পঞ্চম শ্রেণি | বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় | অধ্যায় ১ | বর্ণনামূলক প্রশ্ন উত্তর: পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়টির ১ম অধ্যায়টি হতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বর্ণনামূলক প্রশ্ন উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে। অতএব সম্পূর্ণ পোস্টটি মনযোগ সহকারে পড়ুন।
আমাদের মুক্তিযুদ্ধ কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর
যোগ্যতাভিত্তিক
প্রশ্ন-১ : অপারেশন সার্চলাইট কী? অপারেশন সার্চ লাইট পরিচালিত হয়েছিল কেন? অপারেশন সার্চ লাইটের তিনটি ফলাফল লেখ।
উত্তর : অপারেশন সার্চলাইট : অপারেশন সার্চলাইট হলো ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ রাতে নিরীহ বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি বাহিনীর পরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞ চালানোর অভিযানের নাম।
অপারেশন সার্চলাইট পরিচালিত হওয়ার কারণ : পাকিস্তানি বাহিনী বাঙালি নিধনে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালানোর জন্য অপারেশন সার্চলাইট পরিচালনা করেছিল।
অপারেশন সার্চলাইটের তিনটি ফলাফল :
১. বাঙালি জাতিসত্তার পৃথক সত্তা স্পষ্ট হয়ে যাওয়া।
২. বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা।
৩. স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা।
প্রশ্ন-২ : বুদ্ধিজীবী কারা? বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিল কেন? বুদ্ধিজীবী হত্যার তিনটি ফলাফল লেখ।
উত্তর : যারা যুদ্ধের সময় আমাদের দেশকে রক্ষার জন্য তাদের কর্ম ও মেধা দিয়ে বিশেষ অবদান রেখেছেন তারাই বুদ্ধিজীবী। বাংলাদেশ যাতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে সেজন্য পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দেশীয় দোসররা এদেশকে মেধাশূন্য করার পরিকল্পনা করে এবং ১৪ই ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবীদের ধরে নিয়ে হত্যা করে।
১. বুদ্ধিজীবীদের হত্যার ফলে মুক্তিবাহিনীর আক্রমণে পাকিস্তানিরা দিশেহারা হয়ে পড়ে। হত্যার ফলে ডিসেম্বর মাসের দিকে যুদ্ধ আকার ধারণ করে। যুদ্ধের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের সাহায্য ও সহযোগিতায় অবশেষে পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়।
প্রশ্ন-৩ : ১৪ই ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয় কেন? পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : নিজের মেধা ও প্রজ্ঞাকে কাজে লাগিয়ে জাতির উন্নয়নে যাঁরা অবদান রাখেন, তারাই বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচিত। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দেশীয় দোসররা এদেশকে মেধাশূন্য করার পরিকল্পনা করে।
১০ই ডিসেম্বর থেকে ১৪ই ডিসেম্বরের মধ্যে তারা আমাদের অনেক জ্ঞানী-গুণী শিল্পী, সাহিত্যিক, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, চিকিৎসক, সাংবাদিকদের ধরে নিয়ে হত্যা করে। এদের মধ্যে রয়েছে অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী, অধ্যাপক আনোয়ার পাশা, অধ্যাপক রাশীদুল হাসান, সাংবাদিক সেলিনা পারভিন, ডা. ফজলে রাব্বী, ডা. আজহারুল হক এবং আরও অনেকে। এসব শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে আমরা প্রতিবছর ১৪ই ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করে থাকি।
প্রশ্ন-৪ : পাঁচটি বাক্যে মুক্তিযুদ্ধের তাৎপর্য বর্ণনা কর।
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা আমাদের এই দেশ পেয়েছি। এর ফলেই পৃথিবীর বুকে আজ আমরা একটা স্বাধীন দেশের নাগরিক। আমরা পেয়েছি নিজস্ব একটা ভ‚খন্ড, একটা নিজস্ব পতাকা। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণি নির্বিশেষে সকলে স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে যাঁরা আত্মত্যাগ করেছেন, আহত হয়েছেন সেসব মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধাভারে স্মরণ করতে হবে।
প্রশ্ন-৫ : মুক্তিযুদ্ধে সাধারণ মানুষ কীভাবে অংশ নিয়েছিলেন পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধে এদেশের সাধারণ মানুষ নিজেদের জীবন বিপন্ন করে মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তারা মুক্তিযোদ্ধাদের থাকা, খাওয়া, তথ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সাহায্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ চালিয়ে যেতে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। এসব কাজে নারী ও সংস্কৃতি কর্মীগণও অসাধারণ ভ‚মিকা রেখেছিল। এদেশের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীরাও মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। সব বিপদ তুচ্ছ করে মুক্তিকামী বাংলার অগনিত জনতা শহরে, গ্রামে যথাসম্ভব রুখে দাঁড়িয়েছিলেন।
প্রশ্ন-৬ : আমাদের মুক্তিযুদ্ধে মুজিবনগর সরকারের পাঁচটি গুরুত্ব বর্ণনা কর।
উত্তর : নিচে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে মুজিবনগর সরকারের পাঁচটি গুরুত্ব বর্ণনা করা হলো :
ক. মুজিবনগর সরকার মুক্তিবাহিনী গঠনে উদ্যোগ নেয়।
খ. সামরিক ও বেসামরিক জনগণ নিয়ে গড়ে তোলে মুক্তিবাহিনী।
গ. মুজিবনগর সরকার সীমান্তবর্তী এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রেনিং প্রদানের ব্যবস্থা করে।
ঘ. বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করে যুদ্ধ পরিচালনায় নেতৃত্ব প্রদান করে।
ঙ. মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল ঠিক রাখার জন্য বিভিন্ন সেক্টর ও গেরিলা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে মুজিবনগর সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখে।
প্রশ্ন-৭ : কীভাবে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয়?
উত্তর : ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধ আরম্ভ হয়। ১৯৭১ সালের নভেম্বর, ডিসেম্বর মাসের দিকে যুদ্ধ আরও তীব্র আকার ধারণ করে। মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর সমন্বয়ে ২১ নভেম্বর যৌথবাহিনী গঠন করা হয়।
যৌথবাহিনী একযোগে স্থল, নৌ ও আকাশ পথে আক্রমণ করে। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বিকালে যৌথবাহিনীর কাছে পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণের মাধ্যমে বাংলাদেশের চ‚ড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয় এবং বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয়।
প্রশ্ন-৮ : মুক্তিযুদ্ধ কী? মুক্তিযোদ্ধা কারা? মুক্তিযোদ্ধারা কীভাবে চ‚ড়ান্ত পর্যায়ে আমাদের দেশকে স্বাধীন করেছেন? তা তোমার নিজের ভাষায় লেখ।
উত্তর : ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশকে স্বাধীন করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, শিক্ষক, সশস্ত্রবাহিনী, বুদ্ধিজীবী ও নারী-পুরুষের সমন্বয়ে যে যুদ্ধ পরিচালনা করা হয় তাকে মুক্তিযুদ্ধ বলে। বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ছিনিয়ে আনতে ও বাংলাদেশকে হানাদার বাহিনী মুক্ত করতে যারা যুদ্ধ করেছিল তাদেরকে বলা হয় মুক্তিযোদ্ধা।
মুক্তিবাহিনীর ও মিত্রবাহিনীর সমন্বয়ে ১৯৭১ সালের ৩১ নভেম্বর যৌথবাহিনী গঠন করা হয়। পাকিস্তান ৩ ডিসেম্বর ভারত আক্রমণ করলে যৌথবাহিনী একযোগে স্থল, নৌ ও আকাশপথে আক্রমণ করে। তীব্র আক্রমণে পাকিস্তানি বাহিনী অবশেষে পরাজয় মেনে নিতে বাধ্য হয়।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিকালে পাকিস্তান বাহিনীর প্রধান লে. জেনারেল নিয়াজী যৌথ বাহিনীর প্রধান লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার কাছে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে আত্মসমর্পণ দলিলে স্বাক্ষর করেন। আর এভাবেই জন্ম লাভ করে ‘বাংলাদেশ’ নামে একটি নতুন স্বাধীন রাষ্ট্র।
প্রশ্ন-৯ : স্বাধীনতা যুদ্ধে কেন আমরা বিজয়ী হয়েছি তা আলোচনা কর।
উত্তর : বাঙালিদের সাহসী ভ‚মিকার কারণে স্বাধীনতা যুদ্ধে আমরা বিজয়ী হয়েছি। পাকিস্তানিরা দীর্ঘদিন যাবৎ বাঙালিদের ওপর শোষণ-নির্যাতন চালায়। এর প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ডাক দেন। তার ডাকে সাড়া দিয়ে বাঙালিরা স্বাধীনতার জন্য ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা চালায়। কৃষক-শ্রমিক-ছাত্র জনতাসহ সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতায় যুদ্ধে বিজয় ছিনিয়ে আনতে সক্ষম হয়।
প্রশ্ন-১০ : হানাদার বাহিনী কর্তৃক বুদ্ধিজীবী হত্যার কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বুদ্ধিজীবী ব্যক্তিবর্গ একটি জাতির মস্তিষ্কস্বরূপ। পাকিস্তানি শাসকচক্র বাংলাদেশকে চিরতরে মেধাশূন্য করার এক ঘৃণ্য পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অগ্রসর হয়। তারা ভেবেছিল এদেশকে মেধাশূন্য করা গেলে বাঙালি জাতির মেরুদণ্ড ভেঙে যাবে এবং কোনোদিন বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না। মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকেই বুদ্ধিজীবী হত্যাযজ্ঞ চলতে থাকে। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর নির্দেশনা ও মদদে একশ্রেণির দালাল এই হত্যাযজ্ঞ ঘটায়।
প্রশ্ন-১১ : মুক্তিযুদ্ধে যৌথ বাহিনীর ভ‚মিকা বর্ণনা কর।
উত্তর : মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর সমন্বয়ে ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর একটি যৌথবাহিনী গঠন করা হয়। পাকিস্তান ৩ ডিসেম্বর ভারত আক্রমণ করলে যৌথবাহিনী একযোগে স্থল, নৌ ও আকাশপথে আক্রমণ করে। তীব্র আক্রমণে পাকিস্তানি বাহিনী অবশেষে পরাজয় মেনে নিতে বাধ্য হয়।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিকালে পাকিস্তান বাহিনীর প্রধান লে. জেনারেল নিয়াজী যৌথ বাহিনীর প্রধান লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার কাছে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে আত্মসমর্পণ দলিলে স্বাক্ষর করেন। আর এর মাধ্যমে জন্ম লাভ করে ‘বাংলাদেশ’ নামে একটি নতুন স্বাধীন দেশ।
প্রশ্ন-১২ : কখন মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়? মুক্তিযুদ্ধের সময় এদেশের ৪টি ক্ষয়ক্ষতি উল্লেখ কর।
উত্তর : ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনী আমাদের দেশের অনেক ক্ষতি করে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় পাঁচটি ক্ষয়ক্ষতি :
১. হাজার হাজার গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া হয়।
২. হাজার হাজার মানুষ ঘরবাড়ি হারায়।
৩. ব্রিজ কালভার্ট, রাস্তাঘাট ধ্বংস হয়।
৪. গণহত্যা, লুটতরাজে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।
৫. বুদ্ধিজীবীদের হারিয়ে দেশ মেধাশূন্য হয়ে পড়ে।
প্রশ্ন-১৩ : মুক্তিযুদ্ধে নারীদের পাঁচটি ভ‚মিকার কথা লেখ।
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধে নারীরা বিভিন্নভাবে ভ‚মিকা রাখে। নিচে পাঁচটি ভ‚মিকার কথা উল্লেখ করা হলো :
১. মুক্তিযুদ্ধের সময় নারীরা সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণের পাশাপাশি বিভিন্নভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করেছিলেন।
২. তারা মুক্তিযোদ্ধাদের খাবার দিয়ে সাহায্য করেছিলেন।
৩. তথ্য দিয়ে সাহায্য করেছিলেন।
৪. আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা-শুশ্রƒষা দিয়ে, অস্ত্র সরবরাহ ও নিরাপদ রেখে সুস্থ করে তুলেছেন।
৫. মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল বাড়ানোর জন্য ও লড়াই চালিয়ে যেতে উদ্বুদ্ধ করতেন।
আরো পড়ুনঃ
-
- ৫ম শ্রেণি | বাংলা | প্রার্থনা কবিতার প্রশ্ন উত্তর | PDF
- ৫ম শ্রেণি | বাংলা | ঘাসফুল কবিতার প্রশ্ন উত্তর | PDF
- ৫ম শ্রেণি | বাংলা | ভাবুক ছেলেটি গল্প প্রশ্ন উত্তর | PDF
- ৫ম শ্রেণি | বাংলা | অবাক জলপান নাটকটির প্রশ্ন উত্তর | PDF
সাধারণ
প্রশ্ন-১৪ : বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের যেকোনো পাঁচটি সেক্টরের বর্ণনা দাও।
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য সারা দেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল। নিচে পাঁচটি সেক্টরের বর্ণনা দেওয়া হলো :
সেক্টর-১ : চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং ফেনী নদী পর্যন্ত।
সেক্টর-২ : নোয়াখালী, কুমিল্লা, আখাউড়া, ভৈরব এবং ঢাকা ও ফরিদপুর জেলার অংশবিশেষ।
সেক্টর-৩ : আখাউড়া, ভৈরব রেললাইন থেকে পূর্বদিকে কুমিল্লা জেলা, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও ঢাকা জেলার অংশবিশেষ।
সেক্টর-৪ : সিলেট জেলার পূর্বাঞ্চল, খোয়াই, শায়েস্তাগঞ্জ রেললাইন থেকে পূর্ব ও উত্তর দিকে ডাইউকি সড়ক।
সেক্টর-৫ : সিলেট জেলার পশ্চিম এলাকা এবং সিলেট ডাইউকি সড়ক থেকে সুনামগঞ্জ এবং বৃহত্তর ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী অঞ্চল।
প্রশ্ন-১৫ : মুক্তিযুদ্ধে বীরত্ব ও সাহসিকতার জন্য দেওয়া রাষ্ট্রীয় বীরত্বসূচক উপাধিগুলো কী কী?
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধে বীরত্ব ও সাহসিকতার অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ সরকার কতকগুলো রাষ্ট্রীয় বীরত্বসূচক উপাধি প্রদান করেছে। এগুলো হলো :
১. বীরশ্রেষ্ঠ : এটি সর্বোচ্চ বীরত্বসূচক পুরস্কার। মুক্তিযুদ্ধে অসীম সাহসিকতার সাথে যুদ্ধ করতে গিয়ে যাঁরা শহিদ হয়েছেন তাদেরকে এ পুরস্কার দেয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত সাতজন এ খেতাবে ভূষিত হয়েছেন।
২. বীর-উত্তম : মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতা ও ত্যাগের জন্য দেয়া এটি দ্বিতীয় বীরত্বসূচক পুরস্কার।
৩. বীর-বিক্রম : মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতা ও ত্যাগের জন্য দেয়া এটি তৃতীয় বীরত্বসূচক পুরস্কার।
৪. বীর-প্রতীক : মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতা ও ত্যাগের জন্য দেয়া এটি চতুর্থ বীরত্বসূচক পুরস্কার।
প্রশ্ন-১৬ : মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতাকারী সংগঠনের ভ‚মিকা কীরূপ ছিল?
উত্তর : বাংলাদেশের প্রায় সব মানুষ স্বাধীনতার পক্ষে থাকলেও কিছু মানুষ মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে। এদের কয়েকটি প্রধান সংগঠনের মধ্যে ছিল শান্তি কমিটি, রাজাকার, আলবদর ও আল শামস। এ বিরোধিতাকারী সংগঠনের সদস্যরা মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্য এবং মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক সাধারণ মানুষের নামের তালিকা তৈরি করে হানাদারদের দিয়েছিল।
এছাড়া পথঘাট চিনিয়ে নেওয়া এবং ভাষা বুঝিয়ে পাকিস্তানি বাহিনীকে নির্যাতন ও তাণ্ডব চালাতে সাহায্য করে। এদের অত্যাচার কখনো কখনো পাকিস্তানি বাহিনীকেও হার মানিয়েছিল।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।