ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় | অধ্যায় ৬ | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ৩৬-৪০ | PDF: ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের ষষ্ট অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের ষষ্ট অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
প্রশ্নঃ ৩৬ সদরুদ্দিন দীর্ঘদিন তার প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের মতামতের মূল্যায়ন করে আসছেন। ফলে উৎপাদন মান বৃদ্ধি পেয়েছে, বেড়েছে প্রতিষ্ঠানের সুনাম। তবে কিছুদিন ধরে কর্মীদের মাঝে কিছু অবাধ্যতা সৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দেওয়ায় তিনি নেতৃত্বের ধরনে কিছুটা পরিবর্তন আনার চিন্তা করছেন। [চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজ]
ক. পরামর্শমূলক নির্দেশনা কী? ১
খ. কার্যকর নেতৃত্বে যোগাযোগ কেন অপরিহার্য? ২
গ. মি. সদরুদ্দিন দীর্ঘদিন যাবৎ প্রতিষ্ঠানে কীরূপ নেতৃত্ব অনুসরণ করেছেন? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. কর্মীদের অবাধ্যতা রোধকল্পে মি. সদরুদ্দিনের জন্য কোন ধরনের নেতৃত্ব উপযোগী বলে তুমি মনে কর? যুক্তি দেখাও। ৪
৩৬ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ নির্দেশনা দেয়ার পূর্বে যারা তা বাস্তবায়ন করবে তাদের সাথে পরামর্শ করে নির্দেশনার বিষয়বস্তু ঠিক করার প্রক্রিয়াকে পরামর্শমূলক নির্দেশনা বলে।
খ উত্তরঃ অধীনস্থদের প্রভাবিত করে তাদের সর্বাধিক সামর্থ্যকে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনে কাজে লাগানোর কৌশলকে নেতৃত্ব বলে।
যোগাযোগ বলতে একজনের সাথে অন্যজনের তথ্যের আদান-প্রদানকে বোঝায়। কার্যকর নেতৃত্বের জন্য যোগাযোগ অপরিহার্য। কারণ নেতৃত্বের মাধ্যমে যথাযথ নির্দেশনা প্রদান করার জন্য অধস্তন কর্মীদের সাথে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রক্ষা করা।
অধীনস্থদের সাথে কার্যকর যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করা গেলে কাজে ভুলত্র“টি হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। এতে প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে যায়। তাই প্রাতিষ্ঠানিক স্বার্থেই নেতৃত্বে কার্যকর যোগাযোগ প্রয়োজন।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের মি. সদরুদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠানে গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব অনুসরণ করেছেন।
এ নেতৃত্বে নেতা নিজের কাছে সব ক্ষমতা কেন্দ্রীভ‚ত না রেখে অধস্তনদের সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে কাজ পরিচালনা করেন। যার কারণে নেতার প্রতি কর্মীদের ইতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হয়। ফলে প্রতিষ্ঠানের কাজে গতিশীলতা আসে।
উদ্দীপকে সদরুদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে তার প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের মতামতের মূল্যায়ন করে আসছেন। এজন্য তার প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে কার্য সম্পাদন করেন। ফলে প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন মান বৃদ্ধি পেয়েছে ও প্রতিষ্ঠানের সুনাম বেড়েছে।
মি. সদরুদ্দিনের নেতৃত্বটি গণতান্ত্রিক নেতৃত্বের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাই বলা যায়, মি. সদরুদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠানে গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব অনুসরণ করেছেন।
ঘ উত্তরঃ কর্মীদের অবাধ্যতা রোধকল্পে মি. সদরুদ্দিনের জন্য স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্ব উপযোগী বলে আমি মনে করি। ই
এ নেতৃত্বে নেতা সব ক্ষমতা নিজের কাছে কেন্দ্রীভ‚ত করে রাখেন। তিনি নিজের ইচ্ছেমতো সিদ্ধান্ত নেন। এরূপ নেতৃত্বে নেতা নিজে যা ভালো মনে করেন তাই করেন। প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এ নেতৃত্ব বেশ কার্যকর।
উদ্দীপকে সদরুদ্দিন দীর্ঘদিন তার প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের মতামতের মূল্যায়ন করে আসছেন।
ফলে প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন মান বেড়েছে ও প্রতিষ্ঠানের সুনাম বেড়েছে। তবে কিছুদিন ধরে কর্মীদের মাঝে কিছু অবাধ্যতা সৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দেওয়ায় তিনি নেতৃত্বের ধরনে কিছুটা পরিবর্তন আনার চিন্তা করছেন।
উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটির গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব অনুসরণ করায় কর্মীদের মধ্যে কাজ করার প্রতি উৎসাহ ও উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু কিছুদিন ধরে প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের মধ্যে অবাধ্যতার সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় প্রতিষ্ঠানে স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্ব অধিকতর উপযোগী।
কারণ, এ নেতৃত্বে নেতা কর্মীদের চাপ বা ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে কাজ আদায়ের চেষ্টা করেন। প্রয়োজনে চাকরি থেকে ছাঁটাই ও বরখাস্ত করার হুমকিও দেয়া হয়। ফলে কর্মীরা চাকরি টিকিয়ে রাখার জন্য প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতনের আদেশ মানতে বাধ্য হয়।
এতে কর্মীরা প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে সাহস পায় না। তাই প্রতিষ্ঠানের বিরূপ পরিস্থিতিতে স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্ব প্রয়োগ করাই বেশি ভালো আমি মনে করি।
প্রশ্নঃ ৩৭ মি. শামীম তার প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের আদেশ নির্দেশ দেওয়ার আগে বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে পরামর্শ করে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকেন। এতে তার প্রতিষ্ঠানটি শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে থাকে। অপর দিকে মি. জসিম সব সময় কর্মচারীরা যা বলে বা যেভাবে পরামর্শ দেয় ও কাজ করতে চায়, সেভাবে তাদের কাজ করতে দেন। সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তিনি থাকেন নির্লিপ্ত। এতে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সব সময় তার প্রতিষ্ঠান পিছিয়ে থাকে।
[চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আন্তঃকলেজ]
ক. নেতৃত্ব কী? ১
খ. “নির্দেশনা সর্বদাই নিচের দিকে প্রবাহিত হয়” ব্যাখ্যা করো। ২
গ. মি. জসিমের প্রতিষ্ঠানের নির্দেশনার ধরন কী? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. মি. জসিমের নির্দেশনার ধরনের চেয়ে মি. শামীমের ধরন উত্তম তোমার মতামত দাও। ৪
৩৭ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ কোনো দলকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যপানে এগিয়ে নেওয়ার কৌশলকে নেতৃত্ব বলে।
খ উত্তরঃ অধস্তন কর্মীদের আদেশ, উপদেশ, পরামর্শ ও তত্তাবধান করার কাজকে নির্দেশনা বলে।
উচ্চ স্তর থেকে দেওয়া নির্দেশনা স্তরের কর্মীরা পালন করে। এভাবে ওপর থেকে নির্দেশনা নিচের দিকে আসে। তাই বলা হয় যে, নির্দেশনা সর্বদাই নিচের দিকে প্রবাহিত হয়।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের মি. জসিমের প্রতিষ্ঠানে মুক্ত বা লাগামহীন নির্দেশনা বিদ্যমান।
এ নির্দেশনা পদ্ধতিতে নির্বাহী অধস্তনদের ওপর কোনো কর্তৃত্ব প্রয়োগ করেন না। তিনি নিজেই কর্মবিমুখ থাকেন। কর্মীরা নিজেদের পছন্দমতো সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ করেন। ফলে প্রতিষ্ঠানে অনেক সময় বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।
উদ্দীপকে মি. জসিম সব সময়ই কর্মচারীরা যা করতে বলে বা যেভাবে পরামর্শ দেয়, সেভাবে তাদের কাজ করতে দেন। তিনি কর্মীদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেন। কিন্তু লক্ষ্য বাস্তবায়নে ভ‚মিকা রাখেন না।
তিনি নিজেই কাজ অপছন্দ করেন। ফলে লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হয় না। এ ধরনের কাজ লাগামহীন নির্দেশনার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। তাই বলা যায়, মি. জসিমের প্রতিষ্ঠানের নির্দেশনার ধরন হলো লাগামহীন নির্দেশনা।
ঘ উত্তরঃ মি. জসিম লাগামহীন আর মি. শামীম পরামর্শমূলক নির্দেশনা প্রদান করেন। মি. শামীমের নির্দেশনাই উত্তম বলে আমি মনে করি।
লাগামহীন ও পরামর্শমূলক নির্দেশনা উভয়ই নির্দেশনার কৌশল।
লাগামহীন নির্দেশনার মাধ্যমে কর্মীরা অবাধ স্বাধীনতা পায়। এতে কাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে পরামর্শমূলক নির্দেশনার ক্ষেত্রে কর্মীরা সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশগ্রহণ করতে পারে। এতে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন সহজ হয়।
উদ্দীপকে মি. জসিম সব সময় কর্মীদের পছন্দমতো কাজ করতে দেন। তিনি নিজে সিদ্ধান্ত গ্রহণে লিপ্ত থাকেন। অপর দিকে মি. শামীম তার প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের আদেশ নির্দেশ দেওয়ার আগে তাদের সাথে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেন।
এ ক্ষেত্রে নেতা সব ক্ষমতা নিজের কাছে রাখেন না। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা অধীনস্থদের ওপর অর্পণ করেন।
মি. শামীম পরামর্শমূলক নির্দেশনা দেওয়ার ফলে কর্মীদের কাজের প্রতি উৎসাহ সৃষ্টি হয়েছে। এ ধরনের নির্দেশনায় ঊর্ধ্বতন ও অধস্তনদের মাঝে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। ফলে সবাই লক্ষ্য অর্জনে কাজ করেন এতে প্রতিষ্ঠানে সফলতা আসে।
অন্যদিকে মি. জসিমের নির্দেশনা দেয়ার ফলে কর্মীরা স্বাধীনতা পান। তারা স্বেচ্ছাচারী হয়ে ওঠেন। এতে প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। ফলে কর্মীরা সঠিক সময়ে কাজ সম্পাদন করতে পারে না। তাই, মি. জসিমের নির্দেশনার চেয়ে মি শামীমের নির্দেশনা ভালো বলে আমি মনে করি।
প্রশ্নঃ ৩৮ ঘটনা-১: শরীফ গার্মেন্টস-এ প্রায় ১০০০ কর্মী কাজ করেন। তাদের দিয়ে সর্বদা জোর করে কাজ করিয়ে নিতে হয়। এতে কোম্পানির উৎপাদনের মাত্রা ব্যাপকভাবে কমে যাওয়ায় লোকসান হচ্ছে।
ঘটনা-২: জনাব শিহাব উদ্দিন একটি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার। তিনি সর্বদা কর্মীদের কল্যাণের কথাই ভাবেন। কর্মীদের মাঝে অসন্তোষ বেড়ে যায় এবং উৎপাদন হ্রাস পায়। তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্মীদের মতের মূল্যায়ন করবেন। [জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, সিলেট]
ক. নেতা কে? ১
খ. গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব উত্তম কেন? ২
গ. জনাব শিহাব উদ্দিন তার প্রতিষ্ঠানে কোন ধরনের নেতৃত্ব অনুসরণ করছেন? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উভয় প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বের ধরন মূল্যায়ন করো। ৪
৩৮ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ যিনি প্রতিষ্ঠানিক লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে অধীনস্থদের প্রভাবিত করে তাদের সর্বাধিক সামর্থ্যকে কাজে লাগনোর চেষ্টা করেন তাকে নেতা বলে।
খ উত্তরঃ যে নেতৃত্বে নেতা অধীনস্থদের সাথে আলাপ-আলোচনা, পরামর্শ করে কার্য পরিচালনা করেন তাকে গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব বলে।
এ নেতৃত্বে নেতা সব ক্ষমতা নিজের হাতে কেন্দ্রীভ‚ত না রেখে প্রয়োজনীয় কর্তৃত্ব অধীনস্থদের কাছে অর্পণ করেন। তাছাড়া সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে অধীনস্থদের সাথে সলাপরামর্শ করেন। যার কারণে নেতার প্রতি তাদের ইতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হয়।
ফলে এরূপ নেতৃত্বের প্রতি অধীনস্থরা সন্তুষ্ট থাকেন। এতে কর্মীদের কাজের প্রতি মনোবল বেড়ে যায়। ফলে তারা সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা করেন। এজন্যই বলা হয়, গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব উত্তম।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের জনাব শিহাব উদ্দিন তার প্রতিষ্ঠানে গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব অনুসরণ করছেন।
এ নেতৃত্বে নেতা অধীনস্থদের সাথে আলাপ-আলোচনা, পরামর্শ করে কাজ পরিচালনা করেন।
এক্ষেত্রে নেতা সব ক্ষমতা নিজের হাতে কেন্দ্রীভ‚ত না রেখে প্রয়োজনীয় কর্তৃত্ব অধীনস্থদের কাছে অর্পণ করেন। তাছাড়া সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অধীনস্থদের সঙ্গে পরামর্শ করেন।
উদ্দীপকে জনাব শিহাব উদ্দিন একটি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার। তিনি সবসময় তার প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের কল্যাণের কথা ভাবেন। তিনি জানেন যদি কোনো কারণে কর্র্মীদের মাঝে অসন্তোষ বেড়ে যায় তবে প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন কমে যাবে।
তাই তিনি সিদ্ধান্ত গ্রহণে কর্মীদের মতের মূল্যায়ন করেন। এ বৈশিষ্ট্যগুলো গণতান্ত্রিক নেতৃত্বের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাই বলা যায়, জনাব শিহাব উদ্দিন তার প্রতিষ্ঠান গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব অনুসরণ করছেন।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকের প্রথম ও দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠানে যথাক্রমে স্বৈরতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব অনুসরণ করা হয়। উক্ত নেতৃত্ব দুটির মধ্যে গণতান্ত্রিক নেতৃত্বই উত্তম।
স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্বে নেতা নিজের কাছে সব ক্ষমতা কেন্দ্রীভ‚ত রাখেন। তিনি এককভাবে সব সিদ্ধান্ত নেন।
তিনি কর্মীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক কাজ আদায়ের চেষ্টা করেন। অন্যদিকে গণতান্ত্রিক নেতৃত্বে নেতা সবার সাথে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেন। এক্ষেত্রে কর্মীরা স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে কাজে অংশগ্রহণ করেন।
উদ্দীপকে শরীফ গার্মেন্টস-এ প্রায় ১০০০ কর্মী কাজ করেন। তিনি সর্বদা কর্মীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক কাজ আদায় করেন। এতে প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন মাত্রা দিন দিন কমে যাচ্ছে। তার এরূপ নেতৃত্ব স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্বের বহিঃপ্রকাশ।
অন্যদিকে জনাব শিহাব উদ্দিন কর্মীদের কাছ থেকে কাজ আদায়ের ক্ষেত্রে তাদের মূল্যায়ন করেন, যা গণতান্ত্রিক নেতৃত্বের বহিঃপ্রকাশ।
শরীফ গার্মেন্টস-এ স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্বের কারণে কর্মীরা সব সময় চাপের মুখে থাকেন। ফলে তারা মনোযোগ সহকারে কাজ করতে পারেন না। অন্যদিকে জনাব শিহাব উদ্দিন তার প্রতিষ্ঠানে গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছেন।
ফলে কর্মীদের মধ্যে কাজ করার আগ্রহ বেড়েছে। তাই বলা যায়, উভয় প্রকার নেতৃত্বের মধ্যে গণতান্ত্রিক নেতৃত্বই উত্তম।
প্রশ্নঃ ৩৯ মি. মোছাদ্দেক একটি উৎপাদনমুখী প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তার কোম্পানিতে উৎপাদন মাত্রা কীভাবে বৃদ্ধি করা যায় তা নিয়ে আলোচনার জন্য একটি সভার আহŸান করলেন। সেখানে উপাদানকাজে নিয়োজিত সকলেই উপস্থিত ছিল। তাদের সাথে আলাপ-আলোচনার প্রেক্ষিতে কিছু সিদ্ধান্ত নিলেন। অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি ইতিবাচক ফলাফল লক্ষ করলেন। [যশোর সরকারি মহিলা কলেজ]
ক. নির্দেশনা বলতে কী বুঝ? ১
খ. নির্দেশনাকে প্রশাসনের হৃৎপিণ্ড বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকে কোন ধরনের নির্দেশনা সম্পর্কে বলা হয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে গৃহীত নির্দেশনা কৌশল সব প্রতিষ্ঠানের জন্য সব সময় সুফল বয়ে আনবে কোনো নিশ্চয়তা নেই, এ বিষয়ে তোমার মতামত দাও। ৪
৩৯ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনে অধস্তনদের আদেশ, উপদেশ, পরমার্শ দেওয়া ও তত্তাবধানকে নির্দেশনা বলে।
খ উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনে অধস্তনদের আদেশ, উপদেশ ও পরামর্শ দেওয়া এবং তত্তাবধান কাজকে নির্দেশনা বলে।
হৃৎপিণ্ড মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সচল রাখতে সাহায্য করে। এটি কাজ না করলে মানুষ অচল হয়ে পড়ে। ঠিক তেমনিভাবে একটি প্রতিষ্ঠানের প্রশাসন যেসব পরিকল্পনা, নিয়ম-নীতি প্রণয়ন করে সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য কর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া প্রয়োজন। নির্দেশনা দেওয়া না হলে প্রশাসনের কার্যক্রম ব্যাহত হয়। এজন্যই নির্দেশনাকে প্রশাসনের হৃৎপিণ্ড বলা হয়।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে পরাামর্শমূলক নির্দেশনা সম্পর্কে বলা হয়েছে।
অধস্তনদের সাথে আলাপ-আলোচনা বা পরামর্শ করে নির্দেশনা দেয়াকে পরামর্শমূলক নির্দেশনা বলে। এক্ষেত্রে সব স্তরের কর্মীদের মতামত নিয়ে নির্দেশনার বিষয়বস্তু ঠিক করা হয়। এরূপ নির্দেশনায় অধস্তনদের অংশগ্রহণ থাকায় তারা সহযোগিতামূলক মনোভাব পোষণ করে।
উদ্দীপকের মি. মোছাদ্দেক একটি উৎপাদনমুখী প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনের পরিমাণ কীভাবে বৃদ্ধি করা যায়, তা নিয়ে আলোচনার জন্য তিনি একটি সভা ডাকলেন। সেখানে উৎপাদন কাজের সব স্তরের কর্মী উপস্থিত ছিল। তাদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে মি. মোছাদ্দেক কিছু সিদ্ধান্ত নিলেন। অধস্তনদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়াকেই পরামর্শমূলক নির্দেশনা বলে।
তাই বলা যায়, উদ্দীপকে পরামর্শমূলক নির্দেশনার বিষয়ে বলা হয়েছে।
ঘ উত্তরঃ নির্দেশনার সফলতা নির্ভর করে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য, ক্ষমতা, কর্মীদক্ষতা প্রভৃতি বিষয়ের ওপর। তাই আমি মনে করি একই ধরনের নির্দেশনা সব প্রতিষ্ঠানের জন্য সব সময় সুফল বয়ে আনবে না।
প্রত্যেক ধরনের নির্দেশনায় সুবিধার পাশাপাশি কিছু অসুবিধাও লক্ষ করা যয়। পরামর্শমূলক নির্দেশনার ক্ষেত্রে অবাধ্যতা সৃষ্টি, সময় অপচয়, সিদ্ধান্ত গ্রহণে জটিলতা, ঐক্যের অভাব, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি প্রভৃতি অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়।
উদ্দীপকের মি. মোছাদ্দেক একটি উৎপাদনমুখী প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নির্বাহী। তিনি উৎপাদন মাত্রা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি সভা ডাকেন। সেখানে সব স্তরের কর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি ইতিবাচক ফলাফল লক্ষ করলেন।
পরামর্শমূলক নির্দেশনায় অধস্তনদের মতামত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়। তাই তারা কাজের প্রতি সহযোগিতার মনোভাব দেখায়। তবে অনেক ক্ষেত্রে কর্মীদের গুরুত্ব দেয়ার ফলে তাদের মধ্যে অবাধ্যতা সৃষ্টি হয়।
সবার মতামত এক না হলে ঐক্যের অভাব দেখা দেয়। এছাড়াও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দিতে পারে। ফলে সময় অপচয় হওয়ার সাথে সাথে ব্যয়ও বৃদ্ধি পায়। তাই প্রতিষ্ঠানের সার্বিক দিক বিবেচনা করে নির্দেশনার ধরন ঠিক করা উচিত।
পরিশেষে বলা যায়, একই ধরনের নির্দেশনা সব প্রতিষ্ঠানে কার্যকর হবে না।
প্রশ্নঃ ৪০ মি. ফিরোজ পোশাক রপ্তানিকারক একটি প্রতিষ্ঠানের সুপারভাইজার। তার অধীনস্থ ৫০ জন শ্রমিককে তিনি প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে কাজ করিয়ে নেন। মি. ফিরোজ শুধু নিদের্শনা দিয়ে ক্ষান্ত হন না বরং কাজগুলো যাতে সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হয় তা নিজে দাঁড়িয়ে থেকে পর্যবেক্ষণ করেন। ফলে কর্মীরা তাদের কাজে যাতে ভুল কম হয় সেদিকে নজর রাখেন। আর ভুল হয়ে গেলেও মি. ফিরোজ তা সংশোধন করে দেন। [বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজ]
ক. কোন নেতৃত্বের ক্ষেত্রে অধস্তনরা অবাধ স্বধীনতা ভোগ করে? ১
খ. একজন নেতা কীভাবে কর্তৃত্বপরায়ন হন? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. মি. ফিরোজের নির্দেশনার ধরন কী? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. ‘কার্যকর নির্দেশনা কর্মীদের মান ও দক্ষতার উন্নয়ন ঘটায়’ তুমি কি এই বক্তব্যের সাথে একমত? যৌক্তিক মূল্যায়ন করো। ৪
৪০ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ লাগামহীন নেতৃত্বের ক্ষেত্রে অধস্তনরা অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করে।
খ উত্তরঃ যিনি প্রতিষ্ঠানিক লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে কর্মীদের প্রভাবিত করে তাদের সর্বাধিক সামর্থ্যকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেন তাকে নেতা বলে।
প্রতিষ্ঠান, কিংবা দল বা গোষ্ঠীকে অনেক সময় কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হয়। তখন প্রতিষ্ঠান বা দলের সদস্যরা তাদের মধ্য হতে কোনো এক ব্যক্তিকে তার ব্যক্তিত্ব, গুণাবলি ও যোগ্যতার কথা বিবেচনায় রেখে তার নেতৃত্ব গ্রহণ করতে চায়।
এজন্য তাকে সামনে রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে বলে। এভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় নেতার আবির্ভাব ঘটতে পারে। আর এই ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে গিয়েই নেতা কর্তৃত্বপরায়ন হন।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের মি. ফিরোজের নির্দেশনার ধরনটি হলো তত্তাবধানের মাধ্যমে নির্দেশনা।
এ ধরনের নির্দেশনা পদ্ধতিতে অধস্তনরা ঠিকমতো কাজ করছে কি না নেতা তা ঘুরে ঘুরে দেখেন এবং তাদেরকে প্রয়োজনীয় আদেশ উপদেশ ও পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে কর্মীরা কোনো ভুল করলে তা সাথে সাথেই শুধরে দেন।
উদ্দীপকে মি. ফিরোজ একটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের সুপারভাইজার। তিনি তার অধীনে কর্মরত ৫০ জন শ্রমিককে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানের মাধ্যমে কাজ করিয়ে নেন।
এক্ষেত্রে তিনি শুধু নির্দেশনা দিয়েই ক্ষান্ত হন না বরং কাজগুলো কর্মীরা সঠিকভাবে করছে কি না তা দাঁড়িয়ে থেকে পর্যবেক্ষণ করেন এবং ভুল করলে তা শুধরে দেন। এ বৈশিষ্ট্যগুলো তত্তাবধানের মাধ্যমে নির্দেশনা পদ্ধতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
তাই বলা যায়, মি. ফিরোজের নির্দেশনার ধরনটি হলো তত্তাবধানের মাধ্যমে নির্দেশনা।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
ঘ উত্তরঃ কার্যকর নির্দেশনা কর্মীদের মান ও দক্ষতার উন্নয়ন ঘটায়এই বক্তব্যের সাথে আমি একমত।
প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনে অধস্তনদের আদেশ, উপদেশ ও পরামর্শ দেওয়া এবং তত্তাবধান কাজই হলো নির্দেশনা। নির্দেশনা সর্বদা গামী হয়। কারণ এর মাধ্যমে অধস্তনদেরকে লক্ষ্য অর্জনে পরিচালিত করা হয়।
উদ্দীপকে মি. ফিরোজ একটি পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের সুপারভাইজার। তিনি অধস্তন কর্মীদের কাজে নির্দেশ দেওয়ার পর দাঁড়িয়ে থেকে তা পর্যবেক্ষণ করেন। কর্মীদের কাজে যেন ভুল কম হয় সেদিকে নজর রাখেন।
এছাড়াও কর্মীরা যদি কাজে ভুল করেই ফেলে তবে তিনি তা সংশোধন করে দেন।
উদ্দীপকে মি. ফিরোজ তার প্রতিষ্ঠানে কার্যকর নির্দেশনা পদ্ধতিটি বাস্তবায়ন করেছেন। এর ফলে তার সাথে অধস্তনদের একটি সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হবে। কর্মীরা ভুল করলে তিনি তা শুধরে দেন বলে কর্মীদের কাজের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে।
এছাড়াও কর্মীরা তাদের ভুলগুলো সংশোধন করতে পেরে তাদের কাজের দক্ষতাও বৃদ্ধি করতে পারবে। তাই আমি মনে করি, কার্যকর নির্দেশনা পদ্ধতিতে কর্মীদের কাজের মান ও দক্ষতা উভয়েরই উন্নয়ন ঘটায়।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।