ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ৫ | সৃজনশীল প্রশ্ন ১১-১৫ | PDF: ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের পঞ্চম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের পঞ্চম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ৫ | সৃজনশীল প্রশ্ন ১১-১৫ | PDF
প্রশ্ন ১১ :
সুরমা ব্যাংক লিমিটেড
তাং- ১৫ ক্টোবর ২০১৭
যশোর শাখা, যশোর
উউ ঘড়- ঝই ১৫১০২১০ টাকা: ২০০০০০০/-
ঞড়,
চাহিবা মাত্র ‘মুমতাহ’ কে আদেশ নুসারে টাকা- বিশ লক্ষ টাকা মাত্র প্রদান করুন।
বরাবর, স্বাক্ষর
সুরমা ব্যাংক লি. হিসাবরক্ষক
[ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, যশোর]
ক. চেক কী? ১
খ. সরকারি নোট রূপান্তর যোগ্য নয় কেন? ২
গ. উদ্দীপকে উলিখিত দলিলটি যে শ্রেণির ব্যাংক দলিল তা ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে উলিখিত দলিলটি মুমতার জন্য কতটুকু তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাখ্যা করো। ৪
১১ নং প্রশ্নের উত্তর:
ক উত্তর: আমানতকারী কর্তৃক ব্যাংক থেকে অর্থ উত্তোলনের জন্য লিখিত শর্তহীন নির্দেশনামাকে চেক বলে।
খ উত্তর: সরকারি নোট আইনসম্মতভাবে বিহিত মুদ্রা হিসেবে স্বীকৃত বিধায় এটি রূপান্তরযোগ্য নয়।
সরকারি নোট সরাসরি সরকারি নিয়ন্ত্রণে অর্থ মন্ত্রনালয় কর্তৃক ছাপানো হয়। এ কারণে একে বিহিত মুদ্রা বলা হয় এবং জনগণ এ মুদ্রা গ্রহণে সবসময় বাধ্য থাকে। তাই এ নোট চল হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। সবসময় এ নোট বৈধ বিহিত মুদ্রা হওয়ার কারণে এটি রূপান্তরযোগ্য নয়।
গ উত্তর: উদ্দীপকে উলিখিত দলিলটি হলো ব্যাংক ড্রাফট।
ব্যাংক ড্রাফট হলো এক ধরনের হস্তান্তরযোগ্য ঋনের দলিল। এ দলিলের মাধ্যমে ব্যাংক নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে অর্থ প্রদানের জন্য ন্য কোনো শাখাকে নির্দেশ প্রদান করে।
উদ্দীপকে একটি ব্যাংক দলিলের চিত্র দেওয়া আছে। এতে লিখা আছে মুমতাহকে বা আদেশানুসারে বিশ লক্ষ টাকা প্রদান করুন।
অর্থাৎ সুরমা ব্যাংক তার কোনো শাখাকে এ অর্থ প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে। এভাবে নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে বা তার আদেশানুসারে ন্য কাউকে অর্থ প্রদানের নির্দেশ দেওয়ায় বলা যায়, এটি হলো ব্যাংক ড্রাফট। কেননা, ব্যাংক ড্রাফটের ক্ষেত্রেই ব্যাংকের একটি শাখা ন্য কোনো শাখাকে অর্থ প্রদানের নির্দেশ দেয়।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে উলিখিত ব্যাংক ড্রাফট দলিলটি মুমতাহের জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।
ব্যাংক ড্রাফট হলো হস্তান্তরযোগ্য ঋণের দলিল। এ দলিলের মাধ্যমে ব্যাংক নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে বা আদেশানুসারে ন্য কাউকে অর্থ প্রদানের জন্য ঐ ব্যাংকের ন্য কোনো শাখাকে নির্দেশ দেয়।
উদ্দীপকে একটি ব্যাংক ড্রাফটের চিত্র দেওয়া আছে। এতে বলা হয়েছে মুমতাহকে বা আদেশানুসারে ২০ লক্ষ টাকা প্রদান করুন। অর্থাৎ ব্যাংক ড্রাফট দলিলটির প্রাপক হলো মুমতাহ।
ব্যাংক ড্রাফট হওয়ার কারণে মুমতাহকে এ দলিল নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। কেননা, হারিয়ে গেলে কিংবা চুরি হয়ে গেলেও ব্যাংক ন্য কাউকে এ দলিলের অর্থ প্রদান করবে না।
তবে মুমতাহ যদি স্বাক্ষর দিয়ে ন্য কাউকে প্রদানের নির্দেশ দেয় তাহলে ব্যাংক শুধু ঐ ব্যক্তিকেই-এর মূল্য পরিশোধ করবে। তাই বলা যায়, নিরাপদ লেনদেন করার জন্য মুমতাহের কাছে এ দলিলটি ত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন ১২: মিস যুথী মি. মাইকেলের কাছ থেকে ৮ কোটি টাকার পণ্য আমদানি করেন। পণ্যের বিপরীতে মিস যুথী একটি দলিল প্রেরণ করেন যাতে লিখা আছে ‘দ্য হতে ৫ মাস পর মি. মাইকেলকে অথবা তার নির্দেশ নুসারে ৮ কোটি টাকা পরিশোধ করা হবে।’ মি. মাইকেল এই দলিলের পিছনে স্বাক্ষর করে তার পাওনাদার মি. জর্জকে প্রদান করেন এবং মি. জর্জ এর হস্তান্তর গ্রহীতা হিসেবে বৈধ মালিকানা লাভ করল। কিন্তু বিনিময় হার নির্ধারণে ব্যবহৃত তত্ত¡টি বাধ বাণিজ্যের ধারণার উপর প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় দেনা-পাওনা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে বিপত্তি দেখা দিয়েছে। [হলি ক্রস কলেজ, ঢাকা]
ক. ঞগ কার্ড কী? ১
খ. দুর্দশাগ্রস্থ ঋণের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঋণ আবর্তন হার হ্রাস পায় ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকে উলিখিত দলিলটি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে আবশ্যকীয় শর্তাবলীগুলো আলোচনা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে বিনিময় হার নির্ধারণের কোন তত্ত¡টির কথা বলা হয়েছে আলোচনা করো। ৪
১২ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: ব্যাংক কর্তৃক গ্রাহককে প্রদত্ত সাংকেতিক নাম্বারযুক্ত এক ধরনের বিশেষ প্লাস্টিক কার্ডকে ঞগ কার্ড বলে।
খ উত্তর: কোনো কারণে ঋণের কিস্তি ফেরত পাওয়া না গেলে এবং ঐ বস্থা ব্যাহত থাকলে ঐ ঋণকে দুর্দশাগ্রস্ত ঋণ বলে।
ঋণের অর্থ আদায় করে উক্ত অর্থ থেকে ব্যাংক পুনরায় ঋণ বিতরণ করে। দুর্দশাগ্রস্থ ঋণ বৃদ্ধি পেলে বিদ্যমান ঋণ আদায় করা যায় না। এতে ব্যাংকের হাতে নগদ টাকার আন্তঃপ্রবাহ কমে যায়। যা ঋণদান ক্ষমতা হ্রাস করে। আর ঋণদান হ্রাস পেলে ব্যাংকের ঋণ আবর্তন হারও হ্রাস পায়।
গ উত্তর: উদ্দীপকে উলিখিত দলিলটি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে আবশ্যকীয় শর্তগুলো হলো অর্থের পরিমাণ, অর্থ পরিশোধের তারিখ, পরিশোধকারীর নাম, প্রস্তুতকারীর স্বাক্ষর ও তারিখ ইত্যাদি উলেখ করা।
হস্তান্তরযোগ্য দলিলের আবশ্যকীয় শর্তাবলী বলতে সেই সকল শর্তাবলিকে বোঝায়, যা পালন করা পরিহার্য। এক্ষেত্রে কোনো একটি শর্ত পালিত না হলে হস্তান্তর বৈধ বলে গণ্য হবে।
উদ্দীপকে মিস যুথী মি. মাইকেলের কাছ থেকে ৮ কোটি টাকার পণ্য আমদানি করেন। পণ্যের বিপরীতে তিনি একটি দলিল প্রেরণ করেন। মি. মাইকেল এই দলিলের পিছনে স্বাক্ষর করে তার পাওনাদার মি. জর্জকে প্রদান করেন।
এখানে হস্তান্তরযোগ্য দলিলটি মিস যুথী প্রস্তুত করার পর তাকে বশ্যই স্বাক্ষর প্রদান করতে হবে। এতে প্রস্তুতের তারিখ, অর্থ পরিশোধের তারিখ উলেখ করতে হবে। আবার, মি. মাইকেল যখন এটি তার পাওনাদারকে হস্তান্তর করবেন তখনও তাকে স্বাক্ষর প্রদান করে হস্তান্তর করতে হবে। এই হস্তান্তরযোগ্য দলিলটির হস্তান্তরের ক্ষেত্রে উপরোক্ত শর্তাবলী বশ্যই মানতে হবে।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে বিনিময় হার নির্ধারণের চাহিদা ও যোগান তত্ত¡টির কথা বলা হয়েছে।
চাহিদা ও যোগান তত্ত নুযায়ী, দু’দেশের মুদ্রার বিনিময় হার তাদের মুদ্রার পারস্পরিক চাহিদা ও যোগান নুযায়ী নির্ধারিত হয়ে থাকে। এ তত্ত¡কে বিনিময় হয়ে নির্ধারণের আধুনিক তত্ত¡ও বলা হয়ে থাকে।
উদ্দীপকে মিস যুথী মাইকেলের কাছ থেকে ৮ কোটি টাকার পণ্য আমদানি করেন। তিনি মূলত হস্তান্তরযোগ্য দলিলের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধের নিশ্চয়তা দিয়েছেন। কিন্তু বিনিময় হার নির্ধারণে ব্যবহৃত তত্ত¡টি বাধ বাণিজ্যের ধারণার ওপর প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় দেনা-পাওনা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে বিপত্তি দেখা দিয়েছে।
এখানে, বিনিময় বিলের লিখিত মূল্য দ্বারা মি. মাইকেল তার দেনা পরিশোধ পারবে কিনা তা নিশ্চিত। কেননা বাধ বাণিজ্যের ওপর ভিত্তি করে বিনিময় হার নির্ধারিত হয় বিধায় এ হার সবসময় পরিবর্তনশীল।
তাই বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা ও যোগানের ওপর ভিত্তি করে বিনিময় হার নির্ধারিত হয়। অর্থাৎ বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা বৃদ্ধি পেলে এবং যোগান হ্রাস পেলে দেশীয় মুদ্রার মান বৃদ্ধি পায়। পরদিকে বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা হ্রাস পেলে এবং যোগান বৃদ্ধি পেলে দেশীয় মুদ্রার মান হ্রাস পায়। এসকল বিষয় বিবেচনা করে বলা যায়, এখানে বিনিময় হার নির্ধারণের চাহিদা ও যোগান তত্তে¡র কথা বলা হয়েছে।
প্রশ্ন ১৩: জনাব শিমুল তার পাওনাদারকে স্ট্যাম্পযুক্ত সাদা কাগজে লিখছেন, ‘প্রেরিত পণ্য বিক্রয় সাপেক্ষে’ মি. করিক উত্তর:ে অথবা তার আদেশ নুসারে দ্য হতে ১ মাস পরে ২০,০০০ টাকা প্রদানের বাধা থাকবে। পাওনাদার মি. করিম তার ব্যাংক দলিলটি বাট্টা করতে গেলে ব্যাংক তাতে রাজি হয়নি। ন্যদিকে মি. করিম তার পাওনাদার কর্তৃক স্ট্যাম্পযুক্ত সাদা কাগজে ১০,০০০ টাকার জন্য প্রস্তুত একটি দলিলে স্বীকৃতির স্থানে স্বাক্ষর করে পাওনাদারকে ফেরৎ দিয়েছেন। পাওনাদার তার ব্যাংক থেকে দলিলটি বাট্টা করতে পেরেছেন।
[গুলশান কর্মাস কলেজ, ঢাকা]
ক. পে-অর্ডার কী? ১
খ. ব্যাংক নোট কোনো বিহিত মুদ্রা নয়? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. হস্তান্তরযোগ্য দলিলের কোন বৈশিষ্ট্যের ভাবে মি. করিম তার প্রাপ্তি দলিলটি বাট্টা করতে পারেননি? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. পাওনাদার প্রস্তুতকৃত দলিলটি ধিক আনুষ্ঠানিকতাসম্পন্ন হলেও যথাযথভাবে সম্পন্ন হওয়ায় তা বাট্টাকরণ করা গেছে-উক্তির যথাঅর্থতা বিশ্লেষণ করো। ৪
১৩ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: যে দলিলের মাধ্যমে ব্যাংকের কোনো একটি শাখা-এর প্রাপককে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদানের নিশ্চিত প্রতিশ্র“তি প্রদান করে তাকে পে-অর্ডার বলে।
খ উত্তর: ব্যাংক নোট সরাসরি সরকার কর্তৃক ছাপানো হয় না বিধায় এটি বিহিত মুদ্রা নয়।
ব্যাংক নোট হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক ইস্যুকৃত নোট। মূলত সরকারের পক্ষে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ নোট ইস্যু করে থাকে। সরকার নিজস্ব তত্ত¡বধানে ও ক্ষমতা বলে এ নোট ইস্যু করা হয় না বিধায় এটির আইনসঙ্গত স্বীকৃতি নেই। এমনিক জনগণ এ নোট গ্রহণে বাধ্য নয়। এজন্যই বলা হয়ে থাকে, ব্যাংক নোট কোনো বিহিত মুদ্রা নয়।
গ উত্তর: উদ্দীপকে হস্তান্তরযোগ্য দলিলের ‘শর্তহীন আদেশ’ বৈশিষ্ট্যের ভাবে মি. করিম তার প্রাপ্ত দলিলটি বাট্টা করতে পারেননি।
হস্তান্তরযোগ্য ঋণের দলিলের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এটি শর্তহীন প্রকৃতির হবে। অর্থাৎ কোনো প্রকার শর্ত প্রদান করলে ঐ দলিল হস্তান্তরযোগ্য দলিলের ন্তর্ভুক্ত হবে না।
উদ্দীপকে জনাব শিমুল তার পাওনাদারকে একটি দলিল প্রদান করেন। দলিলটিতে তিনি উলেখ করেন, প্রেরিত পণ্য বিক্রয় সাপেক্ষে মি. করিক উত্তর:ে ১ মাস পর ২০,০০০ টাকা প্রদানে তিনি বাধ্য থাকবেন। অর্থাৎ দলিলটিতে তিনি ‘পণ্য বিক্রয়পূর্বক’ এরূপ শর্ত জুড়ে দেন। এভাবে শর্ত জুড়ে দেওয়ার কারণে দলিলটি হস্তান্তরযোগ্য দলিলের আবশ্যকীয় শর্তাবলিপূরণ হয়নি। আর এ জন্যই মি. করিম তার প্রাপ্ত দলিলটি ব্যাংক হতে বাট্টাকরণ করতে পারেননি।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে পাওনাদার কর্তৃক প্রস্তুতকৃত বিনিময় বিল দলিলটি ধিক আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হলেও যথাযথভাবে সম্পন্ন হওয়ায় বাট্টাকরণ করা গেছে উক্তিটি যথাঅর্থ।
বিনিময় বিল হলো একটি হস্তান্তরযোগ্য ঋণের দলিল। সাধারণত এ দলিল বিক্রেতা বা পাওনাদার প্রস্তুত করে থাকে এবং ক্রেতা তাতে স্বীকতি প্রদান করে।
উদ্দীপকে মি. করিম তার পাওনাদারের নিকট হতে একটি দলির গ্রহণ করেন। দলিলটি তার পাওনাদার প্রস্তুত করেছে এবং তাতে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদানের জন্য তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মি. করিম স্বাক্ষর প্রদান করে এ দলিলটি পাওনাদারকে ফেরত দেন।
অর্থাৎ মি. করিম এখানে বিনিময় বিলে স্বীকৃতি প্রদান করলেন। কেননা, বিনিময় বিলের ক্ষেত্রেই এরূপ স্বীকৃতির প্রয়োজন পড়ে। এভাবে স্বীকৃতি প্রদানের মাধ্যমে দলিলটি আইনসঙ্গত হস্তান্তরযোগ্য দলিলে পরিণত হলো।
আইনসঙ্গত হওয়ার কারণে নির্দিষ্ট সময় পর মি. করিম এ বিলের অর্থ প্রদানে বাধ্য থাকবে। অর্থাৎ বৈধ বা আইনসঙ্গত দলিলে পরিণত হওয়ায় এটি ব্যাংক বাট্টা করেছে। তাই বলা যায়, বিনিময় বিলে নেক আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে হলেও এ দলিল ব্যাংক বাট্টা করে দেয়।
প্রশ্ন ১৪: হাতিল আসবাবপত্র তৈরি ও বিক্রয়কারী একটি বৃহদায়তন প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটিকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় করতে হয়। প্রতিষ্ঠানটিকে নগদ বিক্রয়ের পাশাপাশি ধারেও বিক্রয় করতে হয়। ফিস সাজানোর জন্য টঈই ট্রেডার্স হাতিল থেকে ১ লক্ষ টাকার পণ্য ক্রয় করল। হাতিল নগদ টাকার পরিবর্তে একটি দলিল গ্রহণ করল, দলিলটির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি দুই মাস পর অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে। কিন্তু বিশ দিন পরেই প্রতিষ্ঠানটির অর্থের প্রয়োজন হয়।
[সফিউদ্দীন সরকার একাডেমী এন্ড কলেজ, গাজীপুর]
ক. শেয়ার ওয়ারেন্ট কী? ১
খ. চলতি হিসাবের গ্রাহকদের ব্যাংক সুদ দেয় না কেন? ২
গ. হাতিল কোন ধরনের দলিলের মাধ্যমে বিক্রয় কার্য সম্পাদন করল? বর্ণনা করো। ৩
ঘ. হাতিল ২০ দিন পরেই কিভাবে অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪
১৪ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি শেয়ারের পূর্ণমূল্য পাওয়ার পর শেয়ার গ্রহীতাকে যে প্রামাণ্য দলিল প্রদান করে তাকে শেয়ার ওয়ারেন্ট বলে।
খ উত্তর: ব্যাংক চলতি হিসাবের অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ পায় না এ হিসাবের গ্রাহকদেরকে সুদ দেয় না।
চলতি হিসাবের গ্রাহক যতবার খুশি অর্থ উত্তোলনের সুযোগ পায়। তাই ব্যাংককে সবসময় তারল্য সংরক্ষণ করতে হয়। এ কারণে ব্যাংক এ হিসাব হতে প্রাপ্ত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ পায় না। ন্যদিকে এ হিসাবে অর্থ জমা ও উত্তোলনের তথ্য সংরক্ষণে ব্যাংক ধিক শ্রম দেয় বিধায় ব্যয় ও বেশি হয়। এ সকল কারণেই ব্যাংক এ হিসাবের গ্রাহকদেরকে কোনো সুদ দেয় না।
গ উত্তর: উদ্দীপকে হাতিল বিনিময় বিলের মাধ্যমে বিক্রয় কার্য সম্পাদন করল।
বিনিময় বিল হলো এক ধরনের হস্তান্তরযোগ্য ঋণের দলিল। এই বিলের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি পর ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদানের জন্য শর্তহীন নির্দেশ প্রদান করে। মূলত বিক্রেতাই ক্রেতাকে এরূপ নির্দেশ প্রদান করে থাকে।
উদ্দীপকে হাতিল আসবাবপত্র তৈরি ও বিক্রয়কারী একটি বৃহদায়তন প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি নগদ বিক্রয়ের পাশাপাশি ধারেও বিক্রয় করে থাকে। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি টঈই ট্রেডার্সের নিকট ১ লক্ষ টাকার পণ্য বিক্রয় করে। হাতিল প্রতিষ্ঠানটি এক্ষেত্রে নগদ টাকার পরিবর্তে একটি দলিলের মাধ্যমে বিক্রয় কার্য সম্পাদন করেছে।
সাধারণত বাকীতে বিক্রয়ের ক্ষেত্রে বিনিময় বিলের মাধ্যমে মূল্য প্রাপ্তির নিশ্চয়তা পাওয়া যায়। এক্ষেত্রেও ক্রেতা টঈই ট্রেডার্স একটি দলিলে স্বীকৃতি দিয়ে মূল্য পরিশোধের নিশ্চয়তা দিয়েছে। তাই বলা যায়, হাতিল প্রতিষ্ঠানটি বিনিময় বিলের মাধ্যমে বিক্রয় কার্য সম্পাদন করেছে।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে হাতিল প্রতিষ্ঠানটি ২০ দিন পর বিনিময় বিলটি বাট্টাকরণের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে।
মেয়াদপূর্তির পূর্বে কমিশনের বিনিময়ে এ বিলের অর্থ ব্যাংক হতে সংগ্রহ করা যায়। এভাবে কমিশনের বিনিময়ে বা কম মূল্যে অর্থ সংগ্রহ করাকেই বিনিময় বিলের বাট্টাকরণ বলে।
উদ্দীপকে হাতিল আসবাবপত্র বিক্রয়কারী একটি বৃহদায়তন প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি বিনিময় বিলের মাধ্যমে টঈই ট্রেডার্সের নিকট পণ্য বিক্রয় করে। এক্ষেত্রে গৃহীত বিনিময় বিলটির মেয়াদ হলো দুই মাস।
অর্থাৎ দুই মাস পর টঈই ট্রেডার্স এ বিলের মূল্য পরিশোধ করবে। কিন্তু কিছু দিন পরেই প্রতিষ্ঠানের অর্থের প্রয়োজন হয়। হাতিল প্রতিষ্ঠানটি এক্ষেত্রে ব্যাংকের সহায়তা পেতে পারে।
কেননা, ব্যাংক কমিশনের বিনিময়ে এরূপ বিলে মেয়াদপূর্তির পূর্বে ক্রয় করে থাকে। মেয়াদপূর্তিতে ব্যাংক এ বিল স্বীকৃতিকারীর নিকট হতে বিলের অর্থ আদায় করে। তাই বলা যায়, হাতিল প্রতিষ্ঠানটি বিনিময় বিল ব্যাংক হতে বাট্টাকরণের মাধ্যমে অর্থ আদায় করতে পারবে।
প্রশ্ন ১৫: মি. চয়ন সিলেটে একটি জমি রেজিস্ট্রি করবেন। তাই ঢাকা থেকে সিলেট ২৫ লক্ষ টাকা নিতে হবে। ব্যাংক কর্ক উত্তর:র্তার পরামর্শে ব্যাংক কর্তৃক লেখা এমন একটা দলিল সংগ্রহ করলেন যা সিলেটে যেয়ে নির্দিষ্ট শাখায় উপস্থাপন করে তিনি টাকা উঠাতে পারবেন। সিলেট পৌঁছে মি. চয়ন জমি বিক্রেতাকে এমন নোট দিতে চাইলেন যার প্রতিটির ওপর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের স্বাক্ষর রয়েছে। বিক্রেতা বলল, আমাকে ব্যাংক প্রস্তুতকৃত এমন দলিল সংগ্রহ করে দিন যেখানে আমাকে অর্থ প্রদানের নিশ্চিত প্রতিশ্র“তি থাকবে।
[নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারি কলেজ, নাটোর]
ক. সরকারি নোট কী? ১
খ. কোন দলিল স্বীকৃত না হলে মূল্যবান দলিলের মর্যাদা পায় না? বুঝিয়ে লেখ। ২
গ. উদ্দীপকের মি. চয়ন প্রথমে ব্যাংক থেকে কোন ধরনের দলিল সংগ্রহ করেছেন? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. নোট না নিয়ে ব্যাংক প্রস্তুতকৃত দলিলটি নেওয়া বিক্রেতার জন্য কতটা নিরাপদ হবে উদ্দীপকের আলোকে মূল্যায়ন করো। ৪
১৫ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: সরকারি নিয়ন্ত্রণে অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক ছাপানো নোটকে সরকারি নোট বলে।
যেমন: বাংলাদেশে ১ টাকা, ২ টাকা ও ৫ টাকার নোটগুলো হলো সরকারি নোট।
খ উত্তর: বিনিময় বিল স্বীকৃত না হলে মূল্যবান দলিলের মর্যাদা পায় না।
সাধারণত ধারে পণ্য ক্রয়কৃত পণ্যের মূল্য পরিশোধে এ দলিল ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এ দলিলের মাধ্যমে বিক্রেতা ক্রেতাকে নির্দিষ্ট তারিখে মূল্য পরিশোধের নির্দেশ দেয়। ক্রেতা এ দলিলে স্বাক্ষর প্রদানের মাধ্যমে স্বীকৃতি দিলে বিক্রেতা তা ব্যাংক থেকে বাট্টাকরণ করতে পারে। অর্থাৎ ক্রেতা স্বীকৃতি না দিলে দলিলটি আইনগতভাবে বৈধ হয় না। তাই ক্রেতা কর্তৃক স্বীকৃতি ছাড়া এ দলিলের কোনো মর্যাদাই নেই।
গ উত্তর: উদ্দীপকে মি. চয়ন প্রথমে ব্যাংক থেকে ব্যাংক ড্রাফট নাক উত্তর: দলিল সংগ্রহ করেছেন।
ব্যাংক ড্রাফট হলো অর্থ স্থানান্তরের জন্য ব্যবহৃত একটি দলিল। এ দলিলের মাধ্যমে ব্যাংকের কোনো শাখা পর কোনো শাখাকে অর্থ পরিশোধের নির্দেশ দেয়।
উদ্দীপকে মি. চয়ন সিলেটে একটি জমি রেজিস্ট্রি করবেন। তাই ঢাকা থেকে তিনি সিলেটে ২৫ লক্ষ টাকা নিবেন।
এজন্য তিনি একটি ব্যাংক দলিল সংগ্রহ করেন। দলিলটি তিনি সিলেটে যেয়ে নির্দিষ্ট শাখায় উপস্থাপন করে অর্থ সংগ্রহ করতে পারবেন। অর্থাৎ এখানে ব্যাংকটির ঢাকা শাখা সিলেট শাখাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে। সাধারণত ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমেই ব্যাংকের একটি শাখা পর কোনো শাখাকে এরূপ নির্দেশ প্রদান করে। তাই বলা যায়, মি. চয়ন ব্যাংক ড্রাফট সংগ্রহ করেছিলেন।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে ব্যাংক নোটের পরিবর্তে ব্যাংক প্রস্তুতকৃত দলিলটি বিক্রেতার জন্য সর্বোচ্চ নিরাপদ হবে।
ব্যাংক নোট বলতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক ছাপানো নোটকে বোঝায়। বাংলাদেশে ১০, ২০, ৫০, ১০০, ৫০০ ও ১,০০০ টাকা মূল্যমানের নোটগুলো হলো ব্যাংক নোট।
উদ্দীপকে মি. চয়ন জমি রেজিস্ট্রি করার উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে সিলেটে যান।
মি. চয়ন সিলেটের জমি বিক্রেতাকে এমন নোট দিতে চাইলেন, যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের স্বাক্ষর রয়েছে। কিন্তু বিক্রেতা এই নোটের পরিবর্তে ব্যাংক প্রস্তুতকৃত দলিল দেয়ার জন্য নুরোধ করেন। যা চেক বা ব্যাংক ড্রাফট হতে পারে।
এখানে, বিক্রেতা কর্তৃক ব্যাংক নোট গ্রহণে স্বীকৃতি জানানোর প্রধান কারণ হলো নিরাপত্তা। কেননা, নগদ অর্থ বা ব্যাংক নোট যে কেউ ছিনতাই বা চুরি করে নিয়ে যেতে পারে। কিন্তু ব্যাংক প্রস্তুতকৃত দলিলের ক্ষেত্রে এরূপ চুরি বা ছিনতাইয়ের কোনো ঝুঁকি নেই।
কেননা, ব্যাংক প্রস্তুতকৃত দলিলের অর্থ বিক্রেতা ব্যতীত ন্য কেউ উত্তোলন করতে পারবে না। তাই বলা যায়, বিক্রেতা কর্তৃক ব্যাংক প্রস্তুতকৃত দলিল গ্রহণের বিষয়টি নিরাপদ এবং যৌক্তিক।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।