ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় | অধ্যায় ২ | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ১-৫ | PDF: ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের দ্বিতীয় অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের দ্বিতীয় অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
প্রশ্নঃ ১ অই লি.-এর উৎপাদন বিভাগ তার কাজগুলোকে প্রকৃতি অনুযায়ী বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে প্রত্যেকের দায়িত্ব ও ক্ষমতা নির্দিষ্ট করে দেয়। এতে কর্মীর কাজ সহজ হয়। আবার পরিচালক পর্ষদের ২০% উৎপাদন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে প্রতিষ্ঠানের সকল বিভাগের কর্ক উত্তরঃর্তারা একই লক্ষ্যকে সামনে রেখে অধস্তনদের পরামর্শ ও নির্দেশনা প্রদান করেন। ফলে কার্যক্ষেত্রে জটিলতা না থাকায় লক্ষ্য পূরণ সহজ হয়। [ঢা. বো. ১৭]
ক. প্রশাসন কী? ১
খ. ব্যবস্থাপকীয় দক্ষতা কার্য পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ কেন? ২
গ. উদ্দীপকের উৎপাদন বিভাগ ফেয়লের কোন নীতি অনুসরণ করে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. ‘নির্দেশনার ঐক্যেই পরিচালক পর্ষদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে’ উদ্দীপকের আলোকে বিশ্লেষণ করো। ৪
১ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ স্তর যেখানে প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা, কৌশল ও নীতি নির্ধারণ করা হয় তাকে প্রশাসন বলে।
খ উত্তর: ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট কাজগুলো সঠিক সময়ে, স্বল্প ব্যয়ে এবং সঠিকভাবে সম্পাদন করার সামর্থ্যকে ব্যবস্থাপকীয় দক্ষতা বলে।
একজন ব্যবস্থাপকের দক্ষতার ওপর নির্ভর করে যে, তিনি কত ন্যূনতম শক্তি, সামর্থ্য ও সম্পদকে কাজে লাগিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য অর্জন করতে পারেন।
একজন ব্যবস্থাপক কার্যসম্পাদনে যতই দক্ষ হন, ততই তিনি প্রাতিষ্ঠানিক উপকরণসমূহের সদ্ব্যবহার করতে পারেন। আর প্রাতিষ্ঠানিক উপকরণের সদ্ব্যবহারের ওপরই প্রতিষ্ঠানের সফলতা নির্ভর করে। এজন্যই ব্যবস্থাপকীয় দক্ষতা কার্য পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ।
গ উত্তর: উদ্দীপকের উৎপাদন বিভাগ ফেয়লের কার্যবিভাজন নীতি অনুসরণ করে।
প্রতিষ্ঠানের কাজকে প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন বিভাগে ভাগ করে প্রতিটি বিভাগের দায়িত্ব এক একজন কর্মীর ওপর অর্পণ করা হয় কার্যবিভাজনের নীতিতে প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেক বিভাগ ও উপবিভাগে নিয়োজিত জনশক্তির কাজকে সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়।
উদ্দীপকের অই লি. প্রতিষ্ঠানটি উৎপাদন বিভাগের কাজকে কাজের প্রকৃতি অনুযায়ী বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে। কাজগুলোকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করার পর প্রত্যেক কর্মীর দায়িত্ব ও ক্ষমতা নির্দিষ্ট করে দেয়।
এতে কর্মীরা যার যা দায়িত্ব রয়েছে, তা সহজে বুঝতে পারেন এবং তাদের কাজ সহজে করতে পারেন।
কার্যবিভাজনের নীতিতেও এভাবে কাজকে ভাগ করা হয় এবং কর্মীদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের উৎপাদন বিভাগ ফেয়লের কার্যবিভাজনের নীতিটি অনুসরণ করছে।
ঘ উত্তর: ‘নির্দেশনার ঐক্যের মাধ্যমেই পরিচালক পর্ষদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে’ আমি এর সাথে একমত।
নির্দেশনার ঐক্যের নীতির মূলকথা হলো একটি প্রধান উদ্দেশ্যের আলোকে প্রতিষ্ঠানের সব কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। এ প্রধান উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের বিষয়টি মাথায় রেখে তার আলোকে প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়।
উদ্দীপকের অই লি.-এর পরিচালনা পর্ষদ তাদের প্রতিষ্ঠানে ২০% উৎপাদন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেন। এ লক্ষ্যকে বাস্তবায়নের জন্য প্রতিষ্ঠানের সব বিভাগের কর্ক উত্তরঃর্তারা অধস্তনদের পরামর্শ ও নির্দেশনা প্রদান করেন। ফলে কার্যক্ষেত্রে জটিলতা না থাকায় প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য পূরণ সহজ হয়েছে।
উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটি একটি লক্ষ্যের আলোকে সব বিভাগের কর্মীদের কাজের নির্দেশনা প্রদান করেছে।
এতে সব বিভাগ ও উপবিভাগের কর্ক উত্তরঃাণ্ড একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যকেন্দ্রিক হয়েছে। ফলে প্রত্যেক কর্মী নিজের দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হয়েছে। এজন্য প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নও সহজ হয়েছে। তাই বলা যায়, নির্দেশনার ঐক্য মেনে চলার কারণেই পরিচালক পর্ষদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে।
প্রশ্নঃ ২ জাহানারা বুটিকসে ভিন্ন ভিন্ন কর্মদক্ষতাসম্পন্ন ১৫ জন লোক কর্মরত আছেন। তাদের কাজ নির্দিষ্ট করা নেই। সবাই সব কাজ করে থাকেন। তৈরি পোশাক বিক্রয় কিংবা হিসাব-নিকাশের জন্যও নির্দিষ্ট কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। তাতে প্রায়শই হিসাবে ভুল হয়। কর্মীদের কার্য পরিমাপও জটিল হয়ে পড়ে। বুটিকসের মালিক জাহানারা বেগম লক্ষ করলেন যে, কিছু কাজে কিছু লোক অন্যদের চেয়ে বেশি পারদর্শী। তিনি কাজের পারদর্শিতা অনুসারে কর্মীদের কাজ বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত নেন। [রা. বো. ১৭]
ক. আদেশের ঐক্য নীতি কী? ১
খ. ব্যবস্থাপকীয় দক্ষতা বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকে উলিখিত জাহানারা বুটিকসে প্রথম পর্যায়ে ব্যবস্থাপনার কোন নীতি উপেক্ষিত হয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে উলিখিত বুটিকসে পরবর্তী পর্যায়ে গৃহীত সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা মূল্যায়ন করো। ৪
২ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: একজন কর্মী প্রত্যক্ষভাবে একই সময়ে শুধু একজন ঊর্ধ্বতন কর্ক উত্তরঃর্তার নিকট হতে আদেশ গ্রহণ করবে, এ নীতিকে আদেশের ঐক্য নীতি বলে।
খ উত্তর: ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট কাজগুলো সঠিক সময়ে, স্বল্প ব্যয়ে এবং সঠিকভাবে সম্পাদন করার সামর্থ্যকে ব্যবস্থাপকীয় দক্ষতা বলে।
একজন ব্যবস্থাপকের দক্ষতার ওপর নির্ভর করে তিনি কত ন্যূনতম শক্তি, সামর্থ্য ও সম্পদকে কাজে লাগিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য অর্জন করতে পারেন।
একজন ব্যবস্থাপক কার্যসম্পাদনে যতই দক্ষ হন, ততই তিনি প্রাতিষ্ঠানিক উপকরণসমূহের সদ্ব্যবহার করতে পারেন। আর প্রাতিষ্ঠানিক উপকরণের সদ্ব্যবহারের ওপরই প্রতিষ্ঠানের সফলতা নির্ভর করে।
গ উত্তর: উদ্দীপকের জাহানারা বুটিকসে প্রথম পর্যায়ে ব্যবস্থাপনার কার্যবিভাজনের নীতি উপেক্ষিত হয়েছে।
এ নীতি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের কাজকে প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন বিভাগে ভাগ করে প্রতিটি বিভাগের দায়িত্ব একজন কর্মীর ওপর অর্পণ করা হয়। কার্যবিভাজনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেক বিভাগ ও উপবিভাগে নিয়োজিত জনশক্তির কাজকে সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়।
উদ্দীপকে জাহানারা বুটিকসে ভিন্ন ভিন্ন কর্মদক্ষতাসম্পন্ন ১৫ জন লোক কর্মরত আছেন। তাদের কাজ নির্দিষ্ট করা নেই। ফলে সবাই সব ধরনের কাজ করেন। কাজ নির্দিষ্ট না থাকায় কাউকে তার কাজের জন্য জবাবদিহি করতে হচ্ছে না। ফলে কোনো কাজই মানসম্মতভাবে হচ্ছে না। তাই বলা যায়, জাহানারা বুটিকসে কার্যবিভাজনের নীতি উপেক্ষিত হয়েছে।
ঘ উত্তর: জাহানারা বুটিকসে পরবর্তী পর্যায়ে গৃহীত শৃঙ্খলতার নীতির সিদ্ধান্তটি যৌক্তিক।
শৃঙ্খলতার নীতি অনুযায়ী যোগ্য ব্যক্তিকে যোগ্য স্থানে এবং সঠিক বস্তুকে সঠিক স্থানে স্থাপন করা হয় । যোগ্য ব্যক্তিকে যোগ্য স্থানে বসানো না গেলে কখনোই তার নিকট থেকে কাক্সিক্ষত ফল লাভ সম্ভব হয় না।
উদ্দীপকে জাহানারা বুটিকসে কর্মরত কর্মীদের কাজ সুনির্দিষ্টভাবে ভাগ করা নেই। ফলে কর্মীরা উৎপাদন প্রক্রিয়ার সব ধরনের কাজ করছেন। এ অবস্থায় বুটিকসের মালিক জাহানারা বেগম সিদ্ধান্ত নিলেন কর্মীর কাজের পারদর্শিতা অনুযায়ী কাজকে ভাগ করে দিবেন। অর্থাৎ যোগ্য ব্যক্তিকে যোগ্য স্থানে নিয়োগ দেবেন, যা শৃঙ্খলার নীতির আওতায় পড়ে।
শৃঙ্খলা নীতির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মীদের যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়। এতে প্রত্যেকে যার যার কাজ যথাসময়ে বাস্তবায়ন করতে পারেন।
তাছাড়া একজন কর্মীর কাজ সুনির্দিষ্ট করা হলে ঐ কাজে কর্মী দক্ষতা অর্জনের সুযোগ পান। ফলে কার্যসম্পাদন সহজ ও সুন্দর হয় এবং কর্মীর কাজে নিপুণতা আসে। তাই বলা যায়, জাহানারা বুটিকসে গৃহীত সিদ্ধান্তটি অত্যন্ত যৌক্তিক।
প্রশ্নঃ ৩ মি. মলিক বি.বি.এ পাস করে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেয়েছেন। প্রথম দিন অফিসে গিয়ে তিনি দেখলেন প্রতিটি কর্মীরই কাজ নির্দিষ্ট আছে। তিনি ভাবলেন এ নীতিতে সত্যিই কাজে গতি ও মান বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেদিন তার বিভাগীয় প্রধান তাকে ডেকে বললেন, তাদের প্রতিষ্ঠানে পদমর্যাদা অনুসারে ভিন্ন ভিন্ন নির্দিষ্ট বেতন কাঠামো আছে। যেন কর্মীদের মধ্যে কার্যসন্তুষ্টি বিরাজ করে। [কু. বো. ১৭]
ক. বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার জনক কে? ১
খ. লক্ষ্য অর্জনে ‘একতাই বল’ নীতি গুরুত্বপূর্ণ কেন? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকে মি. মলিক প্রথমত কোন নীতির কথা ভেবেছিলেন? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. বিভাগীয় প্রধান যে নীতিকে ইঙ্গিত করেছেন, তা কর্মী সন্তুষ্টি অর্জনে সহায়ক বিশ্লেষণ করো। ৪
৩ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার জনক হলেন আমেরিকান মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ফ্রেডেরিক উইন্সলো টেলর ((Frederick Winslow Taylor)।
খ উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানের সব কর্মী ঐক্যবদ্ধ হয়ে লক্ষ্য অর্জনের জন্য কাজ করাকে একতাই বল নীতি বলে।
এ নীতি অনুযায়ী কর্মীদের মধ্যে দলগত চেতনা ও ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্যার্জনের জন্য সব কর্মীকে একতাবদ্ধ থাকতে হয়। এতে কর্মীরা কাজ করতে উৎসাহী হয়। ফলে কর্মীর মনোবলও বৃদ্ধি পায়।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের মি. মলিক প্রতিষ্ঠানে প্রথমত কার্যবিভাজনের নীতির কথা ভেবেছিলেন।
কার্যবিভাজনের নীতিতে প্রতিষ্ঠানের সমুদয় কাজগুলোকে কাজের প্রকৃতি অনুসারে বিভিন্ন ভাগে ভাগ (যেমন: ক্রয় বিভাগ, বিক্রয় বিভাগ, অর্থ বিভাগ, উৎপাদন বিভাগ ইত্যাদি) করে বিশেষজ্ঞের ওপর কার্যভার অর্পণ করা হয়। এর মাধ্যমে প্রত্যেক বিভাগ ও উপ-বিভাগে নিয়োজিত জনশক্তির কাজকে সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়।
উদ্দীপকের মি. মলিক বি.বি.এ পাস করার পর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেয়েছেন।
প্রথম দিন অফিসে গিয়ে তিনি দেখলেন প্রত্যেক কর্মীর কাজই নির্দিষ্ট করা আছে। অর্থাৎ কর্মীর যোগ্যতা ও দক্ষতা অনুযায়ী কাজকে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। তিনি ভাবলেন, এ নীতিতে কাজের গতি ও মান বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব বৈশিষ্ট্য কার্যবিভাজন নীতির সাথে সংগতিপূর্ণ।
সুতরাং মি. মলিক প্রথমত প্রতিষ্ঠানে কার্যবিভাজনের নীতির কথাই ভেবেছিলেন।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকের বিভাগীয় প্রধান পারিশ্রমিকের নীতির প্রতি ইঙ্গিত করেছেন।
পারিশ্রমিকের নীতিতে প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত কর্মীদের কাজের প্রকৃতি, মেধা ও যোগ্যতা অনুযায়ী তাদের উপযুক্ত বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়। বর্তমান প্রতিযোগিতাপূর্ণ ব্যবসায় জগতে প্রতিষ্ঠানের জন্য যোগ্য ও দক্ষ জনবল দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনায় এ নীতি প্রয়োগের কোনো বিকল্প নেই।
উদ্দীপকের মি. মলিকের কর্মরত প্রতিষ্ঠানের বিভাগীয় প্রধান তাকে ডেকে বললেন, উক্ত প্রতিষ্ঠানে কর্মীর পদমর্যাদা অনুসারে ভিন্ন ভিন্ন নির্দিষ্ট বেতন কাঠামো আছে। অর্থাৎ উক্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের যোগ্যতা, মেধা, কাজের প্রকৃতি ইত্যাদি অনুসারে বেতন প্রদান করা হয়, যা পারিশ্রমিকের নীতিকেই ইঙ্গিত করে।
পারিশ্রমিকের নীতি অনুসারে উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা বেতন পান। এতে কর্র্মীদের মধ্যে পারিশ্রমিক নিয়ে অসন্তুষ্টির সৃষ্টি হয় না। আর একজন কর্মী তার প্রত্যাশা অনুযায়ী পারিশ্রমিক পেলে কাজে উৎসাহী হন।
তখন তিনি কাজে সম্পূর্ণভাবে মনোনিবেশ করেন এবং তার সর্বোচ্চ কার্যদক্ষতা প্রতিষ্ঠানে ব্যয় করেন। এর ফলে অন্য কর্মীবৃন্দও তাদের সর্বোচ্চ কর্মদক্ষতা দেখাতে সচেষ্ট হন। ফলে সবার মধ্যে সন্তুষ্টি অর্জন বিরাজ করে।
প্রশ্নঃ ৪ জুবলী নিটওয়্যার বিদেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করে। জনাব সাজিদ উক্ত প্রতিষ্ঠানের একজন কর্ক উত্তরঃর্তা। তিনি প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও নীতি প্রণয়নের সাথে জড়িত। প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য তিনি কর্মীদের কার্যঘণ্টা পূর্বের চেয়ে ২ ঘণ্টা বাড়িয়ে দেন। তবে এজন্য কর্মীদেরকে কোনো অতিরিক্ত সুবিধা প্রদান করেন না। [চ. বো. ১৭]
ক. বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা কী? ১
খ. আদেশের ঐক্য বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানে ব্যবস্থাপনার কোন নীতির ব্যত্যয় ঘটেছে তা ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. “জনাব সাজিদ একজন প্রশাসক, ব্যবস্থাপক নন” তুমি কি এর সাথে একমত? ৪
৪ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ পরীক্ষা-নিরীক্ষা, বিচার-বিশ্লেষণ ও সুপরিকল্পিত রীতিনীতির আলোকে প্রতিষ্ঠানের শ্রম ও উৎপাদন বৃদ্ধির কৌশলকে বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা বলে।
খ উত্তরঃ একজন কর্মী একই সময়ে প্রত্যক্ষভাবে একজন ঊর্ধ্বতন কর্ক উত্তরঃর্তার নিকট হতে আদেশ পাওয়া ও তা মেনে চলাকে আদেশের ঐক্য নীতি বলে।
একজন কর্মীর আদেশদাতা একাধিক হলে একই সময়ে দু’জন ভিন্ন ভিন্ন নির্দেশ দিতে পারেন।
এতে দ্বৈত অধীনতার সৃষ্টি হয়। ফলে কর্মীর পক্ষে যথাযথভাবে সকল কাজ সম্পাদন করা সম্ভব হয় না। তাই প্রতিষ্ঠানে আদেশের ঐক্য নীতি অনুসরণ করা অপরিহার্য।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানে ব্যবস্থাপনার পারিশ্রমিকের নীতির ব্যত্যয় ঘটেছে।
প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের কাজের প্রকৃতি, সময়, পারিপার্শ্বিক অবস্থা ইত্যাদি বিবেচনায় সুষ্ঠু ও ন্যায্য বেতন কাঠামো স্থির করা আবশ্যক। এটি হলো পারিশ্রমিক নীতির মূল কথা। এ নীতির বাস্তবায়ন করলে কর্মীরা কাজের প্রতি সন্তুষ্ট হন এবং উৎসাহ নিয়ে কাজ করেন।
উদ্দীপকের জুবলী নিটওয়্যার বিদেশে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক একটি প্রতিষ্ঠান। জনাব সাজিদ উক্ত প্রতিষ্ঠানের একজন কর্ক উত্তরঃর্তা। তিনি প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন বৃদ্ধি করতে চান। এজন্য কর্মীদের কার্য সময় পূর্বের চেয়ে ২ ঘণ্টা বাড়িয়ে দেন।
তবে এই ২ ঘণ্টা কাজের জন্য বাড়তি কোনো সুবিধা প্রদান করেন না। এ থেকে প্রমাণিত হয়, সাজিদ সাহেব কর্মীদের দিয়ে অতিরিক্ত সময় কাজ করালেও তাদের ন্যায্য পারিশ্রমিক প্রদান করেন না। তাই বলা যায়, অতিরিক্ত সময়ের জন্য পারিশ্রমিক প্রদান না করায় পারিশ্রমিক নীতির ব্যত্যয় ঘটেছে।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকের জনাব সাজিদ একজন প্রশাসক, ব্যবস্থাপক নন আমি এ বক্তব্যের সাথে একমত।
ব্যবস্থাপনার সর্বোচ্চ স্তরে অধিষ্ঠিত ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ হলেন প্রশাসক। প্রশাসক প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য, নীতিমালা, পরিকল্পনা প্রণয়ন প্রভৃতি কাজের সাথে জড়িত থাকেন। আর প্রশাসকের প্রণীত উদ্দেশ্য ও নীতিমালা বাস্তবায়ন করেন ব্যবস্থাপকবৃন্দ।
উদ্দীপকের জনাব সাজিদ জুবলী নিটওয়্যারের একজন কর্ক উত্তরঃর্তা। তিনি প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও নীতি প্রণয়নের সাথে জড়িত। তিনি প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কর্মীদের কাজের সময় ২ ঘণ্টা বাড়িয়ে দেন। এ ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা তাকে প্রদান করা হয়েছে। এসব কাজ মূলত প্রশাসকবৃন্দ করে থাকেন।
জনাব সাজিদের নীতি নির্ধারণ অনুসারে কর্মীরা কাজ করেন। কর্মীরা তার কাছে জবাবদিহি করে থাকেন। তাই জনাব সাজিদকে ব্যবস্থাপক না বলে প্রশাসক বলাই শ্রেয়।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
প্রশ্নঃ ৫ জনাব সূহা একটি উৎপাদনশীল প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য নির্ধারণ, নীতিমালা প্রস্তুত, পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাজারজাতকরণ কৌশল নির্ধারণের সাথে সম্পৃক্ত। সম্প্রতি তিনি কারখানায় অত্যাধুনিক তিনটি মেশিন স্থাপন করেন। পুরাতন মেশিনচালকগণ নতুন মেশিন চালানোয় পারদর্শী নয়। এতে উৎপাদন বৃদ্ধির পরিবর্তে উৎপাদন কাজে বিঘœ ঘটছে। যার কারণে তিনি মেশিন চালকদের দক্ষতা বৃদ্ধির চিন্তা করছেন। [সি. বো. ১৭]
ক. চঙঝউঈঙজই-এর পূর্ণরূপ লেখো। ১
খ. ব্যবস্থাপনাকে সর্বজনীন বলা হয় কেন? ২
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত মেশিন চালকদের দক্ষতা বৃদ্ধির কাজটি ব্যবস্থাপনার কোন কাজের সাথে সম্পৃক্ত? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে সূহা কর্তৃক সম্পাদিত কার্যাবলি প্রশাসনের অন্তর্ভুক্ত যুক্তিসহ মূল্যায়ন করো। ৪
৫ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: POSDCORB-এর পূর্ণরূপ হলো P = Planning, O = Organizing, S = Staffing, D = Directing, CO = Coordinating, R = Reporting I B = Budgeting|
খ উত্তর: ‘ব্যবস্থাপনা সর্বজনীন’ উক্তিটি গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিসের । ব্যবস্থাপনার সর্বজনীনতা বলতে সর্বত্র, সব ক্ষেত্রে, সকলের দ্বারা স্বীকৃত ব্যবস্থাপনা জ্ঞানের আবশ্যকতা ও প্রয়োগ যোগ্যতাকে বোঝায়।
পরিবার, রাষ্ট্র এবং ব্যবসায় সংগঠনের সব ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনার কার্যাবলি (পরিকল্পনা প্রণয়ন, সংগঠিতকরণ, নির্দেশনা, প্রেষণা ও নিয়ন্ত্রণ) প্রয়োগ করা হয়। স্থানীয় পরিবেশ-পরিস্থিতি, সামাজিক রীতি-নীতি ইত্যাদি কারণে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি ভিন্ন হতে পারে। তবে ব্যবস্থাপনার কার্যাবলি প্রয়োগের ক্ষেত্রে তেমন কোনো পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় না। তাই ব্যবস্থাপনাকে সর্বজনীন বলা হয়।
গ উত্তর: উদ্দীপকে বর্ণিত মেশিনচালকদের দক্ষতা বৃদ্ধির কাজটি প্রশিক্ষণের সাথে সম্পৃক্ত।
প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত কর্মীদের নতুন ধারণা, পদ্ধতি, কৌশল ইত্যাদি শেখানোর মাধ্যমে তাদের কার্যদক্ষতা বৃদ্ধি করা হয়। প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকদের কাজে দক্ষ ও পারদর্শী করে তুলতে তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হয়।
উদ্দীপকের জনাব সূহা একটি উৎপাদনশীল প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত। তিনি কারখানায় অত্যাধুনিক তিনটি মেশিন স্থাপন করেন। কিন্তু পুরাতন মেশিনচালকগণ নতুন মেশিন চালানোর কাজে পারদর্শী নন। এতে উৎপাদন বৃদ্ধির পরিবর্তে উৎপাদন কাজে বিঘœ ঘটছে। তাই তিনি মেশিনচালকদের দক্ষতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর এ দক্ষতা বৃদ্ধির উপায় হলো প্রশিক্ষণ।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকের সূহা কর্তৃক সম্পাদিত কার্যাবলি প্রশাসনের অন্তর্ভুক্ত -বক্তব্যটি যৌক্তিক।
প্রশাসন হলো প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ স্তর। এখানে উদ্দেশ্য, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা, কৌশল ও নীতি নির্ধারণ করা হয়। প্রশাসনিক কার্যাবলি যারা সম্পাদন করেন, তাদেরকে প্রশাসক বলে।
উদ্দীপকের জনাব সূহা একটি উৎপাদনশীল প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য নির্ধারণ, নীতিমালা প্রস্তুত, পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাজারজাতকরণ কৌশল নির্ধারণ করেন।
জনাব সূহার উক্ত কাজ মূলত প্রাতিষ্ঠানিক উদ্দেশ্যের সাথে জড়িত। তিনি যে নীতি নির্ধারণ করে দেন তা প্রতিষ্ঠানের কর্মীবৃন্দ বাস্তবায়নে সচেষ্ট থাকেন। প্রতিষ্ঠানিক উদ্দেশ্যে তিনি যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন। এসব কাজ প্রশাসকবৃন্দ করে থাকেন। তাই বলা যায়, প্রতিষ্ঠানে জনাব সূহা কর্র্র্তৃক সম্পাদিত কার্যাবলি প্রশাসনের অন্তর্ভুক্ত।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।