পঞ্চম শ্রেণি | বাংলা | পাঠ্যবই বহির্ভূত অনুচ্ছেদ ১৩-১৫ | PDF: পঞ্চম শ্রেণির বাংলা বিষয়টির ব্যকরণ অংশ হতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদ রচনা সমুহ নিয়ে আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে। অতএব সম্পূর্ণ পোস্টটি মনযোগ সহকারে পড়ুন।
অনুচ্ছেদ-১৩
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৫, ৬ ও ৭নং ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
পানিতে ক্ষতিকর কোনো কিছু মিশে থাকলে সে পানিকে দূষিত পানি বলা হয়। পানি পরিষ্কার দেখা গেলেও সব সময় তা নিরাপদ নাও হতে পারে। টলটলে পুকুরের পানিও দূষিত হতে পারে। খালি চোখে দেখা যায় না এমন জীবাণু বা ক্ষতিকর পদার্থ এতে মিশে থাকতে পারে। নলক‚পের পানি সাধারণত নিরাপদ।
তবে আমাদের দেশে কিছু কিছু নলক‚পের পানিতে আর্সেনিক. নামক. বিষাক্ত পদার্থ মিশে আছে। পানিতে আর্সেনিকের উপস্থিতি খালি চোখে দেখে বোঝা যায় না। তবে নলক‚পের পানি পরীক্ষা করে বোঝা যায় তাতে আর্সেনিক. আছে কি না। যেসব নলক‚পের পানিতে আর্সেনিক. আছে, সেই নলক‚পগুলোকে লাল রং দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব নলক‚পের পানি পান করা যাবে না। আর সবুজ দাগ. থাকার অর্থ-এর পানি নিরাপদ।
দূষিত পানি জীবনের জন্য খুব ক্ষতিকর। দূষিত পানি পান করলে আমরা কলেরা, আমাশয়, টাইফয়েড, ডায়রিয়া Ñ এসব পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হতে পারি। পেটের পীড়া ও চর্মরোগে আক্রান্ত হওয়ারও আশঙ্কা থাকে। তাছাড়া আর্সেনিকযুক্ত পানি দীর্ঘদিন পান করলে হাত-পায়ে এক. ধরনের ক্ষত বা ঘা তৈরি হয়, যা আর্সেনিকোসিস রোগ. নামে পরিচিত।
এ রোগের সহজ কোনো চিকিৎসা নেই। তবে প্রাথমিক. পর্যায়ে এ রোগ. ধরা পড়লে আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করা বন্ধ করলেই সুস্থ হওয়া যেতে পারে। এ রোগ. সংক্রামক. নয়, অর্থাৎ আর্সেনিকোসিস রোগীদের কাছে গেলে অন্যদের এ রোগ. হওয়ার আশঙ্কা নেই।
আরো দেখুন
সঠিক. উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
০১। কোনো নলকুপের গায়ে লাল রং করা দেখলে কী বুঝবে?
ক. পানি নিরাপদ খ. পানি আর্সেনিকমুক্ত গ. পানি খাওয়া যাবে ঘ. পানি আর্সেনিকযুক্ত
০২। আর্সেনিকযুক্ত পানি পানের কারণে কোন রোগ. হয়?
ক. আর্সেনিকস খ. আর্সেনসিস গ. আর্সেনিকোসিস ঘ. আর্সিনেকোসিস
০৩। আমরা আর্সেনিকোসিসে আক্রান্তদের সাথে কেমন আচরণ করব?
ক. তাদের থেকে দূরে থাকব
খ. তাদের সেবা করব
গ. তাদের আর্সেনিকযুক্ত পানি খাওয়াব
ঘ. তাদের আলাদা থাকার ব্যবস্থা করব
০৪। আর্সেনিক. কী?
ক. এক. ধরনের রোগ খ. এক. ধরনের বিষাক্ত পদার্থ গ. এক. ধরনের জীবাণু ঘ. এক. ধরনের ওষুধ
০৫। নিচের কোনটি পানিবাহিত রোগ. নয়?
ক. আমাশখ. কলেরা গ. ক্যান্সার ঘ. ডায়রিয়া
নিচে কয়েকটি শব্দ ও শব্দার্থ দেওয়া হলো। উপযুক্ত শব্দ দিয়ে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ কর।
শব্দ ————- অর্থ
নিরাপদ ————- বিপদমুক্ত।
আশঙ্কা————- সংশয়, সন্দেহ।
পীড়া————- বেদনা, ব্যথা।
সংক্রামক————- ছোঁয়াচে, সঞ্চারিত হয় এমন।
টলটলে————- স্বচ্ছ।
বিষাক্ত ————- বিষযুক্ত।
(ক) কাল থেকে হালিমার পেটের ———— বেড়েছে।
(খ) দিঘির ———— জল দেখে মন ভালো হয়ে গেল।
(গ) পোলিও ———— ব্যাধি নয়।
(ঘ) বৃষ্টি হওয়ার ———— থাকায় আমরা ছাতা নিয়ে বের হলাম।
(ঙ) ———— সাপের ছোবলে মানুষের মৃত্যু হতে পারে।
নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
(ক) ‘আর্সেনিকোসিস’ সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখ।
উত্তর : আর্সেনিকোসিস সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য-
০১।দীর্ঘদিন আর্সেনিকযুক্ত পানি পানের ফলে যে রোগের সৃষ্টি হয় তা ‘আর্সেনিকোসিস’ নামে পরিচিত।
০২। এ রোগ. হলে হাতে-পায়ে এক. ধরনের ক্ষত বা ঘা সৃষ্টি হয়।
০৩। আর্সেনিকোসিস সংক্রামক. রোগ. নয়।
০৪। এ রোগের সহজ কোনো চিকিৎসা নেই।
০৫।প্রাথমিক. অবস্থায় এ রোগটি ধরা পড়লে আর্সেনিকমুক্ত পানি পান করতে থাকলেই সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
(খ) দূষিত পানি পান করলে কী কী ধরনের শারীরিক. সমস্যা হতে পারে?
উত্তর : দূষিত পানি আমাদের জীবনের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এ ধরনের পানি পান করার ফলে আমরা কলেরা, আমাশয়, টাইফয়েড, ডায়রিয়া, আর্সেনিকোসিস ইত্যাদি পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হতে পারি। এছাড়াও পেটের পীড়া, চর্মরোগ. ইত্যাদিও দেখা দিতে পারে।
(গ) দূষিত পানি কাকে বলে? নলক‚পের পানি আর্সেনিকমুক্ত কি না বোঝার উপায় তিনটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : পানিতে ক্ষতিকর কোনো কিছু মিশে থাকলে সে পানিকে দূষিত পানি বলে।
নলক‚পের পানি আর্সেনিকমুক্ত কি না বোঝার উপায়
(১) পানি দেখে বোঝার উপায় না থাকায় অবশ্যই তা পরীক্ষা করতে হবে।
(২) কোনো নলক‚পের গায়ে লাল রং দিয়ে চিহ্নিত করা থাকলে বুঝতে হবে তাতে আর্সেনিক. আছে।
(৩) সবুজ রং দিয়ে চিহ্নিত করা নলক‚পের পানি অবশ্যই আর্সেনিকমুক্ত।
(ঘ) টলটলে পুকুরের পানিও পান করা যায় না কেন? চারটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : টলটলে পুকুরের পানি দেখতে পরিষ্কার হলেও এতে অনেক. রকম রোগের জীবাণু থাকতে পারে। এগুলোকে খালি চোখে দেখা যায় না। অর্থাৎ দেখতে পরিষ্কার হলেও পুকুরের পানি দূষিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ পানি নিরাপদ নয় বলে পান করা যায় না।
অনুচ্ছেদ-১৪
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৫, ৬ ও ৭নং ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
গাছপালা আমাদের পরম বন্ধু। আমাদের প্রাত্যহিক. প্রয়োজন মেটাতে গাছের অবদান অনস্বীকার্য। গাছ থেকেই আমরা পাই খাদ্য, বস্ত্র তৈরির উপাদান, বাসগৃহ ও আসবাবপত্র নির্মাণের কাঠ। গাছ আমাদের বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য অক্সিজেনের জোগান দেয়।
আমরা নিঃশ্বাসের সাথে যে বিষাক্ত কার্বন ডাই-অক্সাইড ত্যাগ. করি তা গাছ গ্রহণ করে পরিবেশ দূষণ রোধ করে। বৃক্ষ ঝড় ও বন্যা প্রতিরোধেও ভ‚মিকা রাখে। একটি দেশের প্রাকৃতিক. ভারসাম্য রক্ষায় দেশের মোট আয়তনের শতকরা ২৫ ভাগ. বনভ‚মি প্রয়োজন হলেও আমাদের আছে মাত্র ১৭ ভাগ।
যা আছে তাও মানুষের লোভের কারণে দ্রæত নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে। অবাধে গাছ কেটে পর্যাপ্ত পরিমাণে গাছ না লাগালে আমাদের প্রাকৃতিক. পরিবেশ হুমকির সম্মুখীন হবে। তাই বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে।
সঠিক. উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
০১। অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে
ক. নানা ধরনের গাছপালা সম্বন্ধে
খ. গাছপালার প্রয়োজনীয়তা সম্বন্ধে
গ. প্রাকৃতিক. দুর্যোগ. সম্পর্কে
ঘ. পরিবেশ দূষণ সম্বন্ধে
০২। কোনটি ছাড়া আমরা বেঁচে থাকতে পারব না?
ক. কার্বন ডাই-অক্সাইড খ. কাঠ গ. অক্সিজেন ঘ. বস্ত্র
০৩। বৃক্ষ শব্দে ‘ক্ষ’ যুক্ত বর্ণটিতে নিচের কোন বর্ণগুলো রয়েছে?
ক. খ. + অ খ. ক. + ষ গ. ক. + অ ঘ. খ. + ষ
০৪। একটি দেশের মোট আয়তনের কত ভাগ. বনভ‚মি থাকা উচিত?
ক. শতকরা ২০ ভাগ খ. শতকরা ২৫ ভাগ গ. শতকরা ৩০ ভাগ ঘ. শতকরা ৩৫ ভাগ
০৫। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় আমাদের কী করা উচিত?
ক. নদী ভরাট করা খ. বেশি করে গাছ কাটা গ. বেশি করে গাছ লাগানো ঘ. বনভমি উজাড় করা
নিচে কয়েকটি শব্দ ও শব্দার্থ দেওয়া হলো। উপযুক্ত শব্দ দিয়ে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ কর।
শব্দ ————- অর্থ
নির্মাণ ————- তৈরি করা।
হুমকি ————- ভীতি প্রদর্শন।
অনস্বীকার্য ————- অস্বীকার করা যায় না এমন।
প্রাত্যহিক.————- দৈনিক, প্রতিদিনের।
অপরিহার্য————- আবশ্যক, যার কোনো বিকল্প নেই।
পর্যাপ্ত————- যথেষ্ট।
(ক) আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান ————- ।
(খ) সবার জন্য ————- খাবার রাখা আছে।
(গ) চৌধুরী সাহেব একটি ভবন ————- করাচ্ছেন।
(ঘ) মামাই আমাদের ————- বাজার করে দেন।
(ঙ) শরীর সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা ————- ।
নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
(ক) গাছের চারটি উপকারিতা লেখ।
উত্তর : গাছের চারটি উপকারিতা হলো
(১) গাছ থেকে আমরা খাদ্য পাই।
(২) গাছ থেকে আমরা বস্ত্র তৈরির উপাদান পাই।
(৩) গাছ থেকে আমরা বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেন পাই।
(৪) গাছ বিষাক্ত কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে পরিবেশ দূষণ রোধ করে।
(খ) আমাদের বেশি করে গাছ লাগাতে হবে কেন? পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গাছের ভ‚মিকা অপরিসীম। একটি দেশের প্রাকৃতিক. ভারসাম্য রক্ষায় মোট আয়তনের শতকরা ২৫ ভাগ. বনভূমি থাকা জরুরি। অথচ আমাদের আছে মাত্র ১৭ ভাগ। সেইটুকুও মানুষের লোভের ফলে দ্রæত বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যে কারণে আমাদের প্রাকৃতিক. পরিবেশ আজ হুমকির সম্মুখীন। পরিবেশ রক্ষায় তাই বেশি করে গাছ লাগাতে হবে।
(গ) নিজের বাড়িতে গাছপালার যত নিতে তুমি কী কী করবে? পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : নিজের বাড়িতে গাছপালার যত নিতে আমি যা যা করব
০১। গাছগুলোর নিয়মিত পরিচর্যা করব।
০২। সময়মতো গাছের গোড়ায় সার ও পানি দেব।
০৩। নতুন লাগানো কোনো গাছ যেন সূর্যের তাপে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখব।
০৪। কোনো চারাগাছ দুর্বল হলে তাতে খুঁটি বেঁধে দেব।
০৫। গরু-ছাগল যেন চারাগাছের ক্ষতি না করতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখব।
(ঘ) ‘গাছ আমাদের পরম বন্ধু।’ কথাটি চারটি বাক্যে বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : গাছ থেকে আমরা খাদ্য, বস্ত্র, কাঠ, অক্সিজেনসহ জীবনধারণের নানা উপাদান পাই। গাছপালা আমাদের প্রাকৃতিক. পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় অপরিহার্য। গাছপালা ছাড়া পৃথিবীতে আমাদের বেঁচে থাকাই অসম্ভব হতো। তাই গাছকে আমাদের পরম বন্ধু বলা হয়েছে।
আরো পড়ুনঃ
-
- ৫ম শ্রেণি | বাংলা | প্রার্থনা কবিতার প্রশ্ন উত্তর | PDF
- ৫ম শ্রেণি | বাংলা | ঘাসফুল কবিতার প্রশ্ন উত্তর | PDF
- ৫ম শ্রেণি | বাংলা | ভাবুক ছেলেটি গল্প প্রশ্ন উত্তর | PDF
- ৫ম শ্রেণি | বাংলা | অবাক জলপান নাটকটির প্রশ্ন উত্তর | PDF
অনুচ্ছেদ-১৫
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৫, ৬ ও ৭নং ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
পাহাড়পুর বিহারের আরেক. নাম ‘সোমপুর বিহার’। এটি রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলার ‘পাহাড়পুর’ গ্রামে অবস্থিত। প্রায় ১৪শ বছর আগে বৌদ্ধধর্মের ভিক্ষুগণ এখানে থেকে ধর্মচর্চা করতেন আর শিষ্যদের শিক্ষা দিতেন। প্রকাণ্ড এই কীর্তি একসময় খালি পড়ে থাকে।
ধারণা করা হয়, যুগ. যুগ. ধরে ধুলাবালি ও মাটি উড়ে এসে এর চারদিকে জমে। একসময় এটি মাটির স্তূপে ঢাকা পড়ে পাহাড়ের মতো হয়ে যায় বলে এর নাম পাহাড়পুর। মহাস্থানগড় বগুড়া জেলা থেকে ৮ কি.মি. উত্তরে অবস্থিত। ধর্মীয় দিক. থেকে মহাস্থানগড় হিন্দু, বৌদ্ধ ও মুসলমানদের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ। এখানে টিলার মতো উঁচু দেখতে গোবিন্দভিটা নামের একটি প্রততাত্তি¡ক. নিদর্শন পাওয়া গেছে। এই প্রতস্থলের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে করতোয়া নদী।
এ নগরের প্রাচীন নাম ছিল পুণ্ড্রবর্ধন, যাকে এখন পুণ্ড্রনগরও বলা হয়। ধ্বংসাবশেষ খনন করে এখানে জৈন, হিন্দু, বৌদ্ধ ধর্মের পাশাপাশি ইসলাম ধর্মের নিদর্শনও পাওয়া গেছে। বাংলাদেশের এ ধরনের পুরাকীর্তিগুলো সংরক্ষণের জন্য সরকারি ও বেসরকারিভাবে প্রততাত্তি¡ক. জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
পাহাড়পুর, ময়নামতি ও মহাস্থানগড়ে এ ধরনের জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। প্রততত্ত¡ নিদর্শন থেকে নতুন প্রজন্মকে জ্ঞান অর্জনে সহায়তা করে এই জাদুঘর। আমাদের দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ছাত্রছাত্রীরা এই ইতিহাসখ্যাত স্থানসমূহ পরিদর্শন করার মাধ্যমে তাদের জ্ঞানভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করতে পারে।
সঠিক. উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
০১। সোমপুর বিহার দেখতে হলে তোমাকে বাংলাদেশের কোন বিভাগে যেতে হবে?
ক. ঢাকা খ. রাজশাহী গ. সিলেট ঘ. খুলনা
০২। মহাস্থানগড়ের আদি নাম কী?
ক. সোমপুর বিহার খ. পন্ড্রবর্ধন গ. রাজবন বিহার ঘ. গোবিন্দভিটা
০৩। শিক্ষার্থীদের জ্ঞান বৃদ্ধি পাবে
ক. প্রতস্থলগুলো সংরক্ষণ করলে
খ. প্রতস্থলগুলোতে শিক্ষার্থীদের ভ্রমণ করালে
গ. প্রতস্থলে লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করলে
ঘ. প্রতস্থলগুলো থেকে শিক্ষার্থীদের দূরে রাখলে
০৪। গোবিন্দভিটার পাশ দিয়ে কোন নদীটি বয়ে গেছে?
ক. যমুনা খ. মেঘনা গ. সুরমা ঘ. করতোয়া
০৫। জাদুঘর প্রতনিদর্শন কাদের জ্ঞানার্জনে সহায়তা করে?
ক. মুক্তিযোদ্ধা খ. নতুন প্রজন্ম গ. শিক্ষক ঘ. পর্যটক
নিচে কয়েকটি শব্দ ও শব্দার্থ দেওয়া হলো। উপযুক্ত শব্দটি দিয়ে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ কর।
শব্দ ———-অর্থ
শিষ্য ———- ছাত্র।
সমৃদ্ধ ———- উন্নত।
পুরাকীর্তি ———- কৃতিত্বের পরিচায়ক. অতি পুরাতন প্রতিষ্ঠান।
সংরক্ষণ ———- বিশেষ উদ্দেশ্যে রক্ষণাবেক্ষণ ও তত্ত¡াবধান।
প্রকাণ্ড ———- অতি বিশাল।
পরিদর্শন ———- মনোযোগ. দিয়ে দেখা, পর্যবেক্ষণ।
(ক) নীল তিমি এক. ———— প্রাণী।
(খ) সালাম স্যারের ———— তাঁকে সালাম দিল।
(গ) পরিবেশ রক্ষার জন্য বন্যপ্রাণী ———— খুব জরুরি।
(ঘ) আমরা গতকাল জাদুঘরটি ———— করেছি।
(ঙ) সোনারগাঁ একসময় কাপড়ের ব্যবসার কারণে ———— হয়েছিল।
নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
(ক) সোমপুর বিহার কোন গ্রামে অবস্থিত? সোমপুর বিহারকে ‘পাহাড়পুর’ বলা হয় কেন তা চারটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : সোমপুর বিহার পাহাড়পুর গ্রামে অবস্থিত।
সোমপুর বিহারে একসময় বৌদ্ধ ধর্মের চর্চা হলেও একসময় এটি খালি পড়ে থাকে। সম্ভবত যুগ. যুগ. ধরে ধুলাবালি উড়ে আসায় এটি একসময় সম্পূর্ণরূপে মাটির স্তূপে ঢাকা পড়ে যায়। তখন এর আকৃতি হয়ে যায় পাহাড়ের মতো। এ কারণেই এই পুরাকীর্তির নাম পাহাড়পুর।
(খ) মহাস্থানগড় সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখ।
উত্তর : মহাস্থানগড় সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য :
০১। মহাস্থানগড় বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রততাত্তি¡ক. স্থান।
০২। মহাস্থানগড় রাজশাহী বিভাগে অবস্থিত।
০৩। মহাস্থানগড়ের পাশে রয়েছে করতোয়া নদী।
০৪। মহাস্থানগড়ের ধ্বংসাবশেষ খনন করে জৈন, হিন্দু, বৌদ্ধ ও ইসলাম ধর্মের নানা নিদর্শন পাওয়া গেছে।
০৫। মহাস্থানগড়ের প্রাচীন নাম পুণ্ড্রবর্ধন।
(গ) ইতিহাস বিখ্যাত স্থান পরিদর্শনের গুরুত্ব পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : ইতিহাস বিখ্যাত স্থান পরিদর্শনের গুরুত্ব নিচে পাঁচটি বাক্যে লেখা হলো
০১। ঐতিহাসিক. স্থানটির অতীত সম্পর্কে জানা যায়।
০২। অতীত ও বর্তমানের মধ্যে তুলনা করা যায়।
০৩। ইতিহাস সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান লাভ করা যায়।
০৪। অতীতের ভুল পর্যালোচনা করে শিক্ষা নেওয়া যায়।
০৫। ঐতিহাসিক. অনেক. কিছু সরাসরি দেখা যায়।
(ঘ) বাংলাদেশের পুরাকীর্তিগুলোর উন্নয়নের জন্য সরকারি ও বেসরকারিভাবে কী কী উদ্যোগ. নেওয়া হয়েছে?
উত্তর : বাংলাদেশের পুরাকীর্তিগুলোর উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নানা উদ্যোগ. নেওয়া হয়েছে। যেমন
(১) বিভিন্ন ঐতিহাসিক. স্থানে প্রততাত্তি¡ক. জাদুঘর স্থাপন করা হয়েছে।
(২) পুরাকীর্তিগুলো সম্পর্কে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়াতে এসব বিখ্যাত স্থান পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।