আমাদের মনে অনেকেরই একই প্রশ্ন আর তা হলঃ
- SSC পরেঃ HSC ২ বছর + BSc ৪ বছর = ৬ বছর Graduation Complete
- SSC পরেঃ Diploma ৪ বছর + BSc ৪/৩ বছর = ৮ / ৭ বছর Graduation Complete
- আরও পড়ুনঃ ডিপ্লোমা করতে খরচ কত ?
- আরও পড়ুনঃ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন কত?
ডিপ্লোমা করে বিএসসি নাকি HSC করে বিএসসি?
- ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী
- বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী
- আরও পড়ুনঃ ডিপ্লোমা করতে খরচ কত ?
- আরও পড়ুনঃ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন কত?
ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং (Diploma in Engineering) পড়াশুনার সুবিধা সমূহঃ
- আরও পড়ুনঃ ডিপ্লোমা করতে খরচ কত ?
- আরও পড়ুনঃ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন কত?
এবার কথা বলব ডিপ্লোমার গুরুত্ব নিয়েঃ
বিদেশের মাটিতে যদি আপনি একটা ডিপ্লোমা করেন তাহলে চাকরী পাবার জন্য সেটাই যথেষ্ট। কারন এই ডিপ্লোমা থেকেই চাকরীদাতা বুঝে নেবে আপনার সেই বিষয়ে ব্যাসিক জ্ঞান আছে। বাকি কাজ আপনি জবে ঢুকে শিখে নিতে পারবেন। বিদেশের মাটিতে আপনি যদি পিএইচডি করে এন্ট্রি লেভেলে জব খুঁজতে যান তাহলে ফ্যাড়কায় পড়বেন।
কারন ঐ যে ডিপ্লোমা করা ছেলেটা ম্যানেজার হতে বসে আছে সে ভাববে আপনি তো ওভারকোয়ালিফাইড। আপনার জন্য এ পদ নয়। তাই ডিগ্রী যে সর্বদা খুব ভালো সহায়তা করে তা ঠিক নয়।
সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের মাটিতে যদি পিএইচডি করা ছেলে পিয়নের পোস্টে এপ্লাই করে কোম্পানি তাকে রাখে এ জন্য যে আরো ১০-১২ জনকে বলবে যে আমার কোম্পানির দারোয়ান পিয়নও পিএইচডি।
তবে আপনি যদি ডিপ্লোমা করেন তাহলে পাবলিক ইউনি ডুয়েটে ঢোকা আপনার জন্য কষ্টকর। প্রচন্ড কষ্টকর। কারন সারা বাংলাদেশের যত পলিটেকনিক আছে সবাই সেখানে চেস্টা করবে এবং এর ভর্তি পরীক্ষা হবে খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতা মূলক।
সেক্ষেত্রে আপনি যদি ইন্টার পড়েন তাহলে আপনার জন্য বুয়েট চুয়েট রুয়েট কুয়েট সহ প্রচুর ভালো ভালো বিশ্ববিদ্যালয় আছে। এরপর প্রাইভেট তো আছেই। ডিপ্লোমাদের জন্য ও এখন অনেক প্রাইভেট আছে। কিন্তু সরকারীতে ঐ একটাই। ডুয়েট অবশ্য খুবই ভালো জায়গা বিএসসি করার জন্য।
ডিপ্লোমা করে বিএসসি নাকি HSC করে বিএসসি?
এখন ডিপ্লোমা আর ইন্টারের মধ্যে পার্থক্য হলো আপনি একটাতে নির্দিষ্ট বিষয়ে জোর দিয়ে পড়ছেন এবং আপনার লক্ষ্য হবে শুধু ঐ বিষয়ে। কিন্তু আপনি ইন্টারে সায়েন্স নিয়ে পড়লে পরবর্তিতে আপনি কম্পু সিভিল ইইই ম্যাকা আর্কি সহ হাজারো মৌলিক ও প্রকৌশল সাবজেক্টে চেস্টা করতে পারেন। সেক্ষেত্রে ডিপ্লোমা করলে আপনার সুযোগ এখানেও কমছে।
তারপরও মানুষ ডিপ্লোমা করে কারন এতে করে আপনার সরকারী বেসরকারী চাকুরীতে ঢোকার সম্ভাবনা আছে যেটা ইন্টার পাশ করে একটু কষ্টকর। তবে মোটের ওপর আপনাকে একটা বয়সে গেলে বিএসসি করতেই হবে। কিন্তু সে বিষয়ে আবারও সে গাধার খাটুনি খেটে বই নিয়ে বসা, ভর্তি পরীক্ষা দেয়া এবং সে বয়সে যদি বিয়ে থা করে ফেলেন তাহলে সে সংসার চালিয়ে বিএসসি করা আরো কষ্টকর।
কিন্তু ডিপ্লোমা আর ইন্টারের পার্থক্য মাত্র ১ থেকে দেড় বছরের। যে কাজটা বয়সকালে করবেন সেটা আপনি যৌবনের করে ফেলছেন। আমি চাকরি জীবন যখন শুরু করি তখন আমার আন্ডারে কিছু ডিপ্লোমা করা ছেলে কাজ করতো যার মধ্যে একজন ছিলো সিভিল ইন্জিনিয়ার। বেচারা বিয়ে করেছেন।
- আরও পড়ুনঃ ডিপ্লোমা করতে খরচ কত ?
- আরও পড়ুনঃ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন কত?
ডিপ্লোমা করে বিএসসি নাকি HSC করে বিএসসি?
পুরো টিভি স্টেষনে গাধার খাটনি খেটে চলে যেতো এশিয়া প্যাসিফিকের ক্যাম্পাসে। বাসা ফিরতে ফিরতে রাত ১১ টা। সে ২০০৬ এর দিকের কাহিনী। বেচারা যদি বিএসসি করে তাহলে তার বেতন হয়তো বাড়তো ৫ হাজার টাকা। কিন্তু ঐ ৫ হাজার টাকা বেতনের জন্য তাকে আরো কতগুলো বছর কষ্ট করতে হবে যেটা অকল্পনীয়।
আপনি হয়তো ভাবছেন গ্রামে থাকবো কোনো সমস্যা নাই। কিন্তু বর্তমান মুক্তবাজারের যুগে গ্রাম থেকে শহরের ব্যাবধান কমে আসছে। মূল্যস্ফিতী সবখানে। জীবনযাত্রার মান ও খরচ সবই উঠতির দিকে। যদি আপনার বিদেশে যাবার ইচ্ছা থাকে তাহলেও ইন্টার সার্টিফিকেট আপনাকে ভালো সহায়তা করবে।
যদি ডিপ্লোমা করে ভালো কিছু জব এবং বেশ কিছু ভালো প্রজেক্ট থাকে হয়তো স্কলারশীপ পেতে পারেন কিন্তু সেক্ষেত্রে আপনার রেজাল্ট ও আইইএলটিএস স্কোর একটা ফ্যাক্টর হতে পারে ইউরোপের ক্ষেত্রে আর নর্থ আমেরিকার জন্য টোফেল জিআরই একটা ব্যাপার তো আছেই।
সেটা যাই হোক, কোন জ্ঞানই ফেলনা নয়। মানুষ বিভিন্ন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন শর্টকাট বেছে নেয়। ডিপ্লোমা করা মানে জীবন শেষ করা নয়, তবে ভবিষ্যতে একটা মান এবং ভালো কিছু চাইলে আবারও প্রথম থেকে শুরু করতে হবে। ভবিষ্যত নিয়ে ভাবনা থাকলে আর বর্তমানে যদি সুযোগ থাকে তাহলে ইন্টার করা বুদ্ধিমানের কাজ।
আর বাংলাদেশ সরকার এখন তো জেলায় জেলায় সরকারী বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বানাচ্ছে। সেগুলোও খারাপ না যদি ভালো রেজাল্ট নিয়ে বেরুতে পারেন। অনেক টাকা বাচবে এবং পাশ করার পর একটা ভালো এলামনি পাবেন।
উক্ত বিষয় সর্ম্পকে যেকোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন।
গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।