কবিতাটি লেখ।
উত্তর : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাংলা প্রার্থনামূলক কবিতা:
গাব তোমার সুরে দাও সে বীণাযন্ত্র
শুনব তোমার বাণী দাও সে অমর মন্ত্র।
করব তোমার সেবা দাও সে পরম শক্তি
চাইব তোমার মুখে দাও সে অচল ভক্তি \
সইব তোমার আঘাত দাও সে বিপুল ধৈর্য,
বইব তোমার ধ্বজা দাও সে অটল স্থৈর্য।
(সংক্ষেপিত)
[গীতাবিতান (পূজাপর্ব, গান-৯৭)]
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর
সাধারণ
উপাসনা
১. উপাসনার অর্থ কী?
ক. ঈশ্বরকে স্মরণ করা
খ. ধর্মগ্রন্থ পাঠ করা
গ. উপবাস করা
ঘ. ধর্মযুদ্ধে অংশ নেওয়া
২. নীরবে ঈশ্বরে নাম উচ্চারণ করাকে কী বলে?
ক. ধ্যান খ. জপ গ. কীর্তন ঘ. স্তব
৩. সরবে ঈশ্বরের নাম উচ্চারণ বা গুণগান করার নাম কী? জ
ক. ধ্যান খ. জপ গ. কীর্তন ঘ. স্তব
৪. ঈশ্বরের স্তব করা হয় কীভাবে?
ক. তাঁকে প্রণাম করে
খ. তাঁর নাম প্রশংসা করে উচ্চারণ করে
গ. তাঁর নামে ভোগ দিয়ে
ঘ. দেবীকে স্মরণ করে
৫. একাগ্রচিত্তে ঈশ্বরের চিন্তা করার নাম কী?
ক. জপ খ. কীর্তন গ. ধ্যান ঘ. প্রার্থনা
সাকার উপাসনা
৬. যার আকার বা রূপ আছে তাকে বলে
ক.সাকার খ.উপাসনা গ. নিরাকার ঘ. শ্লোক
নিরাকার উপাসনা
৭. প্রতিদিন কতবার উপাসনা করতে হয়?
ক. ২ বার খ. ৩ বার গ. ৪ বার ঘ. ৫ বার
৮. উপাসনা কত প্রকার?
ক. ২ খ. ৩ গ. ৪ ঘ. ৫
প্রার্থনা
৯. ঈশ্বরের নিকট কিছু চাওয়াকে কী বলে?
ক. প্রার্থনা খ. পুরস্কার গ. তিরস্কার ঘ. সম্মান
১০. প্রার্থনার সময় মনে কেমন ভাব থাকতে হবে?
ক. দীনতার খ. বিনয়ের গ. পবিত্রতার ঘ. শুদ্ধতার
১১. এ বিশ্বের সর্বময় কর্তা কে?
ক. গৌতমবুদ্ধ
খ. ঈশ্বর
গ. শিব
ঘ. রাবণ
১২. নীরবে ঈশ্বরের নাম উচ্চারণ করাকে কী বলে?
ক. ধ্যান খ. মগ্ন গ. জপ ঘ. কীর্তন
১৩. সরবে ঈশ্বরের নাম উচ্চারণ করাকে বলে-
ক.স্তুতি খ. কীর্তন গ. পূজা ঘ. স্তব
১৪. প্রশংসা সহকারে ঈশ্বরের নাম উচ্চারণ করাকে কী বলে? ঝ
ক.জপ খ.প্রার্থনা গ. আরাধনা ঘ. স্তব
মন্ত্র, শ্লোক ও প্রার্থনামূলক বাংলা কবিতা
১৫. স্তব করলে আমাদের মন কেমন হয়?
ক.বিনয়ী
খ. পবিত্র
গ. শুদ্ধ
ঘ. কোনোটিই নয়
যোগ্যতামূলক
শিখনফল : উপাসনা সম্পর্কে জানতে পারব।
১৬. সৌমিত্র প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে উপাসনা করার মাধ্যমে
ক. ঈশ্বরকে পূজা করে
খ. শ্রীকৃষ্ণের পূজা করে
গ. ঈশ্বরকে স্মরণ করে
ঘ. দেবীকে স্মরণ করে
১৭. তুমি সন্ধ্যায় ঈশ্বরের উপাসনা করে থাক। এজন্য তোমার দেহমনে প্রয়োজন
ক. সুস্থতা খ. শক্তি গ. শান্তি ঘ. পবিত্রতা
১৮. ঈশ্বরের নিকট উপাসনার সময় তোমার উপযোগী আসন কোনটি?
ক. পদ্মাসন ও সবাসন
খ. পদ্মাসন ও সুখাসন
গ. শবাসন ও দেহাসন
ঘ. গোমুখাসন ও পদ্মাসন
১৯. তোমার মা প্রতিদিন দেবদেবীর মন্ত্র পাঠ করে। তিনি কোন দিকে মুখ করে বসেন? জ
ক. দক্ষিণ বা পূর্ব দিকে
খ. দক্ষিণ বা পশ্চিম দিকে
গ. উত্তর বা পূর্ব দিকে
ঘ. উত্তর বা পশ্চিম দিকে
আরো পড়ুনঃ
-
- ৫ম শ্রেণি | বাংলা | প্রার্থনা কবিতার প্রশ্ন উত্তর | PDF
- ৫ম শ্রেণি | বাংলা | ঘাসফুল কবিতার প্রশ্ন উত্তর | PDF
- ৫ম শ্রেণি | বাংলা | ভাবুক ছেলেটি গল্প প্রশ্ন উত্তর | PDF
- ৫ম শ্রেণি | বাংলা | অবাক জলপান নাটকটির প্রশ্ন উত্তর | PDF
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
১. উপাসনার সময় আমরা কী করি?
উত্তর : উপাসনার সময় আমরা ঈশ্বরের প্রশংসা করি। তাঁর আশীর্বাদ প্রার্থনা করি।
২. ঈশ্বরের তিনটি সাকার রূপের উদাহরণ দাও।
উত্তর : ঈশ্বরের তিনটি সাকার রূপ হলো দুর্গা, সরস্বতী এবং শিব।
৩. ঈশ্বর বা দেব-দেবীর স্তব করাকে কী বলে?
উত্তর : ঈশ্বর বা দেব-দেবীর স্তব করাকে ধর্মের অঙ্গ বলে।
৪. ধর্মপালনের অন্যতম প্রধান অঙ্গ বা পদ্ধতি কী?
উত্তর : ধর্মপালনের অন্যতম প্রধান অঙ্গ বা পদ্ধতি হলো উপাসনা।
৫. উপাসনার সময় কীভাবে বসতে হয়?
উত্তর : উপাসনার সময় সোজা হয়ে উত্তর বা পূর্ব দিকে মুখ করে বসতে হয়।
কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর
সাধারণ
১. উপাসনা অর্থ কী? উপাসনার চারটি পদ্ধতি লেখ।
উত্তর : উপাসনা অর্থ ঈশ্বরকে স্মরণ করা, ঈশ্বরের আরাধনা করা।
উপাসনার চারটি পদ্ধতি হলো :
১. একাগ্রচিত্তে ঈশ্বরের চিন্তা করা। একে ধ্যান বলে।
২. নীরবে ঈশ্বরের নাম উচ্চারণ করা। একে জপ বলে।
৩ প্রশংসা সহকারে ঈশ্বরের নাম উচ্চারণ করা। একে স্তুতি বলে।
৪. সরবে ঈশ্বরের নাম উচ্চারণ বা গুণগান করা। একে কীর্তন বলে।
যোগ্যতামূলক
২. তোমার মা প্রতিদিন উপাসনা করেন? এরূপ কার্যের পাঁচটি উপকার লেখ।
উত্তর : উপাসনার পাঁচটি উপকার হলো
১. দেহ-মন পবিত্র হয়।
২. ঈশ্বরের কৃপা লাভ করা যায়।
৩. সকলের মঙ্গল কামনা করা হয়।
৪. ঈশ্বরের আশীর্বাদ পাওয়া যায়।
৫. সৎ ও ধার্মিক হওয়া যায়।
৩. তুমি কীভাবে ঈশ্বরের প্রার্থনা কর এ সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখ।
উত্তর : আমি যেভাবে ঈশ্বরের প্রার্থনা করে থাকি তা হলো
১. প্রার্থনার সময় দেহ ও মন পবিত্র রাখি।
২. করজোড়ে প্রার্থনা করে থাকি।
৩. মনে দীনতার ভাব প্রকাশ করে থাকি।
৪. নিজেকে দাস হিসেবে উপস্থাপন করি।
৫. মন্ত্র ও শ্লোকগুলো শুদ্ধভাবে আবৃত্তি করে থাকি।
৪. স্তুতি কাকে বলে? হিন্দুধর্মাবলম্বীরা কেন ঈশ্বরের স্তুতি করেন এ সম্পর্কে চারটি বাক্য লেখ।
উত্তর : আমরা বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে ঈশ্বরের প্রশংসা করি, তাঁর নাম উচ্চারণ করি, এভাবে ঈশ্বরের নাম উচ্চারণ করাকেই স্তুতি বলে।
স্তুতি সম্পর্কে নিচে চারটি বাক্য লেখা হলো :
১) স্তুতির মাধ্যমে আমরা ঈশ্বরের আশীবার্দ লাভ করি।
২) ঈশ্বরের প্রশংসার মাধ্যমে নিজের মনকে প্রফুল্লা রাখি।
৩) ঈশ্বরের নিকট শক্তি প্রার্থনা করি।
৪) সকলের কল্যাণ কামনা করি।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।