ছাত্র জীবনে অনলাইনে আয় করার কিছু সহজ পদ্ধতি সম্পর্কে আজকে আমরা জানতে পারব। এবং এই পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করে কিভাবে অনলাইনে একটি বিজনেস বা ব্যবসা তৈরি করা যায় তার কিছু সহজ এবং কার্যকরি উপায় সম্পর্কে আজকে আমরা জানতে পারব।
অনলাইনে ছোট ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু পদক্ষেপ রয়েছে, যেগুলো অনুসরণ করলে আপনার সফলতা অর্জন করা সহজ হয়ে যাবে। কারণ, বহু মানুষ নিমোক্ত প্রক্রিয়া গুলো অনুসরণ করেই অনলাইন ব্যবসায় সফল হয়েছেন। আমাদের অল্প পুঁজিতে ১০ টি লাভজনক নতুন ব্যবসার আইডিয়া পড়ে ব্যবসার আইডিয়া নিতে পারেন।
১. এমন ব্যবসা বাছাই করবেন যেটির পর্যাপ্ত বাজার চাহিদা আছে
বেশিরভাগ মানুষই পণ্য ও বাজার নিয়ে রিসার্চ করতে ভুল করে। আপনার সফলতার সম্ভাবনা বৃদ্ধি করার জন্য বাজার যাচাই করা শুরু করে দিন। অনলাইনে কোনো পন্যের চাহিদা বেশি সেটা নির্বাচন করা জরুরি।
সম্ভাবনা যাচাই করার কৌশলটা অনেকটা এরকম যে, আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে কোন মানুষ কি খুঁজছে, এবং তাদের চাহিদা। যদিও কাজটা বেশ জটিল তবে, ইন্টারনেট এই ধরণের বাজার গবেষণা খুবই সহজ করে দিয়েছে। যেমন:
- আপনি বিভিন্ন অনলাইন ফোরামে যান এবং দেখুন মানুষ কি ধরনের প্রশ্ন করে এবং কি ধরনের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে অর্থাৎ তাদের চাহিদা টা কি।
- কি-ওয়ার্ড রিসার্চ করুন। রিসার্চ করে জানুন, মানুষ কি ধরনের কি-ওয়ার্ড বেশি অনুসন্ধান করে।
- আপনি আপনার সম্ভাব্য প্রতিযোগিদের সাইটে যান তাদের সাইট ভিজিট করুন। দেখুন জানুন তারা তাদের গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ ও গ্রাহক চাহিদা অনুসন্ধানের জন্য কি কি করছে। অথবা কি কি ধরনের কৌশল অবলম্বন করছে।
- প্রতিটি বিষয়কে নোট করুন। আপনি রিচার্জ করে যা যা পেলেন তা দিয়ে একটি পণ্যের লিস্ট তৈরি করুন।
২. পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে কিছু প্রক্রিয়া অনুসরণ করুন
কিছু প্রমাণিত কৌশল রয়েছে যেগুলো অবলম্বন করার মাধ্যমে আপনি পণ্য দেখতে আসা গ্রাহকদেরকে ক্রেতাতে পরিণত করতে পারবেন যেমন:
- একটি আকর্ষণীয় ও শক্তিশালী শিরোনাম দিন।
- আপনার পণ্য বা সেবাটি গ্রাহকের যে সকল চাহিদা পূরণ করবে তার বর্ণনা দিন।
- লোকের কাছে আপনার পণ্যটির বিশ্বাসযোগ্যতা স্থাপন করুন।
- আপনার পণ্য যারা ব্যবহার করেছেন তাদের কাছ থেকে প্রশংসাপত্র যুক্ত করুন। অর্থাৎ পণ্যের রিভিউ দেওয়ার ব্যবস্থা রাখুন।
- পণ্য বা সেবাটি ব্যবহার করে ভোক্তাগণ কিভাবে উপকৃত হবে সে বিষয়ে বর্ণনা দিন।
- প্রয়োজনে বিশেষ অফারের কথা উল্লেখ করুন।
- পণ্যের সঙ্গে গ্যারান্টি ওয়ারেন্টি যুক্ত করুন।
- পণ্যটির প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে অবগত করুন।
আপনার পণ্যটির অনুলিপি জুড়ে, আপনার পণ্য বা পরিষেবা কীভাবে মানুষের চাহিদা গুলো পূরণ করবে বা তাদের জীবনকে আরো উন্নত করতে সক্ষম তার উপর ফোকাস করুন। গ্রাহকের মতো ভাবুন এবং নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন “এই পণ্য বা সেবা টিতে আমার কি রয়েছে?”
- আরও পড়ুনঃ ডিপ্লোমা করতে খরচ কত ?
- আরও পড়ুনঃ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন কত?
৩. আকর্ষণীয় একটি ওয়েবসাইট তৈরি করুন
পণ্যের বাজারজাত ও পণ্য নির্বাচন করার পর আপনার ওই ধাপটি সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু আপনার আসল কাজ গুলো এখনো বাকি। অর্থাৎ আপনার কাছে ৫ সেকেন্ডের ও কম সময় থাকবে আপনার ওয়েবসাইটে একটি গ্রাহক কে আকর্ষণ করার জন্য।
আর যদি উক্ত সময়ের মধ্যে আপনি ব্যর্থ হন তবে আপনি একটি সম্ভাব্য ক্রেতা হারাবেন। আর ঠিক এই জন্যই ওয়েবসাইট ডিজাইন টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ। কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস মাথায় রাখবেন ওয়েবসাইট ডিজাইনের ক্ষেত্রে:
ছাত্র জীবনে অনলাইনে আয়ঃ
- যতটা সম্ভব তথ্যবহুল করার চেষ্টা করুন এবং পণ্য সংক্রান্ত ব্যতীত অতিরিক্ত তথ্য প্রদান থেকে বিরত থাকুন।
- ন্যাভিগেশন যতটা সম্ভব স্পষ্ট এবং সহজ-সরল রাখুন এবং ওয়েবসাইটের প্রতিটি পৃষ্ঠা একরকম রাখার চেষ্টা করুন।
- কেবল গ্রাফিক্স, অডিও বা ভিডিও ব্যবহার করুন এতে আপনার তথ্যর গুরুত্ব বৃদ্ধি পাবে।
- ক্যাম্পেইন অফার যুক্ত করুন যাতে করে আপনি গ্রাহকের ইমেইল সংগ্রহ করতে পারেন।
- পণ্য ক্রয়ের ধাপগুলো অত্যন্ত সহজ করুন যেন গ্রাহক দুটো ক্লিকের মাধ্যমে পণ্যটি ক্রয় করতে পারে।
- আপনার ওয়েবসাইটটি একটি অনলাইন স্টোর-ফ্রন্ট, তাই এটিকে গ্রাহক বান্ধব করুন।
আর, আপনি যদি কম মূল্যে মানসম্মত ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান তাহলে, Omar Faruk এই ওয়েব ডেভোলপারের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
- আরও পড়ুনঃ ডিপ্লোমা করতে খরচ কত ?
- আরও পড়ুনঃ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন কত?
৪. গ্রাহকদের আপনার ওয়েবসাইটে নিয়ে আসার জন্য সার্চ ইঞ্জিন এর সহায়তা নিন
Pay-per-click advertising একটি নতুন ওয়েব সাইটের ট্রাফিক পাওয়ার জন্য একটি অত্যন্ত সহজ ও কার্যকরী উপায়। অর্গানিক ভাবে ট্রাফিক পাওয়ার তুলনায় এটি বেশি সুবিধাজনক এবং কার্যকরী।
PPC ads আপনার সার্চ পেইজকে তাৎক্ষণিক-ভাবে সবার উপরে নিয়ে আসবে। আর এতে করে গ্রাহকগণ আরো বেশি বেশি আপনার পণ্যগুলোকে দেখতে পাবেন এবং বিক্রয় বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।
তাছাড়া আপনি কেবল তাৎক্ষণিক ট্র্যাফিকই পাবেন না, সেই সাথে আপনি PPC ads আপনার সেরা ও সর্বোচ্চ-রূপান্তর-কারী কি-ওয়ার্ডগুলোকে অর্গানিক ভাবে গুগল র্যাংকিংয়ে সবার উপরে নিয়ে আসতেও সাহায্য করবে।
- আরও পড়ুনঃ ডিপ্লোমা করতে খরচ কত ?
- আরও পড়ুনঃ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন কত?
৫. ওয়েবসাইটের বিশেষ খ্যাতি স্থাপন করুন
মানুষ তথ্য খুঁজতে ইন্টারনেট ব্যবহার করে। আপনার সাইটে বিনামূল্যে সেই তথ্য সরবরাহ করুন এতে করে আপনি আরো বেশি ট্র্যাফিক এবং সার্চ ইঞ্জিনও আপনার ওয়েবসাইটকে র্যাঙ্কিং এ দেখতে পাবেন।
মূল কথা হল সর্বদা সার্চ হয় এমন কিছু তথ্যবহুল আর্টিকেল আপনার ওয়েবসাইটের সাথে অন্তর্ভুক্ত করুন। যেন মানুষজন সেগুলো লিখে সার্চ দিলেও আপনার ওয়েবসাইটে চলে আসে।
শুধু আর্টিকেল ই নয় বিভিন্ন মজার তথ্য বহুল ভিডিও ও আপলোড করতে পারেন। এবং পরবর্তীতে সেগুলো সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আপনার পরিচিত বন্ধু-বান্ধবদের কাছে ছড়িয়ে দিন। এতে করে আপনার ওয়েবসাইটের প্রচারও হয়ে যাবে। এবং আপনি প্রতিনিয়ত নতুন নতুন পাঠকদের কাছে পৌঁছে যাবেন।
৬. ইমেইল মার্কেটিং করুণঃ ছাত্র জীবনে অনলাইনে আয়
ওয়েবসাইটের ভিজিটর কে ক্রেতায় পরিণত করতে ইমেইল মার্কেটিং এর সহায়তা নিন। একটি অনলাইন ব্যবসা এর সবচাইতে মূল্যবান হল গ্রাহকদের ইমেইল।
এর মাধ্যমে আপনি গ্রাহকদের সঙ্গে কানেক্টেড থাকতে পারবেন। কেননা এর মাধ্যমেই আপনি প্রতিনিয়ত গ্রাহকদের আপনার ব্যবসায়ের নতুন পণ্য সম্পর্কে অবগত করতে পারবেন।
৭. ডিজিটাল মাকেটিংয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিন
অনলাইন ব্যবসা করতে গেলে ডিজিটাল মাকের্টিং ছাড়া সফলতা সম্ভব নয়। আপনি যদি পণ্যের সেল বৃদ্ধি করতে চান এবং ব্যবসায়কে দ্রুত প্রসার করতে চান তাহলে, ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের বিকল্প কোন কিছু নেই।
ছাত্র জীবনে অনলাইনে আয়ঃ
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
- ভিডিও মার্কেটিং
- কন্টেন্ট মার্কেটিং
- ইমেল মার্কেটিং
শেষ কথাঃ ছাত্র জীবনে অনলাইনে আয়
এই ছিল আজকে অনলাইনে ব্যবসা করার নিয়ম নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা। এই লেখার উদ্দেশ্য মূলত অনলাইনে ব্যবসা করার সম্পর্কে প্রাথমিক এবং মৌলিক ধারণা দেওয়া।
উক্ত বিষয় সর্ম্পকে যেকোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন।
গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
Comments ৩