পঞ্চম শ্রেণি | বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় | অধ্যায় ৪ | বর্ণনামূলক প্রশ্ন উত্তর: পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়টির ৪র্থ অধ্যায়টি হতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বর্ণনামূলক প্রশ্ন উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে। অতএব সম্পূর্ণ পোস্টটি মনযোগ সহকারে পড়ুন।
অধ্যায় ৪ আমাদের অর্থনীতি কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর
যোগ্যতাভিত্তিক
প্রশ্ন-১ : পাট কী? পাটকে সোনালী আঁশ বলা হয় কেন? পাটের তিনটি ব্যবহার লেখ।
উত্তর : পাট : পাট হচ্ছে বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী ফসল।
পাটকে সোনালি আঁশ বলার কারণ : পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। এজন্য পাটকে সোনালি আঁশ বলা হয়।
পাটের ব্যবহার : পাটের তিনটি ব্যবহার হলো :
১. পাট দিয়ে চটের বস্তা ও নানা রকম ব্যাগ তৈরি করা হয়।
২. পাট দিয়ে গৃহস্থালির প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করা হয়।
৩. পাট দিয়ে কার্পেট তৈরি হয়।
প্রশ্ন-২ : বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কৃষির গুরুত্ব বর্ণনা কর।
উত্তর : বাংলাদেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ। এখানে মোট জনসংখ্যার শতকরা আশি ভাগ মানুষ কৃষির সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত এবং কৃষির উপর নির্ভরশীল। বর্তমানে মোট জাতীয় আয়ের প্রায় ২০% হচ্ছে কৃষির অবদান। বাংলাদেশে দু’ধরনের কৃষিজাত পণ্য রয়েছে।
যথা: খাদ্য জাতীয় কৃষিদ্রব্য, এটা জনবহুল দেশের মানুষের খাবারের চাহিদা মেটায়। অপরটি হচ্ছে অর্থকরী কৃষিদ্রব্য। অর্থকরী কৃষিদ্রব্য রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়। অর্থাৎ বলা যায় যে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে কৃষির গুরুত্ব অপরিসীম।
প্রশ্ন-৩ : বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী কৃষিদ্রব্যের নাম লেখ। পাঁচটি বাক্যে সোনালী আঁশের বর্ণনা দাও।
উত্তর : বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী কৃষিদ্রব্যগুলো হচ্ছে পাট, চা ও তামাক। এগুলো ছাড়াও বাংলাদেশে তুলা, সুপারি, রেশম, রাবার ইত্যাদি অর্থকরী কৃষিদ্রব্য উৎপন্ন হয়।
সোনালি আঁশের বর্ণনা : পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। এজন্য বাংলাদেশে পাটকে ‘সোনালি আঁশ’ বলা হয়।
বাংলাদেশের মাটি ও জলবায়ু পাট চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী। এদেশের সব এলাকাতে পাটের চাষ হয়। তবে বৃহত্তর ঢাকা, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, কুমিল্লা, পাবনা, কুষ্টিয়া, যশোর ও নওগাঁ জেলায় বেশি পাট উৎপন্ন হয়।
প্রশ্ন-৪ : বাংলাদেশের প্রধান দুটি শিল্পের নাম উল্লেখ কর। এ সম্পর্কে বর্ণনা দাও।
উত্তর : বাংলাদেশের প্রধান দুটি শিল্প হচ্ছে পাট ও বস্ত্রশিল্প।
পাট শিল্প : বাংলাদেশে অনেক পাটের কারখানা রয়েছে। কারখানাগুলো প্রধানত নারায়ণগঞ্জ, চাঁদপুর, খুলনা, দৌলতপুরসহ নদী তীরবর্তী শহর অঞ্চলে অবস্থিত। এসব শিল্প-কারখানায় পাট দিয়ে নানা রকম পণ্য তৈরি হয়। এগুলোর মধ্যে চট, চটের তৈরি বস্তা ও নানারকম ব্যাগ বিশেষ উলেখযোগ্য। পাট দিয়ে কার্পেট তৈরি হয়। এসব পণ্য দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি হয়। এর ফলে বাংলাদেশ অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে।
বস্ত্র শিল্প : ষোল কোটি মানুষের বস্ত্র চাহিদা মেটানোর জন্য বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বস্ত্র কারখানা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ এবং গাজীপুর জেলাতে অধিকাংশ বস্ত্রকল রয়েছে। বাংলাদেশের বস্ত্র শিল্প দেশের বস্ত্র চাহিদা সম্পূর্ণ মেটাতে পারে না। এজন্য বিদেশ থেকে বস্ত্র আমদানি করতে হয়।
আরো পড়ুনঃ
-
- ৫ম শ্রেণি | বাংলা | প্রার্থনা কবিতার প্রশ্ন উত্তর | PDF
- ৫ম শ্রেণি | বাংলা | ঘাসফুল কবিতার প্রশ্ন উত্তর | PDF
- ৫ম শ্রেণি | বাংলা | ভাবুক ছেলেটি গল্প প্রশ্ন উত্তর | PDF
- ৫ম শ্রেণি | বাংলা | অবাক জলপান নাটকটির প্রশ্ন উত্তর | PDF
সাধারণ
প্রশ্ন-৫ : বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের গুরুত্ব পাঁচটি বাক্যে লেখ
উত্তর : বাংলাদেশে জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে পোশাক শিল্পের ভ‚মিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এদেশের মোট রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ আসে তৈরি পোশাক রপ্তানির মাধ্যমে। এ শিল্পে কয়েক লক্ষ নারী ও পুরুষ কাজ করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করছে। তাদের ও কর্মসংস্থান দেশের বেকারত্ব লাঘবে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখছে। মোট কথা পোশাক শিল্প বাংলাদেশের আর্থসামজিক উন্নয়নে ব্যাপক ভ‚মিকা পালন করে।
প্রশ্ন-৬ : বাংলাদেশের অর্থনীতিতে শিল্পের অবদান পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : বাংলাদেশের অর্থনীতিতে শিল্পের ভ‚মিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এদেশের অর্থনীতিতে মোট জাতীয় আয়ের মধ্যে শিল্পের অবদান উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশের প্রধান শিল্পগুলো হচ্ছে পাট শিল্প, বস্ত্র শিল্প, তাঁত শিল্প, চিনি শিল্প, ওষুধ শিল্প, সার শিল্প, কাগজ শিল্প, কুটির শিল্প ইত্যাদি। এসব শিল্পের মাধ্যমে দেশে বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে। উৎপাদিত পণ্যসমূহ দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা হচ্ছে।
প্রশ্ন-৭ : অর্থকরী ফসল তামাক গুরুত্বপূর্ণ হলেও এটির চাষ কেন নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে?
উত্তর : অর্থকরী ফসল তামাক গুরুত্বপূর্ণ হলেও, এটির ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে চাষের জন্য নিরুৎসাহিত করা হয়। বাংলাদেশের অনেক অঞ্চলে তামাক চাষ হয়। তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য রপ্তানি করে প্রতিবছর বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। তবে তামাক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তামাক সাধারণত সিগারেট, বিড়ি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এ কারণে এটি চাষে নিরুৎসাহিত করা হয়।
প্রশ্ন-৮ : পাঁচটি বাক্যে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের বর্ণনা দাও।
উত্তর : বর্তমানে বাংলাদেশের একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ শিল্প হলো পোশাক শিল্প। বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় পোশাক কারখানা গড়ে উঠেছে। এসব কারখানায় পোশাক তৈরি করা হয় যেসব পোশাকের বেশিরভাগ বিদেশে রপ্তানি হয়। বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে কয়েক লক্ষ নারী ও পুরুষ কাজ করে। পোশাক রপ্তানি করে বাংলাদেশ প্রতিবছর অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।