ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় | অধ্যায় ৬ | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ৩১-৩৫ | PDF: ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের ষষ্ট অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের ষষ্ট অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
প্রশ্নঃ ৩১ মি ঢ তার প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের আদেশ-নির্দেশ দেয়ার পূর্বে বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে পরামর্শ করে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত প্রদান করে থাকেন। এতে তার প্রতিষ্ঠানটি শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারে। অপরদিকে, মি ণ সবসময় কর্মচারীরা যা বলে বা যেভাবে পরামর্শ দেয় ও কাজ করতে চায় সেভাবে তাদের কাজ করতে দেন। সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তিনি নির্লিপ্ত থাকেন। এতে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সবসময় তার প্রতিষ্ঠান পিছিয়ে থাকে। [নরসিংদী সরকারি মহিলা কলেজ]
ক. নেতৃত্ব কী? ১
খ. নির্দেশনা সর্বদাই নিচের দিকে প্রবাহিত হয়-ব্যাখ্যা করো। ২
গ. মি. ণ-এর প্রতিষ্ঠানে নির্দেশনার ধরন কী? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. ‘মি. ণ-এর নির্দেশনার ধরনের চেয়ে মি. ঢ-এর নির্দেশনার ধরন উত্তম’ নিদের্শনার ধরন উলেখপূর্বক তোমার মতামত ব্যাখ্যা করো। ৪
৩১ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ অধীনস্থদের প্রভাবিত করে তাদের সর্বাধিক সামর্থ্যকে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনে কাজে লাগানোর কৌশলকে নেতৃত্ব বলে।
খ উত্তরঃ লক্ষ্য অর্জনে অধস্তনদের আদেশ, উপদেশ ও পরামর্শ দেওয়া এবং তত্তাবধান কাজকে নির্দেশনা বলে।
নির্দেশনা সবসময় ঊর্ধ্বতনদের কাছ থেকে স্তরে কর্মরত কর্মীদের কাছে প্রবাহিত হয়। এর মাধ্যমেই কর্মীরা কোনো কাজ, কীভাবে, কখন সম্পাদন করবে সে সম্পর্কে ঊর্ধ্বতনের কাছ থেকে ধারণা পায়।
কিন্তু স্তরের কর্মীরা কখনোই ঊর্ধ্বতন কর্মীদের নির্দেশনা দিতে পারে না। অধীনস্থরা শুধু ঊর্ধ্বতনের আদেশ পালন করতে বাধ্য থাকে। তাই বলা হয়, নির্দেশনা সর্বদাই নিচের দিকে ধাবিত হয়।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের মি. ণ প্রতিষ্ঠানে লাগামহীন নির্দেশনা প্রদান করেন।
লাগামহীন নির্দেশনায় নেতা নিজেকে কাজ থেকে দূরে রাখেন। তিনি প্রতিষ্ঠানের কাজ বাস্তবায়নের জন্য অধস্তনদের ওপর সর্বোতভাবে নির্ভর করেন। ফলে অধস্তন কর্মীরা অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করে।
উদ্দীপকে মি. ণ অধস্তনদের পরিচালনা করেন। এক্ষেত্রে কর্মচারীরা যা বলে বা যেভাবে কাজ করতে চায় তিনি সেভাবে তাদের কাজ করতে দেন। প্রতিষ্ঠানের কোনো সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তিনি নির্লিপ্ত থাকেন ।
এতে কর্মীরা তাদের খেয়াল খুশিমতো কাজ করে। মি. ণ-এর নির্দেশনার সাথে লাগামহীন নির্দেশনার মিল আছে। তাই বলা যায়, মি. ণ-এর প্রতিষ্ঠানে লাগামহীন নির্দেশনা বিদ্যমান।
ঘ উত্তরঃ মি. ণ-এর লাগামহীন নির্দেশনার চেয়ে মি. ঢ-এর পরামর্শমূলক নির্দেশনা উত্তম- উদ্দীপকের আলোকে বক্তব্যটি যৌক্তিক।
পরামর্শমূলক নির্দেশনা পদ্ধতিতে কর্মীদের নির্দেশ দেওয়ার আগে নির্দেশনার বিষয়বস্তু নিয়ে অধস্তনদের সাথে আলাপ-আলোচনা করা হয়। অধস্তনদের পরামর্শ নেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
অপরদিকে লাগামহীন নির্দেশনা পদ্ধতিতে নেতা তার কাজের প্রতি নির্লিপ্ত থাকেন। ফলে কর্মীরা কাজের ক্ষেত্রে উদাসীন থাকে।
উদ্দীপকে মি. ঢ তার প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের আদেশ-নির্দেশ দেওয়ার আগে কর্মচারীদের সাথে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত প্রদান করে থাকেন। এতে কর্মচারীরা যার যার দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন থাকে। ফলে তার প্রতিষ্ঠানটি শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হয়।
অপরদিকে মি. ণ-এর লাগামহীন নির্দেশনা পদ্ধতিতে কর্মীরা তাদের করণীয় কাজ সম্পর্কে বুঝতে পারে না। তারা নিজেদের পছন্দমতো সিদ্ধান্ত নেয়। এতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
ফলে প্রতিষ্ঠান তার কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে না। তাই বলা যায়, লাগামহীন নির্দেশনার চেয়ে পরামর্শমূলক নির্দেশনাই প্রতিষ্ঠানের জন্য উত্তম।
প্রশ্নঃ ৩২ জনাব আরেফুল ইসলাম একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মহা-ব্যবস্থাপক। তিনি প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়নের জন্য সবসময় কাজ করেন। প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের কথা ভেবে বিভিন্ন স্তরে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে আলোচনা করে যেটি প্রতিষ্ঠানের জন্য মঙ্গলজনক সে সিদ্ধান্তই নেন। সাধারণ শ্রমিকদের কোনো অভাব অভিযোগ থাকলে সে বিষয়েও খোঁজখবর নেন। ফলে প্রতিষ্ঠানের উপর থেকে নিচ পর্যন্ত সকলে খুশি। [রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজ]
ক. তত্তাবধান কী? ১
খ. নির্দেশনা সব সময়ই গামী প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করো। ২
গ. একজন নেতা হিসাবে জনাব আরেফুল ইসলাম কোন ধরনের নেতৃত্বে বিশ্বাসী? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. আরেফুল ইসলামের মধ্যে নেতৃত্বের যে গুণগুলো লক্ষণীয় নিজের মতো করে তুলে ধরো। ৪
৩২ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ নির্দেশনা দেওয়া পর অধস্তনরা ঠিকমতো কাজ করছে কি না, তা দেখা এবং প্রয়োজনীয় আদেশ, উপদেশ ও পরামর্শ দেওয়ার কাজকে তত্তাবধান বলে।
খ উত্তরঃ লক্ষ্য অর্জনে অধস্তনদের আদেশ, উপদেশ ও পরামর্শ দেওয়া এবং তত্তাবধান কাজকে নির্দেশনা বলে।
নির্দেশনা সবসময়ই ঊর্ধ্বতনের কাছ থেকে স্তরে কর্মরত কর্মীদের কাছে প্রবাহিত হয়। নির্দেশনার মাধ্যমেই কর্মীরা কোনো কাজ কীভাবে ও কখন সম্পাদন করবে, সে সম্পর্কে ঊর্ধ্বতনের কাছ থেকে ধারণা পায়।
কিন্তু স্তরের কর্মীরা কখনোই ঊর্ধ্বতন কর্মীদের নির্দেশনা দিতে পারেন না। অধীনস্থরা শুধু ঊর্ধ্বতনের আদেশ পালন করতে বাধ্য থাকেন। তাই বলা হয়, নির্দেশনা প্রক্রিয়া সবসময়ই গামী।
গ উত্তরঃ একজন নেতা হিসাবে উদ্দীপকের জনাব আরেফুল ইসলাম গণতান্ত্রিক নেতৃত্বে বিশ্বাসী।
এ নেতৃত্বে নেতা অধস্তনদের সাথে আলাপ-আলোচনা ও পরামর্শ করে কাজ পরিচালনা করেন। এক্ষেত্রে নেতা সব ক্ষমতা নিজের হাতে কেন্দ্রীভ‚ত না রেখে প্রয়োজনীয় কর্তৃত্ব অধীনস্থদের কাছে অর্পণ করেন। তাছাড়া সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে অধীনস্থদের সাথে পরামর্শ করেন।
উদ্দীপকে জনাব আরেফুল ইসলাম একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মহা-ব্যবস্থাপক। তিনি প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়নের জন্য সব সময় কাজ করেন।
প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের কথা ভেবে তিনি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন স্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে আলোচনা করে প্রতিষ্ঠানের জন্য যেটি ভালো সে সিদ্ধান্তই নেন।
এছাড়াও সাধারণ শ্রমিকদের কোনো অভাব-অভিযোগ থাকলে সে বিষয়েও তিনি খোঁজখবর নেন। এ বৈশিষ্ট্যগুলো গণতান্ত্রিক নেতৃত্বের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাই বলা যায়, একজন নেতা হিসাবে জনাব আরেফুল ইসলাম গণতান্ত্রিক নেতৃত্বে বিশ্বাসী।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকের আরেফুল ইসলামের মধ্যে নেতৃত্বের সাংগঠনিক জ্ঞান, অধস্তন কর্মীদের উৎসাহ দান ইত্যাদি গুণগুলো লক্ষণীয়।
সংগঠন প্রতিষ্ঠা ও যোগ্যতার সাথে তা পরিচালনার জ্ঞান ও দক্ষতাই হলো সাংগঠনিক জ্ঞান।
একজন সফল নেতাকে অবশ্যই যোগ্য সংগঠক হওয়া উচিত। অধস্তনরা যাতে স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে তাদের সামর্থ্যরে সর্বোচ্চ ব্যবহার করে কাজ করে তা নিশ্চিত করার সামর্থ্যই হলো নেতার উৎসাহদানের ক্ষমতা।
উদ্দীপকে জনাব আরেফুল ইসলাম একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মহাব্যবস্থাপক। তিনি তার প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়নের জন্য সব সময় কাজ করেন। এ
জন্য তিনি তার প্রতিষ্ঠানে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে আলোচনা করে প্রতিষ্ঠানের জন্য সিদ্ধান্ত নেন। এছাড়াও তিনি শ্রমিক কর্মীদের অভাব অভিযোগের খোঁজখবর রাখেন। এর ফলে প্রতিষ্ঠানের উপর থেকে নিচ স্তর পর্যন্ত সকলেই খুশি থাকে।
জনাব আরেফুল ইসলাম তার সাংগঠনিক জ্ঞান ও কর্মীদের কাজে উৎসাহদানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। ফলে দক্ষ নেতৃত্বের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের কাজের অগ্রগতি বৃদ্ধি পায়।
এছাড়াও এই ধরনের নেতা আদর্শ নেতৃত্বের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্যের দিকে পরিচালিত করেন। ফলে প্রতিষ্ঠান তার নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হয়। তাই বলা যায়, জনাব আরেফুল ইসলামের নেতৃত্বের সাংগঠনিক জ্ঞান ও অধস্তন কর্মীদের উৎসাহ দান ইত্যাদি গুণগুলো লক্ষণীয়।
প্রশ্নঃ ৩৩ জনাব আশিকের সদ্য প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ে তিনি কঠোর পরিশ্রম করেন। তিনি কর্মীদের সাথে উত্তম ব্যবহার করেন এবং তার আত্মবিশ্বাস, দূরদর্শিতার জন্য তিনি দ্রুত ব্যবসায়ে সফলতা পেলেন। তিনি সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কর্মীদের অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ায় প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীলতা ও পণ্যের গুণগত মান বৃদ্ধি পেয়েছে এবং পণ্যের বাজার সম্প্রসারিত হয়েছে। [পাবনা সরকারি মহিলা কলেজ]
ক. নেতৃত্ব কী? ১
খ. গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব উত্তম কেন? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. প্রতিষ্ঠানটিতে কোন ধরনের নেতৃত্ব বিদ্যমান? উদ্দীপকের আলোকে ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. নেতৃত্বের সাফল্যের জন্য উদ্দীপকে উলিখিত গুণাবলিই কি যথেষ্ট? তোমার মত আলোচনা করো। ৪
৩৩ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ অধীনস্থদের প্রভাবিত করে তাদের সর্বাধিক সামর্থ্যকে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনে কাজে লাগানোর কৌশলকে নেতৃত্ব বলে।
খ উত্তরঃ যে নেতৃত্বে নেতা অধীনস্থদের সাথে আলাপ-আলোচনা ও পরামর্শ করে কাজ পরিচালনা করেন তাকে গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব বলে।
এক্ষেত্রে নেতা সব ক্ষমতা নিজের হাতে কেন্দ্রীভ‚ত না রেখে প্রয়োজনীয় কর্তৃত্ব অধীনস্থদের অর্পণ করেন। তাছাড়া সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অধীনস্থদের সাথে পরামর্শ করেন। এ কারণে নেতার প্রতি তাদের ইতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হয়।
ফলে এরূপ নেতৃত্বের প্রতি অধীনস্থরা সন্তুষ্ট থাকে। এতে কর্মীদের কাজের প্রতি মনোবল বৃদ্ধি পায় এবং তার সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা করে। এজন্যই বলা হয, গণতান্ত্রিক নেতৃত্বই উত্তম।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটিতে গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব বিদ্যমান।
এ নেতৃত্বে নেতা নিজের কাছে সব ক্ষমতা কেন্দ্রীভ‚ত না রেখে অধীনস্থদের সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে কাজ পরিচালনা করেন। ফলে এরূপ নেতৃত্ব অধীনস্থদের মনে স্বতঃস্ফ‚র্ততা জাগিয়ে তোলে। এতে প্রতিষ্ঠানের কাজে গতি আসে।
উদ্দীপকে জনাব আশিক সদ্য প্রতিষ্ঠিত একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক। তিনি সেখানে কঠোর পরিশ্রম করেন। প্রতিষ্ঠানের যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি কর্মীদের অংশগ্রহণের সুযোগ দেন।
কর্মীদের মতামতের ভিত্তিতেই তিনি প্রতিষ্ঠানের চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন। এ বৈশিষ্ট্যগুলো গণতান্ত্রিক নেতৃত্বের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানে গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব বিদ্যমান।
ঘ উত্তরঃ নেতৃত্বের সাফল্যের জন্য উদ্দীপকে উলিখিত গুণাবলিই (আত্মবিশ্বাস, দূরদর্শিতা ও উত্তম আচরণ) যথেষ্ট নয় বলে আমি মনে করি।
নেতৃত্বের মাধ্যমে কোনো দল বা গোষ্ঠীকে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। তাই যেকোনো প্রতিষ্ঠানের সফলতা লাভের জন্য নেতৃত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একজন আদর্শ নেতা তার নেতৃত্বের মাধ্যমেই কাজে সফলতা অর্জন করেন।
যেকোনো পরিস্থিতিতে নেতা নির্ভীকভাবে লক্ষ্যপানে এগিয়ে যান।
উদ্দীপকে জনাব আশিক সদ্য প্রতিষ্ঠিত একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক। তিনি সেখানে কঠোর পরিশ্রম করেন। তার নেতৃত্বের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হয়। একজন নেতা হিসাবে তার মধ্যে আছে আত্মবিশ্বাস, দূরদর্শিতা, আর কর্মীদের সাথে ভালো ব্যবহার করার গুণ।
একজন আদর্শ নেতা হিসেবে জনাব আশিকের মধ্যে উদ্দীপকে উলিখিত গুণগুলো যথেষ্ট নয়। আমি মনে করি তার মধ্যে আরও গুণ থাকা প্রয়োজন। যেমন : সাহস, ধৈর্য, ঝুঁকি গ্রহণের মানসিকতা, অধস্তন সম্পর্কে জ্ঞান, ন্যায়পরায়ণতা, শিক্ষা ইত্যাদি।
এসব গুণ অর্জনের মাধ্যমে একজন নেতা সঠিকভাবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে পারেন। সুতরাং, নেতৃত্বের সাফল্যের জন্য উদ্দীপকে উলিখিত গুণাবলির পাশাপাশি এসব গুণও থাকা প্রয়োজন।
প্রশ্নঃ ৩৪ কেয়া লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব কবির বিশ্বাস করেন যে কর্মীরা ব্যক্তিগত অসুবিধা ছাড়া কাজে ফাঁকি দেয় না। সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাদের অংশগ্রহণের সুযোগ দিলে কাজের প্রতি তাদের অঙ্গীকার বেড়ে যায়। তবে প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে যেকোনো ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে তিনি কুণ্ঠাবোধ করেন না। তবে আবেগের বশবর্তী হয়ে তিনি কোনো কাজ করেন না। যেকোনো সিদ্ধান্তের তাৎক্ষণিক প্রাপ্তির চেয়ে দীর্ঘমেয়াদি প্রাপ্তিকে অধিক গুরুত্ব দেন। মিষ্টভাষী জনাব কবিরকে অনেকেই ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ করে। [দিনাজপুর সরকারি কলেজ]
ক. আনুষ্ঠানিক নেতৃত্ব কী? ১
খ. নেতৃত্বের ওপর আস্থাবোধ সৃষ্টি কেন গুরুত্বপূর্ণ? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. ক্ষমতা প্রয়োগের ভিত্তিতে জনাব কবিরের নেতৃত্বের ধরন ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. একজন আদর্শ নেতার গুণাবলির আলোকে জনাব কবীরকে মূল্যায়ন করো। ৪
৩৪ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ যে নেতৃত্বে প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ম-নীতি অনুসারে অধনস্থদের পরিচালিত করা হয় তাকে আনুষ্ঠানিক নেতৃত্ব বলে।
খ উত্তরঃ অধীনস্থদের প্রভাবিত করে তাদের সর্বাধিক সামর্থ্যকে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনে কাজে লাগানোর কৌশলকে নেতৃত্ব বলে।
ব্যবস্থাপনার একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো নেতৃত্ব। এ নেতৃত্বের মাধ্যমে নেতা তার অধীনস্থ কর্মীদের পরিচালিত করে। কর্মীরাও তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ মানতে বাধ্য থাকে।
এক্ষেত্রে নেতা যেভাবে নির্দেশ দেন কর্মীরা ঠিক সেভাবেই কাজ করে। কর্মীদের ওপর সম্পূর্ণ আস্থা অর্জন করতে পারলেই তাদের দিয়ে কাজ করানো সম্ভব হয়। তাই নেতৃত্বের ওপর আস্থাবোধ সৃষ্টি গুরুত্বপূর্ণ।
গ উত্তরঃ ক্ষমতা প্রয়োগের ভিত্তিতে জনাব কবিরের নেতৃত্বটি হলো গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব।
এ নেতৃত্বে নেতা তার অধীনস্থদের সাথে আলাপ-আলোচনা, পরামর্শ করে কাজ পরিচালনা করেন। এক্ষেত্রে নেতা সব ক্ষমতা নিজের হাতে কেন্দ্রীভ‚ত না রেখে প্রয়োজনীয় কর্তৃত্ব অধীনস্থদের কাছে অর্পণ করে। এছাড়া সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অধীনস্থদের সাথে সলাপরামর্শ করে।
উদ্দীপকে কেয়া লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব কবির। তিনি বিশ্বাস করেন কর্মীরা ব্যক্তিগত অসুবিধা ছাড়া কাজে ফাঁকি দেয় না। তিনি মনে করেন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তাদের অংশগ্রহণের সুযোগ দিলে কাজের প্রতি তাদের অঙ্গীকার বাড়বে।
তাই তিনি প্রতিষ্ঠানের যে কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে তাদের সাথে আলোচনা করতে কুণ্ঠাবোধ করেন না। এ বৈশিষ্ট্যগুলো গণতান্ত্রিক নেতৃত্বে সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাই বলা যায়, ক্ষমতা প্রয়োগের ভিত্তিতে জনাব কবিরের নেতৃত্বটি হলো গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকের জনাব কবীরের মধ্যে একজন আদর্শ নেতার সাংগঠনিক জ্ঞান ও দক্ষতার গুণাবলির বিদ্যমান, যা প্রতিষ্ঠানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
সংগঠন প্রতিষ্ঠা ও যোগ্যতার সাথে তা পরিচালনার জ্ঞান ও দক্ষতা হলো সাংগঠনিক জ্ঞান ও দক্ষতা। একজন সফল নেতাকে অবশ্যই যোগ্য সংগঠক হওয়া উচিত। এর মাধ্যমে তিনি প্রতিষ্ঠানকে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারবেন।
উদ্দীপকে কেয়া লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব কবির প্রতিষ্ঠানের যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে অধীনস্থদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে নেন। আবেগের বশবর্তী হয়ে তিনি প্রতিষ্ঠানের কোনো সিদ্ধান্ত নেন না। তার মিষ্টভাষী আচরণের কারণে তাকে অনেকেই ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ করে।
একজন আদর্শ নেতার মধ্যে সাংগঠনিক জ্ঞান ও দক্ষতা থাকা খুবই জরুরি। এই জ্ঞানের বলে তিনি তার প্রতিষ্ঠানকে কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে পারেন। এই গুণের দ্বারা নেতা আবেগকে গুরুত্ব না দিয়ে বাস্তবতার আলোকে সিদ্ধান্ত নেন।
উদ্দীপকে জনাব কবিরও তার সাংগঠনিক জ্ঞান ও দক্ষতার বলে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন, যা উক্ত প্রতিষ্ঠানকে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে সক্ষম হবে। তাই বলা যায়, জনাব কবিরের সাংগঠনিক জ্ঞান ও দক্ষতার গুণাবলি প্রতিষ্ঠানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্নঃ ৩৫ গ্রিন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব কবির বিশ্বাস করেন যে কর্মীরা ব্যক্তিগত অসুবিধা ছাড়া কাজে ফাঁকি দেয় না। সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাদের অংশগ্রহণের সুযোগ দিলে কাজের প্রতি তাদের অঙ্গীকার বৃদ্ধি পায়। তবে প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে যেকোনো ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে তিনি কুণ্ঠাবোধ করে না। তবে আবেগের বশবর্তী হয়ে তিনি কাজ করেন না। যেকোনো সিদ্ধান্তের তাৎক্ষণিক প্রাপ্তির চেয়ে দীর্ঘমেয়াদি প্রাপ্তিকে তিনি অধিক গুরুত্ব দেন। [কুমিলা কমার্স কলেজ]
ক. তত্তাবধান কী? ১
খ. নির্দেশনাকে প্রশাসনের হৃৎপিণ্ড বলা হয় কেন? ২
গ. ক্ষমতা প্রয়োগের ভিত্তিতে জনাব কবিরের নেতৃত্বের ধরন ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. একজন আদর্শ নেতার গুণাবলির আলোকে জনাব কবিরকে মূল্যায়ন করো। ৪
৩৫ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ নির্দেশনা আরোপ করার পর অধস্তনরা ঠিকভাবে কাজ করছে কিনা, তা তদারকি করা এবং প্রয়োজনে পরামর্শ প্রদান করার কাজকে তত্তাবধান বলে।
খ উত্তরঃ লক্ষ্য অর্জনে অধস্তনদের আদেশ, উপদেশ ও পরামর্শ দেওয়া এবং তত্তাবধান কাজকে নির্দেশনা বলে।
হৃৎপিণ্ড মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সচল রাখতে সাহায্য করে। এটি কাজ না করলে মানুষ অচল হয়ে পড়ে।
ঠিক তেমনিভাবে একটি প্রতিষ্ঠানের প্রশাসন যেসব পরিকল্পনার নিয়ম-নীতি প্রণয়ন করে সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য কর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া প্রয়োজন। নির্দেশনা দেওয়া না হলে প্রশাসনের কার্যক্রম ব্যাহত হয়। এজন্যই নির্দেশনাকে প্রশাসনের হৃৎপিণ্ড বলা হয়।
গ উত্তরঃ ক্ষমতা প্রয়োগের ভিত্তিতে জনাব কবির পিতৃসুলভ নেতৃত্ব প্রদান করেন।
এ নেতৃত্বে নেতা অধস্তনদের সাথে সদয় ব্যবহার করেন এবং শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত করে তাদের কাছ থেকে কাজ আদায়ের চেষ্টা করেন। নেতা এক্ষেত্রে কর্মীদের অভাব-অভিযোগের প্রতি মনোনিবেশ করেন। ¯েœহ ও মমতা প্রদানের মাধ্যমে কাজ আদায় করেন।
উদ্দীপকে জনাব কবির গ্রিন লিমিটেডের একজন ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি বিশ্বাস করেন কর্মীরা ব্যক্তিগত অসুবিধা ছাড়া কাজে ফাঁকি দেয় না। এছাড়াও তিনি মনে করেন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কর্মীদের অংশগ্রহণের সুযোগ দিলে কাজের প্রতি তাদের অঙ্গীকার বৃদ্ধি পাবে।
তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি কোনো কুণ্ঠাবোধ করেন না। উপরোক্ত নেতৃত্বটি পিতৃসুলভ নেতৃত্বের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। তাই বলা যায়, জনাব কবিরের নেতৃত্বটি হলো পিতৃসুলভ নেতৃত্ব।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
ঘ উত্তরঃ একজন আদর্শ নেতার গুণাবলির আলোকে জনাব কবিরকে একজন আদর্শ নেতা বলা যায়।
প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার জন্য একজন নেতার যেসব দক্ষতা থাকতে হয় সেগুলোই হলো আদর্শ নেতার গুণাবলি।
একজন নেতা তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে অধস্তনদের সাথে নিয়ে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনে সচেষ্ট হন। এক্ষেত্রে একজন নেতা তার ব্যক্তিত্ব, দক্ষতা, বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য অর্জন করেন।
উদ্দীপকে গ্রিন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব কবির প্রতিষ্ঠানের যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে কর্মীদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা দেন।
তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি আবেগের বশবর্তী হয়ে সিদ্ধান্ত নেন না। তিনি যেকোনো সিদ্ধান্তের তাৎক্ষণিক প্রাপ্তির চেয়ে দীর্ঘমেয়াদি প্রাপ্তিকে অধিক গুরুত্ব দেন, যা একজন আদর্শ নেতার থাকা প্রয়োজন।
জনাব কবির তার সাংগঠনিক গুণাবলির দ্বারা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। সিদ্ধান্ত নিতে তিনি কোনো কুণ্ঠাবোধ না করলেও কর্মীদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা তিনি দেন। এতে কর্মীরা যেমন উদ্দীপ্ত হন, তেমনি কাজেও মনোযোগী হন।
ফলে তার দক্ষ নেতৃত্বের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের কাজের অগ্রগতি বৃদ্ধি পায়। খুব সহজেই প্রতিষ্ঠান সফলতা অর্জন করতে সক্ষম। তাই বলা যায়, জনাব কবির একজন আদর্শ নেতা।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।