HSC | বাংলা ২য় পত্র | গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ রচনা ৪৬-৫০ | PDF Download: বাংলা দ্বিতীয় পত্র হতে গুরুত্বপূর্ণ সব প্রবন্ধ রচনা গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য বাংলা দ্বিতীয় পত্র বিষয়টির গুরুপূর্ণ কিছু প্রবন্ধ রচনা নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
৪৬. ফুটবল খেলা
অথবা, আমার প্রিয় খেলা
ভ‚মিকা : ফুটবল অত্যন্ত চমৎকার একটি উত্তেজনাপূর্ণ খেলা। এ খেলার সূচনা হয় চীনে। বর্তমানে সারা বিশ্বে এ খেলাটি তুমুল জনপ্রিয়। বাংলাদেশেও একটি অন্যতম জনপ্রিয় খেলা এই ফুটবল। গ্রামগঞ্জ, শহর, নগর সবখানেই ফুটবল খেলা হয়। আমার প্রিয় খেলাও ফুটবল।
ফুটবল মাঠের বর্ণনা : একটি সমতল মাঠে ফুটবল খেলা হয়। মাঠের চারদিক সীমারেখা দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। লম্বালম্বি দু বিপরীত প্রান্তে দুটি গোলপোস্ট থাকে। আদর্শ মাঠের দৈর্ঘ্য ১২০ হাত এবং প্রস্থ ৮০ হাত হয়। গোলপোস্ট দুটির সাথে নেট দেওয়া থাকে ও মাঠের চার কোণায় চারটি পতাকা পোঁতা থাকে।
খেলার বর্ণনা : একটি বল মাঠের মাঝামাঝি স্থাপন করা হয়। দুটি দলের মধ্যে খেলা অনুষ্ঠিত হয়। প্রত্যেক দলে ১১ জন করে খেলোয়াড় থাকে। গোলপোস্ট পাহারায় থাকে একজন করে গোলরক্ষক। খেলা চলাকালীন দুই গোলরক্ষক নির্দিষ্ট সীমানার মধ্যে হাত দিয়ে বল ধরতে পারে। মাঝের দশ মিনিট বিরতি ছাড়া ৪৫ মিনিট করে মোট ৯০ মিনিট খেলা হয়। সময় শেষে যে দল গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকে তারাই জয়ী হয়।
পরিচালক : যিনি ফুটবল খেলা পরিচালনা করেন তাঁকে বলা হয় রেফারি। খেলার সকল ব্যাপারে তাঁর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তাঁর নির্দেশে খেলা আরম্ভ এবং শেষ হয়। কোনো খেলোয়াড় নিয়ম ভঙ্গ করলে রেফারি বাঁশি বাজিয়ে তাঁর নির্দেশ প্রদান করেন। মাঠের দুপাশে দুজন লাইন্সম্যান তাঁর কাজে সাহায্য করেন।
খেলার নিয়মকানুন : ফুটবল খেলার কতকগুলো নিয়ম আছে। কেউ হাত দিয়ে বল ধরলে ‘হ্যান্ড বল’ ধরা হয়। তবে গোলরক্ষকদ্বয় নির্দিষ্ট সীমানার মধ্যে হাত দিয়ে বল ধরতে পারে। বল সীমানার বাইরে চলে গেলে ‘আউট’ ধরা হয়। অন্যপক্ষের খেলোয়াড়কে অহেতুক ধাক্কা দিলে বা পা লাগিয়ে ফেলে দিলে ‘ফাউল’ ধরা হয়। কোনো পক্ষ নিজ গোলপোস্টের সীমানায় হ্যান্ডবল করলে বা প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে ফাউল করলে ‘পেনাল্টি’ দেওয়া হয়।
আর প্রতিপক্ষের আক্রমণ প্রতিহত করতে গিয়ে বল যদি নিজ গোলপোস্টের পার্শ্ব সীমানার বাইরে চলে যায় তবে অপরপক্ষ ‘কর্নার’ লাভ করে। বল গোলপোস্টে প্রবেশ করলে সেটিকে গোল হিসেবে ধরা হয়।
উপকারিতা : ফুটবল খেলা বেশ আনন্দদায়ক। এ খেলা স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। এতে দেহের সকল অংশ উত্তমরূপে পরিচালত হয় বলে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গসমূহ সবল ও দৃঢ় হয়। খেলোয়াড়দের কতগুলো নিয়মের অধীনে খেলতে হয় বলে তারা নিয়মানুবর্তিতা, কর্মতৎপরতা এবং একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করার শিক্ষা লাভ করে।
উপসংহার : ফুটবল খুবই আনন্দময় ও উপকারী খেলা। এ খেলা খেলোয়াড় ও দর্শক উভয়কেই আনন্দ দেয়। যেকোনো বয়সী মানুষের জন্য এটি একটি ভালো ব্যায়াম। এ খেলা সহযোগিতা ও শৃঙ্খলাবোধ শিক্ষা দেয়। তাই ফুটবল আমার সবচেয়ে প্রিয় খেলা।
৪৭. ক্রিকেট বিশ্বে বাংলাদেশ
[ব. বো. ১৪, রা. বো. ১৩, দি. বো. ১০]
ভমিকা : ‘খেলার রাজা’ কিংবা ‘রাজার খেলা’ বলা হয় ক্রিকেটকে। এ খেলার গৌরবময় অনিশ্চয়তা একে তুলে ধরেছে উত্তেজনা, উদ্দীপনা ও জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। ক্রিকেটবিশ্বে বাংলাদেশ আজ অন্যতম শক্তিধর দল হিসেবে আবিভর্‚ত হয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অভাবিত সাফল্য ক্রিকেটকে এ দেশের অন্যতম প্রধান আলোচ্য বিষয়ে পরিণত করেছে। ক্রিকেট এখন জাতির আশা-আকাক্সক্ষা ও প্রেরণার বাতিঘর হয়ে উঠেছে।
বাংলাদেশে ক্রিকেটের ইতিহাস : শতাধিক বছরের বেশি সময় ধরে এ অঞ্চলে ক্রিকেট খেলার প্রচলন। ইংরেজ শাসনামলে এ দেশে তথা ভারতীয় উপমহাদেশে ক্রিকেট খেলার সূচনা ঘটে। দেশ বিভাগের কিছুকালের মধ্যে ভারত ও পাকিস্তান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ক্রিকেট খেলার সুযোগ পায়।
সে সময় পূর্ব পাকিস্তানেও স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যায়ে এবং শহরগুলোতে ক্রিকেট বেশ পরিচিত হয়ে উঠেছিল। কিন্তু পাকিস্তান আমলে তৎকালীন শাসক ও সংগঠকদের আন্তরিকতার অভাব এবং বৈষম্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে এখানে আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট বিকশিত হয়নি।
আইসিসিতে বাংলাদেশ : স্বাধীনতার এক দশকের মধ্যেই বাংলাদেশ আইসিসির সহযোগী সদস্যের মর্যাদা পায়। যোগ্যতা অর্জন করে বিশ্বকাপের যোগ্যতা নির্ধারণী আইসিসি ট্রফি খেলার। প্রথম কয়েকটি আসরে বাংলাদেশের সাফল্য উল্লেখযোগ্য ছিল না। অবশেষে দীর্ঘ লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয় ‘৯৭-এর আইসিসি ট্রফিতে। সেমিফাইনালে বাংলাদেশ সহজেই স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে।
সেরা দুটি দেশের একটি হতে পারায় বাংলাদেশের বিশ্বকাপ খেলা নিশ্চিত হয়। সেই সাথে বাংলাদেশ অর্জন করে ওয়ানডে খেলার মর্যাদা। তাই সেদিন আনন্দের জোয়ারে ভেসে গিয়েছিল সমগ্র বাংলাদেশ। কেনিয়াকে হারিয়ে সেবারের আসরের অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের টেস্ট মর্যাদা লাভ : বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের পরপরই আইসিসির অধিবেশনে বাংলাদেশ টেস্ট মর্যাদা লাভের আবেদন করে। পাকিস্তান ছিল সমর্থক। ওয়েস্ট-ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ে এতে সমর্থন জানালেও ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ড দল বিরোধিতা করায় বাংলাদেশ সম্ভাব্য সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়।
অবশেষে ২০০০ সালের ২৬ জুন আইসিসির পরবর্তী সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশকে টেস্ট ক্রিকেটে মর্যাদা দেওয়া হয়। সংবাদটি বাংলাদেশে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই সারা দেশে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। জাতীয় পর্যায়েও আনন্দ উৎসব পালিত হয়।
বিশ্বকাপ ও বাংলাদেশ : ১৯৯৯-এর বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি কেড়েছিল। ২৪ মে অনুষ্ঠিত খেলায় বাংলাদেশ বিশ্বকাপে প্রথম জয় ছিনিয়ে আনে স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে। প্রথম রাউন্ডের শেষ খেলায় ৩০ মে ‘৯৯ বাংলাদেশ সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন শক্তিশালী পাকিস্তানকে ৬২ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে বিশ্ববাসীকে হতবাক করে দেয়।
নিজেদের সপ্তম অবস্থানসহ সুপার এইটে খেলার যোগ্যতা অর্জন ছিল সেবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য দিক। সেই সঙ্গে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে চমক সৃষ্টি করে ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে। ২০১১ বিশ্বকাপে আয়োজক দেশ ছিল বাংলাদেশ। সেরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের তালিকায় ছিল ঢাকা। গ্রæপ পর্বে ছিটকে পড়লেও শক্তিশালী ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে দর্শকদের মন জয় করে নেয় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় অধ্যায় নিঃসন্দেহে ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স সবার নজর কাড়ে। শক্তিশালী ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বাংলাদেশ জায়গা করে নেয় কোয়ার্টার ফাইনালে।
বাংলাদেশের ক্রিকেটে সম্ভাবনা : বর্তমানে ক্রিকেট বিশ্বে একটি প্রতিনিধিত্বকারী দল হিসেবে বাংলাদেশের নাম উল্লেখযোগ্য। বাংলার দামাল ছেলেদের সা¤প্রতিক পারফরম্যান্স সেই কথাই বলছে। ঘরের মাটিতে সর্বশেষ খেলা ১৪টি ওয়ানডে ম্যাচের মধ্যে বাংলাদেশের জয় ১২টিতেই। পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো ক্রিকেটীয় পরাশক্তিরা বাংলার ছেলেদের সামনে হয়েছে পর্যুদস্ত।
টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ততটা ভালো ফলাফল করতে না পারলেও উন্নতির চিত্র ধরা পড়ে সহজেই। বাংলাদেশের বয়সভিত্তিক দলগুলো দেশে ও দেশের বাইরে ভালো করছে। বাংলাদেশের বেশ কয়েজন খেলোয়াড় বিশ্ব ক্রিকেটে নিজেদের শক্ত অবস্থান গড়ে নিতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের সাকিব আল হাসান দীর্ঘদিন ধরে ক্রিকেটের তিনটি ফরম্যাটেই সেরা অলরাউন্ডার হিসেবে আইসিসি র্যাংকিংয়ে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছেন।
বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দলও নানা পর্যায়ে দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনছে। ক্রিকেট এখন শুধু নিছক খেলাই নয়। একে ঘিরে গড়ে উঠেছে বিশাল বাণিজ্যিক সম্ভাবনা। ক্রিকেট খেলাকে নেশা করে নেওয়া তরুণরা এখন পেশা হিসেবে একে গ্রহণ করতে অনেক বেশি আগ্রহী।
উন্নতির ধারা ধরে রাখতে করণীয় : ক্রিকেটকে ঘিরে বাংলাদেশের সর্বস্তরের ক্রীড়ামোদী জনতার আশা-ভরসার শেষ নেই। সেই ভরসার প্রতিদান দিতে আগ্রহের কমতি নেই খেলাটির সাথে সংশ্লিষ্ট সকলেরই। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এখনো আমাদের দুর্বলতা রয়েছে। আমাদের দেশের ক্রিকেট মাঠের সংখ্যা এখনো অপ্রতুল। পিচগুলোর অধিকাংশই বিশ্বমানের নয়। তাই আন্তর্জাতিক মানের সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন ক্রিকেট মাঠ তৈরি করা খুব জরুরি।
আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটের কাঠামো খুবই নাজুক। এটিকে শক্তিশালী করা অত্যন্ত প্রয়োজন। স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের কাঠামোকে দৃঢ় করার প্রতিও অনেক মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। বর্তমান ক্রিকেট খেলার উন্নতির জন্য নানা রকম উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের পৃষ্ঠপোষকতা অব্যাহত থাকলে আমাদের ক্রিকেট নিঃসন্দেহে আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
উপসংহার : নানা সমস্যায় জর্জরিত বাঙালির আশা-আকাক্সক্ষার কেন্দ্রবিন্দু এখন ক্রিকেট। অন্য সব বিষয়ে নানা রকম বিভক্তি থাকলেও ক্রিকেট সাবাইকে এক করেছে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের উন্নতির ধারাবাহিকতা বজায় থাকবেÑএটিই সবার কামনা। হয়তো সেদিন আর খুব বেশি দূরে নয় যেদিন বাংলাদেশ ছিনিয়ে আনবে বিশ্বকাপের গৌরব।
৪৯. মাদকাসক্তি ও তার প্রতিকার
[কু. বো. ১৫, ব. বো. ১৪, ঢা. বো. ১২ য. বো. ১১]
ভূমিকা : মাদকাসক্তি আমাদের সামাজিক ও ব্যক্তি জীবনের জন্য এক ভয়াবহ অভিশাপ। এটি মানুষের জীবনকে ধ্বংস করে দেয়। বর্তমানে মাদকাসক্তি আমাদের সমাজে এক সর্বনাশা ব্যাধিরূপে বিস্তার লাভ করেছে। দুরারোগ্য ব্যাধির মতোই তা তরুণ সমাজকে গ্রাস করছে।
এটি মায়ের বুক থেকে তার তরুণ ছেলেকে কেড়ে নেয়। ধ্বংস করে দেয় একটি রতœকে। এই ব্যাধি আজ প্রতিটি পরিবারে ছড়িয়ে দিয়েছে ভয়াবহ আতঙ্ক। এটি শুধু আক্রান্ত ব্যক্তিকেই ধ্বংস করে না, ধ্বংস করে পুরো সমাজকে।
মাদকাসক্তি কী? : মাদকাসক্তি হলো ব্যক্তির জন্য ক্ষতিকর এমন একটি মানসিক ও শারীরিক প্রতিক্রিয়া, যা জীবিত প্রাণী ও মাদকের পারস্পরিক ক্রিয়ার মধ্য দিয় সৃষ্টি হয়। যে দ্রব্য গ্রহণের ফলে মানুষের শারীরিক ও মানসিক অবস্থার উল্লেখযোগ্য নেতিবাচক পরিবর্তন ঘটে এবং ঐ দ্রব্যের প্রতি নির্ভরশীলতা সৃষ্টির পাশাপাশি দ্রব্যটি গ্রহণের পরিমাণ ক্রমেই বাড়তে থাকে, এমন দ্রব্যকে মাদকদ্রব্য বলে। ব্যক্তির এই অবস্থাকে বলে মাদকাসক্তি। তাই মাদকাসক্তি বলতে মাদকদ্রব্যের প্রতি নেশাকে বোঝায়।
মাদকদ্রব্য কী? : যেসব দ্রব্য গ্রহণ করলে মানুষের শারীরিক ও মানসিক অবস্থার ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে এবং সেগুলোর প্রতি সেবনকারীর প্রবল আসক্তি জন্মে যেসব দ্রব্যকে মাদকদ্রব্য বলে। মাদকদ্রব্য হচ্ছে সেসব দ্রব্য, যা প্রয়োগে মানবদেহে মস্তিষ্কজাত সংজ্ঞাবহ সংবেদন হ্রাস পায়।
বর্তমান বিশ্বে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য চালু আছে। মদ, গাঁজা, ভাঙ, আফিম ইত্যাদির নেশা বহু প্রাচীন। এছাড়াও আছে হেরোইন, মারিজুয়ানা, কোকেন, মরফিন, এলএসডি, প্যাথেড্রিন, চরস, পপি, হাশিশ, ক্যানবিস, স্মাক, ফেনসিডিল, ইয়াবা ইত্যাদি।
মাদকাসক্তির কারণ : একজন ব্যক্তির মাদকাসক্ত হওয়ার পেছনে বিভিন্ন কারণ লক্ষ করা যায়। এর মধ্যে প্রধান কারণগুলো হলো পারিবারিক অনুশাসনের অভাব, হতাশা, বেকারত্ব, অসৎ সঙ্গীদের প্ররোচনা, কর্ম বা শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যর্থতা, মাদকদ্রব্যের সহজলভ্যতা ইত্যাদি।
১. পারিবারিক কলহ : পারিবারিক কলহ এবং পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ভালোবাসা ও সৌহার্দের অভাব একটি কিশোরের ভুল পথে যাওয়ার মূল কারণ। সুস্থ সামাজিক পরিবেশের অভাবেও অনেক কিশোর-কিশোরী মাদকের সংস্পর্শে আসে।
২. হতাশা : হতাশা আমাদের যুবসমাজের মাদকাসক্ত হওয়ার একটি প্রধান কারণ। মানুষ সাধারণত নিজেকে নিয়ে অনেক উচ্চ আশা পোষণ করে আর এই আশা পূরণ করতে যখন সে ব্যর্থ হয় তখনই এই হতাশা কাটানোর একটি পথ হিসেবে সে মাদককে বেছে নেয়।
৩ কৌত‚হল : কিশোর-কিশোরীদের মাদকাসক্ত হওয়ার একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে কৌতূহল। নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি আগ্রহ মানুষের সর্বকালের। এই কৌত‚হলের বশেই পরিচয় ঘটে মাদকের সাথে।
৪. কুসংসর্গ : পরিবেশ একজন মানুষের জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। অনেক সময় মাদকের সাথে প্রায় অপরিচিত একজন ব্যক্তি মাদকাসক্ত বন্ধু বা সঙ্গীদের প্রভাবে নিজের অজান্তে, মাদকদ্রব্য সেবনে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে।
এছাড়াও পারিবারিক ও সামাজিক নানা অস্থিতিশীল পরিবেশ একজন মানুষের মাদকাসক্ত হওয়ার পেছনে দায়ী থাকে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মাদকদ্রব্যের ব্যবহার : উন্নত দেশগুলোর মতো বাংলাদেশেও মাদকদ্রব্যের ব্যবহার আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের তরুণ সমাজের একটি বিরাট অংশ ভয়াবহ মাদকাসক্তির শিকার।
বাংলাদেশে মাদকদ্রব্য ব্যবহারের পরিমাণ ও ব্যবহারকারীর সংখ্যা সম্পর্কে সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণামতে এ দেশের ১৭ ভাগ লোক মাদকাসক্ত। এ দেশে অবৈধভাবে প্রচুর পরিমাণে মাদক বিক্রি হয় এবং মাদকদ্রব্যের এই সহজলভ্যতাই আমাদের দেশে দিন দিন মাদকগ্রহণকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি করছে।
মাদকাসক্তির পরিণাম/কুফল : মাদকাসক্ত ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনে ভয়াবহ পরিণাম ডেকে আনে। কখনো খারাপ লোকের প্ররোচনা, হতাশা, নৈরাশ্য অথবা নিছক কৌত‚হলবশত একবার মাদক গ্রহণ শুরু করলে সে আর এই নেশা থেকে ফিরে আসতে পারে না। দিনের পর দিন তার এ নেশা আরো বাড়তে থাকে। অনেকেই ভাবে মাদক গ্রহণের মাধমে তারা তাদের দুঃখকে ভুলে থাকার শক্তি পায়।
কিন্তু এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। মাদক মানুষের মানসিক সুস্থতাকে নষ্ট করে তাকে মানসিকভাবে আরো দুর্বল করে তোলে। মাদক গ্রহণের ফলে মানুষের আচরণেও অত্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তি অত্যন্ত সহজেই অনৈতিক ও বেআইনি কাজে জড়িয়ে পড়ে। মাদকের টাকা জোগাড় করার জন্য পরিবারে অশান্তির সৃষ্টি করে, চুরি, ডাকাতি ইত্যাদি অসৎ পথ অবলম্বন করে।
তারা পরিবার এবং সমাজে ভীতি ও আতঙ্কের সৃষ্টি করে। মাদকদ্রব্য দেহ ও মনের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে থাকে। এর ফলে বিভিন্ন জটিল ও দুরারোগ্য রোগব্যাধি দেহকে আচ্ছন্ন করতে থাকে। ব্যক্তিত্বের অবসান ঘটে ও কর্মক্ষমতা লোপ পায়।
প্রতিরোধের উপায় : মাদকাসক্তি এক ভয়াবহ রোগ। পশ্চিমা বিশ্বে যে সমস্যা এখন তুঙ্গে। আমাদের দেশে সে তুলনায় এখনও তা প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। তাই প্রাথমিক অবস্থায়ই এর প্রতিকার করা উচিত। নিম্নলিখিতভাবে আমরা মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারি।
১. প্রথমেই প্রয়োজন প্রতিটি ব্যক্তির মাদকের কুফল সম্পর্কে জানা। এ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি।
২. ছোটবেলা থেকে শিশুদের মাদক সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে যেন সহজেই তারা প্ররোচিত না হয়।
৩. মানবিক মূল্যবোধ গঠন ও পরিবেশন।
৪. বেকারত্ব দূরীকরণের ব্যবস্থা।
৫. ব্যক্তিগত ও সামাজিক দক্ষতা বৃদ্ধি।
৬. মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও ভয়াবহতা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য প্রচার করা।
৭. বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন অফিস, সংস্থা, দপ্তরকে ধূমপান ও মাদকমুক্ত এলাকা ঘোষণাপূর্বক তা কার্যকর করা।
৮. মাদকদ্রব্যের সহজলভ্যতা দূরীকরণ।
উপসংহার : মাদকাসক্তির সর্বনাশা ছোবল দেশের তরুণ সমাজকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। একটি সুস্থ ও সুন্দর সমাজের জন্য মাদকাসক্তি নির্মূল করতে হবে। তার জন্য প্রয়োজন ব্যক্তিগত ও সামাজিক সচেতনতা ও দৃঢ় প্রতিরোধ ব্যবস্থা। তবেই আমরা পেতে পারি একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ।
৫০. পরিবেশ দূষণ ও প্রতিকার
[য. বো. ১৫, ঢা. বো. ১৪, কু. বো. ১৪, রা. বো. ১২]
ভূমিকা : মানুষ ও প্রাণিজগতের বেঁচে থাকার জন্য পরিবেশ গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে। পরিবেশের ওপর নির্ভর করে মানুষ বা অন্য যেকোনো উদ্ভিদ বা প্রাণীর জীবনের উদ্ভব ও বিকাশ ঘটে। পরিবেশ থেকে তারা বেঁচে থাকার প্রয়োজনীয় উপকরণ সংগ্রহ করে। সে পরিবেশ যদি কোনো কারণে দূষিত হয়ে ওঠে তবে তা জীবের অস্তিত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ।
পৃথিবীর সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী মানুষ পরিবেশ দূষণের প্রধান নিয়ামক, আবার সে মানুষই আজ পরিবেশের সুস্থতা রক্ষার জন্য উদ্যোগী হয়ে উঠেছে। কারণ, এ কথা মানুষের অজানা নয় যে, পরিবেশ এভাবে ক্রমাগত প্রতিক‚ল হয়ে উঠলে তার ধ্বংস অবশ্যম্ভাবী।
পরিবেশ দূষণ কী? : পরিবেশ হলো জীবজগতের প্রাণের ধারক। মানুষের কর্মকাণ্ডে এই পরিববেশে অনাকাক্সিক্ষত ক্ষতিকর পরিবর্তন হলে পরিবেশ দূষণ হয়। আমাদের চারপাশে যা কিছু আছে তা নিয়েই আমাদের পরিবেশ। কোনো কারণে এই পরিবেশের ভারসাম্য বিঘিœত হওয়াকে পরিবেশ দূষণ বলে।
বায়ু দূষণ, পানি দূষণ, শব্দ দূষণ, মাটি দূষণ, খাদ্য দূষণ, আর্সেনিক দূষণ, তেজস্ক্রিয় দূষণ, ওজোন গ্যাস হ্রাস, গ্রিনহাউস ইফেক্ট ইত্যাদি সবকিছুই পরিবেশ দূষণের অন্তর্ভুক্ত। বস্তুত মানবসৃষ্ট বিভিন্ন কারণই পরিবেশ দূষণের জন্য বিশেষভাবে দায়ী।
বাংলাদেশের পরিবেশ দূষণের ধরন : সুজলা-সুফলা নদীকেন্দ্রিক জীবন স্বভাবতই বাংলাদেশের মানুষকে করেছে প্রকৃতি ও পরিবেশপ্রেমী। কিন্তু সীমিত ভ‚খণ্ড ও সম্পদ এবং অতি ঘনবসতি ও দুর্যোগপ্রবণ ভৌগোলিক অবস্থান এ দেশের মানুষকে পরিবেশ দূষণের শিকারে পরিণত করেছে। পরিবেশ দূষণ মূলত দুই ভাবে হয়ে থাকে।
যথা : স্বাভাবিক বা প্রাকৃতিক উপায়ে এবং কৃত্রিম উপায়ে। সাধারণত প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হওয়ায় পরিবেশে যে অবনতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে-তাই প্রাকৃতিক দূষণ। প্রাকৃতিক দূষণের মধ্যে রয়েছে সিসা, পারদ, সালফার ডাই-অক্সাইড, কার্বন ডাই-অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড ইত্যাদি। তাছাড়া আমাদের মলমূত্র এবং বিভিন্ন প্রকার পচন থেকেও প্রাকৃতিক দূষণ হয়ে থাকে।
কৃত্রিম দূষণের নিয়ামক হচ্ছে নানা কীটনাশক, গুঁড়া সাবান, ওষুধপত্র ও প্রসাধন সামগ্রী, এমনকি প্লাস্টিক। এগুলো বহুদিন ধরে পরিবেশে টিকে থাকে। রোদ, পানি, বৃষ্টি, বাতাস, এগুলোকে কিছুই করত পারে না। তাই এগুলো মারাত্মকভাবে পরিবেশ দূষণ করে।
পরিবেশ দূষণের কারণ : স্থান ও কালভেদে পরিবেশ দূষণের বিভিন্ন কারণ রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান কয়েকটি কারণ নিম্নরূপ :
১। জনসংখ্যা বৃদ্ধি
২। অপরিকল্পিত নগরায়ন
৩। বনভ‚মির অপরিকল্পিত ব্যবহার
৪। প্রাকৃতিক সম্পদের অপব্যবহার
৫। দ্রæত শিল্পায়ন
৬। সার ও কীটনাশকের ব্যবহার
৭। বনভ‚মি উজাড়
৮। কলকারখানার বর্জ্য পদার্থ
৯। গাড়ির বিষাক্ত ধোঁয়া
১০। ওজোন স্তরের ক্রমাবনতি
১১। অ্যাসিড বৃষ্টি
১২। অপরিকল্পিত গৃহ নির্মাণ
১৩। দারিদ্র্য
১৪। প্লাস্টিক ইত্যাদি।
পরিবেশ দূষণের ফলাফল : পরিবেশ দূষণ মানবসভ্যতায় বিভিন্ন ক্ষতিকর ফল বয়ে নিয়ে আসে। পরিবেশ দূষণের ফলে মানবসভ্যতা হুমকির সম্মুখীন হয়। মানবজীবনে পরিবেশ দূষণের ফলে যেসব ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে তা হলো
(ক) বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমনÑ বন্যা ও খরা বেড়ে যাবে।
(খ) জীববৈচিত্র্য বিনষ্ট হবে।
(গ) বিকলাঙ্গ মানবশিশু জন্ম নেবে।
(ঘ) মাটির উর্বরা শক্তি কমে যাবে।
(ঙ) পানি ও বায়ুদূষণের ফলে অনেক অজানা রোগ-বালাইয়ের প্রাদুর্ভাব দেখা যাবে।
পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ : পরিবেশ দূষণ রোধ করার জন্য সারা বিশ্ব সচেতন হয়ে উঠেছে। আমাদের দেশে এ ব্যাপারে সচেতনতার সৃষ্টি হচ্ছে। সরকার এ ব্যাপারে বিভিন্ন ব্যবস্থা ও কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
যেমন :
১. পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ (২০০০) ঘোষণা ও আইন করা হয়েছে।
২. টু-স্ট্রোক যানবাহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এসব যানবাহনের নির্গত ধোঁয়ায় কার্বন-ডাইঅক্সাইড, সিসা, কার্বন মনোঅক্সাইডসহ ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ পরিবশেকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল।
৩. পরিবেশ দুষণরোধে সিএনজি জ্বালানির ব্যবহার আরম্ভ করেছে।
৪. মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
৫. বনায়ন কর্মসূচির ব্যাপক স¤প্রসারণ করা হয়েছে।
৬. পরিবেশ আদালত গঠন করা হয়েছে। এ আদালতের মূল লক্ষ্য হচ্ছে দেশে পরিবেশ অপরাধের সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা।
৭. সরকার দেশের পরিবেশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে ‘পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) বিল ২০০২’ এবং ‘পরিবেশ আদালত (সংশোধন) বিল ২০০২’ নামে দুটি আইন পাস করেছে।
৮. জলবায়ুর পরিবর্তনবিষয়ক আন্তর্জাতিক কর্মশালার আয়োজন করেছে।
HSC | বাংলা ২য় | প্রতিবেদন রচনা ১-৫ | PDF Download
HSC | বাংলা ২য় | প্রতিবেদন রচনা ৬-১০ | PDF Download
HSC | বাংলা ২য় | প্রতিবেদন রচনা ১০-১৫ | PDF Download
HSC | বাংলা ২য় | প্রতিবেদন রচনা ১৬-২১ | PDF Download
HSC | বাংলা ২য় | সংলাপ রচনা ১-১০ | PDF Download
পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধে করণীয় : পরিবেশ দূষণ সমগ্র জীবজগতের জন্যই ক্ষতিকর। পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধ করার জন্য গোটা বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসতে হবে। অনতিবিলম্বে বের করতে হবে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার যথার্থ উপায়।
প্রথমে গোটা বিশ্ববাসীকে পরিবেশের সুস্থতা রক্ষায় জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করতে হবে। গ্রিনহাউজ গ্যাসসমূহের নির্গমন সবসময় পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত জরুরি। কারণ, গ্রিনহাউজ প্রতিক্রিয়া গোটা বিশ্বের জীবজগতের জন্য এক মারাত্মক হুমকি। যেসব যন্ত্র বা গাড়ি থেকে ক্ষতিকর ধোঁয়া বা গ্যাস বের হয় তার ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
পাশাপাশি বিকল্প শক্তির ব্যবহার যেমন প্রাকৃতিক গ্যাস, সৌরশক্তি-নির্ভর যন্ত্রের ব্যবহার বৃদ্ধি পরিবেশকে অপেক্ষাকৃত স্বাভাবিক রাখতে পারে। নির্বিচারে যাতে গাছ কাটা না হয় সেদিকে সকলকে নজর দিতে হবে এবং সরকারি ও বেসরকারি বা ব্যক্তিগত উদ্যোগে বনায়ন বা বৃক্ষরোপণকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করতে হবে। রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের পরিবর্তে জৈব সারের (যেমন স¤প্রতি আবিষ্কৃত স্বর্ণা সার) ব্যবহার বৃদ্ধি পরিবেশের সুস্থতা রক্ষায় সহায়ক হতে পারে।
উপসংহার : প্রাণিজগতের জন্যই পরিবেশ প্রয়োজন। তাই পরিবেশকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করা উচিত। তা না হলে জীবজন্তুর অস্তিত্ব রক্ষা করা কঠিন। পরিবেশ দূষণ জাতির জন্যে এক মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। এ ব্যাপারে সারা বিশ্বের মানুষের সচেতনতার মানসিকতা একান্ত অপরিহার্য। আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে এ সমস্যা আরো প্রকট। তাবে দেশ ও জাতির স্বার্থে এটি মোকাবেলা অত্যাবশ্যক।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।