ব্যবসা সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ১ম | অধ্যায় ৭ | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ২১-২৫ : ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ১ম পত্রের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রশ্নঃ ২১ ‘সামিট কমিউনিকেশন’ এর চিফ মার্কেটিং অফিসার জনাব জুনায়েদ রশিদ ‘সিএমও অব দ্যা ইয়ার ২০১৭ – টেকনোলজি’ অ্যাওয়ার্ডে ভ‚ষিত হয়েছেন। সম্প্রতি সাউথ এশিয়ান পার্টনারশিপ সামিট এবং ওয়ার্ল্ড এইচআরডি কংগ্রেসের যৌথ উদ্যোগে ঢাকাস্থ ‘দ্যা মেরিডিয়ান হোটেল’ এ তাকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়। জনাব জুনায়েদ রশিদ বিভিন্ন সময়ে প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠান থেকে উচ্চ বেতনে চাকরির অফার পেয়েছিলেন। তবে এখানকার আন্তরিকতাপর্ণ কাজের পরিবেশের কারণে তিনি অন্য প্রতিষ্ঠানে যাননি। [ঢাকা কমার্স কলেজ]
ক. প্রেষণা কী? ১
খ. প্রেষণার সাথে উৎপাদনশীলতার সম্পর্ক ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকে জনাব জুনায়েদ রশিদকে যে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে তা দ্বারা মাসলো’র চাহিদা সোপান তত্ত অনুসারে কোন স্তরের চাহিদা পরণ হয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. তুমি কি মনে করো উচ্চ বেতনের চাকরির প্রস্তাব গ্রহণ না করে জনাব জুনায়েদ রশিদ ভুল করেছেন? যুক্তিসহ তোমার মতামত ব্যক্ত করো। ৪
২১ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ কর্মরত কর্মীদের কাজের প্রতি অনুপ্রাণিত বা উৎসাহিত করার প্রক্রিয়াকে প্রেষণা বলে।
খ উত্তরঃ প্রেষণার সাথে উৎপাদনশীলতার ধনাক সম্পর্ক রয়েছে। কর্মীদের সঠিকভাবে প্রেষণা দিতে পারলে তাদের মনোবল কার্যসন্তুষ্টির সৃষ্টি হয়। এর ফলে তারা স্বতঃস্ফ‚র্ততার সাথে কাজ করতে পারে। আর কর্মীরা যখন উচ্চ মনোবল ও স্বতঃ‚র্ততার সাথে কাজ করতে থাকে তখন তাদের কাজে বিচ্যুতির পরিমাণ কম হয়।
এতে তারা অধিক কাজ করতে পারে। ফলে তাদের উৎপাদনশীলতা বাড়ে। তাই বলা যায় প্রেষণা ও উৎপাদনশীলতার সাথে ইতিবাচক সম্পর্ক রয়েছে। অর্থাৎ প্রেষণা বাড়লে উৎপাদনশীলতা বাড়বে, আর প্রেষণা কমলে উৎপাদনশীলতাও কমে।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের জনাব জুনায়েদ রশিদকে যে সম্মাননা দেয়া হয়েছে তা দ্বারা আব্রাহাম মাসলোর চাহিদার সোপান তত্তের আপর্ণতার চাহিদা পরণ হয়েছে। কোনো ব্যক্তির সর্বোচ্চ সামর্থ্য অনুযায়ী নিজস্ব সম্ভাবনা পরিপর্ণরপে অর্জন, উন্নয়ন ও বাস্তবায়নের প্রত্যাশাকে আপর্ণতার চাহিদা বলে।
মাসলোর চাহিদা তত্তে এটি মানব চাহিদার সর্বোচ্চ স্তরে অবস্থিত। এ পর্যায়ে উন্নীত ব্যক্তি শিল্প-সাহিত্যে অবদান, সমাজসেবা ইত্যাদি কাজের মাধ্যমের বিখ্যাত হতে চান। যাতে মৃত্যুর পরও মানুষ তাকে স্মরণ রাখে।
উদ্দীপকের ‘সামিট কমিউনিকেশন’-এর চিফ মার্কেটিং অফিসার জনাব জুনায়েদ রশিদ ‘সিএমও অব দ্যা ইয়ার’ উপাধিতে ভ‚ষিত হয়েছেন। সম্প্রতি একাধিক প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগে ঢাকাস্থ দ্য মেরিডিয়ান হোটেলে তাকে এ সম্মাননা দেয়া হয়।
এতে তিনি যথেষ্ট সম্মানিত বোধ করেছেন। এ উপাধির মাধ্যমে তিনি সকলের মধ্যে পরিচিতি লাভ করেন। মৃত্যুর পরও এ উপাধির জন্য মনে রাখবে। এর মাধ্যমে তার সর্বোচ্চ চাহিদা পরণ হয়েছে। তাই বলা যায়, জনাব জুনায়েদ রশিদের আপর্ণতার চাহিদাপরণ হয়েছে।
ঘ উত্তরঃ উচ্চ বেতনের চাকরির প্রস্তাব গ্রহণ না করে রশিদ সাহেব ভুল করেননি বলে আমি মনে করি। কর্মীদের প্রেষণা দানের দুটি ইতিবাক পদ্ধতি রয়েছে। একটি হলো আর্থিক, অন্যটি অনার্থিক। প্রাথমিক পর্যায়ে কর্মীরা আর্থিক বিষয়কে অধিক গুরুত্বপর্ণ মনে করে থাকে।
তবে উচ্চ পর্যায়ের কর্মীদের কাছে আর্থিকের চেয়ে অনার্থিক বিষয়গুলো ক্ষেত্র বিশেষে বেশি গুরুত্বপর্ণ হয়ে ওঠে। এক্ষেত্রে স্বীকৃতি-সম্মাননা, ভালো কার্য পরিবেশ তাদের বেশি উৎসাহিত করে।
উদ্দীপকের জনাব জুনায়েদ রশিদ ‘সামিট কমিউনিকেশন’-এ চিফ মার্কেটিং অফিসার হিসেবে কর্মরত। তিনি সিএমও অব দ্য ইয়ার ২০১৭-টেকনোলজি উপাধিতে ভ‚ষিত হয়েছেন। এতে তিনি সম্মানবোধ করছেন। তিনি মনে করেন এ বিরল সম্মানের কারণে সবাই তাকে চিনবে। কিন্তু তিনি বিভিন্ন সময়ে প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠান থেকে উচ্চ বেতনের চাকরির অফার পেয়েছিলেন।
জনাব জুনায়েদ রশিদ প্রাপ্ত উপাধির মাধ্যমে সর্বোচ্চ স্তরের চাহিদা পরণ করেছেন। তার কাজের স্বীকৃত স্বরপ এ সম্মাননা দেয়া হয়েছে। এ ধরনের সম্মাননা অর্থের সাথে তুলনীয় নয়। তিনি প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠানে উচ্চ বেতনে যোগদান করতে পারতেন।
কিন্তু এতে তিনি ঐ উপাধি নাও পেতে পারতেন। এতে তার সর্বোচ্চ স্তরের চাহিদা পরণ হতো না। তাই বলা যায়, উচ্চ বেতনের চাকরির প্রস্তাব গ্রহণ না করে জনাব জুনায়েদ রশিদ ভুল করেননি।
প্রশ্নঃ ২২ মি. রহিম একটি প্রতিষ্ঠানের একজন ইলেকট্রিশিয়ান। প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে তাকে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে হয়। মি. রহিমের পরিবার তার কাজ নিয়ে সব সময় উদ্বিগ্ন থাকে। রহিম বিষয়টি প্রতিষ্ঠানের মানব সম্পদ ব্যবস্থাপককে অবহিত করেন। এ প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠান তার বেতন না বাড়িয়ে একটি বিমা করে দেয়। এতে রহিমের কাজের প্রতি আগ্রহ বেড়ে যায়।
[বেপজা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, সাভার; ভিকারুননিসা নন স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
ক. প্রেষণা কী? ১
খ. পুরস্কার কী প্রণোদনা? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকে রহিক উত্তরঃ ে কোন ধরনের প্রেষণা দেয়া হয়েছে? বর্ণনা করো। ৩
ঘ. রহিক প্রদত্ত সুবিধা মাসলোর প্রেষণা তত্তের কোন স্তরের চাহিদা পরণ হয়েছে বলে তুমি মনে করো-যুক্তি দাও। ৪
২২ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ অধীনস্থদের কার্যক্ষমতা পর্ণ ব্যবহারের লক্ষ্যে তাদের কাজের প্রতি অনুপ্রাণিত বা উৎসাহী করার প্রক্রিয়াকে প্রেষণা বলে।
খ উত্তরঃ পুরস্কার প্রদান একটি প্রণোদনামলক কাজ। দক্ষ ও কর্মঠ কর্মীদের জন্য তাদের কাজের স্বীকৃতিস্বরপ পুরস্কার দেওয়া হয়। এতে কর্মীদের কাজের প্রতি আন্তরিকতা বাড়ে। পুরস্কার প্রাপ্তদের অনুসরণ করে অন্যরাও কাজে অনুপ্রাণিত হন। এভাবে পুরস্কার প্রদান করে কর্মীদের উৎসাহিত, উদ্দীপ্ত ও উজ্জীবিত করা যায়। তাই পুরস্কারকে প্রণোদনামলক কাজ বলা যায়।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে রহিক আর্থিক প্রেষণা দেয়া হয়েছে। অর্থ ও আর্থিক সুযোগ সুবিধার সাথে সম্পৃক্ত প্রণোদনামলক ব্যবস্থা হলো আর্থিক প্রেষণা। এর মাধ্যমে কর্মীর মনোবল বাড়ে এবং কাজের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয়। বেতন, বোনাস, পদোন্নতি, বিমা ইত্যাদি আর্থিক প্রেষণার উপাদান।
উদ্দীপকে মি. রহিম একটি প্রতিষ্ঠানের একজন ইলেকট্রিশিয়ান। তাকে প্রতিদিন বিভিন্ন রকম ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয়। মি. রহিমের পরিবার তার কাজ নিয়ে সব সময় উদ্ভিগ্ন থাকে। রহিম বিষয়টি প্রতিষ্ঠানের মানব সম্পদ ব্যবস্থাপককে অবহিত করেন।
এ পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটি তার বেতন না বাড়িয়ে একটি বিমা করে দেয়। এর ফলে ভবিষ্যতে রহিমের কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে তার পরিবার বিমা প্রতিষ্ঠান থেকে আর্থিক ক্ষতিপরণ পাবে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে রহিক উত্তরঃ ে আর্থিক প্রেষণা দেয়া হয়েছে।
ঘ উত্তরঃ রহিক প্রদত্ত সুবিধা মাসলোর প্রেষণা তত্তের নিরাপত্তা স্তরের চাহিদা পরণ হয়েছে বলে আমি মনে করি। সব বিপদ আপদ ও অনিশ্চয়তা থেকে চাকরির স্থায়িত্ব বিধান হলো নিরাপত্তার চাহিদা। কর্মীর চাকরির নিরাপত্তা না থাকলে সর্বদা তিনি চাকরি হারানোর ভয়ে থাকেন। এমতাবস্থায় কর্মী মানসিকভাবে কাজে মনোযোগ দিতে পারেন না।
উদ্দীপকে মি. রহিম একটি প্রতিষ্ঠানের ইলেকট্রিশিয়ান। তাকে প্রতিদিন বিভিন্ন রকমের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয়। বিষয়টি রহিম প্রতিষ্ঠানের মানব সম্পদ ব্যবস্থাপককে অবহিত করলে কর্তৃপক্ষ তার বেতন না বাড়িয়ে একটি বিমা করে দেয়। এতে রহিমের কাজের প্রতি আগ্রহ বাড়ে।
ঝুঁকিমুক্ত ও ভয়হীন পরিবেশে কাজ করতে পারার বিষয়টিকে কার্যক্ষেত্রে নিরাপত্তা হিসেবে গণ্য করা হয়। উদ্দীপকের মি. রহিমও এই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এজন্য প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ তার নামে একটি বিমা করে দেয়। এতে সে নিশ্চিন্তমনে কাজ করতে পারবে।
কারণ দুর্ঘটনায় তার কোনো ক্ষতি হলে বিমা কোম্পানি তাকে বা তার মৃত্যুতে পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপরণ দিবে। তাই আমি মনে করি, উদ্দীপকে রহিক প্রদত্ত বিমা সুবিধা মাসলোর প্রেষণা তত্তের নিরাপত্তা স্তরের চাহিদা পরণ হয়েছে।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
প্রশ্নঃ ২৩ ঢণত লি. একটি পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। এখানে শ্রমিকদের জন্য রয়েছে সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ, চাকরির নিরাপত্তা ও প্রশিক্ষণ সুবিধা। কিন্তু ন্যায্য পারিশ্রমিক ও পরিবহন সুবিধা না থাকায় প্রায়ই কর্মীরা কাজে অমনোযোগী থাকে। ফলে প্রায়ই মালিক-শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দেয়। [গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট কলেজ]
ক. বোনাস কাকে বলে? ১
খ. আপর্ণতার চাহিদা বলতে কী বুঝায়? ২
গ. ঢণত লি.-এ কোন ধরনের প্রেষণাদান পদ্ধতি বিদ্যমান? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে উলিখিত সমস্যা সমাধানে কোন ধরনের প্রেষণা সহায়ক বলে তুমি মনে করো? যুক্তিসহ ব্যাখ্যা করো। ৪
২৩ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ বেতনভাতার অতিরিক্ত যে অর্থ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কর্মীকে প্রদান করা হয় তাকে বোনাস বলে। যেমন- ঈদ, বৈশাখী বোনাস প্রভৃতি।
খ উত্তরঃ কৃতিত্ব অর্জনের সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছানোর আকাক্সক্ষাকেই আপর্ণতার চাহিদা বলে। আপর্ণতার চাহিদা ব্যক্তির সর্বোচ্চ স্তরের চাহিদা। এ স্তরে ব্যক্তি তার শেষ জীবনে সমাজের মাঝে নিজের নাম ও যশকে প্রতিষ্ঠিত দেখতে চায়। এজন্য স্কুলকলেজ, মসজিদ ইত্যাদি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সে মৃত্যুর পরও নিজেকে অমর করে রেখে যেতে আগ্রহী থাকে। বাস্তবে এ স্তরের চাহিদার কোনো শেষ নেই।
গ উত্তরঃ ঢণত লি.-এ অনার্থিক প্রেষণাদান পদ্ধতি বিদ্যমান। অনার্থিক প্রেষণা বলতে কর্মীদের প্রণোদিত করার জন্য অর্থের বাইরে ব্যবহৃত প্রেষণাদানকে বোঝায়। সুষ্ঠু কার্যপরিবেশ, উত্তম ব্যবহার, ভালো কাজের প্রশংসা, প্রশিক্ষণ সুবিধা ইত্যাদি অনার্থিক প্রেষণার অন্তর্গত।
উদ্দীপকে ঢণত লি. একটি পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটিতে শ্রমিকদের জন্য রয়েছে সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ। চাকরির নিরাপত্তা ও প্রশিক্ষণ সুবিধা। এসব সুবিধা কর্মীদের আর্থিক কোনো প্রাপ্তি যোগ করে না। তারপরও এ ধরনের প্রেষণার ফলে কর্মীর মনোবল বাড়ে।
ফলে প্রতিষ্ঠানের প্রতি তারা অনুগত থাকে। উপরোক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো আর্থিক প্রেষণার সাথে সামঞ্জস্যপর্ণ। তাই বলা যায়, ঢণত লি. প্রতিষ্ঠানটিতে অনার্থিক প্রেষণাদান পদ্ধতি বিদ্যমান।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকে উলিখিত সমস্যা সমাধানে আর্থিক প্রেষণা সহায়ক বলে আমি মনে করি। আর্থিক প্রেষণা হলো অর্থ ও আর্থিক সুযোগসুবিধার সাথে সম্পৃক্ত প্রণোদনামলক ব্যবস্থা। বেতন, বোনাস ও যাতায়াত ভাতা প্রদান প্রভৃতি আর্থিক প্রেষণার সাথে জড়িত। আর্থিক প্রেষণা প্রদানের ফলে কর্মীরা কাজের প্রতি আরও বেশি মনোযোগী হয়।
উদ্দীপকে ঢণত লি. একটি পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত শ্রমিকদের সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ, চাকরির নিরাপত্তা ও প্রশিক্ষণ সুবিধা আছে। কিন্তু তাদের ন্যায্য পারিশ্রমিক ও পরিবহন সুবিধা দেওয়া হয় না। ফলে কর্মীরা প্রায়ই তাদের কাজে অমনোযোগী থাকে। ফলে তাদের সাথে মালিকের অসন্তোষ দেখা দেয়।
বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানের সমস্যা সমাধানের জন্য আর্থিক প্রেষণা দিতে হবে। আর্থিক প্রেষণাদানের মাধ্যমে কর্মীর অর্থসংক্রান্ত চাহিদা পরণ করা হয়। এতে কর্মীর মনোবল বাড়ে এবং কাজের প্রতি মনোযোগী হয়। ফলে মালিক ও শ্রমিকের মধ্যে কোনো অসন্তোষ সৃষ্টি হবে না। তাই বলা যায়, একটি প্রতিষ্ঠানে শুধু অনার্থিক প্রেষণা দিলেই হবে না তার পাশাপাশি আর্থিক প্রেষণাও দিতে হবে। তবেই উক্ত সমস্যার সমাধান হবে।
প্রশ্নঃ ২৪ মি. ইসলাম একজন খুচরা যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারী। নিজ হাতে অনেককেই কাজ শিখিয়েছেন। তারা এখন দক্ষ কারিগর। প্রতিষ্ঠানের তারাই মলশক্তি। কর্মীরা যাতে ভালো পরিবেশে কাজ করতে পারে সে বিষয় তিনি সতর্ক থাকেন। প্রতি বছর সবাইকে সাথে নিয়ে ঢাকার বাইরে বেড়াতে যান। তিনি ইদানীং লক্ষ করছেন, তার দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত কিছু কারিগর প্রতিষ্ঠান ছেড়ে চলে যাচ্ছে। এতে তিনি দারুণভাবে ক্ষুব্ধ। সব শুনে বন্ধু মন্টু হাজী বললেন, জীবনযাত্রার ব্যয় যেভাবে বেড়েছে তার প্রতি নজর দিতে মনে হয় তুমি ভুল করেছো।
[নরসিংদী সরকারি মহিলা কলেজ, কুমিলা কমার্স কলেজ]
ক. প্রেষণা কী? ১
খ. চাহিদা সোপান তত্ত বলতে কী বুঝায়? ২
গ. মি. ইসলাম তার প্রতিষ্ঠানে কর্মীদের প্রেষণাদানে কোন পদ্ধতির বিষয়ে যতœবান? তা ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. কর্মীদের ধরে রাখতে মি. ইসলাক উত্তরঃ ে প্রেষণাদানের অন্য পদ্ধতির প্রতি নজর দিতে হবে- এ বক্তব্যের যথার্থতা বিশ্লেষণ করো। ৪
২৪ নং প্রশ্নের উত্তর:
ক উত্তরঃ কর্মীদের কার্যক্ষমতা পর্ণ ব্যবহারের লক্ষ্যে তাদের কাজের প্রতি অনুপ্রাণিত বা উৎসাহী করার প্রক্রিয়াকে প্রেষণা বলে।
খ উত্তরঃ একটা অভাব বা চাহিদা পরণ হলে আরেকটা অভাব সৃষ্টি হয়। চাহিদার এই রপ পরিবর্তনের ধারায় মানুষকে কীভাবে প্রেষিত করা সম্ভব সেই সম্পর্কে মাসলো যে তত্ত দিয়েছে তাকে মাসালোর চাহিদা সোপান তত্ত বলে।
অভাব ও এর পরিতৃপ্তির সাথে প্রেষণার বিষয়টি বিশেষভাবে সম্পর্কযুক্ত। কিন্তু অভাব অসীম এবং একটি অভাব পরণ হলে মানুষের মধ্যে আরেকটি অভাব জাগ্রত হয়। একটি চাহিদা পরণের সাথে সাথেই-এর রপ পরিবর্তন হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে চাহিদার স্তর নির্ধারণ হলো চাহিদা সোপান তত্ত।
গ উত্তরঃ মি. ইসলাম তার প্রতিষ্ঠানে কর্মীদের প্রেষণাদানের অনার্থিক পদ্ধতির বিষয়ে যতœবান। অনার্থিক প্রেষণায় কর্মীদের অর্থ ব্যতীত কর্ক উত্তরঃ ্ষেত্রে কাজ করতে উৎসাহিত করা হয়। সুন্দর, পরিবেশ, নিরাপত্তা, প্রশিক্ষণ প্রভৃতি প্রেষণার অন্যতম আর্থিক উপায়। এর উপস্থিতি কর্মীদের কাজে মনোযোগী করে।
উদ্দীপকে মি. ইসলাম একজন খুচরা যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারী। তিনি নিজ হাতে অনেককেই কাজ শিখিয়েছেন। বর্তমানে তারা দক্ষ কারিগরে পরিণত হয়েছে। কর্মীরা যাতে ভালো পরিবেশে কাজ করতে পারে সে বিষয়ে তিনি সতর্ক থাকেন। প্রতিবছর ঢাকার বাহিরে সবাইকে নিয়ে তিনি বেড়াতে যান।
এর ফলে কর্মীরা বিনোদন পায়। উক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো অনার্থিক প্রেষণার সাথে সামঞ্জ্যসপর্ণ। তাই বলা যায়, মি. ইসলাম কর্মীদের অনার্থিক প্রেষণার বিষয়ে যতœবান।
ঘ উত্তরঃ কর্মীদের ধরে রাখতে মি. ইসলাক প্রেষণাদানের আর্থিক পদ্ধতির প্রতি নজর দিতে হবে- বক্তব্যটি যথার্থ। অ
আর্থিক প্রেষণার মাধ্যমে কর্মী আর্থিকভাবে লাভবান হয়। এতে তাদের অভাববোধ কমে যায়। কর্মীরা প্রতিষ্ঠানের উন্নতির জন্য অধিক মনোযোগী হয়। আর্থিক প্রেষণা ব্যতীত কর্মীদের মধ্যে চাকরি ছাড়ার প্রবণতা দেখা দেয়।
উদ্দীপকে মি. ইসলাম তার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মীদের অনার্থিক প্রেষণা দিচ্ছেন। তারপরও তিনি লক্ষ্য করছেন, ইদানীং তার দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত কিছু কারিগর প্রতিষ্ঠান ছেড়ে চলে যাচ্ছে। এতে তিনি দারুণভাবে ক্ষুব্ধ। তিনি তার বন্ধুর সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করলে তার বন্ধু বলেন জীবনযাত্রার ব্যয় যেভাবে বাড়ছে তার প্রতি নজর না দেয়ায় তুমি ভুল করছো।
প্রতিষ্ঠানের বর্তমান পরিস্থিতিতে কর্মীদের ধরে রাখতে হলে অনার্থিক প্রেষণার পাশাপাশি আর্থিক প্রেষণাও প্রদান করতে হবে। কর্মীদের জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ায় বেতন ও বোনাস বাড়াতে হবে। এছাড়া মুনাফার অংশ, বাসস্থান ও যাতায়াত ভাতা প্রদান করতে হবে। এতে কর্মীদের চাকরি ছাড়ার প্রবণতা কমে যাবে। তাই কর্মীদের প্রতিষ্ঠানে ধরে রাখতে হলে আর্থিকভাবে প্রেষিত করতে হবে- বক্তব্যটি যথার্থ।
প্রশ্নঃ ২৫ বনলতা সেন একটি বুটিক শপের মালিক। ১০ জন বিক্রয়কর্মী ঐ প্রতিষ্ঠানে সকাল ৮টা হতে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কাজ করে। ঈদের সময় কর্মীদের রাত ১২টা অবধি বিক্রয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। তাই বনলতা সেন উক্ত সময়ে কর্মীদের বিক্রয়ের ওপর ৫টি কমিশন প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। [রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজ]
ক. ঢ তত্ত কী? ১
খ. ‘অভাব থেকেই প্রেষণা সৃষ্টি’ ব্যাখ্যা করো। ২
গ. বনলতা সেন ঈদের সময় কর্মীদের কাজ সুষ্ঠুভাবে আদায়ে কোন ধরণের প্রেষণার ব্যবস্থা নিয়েছেন? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. বনলতা সেনের উলিখিত সিদ্ধান্তটির যথার্থতা মল্যায়ন করো।
২৫ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ যে তত্ত অনুযায়ী কর্মীরা কাজ পছন্দ করে না, কাজে ফাঁকি দেয় এবং তাদের কাজ সম্পাদনে বাধ্য করতে হয় তাকে তত্ত বলে।
খ উত্তরঃ কর্মরত কর্মীদের পর্ণ কার্যক্ষমতা ব্যবহারের লক্ষ্যে তাদের কাজের প্রতি অনুপ্রাণিত বা উৎসাহী করার প্রক্রিয়াকে প্রেষণা বলে। প্রেষণা শুরু হয় মলত কর্মীর বিভিন্নমুখী অভাব বা প্রয়োজনবোধ থেকে। কোনো কর্মী প্রয়োজন অনুযায়ী কোনো কিছুর অভাববোধ করলে তার মধ্যে এক ধরনের হতাশা সৃষ্টি হয়।
এ অভাববোধ বুঝেই কর্মীকে প্রেষণা প্রদানের প্রয়োজন হয়, যা কর্মীর হতাশা দর করে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করে। এভাবেই অভাববোধ থেকে প্রেষণা সৃষ্টি হয়।
গ উত্তরঃ বনলতা সেন ঈদের সময় কর্মীদের কাছ থেকে কাজ সুষ্ঠুভাবে আদায়ে আর্থিক প্রেষণার ব্যবস্থা নিয়েছেন।আর্থিক প্রেষণা হলো অর্থ ও আর্থিক সুযোগ-সুবিধার সাথে সম্পৃক্ত এমন প্রণোদনামলক ব্যবস্থা। বেতন, বোনাস, মুনাফার অংশ ও যাতায়াত ভাতা প্রদান প্রভৃতি আর্থিক প্রেষণার সাথে জড়িত। আর্থিক প্রেষণা দেওয়ার মাধ্যমে কর্মীর অর্থসংক্রান্ত চাহিদা পরণ করা হয়।
উদ্দীপকে বনলতা সেন একটি বুটিক শপের মালিক। তার প্রতিষ্ঠানে ১০ জন বিক্রয়কর্মী সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত কাজ করে। ঈদের সময় তাদের রাত ১২ টা পর্যন্ত বিক্রয় কাজে বস্ত থাকতে হয়। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্মীদের বিক্রয়ের ওপর ৫% কমিশন দিবেন। যা আর্থিক প্রেষণার অন্তর্ভুক্ত। তাই বলা যায়, বনলতা সেন ঈদের সময় কর্মীদের কাছ থেকে কাজ সু®ু¤ভাবে আদায়ের জন্য আর্থিক প্রেষণার ব্যবস্থা নিয়েছে।
ঘ উত্তরঃ বনলতা সেন কর্তৃক গৃহীত আর্থিক প্রেষণার সিদ্ধান্তটি সম্পর্ণ যৌক্তিক।আর্থিক (ন্যায্য বেতন, বোনাস, মুনাফার অংশ) সুযোগ-সুবিধা দিয়ে কর্মীদের কাজের প্রতি আগ্রহী করে তোলা যায়। ন্যায্য বেতনের পাশাপাশি বোনাস বা মুনাফার অংশ দিলে কর্মীদের মাঝে ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হয়। ফলে তারা স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে কাজ করতে আগ্রহী হয়।
উদ্দীপকে বনলতা একটি বুটিক শপের মালিক। তার বুটিক শপের কর্মীরা সকল ৮ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত কাজ করে। ঈদের সময় তাদের রাত ১২টা পর্যন্ত বিক্রয় কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। তাই বনলতা সেন কর্মীদের অতিরিক্ত কাজের জন্য বিক্রয়ের ওপর ৫% কমিশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
আর্থিক প্রেষণা কর্মীদের মানসিক অবস্থা পরিবর্তন করে দেয়। এর ফলে কর্মী বাড়তি উদ্দীপনা নিয়ে কাজ করে। উদ্দীপকের বনলতা সেন ও তাই তার বুটিক শপে কর্মরত কর্মীদের বিক্রয়ের উপর ৫% কমিশন দিবেন বলে ঘোষণা দেন। এতে কর্মীদের প্রতিষ্ঠানের প্রতি আন্তরিকতা ও আনুগত্য বেড়ে যাবে। প্রত্যেক কর্মী নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হবে, যা প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় বাড়াতে সহায়ক। তাই আমি মনে করি, বনলতা সেন কর্তৃক গৃহীত আর্থিক প্রেষণার সিদ্ধান্তটি সম্পর্ণ যৌক্তিক।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।