ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ৮ | সৃজনশীল প্রশ্ন ৬-১০| PDF: ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের অষ্টম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের অষ্টম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ৮ | সৃজনশীল প্রশ্ন ৬-১০ | PDF
প্রশ্ন ৬:
[কু. বো. ১৬]
ক.ভাসমান মুদ্রা কী?১
খ.বৈদেশিক বিনিময় হার নির্ধারণের আধুনিক তত্ত¡ কোনটি এবং কেন?২
গ.উপরোক্ত চিত্রের ঊ বিন্দুতে কী নির্ধারিত হয়? ব্যাখ্যা করো।৩
ঘ.চিত্রে উলিখিত পদ্ধতিতে বিনিময় হার নির্ধারণ কতটুকু যৌক্তিক? তোমার যৌক্তিক মতামত দাও।৪
৬ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা ও যোগান বা বাজার পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে মুদ্রার মান নিয়ন্ত্রিত হলে তাকে ভাসমান মুদ্রা বলে।
খ উত্তর: বৈদেশিক বিনিময় হার নির্ধারণের আধুনিক তত্ত¡টি হচ্ছে চাহিদা ও যোগান তত্ত¡।
দু’দেশের মুদ্রার বিনিময় হার তাদের মুদ্রার পারস্পরিক চাহিদা ও যোগান নুযায়ী নির্ধারণ সংক্রান্ত তত্ত¡ই চাহিদা ও যোগান তত্ত¡। এক্ষেত্রে মনে করা হয়, চাহিদা ও যোগানের ভারসাম্য বিন্দুতে যেমন কোনো কিছুর দাম নির্ধারিত হয় তেমনি বৈদেশিক বাজারে অর্থের বিনিময় মূল্যও চাহিদা ও যোগান দ্বারা নির্ধারিত হয়। আধুনিক অর্থনীতিবিদগণ এ তত্ত¡ সমঅর্থন করেন বিধায় একে বিনিময় হার নির্ধারণের আধুনিক তত্ত¡ বলা হয়।
গ উত্তর: চিত্রের ঊ বিন্দুতে ভারসাম্য বিনিময় হার নির্ধারিত হয়।
বৈদেশিক বিনিময়ের সময় দেশীয় মুদ্রা দ্বারা বিদেশি মুদ্রার যে পরিমাণ ক্রয় করতে সক্ষম হয় তাকে বৈদেশিক বিনিময় হার বলে। আর দেশীয় ও বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা ও যোগান যে বিন্দুতে মিলিত হয় তা-ই ভারসাম্য বিন্দু।
উদ্দীপকের চিত্রে ঙঢ দ্বারা বৈদেশিক মুদ্রার মোট চাহিদা ও যোগানকে এবং ঙণ দ্বারা বৈদেশিক মুদ্রার সাথে দেশীয় মুদ্রার বিনিময় হারকে বোঝানো হয়েছে। আবার, উউ১ রেখা দ্বারা বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদার হ্রাস-বৃদ্ধি এবং ঝঝ রেখা দ্বারা বৈদেশিক মুদ্রার যোগানের হ্রাস-বৃদ্ধি বোঝাচ্ছে।
উউ১ ও ঝঝ১ রেখাদ্বয় পরস্পর ঊ বিন্দুতে মিলিত হয়েছে। ফলে এই বিন্দুতে বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা ও যোগানের পারস্পরিক প্রতিক্রিয়ার ফলে ভারসাম্য বিনিময় হার নির্ধারিত হয়েছে। অর্থাৎ ঙচ পরিমাণ দেশীয় মুদ্রার বিনিময়ে ঙছ পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া যায়। অর্থাৎ, ঊ বিন্দুতে ভারসাম্য বিনিময় হার নির্ধারিত হয়েছে যেখানে বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা ও যোগান পরস্পর সমান।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে উলিখিত চাহিদা ও যোগান তত্ত¡ পদ্ধতিতে বিনিময় হার নির্ধারণ যথেষ্ট যৌক্তিক হয়েছে।
দু’দেশের মুদ্রার বিনিময় হার তাদের মুদ্রার পারস্পরিক চাহিদা ও যোগান নুযায়ী নির্ধারণ সংক্রান্ত তত্ত¡কেই চাহিদা ও যোগান তত্ত¡ বলে। আধুনিক অর্থনীতিবিদগণ এরূপ তত্ত¡ সম্পূর্ণ সমঅর্থন করেন।
উদ্দীপকে উলিখিত চিত্রে ঝঝ১ যোগান রেখা ও উউ১ চাহিদা রেখা পরস্পর ঊ বিন্দুতে ছেদ করে যা চাহিদা ও যোগানের ভারসাম্য বিন্দু। এ ভারসাম্য বিন্দুতে বৈদেশিক বিনিময় হার নির্ধারণ করা হয়।
চাহিদা ও যোগান তত্ত¡ পদ্ধতিতে চাহিদা ও যোগানের ওপর ভিত্তি করে বিনিময় হার নির্ধারণ করা হয়। কিছু সুবিধা থাকা সত্তে¡ও বিভিন্ন সুবিধার কারণে এ তত্ত¡ ধিক জনপ্রিয়। এক্ষেত্রে পণ্যের আমদানি-রপ্তানিকে বিবেচনা করা হয়। এ পদ্ধতিতে পরস্পর আলাপ-আলোচনা করার ব্যবস্থা থাকে।
ফলে বিচার-বিশ্লেষণের সুযোগ সৃষ্টি হয়। বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারণে এ তত্ত¡টি বর্তমানে সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি হিসেবে স্বীকৃত। সারা বিশ্বেই বিনিময় হার নির্ধারণের বিষয়টি এ তত্তে¡র ওপর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তাই চিত্রে উলিখিত চাহিদা ও যোগান তত্ত¡ পদ্ধতিতে বিনিময় হার নির্ধারণ সম্পূর্ণ যৌক্তিক হয়েছে বলে আমি মনে করি।
প্রশ্ন ৭:
জঈ-০০১৭১০২৩৫৬
উইঈ ব্যাংক লি.
মতিঝিল শাখা, ঢাকা
$ ১০০০০০০০
ঞড়,
সার্ক এন্ড কোং
নিউইয়র্ক, আমেরিকা
প্রত্যয়ন করা যাচ্ছে যে, রপ্তানিকৃত পণ্যের মূল্য বাবদ আপনাদের পাওনা দশ মিলিয়ন ডলার ২২ জুলাই ২০১৫ তারিখের মধ্যে সার্ক এন্ড কোং দিতে ব্যঅর্থ হলে আমাদের ওপর একটি বিল প্রস্তুত করুন।
ব্যাংক সিল স্বাক্ষর
ম্যানেজার
[য. বো. ১৬]
ক.ভাসমান মুদ্রা কী?১
খ.প্রত্যয়পত্র ছাড়া কি বৈদেশিক বাণিজ্য সম্ভব? ব্যাখ্যা করো।২
গ.উদ্দীপকে ঙ্কিত দলিলটি কোন ধরনের ঋণের দলিল? ব্যাখ্যা করো।৩
ঘ.উদ্দীপকের আলোকে সার্ক এন্ড কোং কীভাবে ১০,০০০,০০০ ডলার সংগ্রহ করতে সক্ষম হবে, তা ব্যাখ্যা করো। ৪
৭ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা ও যোগান বা বাজার পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে মুদ্রার মান নিয়ন্ত্রিত হলে তাকে ভাসমান মুদ্রা বলে।
খ উত্তর: প্রত্যয়পত্র ছাড়া বৈদেশিক বাণিজ্য সম্ভব নয়।
সাধারণত বৈদেশিক বাণিজ্যে বড় ঙ্কের লেনদেন সংঘটিত হয়ে থাকে। তাছাড়া এ লেনদেনগুলো বাকিতে বা ধারে সংঘটিত হয়। এ কারণে রপ্তানিকারক সর্বদা অর্থপ্রাপ্তির নিশ্চয়তাজনিত ঝুঁকি নুভব করে।
তার এ নিশ্চয়তাজনিত ঝুঁকি হ্রাস করার লক্ষ্যে লেনদেন মধ্যস্থতাকারী ব্যাংক প্রত্যয়পত্র ইস্যু করে। প্রত্যয়পত্র ব্যাংক কর্তৃক রপ্তানিকারককে অর্থ পরিশোধের নিশ্চয়তাপত্র, যা বৈদেশিক বাণিজ্যে সহায়তা করে। তাই প্রত্যয়পত্র ছাড়া বৈদেশিক বাণিজ্য সম্ভব নয়।
গ উত্তর: উদ্দীপকে উলিখিত দলিলটি একটি প্রত্যয়পত্র।
যে পত্রের মাধ্যমে ব্যাংক তার আমদানিকারকের পক্ষে রপ্তানিকারককে রপ্তানিকৃত পণ্যের মূল্য পরিশোধের নিশ্চয়তা দেয় এবং আমদানিকারকের পারগতায় নিজে পরিশোধ করবে বলে প্রতিশ্রুিত দেয় তাকে প্রত্যয়পত্র বলে। প্রত্যয়পত্র এক ধরনের ঋণের দলিল। এতে তিনটি পক্ষ থাকে, যথা: আমদানিকারক বা ক্রেতা, রপ্তানিকারক বা বিক্রেতা ও ব্যাংক।
উদ্দীপকে একটি ঋণের দলিলের চিত্র রয়েছে। এতে তিনটি পক্ষ উলেখ রয়েছে উইঈ ব্যাংক লি., আমেরিকার সার্ক এন্ড কোং ও দেশীয় আমদানিকারক। এতে বলা হয়েছে, আমদানিকারক যদি ২২ জুলাই ২০১৫ এর মধ্যে সার্ক এন্ড কোং-এর রপ্তানিকৃত পণ্যের মূল্য বাবদ তাদের পাওনা ১০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে ব্যঅর্থ হয় তাহলে উইঈ ব্যাংক লি. এ অর্থ প্রদান করবে।
অর্থাৎ এটি একটি প্রত্যয়পত্র। কেননা এর মাধ্যমে আমদানিকারকের পক্ষে রপ্তানিকারক সার্ক এন্ড কোং-এর নুক‚লে উইঈ ব্যাংক মূল্য পরিশোধের নিশ্চয়তা প্রদান করেছে। এটি একটি হস্তান্তরযোগ্য ঋণের দলিল।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকের সার্ক এন্ড কোং সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে থবা ফোরফেটিং এর মাধ্যমে ১০ মিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করতে পারবে।
প্রত্যয়পত্রের মাধ্যমে ব্যাংক আমদানিকারকের দেনার দায়িত্ব গ্রহণ করে। এক্ষেত্রে আমদানিকারক বিলের টাকা দিতে সমঅর্থ হলে ব্যাংক রপ্তানিকারককে টাকা দিতে বাধ্য থাকে। কেননা ব্যাংক প্রচুর জমা টাকা ও জামানতের বিনিময়ে আমদানিকারককে প্রত্যয়পত্র সংগ্রহ করে। এছাড়া মেয়াদপূর্তির পূর্বে ফোরফেটিং-এর মাধ্যমেও অর্থ সংগ্রহ করতে পারে।
উদ্দীপকে একটি প্রত্যয়পত্রের চিত্র রয়েছে। সার্ক এন্ড কোং আমেরিকার একটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। আর উইঈ ব্যাংক লি. সার্ক এন্ড কোং এর প্রতি প্রত্যয়পত্র ইস্যু করেছে।
রপ্তানিকারক তার রপ্তানিকৃত পণ্যের মূল্য প্রাপ্তির নিশ্চয়তার জঅন্যই প্রত্যয়পত্র সংগ্রহ করে। তাই সার্ক এন্ড কোং তাদের রপ্তানিকৃত পণ্যের মূল্য বাবদ ১০ মিলিয়ন ডলার অর্থ উইঈ ব্যাংক থেকেই সংগ্রহ করতে পারবে। কিন্তু এর জঅন্য প্রতিষ্ঠানটিকে প্রত্যয়পত্রের মেয়াদপূর্তির দিবস পর্যন্ত পেক্ষা করতে হবে। যদি এ সময়ের আগেই অর্থ সংগ্রহ করতে চায় তাহলে প্রতিষ্ঠানটিকে ফোরফেটিং-এর আশ্রয় নিতে হবে।
ফোরফেটিং বলতে রপ্তানিকারকের প্রাপ্য বিলের বাট্টাকৃত মূল্যকে নগদ পরিশোধ মূল্যে রূপান্তর করাকে বোঝায়। এক্ষেত্রে ফোরফেটার আমদানিকারকের ব্যাংকের নিশ্চয়তা সাপেক্ষে রপ্তানিকারকের সাথে চুক্তি করে। চুক্তির শর্তানুযায়ী আমদানিকারককে একটি নির্দিষ্ট তারিখে পণ্যের মূল্য পরিশোধ করতে হবে। এর মাধ্যমে রপ্তানিকারক প্রাপ্য বিলের বিপরীতে ঋণের অর্থ সরবরাহ করে।
প্রশ্ন ৮: জনাব সালেক ও জনাব মালেক দুজনই বৈদেশিক ব্যবসায়ের সাথে সম্পর্কযুক্ত। প্রথমজন ভোজ্যতেল আমদানিকারক আর পরজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী। ব্যাংক জনাব সালেকের পক্ষে এক ধরনের পত্র ইস্যু করে না পাঠালে বিদেশি রপ্তানিকারক পণ্য পাঠায় না। প্রতিনিয়ত এরূপ পত্র সংগ্রহের ঝামেলা থেকে পরিত্রাণের জঅন্য জনাব সালেক এক ধরনের পত্র সংগ্রহ করেছেন। অন্যদিকে জনাব মালেক তার নুক‚লে ইস্যুকৃত বিদেশি আমদানিকারক প্রেরিত পত্র ব্যাংকে বন্ধক রেখে তার বিপক্ষে প্রয়োজনীয় কাপড় ও অন্যাঅন্য পণ্য আমদানির জঅন্য নতুন পত্র সংগ্রহ করেন। [ব. বো. ১৬]
ক.বৈদেশিক বিনিময় হার কী?১
খ.ফ্যাক্টরিং বলতে কী বোঝায়?২
গ.জনাব সালেক কর্তৃক সংগৃহীত প্রত্যয়পত্র কোন ধরনের? তা ব্যাখ্যা করো।৩
ঘ.‘জনাব মালেকের সংগৃহীত প্রত্যয়পত্র তার ব্যবসায়ের প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ’- এ বক্তব্যের যৌক্তিকতা মূল্যায়ন করো।৪
৮ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: যে হারে মুদ্রাবাজারে দেশীয় মুদ্রা দ্বারা বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয় বা বিক্রয় করা হয় তাকে বৈদেশিক বিনিময় হার বলে।
খ উত্তর: কোনো ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান কোনো ফ্যাক্টর বা আঅর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিকট বাট্টায় প্রাপ্য বিল বিক্রি করলে তাকে ফ্যাক্টরিং বলে।
ফ্যাক্টরিং-এর মাধ্যমে দেনাসমূহ ফেরত না পাওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস পায়। সাধারণত বৈদেশিক বাণিজ্যে ব্যবহৃত প্রাপ্য বিলসমূহের ফ্যাক্টরিং করা হয়। সাধারণত ফ্যাক্টরিং-এর সময়কাল হলো ১৮০ দিন এবং এটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের ওপর হয়ে থাকে।
গ উত্তর: উদ্দীপকের উলিখিত জনাব সালেক কর্তৃক সংগৃহীত প্রত্যয়পত্রটি হলো ঘূর্ণায়মান প্রত্যয়পত্র।
যে প্রত্যয়পত্র নির্দিষ্ট সময়ের জঅন্য অর্থের পরিমাণের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণপূর্বক খোলা হয় এবং উক্ত সীমা পর্যন্ত বারবার ব্যবহার করা যায় তাকে ঘূর্ণায়মান প্রত্যয়পত্র বলে।
উদ্দীপকে জনাব সালেক একজন ভোজ্যতেল আমদানিকারক। প্রতিবার প্রত্যয়পত্র সংগ্রহের ঝামেলা থেকে মুক্তির জঅন্য তিনি এক বিশেষ ধরনের পত্র সংগ্রহ করেন। এ পত্রের মাধ্যমে উপস্থাপিত বিলের অর্থ পরিশোধ হলে পুনরায় সে অর্থের জঅন্য মেয়াদ থাকাকালীন বিনিময় বিল তৈরি করা যায়।
এ প্রত্যয়পত্র জনাব সালেক একই ঙ্কের টাকার জঅন্য বারবার ব্যবহার করতে পারবেন। এর মাধ্যমে একই সময়ে নেকগুলো লেনদেন মিটানো যায় এবং বারবার প্রত্যয়পত্র খুলতে হয় না। সুতরাং বলা যায়, মি. সালেক ঘূর্ণায়মান প্রত্যয়পত্র সংগ্রহ করেছিলেন।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে জনাব মালেকের সংগৃহীত ব্যাক টু ব্যাক প্রত্যয়পত্র তার ব্যবসায়ের প্রকৃতির সাথে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ।
যেক্ষেত্রে কোনো হস্তান্তর যোগ্য প্রত্যয়পত্রের গ্রহীতার বিপক্ষে বা জামানতের ভিত্তিতে অন্যের নুক‚লে ব্যাংক থেকে কোনো নতুন প্রত্যয়পত্র সংগ্রহ করে তাকে ব্যাক টু ব্যাক প্রত্যয়পত্র বলে।
উদ্দীপকে জনাব মালেক বৈদেশিক বাণিজ্যের সাথে জড়িত। তাই ব্যবসায়িক কারণেই তার নুক‚লে ইস্যুকৃত বিদেশি আমদানিকারক প্রেরিত পত্র ব্যাংকে বন্ধক রেখে নতুন প্রত্যয়পত্র সংগ্রহ করেন। অর্থাৎ তিনি ব্যাক টু ব্যাক প্রত্যয়পত্র সংগ্রহ করেন।
একজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী হওয়ার কারণে জনাব মালেককে প্রায়ই প্রয়োজনীয় কাপড় ও অন্যাঅন্য কাঁচামাল জাতীয় পণ্য আমদানি করতে হয়। ফলে পণ্য আমদানির জঅন্য তাকে বশ্যই প্রত্যয়পত্র সংগ্রহ করতে হবে।
আবার গার্মেন্টস পণ্যের রপ্তানিকারক হিসেবে তিনি প্রত্যয়পত্র গ্রহণ করেন। তাই তার গ্রহণকৃত প্রত্যয়পত্র জামানত রেখেই তিনি ব্যাক টু ব্যাক প্রত্যয়পত্র সংগ্রহ করতে পারেন। ফলে তা তিনি আমদানি ব্যবসায়ে সহজেই ব্যবহার করতে পারেন এবং নতুন করে প্রত্যয়পত্র খোলার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। সুতরাং জনাব মালেকের সংগৃহীত ব্যাক টু ব্যাক প্রত্যয়পত্রটি তার ব্যবসায়ের প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
প্রশ্ন ৯: জনাব রায়হান তৈরি পোশাক রপ্তানি করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী মি. জন কে ১০ লক্ষ টাকার তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছেন। এর জঅন্য তিনি গোল্ডম্যান ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ প্রাপ্তির নিশ্চয়তা স্বরূপ প্রত্যয়পত্র গ্রহণ করেছেন। পোশাক রপ্তানির পূর্বে ডলার-এর মূল্য বেশি থাকলেও পরবর্তীতে তা হ্রাস পায়। জনাব রায়হান খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, আমদানি কমে যাওয়ায় ডলারের চাহিদা হ্রাস পেয়েছে, এতে জনাব রায়হান আঅর্থিকভাবে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। [রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা]
ক.ভাসমান মুদ্রা কী?১
খ.মেয়াদপূর্তির পূর্বেই প্রাপ্ত বিল বিক্রয় করাকে কী বলে? ব্যাখ্যা করো। ২
গ.উদ্দীপকেকে জনাব রায়হান কোন ধরনের প্রত্যয়পত্র পেয়েছিল? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ.উদ্দীপকে নির্দেশিত বৈদেশিক বিনিময় হার নির্ধারণ পদ্ধতি কতটুকু যৌক্তিক বলে তুমি মনে করো? ব্যাখ্যা করো। ৪
৯ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: মুদ্রার মান সরকারিভাবে নিয়ন্ত্রণ না করে বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা ও যোগান বা বাজার পরিস্থিতির উপর ছেড়ে দিলে ঐ মুদ্রাকে ভাসমান মুদ্রা বলে।
খ উত্তর: মেয়াপূর্তির পূর্বেই প্রাপ্ত বিল বিক্রয় করাকে ফ্যাক্টরিং বলে।
প্রাপ্য বিল ফ্যাক্টরিং করার সময় কম দামে বিক্রয় করা হয় এবং মেয়াদপূর্তিতে ফ্যাক্টর দেনাদারের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে নেয়। মেয়াদপূর্তিতে যদি দেনাদার অর্থ পরিশোধ না করে তাহলে সে দায় সাধারণত ফ্যাক্টরই বহন করে। প্রাপ্য বিলের মেয়াদপূর্তির পূর্বেই টাকায় প্রয়োজন হলে পাওনাদার প্রাপ্য বিল ফ্যাক্টরিং করে।
গ উত্তর: উদ্দীপকে জনাব রায়হান নির্দিষ্ট প্রত্যয়পত্র পেয়েছিলেন।
যে প্রত্যয়পত্র নির্দিষ্ট মেয়াদে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকার জঅন্য খোলা হয় তাকে নির্দিষ্ট প্রত্যয়পত্র বলে। মেয়াদান্তে বা অর্থ পরিশোধ হয়ে গেলে এই প্রত্যয়পত্র বাতিল বলে গণ্য হয়।
উদ্দীপকে জনাব রায়হান তৈরি পোশাক রপ্তানি করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে মি. জনের কাছে ১০ লক্ষ টাকার তৈরি পণ্য রপ্তানি করেছেন। মূল্য প্রাপ্তির নিশ্চয়তা স্বরূপ তিনি গোল্ডম্যান ব্যাংকের মাধ্যমে প্রত্যয়পত্র গ্রহণ করেছেন।
তার গৃহীত প্রত্যয়পত্রটি একটি নির্দিষ্ট প্রত্যয়পত্র যা ডলারের মূল্য কমে যাওয়ার ফলে জনাব রায়হানের আঅর্থিক ক্ষতির মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি। কারণ নির্দিষ্ট প্রত্যয়পত্র অর্থের পরিমাণ নির্দিষ্ট থাকায় তিনি যে পরিমাণ ডলার পেয়েছেন তা দেশে নিয়ে এসে ভাঙানোর ফলে তিনি ১০ লক্ষ টাকার কম টাকা পেয়েছেন। ফলে তিনি আঅর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। সুতরাং বলা যায়, জনাব রায়হান নির্দিষ্ট প্রত্যয়পত্র পেয়েছিলেন।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে নির্দেশিত বৈদেশিক বিনিময় হার নির্ধারণের চাহিদা-যোগান তত্ত¡ পদ্ধতিটি যৌক্তিক।
দুই দেশের বিনিময় হার তাদের মুদ্রার পারস্পারিক চাহিদা ও যোগান নুযায়ী নির্ধারণ সংক্রান্ত তত্ত¡কেই চাহিদা যোগান তত্ত¡ বলে। এই পদ্ধতিটিকে বিনিময় হার নির্ধারণের আধুনিক তত্ত¡ও বলা হয়।
উদ্দীপকে জনাব রায়হান তৈরি পোশাক রপ্তানি করেন। তিনি প্রত্যয়পত্রের মাধ্যমে নিশ্চয়তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মি. জনের কাছে পোশাক রপ্তানি করেন। কিন্তু পরে তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন যে, আমদানি কমে যাওয়ায় দেশে ডলারের চাহিদা কমে গেছে। ফলে ডলারের মূল্য হ্রাস পায় এবং জনাব রায়হান আঅর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। এক্ষেত্রে ডলারের বিনিময় হার চাহিদা-যোগান তত্ত¡ নুযায়ী নির্ধারিত হয়েছে।
চাহিদা-যোগন তত্ত¡টি বিনিময় হার নির্ধারণের সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি। এর মাধ্যমে কোনো দেশের মুদ্রার মান সে দেশের অর্থনৈতিক সামঅর্থ্যরে উপর ভিত্তি পরে নির্ধারিত হয়। দেশের আমদানি কমে গেলে বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা কমে।
পক্ষান্তরে, আমদানি বেড়ে গেলে বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা বাড়ে। ফলে যথাক্রমে বৈদেশিক মুদ্রার মূল্য কমে এবং বাড়ে। অর্থাৎ বিনিময় হারের উপর নির্দিষ্ট কারো কোনো হাতে থাকে না বরং বাজারই বিনিময় হার নির্ধারণ করে নেয় স্বয়ংক্রিয়ভাবে। সুতরাং বলা যায়, চাহিদা-যোগান তত্ত¡ পদ্ধতিটি বিনিময় হার নির্ধারণের সবচেয়ে কার্যকর ও যৌক্তিক পদ্ধতি।
প্রশ্ন ১০: বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয় বিশ্বজুড়ে বড় ব্যবসায়। বাংলাদেশের ২০০৩ সালের মে মাসের পূর্ব পর্যন্ত বৈদেশিক বিভিন্ন মুদ্রার সাথে টাকার বিনিময় হার সরকার নির্ধারণ করে দিত। এতে দেশের মুদ্রার প্রকৃত মান নিয়ে সর্বমহলে সংশয় বিরাজ করত। এরপর এ পদ্ধতির বসান ঘটে। এখন আমাদের টাকার মূল্যমান বিদেশি মুদ্রার সাথে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নির্ণীত হয়। এমতাবস্থায় দুটি দেশের নানান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা ব্যবসায়ীরা চুটিয়ে ব্যবসা করেন।
[আইডিয়াল স্কুল ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা]
ক.ভাসমান মুদ্রা কী?১
খ.বিদেশে অর্থ প্রেরণ ঞগ কার্ডের ব্যবহার লেখ। ২
গ.উদ্দীপকে বর্ণনা নুযায়ী বিনিময়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মুদ্রা কোন ধরনের? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ.মুদ্রা ব্যবাসয়ীরা চুটিয়ে ব্যবসা করতে পারবে এর যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করো। ৪
১০ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: কোনো দেশের মুদ্রার মান সরকারিভাবে নিয়ন্ত্রণ না করে বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা যোগান বা বাজার পরিস্থিতির উপর ছেড়ে দিলে ঐ মুদ্রাকে ভাসমান মুদ্রা বলে।
খ উত্তর: ঞগ কার্ড ব্যবহার করার মাধ্যমে বিদেশে অর্থ প্রেরণ করা যায়
মানুষবিহীন স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালিত এ লেনদেন ব্যবস্থা সংক্ষেপে ঞগ নামে পরিচিত। বিভিন্ন ধরনের আন্তর্জাতিক ঞগ কার্ড যেমন ঠওঝ, গঝঞঊজ ঈজউ এগুলোর মাধ্যমে বিদেশে টাকা প্রেরণ করা যায় বা প্রাপক বিদেশ থেকেই অর্থ উত্তোলন করতে পারে।
গ উত্তর: উদ্দীপকের বর্ণনা নুযায়ী বিনিময়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মুদ্রা ভাসমান মুদ্রা।
বাজারে মুদ্রার মান সরকার নিজেই নির্ধারণ করে না দিয়ে বাজারের চাহিদা ও যোগান বা সার্বিক বাজার পরিস্থিতির উপর ছেড়ে দিলে ঐ মুদ্রাকে ভাসমান মুদ্রা বলে। কোনো মুদ্রা ভাসমান হলে বাজারের চাহিদা ও যোগান পূর্বানুমান করে মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবসায় করা সম্ভব।
উদ্দীপকে বাংলাদেশের মুদ্রাকে ভাসমান মুদ্রা ঘোষণা করার আগে ও পরের বস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে। বাংলাদেশের মুদ্রার বিনিময় হার আগে সরকার থেকে নির্ধারণ করে দেয়া হত। ফলে বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয়কারী ব্যবসায়ীরা সব সময় এক ধরনের ভয়ে থাকত।
কিন্তু ২০০৩ সালের মে মাসের পরে সেই ভয়ের বসান ঘটে। এর কারণ হচ্ছে ৩১ মে ২০০৩ সালে বাংলাদেশের মুদ্রাকে বাজার পরিস্থিতির উপর ছেড়ে দেয়া হয়। অর্থাৎ মুদ্রাকে ভাসমান মুদ্রা ঘোষণা করা হয়। মুদ্রা ভাসমান হবার কারণেই এখন মুদ্রা ব্যবসায়ীরা বাজার বিশ্লেষণ করে তাদের ব্যবসায় পরিচালনা করতে পারেন। সুতরাং বলা যায় বাংলাদেশের মুদ্রা ভাসমান মুদ্রা।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
ঘ উত্তর: মুদ্রাকে ভাসমান মুদ্রা ঘোষণা করায় মুদ্রা ব্যবসায়ীরা চুটিয়ে ব্যবসা করতে পারবে।
কোনো দেশের মুদ্রার মান উক্ত দেশের সরকার নির্ধারণ করে দিতে পারে। আবার বাজার পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে বা চাহিদা-যোগানের উপর ভিত্তি করে মুদ্রার মান নির্ধারণ হতে পারে। চাহিদা যোগান তত্ত¡টি বিনিময় হার নির্ধারণের সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি হওয়ায় সব দেশের সরকারই এখন তাদের মুদ্রাকে ভাসমান মুদ্রা ঘোষণা করছে।
উদ্দীপকে বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয় ব্যবসায় এবং বাংলাদেশের মুদ্রার পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের মুদ্রার বিনিময় হার ২০০৩ সালের আগে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হত। ফলে দেশের মুদ্রার প্রকৃত মান নিয়ে সর্বমহলে এক ধরনের সংশয় বিরাজ করত। কিন্তু এই পদ্ধতির বসান ঘটে এবং মুদ্রার মান নিয়ে সংশয় দূর হয় ৩১ মে ২০০৩ সালে মুদ্রাকে ভাসমান মুদ্রা হিসেবে ঘোষণা করার পর।
ভাসমান মুদ্রার মান নির্ধারিত হয় বাজারের চাহিদা ও যোগান পরিস্থিতির উপর। এখানে মুদ্রার মানের উপর কারো কোনো হাত থাকে না বরং সার্বিক বাজার পরিস্থিতির উপর তা নির্ভর করে। ফলে ব্যবসায়ীরা বাজার এর চাহিদা- যোগান, আমদানি-রপ্তানি, বাণিজ্য ঘাটতি ইত্যাদি বিবেচনা করে মুদ্রার বিনিময় হার পূর্বানুমান করে চুটিয়ে মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবসায় করতে পারবে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।