HSC | বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ | জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর | PDF: বাংলা ১ম পত্রের বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ কবিতাটি হতে যেকোনো ধরনের জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন ।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য বাংলা ১ম পত্রেরবিভীষণের প্রতি মেঘনাদ কবিতাটি হতে গুরুপূর্ণ কিছু জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
টেক্সট বুক অ্যানালাইসিস
ক জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর
১. মাইকেল মধুসূদন দত্ত কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : যশোর জেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
২. বাংলায় চতুর্দশপদী কবিতা বা সনেটের প্রবর্তন করেন কে?
উত্তর : মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
৩. ‘শর্মিষ্ঠা’, ‘পদ্মাবতী’ মধুসূদনের কী ধরনের রচনা?
উত্তর : ‘শর্মিষ্ঠা’ ও ‘পদ্মাবতী’ মধুসূদন রচিত নাট্যগ্রন্থ।
৪. মাইকেল মধুসূদন দত্ত কোথায় মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর : কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।
৫. কুম্ভকর্ণ কে?
উত্তর : রাবণের মধ্যম সহোদর।
৬. রাঘবদাস কে?
উত্তর : বিভীষণ।
৭. রক্ষোরথি বলে সম্বোধন করা হয়েছে কাকে?
উত্তর : বিভীষণকে।
৮. মেঘনাদ ক্ষুদ্রমতি নর বলেছেন কাকে?
উত্তর : ল²ণকে।
৯. রাজহংস কোথায় কেলি করে না?
উত্তর : সলিলে কেলি করে না।
১০. দুরাচার দৈত্য কোথায় ভ্রমে?
উত্তর : নন্দন-কাননে ভ্রমে।
১১. মেঘনাদ ল²ণকে কোথায় পাঠিয়ে দেয়ার কথা বলেন?
উত্তর : মেঘনাদ ল²ণকে শমন-ভবনে পাঠানোর কথা বলেন।
১২. বাসববিজয়ী বলা হয় কাকে?
উত্তর : মেঘনাদকে।
১৩. বিভীষণ রাঘবদাসÑ একথা শুনে মেঘনাদের কী ইচ্ছে হয়?
উত্তর : মেঘনাদের মরার ইচ্ছে হয়।
১৪. দেবকুল সতত কী হতে বিরত?
উত্তর : পাপ হতে বিরত।
১৫. বনবাসী বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : ল²ণকে বোঝানো হয়েছে।
১৬. ‘জীমূতেন্দ্র’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : মেঘের ডাক।
১৭. ‘মৃগেন্দ্রকেশরী’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : কেশরযুক্ত পশুরাজ সিংহ।
১৮. ‘মেঘনাদবধ’ কাব্যটি মোট কয়টি সর্গে বিন্যস্ত?
উত্তর : নয়টি সর্গে বিন্যস্ত।
১৯. ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ ‘মেঘনাদবধ’ কাব্যের কোন সর্গ থেকে সংকলিত হয়েছে?
উত্তর : ‘মেঘনাদবধ’ কাব্যের ষষ্ঠ সর্গ থেকে সংকলিত হয়েছে।
২০. ‘মেঘনাদ-বধ’ কাব্যের ষষ্ঠ সর্গের শিরোনাম কী?
উত্তর : ষষ্ঠ সর্গের শিরোনাম হলো ‘বধো’ (বধ)।
২১. রাবণের জ্যেষ্ঠপুত্রের নাম কী?
উত্তর : মেঘনাদ।
২২. রামায়ণ-এর রচয়িতার নাম কী?
উত্তর : বাল্মীকি।
খ অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর
১. ‘নিজ গৃহপথ, তাত, দেখাও তস্করে? উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ল²ণকে পথ দেখিয়ে নিকুম্ভিলা যজ্ঞালয়ে নিয়ে আসায় বিভীষণকে একথা বলে তিরস্কার করেছেন মেঘনাদ।
দেবতাদের আশীর্বাদের এবং বিভীষণের সহায়তায় শত শত প্রহরীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ল²ণ নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে আসেন। সেখানে পূজারত নিরস্ত্র মেঘনাদকে যুদ্ধে আহŸান জানান ল²ণ।
এসময় অকস্মাৎ যজ্ঞাগারের প্রবেশদ্বারে বিভীষণকে দেখে সমস্ত কিছু বুঝতে সমর্থ হন মেঘনাদ। তখন মেঘনাদ চোরের মতো ল²ণকে রাক্ষসপুরীতে আনার জন্য বিভীষণকে ভর্ৎসনা করে উক্ত কথাটি বলেন।
২. ‘মৃগেন্দ্রকেশরী, কবে, হে বীর কেশরী, সম্ভাষে শৃগাল মিত্রভাবে’ কথাটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : ‘মৃগেন্দ্রকেশরী, কবে, হে বীরকেশরী, সম্ভাষে শৃগালে মিত্রভাবে’Ñ এ কথাটি দ্বারা মর্যাদাসম্পন্ন কারো সাথে যে নিচুস্তরের বন্ধুত্ব হতে পারে না, সেটিই বোঝানো হয়েছে।
ল²ণকে হত্যার উদ্দেশ্যে মেঘনাদ অস্ত্রাগারের পথ ছাড়তে বললে বিভীষণ জানান যে, তিনি এ কাজ করতে পারবেন না। কেননা, তিনি রামের আজ্ঞাবহ বলে তাঁর পক্ষে রামের বিরুদ্ধে কাজ করা সম্ভব নয়। তার এ উত্তর শুনে মেঘনাদ, বিভীষণকে স্মরণ করিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন যে লঙ্কার শ্রেষ্ঠ বংশে তাঁর জন্ম। অথচ নিম্নশ্রেণির রামের দাস বলে নিজেকে কলঙ্কিত করলেন তিনি। এমতাবস্থায় মেঘনাদ বিভীষণকে এটাও মনে করিয়ে দেন যে, সিংহের কখনো শেয়ালের সাথে বন্ধুত্ব হয় না।
৩. ‘কী দেখি ডরিবে এ দাস হেন দুর্বল মানবে’ কথাটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ‘কী দেখি ডরিবে এ দাস হেন দুর্বল মানবে’উক্তিটি দ্বারা মেঘনাদের বীরত্বের কথা বোঝানো হয়েছে।
লঙ্কার শ্রেষ্ঠবীর মেঘনাদকে যজ্ঞরত অবস্থায় ল²ণ যুদ্ধে আহŸান করেন। অস্ত্রহীন মেঘনাদ যজ্ঞাগারের প্রবেশদ্বারে বিশ্বাসঘাতক বিভীষণকে দেখতে পেয়ে তাঁকে ভর্ৎসনা করেন।
অস্ত্র নেয়ার জন্য দ্বার ছাড়তে বলেন। বিভীষণ পথ ছাড়তে অস্বীকৃতি জানালে ইন্দ্রজিৎ মেঘনাদ তাঁকে স্মরণ করিয়ে দেন যে, তিনি দেব-দৈত্য-নরের যুদ্ধে তাঁর বিজয় লাভের কথা। তিনি একথার মাধ্যমে বুঝিয়ে দেন যে, ল²ণের মতো দুর্বল মানবকে ভয় পাওয়ার মতো বীর তিনি নন।
৪. ‘হে পিতৃব্য, তব বাক্যে ইচ্ছি মরিবারে’Ñ মেঘনাদ কেন এ কথা বলেছেন?
উত্তর : রাক্ষসশ্রেষ্ঠ রাবণের ভাই বিভীষণ নিজেকে রামের দাস বলে পরিচয় দেয়া মেঘনাদ পরম দুঃখে একথা বলেছেন।
ল²ণকে উচিত শিক্ষা দিতে অস্ত্রাগারে যাওয়ার জন্য বিভীষণকে পথ ছাড়তে বলেন মেঘনাদ। বিশ্বাসঘাতক বিভীষণ পথ ছাড়তে অস্বীকৃতি জানান। এছাড়াও বিভীষণ বলেন যে, তিনি রাঘবদাস। তাঁর পক্ষে রামের বিপক্ষে যাওয়া সম্ভব নয়। বিভীষণের এই লজ্জাজনক কথা শুনে মেঘনাদ দুঃখে মরে যাওয়ার ও ইচ্ছে পোষণ করেন।
৫. ‘হেন সহবাসে, হে পিতৃব্য, বর্বরতা কেন না শিখিবে?’উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : উক্তিটির মাধ্যমে মেঘনাদ বোঝাতে চেয়েছেন যে, ল²ণের মতো কপট ও হীনব্যক্তির সাহচর্যে থাকার কারণেই বিভীষণ বিশ্বাসঘাতকতার মতো বর্বরতা শিখেছেন।
মেঘনাদ বিভীষণকে বিভিন্নভাবে ভর্ৎসনা করলে তিনি জানান যে, লঙ্কার রাজার কর্মদোষে আজ সোনার লঙ্কার এ পরিণতি। আর এই পাপপূর্ণ লঙ্কাপুরীর প্রলয় থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তিনি রামের পদাশ্রয় গ্রহণ করেছেন।
একথা শুনে মেঘনাদ জানতে চান কোন ধর্মবলে তিনি দেশ জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা শিখলেন, তিনি পরিতাপের সঙ্গে বলেন যে, সঙ্গদোষের ফলে বিভীষণের এমন বর্বরতা শেখাই স্বাভাবিক।
৬. নাহি শিশু লঙ্কাপুরে, শুনি না হাসিবে এ কথাÑকেন বলা হয়েছে?
উত্তর : অস্ত্রহীন মেঘনাদের কাছে অস্ত্রসাজে সজ্জিত ল²ণের যুদ্ধ প্রার্থনা যে অত্যন্ত হাস্যকর সে কথাই এ উক্তিটি দ্বারা ব্যক্ত করা হয়েছে।
যজ্ঞরত মেঘনাদকে আক্রমণের জন্য ল²ণ তলোয়ার কোষমুক্ত করলে মেঘনাদ যুদ্ধসাজ গ্রহণের জন্য সময় প্রার্থনা করেন ল²ণের কাছে। তিনি ল²ণকে এ কথাও স্মরণ করিয়ে দেন যে, যুদ্ধে বীরের ধর্ম হচ্ছে সামনাসামনি যুদ্ধ করা।
অস্ত্রসাজে সজ্জিতের সাথে নিরস্ত্রের যুদ্ধ হয় না। কিন্তু বীরের আচরণকে কলঙ্কিত করে ল²ণ জানান, তিনি যেকোনো কৌশলে শত্র“ হনন করতে চান। ল²ণের এই আচরণের কারণেই বলা হয়েছে যে, লঙ্কাতে এমন কোনো শিশু নেই যে, একথা শুনে হাসবে না।
পরীক্ষা-প্রস্তুতি যাচাই অংশ
সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক
প্রশ্নÑ১ : নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
আমাদের হিন্দু রাজকর্মচারীদের নির্দেশ দিন যাতে উপযুক্ত মর্যাদার সঙ্গে মৃতের সৎকার করা হয়। হতভাগ্য অদূরদর্শী কর্মফলভোগী পেশবা। নিজের ছেলেকে রণক্ষেত্রে অধিনায়ক করে পাঠিয়েছিল কুলগর্বের মোহে অন্ধ হয়ে। আর অক্ষম অবিবেচক রণোন্মাদ সেনাপতি রঘুনাথ দুঃসাহসকে প্রশ্রয় দিয়ে নিজে মরেছে, একটি নিষ্পাপ নিষ্কলঙ্ক মানব শিশুকে অকালমৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে।
ক. অরিকে দমন করে যে, তাকে এক কথায় কী বলে? ১
খ. এ শিক্ষা, হে রক্ষোবর কোথায় শিখিলে? Ñএখানে কোন শিক্ষার কথা বলা হয়েছে? ২
গ. উদ্দীপকটি ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার কোন বিষয়টির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের একটি নিষ্পাপ নিষ্কলঙ্ক মানব শিশুকে অকালমৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছেÑ লাইনটি ‘বিভীষণের প্রতি
মেঘনাদ’ কবিতায় মেঘনাদের মৃত্যুকে নির্দেশ করে। মন্তব্যটির যথার্থতা যাচাই কর। ৪
সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
ক. এক কথায় বলে অরিন্দম।
খ. এ শিক্ষা, হে রক্ষোবর কোথায় শিখিলে?Ñএখানে বিভীষণের বিশ্বাসঘাতক হওয়ার শিক্ষার কথা বলা হয়েছে। কারণ বিভীষণ রাবণের অনুজ হওয়া সত্তে¡ও মেঘনাদকে বধ করার জন্য ল²ণকে নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে নিয়ে এসেছেন।
রামের অনুজ ল²ণকে উপযুক্ত শাস্তি দিতে মেঘনাদ যুদ্ধের সাজে সজ্জিত হওয়ার জন্য অস্ত্রাগারে প্রবেশ করতে চায়। কিন্তু বিভীষণ দ্বারা আগলে রাখে, মেঘনাদকে যেতে দেয় না। ‘মেঘনাদ’ তাকে ফিরে আসার প্রতিশ্র“তি দিয়ে বলে যে, ল²ণকে যুদ্ধে পরাজিত করে লঙ্কার সমস্ত কলঙ্ক কালিমা মুছে দেবেন।
কিন্তু বিভীষণ পথ ছাড়ে না, মেঘনাদের সকল আবেদন, যুক্তিকে ব্যর্থসাধনা বলে অভিহিত করে। মেঘনাদের অনুরোধ রক্ষা করে রামচন্দ্রের শত্র“ হতে চান না বলে তিনি জানান। বিভীষণের এ ধরনের কথায় মর্মাহত হয়ে মেঘনাদ আলোচ্য উক্তিটি করেন।
টিপস্
গ. প্রথমে উদ্দীপকটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার পর মূল বিষয়টি অনুধাবন কর এবং তা থেকে কিছু বিষয় নির্দেশ কর। কোন বিষয়টি বিশেষভাবে ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার কোন বিষয়টিকে বেশি প্রতিফলিত করে, সেটি চিিহ্নত কর। তারপর উত্তর লিখতে শুরু কর এবং উদ্দীপক ও কবিতার বিষয়টির সাদৃশ্য তুলে ধর।
ঘ. উদ্দীপকটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে এর ভিতরের অর্থ অনুধাবন এবং বোঝার চেষ্টা কর। উদ্দীপকের শেষ লাইনটির তাৎপর্য অনুধাবন কর এবং তা মেঘনাদকে হত্যার মূল কারণ চিিহ্নত কর। রামচন্দ্রের সাথে যুদ্ধে রাবণ তার ভাই কুম্ভকর্ণ এবং পুত্র বীরবাহুকে হারিয়ে মেঘনাদকে সেনাপতি নির্বাচিত করার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা ব্যাখ্যা করে এ প্রশ্নের উত্তর তৈরি করে লেখ।
প্রশ্নÑ২ : নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
সব দুর্বলতা ঝেড়ে ফেলে আপনারা ভেবে দেখুন, কে বেশি শক্তিমান? একদিকে দেশের সমস্ত সাধারণ মানুষ, অন্যদিকে মুষ্টিমেয় কয়েকজন বিদ্রোহী। তাদের হাতে অস্ত্র আছে, আর আছে ছলনা এবং শাঠ্য। অস্ত্র আমাদেরও আছে, কিন্তু তার চেয়ে যা বড়, সবচেয়ে যা বড় আমাদের আছে সেই দেশপ্রেম এবং স্বাধীনতা রক্ষার সংকল্প।
ক. ‘মন্ত্র’ শব্দের অর্থ কী? ১
খ. হায়, তাত, উচিত কী তব/এ কাজ? এখানে কোন কাজের কথা বলা হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকটি ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার সাথে কীভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ?Ñব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের মূলভাব এবং ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতায় স্বর্ণলঙ্কার প্রতি মেঘনাদের অনুরাগ একসূত্রে গাঁথা।
মন্তব্যটি আলোচনা কর। ৪
সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
ক. ‘মন্ত্র’ শব্দের অর্থ শব্দ বা ধ্বনি।
খ. এখানে বিভীষণের জ্ঞাতিত্ব, ভ্রাতৃত্ব এবং জাতি জলাঞ্জলি দিয়ে বিশ্বাসঘাতকতা করে রামানুজ ল²ণকে নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে নিয়ে আসার কাজের কথা বলা হয়েছে।
‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতাটি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘মেঘনাদবধ-কাব্যের’ ‘বধো’ (বধ) নামক ষষ্ঠ সর্গ থেকে সংকলিত হয়েছে।
কবি এ অংশে বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ তাঁর নিজের পরিচয়, উদ্দেশ্য এবং ল²ণকে বিভীষণের সহায়তা করা উচিত-অনুচিত দিকগুলো চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন। স্বর্ণলঙ্কাপুরীকে রামচন্দ্রের হাত থেকে বাঁচাতে এবং যুদ্ধজয় করতে মেঘনাদ দায়িত্ব গ্রহণ করে।
যুদ্ধে যাওয়ার পূর্বে মেঘনাদ নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে পূজা করতে যায়। সেখানে মায়াদেবী এবং বিভীষণের সহায়তায় শত্র“ ল²ণ প্রবেশ করে নিরস্ত্র মেঘনাদকে যুদ্ধের আহŸান জানায়। শত্র“কে পথ চিনিয়ে ঘরে নিয়ে আসা উচিত হয়েছে কিনা তাই জিজ্ঞাসা করেছেন মেঘনাদ তার পিতৃব্য বিশ্বাসঘাতক বিভীষণকে।
টিপস্
গ. উদ্দীপকটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার পর এর অর্থ বোঝার চেষ্টা করবে। তারপর উদ্দীপকের যে বিষয়টি আলোচ্য কবিতায় প্রতিফলিত বিষয়ের সাথে মিলে যায় সে বিষয়টি ব্যাখ্যা করে উদ্দীপকের বিষয়ের সাথে মিলের দিকটি ব্যাখ্যা কর। তাহলেই প্রশ্নটি হয়ে যাবে।
ঘ. উদ্দীপকটি কয়েকবার পড়ে এর মূলভাব অনুধাবন কর। সে ভাবটি আলোচ্য ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার মূলভাবের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ তা ব্যাখ্যা কর। তারপর উদ্দীপকের ভাবটি কীভাবে আলোচ্য কবিতার মূলভাবকে প্রতিফলিত করেছে সে দিকটি সহজভাষায় উপস্থাপন কর। এ প্রশ্নের উত্তর করতে তুমি এ কবিতার মূলভাব এবং নামকরণের সহায়তা নিতে পার তাহলে উত্তর সহজ হবে।
HSC | জাদুঘরে কেন যাব | আনিসুজ্জামান | বাংলা ১ম পত্র | PDF
HSC | জাদুঘরে কেন যাব | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ৬-৯ | বাংলা ১ম | PDF
HSC | জাদুঘরে কেন যাব | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ১-৫ | বাংলা ১ম | PDF
প্রশ্নÑ৩ : নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
সাহিত্যের ক্লাস। শরিফ খান স্যার নাটক পড়াচ্ছেন। তিনি সিরাজউদ্দৌলা নাটকের ‘সিরাজ’ চরিত্র-এর একটি সংলাপ উচ্চারণ করলেন। ভীরু প্রতারকের দল চিরকালই পালায়। কিন্তু তাতে বীরের মনোবল ক্ষুণœ হয় না। এমনি করে পালাতে পারতেন মীরমর্দন, মোহনলাল, বদ্রী আলী, নৌবে সিং। তার বদলে তাঁরা পেতেন শত্র“র অনুগ্রহ, প্রভূত সম্পদ এবং সম্মান। কিন্তু তাঁরা তা করেননি। দেশের স্বাধীনতার জন্য, দেশবাসীর মর্যাদার জন্য, তাঁরা জীবন দিয়ে গেছেন। স্বার্থান্ধ প্রতারকের কাপুরুষতা বীরের সংকল্প টলাতে পারে নি। এ আদর্শ যেন লাঞ্ছিত না হয়। দেশপ্রেমিকের রক্ত যেন আবর্জনার ¯ত‚পে চাপা না পড়ে। আমরা অভিভূত হয়ে হাততালি দিলাম। তিনি বললেন, এ শুধু নাটকের সংলাপ নয়, একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিকের অঙ্গীকার।
ক. ‘সুমিত্রা’র পুত্রকে কী বলা হয়েছে? ১
খ. “গতি যার নীচ সহ, নীচ সে দুর্মতি।”Ñব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকটি ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার সাথে কীভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. মিল থাকলেও উদ্দীপকের মূলভাব এবং ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার মূলভাব এক নয়। মন্তব্যটির যথার্থতা প্রমাণ কর। ৪
সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
ক. সুমিত্রার পুত্রকে বলা হয় সৌমিত্র।
খ. প্রশ্নে উলিখিত মন্তব্যটি মেঘনাদ বিশ্বাসঘাতক বিভীষণ এবং নরাধম ল²ণকে উদ্দেশ্য করে করেছেন।
মেঘনাদ বধ-কাব্যের ‘বধো’ (বধ) নামক ষষ্ঠ সর্গ থেকে সংকলিত হয়েছে। কবি এই অংশে ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ তাঁর নিজের পরিচয়, উদ্দেশ্য এবং ল²ণকে বিভীষণের সহায়তা করা উচিত-অনুচিত দিকগুলো তুলে ধরেছেন।
স্বর্ণলঙ্কাপুরীতে রামচন্দ্রের হাত থেকে বাঁচাতে এবং যুদ্ধজয় করতে মেঘনাদ দায়িত্ব গ্রহণ করে। যুদ্ধে যাওয়ার আগে মেঘনাদ নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে পূজা করতে যায়। সেখানে মায়াদেবী এবং বিভীষণের সহায়তায় শত্র“ ল²ণ প্রবেশ করে নিরস্ত্র মেঘনাদকে যুদ্ধের আহŸান করে।
তখন মেঘনাদ অস্ত্রাগারে প্রবেশ করে যুদ্ধের সাজ গ্রহণের জন্য বিভীষণকে অনুরোধ করেন। কিন্তু বিভীষণ দ্বার রোধ করে থাকে। অন্যদিকে ল²ণ মহারথী প্রথা অমান্য করে অন্যায়ভাবে মেঘনাদকে আঘাত করে। তখন দুঃখ করে মেঘনাদ আলোচ্য উক্তিটি করেছেন।
টিপস্
গ. উদ্দীপকটি মনোযোগ দিয়ে পড় এবং মূলবক্তব্য অনুধাবন কর। তারপর উদ্দীপকে প্রতিফলিত বীরের মনোবল ও সাহসের সাথে আলোচ্য কবিতায় প্রতিফলিত মেঘনাদের সাহস ও মনোবলের তুলনামূলক আলোচনা উপস্থাপন কর। তাহলেই এই প্রশ্নের উত্তরটি সহজ হয়ে যাবে।
ঘ. উদ্দীপকটি পড়ে সত্যিকারের বীরের নীতি ও আদর্শ কী হওয়া উচিত তা অনুধাবন কর এবং আলোচ্য ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতায় মেঘনাদের সেসব বীরসূচক আচরণ ও নীতিবোধ ছিল কিনা তা ব্যাখ্যা কর। কাপুরুষ এবং বিশ্বাসঘাতকতার বিষয়টি প্রসঙ্গক্রমে ব্যাখ্যা করে মেঘনাদের বীরত্ব ও স্বদেশপ্রেমের দিকটি তুলে ধর। তাহলে এ প্রশ্নটির উত্তর সহজ হয়ে যাবে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।