অনার্স প্লেটো:পাশ্চাত্যের রাষ্ট্রচিন্তা রচনামূলক প্রশ্নোত্তর PDF ও অনার্স প্লেটো:পাশ্চাত্যের রাষ্ট্রচিন্তা, পর্ব -১ ( প্রাচীন যুগ ) অধ্যায় ৩-প্লেটো এর অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরPDF সহ শিক্ষমূলক সকল বিষয় পাবে এখান থেকে: পর্ব:- ১ (প্রাচীন যুগ ) অধ্যায় ৩-প্লেটো এর অতিসংক্ষিপ্ত, প্রশ্নোত্তর,সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
ও রচনামূলক প্রশ্নোত্তর, সাজেশন সম্পর্কে আজকে বিস্তারিত সকল কিছু জানতে পারবেন। সুতরাং সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। অনার্স ১ম বর্ষের যেকোন বিভাগের সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
অনার্স প্লেটো:পাশ্চাত্যের রাষ্ট্রচিন্তা রচনামূলক প্রশ্নোত্তর PDF
- অনার্স প্রথম বর্ষ
- বিষয়ঃ পাশ্চাত্যের রাষ্ট্রচিন্তা
- পর্ব – ১ ( প্রাচীন যুগ )
- অধ্যায় ৩ – প্লেটো
- বিষয় কোডঃ ২১১৯০৩
গ – বিভাগঃ রচনামূলক প্রশ্নোত্তর
০৫. প্লেটোর আদর্শ রাষ্ট্রের ‘শিক্ষাব্যবস্থা’ সম্পর্কে আলোচনা কর ।
অথবা, দার্শনিক প্লেটো বর্ণিত শিক্ষাব্যবস্থার বর্ণনা দাও ।
উত্তর : ভূমিকা : প্লেটোর কল্পিত আদর্শ রাষ্ট্রের মূলভিত্তি হলো তার শিক্ষাব্যবস্থা। মানব প্রকৃতি গঠন এবং সংঘবদ্ধ রাষ্ট্র গঠনের সহায়ক হিসেবে বিশ্বনন্দিত গ্রিক দার্শনিক প্লেটো শিক্ষার ওপর অত্যধিক গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি তার প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাকেন্দ্র একাডেমিতে বসে যেসব গ্রন্থ রচনা করেন তার মধ্যে ‘দ্যা রিপাবলিক’ অন্যতম। তিনি তার গ্রন্থে প্রজ্ঞাবান দার্শনিক গড়ে তোলার জন্য এক মহান ও যুগান্তকারী শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তন করেন।
প্লেটো তার ‘The Republic’ গ্রন্থে শিক্ষা নিয়ে এতোটা ব্যাপক ও বিস্তৃতভাবে আলোচনা করেছেন যে, মহামনীষী রূশো একে শিক্ষাবিষয়ক গ্রন্থ বলে অভিহিত করেছেন ।
প্লেটোর আদর্শ রাষ্ট্রের শিক্ষাব্যবস্থা : গ্রিক দার্শনিক প্লেটো তার আদর্শ রাষ্ট্রের পরিকল্পনায় শিক্ষাকে এতটা গুরুত্ব দিয়েছেন যে, তিনি শিক্ষার মাধ্যমে আদর্শ রাষ্ট্রের অভিভাবক বেছে নিয়েছেন এবং উৎপাদক শ্রেণির জন্য তাদের কর্মক্ষেত্র নির্ধারণ করে ন্যায়ধর্মের আদর্শকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
তিনি বিশ্বাস করতেন, রাষ্ট্রের নাগরিকরা যদি শিক্ষিত হয় তবে তারা অতি সহজেই সকল সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হবে এবং সুদৃঢ়চিত্তে যেকোনো অবস্থার মোকাবিলা করতে সমর্থ হবে। তাই তিনি অত্যন্ত জোরালোভাবে বলেছেন, “রাষ্ট্র প্রথমত ও মূলত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।”
তেমনি মানবকূলের মধ্যে দার্শনিক প্রভুরাই সর্বশ্রেষ্ঠ।” আর দার্শনিক প্রভু গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত শিক্ষা। শিক্ষার মাধ্যমেই নাগরিকের চারিত্রিক গুণাবলির সম্যক পরিস্ফুটন, রাষ্ট্রীয় ঐক্য ও সংহতি স্থাপিত হয়।
শিক্ষার উদ্দেশ্য : প্লেটো শিক্ষাব্যবস্থার মূল লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য ছিল আদর্শ রাষ্ট্র গঠন। তিনি ব্যক্তিকে তার পরিপূর্ণ সত্তায় বিকশিত করা ও রাষ্ট্রীয় জীবনে তার নির্ধারিত ভূমিকা পালনে উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য বাধ্যতামূলক শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তন করেন। তিনি মনে করেন, একমাত্র শিক্ষার মাধ্যমেই দার্শনিক রাজার সন্ধান পাওয়া সম্ভব ।
প্লেটোর শিক্ষাব্যবস্থার বিভিন্ন স্তর : মানবজীবনের বয়সের স্তরভেদে প্লেটো তার শিক্ষাব্যবস্থাকে প্রধান দুটি স্তরে বিভক্ত করেন । যথা : ক. প্রাথমিক শিক্ষা এবং খ. উচ্চতর শিক্ষা । নিম্নে এগুলো বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,
ক. প্রাথমিক শিক্ষা (Primary Education) : প্লেটোর মতে, মানুষ তার জীবনের প্রথম স্তরে থাকে কল্পনাপ্রবণ, ভাবপ্রবণ ও সৌন্দর্যপ্রিয়। তার মতে, প্রাথমিক শিক্ষার বয়স হবে শৈশব থেকে ২০ বছর পর্যন্ত। প্লেটো প্রাথমিক শিক্ষাকে আবার তিনটি উপবিভাগে বিভক্ত করেন যথা :
১. প্রথম ভাগ : শিশুর অপরিণত মানসিক বৃত্তিগুলো বিকশিত করার জন্য প্লেটো সাধারণ শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তন করেন। প্রাথমিক শিক্ষাস্তরের সময়সীমা হলো শৈশব থেকে ছয় বছর পর্যন্ত ।
২. দ্বিতীয় ভাগ : প্লেটো প্রবর্তিত শিক্ষাব্যবস্থায় প্রাথমিক শিক্ষার দ্বিতীয় ভাগের সময়সীমা হলো ৬ থেকে ১৮ বছর। এসময়ে প্রাথমিক গণিত, সংগীত ও সাহিত্য শিক্ষা দেওয়া হবে। যার মাধ্যমে শিশুরা আত্মসংযম, শৃংখলাবোধ, নিয়মানুবর্তিতা প্রভৃতি গুণাবলি অর্জন করবে।
৩. তৃতীয় ভাগ : প্লেটো ১৮-২০ এই দু বছর শরীরচর্চা ও সামারিক শিক্ষায় অতিবাহিত করার পরামর্শ প্রদান করেন। তার মতে, এ শিক্ষার মূল গড়ে তোলা ।
উদ্দেশ্য হলো দেহকে সুস্থ সবল ও সুসংগঠিত করে নির্বাচনি পরীক্ষা প্রাথমিক শিক্ষার সমাপনীতে একটি বাছাই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ পরীক্ষায় যারা উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণে উপযুক্ত বলে বিবেচিত হবে কেবলমাত্র তারাই উচ্চ শিক্ষার জন্য মনোনীত হবে।
খ. উচ্চতর শিক্ষা (Higher Education) : প্লেটো উচ্চ শিক্ষার সময়সীমা নির্ধারণ করেছেন ২০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। তবে এ সময়ের শিক্ষাকে বয়সানুসারে প্লেটো তিনটি স্তরে বিভক্ত করেছেন নিম্নে এগুলো আলোচনা করা হলো-
১. প্রথম স্তর (২০–৩০ বছর) : ২০ থেকে ৩০ বছর অর্থাৎ এ ১০ বছর প্রথম স্তরের বিস্তৃতি প্লেটোর মতে, এ স্তরে শিক্ষার্থীকে উচ্চতর গণিত, জ্যামিতি, জ্যোতিষশাস্ত্র এবং সংগীত শিক্ষা প্রদান করা হবে।
- আরো পড়ুন:-PDF অনার্স প্লেটো:পাশ্চাত্যের রাষ্ট্রচিন্তা রচনামূলক প্রশ্নোত্তর
- আরো পড়ুন:-PDF অনার্স প্লেটো:পাশ্চাত্যের রাষ্ট্রচিন্তা সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
- আরো পড়ুন:-PDF অনার্স প্লেটো:পাশ্চাত্যের রাষ্ট্রচিন্তা সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
- আরো পড়ুন:-অনার্স প্লেটো:পাশ্চাত্যের রাষ্ট্রচিন্তা সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরPDF
- আরো পড়ুন:-অনার্স প্লেটো:পাশ্চাত্যের রাষ্ট্রচিন্তা অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরPDF
- আরো পড়ুন:- PDF পাশ্চাত্যের রাষ্ট্রচিন্তা: রচনামূলক প্রশ্নোত্তর
- আরো পড়ুন:- ফ্রি PDF পাশ্চাত্যের রাষ্ট্রচিন্তা: সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
- আরো পড়ুন:- PDF পাশ্চাত্যের রাষ্ট্রচিন্তা: অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
- আরো পড়ুন:- PDF গ্রিক সমাজ ও প্রতিষ্ঠান: রচনামূলক প্রশ্নোত্তর
অতঃপর ৩০ বছর সময়ে একটা নির্বাচনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এতে যারা কৃতকার্য হবেন তারা পরবর্তী শিক্ষা লাভের সুযোগ গ্রহণ করবে এবং অকৃতকার্যরা সরকারের অধঃস্তন পদে নিযুক্ত হবেন ।
২. দ্বিতীয় স্তর (৩০-৩৫ বছর) : ৩০-৩৫ বছর সময়কে উচ্চশিক্ষার ২য় স্তর নির্ধারণ করা হয়েছে। এ স্তরে শিক্ষার্থীকে উচ্চতর দর্শন অধিবিদ্যা ও যুক্তিবিদ্যা শেখানো হবে। এর আগে উচ্চতর দর্শন শিক্ষা দেওয়া হবে না।
কারণ দার্শনিক জ্ঞান অর্জনে এ সময়কালই উত্তম সময়। এদের মধ্য থেকে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য উপযুক্ত ব্যক্তি নির্বাচন করা হয়। যারা ভবিষ্যৎ দার্শনিক শাসকরূপে আবির্ভূত হয়।
৩. তৃতীয় স্তর (৩৫–৫০) : ৩৫ থেকে ৫০ বছর এই ১৫ বছর সময়কে উচ্চ শিক্ষার তৃতীয় স্তর হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যায়ে শিক্ষার্থীগণ ব্যবহারিক ও বাস্তব শিক্ষা গ্রহণ করবে।
এ সময়কে শিক্ষানবিশ কালও বলা যায়। এ সময়ে সরকারি বিভিন্ন কাজের সাথে সংযুক্ত হয়ে অভিজ্ঞতাপ্রসূত ও বাস্তব শিক্ষা অর্জন করতে হবে। এবং দক্ষতা প্রদর্শনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত হবে।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, প্লেটো অভিভাবক শ্রেণির জন্য সমগ্র জীবনব্যাপী শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তন করেন। তবে এ শিক্ষাব্যবস্থা হবে সম্পূর্ণরূপে রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত। সুতরাং বিভিন্ন স্তর অতিক্রম করে যারা পরম জ্ঞানলাভ করবে তাদের মধ্য থেকে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য উত্তম ব্যক্তি মনোনীত হবেন।
মনোনীত দার্শনিকগণ তাদের অর্জিত জ্ঞান ও প্রজ্ঞার মাধ্যমে রাষ্ট্রের সুশাসন কায়েম করবে। এর ফলে দার্শনিক রাজার শাসন কায়েম হবে এবং প্লেটো বর্ণিত আদর্শ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে।
০৬. প্লেটোর শিক্ষাতত্ত্ব আলোচনা কর। এই তত্ত্ব আধুনিক রাষ্ট্রে কতটুকু প্রযোজ্য?
অথবা, প্লেটোর শিক্ষাব্যবস্থার ধারণা দাও। এটি বর্তমানে কতটা গ্রহণযোগ্য?
উত্তর : ভূমিকা : প্লেটোর কল্পিত আদর্শ রাষ্ট্রের মূলভিত্তি হলো তার শিক্ষাব্যবস্থা। মানব প্রকৃতি গঠন এবং সংঘবদ্ধ রাষ্ট্র গঠনের সহায়ক হিসেবে বিশ্বনন্দিত গ্রিক দার্শনিক প্লেটো শিক্ষার ওপর অত্যধিক গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি তার প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাকেন্দ্র একাডেমিতে বসে যেসব গ্রন্থ রচনা করেন তার মধ্যে ‘দ্যা রিপাবলিক’ অন্যতম। তিনি তার গ্রন্থে প্রজ্ঞাবান দার্শনিক গড়ে তোলার জন্য এক মহান ও যুগান্তকারী শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তন করেন।
প্লেটো তার ‘ঞযব জবঢ়নষরপ গ্রন্থে শিক্ষা নিয়ে এতোটা ব্যাপক ও বিস্তৃতভাবে আলোচনা করেছেন যে, মনীষী রুশো একে শিক্ষাবিষয়ক গ্রন্থ বলে অভিহিত করেছেন ।
প্লেটোর শিক্ষাতত্ত্ব : গ্রিক দার্শনিক প্লেটো তার আদর্শ রাষ্ট্রের পরিকল্পনায় শিক্ষাকে এতটা গুরুত্ব দিয়েছেন যে, তিনি শিক্ষার মাধ্যমে আদর্শ রাষ্ট্রের অভিভাবক বেছে নিয়েছেন এবং উৎপাদক শ্রেণির জন্য তাদের কর্মক্ষেত্র নির্ধারণ করে ন্যায়ধর্মের আদর্শকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
তিনি বিশ্বাস করতেন, রাষ্ট্রের নাগরিকরা যদি শিক্ষিত হয় তবে তারা অতি সহজেই সকল সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হবে এবং দৃঢ়চিত্তে যেকোনো অবস্থার মোকাবিলা করতে সমর্থ হবে। তাই তিনি অত্যন্ত জোরালোভাবে বলেছেন, “রাষ্ট্র প্রথমত ও মূলত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
” তেমনি মানবকুলের মধ্যে দার্শনিক প্রভুরাই সর্বশ্রেষ্ঠ।” আর দার্শনিক প্রভু গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত শিক্ষা। শিক্ষার মাধ্যমেই নাগরিকের চারিত্রিক গুণাবলির সম্যক পরিস্ফুটন, রাষ্ট্রীয় ঐক্য ও সংহতি স্থাপিত হয়।
প্লেটোর শিক্ষাতত্ত্বের বিভিন্ন স্তর : মানবজীবনের বয়সের স্তরভেদে প্লেটো তার শিক্ষাব্যবস্থাকে প্রধান দুটি স্তরে বিভক্ত করেন যথা : ক. প্রাথমিক শিক্ষা এবং খ. উচ্চতর শিক্ষা । নিম্নে এগুলো বিস্তারিত আলোচনা করা হলো
ক. প্রাথমিক শিক্ষা (Primary Education) : প্লেটোর মতে, মানুষ তার জীবনের প্রথম স্তরে থাকে কল্পনাপ্রবণ, ভাবপ্রবণ ও সৌন্দর্যপ্রিয়। তার মতে, প্রাথমিক শিক্ষার বয়স হবে শৈশব থেকে ২০ বছর পর্যন্ত। প্লেটো প্রাথমিক শিক্ষাকে আবার তিনটি উপবিভাগে বিভক্ত করেন যথা :
১. প্রথম ভাগ : শিশুর অপরিণত মানসিক বৃত্তিগুলো বিকশিত করার জন্য প্লেটো সাধারণ শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তন করেন। প্রাথমিক শিক্ষাস্তরের সময়সীমা হলো শৈশব থেকে ছয় বছর পর্যন্ত ।
২. দ্বিতীয় ভাগ : প্লেটো প্রবর্তিত শিক্ষাব্যবস্থায় প্রাথমিক শিক্ষার দ্বিতীয় ভাগের সময়সীমা হলো ৬ থেকে ১৮ বছর। এসময়ে প্রাথমিক গণিত, সংগীত ও সাহিত্য শিক্ষা দেওয়া হবে। যার মাধ্যমে শিশুরা আত্মসংযম, শৃংখলাবোধ, নিয়মানুবর্তিতা প্রভৃতি গুণাবলি অর্জন করবে।
৩. তৃতীয় ভাগ : প্লেটো ১৮-২০ এই দু বছর শরীরচর্চা ও সামারিক করে শিক্ষায় অতিবাহিত করার পরামর্শ প্রদান করেন। তার মতে, এ শিক্ষার মূল গড়ে তোলা । উদ্দেশ্য হলো দেহকে সুস্থ সবল ও সুসংগঠিত।
খ. উচ্চতর শিক্ষা (Higher Education) : প্লেটো উচ্চ শিক্ষার সময়সীমা নির্ধারণ করেছেন ২০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। তবে এ সময়ের শিক্ষাকে বয়সানুসারে প্লেটো তিনটি স্তরে বিভক্ত করেছেন । নিম্নে এগুলো আলোচনা করা হলো-
১. প্রথম স্তর (২০-৩০ বছর) : ২০ থেকে ৩০ বছর অর্থাৎ এ ১০ বছর প্রথম স্তরের বিস্তৃতি। প্লেটোর মতে, এ স্তরে শিক্ষার্থীকে উচ্চতর গণিত, জ্যামিতি, জ্যোতিষশাস্ত্র এবং সংগীত শিক্ষা প্রদান করা হবে।
২. দ্বিতীয় স্তর (৩০–৩৫ বছর) : ৩০-৩৫ বছর সময়কে উচ্চশিক্ষার ২য় স্তর নির্ধারণ করা হয়েছে। এ স্তরে শিক্ষার্থীকে উচ্চতর দর্শন অধিবিদ্যা ও যুক্তিবিদ্যা শেখানো হবে।
৩. তৃতীয় স্তর (৩৫-৫০) : ৩৫ থেকে ৫০ বছর এই ১৫ বছর সময়কে উচ্চ শিক্ষার তৃতীয় স্তর হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যায়ে শিক্ষার্থীগণ ব্যবহারিক ও বাস্তব শিক্ষা গ্রহণ করবে। এ সময়কে শিক্ষানবিশ কালও বলা যায়।
আধুনিক রাষ্ট্রে প্লেটোর শিক্ষাব্যবস্থার প্রযোজ্যতা : সম্পূর্ণভাবে প্রযোজ্য না হলেও আংশিক হলেও প্লেটোর শিক্ষাব্যবস্থার গ্রহণযোগ্যতা বা প্রযোজ্যতা বর্তমানকালে পরিলক্ষিত হয়। নিম্নে তা আলোচনা করা হলো,
১. রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত শিক্ষাব্যবস্থা : প্লেটোর শিক্ষাব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত শিক্ষাব্যবস্থা। প্লেটো বিশ্বাস করতেন “প্রত্যেক জ্ঞানের লক্ষ্য থাকবে সম্পূর্ণতাকে জয় করা। তাই শিক্ষাব্যবস্থা সরকার নিয়ন্ত্রিত হওয়া আবশ্যক।
তা না হলে শিক্ষাব্যবস্থার লক্ষ্য অর্জিত হবে না।” বর্তমানেও বিশ্বের অনেক রাষ্ট্র শিক্ষার ব্যয়ভার বহন করছে। বিশেষ করে সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোতে এই ব্যবস্থা অতিমাত্রায় লক্ষণীয় ।
২. বাধ্যতামূলক শিক্ষাব্যবস্থা : প্লেটো তার আদর্শ রাষ্ট্রে যে শিক্ষনীতির কথা উল্লেখ করেন তাতে সমাজের সকল স্তরে বিশেষ করে শিশুজীবন থেকে নাগরিকত্বের উচ্চ ধাপ পর্যন্ত শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করেছেন।
যা আধুনিক শিক্ষার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং বাস্তবে অনেক দেশেই প্রচলিত। এমনকি বাংলাদেশেও প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
৩. সুনাগরিক গড়ে তোলা : প্লেটোর শিক্ষার মূল লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য ছিল আদর্শ শাসক ও সুনাগরিক গড়ে তোলার মাধ্যমে আদর্শ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। আধুনিক বিশ্বের সকল দেশেরই সুনাগরিক গড়ে তোলার জন্য শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে।
৪. নারীর অধিকার : প্লেটোর শিক্ষাব্যবস্থায় নারী ও পুরুষ উভয়ের সামাজিক অধিকার স্বীকৃত ছিল। আধুনিককালে লক্ষ করা যায় যে, নারী পুরুষের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ নেই । অর্থাৎ প্লেটো প্রায় আড়াই হাজার বছর পূর্বে নারী শিক্ষার ওপর যে গুরুত্বারোপ করেন আধুনিককালেও তা লক্ষণীয়।
৫. শিক্ষার স্তরায়ন : প্লেটো প্রবর্তিত শিক্ষাব্যবস্থা মূলত দু ভাগে বিভক্ত ছিল। যথা : প্রাথমিক শিক্ষা এবং উচ্চতর শিক্ষা। যা আধুনিক বিশ্বের অনেক দেশেই অনুসৃত হয়েছে। বাংলাদেশেও এর গ্রহণযোগ্যতা পরিলক্ষিত হয় ।
৬. প্রাথমিক স্তর : প্লেটো তার শিক্ষাব্যবস্থার প্রাথমিক স্তরে সংগীত, ব্যায়াম ও শরীরচর্চাকে গুরুত্ব দিয়েছেন বর্তমানকালেও প্রাথমিক শিক্ষায় অনুরূপ গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে।
৭. শরীর চর্চা : “সুন্দর ও সুগঠিত দেহ নির্মল মনের আবাসভূমি।” তাই প্লেটো শিশুদের মানসিক বিকাশের পাশাপাশি শারীরিক উন্নতির জন্য ব্যায়াম বা শরীর চর্চার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। শরীর চর্চার মূল উদ্দেশ্য দেহকে সুস্থ ও সবল রাখা, যা আধুনিক বিশ্বের প্রত্যেক ব্যক্তিই পতিপালন করে থাকেন।
৮. সংগীত শিক্ষা : মানসিক উৎকর্ষের জন্য সংগীতের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। প্লেটো বিখ্যাত কবিতা, কাব্যসমূহের পাঠ এবং এদের যথার্থ ব্যাখ্যা এবং বীণা বাজানোকে সংগীতের অন্তর্ভুক্ত করেন। আধুনিককালেও মানুষের মানসিক বিকাশ ও মননে সংগীত শিক্ষার প্রচলন রয়েছে।
৯. ধর্মনিরপেক্ষতা : প্লেটো শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে ধর্মবর্ণের কোনো ভেদাভেদ ছিল না। তিনি রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের জন্য রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত শিক্ষাব্যবস্থার কথা বলেন। বর্তমান কালের প্রতিটি দেশেই এই পদ্ধতি অনুসৃত হচ্ছে।
১০. সদগুণই জ্ঞান : আজ থেকে প্রায় আড়াই হাজার বছর পূর্বে প্লেটো উপলব্ধি করেছেন সদগুণই জ্ঞান তিনি প্রজ্ঞাবান দার্শনিক গড়ে তোলার জন্য এক মহান ও যুগান্তকারী শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তন করেন। তারই সূত্র ধরে বর্তমান সময়ে শিক্ষাকে আরও বেশি গুরুত্বের সাথে মূল্যায়ন করা হচ্ছে।
১১. শিক্ষার উপকরণ : প্লেটো তার বিখ্যাত গ্রন্থ ‘The Republic’ এ শিক্ষার উপকরণ হিসেবে যেসব বিষয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন বর্তমানকালেও তা প্রযোজ্য। যেমন,গণিত, সাহিত্য, সংগীত, শরীরচর্চা, জ্যোতিষশাস্ত্র প্রভৃতি ।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, প্লেটো বর্ণিত শিক্ষাব্যবস্থা তৎকালীন গ্রিক নগররাষ্ট্রের সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যথেষ্ট সামঞ্জস্যতা রয়েছে। মানবপ্রকৃতি গঠন এবং সুসংঘবদ্ধ রাষ্ট্র গঠনের সহায়ক হিসেবে তিনি শিক্ষার ওপর অত্যধিক গুরুত্বারোপ করেছেন।
এককথায় প্লেটোর শিক্ষাব্যবস্থা এর মৌলিকত্বের জন্য কালোত্তীর্ণ হয়েছে এবং আধুনিককালেও তা সমাদৃত ও অনুসৃত হচ্ছে। দার্শনিক প্লেটোর ন্যায় শিক্ষা সম্বন্ধে এত মৌলিক গবেষণা অন্য কোনো দার্শনিকের পক্ষে সম্ভব হয়নি। এজন্য আধুনিক কালে প্লেটোর শিক্ষাব্যবস্থার গুরুত্ব অত্যধিক।
০৭. প্লেটোর দার্শনিক রাজার বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা কর।
অথবা, প্লেটোর দার্শনিক রাজার গুণাবলিসমূহ উল্লেখ কর।
উত্তর : ভূমিকা : গ্রিক রাষ্ট্রচিন্তার ইতিহাসে সে সকল রাষ্ট্রচিন্তাবিদ স্বমহিমায় উজ্জ্বল হয়ে রয়েছেন তাদের মধ্যে প্লেটো অন্যতম। তিনি তার কল্পিত আদর্শ রাষ্ট্রের গঠন বিশ্লেষণ করে দায়িত্ব শেষ করেনি; বরং এর শাসনভার কার ওপর ন্যস্ত করবেন সে ব্যপারে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করেন ।
এক্ষেত্রে প্লেটো তার আদর্শ রাষ্ট্রের শাসনভার দার্শনিক রাজার হাতে তুলে দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন। তার মতে, “যিনি সর্বোচ্চ জ্ঞানের অধিকারী এবং যিনি বৈজ্ঞানিক প্রমাণসাপেক্ষে তার যুক্তি ও জ্ঞানকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম, তিনিই হলেন দার্শনিক রাজা।”
প্লেটোর দার্শনিক রাজার বৈশিষ্ট্যসমূহ প্লেটো তার ‘দ্যা রিপাবলিক’ গ্রন্থে দার্শনিক রাজার প্রকৃতি বা বৈশিষ্ট্য আলোচনা করতে গিয়ে কিছু গুণাবলির কথা বলেন। নিম্নে সেগুলো আলোচনা করা হলো-
১. প্রজ্ঞাবান : প্লেটো বর্ণিত দার্শনিক রাজা হবেন সেই ব্যক্তি যিনি সর্বোত্তম জ্ঞানের অধিকারী ও প্রজ্ঞাবান। তিনি হবেন সত্যের উপাসক, ন্যায়ের পূজারি, সুন্দরের অনুসারী এবং সত্যকে প্রতিষ্ঠা করতে সদা সর্বদা সচেষ্ট। প্লেটো মনে করতেন যতক্ষণ না রাষ্ট্রনায়ক সর্বোচ্চ জ্ঞান, প্রজ্ঞা দ্বারা সুশোভিত হবেন ততক্ষণ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ কল্যাণও অসম্ভব।
২. আইনের উৎস : প্লেটোর মতে, দার্শনিক রাজা রাষ্ট্রের কল্যাণে যেসব কাজকর্ম করবেন এবং করার নির্দেশ দিবেন তা আইন বলে গণ্য হবে। এ আইন সমাজের সকলের মেনে চলা একান্ত কর্তব্য। এজন্যই প্লেটোর দার্শনিক রাজাকে আইনের উৎস হিসেবে গণ্য করা হয়।
৩. পরিবার বর্জিত : দার্শনিক রাজার কোনো পারিবারিক জীবন থাকবে না। তিনি কোনো স্থায়ী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারেন না। কেননা পারিবারিক মায়ামমতা তথা স্ত্রী সন্তানদের প্রতি মায়ামমতা ও ভালোবাসা দার্শনিক রাজাকে তার আদর্শ থেকে বিচ্যুত করতে পারে। তাই তিনি পরিবারের বন্ধন থেকে বিচ্ছিন্ন থেকে রাষ্ট্রের সর্বত্রই বিচরণ করবেন এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবেন।
৪. যুক্তিবাদী : দার্শনিক রাজার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো যুক্তিবাদী চিন্তাচেতনা । প্লেটোর মতে, দার্শনিক রাজা শুধুমাত্র জ্ঞানীই হবেন না, তিনি যুক্তিবাদীও বটে। তার মতে, দার্শনিক রাজা বৈজ্ঞানিক প্রমাণের ভিত্তিতে যৌক্তিক প্রক্রিয়ায় পরিচালিত হবেন।
৫. প্রখর মেধাশক্তিসম্পন্ন : প্লেটোর মতে, দার্শনিক রাজা শুধুমাত্র প্রজ্ঞাবান ও যুক্তিবাদীই নন তিনি প্রখর বোধশক্তি ও মেধাশক্তিসম্পন্ন একজন ব্যক্তি। তাই রাষ্ট্রীয় যেকোনো সংকটাপন্ন মুহূর্তে তিনি উক্ত সমস্যার বিচারবিশ্লেষণের মাধ্যমে তড়িৎ সিন্ধান্ত নিতে পারেন।
- আরো পড়ুন:- PDF গ্রিক সমাজ ও প্রতিষ্ঠান: সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
- আরো পড়ুন:-PDF গ্রিক সমাজ ও প্রতিষ্ঠান: অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
- আরো পড়ুন:-PDF রাজনৈতিক তত্ত্ব পরিচিতি: রুশো রচনামূলক প্রশ্নোত্তর
- আরো পড়ুন:- রাজনৈতিক তত্ত্ব পরিচিতি: রুশো রচনামূলক প্রশ্নোত্তর PDF
- আরো পড়ুন:-PDF রাজনৈতিক তত্ত্ব পরিচিতি: রুশো রচনামূলক প্রশ্নোত্তর
- আরো পড়ুন:-PDF রাজনৈতিক তত্ত্ব পরিচিতি: রুশো সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
- আরো পড়ুন:-PDF রাজনৈতিক তত্ত্ব পরিচিতি রুশো: অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
- আরো পড়ুন:-(ফ্রি PDF) রাজনৈতিক তত্ত্ব পরিচিতি লক: রচনামুলক প্রশ্নোত্তর
৬. কুসংস্কার থেকে মুক্ত : দার্শনিক রাজার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো তিনি হলেন সকল প্রকার কুসংস্কার থেকে মুক্ত। কেননা দার্শনিকরা হলেন প্রকৃত জ্ঞানের অধিকারী এবং বৈজ্ঞানিক যুক্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত । তাই তাদের মধ্যে কোনোরকম কুসংস্কার থাকবে না ।
৭. ভুলত্রুটির ঊর্ধ্বে : দার্শনিক রাজা যে নির্দেশ দিবেন তাই আইন এবং সকল নাগরিক তা মেনে চলতে বাধ্য। কেননা দার্শনিক শ্রেণি কখনো ভুল বা অন্যায় করতে পারে না। তিনি সকল প্রকার ভুলত্রুটি থেকে মুক্ত।
৮. সুন্দরের পূজারি ও সত্যের অনুসারী : প্লেটোর দার্শনিক রাজা কখনও অন্যায়কে প্রশ্রয় দেন না। তিনি হলেন ন্যায়বান শাসক এবং সুন্দর ও সত্যের একমাত্র উপাসক।
৯. লোভলালসামুক্ত : প্লেটো তার দার্শনিক রাজাকে পারিবারিক ও সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছেন। তার মতে, দার্শনিক রাজা সকল প্রকার লোভ লালসা থেকে মুক্ত থেকে রাষ্ট্রীয় কার্যাবলি সততা ও নিষ্ঠার সাথে পরিচালনা করেন ।
১০. নির্মল চরিত্রের অধিকারী : দার্শনিক রাজা হবেন নির্মল চরিত্রের অধিকারী। তার মধ্যে কোনো কলঙ্কের ছাপ থাকবে না। দার্শনিক রাজার চরিত্রে থাকবে সংগীতের অমিয় মূর্ছনা এবং স্বভাব হবে স্বর্গীয় দীপ্তির ভাস্কর।
১১. চরম ক্ষমতার অধিকারী : দার্শনিক রাজা তার প্রজ্ঞা বলে রাষ্ট্র শাসন করার ক্ষেত্রে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা ভোগ করে থাকেন । তার কর্তৃত্ব কোনোকিছু দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না ।
১২. রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ কল্যাণ : প্লেটো বর্ণিত দার্শনিক রাজা ব্যক্তিগত সুখ বিসর্জন দিয়ে রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য সার্বক্ষণিক নিজেকে নিয়োজিত রাখেন।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, গ্রিক দার্শনিক প্লেটো তার আদর্শ রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য দার্শনিক রাজার শাসনকে অপরিহার্য বলে মনে করেন।
তার মতে, দার্শনিক রাজা ছাড়া আদর্শ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয় এ লক্ষ্যে তিনি দার্শনিক রাজার উল্লিখিত বৈশিষ্ট্যগুলোর কথা বলেন।
তার দার্শনিক রাজার মধ্যে উত্তম রাজার সকল গুণ বিদ্যমান থাকায় আদর্শ রাষ্ট্রের শাসনভার তার হাতে অর্পণ করেন। প্লেটো বলেন, “যতক্ষণ পর্যন্ত দার্শনিক রাজা হবেন না ততক্ষণ পর্যন্ত রাষ্ট্রগুলো অন্যায় থেকে পরিত্রাণ পাবে না।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন। ফ্রি পিডিএফ ফাইল এখান থেকে ডাউনলোড করে নিন। অনার্স প্লেটো:পাশ্চাত্যের রাষ্ট্রচিন্তা রচনামূলক প্রশ্নোত্তর PDF
Comments ৪