HSC | বাংলা ২য় | আমন্ত্রণপত্র ও মানপত্র | PDF Download: বাংলা দ্বিতীয় পত্র হতে গুরুত্বপূর্ণ সব ব্যবসা সংক্রান্ত পত্র, গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য বাংলা দ্বিতীয় পত্র বিষয়টির গুরুপূর্ণ কিছু সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য পত্র নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
ব্যবসা সংক্রান্ত পত্র, আমন্ত্রণপত্র ও মানপত্রঃ
১. বিদ্যালয়ের ক্রীড়াসামগ্রী ক্রয়ের জন্য মূল্যতালিকা চেয়ে একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে পত্র লেখো।
তারিখ : ২০.০৮.২০১৬
ম্যানেজার,
স্পোর্টস বাজার
শপ নং-২০, স্টেডিয়াম মার্কেট
গুলিস্তান, ঢাকা-১০০০
জনাব,
প্রতিবছরের মতো এবারও বাংলাদেশ আইডিয়াল স্কুল কর্তৃপক্ষ বেশ কিছু ক্রীড়াসামগ্রী ক্রয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অনুগ্রহপূর্বক নিচের তালিকাভুক্ত সামগ্রীর মূল্য তালিকা পাঠিয়ে বাধিত করবেন।
বিনীত
বাংলাদেশ আইডিয়াল স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষে
কবির হাসান
খিলগাঁও, ঢাকা
ক্রীড়াসামগ্রীর তালিকা
১. ফুটবল – ৩টি
২. ভলিবল – ২টি
৩. ভলিবল নেট – ১টি
৪. ব্যাডমিন্টন র্যাকেট – ১০টি
৫. ব্যাডমিন্টন কর্ক – ২ ডজন
৬. ব্যাডমিন্টন নেট – ১টি
৭. ক্রিকেট ব্যাট – ৪টি
৮. ক্রিকেট বল – ১০টি
৯. ক্রিকেট স্ট্যাম্প – ২টি
২. ভিপিপি যোগে বই পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে পুস্তক ব্যবসায়ীর নিকট পত্র লেখো।
১৮ই মার্চ ২০১৬
বরাবর,
ম্যানেজার
পাঠশালা প্রকাশন
২৬, আলী রেজা মার্কেট
বাংলাবাজার, ঢাকা-১০০০
জনাব,
শ্রদ্ধা জানবেন। আপনাদের প্রকাশিত কিছু বই আমার জরুরি প্রয়োজন। তাই নিম্নলিখিত বইগুলো যত দ্রæত সম্ভব ভিপিপি যোগে পাঠিয়ে বাধিত করবেন। বইপ্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গেই মূল্য পরিশোধ করা হবে।
অতএব, বইগুলো নিম্নলিখিত ঠিকানায় দ্রæত পাঠিয়ে দেওয়ার বিনীত অনুরোধ রইল।
আপনার বিশ্বস্ত
কমলিকা চৌধুরী
নবম শ্রেণি (মানবিক), রোল নং-০৫
হামসাদী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
সোনারগাঁ, নারায়ণগঞ্জ
বইয়ের তালিকা
১. পাঠশালা মাধ্যমিক সৃজনশীল বাংলা – ২০১৬
২. পাঠশালা মাধ্যমিক ইংরেজি – ২০১৬
৩. পাঠশালা জুনিয়র সার্টিফিকেট পরীক্ষা সহায়িকা-২০১৬
৪. পাঠশালা জেএসসি বহুনির্বাচনি টেস্ট পেপারস-২০১৬
[ঠিকানাসহ খাম হবে]
মানপত্র/অভিনন্দন পত্র
১. তোমার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের/শিক্ষকের অবসর গ্রহণ/বিদায় উপলক্ষে একটি মানপত্র রচনা করো।
[চ. বো. ১২, কু. বো. ১৩, য. বো. ১৪, ব. বো. ১৪]
আলফাডাঙ্গা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রদ্ধেয় প্রধান শিক্ষক
শিক্ষক আকবর খান স্যার-এর অবসর গ্রহণ/ বিদায়ে
শ্রদ্ধাঞ্জলি
হে মান্যবর,
ব্যথাতুর হৃদয়ে সালাম ও অশ্রæসজল প্রীতি গ্রহণ করুন। এ মূহুর্তে কোনোভাবেই কোনো সান্ত¡না খুঁজে পাচ্ছি না মনকে বোঝানোর, বিশ্বাস করতে পারছি না আপনাকে বিদায় জানাচ্ছি।
শিক্ষকতার মহান ব্রত নিয়ে আপনি এসেছিলেন এ ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠে। সুদীর্ঘ সময় এর কর্ণধার হিসেবে সগৌরবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আজ বেজে উঠেছে বিদায়ের বেদনার সুর। আমাদের অবুঝ মনের করুণ কান্না আজ সকল বাঁধ ভেঙে বল্গাহীন হয়ে উঠেছে। চোখের জলে সব ঝাপসা মনে হচ্ছে। আমাদের ব্যথাহত অন্তরে কেবলই জেগে উঠছে বিষাদের বাণী
এ অনন্ত চরাচরে
সবচেয়ে পুরাতন কথা
সবচেয়ে গভীর ক্রন্দন
“যেতে নাহি দিব’ হায়,
তবু যেতে দিতে হয়, তবু চলে যায়।”
হে শিক্ষাগুরু!
আপনার বিদায় সংবাদ আমাদের হৃদয়ে এক গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করেছে। আপনার স্নেহমাখা হাসিমুখ আমরা আর দেখতে পাব না। আপনার মিষ্টি কথা আমরা আর শুনতে পাব নাÑ এ কথা ভেবে আমাদের মন ব্যথায় কুঁকড়ে উঠছে। আপনাকে কেন্দ্র করে অসংখ্য স্মৃতি এ মুহূর্তে আমাদের অন্তরে ভেসে উঠছে। আমাদের যন্ত্রণাক্লিষ্ট মনে কেবলই রয়ে রয়ে বাজছে বিদায়ের করুণ সানাই। আপনার পানে চেয়ে মনে হচ্ছে
“ঐ ব্যথাতুরা আঁখি কাঁদো কাঁদো মুখ,
দেখি আর শুধু হু হু করে বুক।”
হে মহান কর্মবীর,
আমাদের পরম সৌভাগ্য যে, আমরা আপনার মতো একজন কর্মঠ, উদারচিত্ত, সুদক্ষ ও প্রজ্ঞাবান শিক্ষকের পদপ্রান্তে বসে শিক্ষা লাভের সুযোগ পেয়েছি। আপনার কাছ থেকে আমরা কোনোদিন কোনো কিছুর অভাব বোধ করিনি। সবসময় পাখির ছানার মতো আগলে রেখেছেন আমাদেরকে। আমাদের স্মৃতির রাজ্যে আপনি অমর, অক্ষয় ও চিরঞ্জীব! প্রতিশ্রæতি দিচ্ছি আপনার দেওয়া আলো থেকে আমরা আলো ছড়াব দিক-দিগন্ত।
হে আদর্শ শিক্ষাদাতা
শিক্ষকতার মতো একটি মহান পেশাকে ব্রত হিসেবে নিয়ে যেভাবে আপনি সারা জীবন দেশ ও দশের সেবা করেছেন, সেজন্য আমরা গর্বিত। আমরা আজীবন মনে করব আপনি আমাদেরই লোক। আমরা এ কথা অকুণ্ঠচিত্তে স্মরণ করব যে, আপনি কথাবার্তায়, কাজে-কর্মে, মেধা ও মননে ছিলেন একজন আধুনিক লোক। আমাদের এই ঘুণেধরা শিক্ষাব্যবস্থায় আপনার মতো আদর্শ শিক্ষকের বড় প্রয়োজন। আমাদের কষ্ট এই যে, আমরা একজন গুণী লোককে হারালাম।
হে আলোর দিশারি!
আপনার বিদায় বেলায় আমাদের মানসপটে অসংখ্য স্মৃতি জ্বলজ্বল করছে। মনে পড়ে, কত সময় আপনার সাথে অন্যায় আচরণ করেছি, আপনাকে দুঃখ দিয়েছি। আশা করি আপনি আপনার মহান ঔদার্য দ্বারা সেগুলো ক্ষমা করবেন। আর আমাদের জন্য আশীর্বাদ করবেন যাতে ভবিষ্যতে আমরা আপনার নির্দেশিত পথে চলতে পারি।
পরিশেষে, পরম করুণাময়ের নিকট প্রার্থনা করছি আপনার ভবিষ্যৎ জীবন সুখী ও সুন্দর হোক।
আপনার গুণমুগ্ধ,
আলফাডাঙ্গা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীবৃন্দ।
তারিখ : ১৫ জুন, ২০১৬
২. তোমাদের বিদ্যালয়ের নতুন প্রধান শিক্ষকের যোগদান উপলক্ষে একটি মানপত্র রচনা করো। [ঢা. বো. ১৩, ০৯]
মুকুল নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ের নবাগত প্রধান শিক্ষক জনাব মাহমুদুল হক সাহেবের যোগদান উপলক্ষে
শ্রদ্ধাঞ্জলি
হে বরেণ্য শিক্ষক,
নিসর্গের আঙিনাজুড়ে আজ নতুন সাজ। প্রবহমান বাতাস তাই সুরভিত, চারদিক কল-কাকলিতে মুখর। খুশির ঝরনাধারায় স্নাত এদিন এক শুভ সূচনার বার্তা বয়ে এনেছে। এই বিদ্যালয়ের কর্ণধার হিসেবে আপনি দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন। আমাদের আনন্দিত হৃদয়ের শ্রদ্ধার্ঘ্য গ্রহণ করুন।
হে নবাগত শিক্ষাগুরু!
আপনার মতো একজন শিক্ষিত ও জ্ঞানী ব্যক্তির সান্নিধ্য আমরা পেতে যাচ্ছি এ আনন্দে আমরা উদ্বেলিত। আপনার মহান শিক্ষায় আমরা শিক্ষিত হব, আপনার মহিমায় মহিমান্বিত হব, আপনার আলোকোজ্জ্বল জ্ঞানের প্রদীপে আলোকিত হব। আমরা পথ চলব আপনার শেখানো আদর্শকে বুকে ধরে। আপনার প্রেরণা আমাদের জোগাবে নতুন উৎসাহ।
হে জ্ঞানতাপস
আপনার অসাধারণ পাণ্ডিত্য সর্বজনবিদিত। আপনার মতো একজন মহান শিক্ষাগুরুর পদপ্রান্তে বসে শিক্ষালাভের সুযোগ পেতে চলেছিÑ এ আমাদের পরম সৌভাগ্য। আপনার আগমনে এ বিদ্যাপীঠের বিশাল শূন্যতা পূরণ হলো। আজ আমরা ধন্য ও গর্বিত। আপনি আমাদের হৃদয়ের জঞ্জাল দূর করে জ্ঞানের প্রদীপ জ্বেলে দেবেন।
আমরা আজ আপনাকে আশ্রয় ও ছায়ারূপে পেয়েছি। আপনার মূল্যবান শিক্ষা ও আদর্শ আমাদের নতুন পৃথিবীর সন্ধান দেবে। আপনার আগমনে আমাদের একমাত্র উপঢৌকন শ্রদ্ধা ছাড়া কিছুই দিতে পারলাম না। এটুকুই আপনি সাদরে গ্রহণ করবেন।
হে কর্মচঞ্চল বীর!
ঐতিহ্যবাহী এ বিদ্যালয়ের আমরা হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী তাকিয়ে আছি আপনারই মুখপানে। আপনার যোগ্য নেতৃত্ব দেবে আমাদেরকে আলোর পথের ঠিকানা। আপনাকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আপনার মুখ উজ্জ্বল করার জন্য আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করব এবং বিদ্যালয়ের জন্য সুনাম বয়ে আনব।
হে পরম সুহৃদ,
আপনি আমাদের শিক্ষাগুরু, আমরা আপনার শিষ্য। তারুণ্যের প্রগলভতা, বয়সের চাপল্য কখনও আপনার বিরক্তির কারণ হতে পারে। আপনার উদার হৃদয়ের সীমাহীন স্নেহ আমাদের চাঞ্চল্যকে সংযত করে যথার্থ পথের সন্ধান দিয়ে সাফল্যের পথে পরিচালিত করুক। তারুণ্যের মাঝে নিহিত শক্তির উন্মেষ ঘটুক আপনার স্নেহস্পর্শে। এ প্রতিষ্ঠানে আপনার অবস্থান সুন্দর হোক, সার্থক হোক- এ আমাদের হৃদয়ের একান্ত কামনা।
পরিশেষে পরম করুণাময় মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
বিনয়াবনত
মুকুল নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীবৃন্দ
১১ ডিসেম্বর, ২০১৬
৩. বরেণ্য মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা উপলক্ষে একখানি অভিনন্দন-পত্র রচনা করো।
দেশবরেণ্য মুক্তিযোদ্ধাদের …. আগমন উপলক্ষে
অভিনন্দন
হে দেশের সূর্যসন্তান,
বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের কিংবদন্তির মহানায়ক তোমরা। তোমাদের কীর্তি কখনো ভোলার নয়। এদেশবাসী সোনার হরফে লিখে রাখবে তোমাদের নাম। আজ তোমাদের আগমনে এই এলাকার সর্বত্র জেগেছে নব প্রাণের স্পন্দন। আজ আমাদের এই ক্ষুদ্র আয়তনে গভীর আনন্দে আমরা অন্তরের অন্তস্থল থেকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।
হে বীর সেনানীরা!
তোমরা ইতিহাসস্রষ্টা। তোমাদের সুদক্ষ রণকৌশল, চেতনাশক্তি, সাহসী ভ‚মিকা আর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব জাতিকে দিয়েছে মুক্তির স্বাদ। দেশমাতৃকাকে মুক্ত করার প্রত্যয়ে তোমাদের এমন বীরত্বপূর্ণ ভ‚মিকায় আমরা গর্বিত।
হে মহান দেশপ্রেমিকেরা!
দেশাত্মবোধের মহান প্রেরণাকে বুকে ধারণ করে তোমরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলে মুক্তির সংগ্রামে। দেশ এবং জাতির প্রতি তোমাদের এই আমরা আত্মত্যাগ কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করি। এ দেশের প্রতিটি মানুষের মনে তোমাদের ত্যাগের স্মৃতি রইবে অহমান।
হে মৃত্যুঞ্জয়ী বীরেরা!
বাংলার মুক্তিসংগ্রামে সমগ্র প্রতিক‚লতাকে অতিক্রম করে মৃত্যুকে পদদলিত করে যুদ্ধ করেছ তোমরা। পাক-হানাদারদের সুদক্ষ বাহিনীর মুখোমুখি হতেও পিছপা হওনি তোমরা। মৃত্যুকে নিশ্চিত জেনেও এগিয়ে গিয়েছিলে সেদিন। ফিরে এসেছ মৃত্যুঞ্জয়ীর বেশে। তোমাদের এই অবদান চির-ভাস্বর হয়ে থাকবে জাতির মানসভ‚মে। তোমরা আমাদের চেতনা, তোমরা আমাদের সঞ্জীবনী সত্তা।
হে সুমহান নেতৃবৃন্দ!
তোমাদের আগমন আমাদের এতটাই বিমোহিত করেছে, যা বোঝানোর কিংবা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। তোমাদের কী দিয়ে বরণ করে নেব সেটাও যে ভুলে গেছি আজ। আজ এমন দিনে, এমন একটি ক্ষণে তোমাদের প্রতি রইল আমাদের অন্তহীন ভালোবাসা আর শ্রদ্ধার্ঘ্য। তোমাদের আগমন আমাদের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
পরিশেষে, মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে বিনীত নিবেদন করছি তিনি যেন তোমাদের সুদীর্ঘ জীবন দান করেন। তোমাদের অনাগত দিনগুলো যেন সুখের হয় সে প্রত্যাশাই করব আজীবন। খোদা হাফেজ।
বিনয়াবনত
তোমাদের গুণমুগ্ধ
তারাগুনিয়ার সর্বস্তরের জনতা
তারিখ : ৩০শে মে, ২০১৬।
৪. তোমাদের বিদ্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে একটি মানপত্র রচনা করো।
অথবা, তোমার বিদ্যালয়ে কোনো বিশিষ্ট ব্যক্তির আগমন উপলক্ষে একটি মানপত্র রচনা করো।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী
জনাব নুরুল ইসলাম নাহিদ-এর শুভাগমন উপলক্ষে
শ্রদ্ধাঞ্জলি
হে বরেণ্য!
আপনার পদধূলি পেয়ে আমাদের এলাকা আজ উজ্জীবিত। আপনাকে একনজর দেখার জন্য প্রত্যন্ত জনপদ থেকে ছুটে এসেছে হাজার হাজার মানুষ। আপনার মূল্যবান বাণী শোনার জন্য চাতকের মতো উন্মুখ শত-সহস্র জনতা। আপনি আমাদের প্রাণঢালা অভিনন্দন গ্রহণ করুন।
হে শিক্ষানুরাগী!
আমাদের এ দরিদ্র দেশের বেশিরভাগ মানুষ এখনো শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত। এসব নিরক্ষর মানুষকে শিক্ষিত করে গড়ে তোলার যে কঠিন দায়িত্ব আপনি কাঁধে তুলে নিয়েছেন, সেজন্য আমরা আপনাকে স্বাগত জানাই। আমরা আশা করি আপনার যোগ্য নেতৃত্বই এ জাতিকে নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করবে। আমাদের নিশ্চিত বিশ্বাস, জ্ঞানের যে মশাল আপনি জ্বালিয়েছেন, তার আলোতে সমগ্র বাংলাদেশ আলোকিত হবে।
হে দেশপ্রেমিক,
আপনি শিক্ষাক্ষেত্রে যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তা অনস্বীকার্য। আপনার নিরলস প্রচেষ্টা ও কঠোর সাধনায় শিক্ষাব্যবস্থায় এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। আপনার কাজের সুরভি আজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশ-দেশান্তরে। দেশবাসী আজ আপনার কাজের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
হে আলোর দিশারি,
আপনি আমাদের পরম আপনজন বলে আপনার কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেক। নানা সমস্যার যাঁতাকলে পিষ্ট আমাদের এ বিদ্যালয়টি। শিক্ষাব্যবস্থার সর্বত্র উন্নয়নের ছোঁয়া ও আপনার প্রশংসনীয় উদ্যোগের কথা শুনে আজ আমরা আশাবাদী হয়ে উঠেছি। তাই এই বিদ্যালয়ের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সমাধানকল্পে আপনার সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সারা বিশ্ব বিজ্ঞানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলছে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, এ বিদ্যালয়ে কোনো বিজ্ঞানাগার নেই। তাই এতে আপনার আন্তরিক হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
খেলাধুলা ও পড়াশোনা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, খেলাধুলার জন্য এ বিদ্যালয়ে নিজস্ব কোনো মাঠ না থাকায় আমরা খেলাধুলা করার কোনো সুযোগ পাচ্ছি না। তা একটি মাঠ নির্মাণ অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
আমাদের বিদ্যালয়ে প্রায় এক হাজার ছাত্র-ছাত্রী অধ্যয়ন করছে। কিন্তু এ বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে পর্যাপ্ত বই না থাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা মারাত্মকভাবে বিঘিœত হচ্ছে। তাই এ ব্যাপারে দৃষ্টি রাখার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।
শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ ও সুকুমার বৃত্তি লালনের জন্য বিদ্যাশিক্ষার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রম প্রয়োজন। কিন্তু এ বিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক ও সাহিত্যচর্চার জন্যে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদির অভাব রয়েছে। তাই প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি ক্রয়ের জন্যে অর্থ বরাদ্দের ব্যাপারে আপনার সহযোগিতা কামনা করছি।
আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস সমস্ত বিষয় আপনার সদয় বিবেচনা লাভ করবে এবং অবিলম্বে সমস্যাসমূহের সমাধান করে এই বিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে। পরিশেষে পরম করুণাময় মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
বিনয়াবনত
পাটুয়াকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীবৃন্দ
০২/০৫/২০১৬।
৫. তোমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একজন প্রখ্যাত লেখক বা কবির শুভাগমন উপলক্ষে একটি অভিনন্দনপত্র রচনা করো।
কবি আল মাহমুদের শুভাগমন উপলক্ষে অভিনন্দনপত্র
হে কবি!
সভ্যতার সকল প্রকার প্রাণহীন কৃত্রিমতা হতে বহু দূরে অবস্থিত এই পল্লির আহŸানে তুমি সাড়া দিয়েছ। আশা করি, তোমার কাব্য প্রেরণার মূলে এটি হয়তো খানিকটা রস সিঞ্চন করবে। কারণ, তুমি শহরের কবি নও, তুমি প্রকৃতপক্ষে পল্লির অসংখ্য মানুষের কবি, তোমাকে আমাদের হৃদয় নিংড়ানো অভিবাদন জানাই।
হে মহাজ্ঞানী!
কাব্য ও কবিতার ভেতর দিয়ে তোমার সাথে আমাদের যে পরিচয় ঘটিয়েছিল, তা আজ আরও নিবিড় ও মধুর হলো। এরপরে তোমাকে হয়তো নিজেদের মধ্যে এমন করে পাব না, কিন্তু তোমার কবিতা আমাদের সম্পর্ককে আরও ঘনিষ্ঠ, আরও মাধুর্যমণ্ডিত করবে।
তোমার কবিতার জাদুস্পর্শ্বে যে ফুলের গন্ধ ছড়িয়ে পড়বে, যে আম্রমুকুলকে ঘিরে মৌমাছি গুঞ্জন করে উঠবে, চৈত্র-সন্ধ্যাকে মুখরিত করে যে কোকিল ডেকে উঠবে, সে ফুল, সে আম্রমুকুল, সে কোকিলকে তো আমরা প্রত্যক্ষ করব আমাদেরই চারিপাশে।
তখন নতুন করে ধরণীর সাথে আমাদের যে পরিচয় ঘটবে সেই নতুন পরিচয়ের অপরিসীম আনন্দের কথা কল্পনা করে আজ তোমাকে সশ্রদ্ধ অভিনন্দন জানাচ্ছি। বর্তমান যান্ত্রিক সভ্যতার যুগে পল্লির শ্রীহীন অবস্থা নিদারুণ হয়ে উঠেছে। এই নিষ্ফলতার মধ্যে তুমি স্মরণ করিয়ে দিয়েছ, পল্লিগুলো জীর্ণ পাতার মতো প্রাণহীন আবর্জনা নয়, জাতীয় জীবনের দিক হতে এদের একটি বিশেষ মূল্য আছে।
নৈরাশ্যের ঘন অন্ধকারে আমরা নিজেদের হারিয়ে ফেলেছিলাম, তোমার অমৃতময় করস্পর্শে আমরা নিজেদের ফিরে পেয়েছি। আমাদের সম্মুখে তুমি অনন্ত সম্ভাবনার দ্বার উদ্ঘাটন করে দিয়েছ। আমাদের অন্তরের গভীরতম কৃতজ্ঞতা তুমি গ্রহণ কর।
হে সংগ্রামী কবি!
তোমার সারাটা জীবন সংগ্রামের এক উজ্জ্বল খতিয়ান। অন্যায়, অসত্য ও অসুন্দরের বিরুদ্ধে তোমার দৃপ্ত পদচারণ এখনও আমাদের আন্দোলিত করে। আধুনিক প্রগতিশীল সমাজ এবং অসা¤প্রদায়িক কল্যাণকামী রাষ্ট্র গঠনের ক্ষেত্রে তুমি যে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছো তা জাতি চিরদিন স্মরণ করবে। তোমার মুখ থেকে নিঃসৃত বাণী এখনো জাতিকে দিচ্ছে পথের দিশা। এ জাতি কোনো দিন তোমাকে ভুলবে না।
হে দরদি বন্ধু!
আজ আমাদের আয়োজনে অনেক ত্রæটি রয়ে গেল, কিন্তু আমরা জানি আমাদের এই অনিচ্ছাকৃত ত্রæটিগুলো তুমি উপেক্ষা করবে। তুমি বাইরের আয়োজনকে বাদ দিয়ে আমাদের অন্তরের ভাষাতীত প্রীতি গ্রহণ করবে। এখানে আসার কষ্ট ও অসুবিধা হাসিমুখে সহ্য করে তুমি নিজের উদারতারই পরিচয় দিয়েছ।
সৃষ্টিকর্তার নিকট কায়মনে প্রার্থনা করি, দীর্ঘ জীবন লাভ করে সুস্থ দেহে তোমার কবি-প্রতিভার পূর্ণ বিকাশ লাভ হোক; জাতি ও দেশ তোমার অপূর্ব অবদানে শক্তিশালী হয়ে উঠুক। তোমার চলার পথ আরো মসৃণ হোক।
ইতি
গুণমুগ্ধ
ফুলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ
থানাÑ উল্লাপাড়া
জেলাÑ সিরাজগঞ্জ।
৬. এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা উপলক্ষে একটি মানপত্র রচনা করো। [ঢা. বো. ১২]
ফিলিপনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের
বিদায় উপলক্ষে মানপত্র
বিদায়ী বন্ধুরা,
যে পথ একদিন তোমাদের নিয়ে এসেছিল এই অঙ্গনে সে পথই আবার তোমাদের দিয়েছে ডাক। একদিকে চলার নেশা আর একদিকে পিছুটান! বেহাগ রাগিণীতে বাজছে বিদায়ের সুর। সে সুর এখন ধ্বনিত হচ্ছে এই বিস্তৃত প্রাঙ্গণে উপস্থিত প্রতিটি প্রাণে।
সম্মুখ পথের পথিকেরা,
এখানে তোমাদের কেটেছে স্মৃতিমধুর প্রীতিময় অনেকগুলো দিন। নিরলস শ্রম, কঠোর অধ্যবসায় ও আন্তরিক আগ্রহে নিজেদের আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ার সাধনায় তোমরা ছিলে সচেষ্ট। তোমাদের প্রাণোচ্ছল সাহচর্য আর শ্রদ্ধাভাজন শিক্ষকদের প্রীতিস্নিগ্ধ শিক্ষায় বিদ্যালয়ের দিনগুলো হয়েছে ঐতিহ্যময়।
ভাই-বোনের মধুর স্নেহডোরে বেঁধেছিলে আমাদের। আজ ভবিষ্যতের সিঁড়িতে তোমরা যখন প্রজ্ঞার ছায়া ফেলতে যাচ্ছো তখন বলি, Ñ এই বিদ্যালয়ের স্মৃতিময় দিনগুলো তোমরা যেন ভুলে না যাও। যেন না ভোল প্রিয় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ঐকান্তিক অবদানের কথা। এই বিদ্যানিকেতনের অভিজ্ঞতা ও ঐতিহ্য যেন হয় তোমাদের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার প্রেরণা।
সূর্যশিখা ভাইবোনেরা,
লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের দেশ আজ স্বাধীন। দারিদ্র্য, অশিক্ষা, সংকীর্ণতা, পশ্চাৎপদতার আঁধার এখনও দেশ থেকে ঘোচেনি। নতুন শতাব্দীর অগ্রপথিক তোমরা। বিশ্বায়নের নবদিগন্তে এদেশে নব নব অগ্রগতি ও সাফল্য অর্জনে তোমরা আমাদের প্রেরণা হবে এই প্রত্যাশা নিয়ে কামনা করব : মহৎ আদর্শে নতুন দেশ ও নতুন বিশ্ব গড়ার সাধনায় তোমরা সফল হও।
তোমরা দেশের হও, দশের হও, বিশ্বের হও। তোমাদের চিন্তা ও কর্ম হোক-দেশব্রতী কর্মীর, সৃষ্টিশীল কারিগরের, মানবমুক্তির সৈনিকের।
তোমরা সার্থক হও। তোমাদের সাধনা হোক দেশ ও জাতির ঐতিহ্য, গর্ব ও ইতিহাস।
তোমাদের সাথি
ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ
ফিলিপনগর উচ্চ বিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
২৫শে জানুয়ারি, ২০১৬।
নিমন্ত্রণপত্র
১. তোমার স্কুলে ‘নজরুল জন্মজয়ন্তী’ উদ্যাপন উপলক্ষে একটি আমন্ত্রণপত্র রচনা করো।
সুধী,
আগামী ১১ই ভাদ্র, ১৪২২ / ২৯শে আগস্ট, ২০১৬, শনিবার বিকাল চারটায় বিদ্রোহী ও আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৬তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে হরিপুর উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করবেন বরেণ্য কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক। সভাপতিত্ব করবেন প্রধান শিক্ষক সরোজ কুমার চμবর্তী। অনুষ্ঠানে আপনার উপস্থিতি একান্তভাবে কামনা করি।
বিনীত
তারিখ : ২৫.০৮.২০১৬ ফরিদ আহমদ সলিল
আহŸায়ক
নজরুল জন্মজয়ন্তী উদ্যাপন পরিষদ
হরিপুর উচ্চ বিদ্যালয়, খুলনা।
অনুষ্ঠানসূচি
০৪. ০৫ : অতিথিবৃন্দের আসন গ্রহণ
০৪. ১৫ : বিশেষ আলোচনা
০৫. ০০ : প্রধান অতিথির ভাষণ
০৫. ৩০ : সভাপতির ভাষণ
০৬. ০০ : সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
HSC | বাংলা ২য় | কলেজ ভিত্তিক অনুবাদ ১৬১-১৮৫ | PDF Download
HSC | বাংলা ২য় | কলেজ ভিত্তিক অনুবাদ ১৪১-১৬০ | PDF Download
HSC | বাংলা দ্বিতীয় | কলেজ ভিত্তিক অনুবাদ ১২১-১৪০ | PDF Download
HSC | বাংলা দ্বিতীয় | বোর্ড ভিত্তিক অনুবাদ ১০১-১২০ | PDF Download
HSC | বাংলা দ্বিতীয় পত্র | অনুবাদ ৬১-৮০ | Onubad | PDF Download
২. ধরো, তোমাদের পাড়ায় “মৈত্রী সংঘ” নামে একটি ক্লাব আছে। ক্লাবের পক্ষ থেকে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে একটি নিমন্ত্রণপত্র রচনা করো।
প্রিয় সুধী,
শুভ ‘নববর্ষ’ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আগামী ১লা বৈশাখ, ১৪২৩ /১৪ই এপ্রিল, ২০১৬, মঙ্গলবার সকাল ০৭টায় ‘মৈত্রী সংঘের’ পক্ষ থেকে এক বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে আপনি সবান্ধব আমন্ত্রিত।
বিনীত
তারিখ : ১০.০৪.২০১৫ অরিন্দম খালেক
সাংস্কৃতিক সম্পাদক
আঞ্চলিক মৈত্রী সংঘ, সিলেট।
অনুষ্ঠানসূচি
০৬.৩০ : মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি
০৭.৩০ : সংঘ-প্রাঙ্গণ থেকে শোভাযাত্রা শুরু; এলাকা পরিভ্রমণ
০৯.০০ : সংঘের মিলনায়তনে প্রীতিভোজ
১০.০০ : মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
১২.০০ : সমাপ্তি।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।