SSC- সাধারণ বিজ্ঞান জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন-উত্তর (PDF): সাধারণ বিজ্ঞান হতে যেকোনো ধরনের জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন-উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন ।
প্রিয়া ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেন আপনার খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য সাধারণ বিজ্ঞান হতে গুরুপূর্ণ কিছু প্রশ্ন উত্তর আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এসএসসি- SSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
সাধারণ বিজ্ঞান জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর সমুহ:
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ প্রকরণ কাকে বলে?
উত্তর : প্রতিটি জীবের প্রজাতির বৈশিষ্ট্যের মধ্যে যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পার্থক্য দেখা যায় তাদের প্রকরণ বা ভেরিয়েশন বলে।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ আন্তঃপ্রজাতি সংগ্রাম কাকে বলে?
উত্তর : বিভিন্ন প্রজাতির অন্তর্গত বিভিন্ন প্রাণী বা উদ্ভিদের মধ্যে আশ্রয়, খাদ্য, জনন ইত্যাদির জন্য যে সংগ্রাম ঘটে তাকে আন্তঃপ্রজাতি সংগ্রাম বলে।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ অন্তঃপ্রজাতি সংগ্রাম কী?
উত্তর : একটি প্রজাতির অন্তর্গত বিভিন্ন প্রাণী বা উদ্ভিদের মধ্যে আশ্রয়, খাদ্য, প্রজনন ইত্যাদির জন্য যে সংগ্রাম ঘটে তাকে অন্তঃপ্রজাতি সংগ্রাম বলে।
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ গর্ভধারণ কী?
উত্তর : পুরুষের শুক্রাণু যখন মেয়েদের ডিম্বাণুর সাথে মিলিত হয় তখনই একটি মেয়ের গর্ভে সন্তান আসে অর্থাৎ, সে গর্ভধারণ করে।
প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ সন্তান ছেলে না মেয়ে হবে এর জন্য দায়ী কে?
উত্তর : সন্তান ছেলে বা মেয়ে হবে তার জন্য প্রধানত দায়ী সন্তানের বাবা।
প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ মাতৃগর্ভে কোন পদ্ধতিতে ডিম্বাণু সৃষ্টি হয়?
উত্তর : মাতৃজনন কোষ থেকে মায়োসিস পদ্ধতিতে ডিম্বাণু সৃষ্টি হয়।
প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ জীবনের আবির্ভাবের ২য় যুক্তি কী?
উত্তর : সমুদ্রের পানিতে এখনও অনেক সরল এবং এককোষী জীব বসবাস করে।
প্রশ্ন ॥ ৮ ॥ নিউক্লিওপ্রোটিন কী?
উত্তর : প্রোটিন ও নিউক্লিক এসিড সহযোগে সৃষ্টি হয় নিউক্লিওপ্রোটিন।
প্রশ্ন ॥ ৯ ॥ অভিব্যক্তি কী?
উত্তর : পৃথিবীর উৎপত্তি ও জীবনের উৎপত্তির ঘটনাপ্রবাহকে বলে রাসায়নিক বিবর্তন বা অভিব্যক্তি।
প্রশ্ন ॥ ১০ ॥ ভাইরাস কী?
উত্তর : ভাইরাস জীব ও জড়ের মধ্যবর্তী অবস্থা।
প্রশ্ন ॥ ১১ ॥ ‘বায়োলজি’ শব্দটির প্রতিষ্ঠাতা কে?
উত্তর : ল্যামার্ক ‘বায়োলজি’ শব্দটির প্রতিষ্ঠাতা এবং তিনিই সর্বপ্রথম অভিব্যক্তির ওপর বিশ্লেষণী তত্ত্বটি আবিষ্কার করেন।
প্রশ্ন ॥ ১২ ॥ ল্যামার্কবাদ বা ল্যামার্কিজম কী?
উত্তর : ল্যামার্কের তত্ত্বকে ল্যামার্কবাদ বা ল্যামার্কিজম বলে।
প্রশ্ন ॥ ১৩ ॥ প্রকাশ বা পরিবৃত্তি কী?
উত্তর : জীব দুটির মধ্যে যে পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়, তাকে প্রকাশ বা পরিবৃত্তি বলে।
প্রশ্ন ॥ ১৪ ॥ প্রাকৃতিক নির্বাচন কী?
উত্তর : যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় অনুকূল প্রকাশ বা অভিযোজনমূলক প্রকাশ সমন্বিত জীবেরা অন্যদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় বেশি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে, তাকে প্রাকৃতিক নির্বাচন বলে।
প্রশ্ন ॥ ১৫ ॥ প্লাটিপাস কী?
উত্তর : প্লাটিপাস হলো একপ্রকার সংযোগকারী বা কানেকটিং লিংক (জীব)।
প্রশ্ন ॥ ১৬ ॥ নিটাম (এহবঃঁস) কী?
উত্তর : নিটাম (এহবঃঁস) হলো একপ্রকার সংযোগকারী উদ্ভিদ।
প্রশ্ন ॥ ১৭ ॥ ইনভিট্রো ফার্টিলাইজেশন কাকে বলে?
উত্তর : দেহের বাইরে ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর মিলন ঘটানোকে ইনভিট্রো ফার্টিলাইজেশন বলে।
প্রশ্ন ॥ ১৮ ॥ লিঙ্গ নির্ধারণের জন্য সেক্স ক্রোমোজোমের সংখ্যা কত?
উত্তর : লিঙ্গ নির্ধারণের জন্য সেক্স ক্রোমোজোমের সংখ্যা এক জোড়া।
প্রশ্ন ॥ ১৯ ॥ সংযোগকারী জীব বা কানেকটিং লিংক কী?
উত্তর : জীবজগতে এমন জীবের অস্তিত্ব পরিলক্ষিত হয়, যাদের মধ্যে দুটি জীবগোষ্ঠীর বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। এ ধরনের জীবকে সংযোগকারী জীব বা কানেকটিং লিংক বলে।
প্রশ্ন ॥ ২০ ॥ ভ্রণ কাকে বলে?
উত্তর : ডিমের ভেতরে অথবা গর্ভের মধ্যে অবস্থিত শিশু প্রাণীকে এবং উদ্ভিদের বীজের মধ্যে অবস্থিত শিশু উদ্ভিদকে ভ্রণ বলে।]
সাধারণ বিজ্ঞান অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ ডারউইনের মতে প্রজাতি কীভাবে সৃষ্টি হয়েছে? অথবা, প্রজাতি উদ্ভবের ব্যাপারে ডারউইনের মতবাদ বর্ণনা কর।
উত্তর : প্রজাতির উদ্ভবের ব্যাপারে চার্লস ডারউইন যে মতবাদ দেন তা হলো প্রাকৃতিক নির্বাচনবাদ। তাঁর মতে যেসব প্রাণী ও উদ্ভিদের মধ্যে সুবিধাজনক প্রকরণ দেখা যায়, প্রকৃতি তাদের নির্বাচন করে এবং তাদের লালন করে। সুবিধাজনক প্রকরণযুক্ত প্রাণী ও উদ্ভিদ পরিবেশের সাথে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারে এবং অযোগ্যদের তুলনায় বেশি হারে বংশবিস্তার করতে পারে। এই বংশধরদের মধ্যে যাদের সুবিধাজনক প্রকরণ বেশি থাকে; প্রকৃতি আবার তাদের নির্বাচন করে। এভাবে যুগযুগান্তর ধরে নির্বাচিত করে প্রকৃতি প্রাণী ও উদ্ভিদের নতুন প্রজাতি সৃষ্টি করে।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ জীবনের উৎপত্তি যে প্রথমে সমুদ্রের পানিতে হয়েছিল এর যুক্তি কী?
উত্তর : জীবনের উৎপত্তি প্রথমে সমুদ্রে হয়েছিল। এ সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা যে যুক্তি রেখেছেন সেগুলো হলো : প্রথমত অধিকাংশ জীবকোষ এবং দেহস্থ রক্ত ও কোষের তরল অংশের সঙ্গে সমুদ্রের পানির খনিজ লবণের সাদৃশ্য। দ্বিতীয়ত সমুদ্রের পানিতে এখনও অনেক সরল এবং এককোষী জীব বসবাস করে।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ বয়ঃসন্ধিকালে আচরণগত পরিবর্তনগুলো কী কী?
উত্তর : বয়ঃসন্ধিকালে আচরণগত পরিবর্তনগুলো নিচে উল্লেখ করা হলোÑ (র) প্রাপ্তবয়স্কদের মতো আচরণ করা। (রর) সে যে একজন আলাদা ব্যক্তিত্ব এ বিষয়ে বিভিন্ন আচরণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা।
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ কীভাবে ব্যক্তজীবী উদ্ভিদের আবির্ভাব ঘটেছে?
উত্তর : উদ্ভিদের ক্ষেত্রে বিলুপ্ত টেরিন্ডোস্পার্ম নামে এক ধরনের উদ্ভিদের জীবাশ্ম ফার্ন ও ব্যক্তজীবী উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। এ কারণে ফার্নজাতীয় উদ্ভিদ থেকে জিমনোস্পার্ম অর্থাৎ, ব্যক্তজীবী উদ্ভিদের আবির্ভাব ঘটেছে।
প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ ঋতুস্রাবের সময়ে কিশোরীর কী কী করা উচিত?
উত্তর : ঋতুস্রাবের সময়ে কিশোরীর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা ও নিয়মিত গোসল করা দরকার। পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে এবং প্রচুর পানি পান করতে হবে। কোনো শারীরিক জটিলতা দেখা দিলে স্বাস্থ্যকর্মী বা চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ মেয়েদের মাসিক শুরু হলে কী করতে হবে?
উত্তর : মেয়েদের মাসিক শুরু হলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার জন্য প্রতিদিন গোসল করে পরিষ্কার শুকনো কাপড় পরা, জীবাণুমুক্ত নরম কাপড় বা স্যানিটারি প্যাড ব্যবহার করতে হবে। দিনে কয়েকবার এই প্যাড হালকা গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। প্রচুর পানি ও সকল রকম খাবার খেতে হবে।
প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ গর্ভধারণের প্রথম কয়েক মাস মেয়েদের শরীরে কিরূপ লক্ষণ দেখা যায়?
উত্তর : গর্ভধারণের প্রথম কয়েক মাসে মেয়েদের শরীরে কিছু কিছু প্রাথমিক লক্ষণ দেখা যায়। যেমনÑ
র. মাসিক বা ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়া
রর. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া
ররর. মাথা ঘোরা
রা. বারবার প্রস্রাব হওয়া
া. স্তন বড় ও ভারী হওয়া
প্রশ্ন ॥ ৮ ॥ ব্যাকটেরিয়া কী?
উত্তর : ব্যাকটেরিয়া অতিক্ষুদ্র আণুবীক্ষণিক একটি জীব। এদের নিউক্লিয়াসে কোনো নিউক্লিয়ার আবরণী থাকে না। এরা অক্সিজেনের উপস্থিতিতে কিংবা অনুপস্থিতিতে বাঁচতে পারে। এরা পরজীবী, মৃতজীবী কিংবা স্বভোজী হতে পারে।
প্রশ্ন ॥ ৯ ॥ জীবন্ত জীবাশ্ম বলতে কী বোঝ?
উত্তর : কতকগুলো জীব সুদূর অতীতে উৎপত্তি লাভ করে কোনোরকম পরিবর্তন ছাড়াই এখনো পৃথিবীতে বেঁচে আছে। অথচ এদের সমগোত্রীয় এবং সমসাময়িক জীবদের বিলুপ্তি ঘটেছে। এসব জীবদের জীবন্ত জীবাশ্ম বলে। যেমনÑ রাজকাঁকড়া।
প্রশ্ন ॥ ১০ ॥ অপরিণত বয়সে গর্ভধারণের পরিণতি কী হয়? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : অপরিণত বয়সে মা হওয়ার মতো শারীরিক পূর্ণতা ও মানসিক পরিপক্বতা থাকে না। কম বয়সে বিয়ে হলে যেসব মেয়েরা মা হয় তারা নানারকম মানসিক ও শারীরিক জটিলতায় ভোগে। কারণ এ বয়সে মেয়েদের শারীরিক বৃদ্ধি ও গঠন সম্পূর্ণ হয় না। এছাড়া অপরিণত বয়সের একটি মেয়ের সন্তানধারণ ও জন্মদান সম্পর্কে সঠিক কোনো ধারণা থাকে না। গর্ভধারণ করলে শুধু যে মেয়েটাই শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে তা নয়’ সদ্যোজাত শিশুটির জীবনও ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এতে পরিবার ও সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
প্রশ্ন ॥ ১১ ॥ অপরিণত বয়সে গর্ভধারণ করলে কী কী সমস্যা হতে পারে?
উত্তর : অপরিণত বয়সে গর্ভধারণ করলে নিম্নরূপ সমস্যা দেখা যায়। যেমন Ñ (র) স্বাস্থ্যগত সমস্যা, (রর) শিক্ষাগত সমস্যা, (ররর) পারিবারিক সমস্যা, (রা) আর্থিক সমস্যা, (া) গর্ভপাতজনিত সমস্যা।
প্রশ্ন ॥ ১২ ॥ অপরিণত বয়সে গর্ভধারণ কীভাবে প্রতিরোধ করা যায়?
উত্তর : অপরিণত বয়সে গর্ভধারণে যেসব জটিলতা সৃষ্টি হয় তা সংবাদপত্র, রেডিও, টেলিভিশন, নাটক, গান প্রভৃতি গণমাধ্যমে প্রচার করে জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অপরিণত বয়সে গর্ভধারণ প্রতিরোধ করা যায়। কারণ বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনে মেয়েদের বিয়ের জন্য বয়স হতে হবে কমপক্ষে ১৮ বছর, আর ছেলেদের ক্ষেত্রে হবে ২১। বিয়ের বয়স হওয়ার আগে ছেলেমেয়েদের বিয়ে দেওয়া হলে তা হবে আইনের দৃষ্টিতে অপরাধ এবং একে অপরিণত বয়স হিসেবে ধরা হবে। কাজেই আইন অমান্য করে অপরিণত বয়সে ছেলেমেয়ের বিয়ে দেওয়া যাবে না। তাহলে অপরিণত বয়সে গর্ভধারণের কোনো সুযোগ থাকবে না।
প্রশ্ন ॥ ১৩ ॥ বয়ঃসন্ধিকাল বলতে কী বোঝ?
উত্তর : মানুষের জীবনকালে প্রথমে সে থাকে শিশু। পরবর্তীতে শিশু থেকে ধাপে ধাপে বৃদ্ধ অবস্থায় উপনীত হয়। সাধারণত ৫ বছর পর্যন্ত শৈশবকাল। ছয় থেকে দশ বছর পর্যন্ত বয়সকে বলা হয় বাল্যকাল। দশ বছর বয়সের পর একটি মেয়েকে কিশোরী এবং একটি ছেলেকে কিশোর বলা হয়। মানুষের জীবনের এই সময়কে বয়ঃসন্ধিকাল বলে।
প্রশ্ন ॥ ১৪ ॥ গর্ভধারণ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : গর্ভধারণ হচ্ছে শরীরের একটি বিশেষ পরিবর্তন। সন্তান গর্ভে এলেই শুধুমাত্র শরীরের এই বিশেষ পরিবর্তন ঘটে। পুরুষের শুক্রাণু যখন মেয়েদের ডিম্বাণুর সাথে মিলিত হয় তখনই একটি মেয়ের গর্ভে সন্তান আসে অর্থাৎ সে গর্ভধারণ করে।
প্রশ্ন ॥ ১৫ ॥ সমসংস্থ অঙ্গ বলতে কী বোঝ?
উত্তর : যে সমস্ত অঙ্গের আকৃতিগত পার্থক্য দেখা গেলেও অভ্যন্তরীণ কাঠামো পরীক্ষা করলে দেখা যায় যে এদের অস্থি বিন্যাসের মৌলিক প্রকৃতি একই ধরনের। এই সমস্ত অঙ্গগুলোকে সমসংস্থ অঙ্গ বলে। যেমন : পাখির ডানা, বাদুড়ের ডানা, তিমির ফ্লিপার, সিলের অগ্রপদ, ঘোড়ার অগ্রপদ, মানুষের হাত ইত্যাদি।
প্রশ্ন ॥ ১৬ ॥ লুপ্তপ্রায় অঙ্গ বলতে কী বোঝ?
উত্তর : জীবদেহে এমন কতগুলো অঙ্গ দেখা যায়, যেগুলো নির্দিষ্ট জীবদেহে সক্রিয় থাকে কিন্তু সম্পর্কিত অপর জীবদেহে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকে, এমন অঙ্গগুলোকে লুপ্তপ্রায় অঙ্গ বা নিষ্ক্রিয় অঙ্গ বলে। প্রাণিদেহের মধ্যে বহু লুপ্তপ্রায় অঙ্গ পরিলক্ষিত হয়। মানুষের সিকাম ও সিকামসংলগ্ন ক্ষুদ্র অ্যাপেনডিক্সটি নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকে। কিন্তু স্তন্যপায়ীভুক্ত তৃণভোজী গিনিপিগের দেহে এগুলো সক্রিয় অবস্থায় থাকে।
প্রশ্ন ॥ ১৭ ॥ কীভাবে বিবর্তনের মাধ্যমে পাখিজাতীয় প্রাণীর উৎপত্তি ঘটেছে।
উত্তর : সুপ্ত আর্কিওপটেরিকস নামে একরকম প্রাণীর জীবাশ্ম পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে, এদের সরীসৃপের মতো পা ও দাঁত, পাখির মতো পালকবিশিষ্ট দুটি ডানা, একটি লেজ, লেজের শেষ প্রান্তে এক গুচ্ছ পালক ও চঞ্চু ছিল। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, সরীসৃপ জাতীয় প্রাণী থেকেই বিবর্তনের মাধ্যমে পাখিজাতীয় প্রাণীর উৎপত্তি ঘটেছে।
প্রশ্ন ॥ ১৮ ॥ প্রাকৃতিক নির্বাচন বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : ডারউইনের মতে যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় অনুকূল প্রকরণযুক্ত জীবেরা অন্যদের সাথে প্রতিযোগিতায় অধিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে এবং অধিকসংখ্যায় বেঁচে থাকে ও বংশবিস্তার করে তাকে প্রাকৃতিক নির্বাচন বলে।
প্রশ্ন ॥ ১৯ ॥ কোষীয় জীব আবির্ভাবের পর্যায়গুলো কী কী?
উত্তর : কোষীয় জীব সৃষ্টির পর্যায়গুলো হলো : (র) জৈব রাসায়নিক সংশ্লেষ (রর) নিউক্লিক এসিড ও প্রোটিন গঠন (ররর) প্রোটিন ও নিউক্লিক এসিড সংযোগ (রা) নিউক্লিওপ্রোটিনের সৃষ্টি (া) নিউক্লিওপ্রোটিন থেকে প্রোটোভাইরাস (ার) প্রোটোভাইরাস থেকে ভাইরাস (ারর) ভাইরাস থেকে ব্যাকটেরিয়া।
প্রশ্ন ॥ ২০ ॥ ডারউইনের প্রাকৃতিক নির্বাচন মতবাদের প্রতিপাদ্য বিষয়গুলো কী কী ছিল?
উত্তর : ডারউইনের যেসব প্রতিপাদ্য বিষয়গুলোর ওপর ভিত্তি করে প্রাকৃতিক নির্বাচন তত্ত্বের ব্যাখ্যা করেছিলেন সেগুলো হলোÑ (র) জীবের অত্যধিক হারে বংশবৃদ্ধি (রর) খাদ্য ও বাসস্থানের সীমাবদ্ধতা (ররর) অস্তিত্বের জন্য সংগ্রাম (আন্তঃপ্রজাতিক; অন্তঃপ্রজাতিক ও পরিবেশের সঙ্গে সংগ্রাম) (রা) প্রকরণ বা জীবদেহে পরিবর্তন (া) যোগ্যতমের জয় এবং (ার) নতুন প্রজাতির উৎপত্তি।
প্রশ্ন ॥ ২১ ॥ জীব বিবর্তনের প্রমাণগুলো কী কী?
উত্তর : জীব বিবর্তনের প্রমাণগুলো হলো :
(1) অঙ্গসংস্থানিক প্রমাণ
(2) লুপ্তপ্রায় অঙ্গ
(3) তুলনামূলক শারীরস্থানিক প্রমাণ
(4) ভ্রূণতত্ত্বঘটিত প্রমাণ
(5) জীবাশ্মঘটিত প্রমাণ ও
(6) সংযোগকারী জীব সম্পর্কিত প্রমাণ।
প্রশ্ন ॥ ২২ ॥ প্রাচীন পৃথিবীতে কীভাবে জীবনের উদ্ভব ঘটেছিল?
উত্তর : পৃথিবীতে কীভাবে জীব সৃষ্টি হয়েছিল সে সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের অনুমান, প্রায় ২৬০ কোটি বছর আগে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রচুর পরিমাণে গ্যাস ছিল; অহরহ আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং বজ্রপাতের ফলে ও অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে এই যৌগ পদার্থগুলো মিলিত হয়ে অ্যামাইনো এসিড এবং নিউক্লিক এসিড উৎপন্ন করে। পরে অ্যামাইনো এসিড এবং নিউক্লিক এসিড মিলিত হওয়ায় নিউক্লিওপ্রোটিন অণুর সৃষ্টি হয়। এভাবে নিউক্লিওপ্রোটিন অণুগুলো ক্রমে নিজেদের প্রতিরূপ-গঠনের ক্ষমতা অর্জন করে জীবনের সূত্রপাত ঘটায়।
প্রশ্ন ॥ ২৩ ॥ জীবন সৃষ্টির পর্যায়গুলো একটি রেখাচিত্রের সাহায্যে দেখাও।
উত্তর : জীবন সৃষ্টির পর্যায়গুলো রেখাচিত্রের সাহায্যে নিচে দেখানো হলো
কার্বন ডাইঅক্সাইড, নাইট্রোজেন, হাইড্রোজেন
মিথেন, অ্যামোনিয়া, জলীয় বাষ্প
অ্যামাইনো এসিড
নিউক্লিক এসিড; প্রোটিন
নিউক্লিওপ্রোটিন
প্রোটোভাইরাস
প্রশ্ন ॥ ২৪ ॥ মানুষের ক্ষেত্রে লিঙ্গ নির্ধারণে কে দায়ী ‘বাবা নাকি মা’? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : মানুষের পুত্র বা কন্যা হওয়া নির্ভর করে মানুষের সেক্স ক্রোমোসোম ‘ঢ’ ও ‘ণ’ এর মিলনের ওপর। স্ত্রীলোকের ডিম্বাণু ‘ঢ’ ক্রোমোসোম বিশিষ্ট। পুরুষদের শুক্রাণু দুই ধরনের ‘ঢ’ ও ‘ণ’ ক্রোমোসোম বিশিষ্ট। ঢ- শুক্রাণু ঢ -ডিম্বাণুর সঙ্গে মিলিত হলে কন্যা সন্তান (ঢঢ) এবং ণ শুক্রাণু ঢ ডিম্বাণুর সঙ্গে মিলিত হলে পুত্র (ঢণ) সন্তান জন্মাবে। সুতরাং পুত্র সন্তান সৃষ্টিতে ‘মা’র কোনো ভূমিকা নেই। লিঙ্গ নির্ধারণের অসমতার জন্য পুরুষ দায়ী। সুতরাং পুত্র সন্তান হবে নাকি কন্যা সন্তান হবে এর জন্য দায়ী বাবা।
প্রশ্ন ॥ ২৫ ॥ রাসায়নিক বিবর্তনের সঙ্গে জৈব বিবর্তনের পার্থক্য কী?
উত্তর : পৃথিবীর উৎপত্তি ও জীবনের উৎপত্তির ঘটনা প্রবাহকে বলা হয় রাসায়নিক বিবর্তন। আর জৈব বিবর্তন বলতে বোঝায় সময়ের সঙ্গে কোনো জীবের পরিবর্তন, যা সৃষ্টি করে নতুন কোনো জীবপ্রজাতি। রাসায়নিক বিবর্তন ভৌতজগতের সঙ্গে সম্পর্কিত কিন্তু জৈব বিবর্তন জীবজগতের সঙ্গে সম্পর্কিত।
প্রশ্ন ॥ ২৬ ॥ ডারউইন ও ল্যামার্কের মতবাদের দুইটি পার্থক্য লেখ।
উত্তর : ল্যামার্কবাদ ও ডারউইনবাদের তুলনামূলক চিত্র :
ল্যামার্কবাদ ডারউইনবাদ
১. ব্যবহার ও অব্যবহারের কারণে কোনো অঙ্গের পরিবর্তন ঘটে এবং এই অর্জিত পরিবর্তনগুলো বংশানুক্রমে সঞ্চারিত হওয়ায় অভিব্যক্তি বা বিবর্তন ঘটে। ১. জীবন-সংগ্রামের মাধ্যমে বেঁচে থাকার জন্য জীবদেহে বিভিন্ন ধরনের প্রকরণ বা ভেরিয়েশন দেখা যায়; যা বিবর্তনের অন্যতম প্রধান কারণ।
২. দেহের নিষ্ক্রিয় অঙ্গগুলোর অতীতে ব্যবহার ছিল, কিছু অব্যবহারের কারণে বর্তমানে অঙ্গগুলো লুপ্তপ্রায়। ২. ডারউইনবাদে দেহের নিষ্ক্রিয় অঙ্গ সম্বন্ধে কোনো উল্লেখ নেই।
সাধারণ বিজ্ঞান অনুধাবনমূলক উত্তর সমুহ:
বয়ঃসন্ধিকাল : দশ বছর বয়স থেকে উনিশ বছর বয়স পর্যন্ত এই সময়কালে একটি মেয়েকে কিশোরী এবং একটি ছেলেকে কিশোর বলা হয়। মানুষের জীবনের এই সময়কে বয়ঃসন্ধিকাল বলে। এই সময়কালে বালক ও বালিকার শরীর যথাক্রমে পুরুষের এবং নারীর শরীরে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। মেয়েদের বয়ঃসন্ধিকাল শুরু হয় আট থেকে তের বছর বয়সের মধ্যে। ছেলেদের ক্ষেত্রে বয়ঃসন্ধিকাল শুরুর বয়স দশ থেকে পনেরো বছর। বয়ঃসন্ধিকাল হলো বাল্যাবস্থা ও যৌবনকালের মধ্যবর্তী সময়।
বয়ঃসন্ধিকালে শারীরিক পরিবর্তনের কারণ : বয়ঃসন্ধিকালে শরীরে অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হরমোনের প্রভাবে শারীরিক পরিবর্তনগুলো ঘটে। ছেলে ও মেয়েদের শরীরে এ হরমোন এক রকম নয়। এ কারণে এদের শরীরে যে পরিবর্তন হয় তা ভিন্ন। মেয়েদের শরীরে প্রধানত দুটি হরমোন যথা : ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটায়। এসব হরমোনের প্রভাবে মেয়েদের দ্রুত দৈহিক বৃদ্ধি হয় এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের আকারের বৃদ্ধি ঘটে।
এসব হরমোনের প্রভাবে ঋতুস্রাব শুরু হয়। ছেলেদের বয়ঃসন্ধিকালে টেস্টোস্টেরন হরমোনের প্রভাবে শারীরিক পরিবর্তন ঘটে। এ হরমোনের প্রভাবে ছেলেদের গলার স্বর ভারী হয়। মুখে দাড়ি ও গোঁফ গজায়। দ্রুত দৈহিক বৃদ্ধি ঘটে এবং শুক্রাণু তৈরি হয়।
বয়ঃসন্ধিকালে মানসিক ও আচরণিক পরিবর্তনে নিজেকে খাপ খাওয়ানোর উপায় : বয়ঃসন্ধিকালে মানসিক ও আচরণিক পরিবর্তনগুলোর সাথে ছেলেমেয়েদের খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করা উচিত। এ সময় পরিবর্তনগুলো যে স্বাভাবিক, এ বিষয়টি খুব স্পষ্ট করে বুঝতে হবে।
এটি বুঝতে পারলে অস্বস্তি বা ভয় কমে যাবে। এ সময়ের পরিবর্তনগুলো নিয়ে খোলা মনে মা-বাবা বা বড় ভাই-বোনের সাথে আলোচনা করলে সংকোচ অনেকটা কেটে যায়। এতে একা থাকা বা লোকজন এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। এছাড়া ভালো গল্পের বই পড়া, সাথীদের সাথে খেলাধুলা করলে মানসিক প্রফুল্লতা বজায় থাকে।
বয়ঃসন্ধিকালে দৈহিক ও মানসিক স্বাস্থ্যরক্ষার কৌশল : বয়ঃসন্ধিকালে দৈহিক ও মানসিক স্বাস্থ্যরক্ষার কৌশলগুলো হলো
১.পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা এবং নিয়মিত গোসল করা।
২.পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং বেশি পরিমাণে পানি পান করা।
৩.এ সময় দেহকোষ ও জননকোষের ভাঙাগড়া সর্বাধিক হয় বলে মাছ, মাংস, সবজি এবং ফলমূল বেশি পরিমাণে খাওয়া দরকার।
৪.সাধারণত বেশি বিশ্রাম নেওয়া দরকার।
৫.সহপাঠীদের সাথে খেলাধুলা করা ও মানসিক প্রফুল্লতা বজায় রাখা।
বয়ঃসন্ধিকালীন বিবাহে স্বাস্থ্য ঝুঁকি এবং এর প্রভাব : বয়ঃসন্ধিকালীন বিবাহে স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দেয়। এ বয়সে গর্ভধারণ করলে গর্ভাবস্থায় রক্তক্ষরণ, শরীরে পানি আসা, খুব বেশি ব্যথা, চোখে ঝাপসা দেখা, গর্ভপাত ইত্যাদি ঘটে থাকে। তাছাড়া মা ও সন্তানের মৃত্যু ঝুঁকিও বেশি থাকে।
এর প্রভাবে মেয়েদের শারীরিক বৃদ্ধি ও গঠন সম্পূর্ণ হয় না। শারীরিক ও মানসিকভাবে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। লেখাপড়ার অনীহা আসে। অনেক ক্ষেত্রে মানসিক চাপ বেড়ে যায়। এতে পরিবার এবং সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
টেস্টটিউব বেবি : কৃত্রিম উপায়ে দেহের বাইরে শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মিলন ঘটিয়ে প্রাথমিক ভ্রƒণ সৃষ্টি করে তাকে স্ত্রীলোকের জরায়ুতে প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে শিশুর জš§ হলে তাকে টেস্টটিউব বেবি বলা হয়। পর্যায়ক্রমে কতগুলো পদ্ধতি অনুসরণ করে ইনভিট্রো ফার্টিলাইজেশন ঘটিয়ে টেস্টটিউব বেবির জš§ দেওয়া হয়।
লিঙ্গ নির্ধারণের কৌশল : লিঙ্গ নির্ধারণকারী ক্রোমোসোমগুলোকে আখ্যায়িত করা হয় ঢ এবং ণ ক্রোমোসোম নামে। মানুষের ক্ষেত্রে মহিলাদের দেহকোষে ডিপ্লয়েড অবস্থায় ঢঢ সেক্স ক্রোমোসোম থাকে এবং পুরুষের দেহকোষে ডিপ্লয়েড অবস্থায় ঢণ ক্রোমোসোম থাকে।
গর্ভধারণকালে ডিম্বাণুর মিলন যদি ঢ ক্রোমোসোমবিশিষ্ট শুক্রাণুর সাথে হয়, তাহলে কন্যা সন্তান হবে, কারণ তখন ঢঢ এক সাথে হবে। আর গর্ভধারণকালে ডিম্বাণুর মিলন যদি ণ ক্রোমোসোমবিশিষ্ট শুক্রাণুর সাথে হয়, তাহলে যে সন্তান হবে সেটি ছেলে সন্তান হবে, কারণ তখন ঢণ একসাথে হবে।
পৃথিবীতে জীবনের উৎপত্তি এবং জীবজগতে বিবর্তনের ধারণা : ধারণা করা হয় প্রোটিন ও নিউক্লিক এসিড সহযোগে সৃষ্টি হয় নিউক্লিওপ্রোটিন। এই নিউক্লিওপ্রোটিন থেকেই সৃষ্টি হয় প্রোটোভাইরাস এবং তা থেকে সৃষ্টি হয় ভাইরাস। এরপর সম্ভবত উদ্ভব হয় ব্যাকটেরিয়া এবং
আরও পরে সৃষ্টি হয় প্রোটোজোয়া। পরে প্রোটোজোয়ানদের দেহে দেখা গেল সুগঠিত নিউক্লিয়াস। কিছু এককোষী জীবদেহে সৃষ্টি হলো ক্লোরোফিল। ফলে একদিকে যেমন খাদ্য সংশ্লেষ সম্ভব হলো তেমনি পরিবেশে অক্সিজেনের সৃষ্টি হলো। তখন সবাত শ্বসনকারী জীবদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকল। উদ্ভব হলো এককোষী থেকে বহুকোষী জীব।
জীবনের উৎপত্তির মূলে রয়েছে বিবর্তন। যে ধীর, অবিরাম ও গতিশীল পরিবর্তন দ্বারা কোনো সরলতর উদবংশীয় জীবের পরিবর্তন দ্বারা জটিল ও উন্নততর নতুন প্রজাতির বা জীবের উদ্ভব ঘটে তাকে বিবর্তন বলে। সময়ের সাথে কোনো জীবের পরিবর্তনের ফলে যখন নতুন কোনো প্রজাতি সৃষ্টি হয় তখন তাকে বলা হয় জৈব বিবর্তন।
পৃথিবীতে নতুন প্রজাতির উৎপত্তির ধারণা : ল্যামার্কের তত্ত্ব অনুযায়ী, অর্জিত বৈশিষ্ট্যের বংশানুসরণের কারণে এবং প্রতিটি প্রজšে§ নতুন নতুন বৈশিষ্ট্য অর্জিত হওয়ায় ধীরে ধীরে একটি প্রজাতি থেকে অপর একটি নতুন প্রজাতির সৃষ্টি হয়। আধুনিক যুগের বিজ্ঞানীরা ল্যামার্কের এ মতবাদ গ্রহণ করতে পারেননি। কারণ বাস্তবে অর্জিত বৈশিষ্ট্য যে পরবর্তী প্রজন্মে সঞ্চালিত হয় এর সপক্ষে বর্তমান বংশগতিবিদগণ কোনো প্রমাণ পাননি।
ডারউইনের মতবাদ অনুসারে সুবিধাজনক প্রকরণযুক্ত প্রাণী ও উদ্ভিদ পরিবেশের সাথে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারে এবং অযোগ্যদের তুলনায় বেশি হারে বংশবিস্তার করতে পারে। এদের বংশধরদের মধ্যে প্রকরণগুলো উত্তরাধিকার সূত্রে যায়। এই বংশধরদের মধ্যে যাদের সুবিধাজনক প্রকরণ বেশি থাকে, প্রকৃতি আবার তাদের নির্বাচন করে। এভাবে যুগ যুগান্তর ধরে নির্বাচিত করে প্রকৃতি প্রাণী ও উদ্ভিদের নতুন প্রজাতি সৃষ্টি করে।
বর্তমানে বংশগতিবিদ, কোষতত্ত্ববিদ ও শ্রেণিবিদগণ নতুন প্রজাতির উৎপত্তির বিষয়ে মেন্ডেলের বংশগতি মতবাদের এবং ডারউইনের বিবর্তন মতবাদের ভিত্তিতে বলেন, ধীর গতিতে নতুন প্রজাতির সৃষ্টি হতে পারে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।