৫ম শ্রেণি | বাংলা | স্বদেশ কবিতার প্রশ্ন উত্তর | PDF: পঞ্চম শ্রেণির বাংলা বিষয়টির স্বদেশ কবিতাটি হতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সব প্রশ্ন উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে। অতএব সম্পূর্ণ পোস্টটি মনযোগ সহকারে পড়ুন।
স্বদেশ
আহসান হাবীব
পাঠ্যবই থেকে বহুনির্বাচনি প্রশ্ন
সঠিক উত্তরটি খাতায় লেখ।
১) ছেলেটি কোথায় বসে আছে?
ক. নদীর ধারে
খ. পুকুর পাড়ে
গ. বনের ধারে
ঘ. সমুদ্র পাড়ে
২) ছেলেটি কখন মনে মনে প্রকৃতির ছবি আঁকে?
ক. সারসকাল
খ. সাররাত
গ. যখন ইচ্ছে হ
ঘ. যখন ঘুমুতে যায়
৩) ছেলেটির ছবিতে কোনটি আছে?
ক. জারুল গাছ
খ. জাম গাছ
গ. জলপাই গাছ
ঘ. জবগাছ
৪) নানান কাজের মানুষদের বেশ কেমন?
ক. একই রকম
খ. বিভিন্ন রকম
গ. হলুদ রঙের
ঘ. সোনালি রঙের
৫) মাঠের মানুষ কোথায় যায়?
ক. হাটে
খ. ঘাটে
গ. মাঠে
ঘ. বাটে
৬) ছেলেটির মুখ সারদেশের সব ছেলের মুখের মতোই
ক. সুন্দর
খ. শ্যাম বর্ণের
গ. টকটকে লাল
ঘ. কুৎসিত
৭) ‘স্বদেশ’ কবিতার ছেলেটিকে কী বলযায়?
ক. সংগীতশিল্পী
খ. অভিনয়শিল্পী
গ. নৃত্যশিল্পী
ঘ. চিত্রশিল্পী
৮) ‘স্বদেশ’ কবিতায় বাংলাদেশকে কিসের মতো বলা হয়েছে?
ক. নদীর মতো
খ. ছবির মতো
গ. পাহাড়ের মতো
ঘ. স্বপ্নের মতো
৯) ‘স্বদেশ’ কবিতায় বর্ণিত ছেলেটির নেই
ক. প্রকৃতি দেখার সম
খ. ছবি আঁকার আগ্রহ
গ. প্রকৃতি দেখার ইচ্ছা
ঘ. ছবি আঁকার রং-তুলি
১০) ‘বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ’- কথাটি দ্বার কী বোঝানো হয়েছে?
ক. বাংলাদেশের সবখানে নদী দেখযায়
খ. বাংলাদেশে অল্পসংখ্যক নদী আছে
গ. বাংলাদেশের মায়েরনদীতীরে বাস করেন
ঘ. বাংলাদেশের নদীগুলোকে মায়ের মতো ভালোবাসতে হবে
১১) বাংলাদেশকে কোনটি বলহয়?
ক. সোনালি নদীর দেশ
খ. সোনালি আঁশের দেশ
গ. সোনালি সুখের দেশ
ঘ. সোনালি মানুষের দেশ
১২) বাংলাদেশের গ্রাম, শস্যখেত সবকিছুকে কিসের উপাদান বলে মনে হয়?
ক. হাটের উপাদান
খ. মাঠের উপাদান
গ. নদীর উপাদান
ঘ. সমুদ্রের উপাদান
১৩) ‘স্বদেশ’ কবিতায় কিসের ছবি প্রকাশিত হয়েছে?
ক. বাংলাদেশের নানজাতির মানুষের বৈচিত্র্যের ছবি
খ. বাংলাদেশের নানধরনের পশুপাখির ছবি
গ. বাংলাদেশের প্রকৃতি ও মানুষের জীবনযাত্রার ছবি
ঘ. বাংলাদেশের নামকরচিত্রশিল্পীদের আঁকছবি
১৪) ‘স্বদেশ’ কবিতায় বর্ণিত ছেলেটি নিজেকে কী বলে পরিচয় দেয়?
ক. চিত্রশিল্পী
খ. ভালোবাসার শিল্পী
গ দেশের মানুষ
ঘ. কাজের মানুষ
১৫. নদীর তীরে সারি সারি কী রাখছিল?
ক. জেলেদের জাল
খ. গাছের গুঁড়ি
গ. খড়ের গাদা
ঘ. নৌকা
১৬. ছেলেটির সারাদিন কীভাবে কাটে?
ক. খেলাধূলকরে
খ. মাঠের মানুষ আর হাটের মানুষ দেখে
গ. পড়াশোনকরে
ঘ. বন্ধুদের সঙ্গে গল্পগুজব করে
১৭. ‘স্বদেশ’ কবিতায় ছেলেটি কীভাবে তার ছবি আঁকে?
ক. রং তুলি দিয়ে
খ. রং তুলি ছাড়া
গ. নিজের মনের মধ্যে
ঘ. মবাবার সহযোগিতনিয়ে
১৮. ‘স্বদেশ’ কবিতায় কবি বাংলাদেশের কোন ছবিটি তুলে ধরেছেন?
ক. বাংলাদেশের শহরের মানুষের ছবি
খ. নদীর পাড়ের জেলেদের ছবি
গ. বাংলাদেশের পাহাড়ি মানুষের ছবি
ঘ. বাংলাদেশের প্রকৃতি ও মানুষের জীবনযাত্রার ছবি
১৯. ‘এই ছেলেটির মুখ সারাদেশের সব ছেলেদের মুখেতে টুকটুক’ কথাটি কী অর্থে বোঝানো হয়েছে?
ক. ছেলেটির মুখের রং
খ. ছেলেটির মুখের গড়ন
গ. ছেলেটির মুখের প্রতিচ্ছবি
ঘ. ছেলেটির মুখের কথা
২০) আছে নানান বেশ। এখানে ‘বেশ’ বলতে বোঝায়
(ক) দারুণ (খ) রং (গ) পোশাক. (ঘ) সুর
২১) কী দেখে ছেলেটির সারাটদিন কাটে?
(ক) পাখির ওড়াউড়ি
(খ) নদীর জোয়ার
(গ) সমুদ্রের ঢেউ
(ঘ) নানরকম মানুষ
২২) ‘কড়ি’ হলো এক ধরনের
(ক) ওষধি গাছ
(খ) গ্রামীণ খাবার
(গ) ছোট নৌক
(ঘ) ছোট সাদঝিনুক
২৩) ছেলেটি ছবিটিকে
(ক) খাতায় আঁকে
(খ) কল্পনায় আঁকে
(গ) আঁকতে পারে ন
(ঘ) দেখতে পায় না
২৪) কবিতাংশে মূলত কী প্রকাশিত হয়েছে?
(ক) বাংলাদেশের ষড়ঋতুর বৈচিত্র্য
(খ) বাংলাদেশের নানজাতির মানুষের কথ
(গ) বাংলাদেশের প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য
(ঘ) বাংলাদেশের নদ-নদীর কথ
পাঠ্যবই থেকে বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর
১) ক. নদীর ধারে
২) গ. যখন ইচ্ছে হ
৩) ক. জারুল গাছ
৪) খ. বিভিন্ন রকম
৫) গ. মাঠে
৬) ক. সুন্দর
৭) ঘ. চিত্রশিল্পী
৮) খ. ছবির মতো
৯) ঘ. ছবি আঁকার রং-তুলি
১০) ক. বাংলাদেশের সবখানে নদী দেখযায়
১১) খ. সোনালি আঁশের দেশ
১২) খ মাঠের উপাদান
১৩) গ. বাংলাদেশের প্রকৃতি ও মানুষের জীবনযাত্রার ছবি
১৪) খ. ভালোবাসার শিল্পী
১৫. ঘ নৌকা
১৬. খ মাঠের মানুষ আর হাটের মানুষ দেখে
১৭. গ নিজের মনের মধ্যে
১৮. ঘ বাংলাদেশের প্রকৃতি ও মানুষের জীবনযাত্রার ছবি
১৯. গ ছেলেটির মুখের প্রতিচ্ছবি
২০) (গ) পোশাক;
২১) (ঘ) নানরকম মানুষ;
২২) (ঘ) ছোট সাদঝিনুক;
২৩) (খ) কল্পনায় আঁকে;
২৪) (খ) বাংলাদেশের প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য
পাঠ্যবই থেকে প্রশ্নের উত্তর লিখন
নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
১) ছেলেটি কোথায় বসে কীভাবে ছবি আঁকছে?
উত্তর : ছেলেটি নদীর ধারে একলবসে মনে মনে ছবি আঁকছে।
২) জারুল গাছে থাকপাখি দুটি কোন রঙের?
উত্তর : জারুল গাছে থাকপাখি দুটি হলুদ রঙের।
৩) ‘কে তুমি ভাই’ জিজ্ঞেস করলে ছেলেটি কী জবাব দেয়?
উত্তর : ‘কে তুমি ভাই’ জিজ্ঞেস করলে ছেলেটি হেসে জবাব দেয় ‘ভালোবাসার শিল্পী আমি’।
৪) বাংলাদেশকে ছবির মতো দেশ বলহয়েছে কেন?
উত্তর : বাংলাদেশে আছে নদী, পাহাড়, সাগরসহ প্রকৃতির বিভিন্ন উপাদান। সবুজ ফসলের খেত, ছায়াঘেরগ্রাম, গাছে গাছে পাখি-সব মিলিয়ে বাংলাদেশের প্রকৃতি অতুলনীয়। যেন শিল্পীর হাতে আঁকছবি। ছবির নানরঙের মতোই নানঋতুতে এ দেশের প্রকৃতিরও রং বদলায়। এ কারণেই বাংলাদেশকে ছবির মতো দেশ বলহয়েছে।
৫) ছেলেটির মনে দেশের জন্য মমতও ভালোবাসার অনুভ‚তি তৈরি হচ্ছে কীভাবে?
উত্তর : ছেলেটি বসে বসে প্রাণভরে স্বদেশের সৌন্দর্য দেখছে। নদীর জোয়ার, নদীতীরে বেঁধে রাখনৌকা, গাছে গাছে পাখির কলতান- এ সবই তার মনে দেশের জন্য মায়া-মমতও ভালোবাসার অনুভ‚তি জোগাচ্ছে।
৬) ফসলের মাঠে ঢেউ খেলে গেলে কী মনে হয়?
উত্তর : ফসলের মাঠে ঢেউ খেলে গেলে মনে হয় যেন সারমাঠে নদীর ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে।
৭) গ্রামবাংলার কোন ছবিটি আমাদের চেনা?
উত্তর : বাংলাদেশের সর্বত্রই নদী দেখযায়। গ্রামবাংলার নদী, নদীর জোয়ার, ঘাটে বাঁধসারি সারি নৌকা-এই সব মিলে যে ছবি সেটি আমাদের চেনা।
৮) কোন ছবিটি টাকদিয়ে কেনযায় না?
উত্তর : বাংলাদেশের ছবির মতো সৌন্দর্য টাকদিয়ে কেনযায় না। বাংলাদেশ শস্য-শ্যামল চির সবুজের দেশ। এদেশে আছে নদী, পাহাড়, সাগরের অপূর্ব সমাহার। গাছে গাছে পাখির কলতান। শান্ত-শ্যামল বাংলাদেশের এই ছবি টাকা-পয়সদিয়ে কেনসম্ভব নয়।
৯) ‘স্বদেশ’ কবিতায় কী দেখে ছেলেটির দিন কেটে যায়?
উত্তর : বাংলাদেশের প্রকৃতি আর মানুষের জীবনযাত্রদেখে ছেলেটির সারাটদিন কাটে।
এ দেশে রয়েছে শস্য-শ্যামল মাঠের পর মাঠ। মাঠে মাঠে মানুষ কাজ করে। হাটের মানুষেরহাটে যায়। এসব দেখেই ছেলেটির সারাদিন কেটে যায়।
১০) ‘সব মিলে এক ছবি’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : বাংলাদেশ ছবির মতো সুন্দর একটি দেশ- এ বিষয়টি বোঝাতেই কথাটি বলহয়েছে।
সবুজ গাছপালা, নদী-নালা, পাহাড়, সমুদ্র সবকিছুর সৌন্দর্য নিয়ে আমাদের এই দেশ। একেক ঋতুতে এ দেশের প্রকৃতির চেহারহয় একেক রকমের। এ দেশে রয়েছে নানধরনের মানুষের বসতি। সবকিছু মিলে গোটদেশটাই যেন হাজার রঙে আঁকমনভোলানো এক ছবি।
১১) কিসের শেষ দেখযাচ্ছে না?
উত্তর : মাঠের পর কেবলই মাঠের দেখপাওয়যাচ্ছে, এর শেষ দেখযাচ্ছে না।
১২) ছেলেটি কখন ছবি আঁকে? ছেলেটি মনে মনে কিসের ছবি আঁকে?
উত্তর : ছেলেটি যখন ইচ্ছে হয় তখনই ছবি আঁকে। ছেলেটি মনে মনে বাংলাদেশের প্রকৃতির একটি অপরূপ ছবি আঁকে।
১৩) ‘এমনি পাওয়এই ছবিটি
কড়িতে নয় কেনা।’ কথাটি বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : বাংলাদেশের প্রকৃতি অত্যন্ত নজরকাড়া। যেন শিল্পীর রং-তুলিতে আঁকা। বাংলাদেশের প্রকৃতির এই ছবি টাকা-পয়সদিয়ে কেনসম্ভব নয় এ কথাটিই এখানে বলহয়েছে।
পাঠ্যবই থেকে মূলভাব লিখন
কবিতাংশটির মূলভাব লেখ।
উত্তর : বাংলাদেশের মাঠে মাঠে ফসলের খেত। যত দূর চোখ যায় কেবল মাঠের পর মাঠই চোখে পড়ে। এদেশের মানুষ, প্রকৃতি সবই সুন্দর। একটি ছেলে বসে বসে এসব দুচোখ ভরে দেখে আর মনে মনে ছবি আঁকে। বাংলাদেশের এই ছবির মতো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য টাকা-পয়সার বিনিময়ে পাওয়সম্ভব নয়।
পাঠ্যবই বহিভর্ত যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন
নিচের কবিতাংশটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
সার্থক জনম আমার জন্মেছি এই দেশে
সার্থক জনম, মগো, তোমায় ভালোবেসে \
জানি নে তোর ধনরতন
আছে কি নরানির মতন,
শুধু জানি আমার অঙ্গ জুড়ায় তোমার ছায়ায় এসে \
কোন বনেতে জানি নে ফুল
গন্ধে এমন করে আকুল,
কেন গগনে ওঠে রে চাঁদ এমন হাসি হেসে \
আঁখি মেলে তোমার আলো
প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
ওই আলোতে নয়ন রেখে মুদব নয়ন শেষে \
সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
১) বাংলাদেশকে সকল দেশের রানি বলযায়-
(ক) ধনরত আছে বলে
(খ) এদেশে অনেক মানুষ বলে
(গ) প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিক থেকে
(ঘ) বিশ্বকে শাসন করে বলে
২) কবিতাংশের কোন শব্দটির সাথে ‘চোখ’ শব্দটির অর্থ মিলে যায়?
(ক) অঙ্গ.
(খ) নয়ন
(গ) জনম
(ঘ) হাসি
৩) কবিতাংশের মূলভাব হলো
(ক) প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বর্ণনা
(খ) জন্মভূমির প্রতি ভালোবাস
(গ) জননীর স্নেহের কথা
(ঘ) মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসা
৪) কবিতাংশে উল্লেখিত ‘মা’ হচ্ছেন কবির-
(ক) জন্মদাত্রী মা
(খ) মাতৃভাষা
(গ) মাতৃভুমি
(ঘ) সৎমা
৫) কোনটি করতে পারলে আমাদের জন্ম সার্থক হবে?
(ক) দেশের জন্য কাজ করতে পারলে
(খ) দেশের বাইরে যেতে পারলে
(গ) নয়ন মুদতে পারলে
(ঘ) ধনরতন সংগ্রহ করতে পারলে
উত্তর : ১) (ক) প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিক থেকে; ২) (খ) নয়ন; ৩) (খ) জন্মভূমির প্রতি ভালোবাসা; ৪) (গ) মাতৃভূমি; ৫) (ক) দেশের জন্য কাজ করতে পারলে।
নিচে কয়েকটি শব্দ ও শব্দার্থ দেওয়হলো। উপযুক্ত শব্দটি দিয়ে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ কর।
শব্দ ———অর্থ
সার্থক. ———সফল।
অঙ্গ. ———দেহ।
আকুল ——— উতলা, অভিভূত।
গগন ———আকাশ।
আঁখি ———চোখ।
মুদব ———বন্ধ করব।
ক) খুকী নতুন পুতুলের জন্য ————— হয়ে আছে।
খ) শিশুটির সার————— ঘামে ভেজা।
গ) পূর্ব ————— সূর্যালোকে আলোকিত হয়ে আছে।
ঘ) খুকির ————— অশ্রæতে ছলছল করছে।
ঙ) মায়ের আশীর্বাদ পেলে সন্তানের জীবন ————— হয়।
উত্তর : ক) আকুল; খ) অঙ্গ; গ) গগন; ঘ) আঁখি; ঙ) সার্থক।
নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
ক) কবি নিজেকে সার্থক মনে করেছেন কেন? চারটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : এ দেশে জন্মগ্রহণ করে কবির জন্ম ধন্য হয়েছে। জন্মভূমির রূপ-সুধকবির প্রাণকে আকুল করে। এদেশকে কবি মায়ের মতোই গভীরভাবে ভালোবেসেছেন। এভাবে জন্মভূমিকে ভালোবাসতে পেরে কবি নিজেকে সার্থক মনে করেছেন।
খ) জন্মভূমির প্রতি কবির ভালোলাগার নমুনপাঁচটি বাক্যে তুলে ধর।
উত্তর : জন্মভূমির প্রতি কবির ভালোলাগঅপরিসীম। পাঁচটি বাক্যে তার নমুনতুলে ধরহলো-
১) কবি এ দেশে জন্মগ্রহণ করে নিজেকে সার্থক মনে করেছেন।
২) জন্মভূমির শীতল ছায়কবির অন্তরকে প্রশান্ত করে।
৩) কবি জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত এ দেশেই থাকতে চান।
৪) এদেশের বনের ফুলের গন্ধ তাঁকে আকুল করে।
৫) জীবনের শুরুতে এদেশের আলো দেখেছেন বলে এই আলোতে চোখ রেখেই কবি মৃত্যুবরণ করতে চান।
গ) কবি কেন এদেশের মাটিতেই মৃত্যুবরণ করতে চেয়েছেন? পাঁচটি বাক্যে বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : নিচে পাঁচটি বাক্যে কবির এদেশে মৃত্যুবরণ করতে চাওয়ার কারণ বুঝিয়ে লেখহলো
১) জন্মভূমির রূপে কবির মন-প্রাণ জুড়িয়েছে।
২) এ দেশে জন্ম নিয়ে কবি নিজের জন্মকে সার্থক বলে মনে করেছেন।
৩) কবি এদেশকে মনেপ্রাণে ভালোবেসেছেন।
৪) জন্মভূমিকে কবি মায়ের মতো মনে করেছেন।
৫) তাই এই প্রিয় জন্মভূমিতে থেকেই কবি তাঁর শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করতে চান।
ঘ) দেশকে ঘিরে তোমার ভাবনার কথপাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : দেশকে ঘিরে আমারে ভাবনপাঁচটি বাক্যে তুলে ধরহলো-
১) আমাদের দেশটির প্রকৃতি খুব সুন্দর।
২) এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি সার্থক হয়েছি।
৩) আমি আমার দেশকে অনেক ভালোবাসি।
৪) আমি এদেশের মাটিতেই শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করতে চাই।
৫) আমি দেশের কল্যাণে অবদান রাখতে চাই।
যুক্তবর্ণ বিভাজন ও বাক্যে প্রয়োগ
নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ নিয়ে তৈরি ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ
স্ব, ল্প, তৃ, ত্র, ক্র।
উত্তর :
স্ব = স + ব-ফল( ¦) —————-স্বর
– তার গলার স্বর ভালো নয়।
ল্প = ল + প —————-অল্প
– অল্প আলোতে পড়ঠিক না।
তৃ = ত + ঋ-কার ( ৃ ) —————-তৃষ্ণা
– আমার খুব তৃষ্ণপেয়েছে।
ত্র = ত + র-ফল( ্র )—————-এইমাত্র
– এইমাত্র বাড়ি ফিরলাম।
ক্র = ক + র-ফল( ্র )—————-ক্রমশ
– সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যক্রমশ কমছে।
এককথায় প্রকাশ/ক্রিয়াপদের চলিতরূপ লিখন
এককথায় প্রকাশ কর।
ক) উত্তমরূপে ফলবতী;
খ) যিনি কোনো শিল্পকলার চর্চকরেন;
গ) নানধরনের পাখি;
ঘ) নদী মাতযার;
ঙ) বারণ করহয়নি এমন।
উত্তর : ক) সুফলা; খ) শিল্পী; গ) পাখপাখালি; ঘ) নদীমাতৃক; ঙ) অবারিত।
ক্রিয়াপদের চলিত রূপ লেখ।
বসিয়া, আঁকিতে, চলিয়াছে, দেখিতেছে, জোগাইতেছে, বদলাইয়া।
উত্তর :
সাধু রূপ —————-চলিত রূপ
বসিয়া—————-বসে
আঁকিতে—————-আঁকতে
চলিয়াছে—————-চলেছে
দেখিতেছে—————-দেখছে
জোগাইতেছে—————-জোগাচ্ছে
বদলাইয়া —————- বদলে
- চতুর্থ শ্রেণি | বাংলা | পাঠান মুলুকে | অনুশীলনী ও অতিরিক্ত প্রশ্ন উত্তর
- চতুর্থ শ্রেণি | বাংলা | কাজলা দিদি | অনুশীলনী ও অতিরিক্ত প্রশ্ন উত্তর
- চতুর্থ শ্রেণি | বাংলা | পাখির জগৎ | অনুশীলনী ও অতিরিক্ত প্রশ্ন উত্তর
বিপরীত/সমার্থক শব্দ লিখন
নিচের শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ লেখ।
চেনা, আপন, কেনা, শেষ, প্রশ্ন, হাসি।
উত্তর :
মূল শব্দ —————-বিপরীত শব্দ
চেনা—————-অচেনা
আপন—————-পর
কেনা—————-বেচা
শেষ—————-শুরু
প্রশ্ন—————-উত্তর
হাসি —————- কান্না
নিচের শব্দগুলোর সমার্থক শব্দ লেখ।
বাড়ি, নদী, ভাই, ছবি, বাগান।
উত্তর :
মূল শব্দ —————-সমার্থক শব্দ
বাড়ি—————-গৃহ, আলয়।
নদী—————-স্রোতস্বিনী, গাঙ।
ভাই—————-ভ্রাতা, সহোদর।
ছবি—————-চিত্র, প্রতিকৃতি।
বাগান —————- কানন, বাগিচা।
কবিতার চরণ সাজিয়ে লিখন এবং কবিতা, কবির নাম ও প্রশ্নোত্তর লিখন
নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
এক পাশে তার জারুল গাছে
এই ছবিটি আঁকি,
এমনি পাওয়এই ছবিটি
দুটি হলুদ পাখি-
মনের মধ্যে যখন খুশি
কড়িতে নয় কেনা।
ক) কবিতার লাইনগুলো পর পর সাজিয়ে লেখ।
খ) কবিতাংশটি কোন কবিতার অংশ?
গ) কবিতাটির কবির নাম কী?
ঘ) ‘কড়িতে নয় কেনা’ বলতে কবি এখানে কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর :
ক) কবিতার লাইনগুলো নিচে পর পর সাজিয়ে লেখহলো-
মনের মধ্যে যখন খুশি
এই ছবিটি আঁকি,
এক পাশে তার জারুল গাছে
দুটি হলুদ পাখি-
এমনি পাওয়এই ছবিটি
কড়িতে নয় কেনা।
খ) কবিতাংশটি ‘স্বদেশ’ কবিতার অংশ।
গ) কবিতাটির কবির নাম আহসান হাবীব।
ঘ) কবি মনে মনে বাংলাদেশের শান্ত-শ্যামল প্রকৃতির ছবি আঁকেন। এ ছবি টাকা-পয়সার বিনিময়ে কেনযায় না। এটিই বোঝাতে চেয়েছেন কবি।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।