পঞ্চম শ্রেণি | প্রাথমিক বিজ্ঞান | অধ্যায় ৪ | সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর | PDF: পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক বিজ্ঞান বিষয়টির ৪র্থ অধ্যায়টি হতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে। অতএব সম্পূর্ণ পোস্টটি মনযোগ সহকারে পড়ুন।
অধ্যায় ৪ বায়ু সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন :
প্রশ্ন \ ১ \ মানুষ কীভাবে বায়ুপ্রবাহকে দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করে?
উত্তর : মানুষ বিভিন্নভাবে বায়ুপ্রবাহকে দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করে। যেমন
১.বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বড় বড় চরকা বা বা টারবাইন ঘুরাতে বায়ুপ্রবাহ ব্যবহার করা হয়।
২.হেয়ার ড্রায়ারের বায়ুপ্রবাহ ব্যবহার করা হয় ভেজা চুল শুকানোর কাজে।
৩.ভেজা কাপড় শুকানোর কাজে।
৪.হাতপাখা বা বৈদ্যুতিক পাখার বায়ুপ্রবাহ ব্যবহার করা হয় শরীর ঠাণ্ডা রাখতে।
৫. বায়ুপ্রবাহকে কাজে নৌকা চালানোর কাজে।
প্রশ্ন \ ২ \ মানুষের স্বাস্থ্যের উপর বায়ু দূষণের ক্ষতিকর প্রভাবসমূহ কী?
উত্তর : মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য বায়ু দূষণ ক্ষতিকর। এর ফলে মানুষ ফুসফুসের ক্যান্সার, শ্বাসজনিত রোগ, হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়।
প্রশ্ন-৩ : বায়ু দূষণ প্রতিরোধের তিনটি উপায় লেখ।
উত্তর : বায়ু দূষণ প্রতিরোধের তিনটি উপায় নিম্নরূপ :
১.প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার কমিয়ে, পুনঃব্যবহার করে ও রিসাইকেল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দূষণ প্রতিরোধ করা যায়।
২.ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করে এবং গাছ লাগানোর মাধ্যমেও বায়ু দূষণ প্রতিরোধ করা যায়।
৩.শক্তির ব্যবহার কমিয়ে অর্থাৎ জীবাশ্ম জ্বালানির অতিরিক্ত ব্যবহার না করে বায়ু দূষণ কমানো যায়।
প্রশ্ন \ ৪ \ বায়ু দূষণের কারণ কী?
উত্তর : বায়ু দূষণের একটি বড় কারণ হলো মানুষের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড। এর ফলে বায়ুতে বিভিন্ন ধরনের গ্যাস নির্গত হয়। কলকারখানা ও যানবাহন থেকে এ সকল গ্যাস বায়ুতে আসে। গাছপালা পোড়ানোর ফলে উৎপন্ন ধোঁয়া থেকেও বায়ু দূষিত হয়। যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলা ও মলমূত্র ত্যাগের কারণে বায়ুতে দুর্গন্ধ ছড়ায় এবং বায়ু দূষিত হয়।
এই বিভাগে আরো পড়ুন
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন \ ১ \ বায়ু দূষণ কাকে বলে?
উত্তর : বায়ুর স্বাভাবিক উপাদান পরিবর্তন হওয়াকে বায়ু দূষণ বলে।
প্রশ্ন \ ২ \ ইউরিয়া সার প্রস্তুত করা হয় কী দিয়ে?
উত্তর : ইউরিয়া সার প্রস্তুত করা হয় নাইট্রোজেন থেকে।
প্রশ্ন \ ৩ \ আগুন নেভানোর জন্য কোন গ্যাস ব্যবহার করা হয়?
উত্তর : আগুন নেভানোর জন্য কার্বন ডাইঅক্সাইড ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন \ ৪ \ বায়ুর চারটি উপাদানের নাম লেখ।
উত্তর : বায়ুর চারটি উপাদানের নাম হচ্ছেÑ নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, কার্বন ডাইঅক্সাইড ও জলীয় বাষ্প।
প্রশ্ন \ ৫ \ বায়ু দূষণ কাকে বলে?
উত্তর : বিভিন্ন ধরনের পদার্থ যেমন- রাসায়নিক পদার্থ, গ্যাস, ধূলিকণা, ধোঁয়া অথবা দুর্গন্ধ বায়ুতে মিশে যখণ জীব ও প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য ক্ষতির কারণ হয় তখন তাকে বায়ু দূষণ বলে।
প্রশ্ন \ ৬ \ এসিড বৃষ্টি কী?
উত্তর : কলকারখানার ধোঁয়া থেকে সৃষ্ট বিভিন্ন ধরনের গ্যাস মেঘের সাথে মিশে এসিড তৈরি করে এবং বৃষ্টির সাথে মাটিতে নেমে আসে। একে বলে এসিড বৃষ্টি।
প্রশ্ন \ ৭ \ টিনজাত ও প্যাকেটজাত খাবার (যেমন- চিপসের প্যাকেট) সংরক্ষণে কী ব্যবহৃত হয়?
উত্তর : টিনজাত (যেমন- মাছ, মাংস ইত্যাদি) ও প্যাকেটজাত খাবার (যেমন- চিপসের প্যাকেট) সংরক্ষণে নাইট্রোজেন ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্ন \ ৮ \ বায়ুর দুটি উপাদানের নাম লেখ।
উত্তর : বায়ুর দুটি উপাদান হলো নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন।
প্রশ্ন \ ৯ \ প্রাণী কী কাজে অক্সিজেন ব্যবহার করে?
উত্তর : প্রাণী শ্বাসকার্যে অক্সিজেন ব্যবহার করে।
আরো পড়তে পারেনঃ
পঞ্চম শ্রেণি | বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় | অধ্যায় ১ | সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
পঞ্চম শ্রেণি | বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় | অধ্যায় ২ | সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
পঞ্চম শ্রেণি | বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় | অধ্যায় ৩ | সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
পঞ্চম শ্রেণি | বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় | অধ্যায় ৫ | সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্ন \ ১০ \ দূষিত বায়ু কাকে বলে?
উত্তর : যে বায়ুতে রোগ জীবাণু, ধূলিকণা ও বিষাক্ত গ্যাস মিশে থাকে সে বায়ুকে দূষিত বায়ু বলে।
প্রশ্ন \ ১১ \ আমরা গরমের দিনে বৈদ্যুতিক পাখা কেন ব্যবহার করি?
উত্তর : শরীরকে ঠান্ডা রাখতে গরমের দিনে আমরা বৈদ্যুতিক পাখা ব্যবহার করি।
প্রশ্ন \ ১২ \ নাইট্রোজেনের ব্যবহার উল্লেখ কর।
উত্তর : ইউরিয়া সার তৈরিতে এবং প্যাকেট বা টিনের কৌটায় বিভিন্ন খাদ্য যেমন মাছ, মাংস, চিপস ইত্যাদি সংরক্ষণে বায়ুর নাইট্রোজেন ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্ন \ ১৩ \ কার্বন ডাইঅক্সাইডের একটি ব্যবহার উল্লেখ কর।
উত্তর : আগুন নেভানোর জন্য অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রে কার্বন ডাইঅক্সাইড ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন \ ১৪ \ এসিড বৃষ্টির ক্ষতিকর প্রভাব কী?
উত্তর : এসিড বৃষ্টি উদ্ভিদ, প্রাণী, দালানকোঠা ও যন্ত্রপাতির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
প্রশ্ন \ ১৫ \ পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য দায়ী কোন গ্যাস?
উত্তর : পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য মূলত কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস দায়ী।
প্রশ্ন \ ১৬ \ বায়ুতে কী থাকে?
উত্তর : বায়ুতে নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, কার্বন ডাইঅক্সাইড ও জলীয় বাষ্প থাকে।
প্রশ্ন \ ১৭ \ বায়ু থেকে আমরা কী গ্রহণ করি?
উত্তর : বায়ু থেকে আমরা অক্সিজেন গ্রহণ করি।
প্রশ্ন \ ১৮ \ আমাদের শরীরে কীভাবে শক্তি উৎপন্ন হয়?
উত্তর : অক্সিজেন আমাদের গ্রহণ করা খাদ্য ভেঙে শরীরে শক্তি উৎপাদন করে।
প্রশ্ন \ ১৯ \ জ্বালানি পুড়িয়ে আমরা কী করি?
উত্তর : জ্বালানি পুড়িয়ে আমরা শক্তি উৎপাদন করি যা কলকারখানা চালাতে, গাড়ি চালাতে ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে সাহায্যে করে।
প্রশ্ন \ ২০ \ শ্বাসকষ্টের রোগীদের কী দেওয়া হয়?
উত্তর : শ্বাসকষ্টের রোগীদেরকে সিলিন্ডারের অক্সিজেন দেওয়া হয়।
প্রশ্ন \ ২১ \ ইউরিয়া সার কেন ব্যবহার করা হয়?
উত্তর : ইউরিয়া সার গাছের বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন \ ২২ \ বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস বৃদ্ধি পাচ্ছে কেন?
উত্তর : যানবাহন বা কলকারখানায় নানা কাজে জ্বালানি হিসেবে কাঠ, কয়লা, কেরোসিন, পেট্রোল, প্রাকৃতিক গ্যাস প্রভৃতি পোড়ানোর ফলে এবং গাছপালা ধ্বংসের ফলে বায়ুতে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে চলেছে।
প্রশ্ন \ ২৩ \ কার্বন মনোক্সাইড কীরূপ গ্যাস?
উত্তর : কার্বন মনোক্সাইড বিষাক্ত গ্যাস।
প্রশ্ন \ ২৪ \ বায়ুতে সালফার পুড়ে কী উৎপন্ন করে?
উত্তর : বায়ুতে সালফার পুড়ে সালফারের অক্সাইড উৎপন্ন করে যা এসিড বৃষ্টির জন্য দায়ী।
প্রশ্ন \ ২৫ \ পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় কেন?
উত্তর : পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় মূলত বায়ুতে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।