ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় | অধ্যায় ২ | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ১৬-২০ | PDF: ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের দ্বিতীয় অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের দ্বিতীয় অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
প্রশ্নঃ ১৬ আনন্দ ফ্যাশনস লিমিটেড একটি ১০০% রপ্তানিমুখী পোশাক তৈরির কারখানা। প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা তাদের ঊর্ধ্বতন কর্ক উত্তরঃর্তাদের কাছ থেকে একই সময়ে ভিন্ন ভিন্ন আদেশ পায়। এতে নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জন করতে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। এছাড়া উর্ধ্বতন কর্ক উত্তরঃর্তাদের কার্যভার বেশি হওয়ায় সিদ্ধান্ত নিতে বেশি সময় লাগছে। ফলে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম দিন দিন নষ্ট হচ্ছে।
[রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা]
ক. কর্তৃত্ব কী? ১
খ. প্রশাসককে সংগঠনের মস্তিষ্ক বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত প্রথমদিকে ব্যবস্থাপনার কোন মূল নীতিটি লঙ্ঘিত হয়েছে? বর্ণনা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে উলিখিত ঊর্ধ্বতন কর্ক উত্তরঃর্তাদের কার্যভার লাঘবে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের কী করণীয় আছে বলে তুমি মনে করো? যুক্তিসহ তোমার মতামত দাও। ৪
১৬ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের কোনো কাজ করার আদেশ-নির্দেশ দেয়ার ক্ষমতাকে কর্তৃত্ব বলে।
খ উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানের যে স্তরে প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য, পরিকল্পনা, কৌশল ও নীতি নির্ধারণ করা হয় তাকে প্রশাসন বলে।
মানুষ কোনো কাজ করার আগে তা কীভাবে করতে পারবে তা চিন্তা করে। মস্তিষ্কের মাধ্যমে চিন্তন কাজটি করা হয়। তারপর শরীরের অন্যান্য অঙ্গের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করা হয়।
মস্তিষ্কের মতোই প্রশাসন প্রতিষ্ঠানের চিন্তনীয় কাজ (পরিকল্পনা প্রণয়ন ও নীতি নির্ধারণ) করে। এরপর তা বাস্তবায়নের জন্য ব্যবস্থাপনার অন্যান্য স্তরের সহায়তা নেয়। এ কারণেই প্রশাসনকে সংগঠনের মস্তিষ্ক বলা হয়।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে বর্ণিত প্রথমদিকে ব্যবস্থাপনার আদেশের ঐক্য নীতিটি লঙ্ঘিত হয়েছে।
এ নীতি অনুযায়ী, একজন কর্মীর আদেশদাতা মাত্র একজন ব্যক্তিই হয়ে থাকেন। অর্থাৎ, প্রত্যক্ষভাবে একজনের অধীনেই কাজ করা হয়। এর মাধ্যমে কর্মীকে একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তির কাছেই কাজের জন্য জবাবদিহি করতে হয়।
এতে কাজের শৃঙ্খলা বজায় থাকে। আর এ নীতির অভাবে কর্মীরা কাজে ভুল-ত্র“টি করে। এতে কাজে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়ে প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
উদ্দীপকের আনন্দ ফ্যাশনস লিমিটেড একটি রপ্তানিমুখী পোশাক তৈরির কারখানা। প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা তাদের উর্ধ্বতন কর্ক উত্তরঃতাদের কাছ থেকে একই সময়ে ভিন্ন ভিন্ন আদেশ পায়। এক্ষেত্রে কর্মীরা নির্দিষ্টভাবে কার অধীনে কাজ করবে তা ঠিক করা থাকে না।
ফলে কার কাছে জবাবদিহিতা করবে সে ব্যাপারেও তারা নিশ্চিত থাকে না। একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে আদেশ পাওয়ায় কাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। ব্যবস্থাপনার কাজ বা বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী আদেশের ঐক্য নীতি অনুসরণ না করার ফলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। সুতরাং, উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটিতে প্রথমে এ নীতিই লঙ্ঘিত হয়েছে।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকে উলিখিত ঊর্ধ্বতন কর্ক উত্তরঃর্তাদের কার্যভার লাঘবে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের বিকেন্দ্রীকরণ নীতি অনুসরণ করা উচিত বলে আমি মনে করি।
এ নীতিতে প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর্যাপ্ত ক্ষমতা নি স্তরের কর্মীদের দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্মী সিদ্ধান্ত নেওয়ার সব ক্ষমতাই নিজের কাছে রাখেন না। কর্মীদের যোগ্যতা অনুযায়ী তিনি ক্ষমতা বণ্টন করেন।
এতে নিস্তরের কর্মীরা সন্তুষ্ট থাকে। উদ্দীপকের আনন্দ ফ্যাশনস লিমিটেডের ঊর্ধ্বতন কর্ক উত্তরঃর্তাদের কাজের ভার বেশি। এতে সিদ্ধান্ত নিতে সময় বেশি লাগে। এ অবস্থায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার কিছু ক্ষমতা নিস্তরের কর্মীদের দেওয়া যেতে পারে। বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী এটি বিকেন্দ্রীকরণ নীতির সাথে সম্পর্কিত।
এ নীতি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির নিস্তরের কর্মীরা কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা পাবে। এতে কাজে কোনো সমস্যা হলে তা সমাধানের উপায় জানতে বারবার ঊর্ধ্বতনের কাছে যেতে হবেনা। এক্ষেত্রে নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
এতে একদিকে দ্রুত কাজ সম্পন্ন হবে, অন্যদিকে উচ্চ স্তরের ব্যবস্থাপকদের কাজের ভারও কমে যাবে। প্রতিষ্ঠানটিও দ্রুত পূর্বের সুনাম ফিরে পাবে। সুতরাং, বিকেন্দ্রীকরণ নীতির মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্ক উত্তরঃর্তাদের কাজের ভার লাঘব করা সম্ভব।
প্রশ্নঃ ১৭ পদ্মা ফ্যাশন একটি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। এটি ঢাকার উত্তরা এলাকায় অবস্থিত। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিবছর তৈরি পোশাক বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত সর্বস্তরের কর্মীদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে তারা প্রাধান্য দেয়। কিন্তু বর্তমানে এরূপ কার্যক্রমের জন্য প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এ অবস্থা মোকাবিলার জন্য পদ্মা ফ্যাশন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
[ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
ক. ব্যবস্থাপনা চক্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কার্য কী? ১
খ. ব্যবস্থাপনায় নির্দেশনার ঐক্য পালিত হয় কেন? ২
গ. উদ্দীপকের পদ্মা ফ্যাশনে কোন নীতির অনুপস্থিতি দেখা দিয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে পদ্মা ফ্যাশনের কর্মীদের অসন্তোষ দূরীকরণে উক্ত নীতির প্রয়োজনীয়তা আছে কি? উদ্দীপকের আলোকে তোমার মতামত বিশ্লেষণ করো। ৪
১৭ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ ব্যবস্থাপনা চক্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে পরিকল্পনা।
ভবিষ্যতে কোনো কাজ কে, কীভাবে, কখন ও কত সময়ের মধ্যে করবে তা অগ্রিম নির্ধারণ করাকে পরিকল্পনা বলে।
খ উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানের প্রধান উদ্দেশ্যের আলোকে সকল কর্মী ও বিভাগকে একই ধরনের নির্দেশনা দেয়াকে নির্দেশনার ঐক্য বলে।
সাধারণত প্রতিষ্ঠানের সব কর্মী একই উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য কাজ করেন।
তাই কাজের ধরন ও পদ্ধতি একই হলে ভালো হয়। এ লক্ষ্যে একই রকম নির্দেশনা দিতে হয়। এতে ব্যবস্থাপনার কাজ সহজ হয়। কর্মীরাও যথাসময়ে সব কাজ করতে পারে। এজন্য ব্যবস্থাপনায় নির্দেশনার ঐক্য পালিত হয়।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের পদ্মা ফ্যাশনে কেন্দ্রীকরণ নীতির অনুপস্থিতি দেখা দিয়েছে।
এ নীতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সব ক্ষমতা উচ্চস্তরের ব্যবস্থাপকদের হাতে রাখা হয়। এর ফলে অধস্তনদের সিদ্ধান্ত বা মতামত সঠিকভাবে মূল্যায়ন হয় না। আবার এ নীতির অনুপস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানের সব সিদ্ধান্ত অধস্তনরা নিজেদের ইচ্ছামতো নেয়। এতে কাজে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়।
উদ্দীপকে পদ্মা ফ্যাশন একটি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। এটি প্রতি বছর তৈরি পোশাক রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। প্রতিষ্ঠানটিতে বিভিন্ন কাজ পরিচালনায় নিযুক্ত সর্বস্তরের কর্মীদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রাধান্য দেয়া হয়।
অর্থাৎ উচ্চ, মধ্য ও নিস্তরের সব কর্মীই নিজেদের ইচ্ছামতো সব সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এতে উচ্চস্তরের কর্ক উত্তরঃর্তাগণ নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন না।
উচ্চস্তরের কর্মীদের সিদ্ধান্তকে মূল্যায়ন না করে নিস্তরের কর্মীদের যেকোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রবণতা প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে। এটি কেন্দ্রীয়করণ নীতির লঙ্ঘনের বিষয়কে নির্দেশ করছে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে পদ্মা ফ্যাশন প্রতিষ্ঠানটিতে কেন্দ্রীকরণ নীতির অনুপস্থিতি দেখা দিয়েছে।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকে পদ্মা ফ্যাশনের কর্মীদের অসন্তোষ দূরীকরণে কেন্দ্রীকরণ নীতির প্রয়োজনীয়তা আছে।
কেন্দ্রীকরণ নীতিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা মূলত উচ্চস্তরের ব্যবস্থাপকদের হাতে থাকে। মধ্যস্তরের ব্যবস্থাপকরা এসব সিদ্ধান্ত অধস্তনদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করেন। এতে প্রতিষ্ঠানের কাজে একটি শৃঙ্খলা বজায় থাকে।
উদ্দীপকের পদ্মা ফ্যাশন লি. একটি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটিতে নিযুক্ত সর্বস্তরের (উচ্চ, মধ্য, নি) কর্মীদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রাধান্য দেয়া হয়। কিন্তু বর্তমানে এরূপ কার্যক্রম প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করছে। তাই কর্তৃপক্ষ এ অবস্থায় কেন্দ্রীয়করণ নীতি গ্রহণ করেছে।
এ নীতির ফলে নিস্তরের কর্মীরা নিজেদের ইচ্ছামতো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেনা। এতে মধ্যস্তরের কর্মীরা সন্তুষ্ট থাকবে। কারণ কোনো প্রতিষ্ঠানে যদি উচ্চস্তর থেকে শুরু করে সর্ব নিস্তরের কর্মীদের একই রকম সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা থাকে তাহলে মধ্যস্তরের কর্মীরা নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেনা।
যা তাদের মধ্যে অসন্তোষ ও ক্ষোপ সৃষ্টি করে। কেন্দ্রীকরণ নীতি অনুসরণের ফলে উচ্চস্তরের কর্মীরা নিস্তরের কর্মীদের সঠিক ও একক সিদ্ধান্ত জানাতে পারে। এতে কাজের শৃঙ্খলা ও প্রতিষ্ঠানের সুনাম বজায় থাকে।
ফলে মধ্যস্তরসহ সকল কর্মীরই সন্তুষ্ট থাকে। সুতরাং কর্মীদের অসন্তোষ দূরকরণে এর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
প্রশ্নঃ ১৮ মি. আজিজ ‘ঘত’ কেবল লি.-এর একজন কর্ক উত্তরঃর্তা। তিনি প্রতিষ্ঠানের নীতি ও লক্ষ্য নির্ধারণে যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখেন তেমনি নিজ কাজের জন্য প্রতিষ্ঠানের মালিকের কাছে জবাবদিহিও করেন। তার কাজের দক্ষতার কারণে প্রতিষ্ঠান সাফল্য পেয়েছে। মালিকপক্ষও তার কাজে খুশি। মি. আজিজ ২০১৬ সালে মুনাফা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কর্মীদের কর্ঘ উত্তরঃণ্টা ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা উত্তীর্ণ করেন যদিও কর্মীদের কোনো অতিরিক্ত আর্থিক সুবিধা দিতে পারছেন না।
[ভিকরুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
ক. স্বৈরতান্ত্রিক সংগঠন কাঠামো কাকে বলে? ১
খ. “নির্দেশনার ঐক্য” নীতি বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকে মুনাফা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘ঘত’ কেবল লি. ব্যবস্থাপনার কোন নীতিটি উপেক্ষা করেছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে মি. আজিজ ‘ঘত’ কেবল লি.-এর একজন ‘প্রশাসক’ না ‘ব্যবস্থাপক’? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করো। ৪
১৮ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ যে সংগঠনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কাজ আদায়ের জন্য অধস্তনদের ভয়-ভীতি ও শাস্তি প্রদান করেন তাকে স্বৈরতান্ত্রিক সংগঠন কাঠামো বলে।
এ কাঠামোতে নেতা সব ক্ষমতা নিজের কাছে রাখেন এবং অধস্তনদের মতামত বিবেচনা করেন না।
খ উত্তরঃ যখন কর্মীদের কাজের জন্য একই ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয় তাকে নির্দেশনায় ঐক্য নীতি বলে।
প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মী একই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে। তাই কাজের ধরন ও পদ্ধতির নির্দেশনা একই রকম হলে ভালো হয়। এতে কর্মীরা বিভ্রান্ত হয় না। যথাসময়ে মানসম্মত কাজ করতে পারে। ফলে প্রাতিষ্ঠানিক উদ্দেশ্য অর্জন সহজ হয়।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে মুনাফা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘ঘত’ কেবল লি. ব্যবস্থাপনার পারিশ্রমিকের নীতিটি উপেক্ষা করেছে।
এ নীতি অনুযায়ী কর্মীদের ন্যায্য পারিশ্রমিক দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানে মূলধন বিনিয়োগ ও শ্রমের বিনিময়ে সবাই উপযুক্ত পারিশ্রমিক প্রত্যাশা করে। প্রত্যাশা পূরণ না হলে কাজের প্রতি কর্মীরা আগ্রহ হারায়। তাই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সবার যোগ্যতা অনুযায়ী বেতন দেওয়া উচিত।
উদ্দীপকে মি. আজিজ ‘ঘত’ কেবল লি.-এর একজন কর্ক উত্তরঃর্তা। তিনি প্রতিষ্ঠানের অধিক মুনাফা অর্জন করতে চান। এজন্য কর্মীদের কাজের সময় ৮ ঘণ্টা থেকে বাড়িয়ে ১০ ঘণ্টা করলেন।
তবে অতিরিক্ত ২ ঘণ্টা কাজ করলেও কর্মীরা কোনো ধরনের বাড়তি সুবিধা পায় না। অর্থাৎ, মি. আজিজ কর্মীদের দিয়ে অতিরিক্ত সময় কাজ করালেও তাদের ন্যায্য পারিশ্রমিক প্রদান করেন না। তাই বলা যায়, অতিরিক্ত সময়ের জন্য প্রাপ্য পারিশ্রমিক প্রদান না করার পারিশ্রমিকের নীতির ব্যত্যয় ঘটেছে।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকে মি. আজিজ ‘ঘত’ কেবল লি.-এর একজন প্রশাসক বলে আমি মনে করি।
একজন প্রশাসক প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য, নীতিমালা, পরিকল্পনা প্রণয়ন কাজের সাথে জড়িত থাকেন। এরা প্রতিষ্ঠানের উচ্চপর্যায়ে অবস্থান করেন। আর ব্যবস্থাপকরা উচ্চপর্যায়ের গৃহীত সিদ্ধান্ত নিম্নস্তরের কর্মীদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করেন ।
উদ্দীপকের মি. আজিজ ‘ঘত’ কেবল লি.-এর একজন কর্ক উত্তরঃর্তা। তিনি প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও নীতি নির্ধারণ কাজের ক্ষেত্রে ভ‚মিকা রাখেন। কাজের জন্য মালিকপক্ষের কাছে জবাবদিহি করেন। আবার মুনাফা বৃদ্ধির জন্য কর্মীদের কর্ঘ উত্তরঃণ্টা ৮ থেকে ১০ ঘণ্টায় উত্তীর্ণ করেন।
প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও নীতি নির্ধারণের কাজ ব্যবস্থাপনার সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রশাসক কর্তৃক গৃহীত হয়। আর, শ্রমিকদের কাজের সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত উচ্চপর্যায়ের কর্ক উত্তরঃর্তাগণই নিয়ে থাকেন। এসব ক্ষমতা প্রশাসকদের হাতেই থাকে।
ব্যবস্থাপকরা এসব সিদ্ধান্ত নিম্নস্তরের কর্মীদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করেন। প্রশাসক হিসেবে তিনি অধিক মাত্রায় চিন্তনীয় কাজের সাথে জড়িত। তাই বলা যায়, মি. আজিজ একজন প্রশাসক, ব্যবস্থাপক নন।
প্রশ্নঃ ১৯
[আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা]
ক. আদেশের ঐক্য নীতি কী? ১
খ. ব্যবস্থাপনায় প্রশাসন মস্তিষ্কের সাথে তুলনীয় কেন? ২
গ. উদ্দীপকে উলিখিত ছকটি ব্যবস্থাপনার কোন নীতি উপস্থাপন করে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. তুমি কি মনে করো প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় উক্ত নীতি যথাযথ? ব্যাখ্যা করো। ৪
১৯ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানে একজন কর্মী সরাসরি একই সময়ে শুধু একজন ঊর্ধ্বতন কর্ক উত্তরঃর্তার কাছ থেকে আদেশ গ্রহণ করবে – এ নীতিকেই আদেশের ঐক্য নীতি বলে।
খ উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানের যে স্তরে প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য, পরিকল্পনা, কৌশল ও নীতি নির্ধারণ করা হয় তাকে প্রশাসন বলে ।
মানুষ কোনো কাজ করার আগে তা কীভাবে করতে হবে তা চিন্তা করে। মস্তিষ্কের মাধ্যমে চিন্তন কাজটি করা হয়।
তারপর শরীরের অন্যান্য অঙ্গের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করা হয়। মস্তিষ্কের মতোই প্রশাসন প্রতিষ্ঠানের চিন্তনীয় কাজ (পরিকল্পনা প্রণয়ন ও নীতি নির্ধারণ) করেন। এরপর তা বাস্তবায়নের জন্য ব্যবস্থাপনার অন্যান্য স্তরের সহায়তা নেয়া হয়। এজন্যই ব্যবস্থাপনায় প্রশাসন মস্তিষ্কের সাথে তুলনীয়।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে উলিখিত ছক ব্যবস্থাপনার জোড়া মই শিকল (ঝপধষধৎ পযধরহ) নীতিটি উপস্থাপন করে।
এ নীতি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি ব্যক্তি, বিভাগ ও উপবিভাগকে একে অন্যের সাথে যুক্ত করা হয়। এখানে উর্ধ্বতন কর্ক উত্তরঃর্তা থেকে ধাপে ধাপে কর্তৃত্ব অধস্তনের কাছে নেমে আসে। এটি কর্তৃত্ব প্রবাহ ও যোগাযোগের পথ নির্দেশ করে।
উদ্দীপকে উলেখ্য ছকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে আছেন সভাপতি। তার পরেই আছেন সহসভাপতি। তার অধীনে ক্রয় ও বিক্রয় বিভাগীয় প্রধানের অবস্থান লক্ষ করা যাচ্ছে। আর এসব কর্মীর নি স্তরে আছে কর্মচারীবৃন্দ। এখানে প্রতিটি বিভাগ একে অন্যের সাথে সম্পৃক্ত আছে।
আর কর্তৃত্ব প্রবাহ সভাপতি থেকে ধাপে ধাপে সর্বনি পর্যায় কর্মচারীবৃন্দ পক্ষের কাছে নেমে আসে। এসব বৈশিষ্ট্য জোড়া মই শিকল নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের ছকটি ব্যবস্থাপনার এই নীতিটিই উপস্থাপন করে।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকের আলোকে আমি মনে করি, প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় উক্ত জোড়া মই শিকল নীতিটি যথাযথ।
এ নীতিতে প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি বিভাগ একে অপরের সাথে যুক্ত থাকে। এতে কর্তৃত্ব ধাপে ধাপে নিচের স্তর পর্যন্ত নেমে আসে। এভাবে উচ্চ পর্যায়ের নেয়া সিদ্ধান্ত নি স্তরের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়।
উদ্দীপকের ছকে দেখা যায়, সর্বোচ্চ স্তরে সভাপতি এবং সর্বনি স্তরে কর্মচারীবৃন্দ অবস্থান করছেন। এখানে কে কার অধীনে কাজ করবে তা সহজেই বোঝা যায়। অর্থাৎ, এটি কর্তৃত্ব প্রবাহ ও যোগাযোগের পথ নির্দেশ করে, যা জোড়া মই শিকল নীতির সাথে সম্পর্কিত।
এ নীতির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের কাজ করতে যেকোনো সমস্যা হলে কর্মীরা তার উর্ধ্বতন বিভাগকে জানায়। এতে সমস্যা অনুযায়ী দ্রুত তারা সিদ্ধান্ত জানতে পারে।
এখানে কে কার অধস্তন তা সহজেই বোঝা যায় বলে এ কাজটি দ্রুত করা যায়। ফলে প্রতিষ্ঠানের কাজ পরিচালনা অনেক সহজ হয়। কাজের শৃঙ্খলাও বজায় থাকে। সুতরাং, প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় জোড়া মই শিকল নীতিটি যথাযথ।
প্রশ্নঃ ২০ জনাব রিপন গ্রিন গ্র“পে উৎপাদন ব্যবস্থাপক হিসেবে যোগদানের পর লক্ষ করলেন, প্রতিষ্ঠান এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে ব্যর্থ হচ্ছে। তিনি কর্মীদের প্রত্যেকের কাজ সুনির্দিষ্ট করে দেন এবং জবাবদিহিতার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু তিনি লক্ষ করলেন প্রায়ই দক্ষ কর্মীরা প্রতিষ্ঠান ছেড়ে চলে যাচ্ছে। কারণ অনুসন্ধান করে জানতে পারলেন যে, প্রতিষ্ঠানের অনেক কর্মীর নিয়োগ অস্থায়ী এবং চুক্তিভিত্তিক। [নটর ডেম কলেজ, ঢাকা]
ক. জোড়া মই শিকলের নীতি কী? ১
খ. ব্যবস্থাপনা কি একটি পেশা? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকে জনাব রিপন প্রথমে হেনরি ফেয়লের কোন নীতিটি অনুসরণ করেছেন বলে তুমি মনে করো? এর গুরুত্ব মূল্যায়ন করো। ৩
ঘ. হেনরি ফেয়লের কোন নীতিটি অনুসরণ করে উদ্দীপকে উদ্ভূত সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে বলে তুমি মনে করো? ৪
২০ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ যে নীতিতে প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি বিভাগ, উপবিভাগ ও ব্যক্তি কর্তৃত্বের শিকলে একটি অপরটির সাথে সংযুক্ত থাকে তাকে জোড় মই শিকল বলে।
খ উত্তরঃ ব্যবস্থাপনা হলো প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্যার্জনের জন্য পরিকল্পনা, সংগঠন, কর্মীসংস্থান, নেতৃত্ব দান, নিয়ন্ত্রণ প্রভৃতি কাজের সমষ্টি।
কোনো ব্যক্তি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ নিয়ে সে জ্ঞানকে কর্ক উত্তরঃ্ষেত্রে কাজে লাগিয়ে জীবিকা অর্জন করেন তাকে পেশা বলে।
বর্তমানে যেকোনো ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় ব্যবস্থাপকের ব্যবস্থাপনার নীতি ও কৌশল জ্ঞান থাকা আবশ্যক। আর, ব্যবস্থাপনা বিষয়ে উচ্চশিক্ষা অর্জন করে তা কর্ক উত্তরঃ্ষেত্রে প্রয়োগ করে অনেক মানুষ জীবিকা নির্বাহ করছেন। এজন্য ব্যবস্থাপনাকে পেশা বলা যায়।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে জনাব রিপন প্রথমে হেনরি ফেয়লের (ঐবহৎর ঋধুড়ষ) কার্যবিভাজন নীতিটি অনুসরণ করেছেন বলে আমি মনে করি।
এ নীতিতে প্রতিষ্ঠানের কাজকে প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়। এরপর প্রত্যেককে সুনির্দিষ্টভাবে কাজের দায়িত্ব বণ্টন করা হয়। যেকোনো ব্যবস্থাপনা কাজে এ নীতি প্রথম ও প্রধান পালনীয়। এর মাধ্যমে অধস্তনদের কাজ তত্তাবধান ও জবাবদিহিতা সহজ হয়।
উদ্দীপকে জনাব রিপন গ্রিন গ্র“পে উৎপাদন ব্যবস্থাপক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি কর্মীদের প্রত্যেক কাজ সুনির্দিষ্ট করে দেন। এরপর জবাবদিহিতাও নিশ্চিত করেন। এর ফলে কর্মীরা কে কোন কাজ করবে তা বুঝতে পরে। যে যার দায়িত্ব অনুযায়ী কাজ করে।
এতে কাজ নিয়ে কোনো দ্বিধা-দ্ব›দ্ব তৈরি হয় না। প্রতিষ্ঠানে কাজের শৃঙ্খলা বজায় থাকে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ আদায় ও এর জবাবদিহিতার বিষয়টি সুনিশ্চিত হয়। এসব বৈশিষ্ট্য ব্যবস্থাপনার কার্য বিভাজন নীতির সাথে সম্পর্কিত, যা প্রতিষ্ঠানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
ঘ উত্তরঃ হেনরি ফেয়লের (ঐবহৎর ঋধুড়ষ) চাকরির স্থায়িত্ব নীতিটি অনুসরণ করে উদ্দীপকে উদ্ভূত সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে বলে আমি মনে করি।
এ নীতির মূল উদ্দেশ্য কর্মীদের চাকরির স্থায়িত্ব নিশ্চিত করা। এর ফলে কর্মীরা কাজের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা অনুভব করে। প্রতিষ্ঠানের কাজে তারা মনোযোগী হয়। এতে তারা তাদের দায়িত্বও যথাযথভাবে পালন করতে পারে।
উদ্দীপকে জনাব রিপন গ্রিন গ্র“পে যোগদান করেন। তার প্রতিষ্ঠানের অনেক কর্মীর নিয়োগ অস্থায়ী ও চুক্তিভিত্তিক। ফলে কর্মীরা তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে না।
এ কারণে দক্ষ কর্মীরা প্রায়ই প্রতিষ্ঠান ত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছে। তাদের চাকরির নিরাপত্তার অভাবে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
এ অবস্থায় প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মীদের চাকরির স্থায়ীকরণের নিশ্চয়তা দেওয়া যেতে পারে। এতে দক্ষ কর্মীরা যেমন প্রতিষ্ঠানে থাকবে, তেমনি তাদের দায়িত্বও সুনির্দিষ্টভাবে পালন করবে।
কাজের প্রতি তাদের আগ্রহ বাড়বে। এভাবে চাকরির স্থায়িত্ব নীতি অনুসরণ করে উদ্দীপকে উদ্ভ‚ত সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।