পঞ্চম শ্রেণি | বাংলা | পাঠ্যবই বহির্ভূত অনুচ্ছেদ ১০-১২ | PDF: পঞ্চম শ্রেণির বাংলা বিষয়টির ব্যকরণ অংশ হতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদ রচনা সমুহ নিয়ে আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে। অতএব সম্পূর্ণ পোস্টটি মনযোগ সহকারে পড়ুন।
অনুচ্ছেদ-১০
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৫, ৬ ও ৭নং ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
জহির রায়হান ১৯৩৫ সালের ১৯এ আগস্ট ফেনী জেলার অন্তর্গত মজুপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর তিনি পরিবারের সাথে কলকাতা হতে বাংলাদেশে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) স্থানান্তরিত হন। জহির রায়হান ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন।
ভাষা আন্দোলন তাঁর ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছিল, যার ছাপ দেখতে পাওয়া যায় তাঁর বিখ্যাত চলচ্চিত্র ‘জীবন থেকে নেওয়া’তে। তিনি ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি কলকাতায় চলে যান এবং সেখানে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে প্রচারাভিযান ও তথ্যচিত্র নির্মাণ শুরু করেন।
কলকাতায় তাঁর নির্মিত চলচ্চিত্র ‘জীবন থেকে নেওয়া’র বেশ কয়েকটি প্রদর্শনী হয়। সে সময়ে তিনি চরম অর্থনৈতিক. দৈন্যের মধ্যে থাকা সত্তে¡ও প্রদর্শনী হতে প্রাপ্ত সমুদয় অর্থ মুক্তিযোদ্ধা তহবিলে দান করে দেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর জহির রায়হান তাঁর নিখোঁজ ভাই শহীদুল্লা কায়সারকে খুঁজতে শুরু করেন, যাঁকে স্বাধীনতার ঠিক. আগমুহূর্তে পাকিস্তানি বাহিনীর এদেশীয় দোসর আলবদর বাহিনী অপহরণ করেছিল।
জহির রায়হান ভাইয়ের সন্ধানে মিরপুরে যান এবং সেখান থেকে আর ফিরে আসেননি। প্রমাণ পাওয়া গেছে যে, সেদিন বিহারিরা ও ছদ্মবেশী পাকিস্তানি সৈন্যরা বাংলাদেশিদের ওপর গুলি চালালে এই স্বনামখ্যাত বুদ্ধিজীবী নিহত হন।
সঠিক. উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
০১। গণ-অভ্যুত্থান কত সালে হয়েছিল?
ক. ১৯৫২ সালে খ. ১৯৫৯ সালে গ. ১৯৬৯ সালে ঘ. ১৯৭২ সালে
০২। ‘জীবন থেকে নেওয়া’ চলচ্চিত্রে কোনটির প্রভাব লক্ষ করা যায়?
ক. সিপাহি আন্দোলনের খ. ভাষা আন্দোলনের গ. গণ-অভ্যুত্থানের ঘ. মুক্তিযুদ্ধের
০৩। নিচের কাদেরকে বিশ্বাসঘাতক. বলা যায়?
ক. মুক্তিযোদ্ধা খ. পাকবাহিনী গ. আলবদর ঘ. বিহারি
০৪। শহীদুল্লা কায়সারকে অপহরণ করেছিল কারা?
ক. রাজাকাররা খ. আলবদর বাহিনী গ. পাকিস্তানি বাহিনী ঘ. বিহারিরা
০৫। অনুচ্ছেদে মূলত বলা হয়েছে জহির রায়হানের
ক. শৈশব সম্পর্কে খ. জীবন ও কাজ সম্পর্কে গ. দানশীলতা সম্পর্কে ঘ. বিদেশ ভ্রমণ সম্পর্কে
নিচে কয়েকটি শব্দ ও শব্দার্থ দেওয়া হলো। উপযুক্ত শব্দটি দিয়ে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ কর।
শব্দ ————- অর্থ
দৈন্য————- দারিদ্র্য, দুরবস্থা।
সমুদ————- সমস্ত।
দোসর ————- সঙ্গী, অংশীদার।
অভ্যুত্থান————- উত্থান, ওঠা।
তহবিল————- অর্থভাণ্ডার।
স্থানান্তর————- পরিবর্তন স্থান।
(ক) আমরা শীতার্তদের সাহায্যের জন্য ———— গঠন করেছি।
(খ) সেলিম বইটি টেবিল থেকে খাটে ———— করল।
(গ) বাদল আমার প্রিয় ————।
(ঘ) চাষিটির বাড়ির ———— দশা দেখে মায়া লাগল।
(ঙ) গতকালের ———— খাবার নষ্ট হয়ে গেছে।
নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
(ক) জহির রায়হান কোথায় জন্মগ্রহণ করেন? তিনি যেভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তা তিনটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : জহির রায়হান ফেনী জেলার অন্তর্গত মজুপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছেন।
জহির রায়হান মুক্তিযুদ্ধের সময় কলকাতায় থেকে স্বাধীনতার পক্ষে প্রচারাভিযানে নামেন এবং তথ্যচিত্র নির্মাণ শুরু করেন। এ সময় তাঁর ‘জীবন থেকে নেওয়া’ চলচ্চিত্রটির বেশ কয়েকটি প্রদর্শনী হয়। চরম দারিদ্র্যের মধ্যে থাকলেও প্রদর্শনী থেকে প্রাপ্ত সব অর্থ তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে দান করেন।
(খ) জহির রায়হান মিরপুর গিয়েছিলেন কেন? তিনি কীভাবে শহিদ হন?
উত্তর : জহির রায়হানের ভাই শহীদুল্লা কায়সারকে স্বাধীনতার ঠিক. আগমুহূর্তে আলবদর বাহিনী অপহরণ করে। দেশ স্বাধীন হবার পর জহির রায়হান ভাইকে খুঁজতে শুরু করেন। সে কারণেই তিনি মিরপুর গিয়েছিলেন।
মিরপুরে যাওয়ার পর ছদ্মবেশী পাকিস্তানি সেনারা ও বিহারিরা জহির রায়হানের ওপর গুলি চালায় বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর ফলেই তিনি শহিদ হন।
(গ) জহির রায়হানের দেশপ্রেম সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখ।
উত্তর : জহির রায়হান সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য :
০১। জহির রায়হান ১৯৩৫ সালের ১৯ এ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন।
০২। জহির রায়হান ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভ‚মিকা পালন করেন।
০৩। ১৯৬৯ সালে তিনি গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছিলেন।
০৪। জহির রায়হান মুক্তিযুদ্ধে উল্লেখযোগ্য ভ‚মিকা রাখেন।
০৫। তিনি ছিলেন একজন স্বনামখ্যাত বুদ্ধিজীবী।
(ঘ) জহির রায়হানের দেশপ্রেম সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখ।
উত্তর : জহির রায়হান ছিলেন একজন মহান দেশপ্রেমিক। তিনি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানেও তিনি অংশ নেন। ১৯৭১ সালে তিনি কলকাতায় গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে প্রচারাভিযান চালান। আর্থিক. দুরবস্থা সত্তে¡ও নিজের নির্মিত চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী থেকে প্রাপ্ত সমস্ত অর্থ মুক্তিযোদ্ধা তহবিলে দান করে দেন।
অনুচ্ছেদ-১১
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৫, ৬ ও ৭নং ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
সার্থক. জনম আমার জন্মেছি এই দেশে
সার্থক. জনম, মা গো, তোমায় ভালোবেসে \
জানি নে তোর ধনরতন
আছে কি না রানির মতন,
শুধু জানি আমার অঙ্গ. জুড়ায় তোমার ছায়ায় এসে \
কোন বনেতে জানি নে ফুল
গন্ধে এমন করে আকুল,
কেন গগনে ওঠে রে চাঁদ এমন হাসি হেসে \
আঁখি মেলে তোমার আলো
প্রথম আমার চোখ. জুড়ালো
ওই আলোতে নয়ন রেখে মুদব নয়ন শেষে \
সঠিক. উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
০১। বাংলাদেশকে সকল দেশের রানি বলা যায়
ক. ধনরত আছে বলে খ. এদেশে অনেক. মানুষ বলে
গ. প্রাকৃতিক. সৌন্দর্যের দিক. থেকে ঘ. বিশ্বকে শাসন করে বলে
০২। কবিতাংশের কোন শব্দটির সাথে ‘চোখ’ শব্দটির অর্থ মিলে যায়?
ক. অঙ্গ খ. নয়ন গ. জনম ঘ. হাসি
০৩। কবিতাংশের মূলভাব হলো
ক. প্রাকৃতিক. সৌন্দর্যের বর্ণনা খ. জন্মভ‚মির প্রতি ভালোবাসা
গ. জননীর স্নেহের কথা ঘ. মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসা
০৪। কবিতাংশে উল্লেখিত ‘মা’ হচ্ছেন কবির
ক. জন্মদাত্রী মা খ. মাতৃভাষা গ. মাতৃভ‚মি ঘ. সৎমা
০৫। কোনটি করতে পারলে আমাদের জন্ম সার্থক. হবে?
ক. দেশের জন্য কাজ করতে পারলে খ. দেশের বাইরে যেতে পারলে
গ. নয়ন মুদতে পারলে ঘ. ধনরতন সংগ্রহ করতে পারলে
নিচে কয়েকটি শব্দ ও শব্দার্থ দেওয়া হলো। উপযুক্ত শব্দটি দিয়ে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ কর।
শব্দ ————- অর্থ
সার্থক————- সফল।
অঙ্গ ————- দেহ।
আকুল————- উতলা, অভিভত।
গগন————- আকাশ।
আঁখি ————- চোখ।
মুদব ————- বন্ধ করব।
(ক) খুকী নতুন পুতুলের জন্য ———— হয়ে আছে।
(খ) শিশুটির সারা ———— ঘামে ভেজা।
(গ) পূর্ব ———— সূর্যালোকে আলোকিত হয়ে আছে।
(ঘ) খুকির ———— অশ্রæতে ছলছল করছে।
(ঙ) মায়ের আশীর্বাদ পেলে সন্তানের জীবন ———— হয়।
নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
(ক) কবি নিজেকে সার্থক. মনে করেছেন কেন? চারটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : এ দেশে জন্মগ্রহণ করে কবির জন্ম ধন্য হয়েছে। জন্মভ‚মির রূপ-সুধা কবির প্রাণকে আকুল করে। এদেশকে কবি মায়ের মতোই গভীরভাবে ভালোবেসেছেন। এভাবে জন্মভ‚মিকে ভালোবাসতে পেরে কবি নিজেকে সার্থক. মনে করেছেন।
(খ) জন্মভমির প্রতি কবির ভালোলাগার নমুনা পাঁচটি বাক্যে তুলে ধর।
উত্তর : জন্মভমির প্রতি কবির ভালোলাগা অপরিসীম। পাঁচটি বাক্যে তার নমুনা তুলে ধরা হলো
০১। কবি এ দেশে জন্মগ্রহণ করে নিজেকে সার্থক. মনে করেছেন।
০২। জন্মভ‚মির শীতল ছায়া কবির অন্তরকে প্রশান্ত করে।
০৩। কবি জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত এ দেশেই থাকতে চান।
০৪। এদেশের বনের ফুলের গন্ধ তাঁকে আকুল করে।
০৫। জীবনের শুরুতে এদেশের আলো দেখেছেন বলে এই আলোতে চোখ. রেখেই কবি মৃত্যুবরণ করতে চান।
(গ) কবি কেন এদেশের মাটিতেই মৃত্যুবরণ করতে চেয়েছেন? পাঁচটি বাক্যে বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : নিচে পাঁচটি বাক্যে কবির এদেশে মৃত্যুবরণ করতে চাওয়ার কারণ বুঝিয়ে লেখা হলোÑ
০১। জন্মভ‚মির রূপে কবির মন-প্রাণ জুড়িয়েছে।
০২। এ দেশে জন্ম নিয়ে কবি নিজের জন্মকে সার্থক. বলে মনে করেছেন।
০৩। কবি এদেশকে মনেপ্রাণে ভালোবেসেছেন।
০৪। জন্মভ‚মিকে কবি মায়ের মতো মনে করেছেন।
০৫। তাই এই প্রিয় জন্মভ‚মিতে থেকেই কবি তাঁর শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ. করতে চান।
(ঘ) দেশকে ঘিরে তোমার ভাবনার কথা পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : দেশকে ঘিরে আমারে ভাবনা পাঁচটি বাক্যে তুলে ধরা হলো
০১। আমাদের দেশটির প্রকৃতি খুব সুন্দর।
০২। এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি সার্থক. হয়েছি।
০৩। আমি আমার দেশকে অনেক. ভালোবাসি।
০৪। আমি এদেশের মাটিতেই শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ. করতে চাই।
০৫। আমি দেশের কল্যাণে অবদান রাখতে চাই।
অনুচ্ছেদ-১২
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৫, ৬ ও ৭নং ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
এক. দেশে এক. রাজা ছিলেন। তাঁর ছিল এক. রানি ও তিন কন্যা। রাজ্যে সুখ. ও শান্তি বিরাজ করছিল। রাজা একদিন তিন কন্যাকে জিজ্ঞেস করলেন, কে তাঁকে কী রকম ভালোবাসে? প্রথম দুই কন্যা যথাক্রমে চিনি ও মিষ্টির সঙ্গে তুলনা করে নিজেদের ভালোবাসার কথা বলল। রাজা তাদের ওপর সন্তুষ্ট হলেন। কিন্তু ছোট কন্যা পারুল রাজার প্রতি তার ভালোবাসাকে নুনের সঙ্গে তুলনা করলে রাজা ক্রুদ্ধ হয়ে তাকে বনবাসে পাঠালেন।
গহিন অরণ্যে পরিরা ও বনের জীবজন্তু তার সঙ্গী হলো। একদিন রাজা শিকারে এলেন। ক্ষুধার্ত অবস্থায় তিনি ছোট কন্যার কুটিরে খেতে বসলেন। পরিদের সাহায্য নিয়ে পারুল পোলাও, কোরমা, রেজালাসহ অনেক. ধরনের খাবার রান্না করেছিল। কিন্তু সব খাবারই ছিল নুন ছাড়া। ফলে খাবার হলো বেজায় বিস্বাদ।
রাজা কোনো খাবার মুখেই তুলতে পারলেন না। বিস্বাদ খাবারের জন্য রাজা খুব বিরক্ত হলেন। তখন পারুল নিজের পরিচয় দিয়ে বলল, ‘বাবা, আমাকে চিনতে পারছেন? মনে আছে, আমি বলেছিলামÑ আপনাকে আমি নুনের মতো ভালোবাসি।’ এ কথায় রাজার ভুল ভাঙল। তিনি ছোট কন্যাকে রাজ্যে ফিরিয়ে নিয়ে এলেন। সবাই খুশি হলো। রাজার পরিবারে ও রাজ্যে সুখ-শান্তি ফিরে এলো।
সঠিক. উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
০১। রাজা কোনো খাবার খেতে পারলেন না কেন?
ক. ক্ষিধে ছিল না বলে খ. চিনির অভাব ছিল বলে গ. নুন বেশি হয়েছিল বলে ঘ. নুনের অভাব ছিল বলে
০২। অনুচ্ছেদটি পড়ে বলা যায়
ক. রাজারা সবসময় সুখে থাকেন
খ. নুনের সাথে কাউকে তুলনা করা উচিত নয়
গ. নুন খাবারের অত্যাবশ্যকীয় উপাদান
ঘ. রাজারা কখনো ভুল করেন না
০৩। ‘খাওয়ার ইচ্ছা’এককথায় প্রকাশ কোনটি?
ক. ক্ষুধা খ. ক্ষুধার্ত গ. খাদক ঘ. খাতক
০৪। অনুচ্ছেদটি পড়ে আমরা কী সম্পর্কে ধারণা পাই?
ক. কবিতা লেখার নিয়ম খ. রূপকথার গল্প গ. প্রবন্ধ রচনার নিয়ম ঘ. হাস্যরসাত্মক. নাটিকা
০৫। পারুল রান্নায় নুন ব্যবহার করেনি কেন?
ক. প্রয়োজন ছিল না বলে খ. ক্ষতিকর বলে
গ. রাজাকে নুনের গুরুত্ব বোঝাতে ঘ. রাজার ওপর রাগ. করে
নিচে কয়েকটি শব্দ ও শব্দার্থ দেওয়া হলো। উপযুক্ত শব্দটি দিয়ে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ কর।
মূল শব্দ ————- অর্থ
যথাক্রমে————- ক্রম অনুসারে।
বিস্বাদ————- কোনো স্বাদ নেই এমন।
বনবাস ————- বনে বাস করতে পাঠানোর শাস্তি।
ক্রুদ্ধ ————- রাগান্বিত।
গহিন ————- গভীর।
বেজা————- ভীষণ।
(ক) লোকটির স্পর্ধা দেখে দাদু ———— হলেন।
(খ) ———— জঙ্গলে বাঘের বাস।
(গ) চিনির অভাবে পায়েস খেতে ———— লাগছে।
(ঘ) ছেলেটি ———— দুষ্ট।
(ঙ) টুনি গণিত ও বাংলা পরীক্ষায় ———— ৮৮ ও ৯০ পেয়েছে।
আরো পড়ুনঃ
-
- ৫ম শ্রেণি | বাংলা | প্রার্থনা কবিতার প্রশ্ন উত্তর | PDF
- ৫ম শ্রেণি | বাংলা | ঘাসফুল কবিতার প্রশ্ন উত্তর | PDF
- ৫ম শ্রেণি | বাংলা | ভাবুক ছেলেটি গল্প প্রশ্ন উত্তর | PDF
- ৫ম শ্রেণি | বাংলা | অবাক জলপান নাটকটির প্রশ্ন উত্তর | PDF
নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
(ক) পারুল সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখ।
উত্তর : পারুল সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য :
০১। পারুল ছিল রাজার ছোট কন্যা।
০২। পারুল রাজাকে নুনের মতো ভালোবাসে।
০৩। পারুলকে বনবাসে পাঠানো হয়েছিল।
০৪। পারুল নুন ছাড়াই রাজার জন্য খাবার রান্না করেছিল।
০৫। রাজার প্রতি পারুলের ভালোবাসা সত্যি ছিল।
(খ) কীভাবে রাজার পরিবারে ও রাজ্যে সুখ. শান্তি ফিরে এলো? পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : ছোট কন্যা পারুলকে বনবাসে পাঠানোয় পরিবার ও রাজ্যে দুঃখের ছায়া নেমে এসেছিল। কিন্তু পরবর্তীতে ঘটনাচক্রে রাজা বুঝতে পারলেন যে তাঁর প্রতি পারুলের ভালোবাসা খাঁটি ছিল। পারুলকে বনবাসে পাঠিয়ে তিনি ভুল করেছিলেন। নিজের ভুল বুঝতে পেরে রাজা ছোট কন্যাকে রাজ্যে ফিরিয়ে আনলেন। এতে তাঁর পরিবার ও রাজ্যের সবার মুখে হাসি ফুটল।
(গ) রান্নায় পারুলকে কারা সহায়তা করেছিল? রাজা সম্পর্কে চারটি বাক্য লেখ।
উত্তর : রান্নায় পারুলকে সহায়তা করেছিল পরিরা। রাজা সম্পর্কে চারটি বাক্য :
(১) রাজার ছিল তিন কন্যা।
(২) ছোট কন্যা পারুলের ওপর রাজা অসন্তুষ্ট হন।
(৩) ছোট কন্যাকে রাজা বনবাসে পাঠান।
(৪) নিজের ভুল বুঝতে পেরে রাজা পারুলকে রাজ্যে ফিরিয়ে আনেন।
(ঘ) ছোট কন্যাকে রাজা বনবাসে পাঠালেন কেন? চারটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : কন্যাদের কাছে রাজার প্রশ্ন ছিল কে তাঁকে কেমন ভালোবাসে। ছোট কন্যা পারুল তার ভালোবাসাকে নুনের সাথে তুলনা
করল। এ কথা শুনে রাজা ছোট কন্যার ওপর ক্ষিপ্ত হলেন। শাস্তি হিসেবে তাকে পাঠানো হলো বনবাসে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।