পঞ্চম শ্রেণি | বাংলা | পাঠ্যবই বহির্ভূত অনুচ্ছেদ ৪-৬ | PDF: পঞ্চম শ্রেণির বাংলা বিষয়টির ব্যকরণ অংশ হতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদ রচনা সমুহ নিয়ে আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে। অতএব সম্পূর্ণ পোস্টটি মনযোগ সহকারে পড়ুন।
অনুচ্ছেদ-০৪
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৫, ৬ ও ৭নং ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
এক. কাক. এক. টুকরো মাংস চুরি করে উঁচু এক. গাছের ডালে গিয়ে বসল। মাংসের টুকরোটা ছিল তার দুই ঠোঁটের মাঝখানে ধরা। এমন সময় এক. শেয়াল তাকে দেখতে পেয়ে মাংসের টুকরোটা হাতিয়ে নেওয়ার ফন্দি আঁটল। গাছতলায় বসে সে কাককে শুনিয়ে শুনিয়ে বলতে লাগল, ‘কাকের চেহারাটা কী সুন্দর! কী চমৎকার গায়ের রং, কী সুন্দর দেহের গঠন। শুধু গলার স্বরটাই যদি তার চেহারাটার মতো সুন্দর হতো।
তাহলে অনায়াসে তাকে পাখিদের রানি বলা যেত।’ শেয়ালের মুখে প্রশংসাবাক্য শুনে কাকের তো দেমাগে বুক. ফুলে উঠল। সে তখন ভাবল, তার গলার আওয়াজ নিয়ে যেহেতু এত দুর্নাম, তাই সবাইকে জানিয়ে দেওয়া দরকার যে তার কণ্ঠ কারও চেয়ে মন্দ নয়। তাই সে বিকট আওয়াজে কর্কশভাবে কা কা রবে ডেকে উঠল।
যেই না সে মুখ. খুলেছে অমনি মাংসের টুকরোটা তার মুখ. থেকে খসে টুপ করে নিচে পড়ে গেল। শেয়াল মাংসটা মুখে তুলে নিয়ে হাসতে হাসতে চলে গেল। কাক. বুঝতে পারল শেয়ালের মিষ্টি কথায় ভুলে গিয়ে সে কেমন বোকামিটাই না করেছে।
আরো দেখুন
সঠিক. উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
০১। কাককে দেখে শেয়ালের মনে কী জাগল?
ক. মাংস নেওয়ার সাধ খ. কাকটার প্রতি মমতা গ. গাছে চড়ার সাধ ঘ. বন্ধুত্ব করার আগ্রহ
০২। নিচের কোনটি ‘দুর্নাম’ শব্দটির বিপরীত শব্দ?
ক. নাম খ. সুনাম গ. পরিণাম ঘ. সুন্দর নাম
০৩। অনুচ্ছেদটি পড়ে নিচের কোনটি বলা যায়?
ক. কাকটি ছিল খুব সৎ খ. কাকটি ছিল খুব সুন্দর গ. শেয়ালটি ছিল খুব ধূর্ত ঘ. শেয়ালটি ছিল খুব বোকা
০৪। ‘কাকের চেহারাটা কী সুন্দর!’ শেয়াল এটি বলেছিল
ক. সত্যবাদী বলে
খ. কাকটাকে ভালোবেসে
গ. খাবার হাতানোর ফন্দি হিসেবে
ঘ. চোখে কম দেখত বলে
০৫। অনুচ্ছেদটির মূল শিক্ষা কী?
ক. বিপদেই বন্ধু চেনা যাখ. তোষামোদে ভুলতে নেই গ. অল্প বিদ্যা ভয়ংকর ঘ. ধৈর্য মহৎ গুণ
নিচে কয়েকটি শব্দ ও শব্দার্থ দেওয়া হলো। উপযুক্ত শব্দটি দিয়ে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ কর।
শব্দ ————- অর্থ
তোষামোদ ————- চাটুকারিতা।
ফন্দি ————- চাতুরি, প্রতারণা।
অনায়াসে————- সহজে, বিনা পরিশ্রমে।
দুর্নাম ————- বদনাম, কলঙ্ক।
কর্কশ————- অমসৃণ, অসুন্দর।
দেমাগ————- অহংকার।
(ক) সৎ মানুষেরা কাউকে ———— করে না।
(খ) পাপ্পু ———— সব কাজ করে ফেলল।
(গ) পাকা চোর হিসেবে কাকের ———— আছে।
(ঘ) ———— দেখানো ভালো নয়।
(ঙ) বিড়ালটা মনে মনে ইঁদুরটাকে ধরার ———— করছে।
নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
(ক) শেয়ালটি কাকের প্রশংসা করল কেন? পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : কাকটি মাংসের টুকরো চুরি করে এনেছিল। সেটি দেখে শেয়ালের তা খাওয়ার লোভ হলো। সে মাংসের টুকরাটি কৌশলে হাতিয়ে নেওয়ার ফন্দি করল। এক্ষেত্রে শেয়ালটি কাকের মুখ. খোলার জন্য তাকে কথা বলাতে চাইল। অর্থাৎ কৌশল অনুযায়ী কাককে বোকা বানাতেই শেয়াল তার প্রশংসা করল।
(খ) শেয়াল তার উদ্দেশ্য কীভাবে সফল করেছিল পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : শেয়ালের উদ্দেশ্য ছিল কাকের মুখ. থেকে মাংসের টুকরাটি কৌশলে বাগিয়ে নেওয়া। তাই সে কাকের নানা রকম প্রশংসা করল। শেয়ালের তোষামোদ শুনে অহংকারে কাকের বুক. ফুলে গেল এবং সে বুঝতে পারল না যে আসলে সবই ছিল শেয়ালের ফন্দি। শেয়ালকে গান শোনাতে গিয়ে তার মুখ. থেকে মাংসের টুকরাটি খসে পড়ে গেল। শেয়াল তা পেয়ে যাওয়ার মাধ্যমে তার উদ্দেশ্য সফল হলো।
(গ) অনুচ্ছেদে উল্লিখিত ঘটনা থেকে তুমি কী কী শিখতে পারলে? পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : অনুচ্ছেদে উল্লিখিত ঘটনা থেকে আমি যা শিখলাম :
০১। অহংকার করা ভালো নয়।
০২। তোষামোদে কান দিলে তাতে নিজের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
০৩। নিজেকে সবচেয়ে চালাক. মনে করা উচিত নয়।
০৪। নিজের ভালো-মন্দ সম্পর্কে সচেতন থাকা উচিত।
০৫। কোনো বিষয়ে অযথা লোভ করতে হয় না।
(ঘ) কাকটি কেন বিকট আওয়াজে ডেকে উঠল তা তিনটি বাক্যে লেখ। কাকটি কী করলে মাংসের টুকরোটি হারাত না?
উত্তর : শেয়াল কাকের কাছে থেকে মাংস হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে কাকের মিথ্যা প্রশংসা করা শুরু করল। তা শুনে অহংকারে কাকের বুক. ফুলে গেল। শেয়ালের কথার ভুলেই নিজের গুণ জাহির করার উদ্দেশ্যে সে বিকট আওয়াজে ডেকে উঠল। কাকটি ছিল খুব বোকা আর অহংকারী। শেয়ালের তোষামোদে না ভুলে অহংকার করা থেকে বিরত থাকলে সে তার মাংসের টুকরাটি হারাত না।
অনুচ্ছেদ-০৫
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৫, ৬ ও ৭নং ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
১৯৬০ সালে দরিদ্র পরিবারে জন্ম দিয়াগো ম্যারাডোনার। শৈশব কাটে বস্তিতে। মাত্র দশ বছর বয়সেই ফুটবল খেলায় তাঁর প্রতিভার প্রমাণ পাওয়া যায়। বর্তমানে তাঁকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ড্রিবলিং, পাসিং, ফ্রি-কিক. নেওয়া সবগুলোতেই তিনি অত্যন্ত দক্ষ ছিলেন।
তিনি ছিলেন বাঁ পায়ের খেলোয়াড়। ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে অধিনায়ক. হিসেবে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতান। সেই টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে লাভ করেন ‘গোল্ডেন বল’। বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ম্যারাডোনা ছয়জন ইংরেজ ফুটবলারকে তাঁর অসাধারণ ড্রিবলিং নৈপুণ্যে নাস্তানাবুদ করে বিখ্যাত এক. গোল করেন।
গোলটিকে গত শতাব্দীর সেরা গোল হিসেবে ধরা হয়। ম্যারাডোনা ১৯৮২, ১৯৮৬, ১৯৯০ ও ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে খেলেন। ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপেও তিনি আর্জেন্টিনার অধিনায়ক. ছিলেন। সেবার আর্জেন্টিনা রানার্সআপ হয়।
সঠিক. উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
০১। উল্লিখিত খেলোয়াড়ের সাথে পাঠ্য বইয়ের কোন চরিত্রের মিল লক্ষ করা যায়?
ক. মওলানা ভাসানীর খ. নূর মোহাম্মদ শেখের গ. ইমদাদ হক. কাজির ঘ. জগদীশচন্দ্র বসুর
০২। ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা কী হয়?
ক. রানারআপ খ. চ্যাম্পিয়ন গ. তৃতী ঘ. চতুর্থ
০৩। ১৯৮৬-এর বিশ্বকাপে ম্যারাডোনা গোল্ডেন বল জেতেন কেন?
ক. অধিনায়ক. ছিলেন বলে
খ. দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বলে
গ. সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন বলে
ঘ. প্রতিভাবান ফুটবলার ছিলেন বলে
০৪। ম্যারাডোনার মতো সফল হওয়ার জন্য আমাদের
ক. প্রচুর অর্থের মালিক. হতে হবে
খ. দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ও পরিশ্রমী হতে হবে
গ. সময়ের অপচয় করতে হবে
ঘ. আর্জেন্টিনায় যেতে হবে
০৫। অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ফুটবল বিশ্বকাপ হয়ে থাকে
ক. প্রতিবছর খ. এক. বছর পর পর গ. যখন ইচ্ছে তখন ঘ. চার বছর পর পর
নিচে কয়েকটি শব্দ ও শব্দার্থ দেওয়া হলো। উপযুক্ত শব্দটি দিয়ে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ কর।
শব্দ ————- অর্থ
সর্বশ্রেষ্ঠ ————- সবচেয়ে ভালো।
রানার্সআপ ————- প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান দখলকারী।
নৈপুণ্য ————- কৌশল, চাতুর্য।
নাস্তানাবুদ————- নাজেহাল, হয়রান।
শতাব্দী————- একশ বছরব্যাপী সময়।
ইংরেজ ————- ইংল্যান্ডের অধিবাসী।
(ক) বাবা ———— ভদ্র লোকাটির সাথে কথা বলছেন।
(খ) মারুফার গাছে ওঠার ———— দেখে আমরা মুগ্ধ।
(গ) নেকড়ের আক্রমণে শেয়ালটার ———— হলো।
(ঘ) ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতায় আমাদের স্কুল ———— হয়েছে।
(ঙ) ডন ব্র্যাডম্যানকে সর্বকালের ———— ক্রিকেটার বলা হয়।
নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
(ক) ম্যারাডোনা সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখ।
উত্তর : ম্যারাডোনা সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য
০১। ম্যারাডোনা অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারে জন্মেছিলেন।
০২। শৈশবেই ফুটবল খেলায় তাঁর প্রতিভার প্রমাণ পাওয়া যায়।
০৩। ১৯৮৬ সালে ম্যারাডোনা আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপ জেতেন।
০৪। ম্যারাডোনা গত শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ গোল করেন।
০৫। ম্যারাডোনাকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
(খ) ম্যারাডোনা কীভাবে গত শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ গোলটি করলেন?
উত্তর : ম্যারাডোনা ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে বিস্ময়কর একটি গোল করেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলায় তিনি ছয়জন ইংরেজ খেলোয়াড়কে ড্রিবলিং জাদুতে ধরাশায়ী করে গোলটি করেন। গোলটি গত শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ গোল হিসেবে বিবেচিত।
(গ) ১৯৮৬ ও ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপে ম্যারাডোনার উল্লেখযোগ্য সাফল্য কী কী? চারটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : ১৯৮৬ ও ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপে ম্যারাডোনা ছিলেন আর্জেন্টিনা দলের অধিনায়ক। আর্জেন্টিনা ১৯৮৬ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়। ১৯৯০ সালে হয় রানার্সআপ। ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে ম্যারাডোনা প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন এবং ‘গোল্ডেন বল’ জেতার গৌরব অর্জন করেন।
(ঘ) ম্যারাডোনার ছেলেবেলা সম্পর্কে তিনটি বাক্য লেখ। তাঁর ফুটবলের দুটি বিশেষ দক্ষতার নাম লেখ।
উত্তর : ম্যারাডোনা ১৯৬০ সালে আর্জেন্টিনায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পরিবার ছিল অত্যন্ত দরিদ্র। ছেলেবেলাতেই ফুটবল খেলায় তিনি প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন।
ম্যারাডোনার ফুটবল খেলার দুটি বিশেষ দক্ষতা হলো- ড্রিবলিং এবং ফ্রি কিক।
অনুচ্ছেদ-০৬
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৫, ৬ ও ৭নং ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
মুক্তিযুদ্ধ যখন শুরু হয় বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর তখন ছিলেন পাকিস্তানের কারাকোরামে। সিদ্ধান্ত নিলেন পাকিস্তানি সামরিক. বাহিনী ত্যাগ. করে মুক্তিবাহিনীতে যোগ. দেবেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ছুটি নিলেন কয়েক. দিনের। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাকিস্তান ও ভারতের দুর্গম পাহাড়ি এলাকা অতিক্রম করে পৌঁছান ভারতে।
ভারতের মালদহ জেলার মেহদিপুরে অবস্থিত মুক্তিবাহিনীতে যোগ. দিলেন। দেশ শত্রæমুক্ত হওয়ার দুদিন আগে বীরের মতো যুদ্ধ করে শহিদ হন তিনি। জাহাঙ্গীরের মতোই ভাবনা ছিল বৈমানিক. মতিউর রহমানের। মুক্তিযুদ্ধ যখন শুরু হয়, তিনি তখন ছিলেন পাকিস্তান বিমানবাহিনীর ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট।
তিনি চেয়েছিলেন পাকিস্তান থেকে যুদ্ধবিমান নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ. দিতে। ১৯৭১ সালের ২০শে আগস্ট করাচির মাশরুর বিমানঘাঁটি থেকে টি-৩৩ বিমান নিয়ে প্রশিক্ষণ শুরু করলেন তিনি। সাথে পাকিস্তানি বৈমানিক. মিনহাজ রশিদ। বিমান আকাশে ওঠার পর বিমানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া নিয়ে মতিউরের সাথে মিনহাজের ধস্তাধস্তি হয়।
একপর্যায়ে বিমানটি পাকিস্তানের থাট্টায় বিধ্বস্ত হয়। এভাবেই দেশের জন্য প্রাণ বিসর্জন দেন বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান। ২০৬ সালে তাঁর দেহাবশেষ দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয় ঢাকার শহিদ বুদ্ধিজীবী সমাধিস্থলে।
সঠিক. উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
০১। বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর কিসের সিদ্ধান্ত নেন?
ক. পাকিস্তানে থেকে যাওয়ার খ. বৈমানিক. হওয়ার গ. মুক্তিযুদ্ধে যোগ. দেওয়ার ঘ. বিমান নিয়ে যুদ্ধে যাওয়ার
০২। মতিউর রহমান যে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে শহিদ হন তার নাম কী?
ক. সি-১৯৭১ খ. টি-২০ গ. সি-০৭ ঘ. টি-৩৩
০৩। ‘অবস্থিত’ শব্দটির যুক্তবর্ণটি কোন কোন বর্ণ দিয়ে গঠিত?
ক. স + ত খ. স + হ গ. স + থ ঘ. স + দ
০৪। রাফিনের বড় ভাইয়া বিমান চালান। রাফিনের বড় ভাইয়া পেশায়
ক. ল্যান্স নায়েক. খ. সৈনিক. গ. বৈমানিক. ঘ. বিমানবালা
০৫। অনুচ্ছেদটিতে কী প্রকাশিত হয়েছে?
ক. পাকিস্তানিদের অত্যাচারের কথা
খ. বীরশ্রেষ্ঠদের দেশপ্রেমের কথা
গ. মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ের বর্ণনা
ঘ. পাকিস্তান থেকে পালিয়ে আসার উপায়
নিচে কয়েকটি শব্দ ও শব্দার্থ দেওয়া হলো। উপযুক্ত শব্দটি দিয়ে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ কর।
শব্দ ————- অর্থ
পরিকল্পনা ————- কোনো কাজ করার আগে কীভাবে করা হবে তা ঠিক. করে নেওয়া।
দুর্গম ————- যেখানে যাওয়া কষ্টসাধ্য।
বিধ্বস্ত ————- সম্পূর্ণরূপে বিনষ্ট।
নিয়ন্ত্রণ ————- পরিচালনা।
বিসর্জন ————- ত্যাগ।
প্রশিক্ষণ ————- হাতে কলমে শিক্ষা।
(ক) রাব্বি মামার কাছ থেকে সাইকেল চালানোর ———— নিচ্ছে।
(খ) ———— এলাকায় বন্যার সময় ত্রাণ পাঠাতে অনেক. সমস্যা হয়।
(গ) বাবা আমাদের পরিবার ———— করেন।
(ঘ) গরমের ছুটিতে গ্রামে যাওয়ার ———— করছি।
(ঙ) মাদার তেরেসা মানুষের সেবায় নিজের সুখ. ———— দিয়েছিলেন।
আরো পড়ুনঃ
-
- ৫ম শ্রেণি | বাংলা | প্রার্থনা কবিতার প্রশ্ন উত্তর | PDF
- ৫ম শ্রেণি | বাংলা | ঘাসফুল কবিতার প্রশ্ন উত্তর | PDF
- ৫ম শ্রেণি | বাংলা | ভাবুক ছেলেটি গল্প প্রশ্ন উত্তর | PDF
- ৫ম শ্রেণি | বাংলা | অবাক জলপান নাটকটির প্রশ্ন উত্তর | PDF
নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
(ক) মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর কীভাবে মুক্তিবাহিনীতে যোগ. দেন? পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধের শুরুর দিকে মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর ছিলেন পাকিস্তানে। তিনি পাকিস্তান সামরিক. বাহিনী ত্যাগ. করে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে মুক্তিযুদ্ধে যোগ. দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কারণ তিনি দেশকে শত্রæমুক্ত করতে চেয়েছিলেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ছুটি নিয়ে পাকিস্তান ও ভারতের দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে পৌঁছান ভারতের মালদহ জেলায়। সেখানে মুক্তিবাহিনীতে যোগ. দেন জাহাঙ্গীর।
(খ) মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর ও মতিউর রহমানের মধ্যে যে মিলগুলো খুঁজে পাওয়া যায় সেগুলো পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর ও মতিউর রহমানের মধ্যে যে মিলগুলো রয়েছে সেগুলো নিচে পাঁচটি বাক্যে উল্লেখ. করা হলো:
০১। মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর ও মতিউর রহমান দুজনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানে অবস্থান করছিলেন।
০২। দুজনেই পাকিস্তান থেকে পালিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন।
০৩। দুজনেই দেশের জন্য নিজের জীবন বিসর্জন দিয়েছেন।
০৪। দুজনেই ছিলেন মহান দেশপ্রেমিক।
০৫। দুজনেই নিজেদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ উপাধিতে ভ‚ষিত হয়েছেন।
(গ) মতিউর রহমান সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখ।
উত্তর : মতিউর রহমান সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য নিচে লেখা হলো
০১। মতিউর রহমান ছিলেন পাকিস্তান বিমানবাহিনীর ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট।
০২। তিনি ছিলেন এক. মহান দেশপ্রেমিক।
০৩। পাকিস্তান থেকে বিমান নিয়ে বাংলাদেশে এসে মুক্তিযুদ্ধে যোগ. দিতে চেয়েছিলেন তিনি।
০৪। ২০৬ সালে মতিউর রহমানের দেহাবশেষ বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
০৫। মতিউর রহমানকে ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ উপাধিতে ভ‚ষিত করা হয়েছে।
(ঘ) ‘দেশের জন্য প্রাণ বিসর্জন দেন বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান’- কথাটি বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : দেশের প্রতি অপরিসীম ভালোবাসা থাকার কারণে নিজের প্রাণের মায়া ত্যাগ. করতে দ্বিধা করেননি বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান।
মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন মতিউর রহমান। কিন্তু তাঁর মনে ছিল দেশমাতৃকাকে শত্রæমুক্ত করার বাসনা। তাই পাকিস্তান বিমানবাহিনীর টি-৩৩ নামের একটি বিমান নিয়ে উড়াল দেন দেশের উদ্দেশ্যে। কিন্তু পাকিস্তানি সহ-বৈমানিক. মিনহাজ রশিদ তাঁকে বাধা দিলে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। একসময় পাকিস্তানের থাট্টায় বিমানটি বিধ্বস্ত হলে প্রাণ হারান মতিউর।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।