PDF Download-সাধারণ বিজ্ঞান সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর -SSC- সাধারণ বিজ্ঞান হতে যেকোনো ধরনেরসৃজনশীল প্রশ্ন-উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন ।
প্রিয়া ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেন আপনার খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য সাধারণ বিজ্ঞান হতে গুরুপূর্ণ কিছু প্রশ্ন উত্তর আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এসএসসি- SSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
PDF Download-সাধারণ বিজ্ঞান সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সমুহ:
প্রশ্ন -৬ নিচের উদ্দীপকগুলো পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
দৃশ্যকল্প-১ : ১৪ বছর বয়সী সবুজের গলার স্বর হঠাৎ পরিবর্তন হয়ে গেলো। এছাড়া তার মধ্যে অন্যান্য দৈহিক পরিবর্তনও লক্ষ করা যাচ্ছে।
দৃশ্যকল্প-২ : ১১ বছর বয়সী নিতু ইদানীং কল্পনাপ্রবণ হয়ে উঠেছে। এছাড়া তার মধ্যে দৈহিক বেশ কিছু লক্ষণীয় পরিবর্তনও সূচিত হয়েছে।
ক. মানুষের শৈশবকালের মেয়াদ কত বছর?
খ. টেস্টটিউব বেবি বলতে কী বোঝায়?
গ. সবুজের দৈহিক পরিবর্তনের কারণ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. সবুজ ও নিতুর দৈহিক পরিবর্তনের মধ্যে ভিন্নতা রয়েছে কি? বিশ্লেষণ কর।
৬নং প্রশ্নের উত্তর
ক. মানুষের শৈশবকালের মেয়াদ ৫ বছর।
খ. কৃত্রিম উপায়ে দেহের বাইরে শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মিলন ঘটিয়ে প্রাথমিক ভ্রুণ সৃষ্টি করে তা স্ত্রীলোকের জরায়ুতে প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে শিশু জন্ম হলে তাকে টেস্টটিউব বেবি বলা হয়। দেহের বাইরে ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর মিলন ঘটানোকে বলে ইনভিট্রো ফার্টিলাইজেশন।
গ. সবুজের দৈহিক পরিবর্তনের কারণ হলো বয়ঃসন্ধিকালীন হরমোনজনিত প্রভাব।
সাধারণত ছেলেমেয়েদের ১০-১৯ বছরের সময়কালকে বয়ঃসন্ধিকাল বলে। এ সময় ছেলেমেয়েদের শারীরিক ও মানসিক অবস্থার অনেক পরিবর্তন হয়। তবে আবহাওয়া, স্থান, খাদ্য গ্রহণের পরিমাণ ও মানের তারতম্যের কারণে একএক জনের বয়ঃসন্ধিকালের সময়টা আলাদা হতে পারে।
বয়ঃসন্ধিকালে যেসব পরিবর্তন ঘটে তার জন্য দায়ী বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ যেগুলোকে বলা হয় ‘হরমোন’। হরমোন শরীরের ভিতরে স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি হয়। বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেদের শরীরে বিভিন্ন পরিবর্তনের জন্য যে হরমোন দায়ী তার নাম হলো টেস্টোস্টেরন। এ হরমোনের প্রভাবে তাদের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন ঘটে। ছেলেদের গলার স্বর ভারী হয়। মুখে দাড়ি ও গোঁফ গজায়। দ্রুত দৈহিক বৃদ্ধি হয়।অতএব, হরমোনজনিত পরিবর্তন ও প্রভাবের কারণেই সবুজের দৈহিক পরিবর্তন ঘটে।
ঘ. সবুজ ও নিতুর দৈহিক পরিবর্তনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভিন্নতা রয়েছে। কারণ সবুজ ছেলে এবং নিতু মেয়ে।সবুজ ও নিতু দুজনই বয়ঃসন্ধিকালে অতিক্রম করছে। ১৪ বছর বয়সী সবুজের গলার স্বর পরিবর্তন হয়েছে এবং তার ভিতর অন্যান্য দৈহিক পরিবর্তনও হচ্ছে। অন্যদিকে ১১ বছর বয়সী নিতু কল্পনাপ্রবণ হয়ে উঠেছে এবং তার মধ্যেও বেশ কিছু দৈহিক পরিবর্তন শুরু হয়েছে।
সবুজ ও নিতুর এ পরিবর্তনগুলোর কারণ হলো বয়ঃসন্ধিকালীন সময়ে দেহে নিঃসৃত বিশেষ ধরনের রাসায়নিক পদার্থ যাকে হরমোন বলে। হরমোনের প্রভাবে উদ্দীপকে উল্লিখিত দৈহিক ও মানসিক পরিবর্তনগুলো ঘটেছে। আমরা জানি, ছেলে ও মেয়েদের শরীরে হরমোন এক রকম নয়।
এ কারণে এদের শরীরে ও মনে যে পরিবর্তন হয় তাও আলাদা। মেয়েদের শরীরের বিভিন্ন পরিবর্তনের জন্য প্রধানত দুটি হরমোন দায়ী। এ দুটোকে বলা হয় ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন। এসব হরমোনের অভাবে কণ্ঠস্বরের পরিবর্তন হয়, দ্রুত দৈহিক বৃদ্ধি হয় এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আকার বৃদ্ধিসহ অন্যান্য পরিবর্তন ঘটে।
এ হরমোনের কারণে মেয়েদের নিয়মিত ঋতুস্রাব বা মাসিক শুরু হয়। অন্যদিকে ছেলেদের বয়সন্ধিকালীন সময়ে দৈহিক ও মানসিক পরিবর্তনগুলো ঘটে টেস্টোস্টেরন হরমোনের প্রভাবে। এ সময় তাদের শুক্রাণু তৈরী হয় এবং বীর্যপাত শুরু হয়।
অতএব, উপরিউক্ত বর্ণনাগুলো বিশ্লেষণ করে বলা যায় যে, সবুজ ও নিতুর দৈহিক পরিবর্তনের মধ্যে ভিন্নতা রয়েছে।
প্রশ্ন -৭ নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
বৃষ্টিরা ছয় বোন। তার কোনো ভাই নাই। তাই তার দাদা-দাদি তার আম্মুকে নানা ধরনের কথা বলে। সে দশম শ্রেণির ছাত্রী হওয়ায় সবই বুঝতে পারে। সে তার আম্মুকে, বাবাকে নিয়ে ডাক্তারখানায় যাওয়ার পরামর্শ দেয়। ডাক্তার সাহেব তার মা-বাবাকে সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণের বিষয়টি বুঝিয়ে দেন।
ক. বয়ঃসন্ধিকাল-এর সময় কত?
খ. বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেমেয়েদের আচরণের কী কী পরিবর্তন লক্ষ করা যায়?
গ. বৃষ্টির বাবা-মায়ের প্রতি ডাক্তারের যে বক্তব্য ছিল-তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. তুমি কি মনে কর, ছয়টি কন্যা সন্তান জন্ম দিয়ে এককভাবে বৃষ্টির আম্মুই দায়ী? সপক্ষে তোমার যুক্তি দাও।
৭নং প্রশ্নের উত্তর
ক. বয়ঃসন্ধিকাল এর সময় দশ বছর থেকে উনিশ বছর বয়স।
খ. বয়ঃসন্ধিকাল ছেলেমেয়েদের আচরণে যে যে পরিবর্তন লক্ষ করা যায় সেগুলো হলোÑ
১. প্রাপ্তবয়স্কদের মতো আচরণ করা।
২. সে যে একজন আলাদা ব্যক্তিত্ব, এ বিষয়টি বিভিন্ন আচরণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা
৩. প্রত্যেক বিষয়ে নিজের মতামত প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা
৪. দুঃসাহসিক ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে প্রবৃত্ত হওয়া।
গ. বৃষ্টির বাবা ও মাকে ডাক্তার বললেন মানবদেহে ২৩ জোড়া ক্রোমোসোম থাকে। এই ২৩ জোড়ার মধ্যে ২২ জোড়াকে অটোজোম এবং বাকি একজোড়া ক্রোমোসোমকে লিঙ্গ নির্ধারক বা সেক্স ক্রোমোসোম বলে। লিঙ্গ নির্ধারণকারী ক্রোমোসোমগুলোকে আখ্যায়িত করা হয় ঢ এবং ণ ক্রোমোসোম নামে।
মহিলাদের দেহে কোষে ঢঢ এবং পুরুষের দেহকোষে ঢণ ক্রোমোসোম থাকে। নারীদের এবং মাতৃ জননকোষ থেকে মায়োসিস পদ্ধতিতে যে চারটি ডিম্বাণু সৃষ্টি হয়, তার প্রত্যেকটিতে ১১ জোড়া অটোসোমসহ ‘ঢ’ ক্রোমোসোম থাকে। ফলে সব ডিম্বাণু হয় ‘ঢ’ ক্রোমোসোম বিশিষ্ট। পুরুষের ক্ষেত্রে শুক্রাণু গঠনের সময় চারটি শুক্রাণুর মধ্যে দুটি শুক্রাণুর প্রতিটিতে ১১ জোড়া অটোসোমসহ ‘ঢ’ ক্রোমোসোম এবং অপর দুটি প্রতিটি ১১ জোড়া অটোসোমসহ ণ ক্রোমোসোম ধারণ করে।
ফলে পুরুষদের শুক্রাণু দুই ধরনের Ñ ‘ঢ’ ও ‘ণ’ ক্রোমোসোম বিশিষ্ট হয়। গর্ভধারণকালে ডিম্বাণুর মিলন যদি ‘ঢ’ ক্রোমোসোম বিশিষ্ট শুক্রাণুর সাথে হয় তাহলে কন্যাসন্তান হবে, কারণ তখন ‘ঢঢ’ একসাথে হয়। আর গর্ভধারণকালে ডিম্বাণুর মিলন যদি “ণ” ক্রোমোসোম বিশিষ্ট শুক্রাণুর সাথে হয়, তাহলে যে সন্তান হবে সেটি ছেলে সন্তান হবে, কারণ তখন ‘ঢণ’ একসাথে হয়।
উপরিউক্ত প্রক্রিয়ায় মানবশিশুর লিঙ্গ নির্ধারিত হয়। উদ্দীপকের ডাক্তার সাহেব বৃষ্টির বাবা মায়ের প্রতি এ বক্তব্যই দেন।
ঘ. আমি মনে করি না, ছয়টি কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য এককভাবে বৃষ্টির আম্মুই দায়ী।
আমরা জানি, পুরুষের দুই ধরনের শুক্রাণু তৈরি হয়- একটি অঢ এবং অপরটি অণ কিন্তু মহিলাদের শুধু অঢ ডিম্বাণু তৈরী হয়। পিতার অঢ শুক্রাণুর মায়ের অঢ ডিম্বাণুর সাথে মিলনের ফলে কন্যা সন্তান হয় এবং মায়ের অঢ ডিম্বাণুর সাথে পিতার অণ শুক্রাণুর মিলনের ফলে পুত্র সন্তান হয়। বিষয়টি নিচের ছকে বুঝানো হলো।
পুংজনন কোষ
অঢ অণ
স্ত্রীজনন কোষ অঢ অঅঢঢ
মেয়ে অঅঢ
ছেলে
অঢ অঅঢঢ
মেয়ে অঅঢ
ছেলে
মানুষের জননকোষ সৃষ্টি
ছক থেকে বোঝা যাচ্ছে কন্যা সন্তান হওয়ার জন্য ‘মা’ মোটেই দায়ী নয়। এতে মায়ের কোনো ভূমিকা নাই। বিষয়টি সম্পূর্ণ ঢ ও ণ বহনকারী পুরুষের শুক্রাণুর সাথে ডিম্বাণুর মিলনের সম্ভাবনার ওপর নির্ভর করে।
অতএব, উপরিউক্ত আলোচনা থেকে এটা স্পষ্ট যে, ছয়টি কন্যা সন্তান জন্ম দেয়ার জন্য বৃষ্টির আম্মু কোনোভাবেই দায়ী নয়।
প্রশ্ন -৮ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
রমেশ ও দীপিকা ভাইবোন। তাদের বয়স যথাক্রমে ১২ ও ১৫ বছর। তার বাবা লক্ষ করলেন তাদের আচরণিক ও শারীরিক কিছু পরিবর্তন ঘটেছে। তিনি চিন্তিত হলেন এবং তাঁর এক বন্ধুর সাথে এ বিষয়ে মত বিনিময় করলেন। বন্ধু বলল, এগুলো হরমোনজনিত পরিবর্তন।
[কাজ : পৃষ্ঠা-৬৮]
ক. অঙ্গসংস্থান কী?
খ. মানসিক পরিবর্তনের একটি বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা কর।
গ. রমেশ ও দীপিকার কী ধরনের পরিবর্তন তাদের বাবা লক্ষ করেছেন- তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. রমেশের বাবার বন্ধুর মতামতের সপক্ষে তোমার মতামত আলোচনা কর।
৮নং প্রশ্নের উত্তর
ক. বিভিন্ন জীবের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বাহ্যিক গঠনকে অঙ্গসংস্থান বলে।
খ. বয়ঃসন্ধিকালে শারীরিক পরিবর্তনের সাথে ছেলেমেয়েদের মানসিক পরিবর্তনের একটি বিশেষ পরিবর্তন হচ্ছে তাদের আবেগিক পরিবর্তন। আবেগপ্রবণ হয়ে তারা অনেক সময় অস্বাভাবিক আচরণ করতে পারে। এ সময় সাহস যোগালে তাদের মধ্যে অস্বাভাবিক আচরণের প্রবণতা সৃষ্টি হবে না।
গ. রমেশ ও দীপিকার বাবা তাদের আচরণিক ও শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ করেছিলেন। নিচে এগুলো ব্যাখ্যা করা হলো :
আচরণিক পরিবর্তন : এ সময় রমেশ ও দীপিকা প্রাপ্তবয়স্কদের মতো আচরণ করেছিল। তারা তাদের আলাদা ব্যক্তিত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল এবং প্রত্যেক বিষয়ে নিজেদের মতামত প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছিল। এছাড়া এ সময়ে তাদের মধ্যে দুঃসাহসিকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছিল।
শারীরিক পরিবর্তন : এ সময় রমেশ ও দীপিকা দ্রুত লম্বা হয়ে উঠছিল এবং ওজন বৃদ্ধি পাচ্ছিল। তাদের বাবা লক্ষ করেছেন তাদের শরীরের গঠন প্রাপ্তবয়স্কদের মতো হয়ে উঠেছে। কণ্ঠস্বর মোটা হয়েছে এবং বুক ও কাঁধ চওড়া হয়েছে। দীপিকার কোমরের হাড় চওড়া ও মোটা হয়েছে।
ঘ. রমেশের বন্ধুর মতামতের সপক্ষে আমার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেমেয়েদের যেসব পরিবর্তন ঘটে তার জন্য দায়ী হরমোন নামক রাসায়নিক পদার্থ, যা অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয়। হরমোন শরীরের ভেতরে স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি হয়। ছেলে ও মেয়েদের শরীরের হরমোন এক রকম নয়।
এ কারণে ছেলে ও মেয়েদের পরিবর্তনগুলো আলাদা। মেয়েদের শরীরে বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটে প্রধানত দুই ধরনের হরমোনের প্রভাবে। এই হরমোনগুলো হলো- ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন। এসব হরমোনের প্রভাবে কণ্ঠস্বরের পরিবর্তন, দ্রুত দৈহিক বৃদ্ধি, বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের আকার বৃদ্ধিসহ অন্যান্য পরিবর্তন ঘটে।
বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেদের শরীরের বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটে টেস্টোস্টেরন হরমোন দ্বারা। এর প্রভাবে ছেলেদের কণ্ঠস্বর পরিবর্তন, শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন ঘটে। মুখে দাড়ি ও গোঁফ গজায়, দ্রুত দৈহিক বৃদ্ধি হয়।
প্রশ্ন -৯ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
বয়ঃসন্ধিকাল সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে আয়েশা ম্যাডাম ক্লাসে ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন নামক দুটি হরমোনের কথা উল্লেখ করলেন, যা মেয়েদের শারীরিক পরিবর্তন ঘটায়। এছাড়াও তিনি এ সময় ছেলেমেয়েদের স্বাস্থ্য রক্ষার কিছু উপায় বর্ণনা করলেন। [কাজ : পৃষ্ঠা-৭০]
ক. টেস্টোস্টেরন কী?
খ. ‘গর্ভপাত’ বলতে কী বোঝ?
গ. মেয়েদের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনে উদ্দীপকে উল্লিখিত হরমোন দুটির প্রভাব বর্ণনা কর।
ঘ. আয়েশা ম্যাডামের উল্লিখিত স্বাস্থ্য রক্ষার উপায়সমূহ আলোচনা কর।
৯নং প্রশ্নের উত্তর
ক. টেস্টোস্টেরন এক ধরনের হরমোন, যা বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেদের শরীরে বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটায়।
খ. একটি মেয়ের গর্ভে যখন সন্তান আসে, তখন প্রথম অবস্থায় জরায়ুতে বৃদ্ধি ঘটে। ভ্রƒণের বৃদ্ধি অবস্থায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে যদি জরায়ু থেকে ভ্রƒণ বের হয়ে যায় তখন সে অবস্থাকে গর্ভপাত বলে।
গ. উদ্দীপকের হরমোন দুটি হলো ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন যারা বয়ঃসন্ধিকালে মেয়েদের শারীরিক ও মানসিক বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটায়। এসব হরমোনের প্রভাবে কণ্ঠস্বরের পরিবর্তন হয়, দ্রুত দৈহিক বৃদ্ধি হয় এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের আকার বৃদ্ধিসহ অন্যান্য পরিবর্তন ঘটে। এ হরমোনের কারণে মেয়েদের ঋতুস্রাব শুরু হয়। এই হরমোন দুটির প্রভাবে মানসিক যে পরিবর্তনগুলো মেয়েদের মধ্যে প্রকাশ পায় সেগুলো হলো-
১. যত্ন ও ভালোবাসা পাওয়ার ইচ্ছা তীব্র হওয়া।
২. আবেগ দ্বারা চালিত হওয়ার প্রবণতা সৃষ্টি হয়।
৩. বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আর্কষণ সৃষ্টি হয়।
৪. প্রাপ্ত বয়স্কদের মতো আচরণ করা এবং আত্মনির্ভর হওয়ার প্রবণতা সৃষ্টি হয়।
ঘ. আয়েশা ম্যাডাম বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেমেয়েদের স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য কিছু উপায় আলোচনা করেছেন যা নিচে আলোচনা করা হলো :
বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেদের মাঝে মাঝে রাতের বেলা ঘুমের মধ্যে বীর্যপাত ঘটে। যাকে অনেকে স্বপ্নদোষ বলে থাকেন। স্বপ্নদোষ হলে গোসল করে পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন। এ সময় পুষ্টিকর খাবার বিশেষ করে বেশি করে শাকসবজি খাওয়া ও পানি পান করা এবং স্বাভাবিক জীবন যাপন করা উচিত।
ছেলেদের মতো মেয়েদেরও বয়ঃসন্ধিকালে অনেক পরিবর্তন ঘটে। এ সময় মেয়েদের শরীরের যেসব পরিবর্তন ঘটে তার মধ্যে ঋতুস্রাব বা মাসিক এবং সাদা স্রাব উল্লেখযোগ্য। মাসিকের সময় জীবাণুমুক্ত তুলা বা প্যাড শোষক হিসেবে ব্যবহার করতে হয়।
মাসিকের সময় ৩-৫ দিন পর্যন্ত রক্তস্রাব হতে পারে। এ সময় মেয়েদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা এবং নিয়মিত গোসল করা ও বেশি পরিমাণে পানি পান করা প্রয়োজন। এ সময় সাধারণত বেশি বিশ্রাম নেওয়া দরকার। যেহেতু মাসিকের সময় শরীর থেকে অনেক রক্ত বেরিয়ে যায়, তাই ক্ষয়পূরণের জন্য মাছ, মাংস, সবজি এবং ফলমূল বেশি পরিমাণে খাওয়া দরকার। মাসিকের সময় তলপেটে ব্যথা হতে পারে। ব্যথা বেশি হলে ডাক্তারের পরামর্শে ঔষধ সেবন করতে হবে।
প্রশ্ন -১০ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
সাহেলার দুই সন্তান শাকিল ও শিলা। শাকিলের বয়স প্রায় ১৫ আর শিলার বয়স ১২ বছর। তারা এখন কিশোর-কিশোরী। এ সময়ে দ্রুত মানসিক ও শারীরিক পরিবর্তন ঘটে থাকে। সাহেলা বেগম যতেœর সাথে পরিবর্তনের বিষয় তাদের বুঝিয়ে দিচ্ছেন। [কাজ : পৃষ্ঠা-৭১]
ক. বয়ঃসন্ধিকালের বয়ঃসীমা কত?
খ. মনোবিজ্ঞানীরা বয়ঃসন্ধিকালকে ঝড়ঝঞ্ঝাকাল বলেছেন কেন?
গ. সাহেলা বেগম তাঁর দুই সন্তানের পরিবর্তনে তাদের করণীয় কীভাবে বুঝাবেন?
ঘ. এই সময়ে শাকিল ও শীলার প্রতি বাবা-মায়ের দায়িত্ব ও কর্তব্য বিশ্লেষণ কর।
১০নং প্রশ্নের উত্তর
ক. বয়ঃসন্ধিকালের বয়ঃসীমা হলো ১১ বছর থেকে ১৯ বছর বয়স পর্যন্ত।
খ. ছেলেমেয়েদের বয়ঃসন্ধিকালের বেড়ে ওঠা অনেকটা আকস্মিক। হঠাৎ দ্রুত লম্বা হতে থাকে ছেলে ও মেয়েরা, ওজনও বাড়তে থাকে। তাদের শরীরে নানা পরিবর্তনও আসে। এছাড়া মানসিক পরিবর্তন যেমন : যতœ ও ভালোবাসা পাওয়ার ইচ্ছা তীব্র হয়, ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে সম্পর্ক বিষয়ে কৌতূহল সৃষ্টি হয়, নেশা দ্রব্যের প্রতি আকর্ষণ সৃষ্টি হয়, আবেগ দ্বারা পরিচালিত হওয়ার প্রবণতা সৃষ্টি হয়। প্রত্যেক বিষয়ে নিজের মতামত প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করে।
এসব কারণে মানুষের বয়ঃসন্ধিকালীন সময়কে মনোবিজ্ঞানীরা ঝড়ঝঞ্ঝাকাল বলেছেন।
গ. সাহেলা বেগম তার সন্তানদের সাথে বন্ধুসুলভ আচরণ করে তাঁর দুই সন্তানকে বয়ঃসন্ধিকালে কী কী করণীয় তা বুঝাবেন। শাকিলকে বুঝাবেন ছেলে ও মেয়েদের এই সময়ে দেহে নানা পরিবর্তনগুলো হয় হরমোনের প্রভাবে। এর জন্য বিচলিত হবে না। এ সময় রাতে ঘুমের ঘোরে বীর্যপাত ঘটে। একে স্বপ্নদোষ বলে। এটা কোনো লজ্জার বিষয় নয়।
তিনি তাঁর মেয়ে শিলাকে বুঝালেন মেয়েদের বয়ঃসন্ধিকালে ঋতুস্রাব শুরু হয়। একে মাসিক বলে। বয়ঃসন্ধিকালে মেয়েদের শরীরে এটি একটি স্বাভাবিক ব্যাপার। এর জন্য বিচলিত হবে না। এ সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে এবং পুষ্টিকর খাবার ও পানি বেশি করে খেতে হবে। বিশ্রাম নিতে হবে। এ সময় তলপেটে ব্যথা হতে পারে। তবে যদি বেশি ব্যথা হয় তা হলে ‘মা’-কে বলবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
এছাড়া সাহেলা বেগম তাঁর দুই সন্তানকে আরও বুঝালেন তোমাদের শারীরিক ও মানসিক সমস্যাগুলো ছাড়া অন্য কোনো সমস্যা দেখা দিলে তা তোমরা মা-বাবা ও নিকট আত্মীয়দের সাথে আলাপ আলোচনা করবে এবং পরামর্শ নিবে।
ঘ. শাকিল ও শীলার প্রতি বাবা-মায়ের এই সময়ে দায়িত্ব ও কর্তব্য অপরিসীম। বয়ঃসন্ধিকালের পরিবর্তনের সময়ে অনেকে একা থাকতে পছন্দ করে। শাকিল ও শীলা এখন বয়ঃসন্ধিকাল অতিক্রম করছে। তারা অস্বাভাবিক আচরণ করতে পারে। বয়ঃসন্ধিকালে শারীরিক পরিবর্তনের সাথে তাদের আবেগিক পরিবর্তন ঘটে।
এ বয়সে তাদের যে মানসিক পরিবর্তন ঘটে বাবা-মাকে সে পরিবর্তনের বিষয়গুলো মনে রেখে তাদের সাথে বন্ধুসুলভ ও সহানুভূতিশীল আচরণ করতে হবে। তাদেরকে মানসিক দিকসহ অন্যান্য সকল ব্যাপারে সহযোগিতা প্রদান করতে হবে এবং সাহস যোগাতে হবে।
বয়ঃসন্ধিকালের পরিবর্তনগুলো যে স্বাভাবিক, এ বিষয়টি শাকিল ও শীলাকে খুব স্পষ্ট করে বুঝাতে হবে। এটা বুঝাতে পারলে অস্বস্তি বা ভয় কমে যাবে। দ্বিতীয়ত: এ বিষয়গুলো নিয়ে খোলা মনে তাদের সাথে আলোচনা করলে সংকোচ কেটে যাবে। ফলে একা থাকা বা লোকজন এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা কমে যাবে। এছাড়া ভালো গল্পের বই পড়লে, সাথীদের সাথে খেলাধুলা করলে মানসিক প্রফুল্লতা বজায় থাকবে।
শাকিল ও শীলার বাবা-মাকে তাদের প্রয়োজনীয় মানসিক সহায়তা ও পরামর্শ প্রদান করতে হবে। এতে তারা সুস্থ সবল মানুষ হিসেবে বেড়ে উঠে সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে সক্ষম হবে।
প্রশ্ন -১১ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ছেলেমেয়েদের ১১-১৯ বছরের সময়কালকে বয়ঃসন্ধিকাল বলে। বয়ঃসন্ধিকালের পরিবর্তনগুলোর মধ্যে দৈহিক পরিবর্তনগুলোই চোখে পড়ে। অল্প বয়সে মেয়েদের বিয়ে দিলে তারা নানা মানসিক ও শারীরিক সমস্যার মধ্যে পড়ে। এর মধ্যে বড় সমস্যা হচ্ছে গর্ভপাতের ঝুঁকি।
[কাজ : পৃষ্ঠা-৭৪]
ক. গর্ভপাত কাকে বলে?
খ. বয়ঃসন্ধিকালীন সময়ে বিবাহ দেওয়া কি ঠিক?
গ. উদ্দীপকের ঝুঁকিসমূহ একটা ছক আকারে দেখাও।
ঘ. উক্ত বয়সে গর্ভধারণের সমস্যাসমূহ এবং অকাল গর্ভধারণ থেকে পরিত্রাণের উপায় কী? এ সম্বন্ধে তুমি একটি ধারণ দাও।
১১নং প্রশ্নের উত্তর
ক. মেয়েদের জরায়ুতে ভ্রƒণের বৃদ্ধি অবস্থায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে যদি জরায়ু থেকে ভ্রূণ বের হয়ে যায় তখন তাকে গর্ভপাত বলে।
খ. বয়ঃসন্ধিকালে বিবাহ দেয়া ঠিক নয়। প্রথমত, এটি বেআইনী কারণ, দেশের আইন অনুসারে মেয়েদের ১৮ বছরের এবং ছেলেদের ২১ বছরের নিচে বিবাহ দেওয়া যায় না। দ্বিতীয়ত, মেয়েদের কম বয়সে বিবাহ দিলে তারা মানসিক ও শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হয়। বয়ঃসন্ধিকালে বিবাহিত মেয়েরা নানা জটিলতার সম্মুখীন হয় তার মধ্যে একটি হলো অপরিণত বয়সে গর্ভধারণ।
গ. গর্ভপাতের ঝুঁকিসমূহ একটা ছকে দেখানো হলো :
ঘ. উক্ত বয়স হলো বয়ঃসন্ধিকাল এটি গর্ভধারণের জন্য অপরিণত বয়স। এ বয়সে গর্ভে সন্তান এলে সন্তান বেড়ে ওঠার জন্য পর্যাপ্ত স্থান পায় না। এতে করে নিচে উল্লিখিত সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে :
১. গর্ভাবস্থায় রক্তক্ষরণ
২. শরীরে পানি আসা
৩. পেটে খুব বেশি ব্যথা
৪. চোখে ঝাপসা দেখা
৫. গর্ভপাত।
এছাড়া ‘মা’ হওয়ার মতো মানসিক পরিপক্বতা ও শারীরিক পূর্ণতা না থাকার কারণে তারা মানসিক ও শারীরিক জটিলতায় ভোগে। এতে যে শিশুটি জন্মায়, তার জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে কারণ তার ওজন কম হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে।
অকাল গর্ভধারণ থেকে পরিত্রাণের উপায়গুলো নিচে উল্লেখ করা হলো
১. অকাল গর্ভধারণ ঘটছে বাল্য বিবাহের কারণে। তাই বাল্যবিবাহ আইনকে কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে এবং প্রয়োজনে আইন সংশোধন করে এই আইন অমান্যকারীদের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রাখতে হবে।
২. বাল্যবিবাহ রোধের জন্য এলাকাবাসীদের এগিয়ে আসতে হবে এবং বাপ-মাকে এর পরিণতি সম্বন্ধে জানাতে হবে।
৩. অকাল গর্ভধারণের কারণে শারীরিক ক্ষতি সম্বন্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
প্রশ্ন -১২ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
রহমত ও সাইফুল দুই ভাই। রহমত বয়সে বড়। রহমতের কণ্ঠস্বরের পরিবর্তন এবং তার ঠোঁটের উপর চুলের আভাস দেখে সাইফুল একদিন তার বাবাকে জিজ্ঞাসা করল রহমতের কণ্ঠ ও চেহারার এরকম পরিবর্তন কেন হচ্ছে। ওর বাবা বললেন, রহমতের এখন বয়ঃসন্ধিকাল।
ক. অভিব্যক্তি কী?
খ. কন্যা সন্তান হলে মাকে দোষারোপ করা হয় এটা কি ঠিক?
গ. রহমতের এই পরিবর্তনগুলো কেন ঘটেছে এবং এর সাথে আর কী কী পরিবর্তন ঘটতে পারে? ব্যাখ্যাসহ লেখ।
ঘ. এ সময়ে রহমতের অভিভাবকদের করণীয় কী? বিশ্লেষণ কর।
১২নং প্রশ্নের উত্তর
ক. অভিব্যক্তি হলো পৃথিবীর উৎপত্তি ও জীবনের উৎপত্তির ঘটনাপ্রবাহ।
খ. আমরা জানি ছেলেদের দুই ধরনের গ্যামেট সৃষ্টি হয়; একটি অঢ এবং অপরটি অণ হয়। কিন্তু মেয়েদের শুধু অঢ গ্যামেট সৃষ্টি হয়। পিতার অঢ গ্যামেট স্ত্রীর অঢ এর সাথে মিলনের ফলে কন্যা সন্তান হয় এবং স্ত্রীর অঢ এর সাথে পিতার অণ গ্যামেটের মিলনের ফলে পুত্র সন্তান হয়। সুতরাং এ থেকে বুঝা যাচ্ছে কন্যা সন্তান হওয়ার জন্য মা’রা মোটেই দায়ী নয়। এতে মায়ের কোনো ভূমিকা নেই। বিষয়টি সম্পূর্ণ ঢ ও ণ বহনকারী পুরুষের শুক্রাণুর সাথে ডিম্বাণুর মিলনের সম্ভাবনার ওপর নির্ভরশীল।
গ. রহমতের বয়ঃসন্ধিকালে দেহে হরমোনের প্রভাবে শারীরিক পরিবর্তনগুলো ঘটেছে।
রহমতের বয়ঃসন্ধিকালে শরীরে বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটে টেস্টোস্টেরন হরমোনের প্রভাবে। এ হরমোনের প্রভাবে ছেলেদের গলার স্বর ভারী হয়। মুখে দাড়ি ও গোঁফ গজায়, দ্রুত দৈহিক বৃদ্ধি ঘটে। এ সময় ছেলেদের শুক্রাণু তৈরি হয়। এগুলো ছাড়াও রহমতের মানসিক ও আচরণগত পরিবর্তন ঘটবে। এ সময় ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে সম্পর্ক বিষয়ে কৌতূহল সৃষ্টি হবে এবং প্রত্যেক বিষয়ে তার নিজের মতামতকে প্রতিষ্ঠিত করার প্রবণতা সৃষ্টি হবে।
ঘ. এ সময়টি হলো বয়ঃসন্ধিকাল। এ সময়ে অভিভাবকদের করণীয় হলো সতর্কতার সাথে রহমতকে দেখাশোনা করা। বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেমেয়েদের শারীরিক, মানসিক ও আচরণিক পরিবর্তন ঘটে। এসকল পরিবর্তনের সময় ছেলেমেয়েরা অন্যের বিশেষ করে নিকটজনের স্নেহ-ভালোবাসা, মনোযোগ-যত্ন এ সকল প্রত্যাশা করে। কেননা তারা নতুন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয় এবং নতুন পরিস্থিতিতে নিজেদের খাপখাওয়াতে চেষ্টা করে।
এমন সময় নিকটজনেরা সহযোগিতা না করলে ছেলেমেয়েরা বিপথে পরিচালিত হয়। এমন পরিস্থিতিতে অভিভাবকদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনা এবং সন্তানদের সাহচর্যে থাকা একান্ত প্রয়োজন। অভিভাবকদের বা নিকটজনদের এ সময় তার সন্তানদের প্রতি একটু বেশি যতœশীল হওয়া বাঞ্ছনীয়।
অভিভাবকদের এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। কেননা বয়ঃসন্ধিতে ছেলে-মেয়েদের আচরণিক, শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন সম্পর্কে নিকটজনদের সুস্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে এবং সহযোগিতামূলক আচরণ করতে হবে।
উপরিউক্ত আলোচনা থেকে এটা সুস্পষ্ট যে, বয়ঃসন্ধিকালে রহমতের অভিভাবকদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করা একান্ত অপরিহার্য এবং করণীয়।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।