ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় | অধ্যায় ৬ | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ২১-২৫ | PDF: ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের ষষ্ট অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের ষষ্ট অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
প্রশ্নঃ ২১ ‘ভার্টিক্যাল ডিজাইন’ একটি উৎপাদনমুখী প্রতিষ্ঠান। এতে প্রায় ২,০০০ জন কর্মী কর্মরত আছেন। উক্ত প্রতিষ্ঠানের মহাব্যবস্থাপক মনে করেন যে, কর্তৃপক্ষের যথাযথ তদারকির অভাবে কর্মীরা অলস হয়ে যাচ্ছে। ফলে প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীলতাও হ্রাস পাচ্ছে। তাই তিনি কর্মীদের কাজে নজরদারি বৃদ্ধি ও প্রয়োজনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার মাধ্যমে কাজ আদায় করতে চান। এছাড়াও পরিকল্পনা প্রণয়নে কর্মীদের কোনো প্রকার সুযোগ না দিয়ে কর্তৃপক্ষের একক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে মনস্থির করেছেন। [আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা]
ক. নির্দেশনা কী? ১
খ. ‘পরামর্শমূলক নির্দেশনা কর্মীদের মেধা বিকাশের সুযোগ বৃদ্ধি করে’ ব্যাখ্যা করো। ২
গ. ‘ভার্টিক্যাল ডিজাইন’-এর কর্তৃপক্ষ কোন ধরনের নেতৃত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. ‘উদ্দীপকের পরিস্থিতিই শিল্প প্রতিষ্ঠানের বাস্তব নমুনা বিবেচনা করে’ বাংলাদেশের জন্য উপযুক্ত নেতৃত্বের ধরন যুক্তিসহ উপস্থাপন করো। ৪
২১ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ লক্ষ্য অর্জনে অধস্তনদের আদেশ, উপদেশ ও পরামর্শ দেওয়া এবং তত্তাবধান কাজকে নির্দেশনা বলে।
খ উত্তরঃ যারা নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবে তাদের সাথে মতবিনিময় বা পরামর্শ করে নির্দেশনার বিষয়বস্তু ঠিক করার প্রক্রিয়াকে পরামর্শমূলক নির্দেশনা বলে। আধুনিক ব্যবস্থাপনায় নির্দেশনা দেওয়ার উত্তম পদ্ধতি হলো পরামর্শমূলক নির্দেশনা।
এটি একটি গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ পদ্ধতি। এখানে নির্দেশনা দেওয়ার আগে অধস্তন কর্মীদের সুচিন্তিত পরামর্শ গ্রহণ করা হয়, যা অধস্তনদের চিন্তার জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করে।
এর ফলে তারা তাদের সুবিধা-অসুবিধা ভাবতে পারে এবং ব্যবহারিক জ্ঞানের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করতে পারে। তাই বলা হয়, পরামর্শমূলক নির্দেশনা কর্মীদের মেধা বিকাশের সুযোগ বৃদ্ধি করে।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের ‘ভার্টিক্যাল ডিজাইন’ কর্তৃপক্ষ স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছে। এ নেতৃত্বে নেতা সব ক্ষমতা নিজের কাছে রাখেন। তিনি পছন্দমতো এককভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এ নেতৃত্বে নেতা নিজে যা ভালো মনে করেন তা-ই করেন। তিনি তার কাজের জন্য কারও কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকেন না।
উদ্দীপকে ‘ভার্টিক্যাল ডিজাইন’ একটি উৎপাদনমুখী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটিতে লাগামহীন নেতৃত্ব থাকায় প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীলতা দিন দিন কমে যাচ্ছে। তাই প্রতিষ্ঠানটির মহাব্যবস্থাপক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্মীদের কাজে নজরদারি বৃদ্ধি করবেন।
প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার মাধ্যমে কর্মীদের মতামতের কোনো সুযোগ না দিয়ে কর্তৃপক্ষ একক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের মনস্থির করেছেন। এ বৈশিষ্ট্যগুলো স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্বের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাই বলা যায়, ‘ভার্টিক্যাল ডিজাইন’-এর কর্তৃপক্ষ স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছেন।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকের পরিস্থিতিতে শিল্প প্রতিষ্ঠানের বাস্তব নমুনা বিবেচনা করে বাংলাদেশের জন্য স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্ব উপযুক্ত হবে। এ নেতৃত্বে নেতা অধীনস্থ কর্মীদের ওপর অতিমাত্রায় কর্তৃত্বশালী হন। এক্ষেত্রে নেতা অধস্তনদের ক্ষমতার কোনো সুযোগ দেন না। নেতা নিজে যা ভালো মনে করেন তাই করেন।
উদ্দীপকে ‘ভার্টিক্যাল ডিজাইন’ একটি উৎপাদনমুখী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটিতে প্রায় ২,০০০ জন কর্মী কর্মরত আছেন।
উক্ত প্রতিষ্ঠানের মহাব্যবস্থাপক মনে করেন, কর্তৃপক্ষের যথাযথ তদারকির অভাবে কর্মীরা কাজে ফাঁকি দিয়ে অলস সময় কাটাচ্ছে। এ কারণেই প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীলতা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে।’
উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটি প্রথম দিকে যে নেতৃত্ব অনুসরণ করেছে তাতে কর্মীদের মধ্যে অলসতা ও অবহেলার প্রবণতা দেখা দেয়। এটি শুধু উক্ত প্রতিষ্ঠানের চিত্রই নয়; এটি পুরো বাংলাদেশের চিত্র। এ অবস্থায় প্রতিষ্ঠানে স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্ব প্রয়োগ করা উচিত।’
এর ফলে কর্মীরা নেতার নির্দেশ মানতে বাধ্য থাকবে। কাজের চাপ ও শাস্তির ভয়ে তারা দ্রুত কাজ করবে। এই নেতৃত্ব কর্মীরা অপছন্দ করলেও মাঝে মাঝে এটি প্রতিষ্ঠানে অনেক সাফল্য নিয়ে আসে।
তাই আমি মনে করি, উদ্দীপকের পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের জন্য স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্বই উপযোগী হবে।
প্রশ্নঃ ২২ জনাব শফিক ও শাহিন দুজন দু’টি প্রতিষ্ঠানের সাধারণ ব্যবস্থাপক। জনাব শফিক অধস্তনদের সাথে রূঢ় আচরণ করেন। কারো মতামতের কোনো গুরুত্ব না দিয়ে তিনি নিজের খাম-খেয়ালিপনা চরিতার্থ করেন। তাই কর্মীরা খুবই অসন্তুষ্ট। অন্য দিকে জনাব শাহিন কর্মীদের সাথে কাজের বিষয়ে আলাপ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেন, তাদের অসুবিধার কথা শোনেন এবং সমাধানের চেষ্টা করেন। সিদ্ধান্ত গ্রহণে মতামত দেওয়ার সুযোগ পেয়ে কর্মীরাও সন্তুষ্ট। [নটর ডেম কলেজ, ঢাকা]
ক. লাগামহীন নেতৃত্ব কী? ১
খ. পরামর্শমূলক নির্দেশনা কী? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকে জনাব শফিক তার প্রতিষ্ঠানে কোন ধরনের নেতৃত্ব দান করছেন বলে তুমি মনে করো? এ ধরনের নেতৃত্বের প্রভাব মূল্যায়ন করো। ৩
ঘ. “আধুনিক ব্যবস্থাপনায় জনাব শাহিনের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠানকে উন্নত ও প্রতিযোগিতাশীল করতে পারে।” এ বক্তব্যের যথার্থতা মূল্যায়ন করো। ৪
২২ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ যে নেতৃত্বে নেতা নিজে কাজ থেকে দূরে থাকেন এবং অধস্তনদের ওপর সার্বিকভাবে নির্ভর করেন তাকে লাগামহীন নেতৃত্ব বলে।
খ উত্তরঃ সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে অধস্তনদের সাথে মতবিনিময় বা পরামর্শ করে নির্দেশনা দেওয়াকে পরামর্শমূলক নির্দেশনা বলে। এরূপ নির্দেশনায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে কর্মীদেরকে সমস্যা সম্পর্কে ভাবতে সুযোগ দেওয়া হয়।
এর ফলে কর্মীরা উদ্ভ‚ত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বোত্তম করণীয় কী, তা নির্ধারণের মতামত ব্যক্ত করে থাকে। ফলে তাদের কাজে উৎসাহ উদ্দীপনা বেড়ে যায়। এতে লক্ষ্য অর্জন সহজ হয়।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে জনাব শফিক তার প্রতিষ্ঠানে স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্ব দান করছেন। এ নেতৃত্বে নেতা সব ক্ষমতা নিজের হাতে কেন্দ্রীভ‚ত করে রাখেন। এক্ষেত্রে তিনি নিজের ইচ্ছামতো সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। নেতাকর্মী ও তাদের অনুসারীদেরকে ভয়-ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে কাজ আদায় করে থাকেন।
উদ্দীপকে জনাব শফিক ও শাহিন দুজনে দুটি প্রতিষ্ঠানের সাধারণ ব্যবস্থাপক। জনাব শফিক যে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করছেন সেখানে তিনি অধস্তনদের সাথে রূঢ় আচরণ করেন। সিদ্ধান্ত গ্রহণে তিনি কারো মতামতকে গুুরুত্ব দেন না।
এছাড়াও তিনি প্রতিষ্ঠানে খাম-খেয়ালি আচরণ করেন। এ বৈশিষ্ট্যগুলো স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্বের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাই বলা যায়, জনাব শফিক তার প্রতিষ্ঠানে স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্ব দান করছেন।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকে জনাব শাহীনের নেতৃত্বটি হলো গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব; যা আধুনিক ব্যবস্থাপনায় প্রতিষ্ঠানকে উন্নত ও প্রতিযোগিতাশীল করতে পারে উক্তিটি সম্পূর্ণ যৌক্তিক। এ নেতৃত্বে নেতা সব ক্ষমতা নিজের কাছে না রেখে প্রয়োজনীয় কর্তৃত্ব অধস্তনদের কাছে হস্তান্তর করেন। এক্ষেত্রে নেতা সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় অধস্তনদের অংশগ্রহণের সুযোগ দেন এবং তাদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ নেন।
উদ্দীপকে জনাব শাহিন একটি প্রতিষ্ঠানের সাধারণ ব্যবস্থাপক। তিনি প্রতিষ্ঠানের কাজ সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় কর্মীদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেন। এছাড়াও তিনি কর্মীদের অসুবিধার কথা শোনেন এবং তা সমাধানেরও চেষ্টা করেন। এ বৈশিষ্ট্যগুলো গণতান্ত্রিক নেতৃত্বের স্বরূপ।
গণতান্ত্রিক নেতৃত্বের ফলে কর্মীরা নেতার প্রতি সব সময় আনুগত্য ও শ্রদ্ধাশীল থাকে। ফলে নেতা কর্মীদের যেভাবে নির্দেশ দেন, কর্মীরা ঠিক সেভাবেই তাদের কাজ বাস্তবায়ন করে। ফলে প্রতিষ্ঠান খুব দ্রুত উন্নতি করতে পারে এবং যেকোনো প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারে। উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানেও গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব বিদ্যমান; যা প্রতিষ্ঠানটির উন্নতি সাধনে ও প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে সহায়তা করে।
প্রশ্নঃ ২৩ আজাদ চৌধুরী মডার্ন সিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিজ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। শ্রমিক কর্মীদের মতামতের প্রতি গুরুত্বারোপ করে তিনি কাজ পরিচালনা করে থাকেন। তিনি কর্মীদের অভাব-অভিযোগ শুনে তা সমাধানের চেষ্টা করে থাকেন। নীতি নির্ধারণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে মতামত দেওয়ার সুযোগ পেয়ে কর্মীরাও কর্তৃপক্ষের প্রতি সন্তুষ্ট। কর্মী ব্যবস্থাপনা ও পণ্যের মানের কারণে প্রতিষ্ঠানটি ওঝঙ সনদ লাভ করেছে। তবে সম্প্রতি প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠানের ইন্ধনে কিছু শ্রমিক উক্ত প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। [হলি ক্রস কলেজ, ঢাকা]
ক. নেতৃত্ব কী? ১
খ. নির্দেশনাকে প্রশাসনের হৃৎপিণ্ড বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত প্রতিষ্ঠানে কোন ধরনের নির্দেশনা বিদ্যমান ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় কোন ধরনের নেতৃত্ব অধিক কার্যকর বলে তুমি মনে করো? যুক্তিসহ মতামত দাও। ৪
২৩ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ অধস্তনদের প্রভাবিত করে তাদের সর্বাধিক সামর্থ্যকে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনে কাজে লাগানোর কৌশলকে নেতৃত্ব বলে।
খ উত্তরঃ লক্ষ্য অর্জনে অধস্তনদের আদেশ, উপদেশ ও পরামর্শ দেওয়া তত্তাবধান কাজকে নির্দেশনা বলে। হৃৎপিণ্ড মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সচল রাখতে সাহায্য করে। এটি কাজ না করলে মানুষ অচল হয়ে পড়ে।
ঠিক তেমনিভাবে একটি প্রতিষ্ঠানের প্রশাসন যেসব পরিকল্পনা, নিয়ম-নীতি প্রণয়ন করে সেসব কাজগুলো বাস্তবায়নের জন্য কর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া প্রয়োজন। নির্দেশনা দেওয়া না হলে প্রশাসনের কার্যক্রম ব্যাহত হয়। এজন্যই নির্দেশনাকে প্রশাসনের হৃৎপিণ্ড বলা হয়।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে বর্ণিত প্রতিষ্ঠানে পরামর্শমূলক নির্দেশনা বিদ্যমান। এ পদ্ধতিতে নেতা নির্দেশনার বিষয়বস্তু নিয়ে অধস্তনদের সাথে আলাপ-আলোচনা করেন। তিনি তাদের কাজ থেকে বিভিন্ন পরামর্শ নেওয়ার চেষ্টা করেন।
এক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন ও অধস্তনদের মধ্যে সুসম্পর্ক লক্ষ্য করা যায়। ফলে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনে সবাই স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে কাজ করেন।
উদ্দীপকে আজাদ চৌধুরী মডার্ন ইন্ডাস্ট্রিজ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মীদের মতামতের প্রতি গুরুত্বারোপ করে কাজ পরিচালনা করেন। এছাড়াও তিনি কর্মীদের অভাব-অভিযোগ শুনে তা সমাধানের চেষ্টা করেন।
প্রতিষ্ঠানের নীতি-নির্ধারণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে মতামত দেওয়ার সুযোগ পেয়ে কর্মীরা কর্তৃপক্ষের প্রতি সন্তুষ্ট। এ বৈশিষ্ট্যগুলো পরামর্শমূলক নির্দেশনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে বর্ণিত প্রতিষ্ঠানে পরামর্শমূলক নির্দেশনা বিদ্যমান।
ঘ উত্তরঃ উদ্ভ‚ত পরিস্থিতি মোকাবিলায় উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানে স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্ব অধিক কার্যকর বলে আমি মনে করি।
এ নেতৃত্বে নেতা সব ক্ষমতা নিজের কাছে কেন্দ্রীভ‚ত করে রাখেন। তিনি নিজের ইচ্ছেমতো সিদ্ধান্ত নেন। এরূপ নেতৃত্বে নেতা নিজে যা ভালো মনে করেন তাই করেন।
তার কাজের জন্য তিনি কারও নিকট জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকেন না।উদ্দীপকে আজাদ চৌধুরী মডার্ন সিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিজ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি তার প্রতিষ্ঠানে পরামর্শমূলক নির্দেশনার মাধ্যমে কাজ সম্পাদন করেন। এতে কর্মীদের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনার প্রতি সন্তুষ্টির সৃষ্টি হয়।
কিন্তু কিছু প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠানের ইন্ধনে কিছু শ্রমিক উক্ত প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটির পরামর্শমূলক নির্দেশনায় কর্মীদের মধ্যে কাজ করার প্রতি উৎসাহ ও উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়। কিন্তু কিছু অসৎ প্রতিযোগীর প্ররোচনায় শ্রমিকরা প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। এ পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানে স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্ব অধিকতর উপযোগী।
কারণ এ নেতৃত্বে নেতা কর্মীদের চাপ বা ভয়-ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে কাজ আদায় করতে সচেষ্ট হয়। প্রয়োজনে চাকরি থেকে ছাঁটাই ও বরখাস্ত করার হুমকি দেওয়া হয়।ফলে কর্মীরা প্রতিষ্ঠানের চাকরি টিকিয়ে রাখার জন্য ঊর্ধ্বতনের আদেশ মানতে বাধ্য হয়। কর্মীরা প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে সাহস পায় না। এজন্য প্রতিষ্ঠানটিতে স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্ব প্রয়োগ করাই উপযুক্ত হবে বলে আমি মনে করি।
প্রশ্নঃ ২৪ সুরমা কোম্পানির ঈঊঙ জনাব সুলতান তার কর্মীদের কাছে অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র। প্রতিষ্ঠানের সব সিদ্ধান্ত তার কথা অনুযায়ী হলেও সবাই তা আন্তরিকভাবে মেনে নেয়। তিনি ক্ষমতাধর হলেও কর্মীদের ক্ষমতার ভয় দেখিয়ে কাজ করান না। সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো তিনি কর্মীদের অভাব অভিযোগ জানার চেষ্টা করেন এবং সে অনুযায়ী নিজেই সব বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়ে কর্মীদের দিয়ে কাজ করিয়ে নেন। [ঢাকা সিটি কলেজ]
ক. আনুষ্ঠানিক নেতৃত্ব কী? ১
খ. পরামর্শমূলক নির্দেশনা বলতে কী বোঝায়? ২
গ. জনাব সুলতানের কর্মকাণ্ড ব্যবস্থাপনার কোন কাজের সাথে সম্পর্কযুক্ত? ৩
ঘ. জনাব সুলতানের নেতৃত্বের ধরন বিশ্লেষণ করে এর ইতিবাচক দিকটি তুলে ধরো। ৪
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
২৪ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ যে নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানিক নিয়ম নীতি অনুসারে অধস্তনদের পরিচালনা করা হয় তাকে আনুষ্ঠানিক নেতৃত্ব বলে।
খ উত্তরঃ নির্দেশনা দেওয়ার পূর্বে অধস্তনদের সাথে পরামর্শ করে নির্দেশনার বিষয়বস্তু ঠিক করাকে পরামর্শমূলক নির্দেশনা বলে।এ ধরনের নির্দেশনায় কর্মীদের কাজের প্রতি উৎসাহ ও আগ্রহ বৃদ্ধি পায়।
এ নির্দেশনায় কর্মীদের সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে কাজের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাই এটি অধিক কার্যকর ও বাস্তবসম্মত হয়। এতে প্রতিষ্ঠানের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করাও সহজ হয়।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের জনাব সুলতানের কর্মকাণ্ড ব্যবস্থাপনার নির্দেশনা কাজের সাথে সম্পর্কযুক্ত। নির্দেশনার মাধ্যমে কাজ সম্বন্ধে অবহিতকরণ, আদেশ-নির্দেশ ও পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে কর্মীরা তাদের কাজের সঠিক দিকনির্দেশনা পায়।
উদ্দীপকের জনাব সুলতান সুরমা কোম্পানির ঈঊঙ। তিনি ক্ষমতাধর হলেও কর্মীদের ক্ষমতার ভয় দেখিয়ে কাজ করান না। প্রতিষ্ঠানের সব সিদ্ধান্ত তিনি নিলেও সবাই তা মেনে নেয়। খুব আন্তরিকতার সাথে তারা কাজ করে। কারণ তিনি কর্মীদের কাছে অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র।
তিনি কর্মীদের অভাব অভিযোগ জানার চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে সে অনুযায়ী নিজেই সব বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়ে তাদের দিয়ে কাজ করিয়ে নেন। এসব বৈশিষ্ট্য ব্যবস্থাপনার নির্দেশনা কাজের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাই বলা যায় জনাব সুলতান নির্দেশনা কাজের সাথেই জড়িত।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকের জনাব সুলতান প্রতিষ্ঠানের জন্য পিতৃসুলভ নেতৃত্ব অনুসরণ করেছেন যা নেতৃত্বের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভ‚মিকা রাখবে বলে আমি মনে করি। এ নেতৃত্বে নেতা অধস্তনদের ওপর অতিমাত্রায় কর্তৃত্বপরায়ণ হন। তাদের সাথে পিতৃসম ভালো ব্যবহার ও শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত করে কাজ আদায়ের চেষ্টা করেন।
উদ্দীপকের জনাব সুলতান তার প্রতিষ্ঠানের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। তিনি সব ক্ষমতার অধিকারী। তিনি সব সিদ্ধান্ত নিজেই নেন। তবুও কর্মীরা তা মেনে নেয়। যদিও তিনি অনেক ক্ষমতাধর তবুও কর্মীদের ভয় দেখিয়ে কাজ করান না। তাদের সমস্যা ও অভিযোগ জানার চেষ্টা করেন। এজন্য কর্মীরা তাকে অনেক শ্রদ্ধা করে মন দিয়ে কাজ করে এবং সন্তুষ্ট থাকে।
জনাব সুলতান তার কর্মীদের এ ধরনের নেতৃত্ব দেওয়ার ফলে কর্মীদের মনে তার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত হয়। কর্মীরা কাজের প্রতি অধিক মনোযোগী হয়। তারা প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্যার্জনের জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টায় নিয়োজিত থাকে। কারণ, জনাব সুলতান তাদেরকে পিতৃসম সদয় ব্যবহার ও ভালোবাসা দেন।
তিনি তাদের অভাব অভিযোগের কথা শোনেন। সে অনুযায়ীই সিদ্ধান্ত নেন। এতে তার প্রতিষ্ঠানটিও কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হবে। তাই বলা যায়, জনাব সুলতান তার কর্মীদেরকে পিতৃসুলভ নেতৃত্ব দেন; যা নেতৃত্বের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভ‚মিকা রাখবে বলে আমি মনে করি।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।