SSC: সাধারণ বিজ্ঞান হতে গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : PDF- সাধারণ বিজ্ঞান হতে যেকোনো ধরনেরসৃজনশীল প্রশ্ন-উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন ।
প্রিয়া ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেন আপনার খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য সাধারণ বিজ্ঞান হতে গুরুপূর্ণ কিছু প্রশ্ন উত্তর আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এসএসসি- SSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
SSC: সাধারণ বিজ্ঞান হতে গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সমুহ:
প্রশ্ন -২০ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ক্লাসে একদিন সালেক স্যার দুটি জীবের কথা উল্লেখ করলেন, যার মধ্যে প্লাটিপ্লাস স্তন্যপায়ী হয়েও সরীসৃপের ন্যায় ডিম পাড়ে, আবার নিটাম গুপ্তবীজী হয়েও ব্যক্তবীজী উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে। তিনি বললেন এই জীব দুইটি একটি বিশেষ ধারণার প্রমাণ।
[চুয়াডাঙা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক. জৈব বিবর্তন কী?
খ. বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেমেয়েদের মাঝে কী ধরনের মানসিক পরিবর্তন লক্ষ করা যায়?
গ. সালেক স্যারের উল্লিখিত জীব দুইটি কী ধরনের তা বর্ণনা কর।
ঘ. সালেক স্যারের উল্লিখিত বিশেষ ধারণাটি সম্পর্কে ল্যামার্কের তত্ত্বটি আলোচনা কর।
২০নং প্রশ্নের উত্তর
ক. সময়ের সাথে কোনো জীবের পরিবর্তনের ফলে যখন নতুন কোনো প্রজাতি সৃষ্টি হয়, তখন তাকে জৈব বিবর্তন বলে।
খ. বয়ঃসন্ধিকালে ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে যে মানসিক পরিবর্তনগুলো লক্ষ করা যায় তার কয়েকটি নিচে উল্লেখ করা হলো :
১. যত্ন ও ভালোবাসা পাওয়ার ইচ্ছা তীব্র হয়।
২. আবেগ দ্বারা চালিত হওয়ার প্রবণতা সৃষ্টি হয়।
৩. ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে সম্পর্কের বিষয়ে কৌতূহল সৃষ্টি হয়।
৪. পরনির্ভরতার মনোভাব পরিবর্তিত হয়ে আত্মনির্ভর হওয়ার পর্যায় শুরু হয়।
গ. উদ্দীপকে সালেক স্যারের উল্লিখিত জীব দুটি সংযোগকারী জীব।
কতগুলো জীব সুদূর অতীতে উৎপত্তি লাভ করেও কোনোরকম পরিবর্তন ছাড়াই এখনও পৃথিবীতে বেঁচে আছে, অথচ তাদের সমগোত্রীয় এবং সমসাময়িক জীবদের বিলুপ্তি ঘটেছে। এদের সংযোগকারী জীব বলে।
প্লাটিপাস একটি স্তন্যপায়ী প্রাণী কিন্তু সরীসৃপের ন্যায় ডিম পাড়ে এবং ডিম ফুটে শাবক জন্মায় এবং স্তন্য পান করে। নিটাম একটি গুপ্তবীজী উদ্ভিদ কিন্তু এর মধ্যে ব্যক্তবীজী ও গুপ্তবীজী উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। এদের সাথের অন্যান্য জীবগুলো বিলুপ্ত হয়ে গেছে। কিন্তু এরা আজও বেঁচে আছে।
তাই এদেরকে সংযোগকারী জীব বা কানেকটিং লিংক বলে। কারণ এদের মধ্যে দুটি জীব গোষ্ঠির বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। সংযোগকারী প্রাণী ও উদ্ভিদের অধিকাংশই পৃথিবীর পরিবর্তনের সাথে অভিযোজিত হতে সক্ষম না হওয়ায় পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। কিন্তু প্লাটিপাস ও নিটাম এখনও এই পৃথিবীতে সংযোগকারী জীব হিসেবে বেঁচে আছে। তাই এদের জীবন্ত জীবাশ্মও বলা হয়।
ঘ. উদ্দীপকে সালেক স্যার একটি বিশেষ ধারণার কথা বলতে বুঝাতে চেয়েছেন বিবর্তন বা অভিব্যক্তির কথা। অভিব্যক্তির কৌশল সম্পর্কে ল্যামার্কের তত্ত্বকে ল্যামার্কিজম বা ল্যামার্কবাদ বলে। ল্যামার্কবাদের প্রতিপাদ্যগুলো এখানে আলোচনা করা হলো :
১. ব্যবহার ও অব্যবহারের সূত্র : ল্যামার্কের মতে, যদি কোনো জীবের কোনো অঙ্গ ধারাবাহিকভাবে ক্রমাগত ব্যবহৃত হয়, তবে সেই অঙ্গ পরিবেশের প্রয়োজনীয়তার জন্য ধীরে ধীরে সবল ও সুগঠিত হবে। অন্যদিকে, জীবের কোনো অঙ্গ ক্রমাগত অব্যবহারের ফলে অঙ্গটি নিষ্ক্রিয় অঙ্গে পরিণত হবে এবং অবশেষে অবলুপ্ত হয়ে যাবে এবং তা অর্জিত বৈশিষ্ট্য হবে।
২. পরিবেশের প্রভাব : জীবের একটি সহজাত প্রবৃত্তি হচ্ছে পরিবর্তনশীল পরিবেশে নিজেকে উপযুক্তভাবে মানিয়ে নেবার জন্য সবসময় চেষ্টা করে। ল্যামার্কের মতে, পরিবেশের পরিবর্তন ঘটলে জীবের স্বভাব এবং দৈহিক পরিবর্তন ঘটে। এটাও একটি জীবের অর্জিত বৈশিষ্ট্য।
৩. অর্জিত বৈশিষ্ট্যের বংশানুসরণ ও নতুন প্রজাতির উৎপত্তি : ল্যামার্কের মতে, কোনো জীবের জীবনকালে যে সকল বৈশিষ্ট্য অর্জিত হয়, সেই সব বৈশিষ্ট্য এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে সঞ্চারিত হয় অর্থাৎ অর্জিত বৈশিষ্ট্যের বংশানুসরণ ঘটে।
ল্যামার্কের তত্ত্ব অনুযায়ী, অর্জিত বৈশিষ্ট্যের বংশানুসরণের জন্য এবং প্রতিটি প্রজন্মে নতুন নতুন বৈশিষ্ট্য অর্জিত হওয়ায় ধীরে ধীরে একটি প্রজাতি থেকে অপর একটি নতুন প্রজাতির সৃষ্টি হয়।
প্রশ্ন -২১ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
সুমী ও আজমল দম্পতির অনেকদিন যাবত কোনো সন্তানাদি হচ্ছে না। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এ সমস্যা সমাধানের জন্য একটি পদ্ধতি অনুসরণ করলেন। এতে ডিম্বাণু পরিস্ফুটন হয়ে একটি ফুটফুটে সন্তান হলো। অন্য দিকে সুমীর চাচাতো বোন মিতার পুত্র সন্তান প্রাপ্তির আশায় এখন পাঁচ কন্যা সন্তানের জননী।
[অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া]
ক. নিউক্লিওপ্রোটিন কী?
খ. বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেমেয়েদের মাঝে কী ধরনের মানসিক পরিবর্তন লক্ষ করা যায়?
গ. সুমী ও আজমল দম্পতির ক্ষেত্রে ডাক্তার কোন বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করেছিলেন-ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের মিতার একই রকম সন্তান হওয়ার বিষয়টিকে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ কর।
২১নং প্রশ্নের উত্তর
ক. সৃজনশীল ১ (ক) নং দেখ।
খ. সৃজনশীল ২০ (খ) নং দেখ।
গ. সৃজনশীল ১ (গ) নং দেখ।
ঘ. সৃজনশীল ১ (ঘ) নং দেখ।
প্রশ্ন -২২ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
পলির বয়স ১৩। সে বয়ঃসন্ধিকাল পার করছে। তার ডাক্তার মা তাকে শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন সম্পর্কে জ্ঞান দিলেন। তার আচরণে কী কী পরিবর্তন আসতে পারে তাও জানালেন। তিনি বললেন “হরমোনের কারণেই তোমার এই পরিবর্তন হচ্ছে।” [খুলনা সরকারী বিদ্যালয়]
ক. শৈশব কালের বিস্তৃতি কত বছর?
খ. বয়ঃসন্ধির সময় নিয়ন্ত্রিত হয় কোন কোন নিয়ন্ত্রক দ্বারা?
গ. পলির মানসিক ও আচরণগত কী কী পরিবর্তন আসতে পারে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. পলির মায়ের উক্তিটি কতটুকু সমর্থনযোগ্য-তোমার মতামত দাও।
২২নং প্রশ্নের উত্তর
ক. শৈশব কালের বিস্তৃতি পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত।
খ. ছেলে ও মেয়ের বয়ঃসন্ধিকালে দেহে অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হরমোনের প্রভাবে পরিবর্তনগুলো ঘটে। মেয়েদের শরীরে প্রধানত দুটি হরমোন- ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটায়। ছেলেদের শরীরে বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটায়- টেস্টোস্টেরন।
গ. পলির মানসিক ও আচরণগত যেসব পরিবর্তন আসতে পারে সেগুলো হলো :
মানসিক পরিবর্তন :
১. অন্যের, বিশেষত নিকটজনের মনোযোগ, যতœ ও ভালোবাসা পাওয়ার ইচ্ছা তীব্র হওয়া।
২. আবেগ দ্বারা চালিত হওয়ার প্রবণতা।
৩. ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে সম্পর্কের বিষয়ে কৌতূহল সৃষ্টি হওয়া।
৪. নেশা দ্রব্যের প্রতি আকর্ষণ সৃষ্টি হওয়া
৫. মানসিক পরিপক্বতার পর্যায় শুরু হওয়া।
৬. পরনির্ভরতার মনোভাব পরিবর্তিত হয়ে আত্মনির্ভর হওয়ার পর্যায় শুরু হওয়া।
আচরণগত পরিবর্তন :
১. প্রাপ্তবয়স্কদের মতো আচরণ করা।
২. সে যে একজন আলাদা ব্যক্তিত্ব, এ বিষয়টি বিভিন্ন আচরণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা।
৩. প্রত্যেক বিষয়ে নিজের মতামত প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা।
৪. দুঃসাহসিক ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে প্রবৃত্ত হওয়া।
ঘ. পলির মায়ের উক্তি হলো, হরমোনের কারণেই পলির বিভিন্ন শারীরিক, মানসিক ও আচরণগত পরিবর্তন। তার এই উক্তিটি সম্পূর্ণ সমর্থনযোগ্য।
বয়ঃসন্ধিকালে মেয়েদের শারীরিক ও মানসিক বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটায় প্রধানত দুটি হরমোন। এ হরমোনগুলো হলো : ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন। এসব হরমোনের প্রভাবে কণ্ঠস্বরের পরিবর্তন হয়, দ্রুত দৈহিক বৃদ্ধি হয় এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের আকার বৃদ্ধিসহ অন্যান্য পরিবর্তন ঘটে। এ হরমোনের কারণে মেয়েদের ঋতুস্রাব বা মাসিক শুরু হয়। এই হরমোন দুটির প্রভাবে মানসিক যে পরিবর্তনগুলো মেয়েদের মধ্যে প্রকাশ পায় সেগুলো হলো :
১. যত্ন ও ভালোবাসা পাওয়ার ইচ্ছা তীব্র হওয়া।
২. আবেগ দ্বারা চালিত হওয়ার প্রবণতা সৃষ্টি হয়।
৩. বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আর্কষণ সৃষ্টি হওয়া।
৪. প্রাপ্ত বয়স্কদের মতো আচরণ করা এবং আত্মনির্ভর হওয়ার প্রবণতা সৃষ্টি হয়।
প্রশ্ন -২৩ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
সালমান গত শীতের ছুটিতে সেন্টমার্টিন বেড়াতে যায়। সেখানে সমুদ্র সৈকতে সে একটি সন্ধিপদ প্রাণী দেখতে পায়। কাঁটাযুক্ত প্রাণীটির দেহের ওপর শক্ত আবরণ বিদ্যমান। তার বিজ্ঞান শিক্ষক ক্লাসে সেই প্রাণীটিকে জীবন্ত জীবাশ্ম নামে উল্লেখ করেছিলেন।
[শেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক. বিবর্তনবাদ অনুসারে প্লাটিপাসকে কী বলা হয়?
খ. মিসিং লিংক বলতে কী বোঝ?
গ. সালমানের দেখা প্রাণীটির একটি চিত্র অঙ্কন কর।
ঘ. সালমানের দেখা প্রাণীটি বিবর্তনবাদের অনেক প্রমাণ বহন করে। বিশ্লেষণ কর।
২৩নং প্রশ্নের উত্তর
ক. বিবর্তনবাদ অনুসারে প্লাটিপাসকে সংযোগকারী জীব বলা হয়।
খ. জীবাশ্ম আবিষ্কারের পূর্বে ধারাবাহিক বিবর্তনের মধ্যে উপযুক্ত প্রমাণের অভাব থাকায় বিবর্তনের ইতিহাসে বেশ কিছু ফাঁক থেকে গিয়েছিল। অনুমান করা হয় যে, ফাঁকগুলোতে এমন কোনো ধরনের জীব ছিল, যাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এই রকম খোঁজ না পাওয়া জীবদের মিসিং লিংক বা হৃত যোজক বলা হয়।
গ. সালমানের দেখা প্রাণীটি ছিল লিমিউলাস বা রাজ কাঁকড়া। নিম্নে এর চিহ্নিত চিত্র দেয়া হলো :
ঘ. সালমানের দেখা প্রাণীটি হলো লিমিউলাস বা রাজকাঁকড়া। লিমিউলাস একটি সন্ধিপদী প্রাণী। লিমিউলাস জীবাশ্মের উদ্ভব ঘটেছিল প্রায় ৪০০ মিলিয়ন বছর পূর্বে। এর সাথের অন্যান্য অর্থ্রােপোডাগুলো বিলুপ্ত হয়ে গেছে। কিন্তু এরা আজও বেঁচে আছে। তাই এদেরকে জীবন্ত জীবাশ্ম বলা হয়।
বিবর্তনবাদ সম্পর্কে যেসব প্রমাণ আছে তাদের মধ্যে জীবাশ্মঘটিত প্রমাণ সবচেয়ে বলিষ্ঠ। জীবাশ্মের সাহায্যে নিঃসন্দেহে প্রমাণ করা যায় যে, ধারাবাহিকভাবে বিবর্তনের মাধ্যমে এক রকম জীব থেকে অন্য রকম জীবের উৎপত্তি ঘটেছে। লিমুলাসের সবগোত্রীয় প্রাণীগুলো থেকে বর্তমানে বিভিন্ন রকম আর্থ্রোপোডার সৃষ্টি হয়েছে।
কখনো কোনোটিতে কোনো অপ্রয়োজনীয় অঙ্গ বাদ দিয়ে বা নতুন কোনো অঙ্গের সংযোগে নতুন ধরনের প্রাণী সৃষ্টি হয়েছে যেগুলোর মূল গঠন লিমিউলাসের অনুরূপ।
উপরিউক্ত আলোচনা থেকে দেখা যায় যে, সালমানের দেখা প্রাণীটি অর্থাৎ, রাজকাঁকড়া বা লিমিউলাস একটি জীবন্ত জীবাশ্ম যা বিবর্তন বাদের অনেক প্রমাণ বহন করে।
প্রশ্ন -২৪ নিচের চিত্র দুটি লক্ষ কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
[সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়, খুলনা]
ক. কে সর্বপ্রথম জীবাশ্ম আবিষ্কার করেন? ১
খ. কী কারণে নতুন প্রজাতির সৃষ্টি হয়? ২
গ. ‘ক’ চিত্রের প্রাণীটি জীবজগতের বিবর্তনের সপক্ষে কী যুক্তি প্রদর্শন করে? ৩
ঘ. ‘খ’ চিত্রের প্রাণীটি বিবর্তনের সপক্ষে একটি জীবাশ্মঘটিত প্রমাণÑ মতামত দাও। ৪
২৪নং প্রশ্নের উত্তর
ক. খ্রিষ্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীতে জেনোফেন (ঢবহড়ঢ়যধহব) নামের একজন বিজ্ঞানী সর্বপ্রথম জীবাশ্ম আবিষ্কার করেন।
খ. শ্রেণিবিদগণ নতুন প্রজাতির উৎপত্তির বিষয়ে মেন্ডেলের বংশগতি মতবাদের এবং ডারউইনের বিবর্তন মতবাদের ভিত্তিতে বলেন, ধীরগতিতে নতুন প্রজাতির সৃষ্টি হতে পারেÑ (১) মূল প্রজাতি থেকে পৃথক হয়ে যাওয়ার ফলে; (২) সংকরায়ণের ফলে এবং (৩) সংকরায়ণ প্রজাতিতে কোষ বিভাজনের সময় কোষে ক্রোমোসোম সংখ্যার ফলে।
গ. উদ্দীপকের ‘ক’ চিত্রের প্রাণীটি হলো প্লাটিপাস। প্লাটিপাস প্রাণীটি জীবজগতের বিবর্তনের সপক্ষে যে যে যুক্তি প্রদর্শন করবে তা নিম্নরূপÑ
জীবজগতের এমন জীবের অস্তিত্ব পরিলক্ষিত হয়, যাদের মধ্যে দুটি জীবগোষ্ঠীর বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। এ ধরনের জীবকে সংযোগকারী জীব বা কানেকটিং লিংক বলে। এদের একটি হলো প্লাটিপাস। প্লাটিপাসের মধ্যে সরীসৃপ ও স্তন্যপায়ী উভয়েরই বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। প্লাটিপাস সরীসৃপের ন্যায় ডিম পাড়ে।
অপরদিকে স্তন্যপায়ীর ন্যায় এদের দেহ লোমে ঢাকা, বুকে দুগ্ধগ্রন্থি বর্তমান এবং ডিম ফুটে শাবক জন্মালে এরা শাবককে স্তন পান করায়। সংযোগকারী প্রাণীদের অধিকাংশই পৃথিবীর পরিবর্তনের সাথে কার্যকরভাবে অভিযোজিত হতে সক্ষম না হওয়ায় পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়েছে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে, প্লাটিপাস জীবজগতের বিবর্তনের সপক্ষে অনেক যুক্তি প্রদর্শন করে।
ঘ. উদ্দীপকের ‘খ’ চিত্রের প্রাণীটি হলো লিমিউলাস রাজকাঁকড়া। লিমিউলাসের বিবর্তনের সপক্ষে একটি জীবাশ্মঘটিত প্রমাণ কথাটি সত্য।
কতগুলো জীব সুদূর অতীতে উৎপত্তি লাভ করেও কোনোরকম পরিবর্তন ছাড়াই এখনও পৃথিবীতে বেঁচে আছে, অথচ তাদের সমগোত্রীয় এবং সমসাময়িক জীবের বিলুপ্তি ঘটেছে। এসব জীবকে জীবন্ত জীবাশ্ম বলে। এরই একটি উদাহরণ হলো লিমিউলাস। লিমিউলাস বা রাজকাঁকড়া একটি সন্ধিপদ যুক্ত প্রাণী। লিমিউলাস জীবাশ্মের উদ্ভব ঘটেছিল প্রায় ৪০০ মিলিয়ন বছর পূর্বে। এর সাথে অন্যান্য আর্থ্রােপোডাগুলো বিলুপ্ত হয়ে গেছে। কিন্তু এরা আজও বেঁচে আছে। তাই এদের জীবন্ত জীবাশ্ম বলা হয়।
অর্থাৎ লিমিউলাস প্রাণীটি বিবর্তনের সপক্ষে একটি জীবাশ্মঘটিত প্রমাণ।
প্রশ্ন -২৫ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
রোহান ৯ম শ্রেণিতে পড়ে। ইদানীং বেশিরভাগ সময় সে একা থাকতে পছন্দ করে। অস্থির, মাঝে মাঝে অস্বাভাবিক আচরণ করে। [রংপুর জিলা স্কুল]
ক. টেস্টটিউব বেবি কী?
খ. মায়ের ঢ এবং বাবার ণ ক্রোমোসোম মিলে কেমন সন্তান হবে তা ব্যাখ্যা কর।
গ. রোহানের ঐরূপ অবস্থার কারণ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে রোহানকে কী করতে হবে তা বিশ্লেষণ কর।
২৫নং প্রশ্নের উত্তর
ক. কৃত্রিম উপায়ে দেহের বাইরে শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মিলন ঘটিয়ে প্রাথমিক ভ্রƒণ করে তাকে স্ত্রীলোকের জরায়ুতে প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে যে শিশুর জন্ম দেয়া হয় তাই টেস্টটিউব বেবি।
খ. মায়ের সেক্স ক্রোমোসোম হলো ঢঢ এবং বাবার হলো ঢণ। যখন মায়ের ঢ ক্রোমোসোম বাবার ণ ক্রোমোজোমের সাথে মিলিত হবে তখন ছেলে সন্তান হবে। কারণ লিঙ্গ নির্ধারণের ক্ষেত্রে ঢ হলো স্ত্রী লিঙ্গের জন্য দায়ী ক্রোমোসোম এবং ণ হলো পুরুষের লিঙ্গ নির্ধারিত ক্রোমোসোম।
গ. রোহানের ঐ অবস্থার কারণ হলো বয়ঃসন্ধিকালীন হরমোনজনিত পরিবর্তন।
রোহানের বয়ঃসন্ধিকাল চলছে। বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেদের শরীরে বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটে। এসব পরিবর্তনের জন্য দায়ী হলো টেস্টোস্টেরন হরমোন। এ হরমোনের প্রভাবে তাদের মাঝে শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন ঘটে। এজন্য রোহানের গলার স্বর ভারী হয়, মুখে দাড়ি গোঁফ গজায় এবং দ্রুত দৈহিক বৃদ্ধি হয়।
তার বয়সী ছেলেদের শরীরে শুক্রাণু তৈরি হয় এবং বীর্যপাত শুরু হয়। এ সময় ছেলেদের মধ্যে অস্থিরতা কাজ করে। সচেতন ভাব আসে। নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নেয়ার প্রবণতা তৈরি হয় এবং বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ তৈরি হয়। তাই তারা নিজেদের পরিপাটি করে রাখতে চায় এবং মাঝে মাঝে অস্বাভাবিক আচরণ করে।
ঘ. উদ্দীপকের তথ্যমতে রোহানের বয়ঃসন্ধিকাল চলছে। এ বয়সে তাদের যে মানসিক পরিবর্তন ঘটে পরিবারের অন্য সদস্যদের সে পরিবর্তনের বিষয়গুলো মনে রেখে তাদের সাথে বন্ধু সুলভ ও সহানুভূতিশীল আচরণ করতে হবে। তাদেরকে মানসিক দিকসহ অন্য সকল ব্যাপারে সহযোগিতা প্রদান করতে হবে ও সাহস যোগাতে হবে।
মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য রোহানের নিজেকেও সচেষ্ট থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে তার প্রথম কাজ হচ্ছে বয়ঃসন্ধিকালের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনগুলোর সঙ্গে খাপখাওয়ানোর চেষ্টা করা। এ পরিবর্তনগুলো যে স্বাভাবিক এ বিষয়টি খুব স্পষ্ট করে বোঝা। এটা বুঝতে পারলে তার অস্থিরতা, অস্বস্তি এবং ভয় কমে যাবে।
দ্বিতীয়ত, এসব বিষয় নিয়ে খোলা মনে মা-বাবা বা বড় ভাই-বোনের সাথে আলোচনা করা। এতে তার সংকোচ কেটে যাবে। ফলে একা একা থাকা বা লোকজনকে এড়িয়ে যাবার প্রবণতা কমে যাবে। এছাড়া ভালো গল্পের বই পড়া, সাথিদের সাথে খেলাধুলা করা ইত্যাদি কাজও তাকে মানসিকভাবে প্রফুল্ল রাখবে।
উপরিউক্ত আলোচনা থেকে বুঝা যায় যে, বয়ঃসন্ধিকালে মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে হলে রোহান ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে সচেতন ও সচেষ্ট থাকতে হবে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।