নবম ও দশম-সাধারণ বিজ্ঞান সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : PDF Download- সাধারণ বিজ্ঞান হতে যেকোনো ধরনেরসৃজনশীল প্রশ্ন-উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন ।
প্রিয়া ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেন আপনার খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য সাধারণ বিজ্ঞান হতে গুরুপূর্ণ কিছু প্রশ্ন উত্তর আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এসএসসি- SSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
নবম ও দশম-সাধারণ বিজ্ঞান সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সমুহ:
প্রশ্ন -১৩ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
মানুষের ধারণা ছিল সৃষ্টির আদিতে জীবের যে আকার ও আয়তন ছিল তার কোনো পরিবর্তন হয়নি। কিন্তু পরবর্তীতে বিজ্ঞানীরা কতগুলো জীবাশ্ম আবিষ্কার করে ভ্রান্ত ধারণার অবসান ঘটান।
তাঁদের মতে অতীত ও বর্তমান যুগের জীবদেহের মধ্যে অনেক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে জৈব বিবর্তনের কারণে। ডারউইনের মতবাদ অনুসারে পরিবেশে যে জীবটি খাপ খাইয়ে নিবে, সে হবে যোগ্য।
ক. জীবাশ্ম কাকে বলে?
খ. বিবর্তনের পক্ষে জীবাশ্মঘটিত একটি প্রমাণের পরিচয় দাও।
গ. উদ্দীপকে যে জৈব ঘটনাটি আলোচিত হয়েছে তা একটি রেখাচিত্রের দ্বারা দেখাও।
ঘ. উদ্দীপকের শেষ মতবাদটি বিশ্লেষণ কর
১৩নং প্রশ্নের উত্তর
ক. ভূগর্ভের শিলাস্তরে দীর্ঘকাল চাপা পড়ে থাকা জীবের সামগ্রিক বা আংশিক প্রস্তরীভূত দেহ বা দেহছাপকে জীবাশ্ম বলে।
খ. আর্কিওপটেরিক্স এর জীবাশ্ম পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে, এদের সরীসৃপের মতো পা ও দাঁত, পাখির মতো পালক বিশিষ্ট দুটি ডানা, একটি দীর্ঘ লেজ, লেজের শেষ প্রান্তে একগুচ্ছ পালক ও মাথায় চঞ্চু ছিল। এর থেকে প্রমাণিত হয় যে, সরীসৃপ জাতীয় প্রাণী থেকেই বিবর্তনের মাধ্যমে পাখি জাতীয় প্রাণীর উদ্ভব ঘটেছে।
গ. উদ্দীপকে পৃথিবীর প্রথম জীবনের আবির্ভাব ও জৈব বিবর্তন আলোচিত হয়েছে। নিচে সেটি রেখাচিত্রের দ্বারা দেখানো হলো :
ঘ. উদ্দীপকের শেষ মতবাদটি হলো ডারউইনের মতবাদ।
ডারউইনের দৃষ্টিতে প্রকৃতিতে সংঘটিত সাধারণ সত্যগুলো হলো :
১. অত্যধিক হারে বংশবৃদ্ধি
২. সীমিত খাদ্য ও বাসস্থান
৩. অস্তিত্বের জন্য সংগ্রামÑ ডারউইনের মতে জীবকে তিনটি পর্যায়ে এ সংগ্রাম করতে হয়। যথা :
ক. আন্তঃপ্রজাতিক সংগ্রাম
খ. অন্তঃপ্রজাতিক সংগ্রাম
গ. পরিবেশের সঙ্গে সংগ্রাম।
৪. প্রকরণ
৫. যোগ্যতমের জয় : ডারউইনের মতে, যেসব প্রকরণ জীবের জীবন সংগ্রামের পক্ষে সহায়ক এবং পরিবেশের সঙ্গে অভিযোজনমূলক; তারাই কেবল বেঁচে থাকবে; অন্যরা পৃথিবী থেকে অবলুপ্ত হবে।
৬. প্রাকৃতিক নির্বাচন : ডারউইন তত্ত্বের এই প্রতিপাদ্যটি সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
ডারউইনের মতবাদ অনুসারে পরিবেশে যে জীবটি খাপখাইয়ে নিবে সে হবে যোগ্য এবং যোগ্য জীবটি পরিবেশে প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়ে বেঁচে থাকার জন্য বংশবৃদ্ধি করবে এবং প্রকট হবে।
৭. নতুন প্রজাতির উৎপত্তি : যোগ্য জীবের বংশধরদের মধ্যে প্রকরণগুলো উত্তরাধিকারসূত্রে যায়। এই বংশধরদের মধ্যে যাদের সুবিধাজনক প্রকরণ বেশি থাকে; প্রকৃতি আবার তাদের নির্বাচন করে। এভাবে যুগ যুগ ধরে নির্বাচিত করে প্রকৃতি প্রাণী ও উদ্ভিদের নতুন প্রজাতি সৃষ্টি করে।
উক্ত মতবাদটি আলোচনা করে দেখা যায় যে, ডারউইনের মতবাদ অনুসারে, পরিবেশে যে জীবটি খাপ খাইয়ে নিবে, সে হবে যোগ্য।
প্রশ্ন -১৪ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
শিলা রাজাপুর গ্রামে বাস করে। তার স্বামী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। তার তিন মেয়ে। এ নিয়ে শিলাকে শ্বশুরবাড়ির লোকদের নানারকম কথা শুনতে হয়। এখন শিলার স্বামীর জন্য তারা আবার মেয়ে দেখছেন।
ক. মানুষের ক্রোমোসোম সংখ্যা কত?
খ. সেক্স ক্রোমোসোম বলতে কী বোঝায়?
গ. শিলার স্বামীকে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন আবার বিয়ে দিতে চায় কেন?
ঘ. ‘মেয়ে সন্তান জন্মদানের জন্য শিলা নয় বরং তার স্বামী দায়ী’ বিশ্লেষণ কর।
১৪নং প্রশ্নের উত্তর
ক. মানুষের ক্রোমোসোম সংখ্যা ৪৬টি অর্থাৎ ২৩ জোড়া।
খ. জীবের লিঙ্গ নির্ধারণ বিশেষ একজোড়া ক্রোমোসোম দ্বারা ঘটে। এ ক্রোমোসোমগুলোকে লিঙ্গ নির্ধারক বা সেক্স ক্রোমোসোম বলে। লিঙ্গ নির্ধারণকারী ক্রোমোসোমগুলোকে আখ্যায়িত করা হয় ঢ ও ণ ক্রোমোসোম নামে।
গ. শিলার শ্বশুরবাড়ির লোকজন শিলার স্বামীকে আবার বিয়ে দিতে চায় পরপর তিনটি মেয়ে সন্তান হওয়ার কারণে তাদের ধারণা অন্য আর একটা মেয়ের সাথে তাদের ছেলের বিয়ে দিলে পুত্র সন্তান হবে।
সম্পূর্ণ অজ্ঞতার কারণে তার শ্বশুর-শাশুড়ি এই ব্যবস্থা নিতে চায়। তারা জানে না পুত্র সন্তান হওয়াটা নির্ভর করে পুরুষের ণ ক্রোমোসোমধারী শুক্রাণুর ওপর। যদি পুরুষের ণ ক্রোমোসোমধারী শুক্রাণু স্ত্রীর ঢ ক্রোমোসোমধারী ডিম্বাণুর সাথে মিলিত হয় তাহলে পুত্র সন্তান হবে। এ বিষয়ে ধারণা না থাকার কারণে এবং কুসংস্কারের কারণে শিলার স্বামীর আবার বিয়ে দিতে চায় তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
ঘ. মেয়ে সন্তান জন্মদানের জন্য শিলা নয়, বরং তার স্বামী দায়ী, কারণ সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারক ক্রোমোসোম নারীর দেহে থাকে না; পুরুষের দেহে থাকে।
মানুষের ক্ষেত্রে মহিলাদের দেহকোষে ডিপ্লয়েড অবস্থায় ঢঢ সেক্স ক্রোমোসোম থাকে এবং পুরুষের দেহকোষে ডিপ্লয়েড অবস্থায় ঢণ ক্রোমোসোম থাকে। নারীদের মাতৃ জননকোষ থেকে মায়োসিস পদ্ধতিতে যে চারটি ডিম্বাণু সৃষ্টি হয়, তার প্রত্যেকটিতে ‘ঢ’ ক্রোমোসোম থাকে।
ফলে সবগুলো ডিম্বাণু হয় ‘ঢ’ ক্রোমোসোম বিশিষ্ট। পুরুষের ক্ষেত্রে শুক্রাণু গঠনের সময় চারটি শুক্রাণুর মধ্যে দুটি শুক্রাণুর প্রতিটি ‘ঢ’ ক্রোমোসোম এবং অপর দুটি ণ ক্রোমোসোম ধারণ করে। ফলে পুরুষদের শুক্রাণু ‘ঢ’ ও ‘ণ’ ক্রোমোসোমবিশিষ্ট হয়।
গর্ভধারণকালে ডিম্বাণুর মিলন যদি ‘ঢ’ ক্রোমোসোমবিশিষ্ট শুক্রাণুর সাথে হয়, তাহলে কন্যাসন্তান হবে, কারণ তখন ‘ঢঢ’ একসাথে হবে। আর গর্ভধারণকালে ডিম্বাণুর মিলন যদি ‘ণ’ ক্রোমোসোমবিশিষ্ট শুক্রাণুর সাথে হয়, তাহলে সেটি ছেলে সন্তান হবে, কারণ তখন ‘ঢণ’ একসাথে হবে।
সুতরাং মেয়ে সন্তান জন্মদানের জন্য শিলা নয় বরং তার স্বামীই দায়ী।
প্রশ্ন -১৫ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
একজন প্রততত্ত্ববিদ একটি প্রাণিজ ফসিল খুঁজে পান। তিনি পরীক্ষা করে দেখেন এর মধ্যে একই সাথে সাপ ও পাখির বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান।
ক. ল্যামার্কের তত্ত্বকে কী বলে?
খ. প্লাটিপাসকে সংযোগকারী জীব বলা হয় কেন?
গ. উদ্দীপকের গবেষকের গবেষণায় বিবর্তনের কোন প্রমাণটির সত্যতা মিলছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের প্রতœতত্ত্ববিদের কাজটিকে ল্যামার্কের তত্ত্বের আলোকে বিশ্লেষণ কর।
১৫নং প্রশ্নের উত্তর
ক. ল্যামার্কের তত্ত্বকে ল্যামার্কিজম (খধসধৎপশরংস) বা ল্যামার্কবাদ বলে।
খ. প্লাটিপাস সরীসৃপের মতো ডিম পাড়ে। অপরদিকে স্তন্যপায়ীর মতো এদের দেহ লোমে আবৃত, বুকে দুগ্ধগ্রন্থি বর্তমান এবং ডিম ফুটে শাবক জন্মালে এরা শাবককে স্তন্য পান করায়। প্লাটিপাসের মধ্যে সরীসৃপ ও স্তন্যপায়ী উভয়েরই বৈশিষ্ট্য থাকায় এদেরকে সংযোগকারী জীব বা কানেকটিং লিংক বলা হয়।
গ. উদ্দীপকের গবেষকের গবেষণায় বিবর্তনের সংযোগকারী জীব ও জীবাশ্ম সম্পর্কিত প্রমাণটি প্রমাণ করে। বিবর্তন সম্পর্কে যেসব প্রমাণ আছে তাদের মধ্যে জীবাশ্মঘটিত প্রমাণ সবচেয়ে বলিষ্ঠ। জীবাশ্মের সাহায্যে নিঃসন্দেহে প্রমাণ করা যায় যে ধারাবাহিকভাবে বিবর্তনের মাধ্যমে একরকম জীব থেকে অন্যরকম জীবের উৎপত্তি ঘটেছে।
জীবাশ্ম আবিষ্কারের পূর্বে ধারাবাহিক বিবর্তনের মধ্যে উপযুক্ত প্রমাণের অভাব থাকায় বিবর্তনের ইতিহাসে বেশ কিছু ফাঁক থেকে গিয়েছিল। অনুমান করা হয় যে, ঐ ফাঁকগুলোতে এমন কোনো জীব ছিল যাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এই রকম খোঁজ না পাওয়া জীবদের মিসিং লিংক বা হৃত-যোজক বলা হয়। এ ধরনের জীবগুলোর মধ্যে দুটি জীবগোষ্ঠীর বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান।
উদ্দীপকে যে জীবাশ্মের সন্ধান পাওয়া গেছে সেটির মধ্যে সাপ ও পাখির বৈশিষ্ট্যের সন্ধান পাওয়া গেছে। এটি একটি সংযোগকারী জীব যা প্রমাণ করে সরীসৃপ থেকে বিবর্তনের মাধ্যমে সম্ভবত পাখি জাতীয় প্রাণীর উৎপত্তি ঘটেছে।
ঘ. উদ্দীপকের প্রাপ্ত ফসিলের ওপর গবেষণার কাজটিকে ল্যামার্কের তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে বিশ্লেষণ করতে হলে ল্যামার্কের প্রতিপাদ্য বিষয় যেমন : ব্যবহার ও অব্যবহার সূত্র, পরিবেশের প্রভাব ও অর্জিত বৈশিষ্ট্যের আলোকে আলোচনা করা যায়।
১. ব্যবহার ও অব্যবহার সূত্র : ল্যামার্কের মতে, জীবের প্রয়োজনে জীবদেহে কোনো নতুন অঙ্গের উৎপত্তি অথবা কোনো পুরোনো অঙ্গের অবলুপ্তি ঘটতে পারে। তাঁর মতে, অঙ্গের ব্যবহার ও অব্যবহার জীবদেহে পরিবর্তন সূচিত করে, যা জীবের বংশপরম্পরায় অর্জিত বৈশিষ্ট্য।
২. পরিবেশের প্রভাব : সদা পরিবর্তনশীল পরিবেশে জীব নিজেকে উপযুক্তভাবে মানিয়ে নেবার জন্য সব সময় চেষ্টা করে। স্বাভাবিকভাবে পরিবর্তনশীল পরিবেশে নিজেকে অভিযোজিত করতে জীবদেহে নানা রকমের পরিবর্তন দেখা যায়। ল্যামার্কের মতে, পরিবেশের পরিবর্তন ঘটলে জীবের স্বভাব এবং দৈহিক পরিবর্তন ঘটে। এটিও একটি জীবের অর্জিত বৈশিষ্ট্য।
৩. অর্জিত বৈশিষ্ট্যের বংশানুসরণ ও নতুন প্রজাতির উৎপত্তি : ল্যামার্কের মতে, কোনো জীবের জীবনকালে যে সকল বৈশিষ্ট্য অর্জিত হয়, সেই সব বৈশিষ্ট্য এক প্রজš§ থেকে অন্য প্রজšে§ সঞ্চারিত হয় অর্থাৎ অর্জিত বৈশিষ্ট্যের বংশানুসরণ ঘটে এবং নতুন প্রজাতির সৃষ্টি হবে।
প্রত্ত্ত্ববিদের প্রাপ্ত জীবাশ্ম দেখে মনে হয় পরিবর্তনশীল পরিবেশে সরীসৃপ জীবটি অভিযোজিত হয়ে পাখির বৈশিষ্ট্য ধারণ করেছে, যা একটি অর্জিত বৈশিষ্ট্য। পরবর্তীতে বিবর্তনের ফলে এবং বংশানুসরণের কারণে অপর একটি নতুন প্রজাতির অর্থাৎ পাখির বৈশিষ্ট্য ধারণ করেছে।
প্রশ্ন -১৬ নিচের ছক দেখে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ক. বিবর্তন কাকে বলে?
খ. ‘অনটোজেনি রিপিটস ফাইলোজেনি’ বলতে কী বোঝায়?
গ. উদ্দীপকের দেখানো প্রক্রিয়াটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের দেখানো প্রক্রিয়াটির সপক্ষে জীবাশ্মঘটিত প্রমাণটি উপস্থাপন কর।
১৬নং প্রশ্নের উত্তর
ক. যে ধীর, অবিরাম ও গতিশীল পরিবর্তন দ্বরা কোনো সরলতর উদবংশীয় জীবের পরিবর্তন দ্বারা জটিল ও উন্নতর নতুন প্রজাতির বা জীবরে উদ্ভব ঘটে তাকে বিবর্তন বলা হয়।
খ. অনটোজেনি রিপিটস ফাইলোজেনি বলতে বোঝায়-“প্রতিটি জীব তার ভ্রƒণের ক্রমপরিণতিকালে অতি অল্প সময়ের জন্য হলেও উদবংশীয় জীব তথা পূর্বপুরুষের বিবর্তনের ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটায়।”
গ. উদ্দীপকের দেখানো প্রক্রিয়াটির আলোকে ধারণা করা হয় আদি পৃথিবীতে প্রোটিন ও নিউক্লিক এসিড সহযোগে সৃষ্টি হয় নিউক্লিওপ্রোটিন। এই নিউক্লিওপ্রোটিন থেকেই সৃষ্টি হয় প্রোটোভাইরাস এবং তা থেকে সৃষ্টি হয় ভাইরাস। এরপর সম্ভবত জৈব অভিব্যক্তির কারণে উদ্ভব হয় ব্যাকটেরিয়া এবং তারও পরে সৃষ্টি হয় প্রোটোজোয়া।
প্রোটোজোয়ানদের দেহে সৃষ্টি হয় সুগঠিত নিউক্লিয়াস। এরপর কিছু এককোষী জীবদেহে সৃষ্টি হলো ক্লোরোফিল। ফলে এরা একদিকে যেমন নিজেদের খাদ্য সংশ্লেষ করা শুরু করল অপর দিকে তারা পরিবেশে অক্সিজেনের যোগান দিতে থাকল।
এরপর সবাত শ্বসনকারী জীবদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকল। উদ্ভব হলো এককোষী থেকে বহুকোষী জীব। এরপর দুটি ধারায় জীবের অভিব্যক্তি শুরু হয়- একদিকে প্রাণী এবং অপর দিকে উদ্ভিদ।
ঘ. উদ্দীপকের দেখানো প্রক্রিয়াটি হলো জৈব বিবর্তন। এ প্রক্রিয়ার সপক্ষে জীবাশ্মঘটিত প্রমাণটি নিচে উপস্থাপন করা হলো :
ভূগর্ভের শিলাস্তরে দীর্ঘকাল চাপা পড়ে থাকা জীবের আংশিক অথবা সমগ্র প্রস্তরীভূত দেহ বা দেহছাপকে জীবাশ্ম বলে। বিবর্তন সম্পর্কে যেসব প্রমাণ আছে, তাদের মধ্যে জীবাশ্মঘটিত প্রমাণ সবচেয়ে বলিষ্ঠ।
জীবাশ্মের সাহায্যে নিঃসন্দেহে প্রমাণ করা যায় যে, ধারাবাহিকভাবে বিবর্তনের মাধ্যমে একরকম জীব থেকে অন্যরকম জীবের উৎপত্তি ঘটেছে। জীবাশ্ম আবিষ্কারের পূর্বে ধারাবাহিক বিবর্তনের মধ্যে উপযুক্ত প্রমাণের অভাব থাকায় কোনো জীবের বিবর্তনের ইতিহাসে বেশ কিছু ফাঁক থেকে গিয়েছিল।
অনুমান করা হয় যে, ঐ ফাঁকগুলোতে এমন কোনো জীব ছিল, যাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এই রকম খোঁজ না পাওয়া জীবদের মিসিং লিংক বা হৃত-যোজক বলা হয়। জীবাশ্ম আবিষ্কারের মাধ্যমে ঐ সমস্ত মিসিং লিংকের সন্ধান পাওয়ায় আজকাল বিবর্তনের ধারাবাহিক ইতিহাসের অনেক সমস্যার সমাধান হয়েছে।
শিলাস্তর হতে প্রাপ্ত জীবাশ্ম দেখে জীবটির জীবিতকালের হিসেবে পাওয়া যায়। তাছাড়া ঐ জীবাশ্মের বৈশিষ্ট্য দেখে বর্তমান এবং অতীতের যোগসূত্র নির্ধারণও সম্ভব হয়। তাই উদ্দীপকে দেখানো জৈব বিবর্তনের একটি বলিষ্ঠ প্রমাণ হচ্ছে জীবাশ্ম।
প্রশ্ন -১৭ নিচের ছকটি লক্ষ কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ক. রাসায়নিক অভিব্যক্তি কাকে বলে?
খ. আর্কিওপটেরিক্স এর চারটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
গ. ‘ক’ অবস্থায় সংঘটিত পরিবর্তনসমূহ চিহ্নিত কর।
ঘ. প্রক্রিয়াটি একটি শিশুকে পূর্ণাঙ্গ ও প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষে পরিণত করে উক্তিটির যথার্থতা নিরূপণ কর।
১৭নং প্রশ্নের উত্তর
ক. পৃথিবীর উৎপত্তি ঘটনাপ্রবাহকে রাসায়নিক অভিব্যক্তি বলে।
খ. আর্কিওপটেরিক্স- এ দেখা গেছে যে, এদের সরীসৃপের মতো পা ও দাঁত, পাখির মতো পালকবিশিষ্ট দুটি ডানা, একটি দীর্ঘ লেজ, লেজের শেষ প্রান্তে একগুচ্ছ পালক ও চঞ্চু ছিল।
গ. উদ্দীপকে ‘ক’ অবস্থা মানুষের বয়ঃসন্ধিকালকে বুঝানো হয়েছে।
এ সময় শারীরিক, মানসিক ও আচরণগত পরিবর্তন দেখা দেয়।
শারীরিক পরিবর্তন :
১. দ্রুত লম্বা ও ওজন বৃদ্ধি হওয়া এবং শরীরে দৃঢ়তা আসা।
২. শরীরের গঠন প্রাপ্তবয়স্কদের মতো হয়ে ওঠা।
৩. শরীরের বিভিন্ন অংশে লোম গজানো এবং গলার স্বর মোটা হওয়া ।
৪. ছেলেদের বীর্যপাত হওয়া এবং মেয়েদের ঋতুস্রাব শুরু হওয়া ও কোমরের হাড় মোটা হওয়া।
মানসিক পরিবর্তন :
১. অন্যের, বিশেষত নিকটজনের মনোযোগ, যতœ ও ভালোবাসা পাওয়ার ইচ্ছা তীব্র হওয়া।
২. আবেগ দ্বারা চালিত হওয়ার প্রবণতা।
৩. ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে সম্পর্কের বিষয়ে কৌতূহল এবং নেশা দ্রব্য, যেমন : সিগারেটের প্রতি আকর্ষণ সৃষ্টি হওয়া।
৪. মানসিক পরিপক্বতার ও পরনির্ভরতার মনোভাব পরিবর্তিত হয়ে আত্মনির্ভর হওয়ার পর্যায় শুরু হওয়া।
আচরণগত পরিবর্তন :
১. প্রাপ্তবয়স্কদের মতো আচরণ করা।
২. প্রত্যেক বিষয়ে নিজের মতামত প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা।
৩. দুঃসাহসিক ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে প্রবৃত্ত হওয়া।
ঘ. প্রক্রিয়াটি হলো বয়ঃসন্ধিকালীন পরিবর্তন। ছয় থেকে দশ বছর পর্যন্ত বয়সকে আমরা বাল্যকাল বলি। বাল্যকালের পরের এগারো থেকে উনিশ বছর বয়স পর্যন্ত সময়কাল হলো বয়ঃসন্ধিকাল। বাল্যাবস্থা ও যৌবনের মধ্যবর্তী বয়ঃসন্ধিকাল সময় একজন মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ।
এ সময় ছেলেমেয়েদের শারীরিক ও মানসিক অবস্থার অনেক পরিবর্তন হয়। বয়ঃসন্ধিকালে শারীরিক পরিবর্তনগুলো ঘটে হরমোনের কারণে। হরমোন শরীরের ভেতরে স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি হয়। মেয়েদের শরীরে বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটায় প্রধানত দুটি হরমোন।
এ দুটিকে বলা হয় ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন। ছেলেদের শরীরে বিভিন্ন পরিবর্তন যে হরমোন ঘটায় তার নাম টেস্টোস্টেরন। এসব হরমোনের প্রভাবে তাদের শারীরিক পরিবর্তন এবং তার সাথে সাথে মানসিক পরিবর্তন ঘটে। ছেলে ও মেয়েরা এ বয়সে কল্পনাপ্রবণ হয়, আবেগ দ্বারা চালিত হয়।
পরিপাটিরূপে নিজেকে সাজিয়ে রাখতে চায়। এ সময় ছেলেরা মেয়েদের প্রতি এবং মেয়েরা ছেলেদের প্রতি আকর্ষণবোধ করে। এভাবে ধীরে ধীরে কিশোর-কিশোরীরা প্রাপ্তবয়স্ক মানুষে পরিণত হতে শুরু করে।
সুতরাং উপরের আলোচনা থেকে বলা যায় প্রশ্নের উক্তিটি যথার্থ।
প্রশ্ন -১৮ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
রত্না নবম শ্রেণির ছাত্রী। তার বয়স তের বছর। তার বাবা তাকে বিয়ে দেয়। এমন পরিস্থিতিতে সে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ে এবং গর্ভধারণ করে। হঠাৎ তার গর্ভপাত ঘটলে ডাক্তারের নিকট যায়। ডাক্তার সব দেখে বলল, এটা অপরিণত বয়সের ফল।
ক. অটোসোম কী?
খ. গর্ভধারণের অস্বস্তি বলতে কী বোঝায়?
গ. রত্নার বিবাহ হওয়াতে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে তার কারণ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ডাক্তারের উক্তিটির যথার্থতা বিশ্লেষণ কর।
১৮নং প্রশ্নের উত্তর
ক. দেহকোষে এক জোড়া লিঙ্গ নির্ধারণকারী ক্রোমোসোম ছাড়া বাকি ক্রোমোসোমগুলোকে অটোসোম বলা হয়।
খ. গর্ভধারণের পর যে অস্বস্তিকর লক্ষণগুলো দেখা দেয় সেগুলো গর্ভধারণের অস্বস্তি।
এই লক্ষণগুলো হলো :
১. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া
২. মাথা ঘোরা
৩. বার বার প্রস্রাব হওয়া।
গ. রত্নার বিয়ে হয়েছে অপরিণত বয়সে। এতে যেসব সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে তার কারণ ব্যাখ্যা করা হলো-
১. অপরিণত বয়সে গর্ভধারণের ফলে শরীরে পানি আসা, তল পেটে খুব বেশি ব্যথা, চোখে ঝাপসা দেখা, গর্ভপাত ইত্যাদি স্বাস্থ্যগত সমস্যা সৃষ্টি হয়।
২. বিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায় বিয়ে হওয়াতে তার বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায় কারণ সে লজ্জায় ভোগে।
৩. অপরিণত বয়সে রত্নার বিয়ে হওয়াতে সে গর্ভধারণ করেছে। এমন অবস্থায় তার গর্ভে সন্তান বেড়ে ওঠার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা নেই। এসব শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকবে। এছাড়া রত্নার গর্ভাবস্থায় রক্তক্ষরণ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আর এতে তার ও সন্তানের মৃত্যুর ঝুঁকিও আছে।
৪. রত্নার অপরিণত বয়সে বিবাহ হওয়াতে স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য তাকে বারবার ডাক্তারের নিকট যেতে হবে। এতে সে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ঘ. ডাক্তার রত্নার গর্ভপাত সম্পর্কে উক্তি করেছেন যে, এটা অপরিণত বয়সের ফল। তার উক্তিটি যথার্থ। কারণ অপরিণত বয়সে গর্ভধারণ করলে শারীরিক যে সকল সমস্যার সৃষ্টি হয় তা হলো-গর্ভকালীন রক্তক্ষরণ এবং গর্ভপাত ঘটা। অপরিণত বয়সে গর্ভধারণের ফলে সঙ্গীর চাপ, অন্যের প্রভাব এবং হতাশার কারণে অনেকের গর্ভপাত ঘটে।
একটি মেয়ে যখন অপরিণত বয়সে গর্ভধারণ করে তখন তার গর্ভে সন্তান বেড়ে ওঠার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা পায় না এবং সন্তানের বেড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্যের যোগান শরীর থেকে দিতে গিয়ে মা অপুষ্টিতে পড়ে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ভোগে। এতে অনেক মেয়ের অপুষ্টি ও স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য গর্ভপাত ঘটে যায়।
সর্বোপরি এটা প্রতীয়মান হয় যে, অপরিণত বয়সে কোনো মেয়ে গর্ভধারণ করলে সে মৃত্যুঝুঁকিতে থাকে এবং অনেকে ইচ্ছাকৃত অনভিজ্ঞ গর্ভপাতকারীদের নিকট গিয়ে গর্ভপাত ঘটায়। এতে তাদের ওপর মানসিক ও আবেগীয় প্রভাব পড়ে। যা কিনা অপরিণত বয়সের ভুল সিদ্ধান্তের জন্য হয়ে থাকে।
অপরিণত বয়সের গর্ভপাতের ঝুঁকিসমূহ হলো :
১.মৃত্যু ঝুঁকি
২.স্বাস্থ্যহানী
৩.অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ
৪.মানসিক চাপ
৫.বিকলাঙ্গ।
উপরিউক্ত আলোচনা থেকে এটা সুস্পষ্ট যে, ডাক্তারের উক্তিটি যথার্থ।
প্রশ্ন -১৯ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
নবম শ্রেণিতে বিজ্ঞান শিক্ষক ‘সংযোগকারী জীব’ সম্পর্কে আলোচনা করলেন। একজন শিক্ষার্থী সংযোগকারী জীব সম্পর্কিত মতবাদটি বুঝতে না পারলে পরদিন ক্লাসে শিক্ষককে জিজ্ঞাসা করলে শিক্ষক এ বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদান করেন এবং বলেন বিজ্ঞানী ডারউইনের এরূপ একটি মতবাদ আছে। [সরকারি ইকবালনগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, খুলনা]
ক. ডারউইনের প্রাকৃতিক নির্বাচন মতবাদটি কোন পুস্তকে প্রকাশ করেন?
খ. লুপ্ত প্রায় অঙ্গ বলতে কী বোঝায়?
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত মতবাদটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. শিক্ষক ডারউইনের কোন মতবাদের ইঙ্গিত দিয়েছেন তা বিশ্লেষণ কর।
১৯নং প্রশ্নের উত্তর
ক. ডারউইন তাঁর মতবাদটি “ঙৎরমরহ ড়ভ ংঢ়বপরবং নু সবধহং ড়ভ হধঃঁৎধষ ংবষবপঃরড়হ” পুস্তকে প্রকাশ করেন।
খ. জীবদেহে এমন কতগুলো অঙ্গ দেখা যায়, যেগুলো নির্দিষ্ট জীবদেহে সক্রিয় থাকে কিন্তু সম্পর্কিত অপর জীবদেহে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকে, এমন অঙ্গগুলোকে লুপ্তপ্রায় অঙ্গ বা নিষ্ক্রিয় অঙ্গ বলে। প্রাণিদেহের মধ্যে বহু লুপ্তপ্রায় অঙ্গ পরিলক্ষিত হয়। যেমন: মানুষের সিকাম এবং সিকামসংলগ্ন ক্ষুদ্র অ্যাপেন্ডিক্সটি নিষ্ক্রিয়; কিন্তু স্তন্যপায়ীভুক্ত তৃণভোজী গিনিপিগের দেহে এগুলো সক্রিয়।
গ. উদ্দীপকে শিক্ষক ডারউনের বিবর্তন মতবাদটি বুঝিয়েছেন। ডারউইনের দৃষ্টিতে প্রকৃতিতে সংঘটিত সাধারণ সত্যগুলো হলো :
১. অত্যধিক হারে বংশবৃদ্ধি
২. সীমিত খাদ্য ও বাসস্থান
৩. অস্তিত্বের জন্য সংগ্রামÑ ডারউইনের মতে জীবকে তিনটি পর্যায়ে এ সংগ্রাম করতে হয়। যথা :
ক. আন্তঃপ্রজাতিক সংগ্রাম
খ. অন্তঃপ্রজাতিক সংগ্রাম
গ. পরিবেশের সঙ্গে সংগ্রাম।
৪. প্রকরণ
৫. যোগ্যতমের জয় : ডারউইনের মতে, যেসব প্রকরণ জীবের জীবন সংগ্রামের পক্ষে সহায়ক এবং পরিবেশের সঙ্গে অভিযোজনমূলক; তারাই কেবল বেঁচে থাকবে; অন্যরা পৃথিবী থেকে অবলুপ্ত হবে।
৬. প্রাকৃতিক নির্বাচন : ডারউইন তত্ত্বের এই প্রতিপাদ্যটি সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
ডারউইনের মতবাদ অনুসারে পরিবেশে যে জীবটি খাপ খাইয়ে নিবে সে হবে যোগ্য এবং যোগ্য জীবটি পরিবেশে প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়ে বেঁচে থাকার জন্য বংশবৃদ্ধি করবে এবং প্রকট হবে।
৭. নতুন প্রজাতির উৎপত্তি : যোগ্য জীবের বংশধরদের মধ্যে প্রকরণগুলো উত্তরাধিকারসূত্রে যায়। এই বংশধরদের মধ্যে যাদের সুবিধাজনক প্রকরণ বেশি থাকে; প্রকৃতি আবার তাদের নির্বাচন করে। এভাবে যুগ যুগ ধরে নির্বাচিত করে প্রকৃতি প্রাণী ও উদ্ভিদের নতুন প্রজাতি সৃষ্টি করে।
ঘ. শিক্ষক ডারউইনের প্রাকৃতিক নির্বাচন মতবাদের ইঙ্গিত দিয়েছেন।
জীবজগতে এমন জীবের অস্তিত্ব পাওয়া যায়; যাদের মধ্যে দুটি জীবগোষ্ঠীর বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। এ ধরনের জীবকে সংযোগকারী জীব বলা হয়।
ডারউইনের মতবাদের প্রতিপাদ্য বিষয়গুলোর মধ্যে অস্তিত্বের জন্য সংগ্রাম ও প্রকরণ থেকে বুঝা যায় সংযোগকারী জীবদের অধিকাংশই পৃথিবীর পরিবর্তনের সাথে অভিযোজিত হতে সক্ষম না হওয়ায় পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
প্রাচীন পৃথিবীতে বিভিন্ন ধরনের প্রতিকূল পরিবেশ জীবের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত করত। জীবকে তার অস্তিত্বের জন্য প্রতিনিয়ত এসব প্রতিকূল পরিবেশের সঙ্গে সংগ্রাম করতে হতো। এ সংগ্রামে যার জয় হতো সে টিকে থাকত।
ডারউইনের মতে, যেসব প্রকরণ জীবের জীবন সংগ্রামের পক্ষে সহায়ক এবং পরিবেশের সাথে অভিযোজনমূলক, তারাই কেবল বেঁচে থাকবে, অন্যরা কালক্রমে পৃথিবী থেকে অবলুপ্ত হয়ে যাবে।
সুতরাং সংযোগকারী অনুকূল প্রকরণ সমন্বিত জীবগুলো প্রকৃতির দ্বারা নির্বাচিত হয়ে বেঁচে থেকে নতুন প্রজাতি হিসেবে সৃষ্টি হয়ে বংশ বৃদ্ধি করে বর্তমান পর্যন্ত জীবন্ত জীবাশ্ম হিসেবে বেঁচে আছে। অপরপক্ষে প্রতিকূল প্রকরণ সম্পন্ন জীবেরা প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে না পেরে অবলুপ্ত হয়ে গেছে। শিক্ষক ডারউইনের যোগ্যতমের জয় এবং প্রাকৃতিক নির্বাচনের মতবাদের কথা বলেছেন।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।