ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ২য় | অধ্যায় ১০ | সৃজনশীল প্রশ্ন ১৬-২০: ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের দশম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের দশম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
প্রশ্নঃ ১৬ জনাব দলিলুর রহমান একটি উৎপাদনমুখী প্রতিষ্ঠানের মালিক। তিনি দুই লকষ পিসের বেশি প্যানট বাৎসরিক বিক্রি করতে পারলে তার প্রতিষ্ঠান লাভ করবে বলে তিনি মনে করেন। কিন্তু বৎসর শেষে দেখা যায় ১,৫০,০০০ (এক লকষ পঞ্চাশ হাজার) পিসের বেশি বিক্রি হয়নি। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জনয তিনি একটা আধুনিক কৌশলের মাধ্যমে বিক্রয়ের কথা ভাবছেন। [ব. বো. ১৬]
ক. নিয়ন্ত্রণ কী? ১
অ খ. পরিকল্পনাকে কেন নিয়ন্ত্রণের ভিত্তি বলা হয়? ২
অ গ. সম আয়-ব্যয় বিন্দুতে পৌঁছাতে জনাব দলিলুর রহমানকে আরও কী পরিমাণ প্যান্ট পিস বিক্রি করতে হতো? ব্যাখ্যা করো। ৩
অ ঘ. কোন আধুনিক নিয়ন্ত্রণ কৌশল গ্রহণ করে জনাব দলিলুর রহমান বিক্রয় বৃদ্ধি করবেন ভাবছেন? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪
১৬ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃপরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের সকল কার্যক্রম সঠিকভাবে সম্পনন হচ্ছে কি না, তা যাচাই করা এবং কোনো প্রকার গরমিল পাওয়া গেলে তা সংশোধন করার উপায়কে নিয়ন্ত্রণ বলে।
খ উত্তরঃ ভবিষ্যতে কী করতে হবে তার অগ্রিম চিন্তাভাবনাকে পরিকল্পনা বলে, যা অন্যানয কাজের ভিত্তি। নিয়ন্ত্রণ হলো পরিকল্পনা অনুযায়ী কারয হচ্ছে কি না তা তুলনা করে বিচ্যুতি নির্ধারণ করা। পরিকল্পনার মাধ্যমে লক্ষয নির্ধারণ করা হয় এবং সমসত কাজের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
আর নিয়ন্ত্রণ হলো পরিকল্পনার বাস্তবায়িত রূপ। যা কতটুকু লক্ষয অর্জিত হয়েছে তা নির্ধারণের মাধ্যমে পরবর্তী পরিকল্পনার নির্দেশদান করে। তাই পরিকল্পনাকে নিয়ন্ত্রণের ভিত্তি বলা হয়।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে সম আয়-ব্যয় বিন্দুতে পৌঁছাতে জনাব দলিলুর রহমানকে আরও ৫০,০০০ পিস প্যানট বিক্রয় করতে হবে। এ বিন্দুতে প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় আয় ও মোট ব্যয় সমান হয়। এ বিক্রয়ের পরিমাণ যদি সমচ্ছেদ বিন্দুর নিচে যায় তবে ক্ষতি, আর ওপরে থাকলে লাভ হয়।
জনাব দলিলুর রহমান একটি উৎপাদনমুখী প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক। তিনি পরিমাপ করেন বাৎসরিক দুই লকষ পিস প্যান্টের বেশি বিক্রয় হলে প্রতিষ্ঠানের লাভ হবে। তাহলে সমচ্ছেদ বিন্দু হবে ২ লকষ ইউনিট। কিন্তু বছর শেষে ১,৫০,০০০ পিস প্যানট বিক্রয় করতে সক্ষম হন।
ফলে সম-আয়-ব্যয় বিন্দুর নিচে অবস্থান করায় এতে প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হয়। সমচ্ছেদ বিন্দু ২ লকষ পিস হওয়ায় দলিলুর রহমান যদি আরও (২,০০,০০০ ১,৫০,০০০) ৫০,০০০ পিস প্যানট বিক্রয় করতে পারেন তাহলে প্রতিষ্ঠান আয়-ব্যয়ের ভারসাময স্তরে পৌঁছাবে। তাই বলা যায়, সমচ্ছেদ বিন্দুতে পৌঁছাতে আরও ৫০,০০০ পিস প্যানট বিক্রয় করতে হবে।
ঘ উত্তরঃ জনাব দলিলুর রহমান নিয়ন্ত্রণের আধুনিক কৌশল পারট ব্যবহারের মাধ্যমে বিক্রয় বৃদ্ধির কথা ভাবছেন। এ পদ্ধতিতে প্রতিষ্ঠানের কাজগুলো কখন কীভাবে সম্পাদিত হচ্ছে, তা মোটা রেখার দ্বারা সংযুকত করে অধিক সতর্কতা অবলম্বন করে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা করা হয়।
এক্ষেত্রে জটিল কাজগুলো মোটা রেখার দ্বারা সংযুকত করে বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়। ফলে নিয়ন্ত্রণকারয সহজ হয়। জনাব দলিলুর রহমান বাৎসরিক দুই লকষ পিস প্যানট বিক্রয়ের লক্ষয নির্ধারণ করেন। কিন্তু বছর শেষে ১,৫০,০০০ পিস প্যানট বিক্রয় করতে সক্ষম হন।
ফলে ৫০,০০০ পিস প্যানট বিক্রয়ে প্রতিষ্ঠান ব্যরথ হয়। যদি জনাব দলিলুর রহমান কাজগুলোর মধ্যে সমতা রাখেন তাহলে বিক্রয় বৃদ্ধি পাবে। জনাব দলিলুর রহমান প্রত্যেকটি কাজ চিহ্নিত করে, কখন কতটুকু বিক্রয় করা যাবে ও সময় নির্ধারণ করে মোট রেখা দ্বারা সংযুকত করতে পারেন।
তাহলে কোন ক্ষেত্রে কতটুকু বিচ্যুতি ঘটছে তা মোটা রেখার ওপর প্রভাব ফেলবে। এর দ্বারা তিনি প্রক্রিয়ার সমস্যা চিহ্নিত করতে পারবেন। ফলে তিনি অধিক সতর্কতার সাথে এটি সমাধান ও পরবর্তী নিয়ন্ত্রণ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবেন। তাই বলা যায়, জনাব দলিলুর রহমানের জনয নিয়ন্ত্রণ কৌশলের পারট ব্যবহার করা যুক্তিযুকত হবে বলে আমি মনে করি।
প্রশ্নঃ ১৭ গোল্ডেন সোয়েটারের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপকষ উৎপাদন বিভাগের জনয প্রতি মাসে ২২,০০০ পিস সোয়েটার তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেন। প্রাপত সুযোগ-সুবিধার পূরণ ব্যবহার করে গত তিন মাসে উৎপাদনের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ১৯,০০০, ১৯,৫০০ এবং ২০,০০০ পিস। সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে কর্তৃপকষ মাসিক উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ২০,০০০ পিস পুনঃনির্ধারণ করার চিন্তা করেন।
[রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা]
ক. পার্ট কী? ১
খ. নিয়ন্ত্রণ কীভাবে দক্ষতা বৃদ্ধি করে? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় ব্যবহৃত আদর্শমান কোনটি? বর্ণনা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে উলিখিত লক্ষ্যমাত্রা পুনঃনির্ধারণ করার চিন্তার যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করো। ৪
১৭ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ যে পদ্ধতিতে প্রতিষ্ঠানের কোন কাজ কখন শুরু হবে এবং কখন শেষ হবে তা নির্ধারণ করে চার্টের মাধ্যমে সংযুকত করা হয় তাকে পারট (চঊজঞ) বলে।PERT-এর পূর্ণরূপ হলো Program Evaluation & Review Technique.
খ উত্তরঃ নিয়ন্ত্রণ হলো পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ হচ্ছে কিনা তা দেখা, বিচ্যুতি নির্ণয় ও প্রয়োজনীয় সংশোধনের ব্যবস্থা নেওয়া। নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে প্রতিটি কাজের তদারক করা হয়।
ফলে কাজের ভুল-তর“টি সহজেই ধরা পড়ে ও দ্রুত সমাধান করা যায়। এতে কর্মীরা কীভাবে ভুল-তর“টি এড়িয়ে কাজ করা যায়, তা শিখতে পারে। তারা স্বলপ সময়ে ও ব্যয়ে নির্ভুল কাজ করার চেষ্টা করে। এভাবে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে বর্ণিত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় ব্যবহৃত আদর্শমান হলো ২২,০০০ পিস সোয়েটার তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ। আদর্শমানের মাধ্যমে কোন কাজ কতটুকু গুণ, মান, পরিমাণ বা সময় সাপেকষ হলে সঠিকভাবে সম্পনন হবে তা নির্ধারণ করা হয়।
এটি এক ধরনের পরিকল্পনা, যা নিয়ন্ত্রণের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। নিয়ন্ত্রণকে ফলপ্রসূ করতে প্রথমেই প্রত্যেক কাজের আদর্শমান নির্ধারণ করতে হয়।উদাহরণস্বরূপ, প্রতি বছর ১০% হারে উৎপাদন বাড়ছে। তাই ১০% উৎপাদন বৃদ্ধির টার্গেট একটি আদর্শমান হতে পারে।উদ্দীপকে গোল্ডেন সোয়েটারের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপকষ প্রথমে ২২,০০০ পিস সোয়েটার তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেন।
এই লক্ষ্যকে কেন্দর করেই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সম্পদের সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে যায়। পরে দেখা যায়, উৎপাদন বিভাগের পক্ষে ২২,০০০ পিস শারট তৈরি সম্ভব নয়। কিন্তু ২২,০০০ পিস মাসিক উৎপাদনের ভিত্তি হিসেবে কাজ করছে। সুতরাং, এ ২২,০০০ পিস শারট তৈরিই আদর্শমান বলে বিবেচিত হবে।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকে উলিখিত লক্ষ্যমাত্রা পুনঃনির্ধারণ করার চিন্তাটি যৌক্তিক বলে আমি মনে করি। নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে কর্তৃপকষ প্রতিষ্ঠানকে সঠিকভাবে পরিচালনা করার প্রয়াস পায়।
এ ব্যবস্থায় উচচ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলে প্রতিষ্ঠানের পূরণ সামর্থয প্রয়োগ করেও কাজ আদায় সম্ভব হয় না। তাই সার্বিক সামর্থয ও তথয বিশ্লেষণ করে সঠিক লক্ষ্যমাত্রা বা আদর্শমান নির্ধারণ করতে হয়। এর ওপর প্রতিষ্ঠানের সফলতা নির্ভর করে।
উদ্দীপকে গোল্ডেন সোয়েটার উৎপাদন বিভাগের জনয প্রথমে ২২,০০০ পিস সোয়েটার তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। কিন্তু সুযোগ-সুবিধার পূরণ ব্যবহার করেও মাসে ২০,০০০ পিসের বেশি উৎপাদন করতে পারেনি। সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে কর্তৃপকষ ২০,০০০ পিস সোয়েটার তৈরির লক্ষ্যমাত্রা পুনঃনির্ধারণ করার চিন্তা করছেন।
প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন বিভাগের কর্মীদের কার্যক্ষমতা ২০,০০০ পিস সোয়েটার তৈরি পর্যনত সীমাবদ্ধ। তাদের পক্ষে এর বেশি উৎপাদন করা সম্ভব হবে না। পূর্বের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী কাজ করতে থাকলে তারা সফল হতে পারবে না।
এ বিষয়টি বিবেচনা করে কর্তৃপকষ যে লক্ষ্যমাত্রা পুনঃনির্ধারণ করেন তাতে কার্যক্ষমতা অনুযায়ী কর্মীরা উৎপাদন করতে পারবে। তাই লক্ষ্যমাত্রা পুনঃনির্ধারণ করার বিষয়টি যথার্থই যৌক্তিক হবে।
প্রশ্নঃ ১৮ জনাব আশিক ‘সানশাইন গার্মেন্টস’-এর একজন মালিক ও পরিচালক। তিনি তার প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণের কৌশল হিসেবে বিভিনন কাজের শুরু ও শেষের সময়কে তালিকার মাধ্যমে প্রদর্শন করেন। তবে তিনি প্রতিষ্ঠানের পোশাকের মান ওঝঙ ৯০০০ অনুসরণ করে সংরক্ষণ করেন। এর ফলে তার প্রতিষ্ঠানের পোশাক দেশে বিদেশে সমাদৃত হয়েছে। [ভিকারুননিসা নূন স্কুল এনড কলেজ, ঢাকা]
ক. ব্রেক-ইভেন বিন্দু কী? ১
খ. নিয়ন্ত্রণকে কেন পরবর্তী পরিকল্পনা ভিত্তি বলা হয়? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকে জনাব আশিক তার প্রতিষ্ঠানে নিয়ন্ত্রণের কোন কৌশল ব্যবহার করেন? বর্ণনা করো। ৩
ঘ. জনাব আশিকের ওঝঙ ৯০০০ অনুসরণ করায় তার প্রতিষ্ঠানে নিয়ন্ত্রণের কোন নীতির প্রয়োগ হয়েছে বলে তুমি মনে করো? উদ্দীপকের আলোকে বিশ্লেষণ করো। ৪
১৮ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ যে বিন্দুতে প্রতিষ্ঠানের মোট আয় ও মোট ব্যয় সমান হয় তাকে ব্রেক-ইভেন বিন্দু বা সমচ্ছেদ বিন্দু বলে।
খ উত্তরঃ নিয়ন্ত্রণ হলো পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ সম্পাদিত হচ্ছে কিনা তা দেখা, বিচ্যুতি নির্ণয় এবং প্রয়োজনে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান পরিকল্পনার তর“টি-বিচ্যুতির কারণ জানতে পারে।
এসব তর“টি কীভাবে সমাধান করা যায়, তারও উপায় বের করা সম্ভব হয়। ফলে পরবর্তী বছর বা সময়ের পরিকল্পনা পূর্ববর্তী বিষয়সমূহের বিবেচনার আলোকে নির্ধারিত হয়। এভাবে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠানের পরবর্তী পরিকল্পনার ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে জনাব আশিক তার প্রতিষ্ঠানে নিয়ন্ত্রণের পারট (চঊজঞ) কৌশলটি ব্যবহার করেছেন। পারট হলো কোন কাজ কখন শুরু হবে এবং শেষ হবে তা নির্ধারণ করে একটি চার্টের মাধ্যমে কাজগুলো সংযুকত করার প্রক্রিয়া। এক্ষেত্রে কাজের সময় নির্ধারণ করে কাজের তালিকা প্রদর্শন করা হয়।
যেসব কাজে সময় বেশি লাগে সেই কাজগুলোর রেখা টেনে সংকটময় পথ প্রদর্শন করা হয়।উদ্দীপকে জনাব আশিক ‘সানশাইন গার্মেন্টস’-এর একজন মালিক ও পরিচালক। তিনি তার প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ কৌশল হিসেবে বিভিনন কাজের শুরু ও শেষ সময়কে তালিকার মাধ্যমে প্রকাশ করেন।
এ তালিকাকৃত কাজগুলো সময়ের ভিত্তিতে রেখা অংকন করা হয়। বড় ও জটিল এবং সময় সাপেক্ষে কাজগুলো সংকটময় রেখা টেনে প্রদর্শন করা হয়; যা নিয়ন্ত্রণ কৌশল পারট-এর বৈশিষ্ট্যের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। তাই বলা যায়, জনাব আশিক তার প্রতিষ্ঠানের জনয পারট নিয়ন্ত্রণ কৌশলটি ব্যবহার করেছেন।
ঘ উত্তরঃ জনাব আশিক ওঝঙ ৯০০০ অনুসরণ করায় তার প্রতিষ্ঠানে নিয়ন্ত্রণের ব্যতিক্রম বা মান নিয়ন্ত্রণ নীতির প্রয়োগ হয়েছে বলে আমি মনে করি। ব্যতিক্রমের নীতি হলো কার্যক্ষেত্রে সংশ্লিষট নির্বাহী কর্তৃক নিয়ন্ত্রণে সক্ষম নয় এমন ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃক বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
সামগ্রিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বড় ধরনের বিচ্যুতি সৃষ্টি হলে সেগুলো চিহ্নিত করে বিশেষ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।উদ্দীপকে জনাব আশিক কাজগুলোকে তার প্রতিষ্ঠানে সময়ের তালিকা অনুযায়ী প্রদর্শন করেন। তিনি পোশাকের মান ওঝঙ ৯০০০ অনুসরণ করেন। এক্ষেত্রে তিনি প্রতিষ্ঠানের পোশাকের যথাযথ মান বজায় রেখে ক্রেতাদের সরবরাহ করেন।
জনাব আশিক তার প্রতিষ্ঠানের পণ্যকে ওঝঙ ৯০০০ দ্বারা অনয প্রতিষ্ঠানের পণ্যের মানের থেকে ব্যতিক্রমতা বজায় রাখেন। ওঝঙ ৯০০০ একটি আন্তর্জাতিক মান নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি। যার ফলে অন্যানয প্রতিষ্ঠানের পণয থেকে নিজেদের পণয ভিন্নতা পায়।
আন্তর্জাতিক সংস্থা পণ্যের মান নির্ধারণ করে দেয় এবং জনাব আশিক সে অনুযায়ী পণ্যের মান বজায় রাখেন; যা ব্যতিক্রমতার নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাই বলা যায়, জনাব আশিক ওঝঙ ৯০০০ অনুসরণ করে নিয়ন্ত্রণের ব্যতিক্রম নীতির যথাযথ প্রয়োগ করেছেন।
প্রশ্নঃ ১৯ মি. ইলিয়াস আহমেদ সোয়েটার প্রস্তুতকারী কোম্পানির মালিক। তার সোয়েটার তৈরি কারখানায় এক সপ্তাহে ৪০,০০০ পিস সোয়েটার তৈরির লক্ষ্যমাত্রা প্রস্তুতের ৫০টি মেশিন রয়েছে। প্রতিটি মেশিনের উৎপাদন ক্ষমতা একই রকম। প্রতিটি মেশিনের মাসিক উৎপাদন সময় ২০০ ঘণ্টা। মি. ইলিয়াস আহমেদ ৪০,০০০ সোয়েটার সময়মত উৎপাদনের জনয দৈনিক দুইবার উৎপাদন কার্যক্রম ততত¡াবধান ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন। [আইডিয়াল স্কুল অ্যানড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা]
ক. নিয়ন্ত্রণ কী? ১
খ. ‘নিয়ন্ত্রণ কার্য ব্যবস্থাপনার উচ্চ স্তরে অধিক মাত্রায় সম্পৃক্ত’ ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত মি. ইলিয়াস আহমেদের সোয়েটার তৈরির কারখানায় সময়ের ভিত্তিতে প্রতিটি মেশিনের উৎপাদনের আদর্শমান কত? বর্ণনা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত মি. ইলিয়াস আহমেদের সোয়েটার তৈরির কারখানায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নিয়ন্ত্রণের গৃহীত কৌশল প্রয়োগের যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করো। ৪
১৯ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের সব কার্যক্রম সঠিকভাবে সম্পনন হচ্ছে কি না, তা যাচাই করা এবং কোনো প্রকার গরমিল পাওয়া গেলে তা সংশোধন করার উপায়কে নিয়ন্ত্রণ বলে।
খ উত্তরঃ নিয়ন্ত্রণ হলো পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ হচ্ছে কিনা তা যাচাই করে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রক্রিয়া। নিয়ন্ত্রণ একটি চিন্তানীয় এবং কৌশলগত কাজ। এটির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি বিভাগ ও উপবিভাগের মধ্যে সমন্বয়সাধন হয়।
আবার তর“টি বিচ্যুতি নির্ণয় করে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। যা উচচ স্তরের ব্যবস্থাপক করে থাকেন। আর অধীনস্থরা নিয়ন্ত্রণ বাস্তবায়ন করেন। তাই নিয়ন্ত্রণ কাজ ব্যবস্থাপনার উচচ স্তরের কাজের সাথে অধিকমাত্রায় সম্পর্কযুক্ত।
গ উত্তরঃ আদর্শমান বলতে একটি কাজ কতটুকু গুণ, মান, পরিমাণ, ব্যয়-আয় বা সময়সাপেকষ হলে সঠিকভাবে সম্পাদিত হয়েছে বলা হবে, তা নির্ণয়কে বোঝায়।মি. ইলিয়াস আহমেদ তার সোয়েটার তৈরি কারখানায় এক সপ্তাহে ৪০,০০০ পিস সোয়েটার তৈরির লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেন। তার কারখানায় সোয়েটার প্রস্তুতের ৫০টি মেশিন রয়েছে।
প্রতিটি মেশিনের উৎপাদন ক্ষমতা একই রকম। তাহলে সপ্তাহে প্রতিটি মেশিনের উৎপাদন ক্ষমতা (৪০,০০০/৫০) = ৮০০টি। প্রতিটি মেশিনের মাসিক অর্থাৎ ৩০ দিনের উৎপাদন সময় ২০০ ঘণ্টা হলে একদিনের উৎপাদন সময় (২০০/৩০) = ৬.৬৭ ঘণ্টা।
এক সপ্তাহ অর্থাৎ ৭ দিনের উৎপাদন সময় (৬.৬৭ দধ ৭) = ৪৬.৬৯ ঘণ্টা। তাহলে প্রতিটি মেশিনের উৎপাদন ক্ষমতা (৮০০/৪৬.৬৯) = ১৭.১৩৪ টি বা ১৭টি।সুতরাং, মি. ইলিয়াস আহমেদের সোয়েটার তৈরির কারখানায় প্রতিটি মেশিনের উৎপাদনের আদর্শমান ১৭।
ঘ উত্তরঃ মি. ইলিয়াস আহমেদের সোয়েটার তৈরির কারখানায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নিয়ন্ত্রণের গৃহীত কৌশলটি হলো ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ, যা অত্যনত যৌক্তিক।
এ ধরনের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় নির্বাহীরা ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ দ্বারা অধস্তনদের কাজের তর“টি নির্ধারণ, পরামরশ ও নির্দেশনা প্রদানের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আরোপ করেন। নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতনের ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ একটি জনপ্রিয় কৌশল।
মি. ইলিয়াস আহমেদ এক সপ্তাহে ৪০,০০০টি সোয়েটার তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে উৎপাদন শুরু করেন। তিনি সময়মতো উৎপাদনের জনয দৈনিক ২ বার উৎপাদন কার্যক্রম ততত¡াবধান করেন। এছাড়া তিনি কর্মীদের প্রয়োজনীয় পরামরশ প্রদান করেন। অর্থাৎ তিনি নিয়ন্ত্রণের ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি অনুসরণ করেন।
মি. ইলিয়াস কারখানায় স্বশরীরে উপস্থিত হওয়ায় কর্মীরা কাজের সময় কোনো ভুলতর“টি করলে তা শনাকত করেন এবং সাথে সাথেই তিনি তা সংশোধনের জনয প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।
ফলে কর্মীরা তাৎক্ষণিক তাদের ভুলতর“টি সংশোধন করতে সমরথ হয়। তার এ নিয়ন্ত্রণের ফলে কর্মীরা সময়মতো সোয়েটার উৎপাদন করে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেন। তাই বলা যায়, ইলিয়াস আহমেদের গৃহীত কৌশলটি যৌক্তিক।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
প্রশ্নঃ ২০ ‘ইত্যাদি’ একটি নিত্যপণয উৎপাদন ও বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান। ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রতি একক পণয ৪০ টাকা হারে ৫,০০,০০০ টাকার পণয বিক্রিয় করে। যার জনয ৬০,০০০ টাকা কারখানা বিল্ডিং ভাড়া এবং ১,৭০,০০০ টাকা কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন বাবদ প্রদান করে। পক্ষান্তরে প্রতি একক পণয উৎপাদনে ১২ টাকার কাঁচামাল এবং ৩ টাকার মজুরি খরচ প্রয়োজন হয়।
[নটর ডেম কলেজ, ঢাকা]
ক. বাজেট কী? ১
খ. ‘নিয়ন্ত্রণ একটি অবিরাম প্রক্রিয়া’ ব্যাখ্যা করো। ২
গ. ‘ইত্যাদি’ কোম্পানি কত একক পণ্য উৎপাদন ও বিক্রয় করলে তাদের বিক্রয় আয় ও মোট ব্যয় সমান হবে তা নির্ণয় করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে উলিখিত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ‘ইত্যাদি’ কোম্পানির জন্য কতটুকু কার্যকরী বলে তুমি মনে করো? তোমার মতামত বিশ্লেষণ করো। ৪
২০ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ পরিকল্পনার সংখ্যাÍক প্রকাশকে বাজেট বলে।
খ উত্তরঃ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনার সর্বশেষ কাজ হলেও এটি একটি চলমান কাজ। পরিবর্তনশীল পরিবেশ পরিস্থিতি বা সাংগঠনিক কোনো পরিবর্তনের জনয পরিকল্পনা পরিবর্তন করার প্রয়োজন পড়ে। সেই সাথে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থারও পরিবর্তন করা হয়।
এ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার মাধ্যমে ভুলগুলো সংশোধন করে নতুন পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হয়। ফলে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা অবিরামভাবে চলতে থাকে। তাই নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা অবিরাম ও নিরবচ্ছিনন হওয়া আবশ্যক।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের ‘ইত্যাদি’ একটি নিত্যপণয উৎপাদন ও বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান। ইত্যাদি কোম্পানির ২০১৬ সালে ব্যয় নিæরূপÑ
বিবরণ টাকা টাকা
মোট স্থায়ী ব্যয় :
কারখানার বিল্ডিং ভাড়া
কর্মচারীদের বেতন
এককপ্রতি পরিবর্তনশীল ব্যয়:
কাচামাল প্রতি একক
মজুরি প্রতি একক
৬০,০০০০
১,৭০,০০০
ইতঞ্ঝাদি কৈাজ্ঞক্সানির সমএছদ বিক্টদু =
= ২৩০০০০৪০ ১৫
= ২৩০০০০২৫
= ৯,২০০ একক।
অর্থাৎ ৯,২০০ একক পণয উৎপাদন ও বিক্রয় করলে ইত্যাদি কোম্পানির আয় এবং মোট ব্যয় সমান হবে।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকে উলিখিত সম আয়-ব্যয় বিশ্লেষণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ‘ইত্যাদি’ কোম্পানির জনয কার্যকরী বলে আমি মনে করি।সমচ্ছেদ বিন্দু হচ্ছে এমন একটি বিন্দু বা অবস্থান যেখানে একটি প্রতিষ্ঠানের মোট আয় ও মোট ব্যয়ের পরিমাণ সমান হয়। একে ‘ৎ বিন্দুও বলা হয়।
উদ্দীপকে ‘ইত্যাদি’ কোম্পানি পণয উৎপাদন ও বিক্রয়ের সাথে জড়িত। ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে কোম্পানিটি প্রতি একক ৪০ টাকা দরে ৫,০০,০০০ টাকার পণয বিক্রয় করে। আবার উৎপাদনের মোট ব্যয় ও আয় নির্ণয় করে।
‘ইত্যাদি’ কোম্পানি সমচ্ছেদ বিন্দু বিশ্লেষণের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ কাজ পরিচালনা করে। এ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে পণ্যের সঠিক মূলয নির্ধারণ করা হয়। উৎপাদনের খরচ পরিমাপ করে ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ফলে বিক্রয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে ‘ইত্যাদি’ কোম্পানির গৃহীত সমচ্ছেদ বিন্দু বিশ্লেষণ পদ্ধতি অত্যনত কার্যকর
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।